ইরান

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ

পূর্বসাল

৩০০০ ইন্দো-ইরানি আর্যদের একটি শাখা পারস্যে প্রবেশ করল। আর্যদের আরেকটি শাখা পরবর্তীতে ভারতে প্রবেশ করে।* প্রাচীন পারস্যে ধর্মের বিকাশ ঘটতে শুরু করল।
* ফারসি আর সংস্কৃত ভাষার মিলের রহস্য এটাই।

১৫০০-১০০০ আধুনিক পণ্ডিতদের হিসেবে, পারস্যের নবি জরাথুস্ট্রের জীবনকাল।* জরাথুস্ট্রবাদের পবিত্র বই আবেস্তা নামে পরিচিত, এসময়ই তা মৌখিকভাবে বিকশিত হতে শুরু করে। আবেস্তার সাথে ঋগ্বেদের বহু মিল পাওয়া গেছে।**
* প্রাচীন পারস্যের ধর্ম ছিল একটি বহুঈশ্বরবাদী ধর্ম। প্রাচীনেরা বিশ্বাস করতেন, সুনীতির প্রতীক খোদা আহুরা মাজদা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন তিনি একইসাথে আনাহিতা আর মিথ্রার মত গৌণ উপাস্যদেরও। আহুরা মাজদার শত্রু হচ্ছে দুর্নীতির প্রতীক খোদাদ্রোহী আংরা মান্যু, অন্ধকারের শক্তিগুলোর অধিপতি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই যার কাজ। সুনীতি আর দুর্নীতির মধ্যে নিরন্তর লড়াই চলছে। আদিপিতা মাশ্যা আর আদিমাতা মাশ্যানা আংরা মান্যুর ধোঁকাবাজির শিকার হয়ে আহুরা মাজদার পথ থেকে দূরে সরে যান। তবে তাঁদের উত্তরসূরী মানুষেরা স্বাধীন ইচ্ছার অধিকারী। তারা অন্ধকারের পরিবর্তে আলোর পথে হাঁটতে পারে। স্বার্থপরতার চেয়ে উন্নততর মূল্যবোধের চর্চা করতে পারে। নবি জরাথুস্ট্র এই বিশ্বাসে মৌলিক পরিবর্তন আনেন। তিনি বলেন, এতকাল লোকে ধর্মটাকে ভুল বুঝেছে। আহুরা মাজদা প্রধান নন, এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি সর্বশক্তিমান, তাই তাঁর কোন শরিক নেই। অন্য কথিত উপাস্যরা আসলে তাঁরই গুণের বহিঃপ্রকাশ। এভাবে একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম হয়ে উঠল জরাথুস্ট্রবাদ। তবে স্বাধীন ইচ্ছার চিন্তাটা মেনে নিয়েছিলেন জরাথুস্ট্র। তাঁর ধর্মে মানুষ নিয়তির হাতের পুতুল নয়। তারা স্বাধীন ইচ্ছা ব্যবহার করার সামর্থ্য রাখে।
** জরাথুস্ট্রবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে দেখুন, (Hartz 2009).

১০০০-৮০০ পারসিক ও মিদীয় গোষ্ঠী পারস্যে অভিবাসিত হল।

৯০০-৬০৯ নয়া অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য

৮৩৯-৮৩০ অ্যাসিরীয় রাজা তৃতীয় শালমানেসারের বর্ষপঞ্জিতে প্রথমবারের মত লিখিত হরফে পারসিকদের উল্লেখ করা হল।

৭৫০-৭০০ জাগরোস পর্বতমালার ওপর বসবাসকারী মিদীয় গোষ্ঠীর ওপর অ্যাসিরীয় সম্রাটদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হল।

৬৭০ মিদিয়ার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাল অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য।

৬৪০ অ্যাসিরিয়ার রাজা আশুরবনিপালের বশ্যতা স্বীকার করলেন পরসুমাশের রাজা কুরুশ।

৬৪০-৫৫০ মিদিয়ার ক্ষমতার উৎকর্ষকাল।

৬২৮-৫৫১ পাহলবি উৎসগুলোতে দেয়া পারস্যের নবি জরাথুস্ট্রের জীবনকাল। এসব উৎসের ঐতিহাসিকতা খুব মজবুত না। সাম্রাজ্যিক প্রচারণা মনে হয়।

৬২৬-৫২৯ নয়া বাবেলীয় সাম্রাজ্য

৬১২ মিদীয় আর বাবেলীয়রা অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী নিনেভে ধবংস করে দেয়, যার মধ্য দিয়ে অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্যের পতনের শুরুয়াত।

৬০৯ অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্যের পতন।

৫৮৫ মিদিয়ার রাজা হলেন অস্তাইজেস। লিডিয়ার সাথে যুদ্ধ। ফল অনির্ধারিত হওয়ায় শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হল।

৫৫৯ পারস্যের রাজা হলেন কুরুশ।

৫৫৯-৫৩০ কুরুশের রাজত্বকাল।

৫৫০ মিদিয়ার রাজা অস্তাইজেসকে পরাস্ত করলেন কুরুশ।

৫৫০-৩৩০ হাখমানেশি সাম্রাজ্য।*
* ৫৫০ পূর্বসালে পারস্যের কুরুশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। যিনি সাইরাস দ্য গ্রেট নামে অধিক পরিচিত। দরবারি ধর্ম হিসেবে জরাথুস্ট্রবাদ গ্রহণ করে নেয়। তবে হাখমানেশি সম্রাটরা ধর্ম প্রশ্নে উদার ছিলেন। তাঁরা সাম্রাজ্যবিস্তার করেছেন। কিন্তু বিজিতদের ওপর নিজেদের ধর্ম চাপিয়ে দেননি। হাখমানেশি সাম্রাজ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন, (Brosius 2020; Waters 2014).

হাখমানেশি সাম্রাজ্যের শেষদিকে জরবানবাদের বিকাশ শুরু হয়।*
* জরাথুস্ট্রবাদের একটি শাখা। তবে জরবানবাদকে জরাথুস্ট্রবাদের ‘হেরেসি’ বিবেচনা করা হয়। এর কারণ হল, দুটি ক্ষেত্রে জরবানবাদ এমন বিশ্বাস প্রচার করে, যার জরাথুস্ট্রবাদের বিশ্বাসের সাথে একেবারে সরাসরি সাংঘর্ষিক: (১) জরবানবাদ দাবি করে, সুনীতির প্রতীক আহুরা মাজদা আর দুর্নীতির প্রতীক আংরা মান্যু আসলে যমজ ভাই, দুজনেই সৃষ্ট। প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার নাম জরবান আকারানা, ‘অসীম সময়।’ তাই একমাত্র অসীম সময়ই মানুষের উপাসনার যোগ্য। (২) জরবানবাদ দাবি করে, মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা নেই; কেননা সময়ের ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ নেই। মানুষ নিয়তির হাতের পুতুল।

৫৫০-৩৩০ হাখমানেশি সাম্রাজ্যে নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখছে আবেস্তা। গ্রিক সূত্রগুলো বলছে, এ সময়ই পারস্য জুড়ে দেখা দেয় অগ্নি মন্দির, জরাথুস্ট্রবাদের উপাসনাস্থল। জরাথুস্ট্রীরা ‘অগ্নিপূজারী’, এরকম একটি ভুল ধারণা রয়েছে; বাস্তবে আগুন অপার্থিবের একটি প্রতীক মাত্র।

৫৪৯-৫৪০ কুরুশের লিডিয়া জয়।*
* লিডিয়ার রাজা ক্রসাস হাখমানেশি সাম্রাজ্যে হামলা চালান। এই হামলা চালানোর আগে পরামর্শের জন্য ক্রসাস ডেলফির ওরাকলের কাছে গেলে ওরাকল তাঁকে জানায়, এই যুদ্ধে এক বৃহৎ সাম্রাজ্য ধবংস হবে। যুদ্ধ শেষে দেখা গেল ওরাকল ঠিকই অনুমান করেছিল, যুদ্ধে আসলেই এক বৃহৎ সাম্রাজ্য ধবংস হয়ে যায়, তবে সেই সাম্রাজ্যটি হল – লিডিয়া।

৫৪৫-৪০ বর্তমান মধ্য এশিয়ায় অভিযান চালালেন কুরুশ।

৫৩৯ কুরুশের বাবেল জয়। ইহুদিদের বাবেলের বন্দিদশা থেকে মুক্তি দিলেন কুরুশ।*
* বাইবেলের ইসায়ার কেতাবে কুরুশকে মসীহা বলা হয়েছে। কুরুশের সাথে অনেক ইহুদিই ইরানে চলে আসেন। এই ইহুদিরাই হলেন আজকের ইরানি ইহুদিদের পূর্বপুরুষ।

৫৩৯-৫১০ পাসারগাদে মূল নির্মাণকাজ সমাপ্ত হল।

৫৩০ সমরে কুরুশের মৃত্যু, নতুন সম্রাট হলেন ক্যামবিসেস।

৫৩০-৫২২ ক্যামবিসেসের রাজত্বকাল।

৫২৫-২২ ক্যামবিসেসের মিসর অভিযান।

৫২২ এপ্রিল ক্যামবিসেসের মৃত্যু। মসনদে বসে মাত্র ৬ মাস রাজত্ব করার পর দারিয়ুস ও তাঁর ৬ সহযোগীর হাতে খুন হলেন বারদিয়া। এর মধ্য দিয়ে প্রথম দারিউস হিসেবে মসনদে বসলেন দারিউস, এবং ক্ষমতায় এসেই বাবেলীয়দের একটি বিদ্রোহ দমন করলেন।

৫২২-৪৮৬ প্রথম দারিউসের রাজত্বকাল।

৫২১ হাখমানেশি সাম্রাজ্যজুড়ে অসংখ্য বিদ্রোহ দেখা দিল, এসব বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করলেন প্রথম দারিউস।

৫২০-৫১৯ বেহিস্তুন লিপি কমিশন করলেন প্রথম দারিউস।

৫১৯-৫১০ প্রাচীন পারসিক উপাসনা ও উৎসবকেন্দ্র পার্সিপোলিস নির্মিত। ইওরোপ ও ভারতে অভিযান চালালেন প্রথম দারিউস।

৫১৩ প্রথম দারিউসের সিথিয়া অভিযান।

৫১২-১১ থ্রেসে পারস্যের দখলদারিত্ব।

৫০০-৪০১ মিসরের বিরুদ্ধে নিজেদের সীমান্ত রক্ষার কাজে আরবদের নিয়োগ দিলেন হাখমানেশিরা।

৪৯৯ নাক্সোসে একটি হাখমানেশি অভিযান ব্যর্থ হয়ে গেল।

৪৯৯-৪৯৩ আয়োনীয় বিদ্রোহ।

৪৯০ ম্যারাথনের যুদ্ধ।

৪৮৬ প্রথম দারিউসের মৃত্যু। নতুন সম্রাট প্রথম জেরজেস। হাখমানেশি সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে মিসরে বিদ্রোহ দেখা দিল।

৪৮৬-৪৬৫ প্রথম জেরজেসের রাজত্বকাল।

৪৮৪ বাবেলে বিদ্রোহ।

৪৮১ সার্ডিসে প্রথম জেরজেসের আগমন। গ্রিসে হাখমানেশি অভিযান ঠেকাতে বদ্ধপরিকর গ্রিক নগররাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা স্পার্টায় মিলিত হলেন। গোয়েন্দাগিরি করার জন্য সার্ডিসে গুপ্তচর পাঠানো হল।

৪৮০ হেলেসপন্ত পেরোলেন প্রথম জেরজেস। অ্যাথেনীয়রা শহর খালি করার পক্ষে ভোট দিল। থার্মোফিলি, আর্তেমিসিয়াম, আর হিমেরার যুদ্ধ। এথেন্স দখল করে শহরটি পুড়িয়ে দিলেন প্রথম জেরজেস। সালামিসের যুদ্ধ। গ্রিকদের প্রতিরোধের মুখে পিছু হঠলেন প্রথম জেরজেস। ফিরে এলেন সার্ডিসে।

৪৭২ মঞ্চস্থ হল এস্কাইলাসের লেখা নাটক দ্য পার্সিয়ানস

৪৬৫ গুপ্তহত্যার শিকার হলেন জেরজেস।

৪৬৫-৪২৪ প্রথম আর্তাজেরজেসের রাজত্বকাল।

৪৬৪/৪৬৩-৪৫৪ মিসরীয়দের বিদ্রোহ।

৪৪৯ এথেন্স আর পারস্যের মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হল।

৪২৪ প্রথম আর্তাজেরজেসের মৃত্যু, মসনদে বসলেন দ্বিতীয় জেরজেস।

৪২৪ দ্বিতীয় জেরজেসের রাজত্বকাল।*
* মাত্র ৪৫ দিন রাজত্ব করেন। এরপর গুপ্তহত্যার শিকার হন। মসনদে বসেন দ্বিতীয় দারিউস।

৪২৩-৪০৫ দ্বিতীয় দারিউসের রাজত্বকাল।

পূর্বসাল ৪২০-১০৫ সাল উত্তর আরবে নাবাতীয় সভ্যতা

৪০৮ কনিষ্ঠ কুরুশকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে আনাতোলিয়ায় পাঠানো হল।

৪০৫ দ্বিতীয় দারিউসের মৃত্যু, ক্ষমতায় এলেন দ্বিতীয় আর্তাজেরজেস।

৪০৫-৩৫৯ দ্বিতীয় আর্তাজেরজেসের রাজত্বকাল।

৪০১ ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ। দ্বিতীয় আর্তাজেরজেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন কনিষ্ঠ কুরুশ। কুনাক্সার সমর

৪০১-৩৪৩/৩৪২ মিসরে বিদ্রোহ দেখা দিল। তা কার্যত হাখমানেশি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল।

৩৮৭/৩৮৬ আন্তালসিডাসের সন্ধি, গ্রিসের ওপর রাজার সন্ধি চাপিয়ে দেয়া হল।

৩৫৯ দ্বিতীয় আর্তাজেরজেসের মৃত্যু, মসনদে বসলেন তৃতীয় আর্তাজেরজেস।

৩৫৯-৩৩৮ তৃতীয় আর্তাজেরজেসের রাজত্বকাল।

৩৪৩/৩৪২ পুনরায় মিসর দখল করে নিলেন তৃতীয় আর্তাজেরজেস।

৩৩৮ তৃতীয় আর্তাজেরজেসের মৃত্যু, মসনদে বসলেন চতুর্থ আর্তাজেরজেস।

৩৩৮-৩৩৬ চতুর্থ আর্তাজেরজেসের রাজত্বকাল।

৩৩৬ গুপ্তহত্যার শিকার হলেন চতুর্থ আর্তাজেরজেস, মসনদে বসলেন তৃতীয় দারিউস।

৩৩৬-৩৩০ তৃতীয় দারিউসের রাজত্বকাল।

৩৩৪ হাখমানেশি সাম্রাজ্যে হামলা চালালেন ম্যাকিদোনিয়ার সেকান্দার শা। গ্রানিকুসের সমর

৩৩৩ ইস্যুসের সমর। দামিশকে তৃতীয় দারিউসের পরিবারের বৃহৎ অংশটুকুকে পাকড়াও করা হল।

৩৩১ গউগামেলার সমর। বাবেল ও সুসায় সেকান্দার শাকে স্বাগত জানাল হল। তিনি ফার্সে অভিযান চালালেন।

৩৩০ ম্যাকিদোনিয়ার সেকান্দার শার হাতে হাখমানেশি সাম্রাজ্যের পতন।*
* তৃতীয় দারিউসের মৃত্যু। পারস্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর পার্সিপোলিসকে পুড়িয়ে ফেলা হল। কিছুদিন পরেই অবশ্য সেকান্দার শা পারস্যের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রতি ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। দেশটির এক রাজকন্যা রোকসানাকে বিয়ে করেন তিনি। নিজের সেনাবাহিনীর ১০,০০০ সেনাকে পারসিক নারী বিয়ে করতে তাগিদ দেন সেকান্দার শা। পারস্যের শহর সুসায় সম্পন্ন হয় গণবিবাহ। সেকান্দার শা চেয়েছিলেন একটি গ্রেকো-পারসিক সংস্কৃতির নির্মাণ।

৩২৩ মাত্র ৩২ বছর বয়সে সেকান্দার শার মৃত্যু। সেকান্দার শার এক সেনাপতি পারস্যের তখতে বসলেন। সেলুসীয় শাসন শুরু।

২৪৭ গ্রিক সেলুসীয়দের বিরুদ্ধে পারস্যবাসী বিদ্রোহ করে এবং পার্থীয় নামের একটি রাজবংশকে ক্ষমতায় বসায়।

পূর্বসাল ২৪৭-২২৪ সাল পার্থীয় সাম্রাজ্য।*
*এই সাম্রাজ্যেও প্রভাবশালী ধর্ম ছিল জরাথুস্ট্রবাদ। পার্থীয়রা নিজেদের হাখমানেশিদের উত্তরসূরী হিসেবে দেখতেন। ধর্ম প্রশ্নে তাঁরা হাখমানেশিদের মতই উদার ছিলেন। পার্থীয় পারস্যে নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখে আবেস্তা। অগ্নি মন্দির এ সময় আরো সমৃদ্ধ হয়। পার্থীয় সাম্রাজ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন, (Ellerbrock 2021).

১৪১ সেলুসীয়দের হাত থেকে পার্থীয়দের দখলে এল পার্সিস।

১২৯ পার্থীয়দের মেসোপটেমিয়া জয়। এর ফলে সিল্ক রোড থেকে চীনের পুরোটাই পার্থীয়দের নিয়ন্ত্রণে চলে এল।

৫৮-৫৭ তেসিফনকে পার্থীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী বানালেন দ্বিতীয় ওরোদেস।

পূর্বসাল ৫৪-২১৭ সাল রোমক সাম্রাজ্যের সাথে পার্থীয় পারস্যের পর্যায়ক্রমিক যুদ্ধ।

৫৩ কারিয়ার সমর। পার্থীয়দের হাতে ধরা পড়লেন ক্রসাস। তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।

৪০ রুমিদের বিরুদ্ধে পারসিকদের সাথে সাময়িক ঐক্য গড়লেন নাবাতীয়রা।

১৯ পার্থীয়দের ওপর বিজয় উদযাপন করার জন্য রোমে নির্মাণ করা হল অগাস্টাসের খিলান।

সাল

৫২ আর্মেনিয়া আক্রমণ করলেন পার্থীয় রাজা প্রথম ভলোগাসেস।

৫৮-৬৩ রুমি-পার্থীয় যুদ্ধ।

১১৪ আর্মেনিয়াকে রোমক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন রোমক সম্রাট ত্রাজান। পার্থীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন।

১৬১-১৬৬ রুমি-পার্থীয় যুদ্ধ।

১৯৫ প্রথম পার্থীয় যুদ্ধ।

১৯৭-১৯৮ দ্বিতীয় পার্থীয় যুদ্ধ।

২০১-৩০০ আরবের লাখমি গোত্র পারসিকদের মক্কেলে পরিণত হল।

২০৩ পার্থীয়দের ওপর বিজয় উদযাপন করতে রোমের ফোরাম রোমানামে নির্মাণ করা হল সেপ্টিমিউস সেভিউরুসের খিলান।

২১১ পার্থীয়দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন পারসিসের রাজা আরদাশির।

২১৭-৭৫ পারস্যে মানির সময়কাল। তিনি প্রাচীন দুনিয়ায় মানিকিয়ান ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। জানা যায়, তিনি আফগানিস্তানের বামিয়ানে সক্রিয় ছিলেন।

২২৪ পার্থীয়দের শেষ রাজাকে উৎখাত করে সাসানীয় সাম্রাজ্য* প্রতিষ্ঠা করলেন পার্সিসের রাজা আরদাশির।
* পার্থীয়দের মত সাসানীয় রাজাদের রাজধানীও ছিল তেসিফন। সাসানীয়রা শাহেনশা উপাধি নেন, অর্থ: “রাজাদের রাজা”। প্রাচীন পারস্যের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জীবনমানের বিকাশ ঘটানো এবং কৃষি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য সাসানীয়রা বিখ্যাত হয়ে আছেন।

২২৪-৬৫১ সাসানীয় সাম্রাজ্য।*
* জরাথুস্ট্রবাদ সাসানীয় পারস্যেও দরবারি ধর্মের মর্যাদা পায়। অগ্নি মন্দিরগুলো তাদের সমৃদ্ধির শীর্ষে পৌঁছায়। সাসানীয় পারস্যে জরবানবাদ পূর্ণ মাত্রায় বিকশিত হয়। কিন্তু হাখমানেশি আর পার্থীয়দের সাথে সাসানীয়দের একটা তাৎপর্যপূর্ণ ফারাক ছিল। পূর্বসুরীদের মত ধর্ম প্রশ্নে মোটেও উদার ছিলেন না সাসানীয়রা। সাম্রাজ্যে অন্য সব ধর্ম আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ছিল। সাসানীয়দের উত্থানপতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন, (Daryaee 2023; Pourshariati 2017).

২২৪-২৪০ প্রথম আরদাশিরের রাজত্বকাল।

২৪০-২৭০ প্রথম শাপুরের রাজত্বকাল।

২৫২ আর্মেনিয়া রাজ্যে হামলা চালাল সাসানীয় সাম্রাজ্য।

২৬০ এডেসায় রোমক সম্রাট ভ্যালেরিয়ানকে পাকড়াও করলেন প্রথম শাপুর।

৩০১-৪০০ পূর্ব আরবে সাসানীয় সাম্রাজ্যের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ল।

৩০৯-৭৯ দ্বিতীয় শাপুরের রাজত্বকাল।*
* তিনি মৌখিক ঐতিহ্যনির্ভর আবেস্তাকে লিপিবদ্ধ করার ওয়াদা করেন।

৩৬৮-৩৬৯ আর্মেনিয়া রাজ্যের একাধিক শহর ধবংস করল সাসানীয় সাম্রাজ্য।

৩৮৭ আর্মেনিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতে রাজি হলেন রোমক সম্রাট প্রথম থিওডোসিয়াস ও সাসানীয় সম্রাট তৃতীয় শাপুর।

৪০১-৫০০ আরবের বনু ঘাসসান গোত্র বাইজেন্টাইনদের মক্কেলে পরিণত হল।*
* রোমক সাম্রাজ্যের ভাঙনের পর পূর্ব রোমক সাম্রাজ্য বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ((Βασιλεία Ρωμαίων) নামে পরিচিত। এখানে বাইজেন্টাইন বলতে সাম্রাজ্যটির শাসকদের বোঝাবে। কুরআন শরিফে রুম বলতে এই সাম্রাজ্যকেই বোঝানো হয়েছে; যার কেন্দ্র ছিল কনস্টান্টিনোপল, বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল।

৪২৮-৬৫২ মার্জপানাত, আর্মেনিয়ার অর্ধেকটা এ সময় সাসানীয়রা শাসন করছে।

৪৫১ আভারআয়িরের সমর, আরমানি ও সাসানীয় বাহিনীগুলোর মধ্যে।

৪৮৪ ভারসাকের চুক্তি, সাসানীয় সাম্রাজ্য ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সই হয়। যা শেষোক্তদের অধিকতর রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন ও ধর্মীয় চিন্তার স্বাধীনতা দেয়।

৫০১-৬০০ আরবে এ সময় পারসিক আর বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মক্কেলদের মধ্যে ভয়াবহ আন্তঃগোত্রীয় যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছে।

৫০৩ এডেসা দখল করে নেয়ার একটা ব্যর্থ চেষ্টা চালালেন সাসানীয় সম্রাট কাভাদ।

৫৩১-৫৭৯ প্রথম খসরুর রাজত্বকাল। তাঁর শাসনামলে আবেস্তা লিখিত রূপ পায়। এভাবে ধর্মটি প্রাতিষ্ঠানিক চরিত্র লাভ করে।

৫৪৪ এডেসা দখল করে নেয়ার একটা ব্যর্থ চেষ্টা চালালেন সাসানীয় সম্রাট প্রথম খসরু।

৫৭০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম।

৫৭৫ সাসানীয় সাম্রাজ্য বর্তমান ইয়েমেন দখল করে নিল।

৫৯০-৬২৮ দ্বিতীয় খসরুর রাজত্বকাল।

৬০২ সাসানীয়রা তাঁদের মক্কেল লাখমি সর্দারকে খুন করল।

৬০২-৬২৮ বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সাথে দ্বিতীয় খসরুর দীর্ঘকালীন যুদ্ধ। এর ফলে সাসানীয় সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে যায়। গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

৬১৪ দ্বিতীয় খসরুর জেরুসালেম জয়। আরবের উত্তর সীমান্ত দখল করল সাসানীয়রা। বাইজেন্টাইনদের পরাজিত করল।

৬২৭ নিনেভেতে সাসানীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একটা নির্ধারকমূলক বিজয় অর্জন করলেন বাইজেন্টাইন সম্রাট হেরাক্লিয়াস।

৬২৮-৩২ সাসানীয় সাম্রাজ্যের গৃহযুদ্ধ

৬৩০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) নেতৃত্বে মুসলমানদের মক্কা বিজয়।

৬৩২ বিদায় হজ। হযরত মুহাম্মদের (সা.) মৃত্যু। তাঁর কোন জীবিত পুত্রসন্তান না থাকায় ও উত্তরাধিকারী মনোনীত করে না যাওয়ায় যে নেতৃত্ব সংকট দেখা দেয়, কালক্রমে তাই শিয়া-সুন্নী বিভাজনে রূপ নেবে।*
* শিয়া-সুন্নী বিভাজনের ইতিহাস জানতে, দেখুন, (McHugo 2017; Louër 2020).

৬৩২-৬১ রাশিদুন খেলাফত।*
* সুন্নিরা যেই চার খলিফাকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশিত বলে বিশ্বাস করেন, সেই রাশিদুন খেলাফতের কাল। শিয়াদের অধিকাংশ প্রথম তিন খলিফাকে অবৈধ ভাবেন, তাঁদের বিশ্বাসে সুন্নিদের চতুর্থ খলিফা আলীই একমাত্র বৈধ খলিফা। তবে জায়েদি শিয়ারা চার খলিফাকেই বৈধ ভাবেন।

৬৩২-৫১ তৃতীয় ইয়াজদেগার্দের রাজত্বকাল।

৬৩২-৩৪ প্রথম রাশিদুন খলিফা আবু বকরের শাসনকাল।

৬৩৪-৪৪ দ্বিতীয় রাশিদুন খলিফা উমর ইবনে আল-খাত্তাবের শাসনকাল।

৬৩৬ কাদিসিয়ার সমর

৬৩৭ রাশিদুন খেলাফতের লেভান্ত* জয়। অঞ্চলটি থেকে বাইজেন্টাইনদের বের করে দেয়া হল।
* সেকালের এশিয়া মাইনর আর ফিনিশিয়া নিয়ে গঠিত। বর্তমান তুরস্ক, সিরিয়া, আর লেবানন অঞ্চলটির অন্তর্গত। বৃহত্তর অর্থে গ্রিস আর মিসরের মধ্যবর্তী পুরো অঞ্চলটাকেই লেভান্ত বলা যেতে পারে।

৬৪২ নেহাওয়ান্দের সমর

৬৪২-৬৫১ তৃতীয় ইয়াজদেগার্দ নিজ রাজত্ব রক্ষার জন্য সেনা সমাবেশ করার চেষ্টাকালে রাশিদুন খেলাফতের বাহিনীর আক্রমণের মুখে পালিয়ে যান।

৬৪৪-৫৬ তৃতীয় রাশিদুন খলিফা উসমান ইবনে আফফানের শাসনকাল।

৬৫০ খলিফা উসমানের উদ্যোগে কুরআন শরিফের একটি মান সংস্করণ প্রস্তুত করা হল। এটি আল-মুশহাফ আল-উসমানি নামে পরিচিত। বাকি সব সংস্করণ ধ্বংস করে ফেলা হল।

৬৫১ গুপ্তহত্যার শিকার হলেন তৃতীয় ইয়াজদেগার্দ। সাসানীয় সাম্রাজ্যের পতন। পারস্য জয় করল রাশিদুন খেলাফত।

৬৫১-১৪০০ রাশিদুন খেলাফতের পারস্য জয়ের কারণে দেশটিতে জরবানবাদের অনুসারীর সংখ্যা হ্রাস পেলেও সময়, নিয়তি, ও স্বাধীন ইচ্ছা বিষয়ে জরবানবাদের বিশ্বাস ধর্মচর্চা ও সাহিত্যচর্চাকে প্রভাবিত করা অব্যাহত রাখল।

৬৫৬-৬১ চতুর্থ খলিফা ও শিয়াদের প্রথম ইমাম আলি ইবনে আবু তালেবের শাসনকাল।

৬৮০ মার্চ বিষপ্রয়োগে নিহত হলেন শিয়া ইসলামের দ্বিতীয় ইমাম হাসান ইবনে আলি।

অক্টোবর কারবালার যুদ্ধে শহিদ হলেন শিয়া ইসলামের তৃতীয় ইমাম হোসেন ইবনে আলি।

৬৯৬ আরবিকে পারস্যের দরবারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হল।*
* তবে ইরানিরা ফারসিতে বাতচিত করা অব্যাহত রাখেন। সংস্কৃতিচর্চার ভাষা হিসেবেও ফারসিই ব্যবহৃত হতে থাকে। আনুমানিক এ সময় থেকে নবম শতাব্দীর মধ্যে আধুনিক ফারসি ভাষা গড়ন পায়, যা লেখা হয় এক ধরণের আরবি লিপিতে।

৮০১-৯০০ এ সময় নাগাদ পারস্যের অধিকাংশ মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেন। জরথুস্ট্রবাদ সংখ্যালঘু ধর্মে পরিণত হয়।

৮৭৫-১০০৫ সামানীয় রাজবংশের শাসন।

৯৬২-১১৮৬ গজনভী রাজবংশের শাসন।

১০১০ শাহনামা লেখা শেষ করলেন ফেরদৌসী।

১০৩৭-১২২০ সেলজুক সুলতানদের শাসন।

১১৩১ কবি ওমর খৈয়্যামের মৃত্যু।

১২০২ কবি নিজামীর মৃত্যু।

১২২০-৫৮ চেঙ্গিজ খাঁর নেতৃত্বে মঙ্গোলরা পারস্যে ধবংসলীলা চালায়।

১২৭৩ কবি রুমির মৃত্যু।

১২৭৮ এসময়ই কখনো লেখা হল জরাথুস্ট্রনামা

১৩৩৪ সাফাভি তরিকার প্রতিষ্ঠাতা শায়েখ সাফি আল-দীনের মৃত্যু।

১৩৮৯ কবি হাফিজের মৃত্যু।

১৪০৫ পারস্য জয় করলেন আমির তৈমুর।

১৪৫৬-৯ তুর্কমানদের আকুয়ুনলু রাজ্যের রাজা উজুন হাসানের সাথে সাফাভি তরিকার প্রধান শেখ জুনায়েদের বোনের বিয়ে।

১৪৬০ এক যুদ্ধে শেখ জুনায়েদের মৃত্যু হলে সাফাভি তরিকার নতুন প্রধান হলেন ছেলে হায়দার সাফাভি।

১৪৬৭ জাহান শাহ কারাকুয়ুনলুর মৃত্যু।

১৪৭১-৭২ উজুন হাসানের মেয়ের সাথে হায়দার সাফাভির বিয়ে।

১৪৭৩ বাশকেন্তে ওসমানি সুলতানশাহির হাতে আকুয়ুনলু রাজ্যের পরাজয়।

১৪৭৮ উজুন হাসানের মৃত্যু।

১৪৮৭ হায়দার সাফাভির তৃতীয় পুত্র ইসমাইলের জন্ম।

১৪৮৮ এক যুদ্ধে হায়দার সাফাভির মৃত্যু হলে সাফাভি তরিকার নতুন প্রধান হলেন পুত্র ইসমাইল।

১৫০১ ইসমাইলের তাবরিজ জয়।

শিয়া কিজিলবাশ যোদ্ধা গোষ্ঠীগুলোর সহায়তা নিয়ে পারস্যের সাফাভি রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম শাসক হলেন প্রথম শাহ ইসমাইল।*
* সাফাভিরা নিজেদের সপ্তম শিয়া ইমাম মুসা আল-কাজিমের বংশধর দাবি করে জনসম্মতি আদায় করেন। সাফাভি রাজতন্ত্রের দরবারি ধর্ম ছিল শিয়া ইসলাম। এ সময় থেকেই ইরান শিয়া-সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

১৫০৮ সাফাভি বাহিনীর হাতে বাগদাদের পতন।

১৫১০-১১ সাফাভি বাহিনীর হাতে খোরাসানের পতন।

১৫১২ খোরাসানে উজবেকদের হাতে সাফাভি বাহিনীর পতন ঘটল। হেরাত সাফাভিদের হাতছাড়া হয়ে গেল। পরে তারা তা পুনর্দখল করে।

১৫১৪ চালদিরানের যুদ্ধ, ওসমানি সুলতানশাহির হাতে সাফাভিদের পরাজয়। তাবরিজ সাফাভিদের হাতছাড়া হয়ে যায়। পরে তারা তা পুনর্দখল করে।

১৫১৫ পারস্য উপসাগরের হরমুজ দ্বীপের ওপর পর্তুগিজদের নিয়ন্ত্রণ পোক্ত হল।

১৫১৭ ওসমানিদের কায়রো আগমন।

১৫২৪ শাহ প্রথম ইসমাইলের মৃত্যু হলে সাফাভি সাম্রাজ্যের নতুন শাসক হলেন শাহ তামাস্প।

১৫২৪-৩৬ সাফাভি পারস্যের প্রথম গৃহযুদ্ধ

১৫২৪-৪০ উজবেকরা টানা পাঁচবার খোরাসানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়।

১৫৩২-৫৫ সাফাভি সাম্রাজ্যে অনেকগুলো অভিযান চালাল ওসমানি সুলতানশাহি।

১৫৩৩ ইমামের ডেপুটি হিসেবে আলী কারাকির নাম ঘোষণা করে ফরমান জারি করলেন শাহ তামাস্প।

১৫৩৩-৩৪ শাহ তামাস্পের প্রথম তওবা।

১৫৩৪ আলী কারাকির মৃত্যু।

বাগদাদ, নাজাফ, ও কারবালাকে অন্তর্ভুক্ত করে আরব ইরাক নিয়ে নিল ওসমানিরা।

১৫৩৬ শাহ তামাস্পের হাফ-ব্রাদার আলকাসের বিদ্রোহ।

১৫৫৫ আমাস্যা চুক্তি। ওসমানি সুলতানশাহির সাথে সন্ধি করল সাফাভি সাম্রাজ্য। আরব ইরাকের ওপর ওসমানিদের কর্তৃত্ব স্বীকৃত হল।

১৫৫৫-৫৬ শাহ তামাস্পের দ্বিতীয় তওবা।

১৫৫৬ ভবিষ্য দ্বিতীয় ইসমাইল গ্রেপ্তার। এ সময়ই কখনো কাজভিনে চিহিল সুতুন প্রাসাদের নির্মাণকাজ শেষ হয়।

১৫৫৭ শায়খ জয়নুল দ্বীন আমিলির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ওসমানিরা।

১৫৬১-৬২ বিদ্রোহী বায়েজিদকে ওসমানিদের হাতে তুলে দিলেন শাহ তামাস্প।

১৫৬৩-৬৪ তমঘা ও সমরূপ কিছু চর্চা নিষিদ্ধ করে ফরমান জারি করলেন শাহ তামাস্প।

১৫৬৭ ওসমানি সুলতান দ্বিতীয় সেলিমের কাছে শাহনামার একটা কপি পাঠালেন শাহ তামাস্প।

১৫৭৪ শাহ তামাস্পের অসুখের সুযোগ নিয়ে নুকতাভির উত্থান।

১৫৭৬ শাহ তামাস্পের মৃত্যু। মসনদে বসলেন দ্বিতীয় ইসমাইল।

১৫৭৬-৯০ সাফাভি পারস্যের দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ

১৫৭৭-৭৮ দ্বিতীয় ইসমাইলের মৃত্যু। মসনদে বসলেন মোহাম্মদ খোদাবন্দ।

১৫৭৮-৯০ এ সময় সাফাভি ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ চালাচ্ছে ওসমানিরা।

১৫৭৯ মোহাম্মদ খোদাবন্দের স্ত্রী ও শাহ প্রথম আব্বাসের মা খাইর আল-নিসা মারাশির হত্যাকাণ্ড।

১৫৮৫ ওসমানিদের হাতে তাবরিজের পতন।

১৫৮৭ মসনদে বসলেন প্রথম আব্বাস।

১৫৮৭-১৬২৯ শাহ প্রথম আব্বাসের শাসনকাল।*
* দেশটিতে ধর্ম আর রাষ্ট্র আলাদা হতে শুরু করল। প্রথম শাহ আব্বাস সেনাসংস্কার করলেন। ইরানের রাজধানী তেসিফন থেকে ইস্ফাহানে স্থানান্তরিত করলেন এবং পশ্চিম ইওরোপের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করলেন।

১৫৯০ ওসমানিদের সাথে শান্তিচুক্তি সই করলেন প্রথম আব্বাস।

১৫৯২ কাজভিনে নুকতাভি দরবেশ খসরুর উত্থান।

১৫৯৪ কান্দাহার মুঘলদের অধিকারে গেল।

১৫৯৫ মোহাম্মদ খোদাবন্দের মৃত্যু।

১৫৯৮-৯৯ উজবেকদের কাছ থেকে মাশহাদ ও হেরাতকে অন্তর্ভুক্ত করে খোরাসানের পূর্বাঞ্চল উদ্ধার করল সাফাভিরা।

১৫৯৯ আবদাল্লাহ শুশতারি স্কুলের নির্মাণকাজ শুরু হল।

১৬০২ লুতফাল্লাহ মায়সি মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হল।

১৬০২-৩ ওসমানিদের কাছ থেকে তাবরিজকে অন্তর্ভুক্ত করে আজারবাইজান উদ্ধার করল সাফাভিরা। ইস্ফাহানে নকশ-ই-জাহান ময়দানের নির্মাণকাজ শুরু হল।

১৬০৪-৫ আরমানিদের জুলফা থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত করে ইস্ফাহানে পাঠানো হল।

১৬০৭-৮ ওসমানিদের কাছ থেকে শিরভান পুনরুদ্ধার করল সাফাভিরা।

১৬১১ ইস্ফাহানের শাহ মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হল।

১৬১৩ ইস্ফাহানে নির্মিত হল আরমানি চার্চ অফ ম্যারি।

১৬২০-২১ শেখ বাহাইয়ের মৃত্যু।

১৬২২ মুঘলদের কাছ থেকে কান্দাহার পুনরুদ্ধার করল সাফাভিরা।

১৬২৩-২৪ ওসমানিদের কাছ থেকে কুর্দিস্তান এবং বাগদাদ ও শিয়াদের পবিত্র শহরগুলো অন্তর্ভুক্ত করে ইরাকের পূর্বাঞ্চল পুনরুদ্ধার করল সাফাভিরা।

১৬২৪ উজির হিসেবে নিয়োগ পেলেন প্রথম আব্বাসের জামাতা খলিফা সুলতান।

১৬২৭-২৮ ইস্ফাহানে নির্মিত হল বেথলেহেম আরমানি চার্চ।

১৬২৯ প্রথম আব্বাসের মৃত্যু। মসনদে বসলেন তাঁর নাতি শফি। গিলানে গরিব শাহের উত্থান।

১৬৩০ হামাদান দখল করল ওসমানিরা।

১৬৩১ কাজভিনে দরবেশ রিজার উত্থান। মীর দামাদের মৃত্যু।

১৬৩২ সালাফি দরবারে খলিফা সুলতানের মৈত্রীজোটের পতন ঘটল।

১৬৩৩-৩৪ আবু মুসলিমবিরোধী প্রবন্ধ রচনা প্রতিযোগিতা, যা দুই দশক ধরে চালু থাকবে, তার শুরুয়াত।

১৬৩৪ নতুন উজির হলেন সারু ত্বকি। এ সময় ইস্ফাহানে ২০টিরও বেশি আরমানি গির্জা সক্রিয় আছে।

১৬৩৫ তাবরিজ লুট করল ওসমানিরা। শান্তির জন্য সাফাভিদের দরখাস্ত। রিজা আব্বাসির মৃত্যু।

১৬৩৭ সাফাভি পারস্যে এলেন জার্মান পণ্ডিত অ্যাডাম অলেরিয়াস।

১৬৩৮ বাগদাদ ও শিয়াদের পবিত্র শহরগুলো ওসমানিদের হাতে চলে গেল, আর কান্দাহার মুঘলদের হাতে।

১৬৩৯ জুহাবের চুক্তি, ইরাক আর ককেশীয় অঞ্চলের সীমান্ত বিরোধ নিরসনে ওসমানিদের সাথে শান্তিচুক্তি সই করল সাফাভিরা। ‘পুনর্জন্ম লাভ করা’ দরবেশ রিজার উত্থান। কাজভিন সফর করলেন শাহ শফি।

১৬৪০ মোল্লা সদরার মৃত্যু।

১৬৪১ সাফাভি পারস্যের কাছ থেকে শেষবারের মত রেশন কিনল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

১৬৪২ শাহ শফির মৃত্যু। মসনদে বসলেন তাঁর পুত্র দ্বিতীয় আব্বাস।

১৬৪৩ আলি কাপু প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু হল।

১৬৪৩-৪৫ পারস্যে পোর্সেলিন রপ্তানি করা হ্রাস করল চীন।

১৬৪৫ ওলন্দাজরা গমব্রুনে বোমাবর্ষণ করে এবং কিশম দখল করে নেয়। সারু ত্বকি হত্যা। উজির হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পেলেন খলিফা সুলতান। দেশটির সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রচারাভিযান চালানো শুরু করলেন নয়া উজির। মুদ্রার মূল্যহ্রাস।

১৬৪৭ ইস্ফাহানে চিহিল সুতুন অডিয়েন্স হলের নির্মাণকাজ সমাপ্ত।

১৬৪৮ মুদ্রার অধিকতর মূল্যহ্রাস।

১৬৪৯ মুঘলদের কাছ থেকে কান্দাহার ছিনিয়ে নিল সাফাভিরা।

১৬৫০ ইস্ফাহানের শায়খুল ইসলাম আলীনকি কামরাইয়ের মৃত্যু। রাজধানীর নয়া শায়খুল ইসলাম হিসেবে নিয়োগ পেলেন মুহাম্মদ বাকির সাবজাভারি।

১৬৫১-৫২ ইস্ফাহানে নির্মিত হল খাজা বা হাসনাবাদ সেতু।

১৬৫৩ সদর হাবিবুল্লা খারাকির মৃত্যু। নতুন সদর হিসেবে নিয়োগ পেলেন তাঁর পুত্র মির্জা মুহাম্মদ খারাকি।

১৬৫৪ ইস্ফাহানে জুমার নামাজে ইমামতি করার জন্য ফয়েজ কাশানিকে দাওয়াত দিলেন দ্বিতীয় আব্বাস।

১৬৫৪-৫৫ তীব্র শীত। খলিফা সুলতানের মৃত্যু। নয়া উজির হিসেবে নিয়োগ পেলেন আরমানি গোলাম মোহাম্মদ বেগ।

১৬৫৫ ইস্ফাহানে অল সেভিয়ার্স ক্যাথেড্রালের নির্মাণকাজ শুরু হল।

১৬৫৭ ওসমানি-সাফাভি বাণিজ্য চুক্তি।

১৬৫৭-৫৮ ইস্ফাহানে রিভুলেত সেতুর নির্মাণকাজ সমাপ্ত হল।

১৬৫৮-৬৬ ইস্ফাহানে ৬টি নতুন আরমানি গির্জা নির্মিত হল।

১৬৫৯ ত্বকি মজলিশির মৃত্যু।

১৬৫৯-৬০ ইস্ফাহানে চাহার বাগ-ই সা’আদাতাবাদের নকশা করা হল।

১৬৬১ উজিরের পদ থেকে মোহাম্মদ বেগকে বরখাস্ত করা হল। নয়া উজির হিসেবে নিয়োগ পেলেন সদর মির্জা মোহাম্মদ কারাকি।

১৬৬৩ আজারবাইজানে তীব্র দুর্ভিক্ষ।

১৬৬৬-৬৭ পারস্যে পরপর দুই বছর খারাপ ফলন হল।

১৬৬৬ দ্বিতীয় আব্বাসের মৃত্যু। দ্বিতীয় শফির প্রথম রাজ্যাভিষেক। ছারদিনের পারস্যে আগমন। হাশত বিহিশত প্রাসাদের নির্মাণকাজ শুরু হল।

১৬৬৮ সোলেমান নাম নিয়ে দ্বিতীয় শফির দ্বিতীয় রাজ্যাভিষেক।

১৬৬৯ ইস্ফাহানে খারাপ ফলন, প্লেগ ও দুর্ভিক্ষ। মোহাম্মদ কারাকিকে উজিরের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হল। নয়া উজির হলেন কুর্দি আলী খান জঙ্গনা। আরমানি-বিরোধী তৎপরতা চালাতে শুরু করলেন নয়া উজির।

১৬৭০ রূপা আমদানির ওপর কর বসানো হল।

১৬৭২ তীব্র শীত, মুদ্রাস্ফীতি, ও খাদ্য সংকট। নয়া উজিরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল।

১৬৭৮-৭৯ বছরের পর বছর ধরে খরা, তীব্র শীত, আর পঙ্গপালের কারণে ইস্ফাহানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিল।

১৬৭৯ ইস্ফাহানের শায়খুল ইসলাম বাকির সাবজাভারির মৃত্যু।

১৬৮০ ফয়েজ কাশানির মৃত্যু।

১৬৮১ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানে দুর্ভিক্ষ।

১৬৮৩ পারস্যে পোর্সেলিন রপ্তানি করা পুনরায় শুরু করল চীন।

১৬৮৪ কিশম দখল করে নিল ওলন্দাজরা।

১৬৮৪-৮৫ গিলানের প্লেগ আরদাবিল ও হামাদানে ছড়িয়ে পড়ল।

১৬৮৭ ইস্ফাহানের শায়খুল ইসলাম হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাকির মজলিসি। সূফিবাদ বিরোধী মোল্লা মোহাম্মদ তাহিরের মৃত্যু।

১৬৮৯ উজির আলী খানের মৃত্যু।

১৬৮৯-৯১ সিরাজ ও ইরাকের পূর্বাঞ্চলে প্লেগ দেখা দিল।

১৬৯০ ইস্ফাহানে নির্মাণ করা হল তালার-ই আশরাফ।

১৬৯১ উজির হিসেবে নিয়োগ পেলেন মুহাম্মদ তাহির কাজভিনি। শায়খ আলী আমিলির মৃত্যু।

১৬৯৩ শায়খ হুররি আমিলির মৃত্যু।

১৬৯৪ সোলেমানের মৃত্যু। মসনদে বসলেন সুলতান হুসাইন। মদ নিষিদ্ধ করে ফরমান জারি করা হল। কারমেলীয়দের ইস্ফাহান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হল।

১৬৯৬ ফার্সে খরা ও দুর্ভিক্ষ দেখা দিল।

১৬৯৭ কারমেলীয়দের ইস্ফাহানে ফিরে আসার অনুমতি দেয়া হল।

১৬৯৯ মোহাম্মদ বাকির মজলিসির মৃত্যু। উজির হিসেবে নিয়োগ পেলেন শামলু।

১৭০৩ ইস্ফাহানের শায়খুল ইসলাম হিসেবে বাকির খাতুনাবাদীর নাম প্রস্তাব করা হল।

১৭০৪-০৫ চাহার বাগ কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শুরু হল।

১৭০৬ কোম ও মাশহাদ শহরে সফর করতে শুরু করলেন সুলতান হুসাইন। ইস্ফাহানে খাদ্য দাঙ্গা।

১৭০৭ সাবেক উজির শায়খ আলী খানের পুত্র সুন্নি কুর্দি শাহ কুলি খান জঙ্গনাকে নয়া উজির হিসেবে নিয়োগ দেয়া হল।

১৭০৯ মীর উবাইসের দ্বিতীয় উত্থান।

১৭১০-১১ চাহার বাগ ইশকুল উদ্বোধন।

১৭১১ ইস্ফাহানের বাইরে ফারাহাবাদ চাহার বাগ ইশকুল নির্মাণ করা হল।

১৭১২ আরমানিদের মধ্যে ক্যাথলিক মিশনারিদের তৎপরতা নিষিদ্ধ করে ফরমান জারি করা হল। প্রথম মোল্লাবাসী হিসেবে বাকির খাতুনাবাদীর নাম প্রস্তাব করা হল।

১৭১৪ শেষবারের মত পারস্য থেকে রেশম খরিদ করল ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (ভিওসি)।

১৭১৫ গমের মূল্য বুদ্ধিতে ইস্ফাহান জুড়ে অসন্তোষ দেখা দিল।

১৭১৬ গিলানে মহামারী। তাবরিজ ও ইস্ফাহানে খাদ্য দাঙ্গা। আরমানিদের ওপর জারি থাকা কিছু কঠোর ব্যবস্থা শিথিল করা হল। ইস্ফাহানের দারোগা পরিবর্তন। সুন্নি কুর্দি উজির শাহ কুলি খান জঙ্গনার মৃত্যু। নয়া উজির হলেন ফতে আলী খান দাগেস্তানি।

১৭১৭ রুশ-পারসিক চুক্তি। কান্দাহারে ক্ষমতা দখল করলেন মীর উবাইসের পুত্র মাহমুদ।

১৭১৯ কিরমান ধবংস করলেন মাহমুদ।

১৭২০ উজির ফতে আলী খানের পতন।

১৭২২ মার্চ গুলনাবাদের সমর। ইস্ফাহানের পতন।

নভেম্বর দ্বিতীয় তামাস্পকে কাজভিনে শাহ ঘোষণা করা হল।

১৭২৪ হামাদান দখল করে নিল রুশরা।

১৭২৫ তাবরিজ দখল করে নিল ওসমানিরা।

১৭২৬ গুপ্তহত্যার শিকার হলেন আফগান মাহমুদ। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন আশরাফ। হামাদানের নিকটে কোথাও ওসমানি বাহিনীকে পরাস্ত করলেন আশরাফ। সুলতান হুসাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলেন। মাশহাদ দখল করে নিলেন দ্বিতীয় তামাস্প।

১৭২৮ আফগানদের হাতে ধৃত ও খুন হলেন মির্জা আহমাদ মারাশি।

১৭২৯ আফগানদের কাছ থেকে হেরাত ও কান্দাহার ছিনিয়ে নিলেন দ্বিতীয় তামাস্প।
নভেম্বর ইস্ফাহানে ঢুকলেন দ্বিতীয় তামাস্প।

রুশ-পারসিক চুক্তি

১৭৩২ শিশু তৃতীয় আব্বাসের পক্ষে দ্বিতীয় তামাস্পকে গদিচ্যুত করলেন নাদির। সাম্রাজ্যিক রাশিয়ার সাথে চুক্তি করল পারস্য। ১৭২২ সাল থেকে পারস্যের যেসব ভূখণ্ড কেড়ে নেয়া হয়েছিল, তা ফিরিয়ে দিতে।

১৭৩৩ পারস্য-ওসমানি চুক্তি

১৭৩৬ নাদির আফশারের হাতে আফগান সেনাবাহিনী পরাজিত হল। তিনি পারস্যে আফশার রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করলেন। নাম নিলেন নাদির শাহ।

১৭৩৮-৩৯ কান্দাহার পুনরুদ্ধার করলেন নাদির শাহ। ভারতে হামলা চালালেন।

১৭৪০ দ্বিতীয় তামাস্প ও তৃতীয় আব্বাসের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলেন নাদির শাহ।

১৭৪৭ গুপ্তঘাতকের হাতে খুন হলেন নাদির শাহ।

১৭৪৯, ডিসেম্বর ১৭-জানুয়ারি ১৪, ১৭৫০ সাফাভি প্রিটেন্ডর দ্বিতীয় সোলেমানের স্বল্পস্থায়ী রাজত্ব।

১৭৫০-৭৯ করিম খানের শাসনামল।*
* শাহ উপাধি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন করিম খান। নিজেকে জনগণের সেবক বলে দাবি করেন। দয়ালু শাসক হিসেবে তাঁকে স্মরণ করা হয়।

১৭৯৪/১৭৯৫ কাজার রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করলেন মোহাম্মদ খান কাজার। রাজধানী ইস্ফাহান থেকে তেহরানে সরিয়ে নেয়া হল।

১৭৮৯-১৯২৫ কাজার রাজবংশ

১৮১৩ গুলিস্তান চুক্তি, ১৮২৮ তুর্কমানচাই চুক্তি এই দুটি আলাদা চুক্তির মাধ্যমে পারস্যের ককেশীয় অঞ্চলগুলো (জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, ও আজারবাইজান) দখল করে সাম্রাজ্যিক রাশিয়া।

১৮১৭ নভেম্বর ১২ তেহরানে মির্জা হুসাইন আলী নূরির জন্ম।

১৮১৯ অক্টোবর ২০ শিরাজে সিয়িদ আলি মুহাম্মদের জন্ম।

১৮৪৪ মে ২৩ সিয়িদ আলি মুহাম্মদ নিজেকে ঐশী বানীপ্রাপ্ত ঘোষণা করলেন। তাঁর অনুসারীরা তাঁকে বাব ডাকা শুরু করলেন, অর্থ দরজা। ধর্মটি বাবীধর্ম নামে পরিচিত হলেন।

বাবীধর্মে দীক্ষিত হলেন মির্জা হুসাইন আলী নূরি।

১৮৪৪-১৯২১ মির্জা হুসাইন আলী নূরির ছেলে আবদুল বাহার জীবনকাল।

১৮৪৬ গ্রেপ্তার এড়িয়ে শিরাজ ছেড়ে গেলেন বাব।

১৮৪৮ বাদাশতে বাবীদের একটা সম্মেলন আয়োজিত হল। এই সম্মেলনেই বাহাউল্লা উপাধি লাভ করলেন নূরি। এর অর্থ: “ঈশ্বরের গৌরব”।

১৮৪৮-৫০ বাবীদের ইসলামের শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে তাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালাল পারস্যের মোল্লারা।

১৮৫০ মোল্লাদের হুকুমে ৭৫০ জন আরমানি খ্রিস্টানের একটি ফায়ারিং স্কোয়াড বাবের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হল। এরপর মুসলমান সৈনিকদেরকে এই দায়িত্ব দেয়া হল। তারা এতে সফল হল, নিহত হলেন বাব।

১৮৫১-১৯০৬ পারস্যের মধ্য এশীয় ভূখণ্ডগুলো নিয়ে নিল রাশিয়া। ব্রিটিশরা পারস্যবাদীদের বাধ্য করল আফগানিস্তানে হেরাত-সহ অন্যান্য শহরের ওপর তার দাবি ছেড়ে দিতে।

১৮৫২ বিশৃঙ্খলা আর নেতৃত্বশূন্যতার কারণে বাবীধর্মের অবক্ষয়ের শুরু। সিয়া-চালে কারারুদ্ধ হলেন বাহাউল্লা, অন্ধকূপে শেকলে বাঁধা থাকা অবস্থায় তাঁর মনে হল, তিনি ঐশী প্রত্যাদেশ লাভ করেছেন। বাগদাদে নির্বাসিত হলেন।

১৮৫৮ এসময়ই কখনো কালিমাত-ই-মাকনুনিহ লেখা শেষ করেন বাহাউল্লা।

১৮৬২ কিতাব-ই-ইকান লেখা শেষ করলেন বাহাউল্লা।

১৮৬৩ ইস্তানবুলে নির্বাসিত হলেন বাহাউল্লা। রিদভান ঘোষণা। এদির্নেতে নির্বাসিত হলেন বাহাউল্লা।

১৮৬৮ আক্রেতে কারারুদ্ধ হলেন বাহাউল্লা।

১৮৭৩ কিতাব-ই-আকদাস লেখা শেষ করলেন বাহাউল্লা।

১৮৯০ একটি ব্রিটিশ কোম্পানিকে তামাক উৎপাদন ও বিক্রির ওপর একচেটিয়া অধিকার প্রদান করেন কাজার রাজা নাসিরুদ্দিন শাহ। পারস্যবাসী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করলে মির্জা শিরাজি নামের এক মোল্লা পারস্যবাসীদেরকে তামাক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা ও তামাক বয়কট করার আহবান জানিয়ে ফতোয়া দেন। কাজাররা ব্রিটিশদের সাথে করা চুক্তি রদ করতে বাধ্য হয়।

১৮৯২ মে ২৯ বাহাউল্লার মৃত্যু।

১৮৯৭-১৯৫৭ বাহাইধর্মের গার্ডিয়ান অফ দ্য ফেইথ শোগি এফেন্দি রাব্বানির জীবনকাল। বাহাউল্লা আর আবদুল বাহার লেখাগুলো অনুবাদ করেন। সারা দুনিয়ায় বাহাইধর্ম প্রচার করার উদ্যোগ নেন।

১৯০২ খোমিনে রুহুল্লার জন্ম।*
* পরবর্তীকালে আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমিনি নামে পরিচিত হবেন।

১৯০৬ সাংবিধানিক বিপ্লব, প্রথম সংসদ মজলিস প্রতিষ্ঠা। মোজাফফরুদ্দিন শাহ একটা সংবিধান প্রবর্তন করলেন, যেখানে মোল্লাদের যেকোন বিধানের বিরুদ্ধে ভেটো দেয়ার অধিকার দেয়া হল।

১৯০৮ তেল আবিষ্কৃত, পারস্যে ব্রিটিশ প্রভাব বৃদ্ধি পেল।

১৯১০-১১ সাংবিধানিক সরকারের সাথে মোহাম্মদ আলী-শাহের দ্বন্দ্ব দেখা দিল। আলী-শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করা হল। তেহরানে হোজ্জাতুল ইসলাম শেখ ফজলুল্লাহ নূরিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হল।

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

১৯১৪-২১ পারস্যের বিপ্লবী মির্জা কুচিক খানের জঙ্গল আন্দোলন।

১৯১৪ মানেকজি নাসেরওয়ানজি ধাল্লা, জোরোয়েস্ট্রিয়ান থিওলজি

১৯১৭ রুশ বিপ্লব

পারস্যের সোশাল ডেমোক্র্যাটরা প্রতিষ্ঠা করলেন জাস্টিস পার্টি।

এরভাদ ফিরোজ শাপুরজি মাসানি, জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম: অ্যানসেইন অ্যান্ড মডার্ন

১৯১৮-১৯ বিশ্বযুদ্ধের সময় ইরান দখল করে রাখা বিদেশি সেনারা দেশটি ছেড়ে গেল। রুহুল্লা আরাকে চলে এলেন, মাদ্রাসায় ভর্তি হলেন। এরপর শেখ আবদুল-করিমকে অনুসরণ করে কোমে চলে গেলেন ও সেখানেই থিতু হলেন।

১৯১৯-২২ ইরানে ইসমাইল আগা সিমকোর বিদ্রোহ।

১৯২০ পারস্যের জাস্টিস পার্টির নাম বদলে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরান রাখা হল।
জুন সোভিয়েত লাল ফৌজের সহায়তায় ইরানের গিলান প্রদেশে পার্সিয়ান সোশালিস্ট সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেন মির্জা কুচিক খান। অস্বীকৃত রাষ্ট্রটি ১৯২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকেছিল।

১৯২১ ব্রিটিশদের মদতে সামরিক কর্মকর্তা রেজা খানের ক্যুদেতা। এতে কাজারদের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। সেপ্টেম্বর জঙ্গল আন্দোলনের নেতা মির্জা কুচিক খানের মৃত্যুতে পার্সিয়ান সোশালিস্ট সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের পতন। কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরানকে নিষিদ্ধ করা হল।

মানেকজি নাসেরওয়ানজি ধাল্লা, জোরোয়েস্ট্রিয়ান সিভিলাইজেশন

১৯২২-২৬ ক্ষমতা সংহত করলেন রেজা খান। শাহেনশাহ (রাজাদের রাজা) খেতাব নিয়ে গদিতে বসলেন। প্রতিষ্ঠা করলেন পাহলবী রাজবংশ।

১৯২৬ পারস্যের প্রথম পাহলবী রাজা হলেন রেজা খান। রেজা শাহ পাহলবি নামে মসনদে আরোহণ করেন।

১৯২৭-৪০ রেজা শাহ নিজের সেক্যুলারাইজেশন প্রচারাভিযান চালু করলেন। মোল্লাদের বিদ্রোহ রক্তাক্ত উপায়ে দমন করা হল, সারা দেশের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তৃত্ব জোরদার করা হল। মহিলাদের হিজাব করা নিষিদ্ধ করা হল, মোল্লাদের দাঁড়ি কামাতে এবং পাগড়ির পরিবর্তে কেপি পরতে বাধ্য করা হল।

১৯৩০ পারস্যে আততায়ীদের হাতে খুন হলেন ইসমাইল আগা সিমকো।

১৯৩৫ পারস্যের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে বদলে ইরান রাখা হয়।*
* পার্সিয়া – বাংলায় পারস্য – নামটা গ্রিকদের দেয়া। ইরান নামটা এসেছে আরইয়ানা ভায়েহো থেকে। এর অর্থ হল: “আর্যদের উৎপত্তিস্থল”।

ধর্মীয় পোষাক পরিধানের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধের প্রতিবাদে মাশহাদের এক মোল্লার অনুসারীরা রেজা শাহের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শুরু করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মসজিদে বোমাবর্ষণ করেন রেজা শাহ।

১৯৩৮ মানেকজি নাসেরওয়ানজি ধাল্লা, দ্য হিস্ট্রি অফ জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৪১ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রেজা শাহ অক্ষশক্তির পক্ষাবলম্বন করলে ব্রিটেন আর সোভিয়েত ইউনিয়ন মিলে দখল করে নেয় ইরান। চাপের মুখে পুত্রের পক্ষে সিংহাসন ত্যাগ করেন রেজা শাহ ও নির্বাসনে চলে যান। শাহ হিসাবে শপথগ্রহণ করেন রেজা শাহের পুত্র মোহাম্মদ শাহ।

সোলেইমান মির্জা এসকান্দারি প্রতিষ্ঠা করলেন তুদেহ পার্টি।*
* একটি কমিউনিস্ট পার্টি।

১৯৪২ আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমিনি, কাশফ আল আসরার

১৯৪৫ কাজী মোহাম্মদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইরানিয়ান কুর্দিস্তান।

১৯৪৬ জানুয়ারি কুর্দিরা ইরানি কুর্দিস্তানে প্রতিষ্ঠা করে মাহাবাদ প্রজাতন্ত্র। সোভিয়েত সহায়তায় প্রায় বছরখানেক টিকে ছিল প্রজাতন্ত্রটি।

ডিসেম্বর সোভিয়েত সৈন্যরা ইরান ছেড়ে চলে গেলে ইরান মাহাবাদ পুনর্দখল করে এবং মাহাবাদ প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটে।

১৯৪৭ মার্চ ৩১ কুর্দি নেতা কাজী মোহাম্মদকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান।

১৯৪৯ মোহাম্মদ মোসাদ্দেগ কর্তৃক গঠিত হল ন্যাশনাল ফ্রন্ট। মোল্লাদের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে গ্র্যান্ড আয়াতুল্লা বোরুজের্দি একটি সম্প্রসারিত সেমিনার আয়োজন করলেন। রুহুল্লা এই সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন এবং সক্রিয়তাবাদী উপদলের পক্ষে ছিলেন।

১৯৫০ ইরানের দ্বিতীয় পাহলবি রাজা হলেন রেজা শাহের ছোট ছেলে ও রাজপুত্র মোহাম্মদ রেজা।

১৯৫১ ফেদাইন ইসলাম সংগঠনের এক সদস্যের আততায়ী হামলায় খুন হয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী হজ আলী-রাহমারা। নয়া প্রধানমন্ত্রী হলেন মোহাম্মদ মোসাদ্দেগ। শাহ রাজকীয় অনুমতি প্রদান করলে মোসাদ্দেগ সরকার ইরানের তেল শিল্পের জাতীয়করণ করে। এতে ব্রিটেনের সাথে সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দেয়। ইরানের তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজকীয় নৌবহর। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেয়া প্রধানমন্ত্রী মোসাদ্দেগ দেশটির মোল্লাদের এক উল্লেখযোগ্য অংশের সমর্থন পান, যাঁদের অন্যতম আয়াতুল্লাহ কাশানি। এসময় ইরানের রাজনীতিতে মোল্লাদের প্রভাব বৃদ্ধি পায়।

১৯৫২ মোসাদ্দেগ ও শাহের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এতে আয়াতুল্লা কাশানি প্রথমে মোসাদ্দেগের পক্ষে ছিলেন। পরে পক্ষত্যাগ করে শাহের শিবিরে চলে যান।

১৯৫৩-৫৪ কমিউনিস্ট তুদেহ পার্টি রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করছে। শাহ-মোসাদ্দেগ দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত মাত্রায় এসে পৌঁছাল। দেশ ছাড়লেন শাহ। সিআইএ-পরিচালিত এক ক্যুদেতায় মোসাদ্দেগ সরকারের পতন। ফজলুল্লাহ জাহেদিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হল। শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলবির সাময়িক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।

১৯৫৫ শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ, ফরাসি, ও মার্কিন কোম্পানিগুলোর সাথে একটা নতুন তেল চুক্তি সম্পাদিত হল। গঠিত হল সাভাক, শুরু হল কমিউনিস্ট শিকার। সেনাবাহিনীতে ৬০০ জন সোভিয়েতপন্থী সামরিক কর্মকর্তার একটি নেটওয়ার্ক উন্মোচন করা হল।

১৯৫৯ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারের সাথে একটা সামরিক চুক্তি সই করলেন শাহ, যাকে শাহ তাঁর নিজের সরকারকে দেয়া মার্কিন গ্যারান্টি বলে ধরে নিলেন।

১৯৬০-৬৯ শাহ তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতা নিরঙ্কুশীকরণের লক্ষ্যে বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ণ চালাতে গোপন পুলিশ সাভাকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।

১৯৬০ শাহ ভূমি সংস্কারের লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন করার চেষ্টা করলে গ্র্যান্ড আয়াতুল্লা বোরুজের্দি এর বিরোধিতা করলেন। এই বিরোধিতায় তিনি অন্য মোল্লাদের সমর্থন পেলেন। চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সরকারকে আইনটি রদ করে দিতে বললেন শাহ।

আয়াতুল্লা রহুল্লা খোমিনি, তৌজিহ আল মাসায়েল (এক্সপ্লিকেশন অফ প্রবলেমস)।

১৯৬১ প্রতিষ্ঠিত হল ফ্রিডম মুভমেন্ট ইন ইরান।

১৯৬১-৬২ শাহ বিরোধী বাজারিরা খোমিনির সাথে যোগাযোগ করল। বোরুজের্দির মৃত্যুতে উত্তরাধিকারের লড়াই শুরু হয়ে গেল। তাতে জিতলেন আয়াতুল্লা আবদুল্লা হাকিম তাবাতাবা’ঈ। গ্র্যান্ড আয়াতুল্লার খেতাব নিলেন রুহুল্লা খোমিনি।

১৯৬৩ মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডির চাপে শাহের ‘শ্বেত বিপ্লব’। ভূমি সংস্কারসহ নানা ধরণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক আধুনিকীকরণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হল। মোল্লা আয়াতুল্লা খোমিনী শ্বেত বিপ্লবের বিরোধিতা করলেন। চাষীদের মধ্যে জমি পুনর্বন্টন, নারী মুক্তি, এবং স্থানীয় সরকারের চাকুরিতে অমুসলিমদের নিয়োগ দেয়ার বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান শুরু করলেন। খোমিনীকে গ্রেপ্তার করে তেহরানে নিয়ে যাওয়া হল। এতে তেহরান ও অন্য বড় শহরগুলায় বেশ বড় আকারের দাঙ্গা দেখা দিল। ‘খোমিনি জিন্দাবাদ’ শ্লোগান দেয়া অনেকে খুন হলেন।

১৯৬৪ খোমিনিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হলেও তাঁকে তেহরানে গৃহবন্দী করে রাখা হল। পরে তাঁকে কোমে ফিরে আসতে দেয়া হয়। যেখানে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন। ইরানে মার্কিন সেনাদের প্রতি কূটনৈতিক সুরক্ষা সম্প্রসারিত করা একটি আইনকে তিনি সমালোচনার জন্য বেছে নেন। ফলে, তাঁকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়। তুরস্কে নির্বাসিত হন খোমিনী।

১৯৬৫ তেহরানে খোমিনীর সহযোগীদের হুকুমে আততায়ী হামলায় খুন হলেন ইরানের প্রিমিয়ার হাসান আলী-মনসুর। তাঁর স্থলে প্রধানমন্ত্রী হলেন আমির আব্বাস হোভায়দা। ইরানের শাহবিরোধী বামপন্থী ছাত্রদের দ্বারা গঠিত হল মুজাহিদিন-ই খালক

১৯৬৬ নিজের ধর্মীয় পোশাক পরিধান করা নিয়ে তুরস্কের কর্তৃপক্ষের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন খোমিনী। ইজমির, আঙ্কারা, ইস্তানবুল, আর বুরসায় কয়েক মাস বাস করার পর ইরাকের জন্য তুরস্ক ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি লাভ করলেন। পবিত্র শহর নাজাফে থিতু হলেন খোমিনী।

১৯৬৭ জুন ৫-১০ তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, জুন যুদ্ধ বা ছয় দিনের যুদ্ধ নামেও পরিচিত। এই যুদ্ধে ইসরায়েলের কাছে আরব রাষ্ট্রগুলোর পরাজয় সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। খোমিনীর সাথে সাক্ষাৎ করেন আয়াতুল্লা মোহাম্মদ-বাকের সদর এবং ইহুদি রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে ইসলামি সংগ্রাম শুরু করার পরামর্শ দেন।

১৯৬৮ খোমিনী তাঁর সেমিনারি পুনরায় চালু করেন। নতুন ছাত্রদের আকৃষ্ট করতে থাকেন। র‍্যাডিকাল হয়ে ওঠার সাথে সাথে তাঁর সার্কেলও বড় হতে থাকে।

১৯৬৯ ইরানি মাওবাদীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হল অর্গানাইজেশন অফ কমিউনিস্ট রেভল্যুশনারিজ (মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট)।

দারিউশ মেরজাই, দ্য কাউ

১৯৬৯-৭১ শাহের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে ইরানিদের প্রতি বারংবার আহবান জানালেন খোমিনী, কিন্তু এসময় তিনি উপেক্ষিত হন। পারসিক সাম্রাজ্যের ২৫০০ বছর উদযাপনকে সুনির্দিষ্টভাবেই খারিজ করেন খোমিনী। তেহরানে তাঁর সহযোগীরা নিজেদের সাংগঠনিক বিস্তার ঘটান ও গোপন সেল তৈরি করতে শুরু করেন।

১৯৭০-৭৯ ইরানি বিপ্লবের দশক। শুরুতে বিপ্লবের কোন ইসলামি এজেন্ডা ছিল না। জাতীয়তাবাদী, মার্কসবাদী, আর নারীবাদীরা বিপ্লবের সম্মুখভাগে ছিল।

১৯৭২-৭৬ খোমিনীর লেকচার নাজাফে আরো বেশি বেশি করে ছাত্রদের আকৃষ্ট করতে লাগল। শাহবিরোধী ছাত্ররা ইওরোপ ও যুদ্ধরাষ্ট্র থেকে তাঁর সাথে দেখা করতে এলেন।

আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমিনী, ভেলায়েত-ই-ফাকিহ (দ্য রিজেন্সি অফ দ্য থিওলজিয়ান), প্রথম সংস্করণ।
আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমিনী, হুকুমত-ই-এসলামি (ইসলামি হুকুমত)।

১৯৭৫, ১৯৮২, ১৯৯১ তিন খণ্ডে প্রকাশিত হল মেরি বয়েসের আ হিস্ট্রি অফ জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম

১৯৭৫ উত্তর ইরাককে আরবায়িত করার উদ্যোগ নিল বা’থিরা। তেলসমৃদ্ধ অঞ্চলটি থেকে কুর্দিদের তাড়িয়ে দিয়ে আরবদের বসতিস্থাপন করল। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মদতে বা’থিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন ইরাকি কুর্দিরা। আলজিয়ার্স চুক্তিতে সই করল ইরান ও ইরাক। ইরাকি কুর্দিদের সমর্থন দেয়া বন্ধ করল মার্কিনী-ইরানিরা। কুর্দি বিদ্রোহের অবসান। মোস্তফা বারজানিকে প্রতিক্রিয়াশীল আখ্যা দিয়ে কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (কেডিপি) থেকে বেরিয়ে আসলেন জালাল তালাবানি, গঠন করলেন প্যাট্রিওটিক ইউনিয়ন অফ কুর্দিস্তান (পিইউকে)।

১৯৭৬ ইরানি মাওবাদীদের অর্গানাইজেশন অফ কমিউনিস্ট রেভল্যুশনারিজ (মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট) থেকে গঠিত হল ইউনিয়ন অফ ইরানিয়ান কমিউনিস্টস (সারবেদারান)।

১৯৭৭ জানুয়ারি-জুলাই ইরানের সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী ও রাজনৈতিক কর্মীরা শাহের হাতে ক্ষমতা সঞ্চিত হওয়ার সমালোচনা করে এক গুচ্ছ খোলা চিঠি প্রকাশ করেন।

অক্টোবর শাহ সরকারের সমালোচনা করে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য তেহরানস্থ গ্যেটে ইনস্টিটিউটে দ্য ইরানিয়ান রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ১০ রাত ধরে চলা একটি কবিতা উৎসবে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অক্টোবর ২৩ ইরাকে নির্বাসিত আয়াতুল্লা খোমিনীর বড় ছেলে মোস্তফা খোমিনী ৪৭ বছর বয়সে নাজাফে অজ্ঞাত কারণে মারা যান।

নভেম্বর ১৫-১৬ যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে শাহকে হোয়াইট হাউজে স্বাগত জানানো হল। এ সময় শাহের বিরুদ্ধে প্রবাসী ইরানি ছাত্ররা তুমুল প্রতিবাদ করেন। পুলিশ প্রতিবাদীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।

ডিসেম্বর ৩১ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের সংক্ষিপ্ত ইরান সফর। এ সময় তিনি শাহের নামে টোস্ট করেন। “বিশ্বের সবচেয়ে সমস্যাগ্রস্ত অঞ্চলগুলোর একটিতে স্থিতিশীলতার এক দ্বীপ” বলে ইরানের প্রশংসা করেন।

প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের নতুন মার্কিন প্রশাসন ইরানের শাহের ক্ষমতাচ্যুতি চায় দাবি করে ইয়াজদি খোমিনীকে শাহবিরোধী প্রচারাভিযান জোরদার করার পরামর্শ দিলেন। খোমিনী শাহকে ‘উৎখাত’ করার ফরমান জারি করলেন। শাহ আমেরিকা ও কার্টার ইরান সফর করলেন।

১৯৭৮ জানুয়ারি ৬ তেহরানের দৈনিক এত্তেলা’আত পত্রিকা খোমিনীর মানহানি করা একটা জাল চিঠি প্রকাশ করল। পরে জানা যায়, চিঠিটা শাহের হুকুমে লেখা হয়েছিল।

জানুয়ারি ৯ খোমিনীর মানহানির প্রতিবাদে কোমের মূল বাজার, যেখানে ইরানের প্রধান মাদ্রাসাগুলো অবস্থিত, বন্ধ ঘোষণা করা হল। রাজতন্ত্রের প্রতীকগুলোয় আক্রমণ করলেন কয়েক হাজার প্রতিবাদী। নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ৫ ব্যক্তিকে খুন করে।

ফেব্রুয়ারি ১৮ শিয়া রীতিরেওয়াজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে, কোম প্রতিবাদীদের মৃত্যুর ঠিক চল্লিশতম দিনে ইরানের বিভিন্ন শহরে শোক পালন করা হল। তাবরিজে একজন ছাত্র প্রতিবাদীকে খুন করা হল। যা পুরো দেশ জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে দিল।

মার্চ-মে ইরানের তিন ডজন শহরে প্রতিবাদ, নিপীড়ন, সহিংসতা এবং শোক চক্রাকারে চলতে থাকল।

জুন ৭ সাভাক প্রধান জেনারেল নেমাতুল্লা নাসিরিকে বরখাস্ত করলেন শাহ। সাভাকের নতুন প্রধানের প্রাথমিক কাজগুলোর একটি ছিল ৩০০ কারাবন্দী মোল্লাকে মুক্তি দেয়া।

জুলাই ২০ সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোল্লার মৃত্যুতে মাশহাদ জুড়ে প্রতিবাদ দেখা দিল। এ সময় সেখানে ও অন্যান্য জায়গায় বেশ কিছু মানুষ খুন হন।

আগস্ট ৯-১০ এক মোল্লার মৃত্যুতে ইস্ফাহানে দাঙ্গা বেঁধে গেল। দ্রুত তা সিরাজ, কাজভিন, তাবরিজ, আবাদান, ও আহওয়াজ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ল। সিরাজের শিল্প উৎসব বাতিল করা হল। এক হিসেবে, এ সময় ১০০ ব্যক্তি খুন হন। ইস্ফাহানে জারি করা হল সামরিক আইন।
আগস্ট ১৯ আবাদানের রেক্স সিনেমায় বাইরে থেকে তালা আটকে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ৪৭৭ জন ইরানিকে হত্যা করা হয়। ঘটনার সময়, ইরানের বিরোধী দলগুলো এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের জন্য শাহের সাভাককে দায়ী করে। বিপ্লবের পর এক ইসলামপন্থী এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
আগস্ট ২৭ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জামশেদ আমুজেগার। নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন জাফর শরিফ-ইমামি। দেশবাসীর ক্ষোভ কমানোর জন্য কিছু সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিলেন।

সেপ্টেম্বর সামরিক আইন জারি করা হল।
সেপ্টেম্বর ৮ ব্ল্যাক ফ্রাইডে, শাহ সামরিক আইন জারি করার পরদিন সকালে তেহরানের জালেহ স্কয়ারে বিশাল এক প্রতিবাদ সমাবেশ ডাকা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে অন্তত ১০০ জনকে খুন করে, জখম হন বেশুমার। মূলত এই ম্যাসাকারের ভেতর দিয়েই শাহের রাজনৈতিক হায়াত ফুরিয়ে গেছিল, তাঁর পতন হয়ে উঠেছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র।

অক্টোবর ৩ শাহের দরখাস্তে খোমিনীকে বিতাড়িত করল ইরাক সরকার। তিনি কুয়েতে ঢুকতে চেয়ে বাধা পেলে ফ্রান্সে চলে গেলেন এবং প্যারিসের এক শহরতলী নুফ্লে-লে-শাতোয় থিতু হলেন। এতে খোমিনীর একটা লাভ হল: তিনি যে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছিলেন, প্যারিসে সহজেই সেটা পেলেন।

নভেম্বর ৬ বিরোধী দলগুলোর সাথে একটি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের চেষ্টা চালালেন শাহ। খোমিনীর নারাজির কারণে এই প্রয়াস ভেস্তে যায়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শরিফ-এনামি। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন জেনারেল গোলামরেজা আজহারি। জাতীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারে এলেন শাহ। ওয়াদা করলেন অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না, এবং ভুলত্রুটি শুধরে নেয়া হবে। জানালেন যে, তিনি “বিপ্লবের স্বর শুনতে পেরেছেন।”

ডিসেম্বর ৬ শাহের প্রতি “আস্থা’ ব্যক্ত করার মাত্র হপ্তাখানেক পরে, সুর বদলে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, “আমরা ব্যক্তিগতভাবে এটাই পছন্দ করব যে, ইরানের রাজনীতি শাহ প্রধান ভূমিকা পালন করবেন। তবে সেই সিদ্ধান্তটা ইরানের জনগণকেই নিতে হবে।”
ডিসেম্বর ১০-১১ শাহের অপসারণ আর আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমিনীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দাবিতে লক্ষ লক্ষ ইরানি দেশ জুড়ে প্রতিবাদ শুরু করলেন।
ডিসেম্বর ২৯ জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক ও শাহের দীর্ঘদিনের সমালোচক শাপুর বখতিয়ারকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিলেন শাহ।

ইরানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খোরাসানে রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ২৫,০০০ মানুষের মৃত্যু, এই ভূমিকম্পে প্রাচীন শহর তাবাস পুরোপুরি ধবংস হয়ে যায়।

১৯৭৯ জানুয়ারি ১২ প্যারিসে, ক্ষমতা রূপান্তর প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করার জন্য একটি বিপ্লবী পরিষদ গঠন করলেন খোমিনী।
জানুয়ারি ১৬ শাহ তাঁর পরিবার নিয়ে মিসরে পালিয়ে গেলেন। “ছুটি কাটানোর” দোহাই দিয়ে। দেশ ছাড়ার আগে তিনি বখতিয়ারকে বলে যান, “আমি দেশটাকে আপনার, আপনার আর খোদার হাওলায় রেখে গেলাম।”

ফেব্রুয়ারি ১ ১৪ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন খোমিনী, তেহরানে লাখ জনতা তাঁকে স্বাগত জানাল।
ফেব্রুয়ারি ৪ একটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মেহদি বাজারগানকে নিয়োগ দিলেন খোমিনী। বখতিয়ার দাবি করলেন, তিনিই ইরানের একমাত্র বৈধ সরকারের প্রতিনিধি। দ্বৈত ক্ষমতা
ফেব্রুয়ারি ১০ বখতিয়ার দেশ জুড়ে কারফিউ ও সামরিক আইন জারি করলেন। খোমিনী তাঁর সমর্থকদের এই কারফিউ ভঙ্গ করার আহবান জানালেন। সম্পন্ন করতে বললেন জাতীয় বিপ্লব।
ফেব্রুয়ারি ১১ ইরানের সেনাবাহিনী ঘোষণা করল, তাঁরা নিরপেক্ষ থাকবে। বখতিয়ার দ্রুত ইরান ছেড়ে ফ্রান্সে পালিয়ে গেলেন। ১৯৯১ সালে সেখানে তিনি গুপ্তহত্যার শিকার হন।
ফেব্রুয়ারি ১৪ তেহরানস্থ মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালাল বিপ্লবী জনতা। দূতাবাস কর্মীরা শুরুতে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু ইরানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইব্রাহিম ইয়াজদির হুকুমে পরে বিপ্লবী জনতাকে দূতাবাস থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

মার্চ ইরানের খোমিনীপন্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন ইরানি কুর্দিরা।
মার্চ ৮ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তেহরানের রাস্তায় নেমে আসলেন অসংখ্য নারী।
মার্চ ৩০-৩১ ইরানের একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র হওয়া উচিত কিনা, সেই ইস্যুতে গণভোট আয়োজন করা হল। গণভোটে কোন বিকল্প রাখা হয়নি। অধিকাংশ ভোট প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে।

মে ৫ একটি ডিক্রি জারি করে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) গঠন করলেন খোমিনী।

আগস্ট ৩ ইরানে দেশ জুড়ে বিশেষজ্ঞ পরিষদের নির্বাচন হল। এই বিশেষজ্ঞরা ছিলেন আয়াতুল্লাদের নিয়োগ দেয়া একটি প্রতিষ্ঠান, যাঁদের একটি সংবিধান মুসাবিদা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। দেশটির বামপন্থী, জাতীয়তাবাদী, ও ইসলামপন্থীদের কিছু অংশ নির্বাচন বয়কট করে।
আগস্ট ১৮ ইরানি কুর্দিস্তানের কুর্দিদের বিরুদ্ধে ‘পবিত্র যুদ্ধ’ ঘোষণা করলেন আয়াতুল্লা খোমিনী।

অক্টোবর ১৪ বিশেষজ্ঞ পরিষদ একটি নয়া সংবিধান অনুমোদন দিল। যার ভিত্তি ছিল খোমিনীর অভিনব ভেলায়েত-ই-ফাকিহ মতবাদ। যা ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার হাতে অর্পণ করে।
অক্টোবর ২২ চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার অনুমতি পেলেন ইরানের শেষ শাহ। বিপ্লবে উৎখাত হওয়া শাহকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়ায় দেশটির সমালোচনা করলেন খোমিনী।

নভেম্বর ৪ শাহকে প্রত্যর্পণ করার দাবিতে ইরানের বিপ্লবী ছাত্ররা তেহরানস্থ মার্কিন দূতাবাসে ঢুকে পড়ে ৫২ জন মার্কিনীকে জিম্মি করলেন।
নভেম্বর ৬ মার্কিন দূতাবাসের ঘটনার প্রতিবাদে ইরানের প্রাদেশিক সরকারের নেতারা নিজ নিজ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। যা নয়া বন্দোবস্তে খোমিনী ও তাঁর বিপ্লবী পরিষদের হাতে নজিরবিহীন ক্ষমতা এনে দিল।
নভেম্বর ৭ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার জিম্মি মুক্তির জন্য আলোচনা করতে ইরানে ব্যক্তিগত পত্রসহ দূত পাঠালেন। কিন্তু তাঁদের প্রবেশ করতে বাঁধা দেয়া হল।
নভেম্বর ১৪ ইরানের সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব সম্পত্তি ফ্রিজ করল যুক্তরাষ্ট্র।
নভেম্বর ১৯-২০ ১৩ জন নারী ও আফ্রিকান-আমেরিকান জিম্মিকে একতরফাভাবে মুক্তি দিল ইরান।

ডিসেম্বর ২-৩ মোট নিবন্ধিত ভোটারের ৭৫%য়ের অংশগ্রহণে এক গণভোটে পাশ হয়ে গেল ইরানের নয়া সংবিধান।
ডিসেম্বর ৪ ইরানকে সব জিম্মি মুক্ত করতে বলে একটি প্রস্তাব পাশ করল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
ডিসেম্বর ১৪ তেহরান জানাল, ইরানে অনুপ্রবেশ চালানোর একটি ইরাকি প্রচেষ্টা তারা রুখে দিয়েছে।
ডিসেম্বর ১৫ পানামার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে গেলেন ইরানের শাহ।

মনসুর হেকমত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ইউনিয়ন অফ কমিউনিস্ট মিলিট্যান্টস।*
* ১৯৭৯ সালে ইরানি বামপন্থীদের একটা বড় অংশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধিতার দোহাই দিয়ে খোমিনীকে সমর্থন দিয়েছিলেন। এই ক্ষেত্রে মনসুর হেকমত একজন উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম। তিনি শাহ আর খোমিনী উভয়েরই বিরোধিতা করেন।

১৯৭৯- ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান

১৯৮০-৮৮ সাদ্দাম হোসেনের ইরান আক্রমণের ফলে ইরান-ইরাক যুদ্ধ। দুই দেশেই কুর্দিদের প্রতিপক্ষের দালাল বলা হল, খুন হলেন বহু বেসামরিক কুর্দি নাগরিক। দুই দেশের কুর্দিদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হল।

১৯৮০ জানুয়ারি ২৫/২৬ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আবোল হাসান বনি-সদর।

ফেব্রুয়ারি ইরান ও ইরাকের মধ্যে পর্যায়ক্রমিক সীমান্ত সংঘাত।

এপ্রিল ৮ ইরানের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল যুক্তরাষ্ট্র।
এপ্রিল ১৭ আয়াতুল্লা খোমিনী ইরাকের বা’থি সরকারকে উৎখাত করতে দেশটির জনগণ ও সেনাবাহিনীর প্রতি আহবান জানালেন।
এপ্রিল ২৫ অপারেশন ইগল ক্ল

জুলাই ৯ ইরানি কর্তৃপক্ষ একটি ক্যুদেতা প্লট আবিষ্কার করে এবং সেনাবাহিনীতে নতুন করে পার্জ চালায়।
জুলাই ২৭ নির্বাসিত শাহ মিসরে ক্যান্সারের দরুণ মারা গেলেন।

সেপ্টেম্বর ৪ ইরাকের খানাকিন ও মান্দালি শহরে শেলিং করল ইরান।
সেপ্টেম্বর ১২ এক বক্তৃতায় জিম্মি মুক্তির শর্তগুলো জানালেন খোমিনী।
সেপ্টেম্বর ২২ সাদ্দাম হোসেনের ইরাক ইসলামি প্রজাতন্ত্র আক্রমণ করল। প্রতিষ্ঠিত হল ওয়ার্ল্ড জোরোয়েস্ট্রিয়ান অর্গানাইজেশন (ডব্লিউজেডও)।

আলী শরিয়তি, ইংরেজি অনুবাদ, মার্ক্সিজম অ্যান্ড আদার ওয়েস্টার্ন ফ্যালাসিস: অ্যান ইসলামিক ক্রিটিক

১৯৮১ জানুয়ারি ২২ ৪৪৪ দিন পর জিম্মি সংকটের অবসান হল।

প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বনি-সদরকে বরখাস্ত করা হল, তিনি জান বাঁচাতে ফ্রান্সে পালিয়ে গেলেন।*
* ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮১ সালের জুনের মধ্যবর্তী সময়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিপ্লবী আদালতগুলো ৪৯৭ জন রাজবন্দীর বিরুদ্ধে প্রতিবিপ্লবী হওয়ার অভিযোগ এনে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।

১৯৮২ ইসরায়েল লেবাননে দ্বিতীয়বারের মত আক্রমণ করলে এ সময় ৩ ইরানি কূটনীতিক ও ১ ইরানি আলোকচিত্রী গুম হয়ে যান।

এরভান্দ আব্রাহামিয়ান, ইরান বিটুইন টু রেভল্যুশনস

১৯৮৩ আবদুল্লাহ মোহতাদি ও মনসুর হেকমত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরান।

জুন ১৮ শিরাজ শহরে ফাঁসিতে লটকিয়ে ১৭ থেকে ৫৬ বছর বয়সী ১০ জন বাহাই নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল। “অপরাধ” ছিল বাহাইধর্ম পরিত্যাগ করতে অস্বীকার করা। তাঁদের নাম মুনা, মাহশিদ, সিমিন, জারিন, আখতার, শাহীন/শিরিন, রুয়া, ইজ্জাত, তাহিরি, ও নুসরাত।*
* জরাথুস্ট্রবাদীদের প্রটেক্টেড মাইনরিটি হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রদান করা হয়। বাহাইদের এমন কোন সুরক্ষা প্রদান করা হয় না। দেশটিতে বাহাইধর্ম প্রচার করা মৃত্যুদণ্ডের দ্বারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচিত হয়।

১৯৮৫ ইরান-কন্ট্রা স্ক্যান্ডাল। ১৯৮১ সালের জুন থেকে এ বছরের জুনের মধ্যে ইরানের “বিপ্লবী আদালতগুলো” ৮,০০০এরও বেশি রাজবন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের অনেকেই শাহবিরোধী বিপ্লবে মোল্লাদের মিত্র ছিলেন।

১৯৮৬ সাইরাস বারুচা, অন উইংস অফ ফায়ার

১৯৮৮ জুলাই ৩ মার্কিন নৌ ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় ইরান এয়ার ফ্লাইট ৬৫৫ ভূপাতিত, ২৯০ জন ইরানির মৃত্যু।
জুলাই ১৯ ১৯৮৮ সালের রাজবন্দীদের গণ মৃত্যুদণ্ড। মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসেবে ২৮০০ থেকে ৩০,০০০য়ের মধ্যে। এঁদের মধ্যে ছিলেন শিয়া ইসলামের বৈপ্লবিক ব্যাখ্যাদানকারী আলী শরিয়তিপন্থী মুজাহিদিন-ই-খালক, এবং বামপন্থী ফেদাইন ও তুদেহ পার্টির সদস্যরা। মৃতদের লাশ কাফেরাস্তান (অবিশ্বাসীদের ভূমি) ও লানতাবাদ (অভিশপ্তদের ভূমি) নামের দুটি জনশূন্য স্থানে ডাম্প করা হয়। ১৯৭৯ সালে এঁরা ইসলামি বিপ্লবের পক্ষে ছিলেন।

আগস্ট ২০ জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় ইরান ও ইরাকের মধ্যে যুদ্ধবিরতি।

মোহসেন মিলানি, দ্য মেকিং অফ ইরানস ইসলামিক রেভল্যুশন: ফ্রম মোনার্কি টু ইসলামিক রিপাবলিক

১৯৮৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক সালমান রুশদীর স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাসের বিরুদ্ধে ধর্মাবমাননার অভিযোগ এনে রুশদীকে হত্যা করার আহবান জানিয়ে ফতোয়া দিলেন আয়াতোল্লাহ খোমিনী।

জুন ৩ আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমিনীর মৃত্যু।

আগস্ট ৬ ইরানের নতুন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হলেন আয়াতুল্লা আলী খামেনী।
আগস্ট ১৬ ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আলি আকবর হাশেমি-রাফসানজানি।

এরভান্দ আব্রাহামিয়ান, র‍্যাডিকাল ইসলাম: দ্য ইরানিয়ান মোজাহেদিন

১৯৯০ জুন ২১ ইরানের উত্তরাঞ্চলে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৩৫-৫০,০০০ মানুষের মৃত্যু ও ১০০,০০০ মানুষ আহত। ভিটেমাটি হারান ৫ লক্ষ মানুষ। ইরাক কুয়েতে আগ্রাসন চালালে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান নিরপেক্ষ থাকার নীতি গ্রহণ করে।

সেপ্টেম্বর ইরান আর ইরাকের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহাল।

আব্বাস কিয়ারুস্তম, ক্লোজ-আপ
দারিউশ মেরজাই, হামুন

১৯৯১ পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধ

ডিসেম্বর ৯ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইরান-ইরাক যুদ্ধের জন্য ইরাককে আগ্রাসনকারী বলে শনাক্ত করল।

মনসুর হেকমত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ওয়ার্কার-কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরান।

১৯৯২ মোহসেন মাখমালবাফ, ওয়ান্স আপন আ টাইম, সিনেমা

১৯৯৪ আগস্ট ৩ কাজভিন প্রতিবাদ

আব্বাস কিয়ারুস্তমি, থ্রো দ্য অলিভ ট্রিজ

১৯৯৫ ইরানের ওপর তেল ও বাণিজ্য অবরোধ দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৯৬ মোহসেন মাখমালবাফ, গাব্বেহ

১৯৯৭ ইরানের পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পে ২,০০০ মানুষের মৃত্যু হল।

আগস্ট ২ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সংস্কারপন্থী মোহাম্মদ খাতামি।

আব্বাস কিয়ারুস্তমি, টেস্ট অফ চেরি
মজিদ মাজিদী, চিলড্রেন অফ হ্যাভেন

১৯৯৮ আলী রাহনেমা, অ্যান ইসলামিক ইউটোপিয়ান: আ পলিটিকাল বায়োগ্রাফি অফ আলী শরিয়তি

দারিউশ মেরজাই, দ্য পিয়ার ট্রি
সামিরা মাখমালবাফ, দ্য আপেল

১৯৯৯ গণতন্ত্রের দাবিতে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিক্ষোভ করে।

আব্বাস কিয়ারুস্তমি, দ্য উইন্ড উইল ক্যারি আস
মজিদ মাজিদী, দ্য কালার অফ প্যারাডাইস

২০০০ এজ্জাতুল্লা সাহাবি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল কাউন্সিল অফ ন্যাশনালিস্ট-রিলিজিয়াস অ্যাকটিভিস্টস অফ ইরান।

সামিরা মাখমালবাফ, ব্ল্যাকবোর্ডস

২০০১ জর্জ বুশ জুনিয়র তার স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ইরানকে ‘শয়তানের অক্ষের’ অংশ বলে উল্লেখ করেন।

জুন ৮ দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন খাতামি।

ইরানি মাওবাদীদের ইউনিয়ন অফ ইরানিয়ান কমিউনিস্টস (সারবেদারান) থেকে গঠিত হল কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরান (মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট-মাওয়িস্ট)।

মোহসেন মাখমালবাফ, কান্দাহার

২০০২ ফেব্রুয়ারি ১২ তেহরানে বিধ্বস্ত হল ইরান এয়ার টুর্স ফ্লাইট ৯৫৬

জুন ২২ ইরানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প। ২৬১ জনের মৃত্যু। ১৩০০রও বেশি জখম হলেন, ২৫,০০০-এরও বেশি গৃহহীন।

ইফ্রাইম কার্শ, দ্য ইরান-ইরাক ওয়ার, ১৯৮০-৮৮

২০০৩ অক্টোবর ২১ ইউরেনিয়াম প্রক্রিয়াকরণ ও সমৃদ্ধকরণ স্থগিত করতে এবং আইএইএ কর্তৃক অঘোষিত পরিদর্শনের অনুমতি দিতে রাজি হল ইরান।

নভেম্বর ১২ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কোনও প্রমাণ খুঁজে পেল না আইএইএ, তবে প্লুটোনিয়াম উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল।

ডিসেম্বর ২৬ ইরানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে এক ভূমিকম্পে ৩৪,০০০ মানুষ নিহত।

আয়াতুল্লাদের বিরুদ্ধে তেহরানে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সহস্রজনের বিক্ষোভ। প্রথম ইরানি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী শিরিন এবাদি।

আজার নাফিসি, রিডিং ইন লোলিতা ইন তেহরান: আ মেমোয়ার ইন বুকস
ফরিদেহ কুহি-কামালি, দ্য পলিটিকাল ডেভলাপমেন্ট অফ দ্য কুর্দস ইন ইরান

২০০৪ ফেব্রুয়ারি ১৮ ইরানের নিশাপুরে পেট্রোল, সার ও সালফার বহনকারী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত ও বিস্ফোরিত হলে ৩০০ জন নিহত হয়।
ফেব্রুয়ারি ২০ ইরানের আইনসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেন রক্ষণশীলরা।

জুন ২৪ ইরানের নোসরাতাবাদের এক পুলিশ চেকপয়েন্টে একটি পেট্রোল ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাসের সাথে ধাক্কা খেলে এতে ৯০ জন নিহত হন।

ওয়ার্কার-কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বেরিয়ে আসা কমিউনিস্টদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হল ওয়ার্কার-কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরান-হেকমতবাদী। ইরানি কুর্দিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হল দ্য পার্টি ফর আ ফ্রি লাইফ ইন কুর্দিস্তান (পিজেএকে)। প্রতিষ্ঠিত হল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য রিভাইভাল অফ জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম (এআরজেড)।

কানাডা ইরান থেকে নিজ রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করল।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক তদন্তের মুখোমুখি হল। আইএইএ দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল। এর ফলে পশ্চিমা দেশগুলির সাথে কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেল এবং সম্ভাব্য পারমাণবিক বিস্তার নিয়ে আলোচনা শুরু হল।

২০০৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ তেহরানের এক মসজিদে আগুন লেগে ৫৯ ব্যক্তির মৃত্যু।

এপ্রিল ১৮ ইরানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের খুজেস্তান প্রদেশে জাতিগত দাঙ্গায় ৫ ব্যক্তির মৃত্যু।

আগস্ট ৩ ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রক্ষণশীল মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

অক্টোবর ২৬ তেহরানের এক “জায়নবাদ মুক্ত বিশ্ব” সম্মেলনে ইসরায়েলকে “মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার” আহবান জানালেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

ডিসেম্বর ৬ তেহরানের এক আবাসিক এলাকায় একটি দশতলা ভবনে একটা ইরানি সি-১৩০ হারকিউলিস বিধ্বস্ত হলে ৯৪ ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

কানাডা জানাল, কানাডিয়ান-ইরানি আলোকচিত্রী সাংবাদিক জাহরা “জিবা” কাজেমি-আহমেদাবাদির মৃত্যুর বৈশ্বিক তদন্তের ব্যাপারে যদ্দিন না সম্মতি দিচ্ছে ইরান, তদ্দিন দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু হবে না।

প্রতিষ্ঠিত হল ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স অফ পার্সি অ্যান্ড ইরানি জরথোশতিজ (ওয়াপিজ)।

আজাদেহ মোয়াভেনি, লিপস্টিক জিহাদ: আ মেমোয়ার অফ গ্রোয়িং আপ ইরানিয়ান ইন আমেরিকা অ্যান্ড আমেরিকান ইন ইরান

বাহমান ঘোবাদি, টার্টলস ক্যান ফ্লাই

২০০৬ জন ডব্লিউ. ওয়াটারহাউজ, জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম
হামিদ রেজা সদর, ইরানিয়ান সিনেমা: আ পলিটিকাল হিস্ট্রি

২০০৭ যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর কঠোর অবরোধ দিল।

মাইকেল আক্সওয়ার্দি, এম্পায়ার অফ দ্য মাইন্ড: আ হিস্ট্রি অফ ইরান
কেরিম ইলদিজ, দ্য কুর্দস ইন ইরান: দ্য পাস্ট, প্রেজেন্ট, অ্যান্ড ফিউচার

দারিউশ মেরজাই, সান্তুরি
মারজানে সাত্রাপি আর ভিনসেন্ট পারোন্নাউড, পার্সিপোলিস

২০০৮ সামিরা মাখমালবাফ, টু-লেগড হর্স
মজিদ মাজিদী, দ্য সং অফ স্প্যারোজ

২০০৯ দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।

আসগর ফরহাদি, অ্যাবাউট এলি

২০০৯-১০ ইরানের সবুজ আন্দোলন

২০১০ হোমা কাতৌজিয়ানে, দ্য পার্সিয়ানস: এনসিয়েন, মেডিইভাল অ্যান্ড মডার্ন ইরান

২০১১ আব্বাস ভালি, কুর্দস অ্যান্ড দ্য স্টেট ইন ইরান: দ্য মেকিং অফ কুর্দিশ আইডেনটিটি
অ্যান্ড্রু স্কট কুপার, দ্য অয়েল কিংস: হাউ দ্য ইউ.এস., ইরান, অ্যান্ড সৌদি অ্যারাবিয়া চেঞ্জড দ্য ব্যালেন্স অফ পাওয়ার ইন দ্য মিডল ইস্ট
জেনি রোজ, জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম: অ্যান ইন্ট্রোডাকশন
 জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম: আ গাইড ফর দ্য পারপ্লেক্সড
হামিদ দাবাশি, ব্রাউন স্কিন, হোয়াইট মাস্কস
হামিদ নাফিসি, আ সোশাল হিস্ট্রি অফ ইরানিয়ান সিনেমা, প্রথম ও দ্বিতীয় বালাম।

আসগর ফরহাদি, আ সেপারেশন

২০১২ হামিদ দাবাশি, দ্য আরব স্প্রিং: দ্য এন্ড অফ পোস্টকলোনিয়ালিজম
হামিদ নাফিসি, আ সোশাল হিস্ট্রি অফ ইরানিয়ান সিনেমা, তৃতীয় ও চতুর্থ/শেষ বালাম।
প্যাট্রিসিয়া ক্রোন, দ্য নেটিভিস্ট প্রফেটস অফ আর্লি ইসলামিক ইরান: রুরাল রিভোল্ট অ্যান্ড লোকাল জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম
প্রডস অক্টর স্কজায়েরভো, দ্য স্পিরিট অফ জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম

২০১৩ ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সংস্কারপন্থী হাসান রুহানি।

মাইকেল আক্সওয়ার্দি, রেভল্যুশনারি ইরান: আ হিস্ট্রি অফ দ্য ইসলামিক রিপাবলিক

২০১৪ ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানালেন, আইএসের বিরুদ্ধে ইরাক সরকারের যুদ্ধে সহায়তা করতে তাঁর দেশ প্রস্তুত; ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ইরাক সেনাবাহিনীকে সামরিক প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া শুরু করল।

২০১৫ বহুলআকাঙ্খিত পারমাণবিক আপোসমীমাংসা। বছরের পর বছর ধরে দরকষাকষির পর বৈশ্বিক শক্তিগুলো ইরানের ওপর থাকা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি হল। বিনিময়ে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিতকরণের ওয়াদা করল।

আমির আহমাদি, দ্য দেভা কাল্ট ইন দ্য গাথাজ: অ্যান ইডিওলজিকাল আর্কিওলজি অফ জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম
শিবা রাহবারান, ইরানিয়ান সিনেমা আনসেন্সর্ড: কনটেম্পোরারি ফিল্ম-মেকার্স সিন্স দ্য ইসলামিক রেভল্যুশন

আসগর ফরহাদি, ট্যাক্সি
ওরভাজি ইরানি, দ্য পাথ অফ জরথুস্ত্র
মজিদ মাজিদী, মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ

২০১৬ সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের শিয়া ধর্মযাজক আয়াতুল্লাহ শেখ নিমর বকির আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবের সাথে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটল। তেহরানে উত্তেজিত জনতা সৌদি দূতাবাসে অগ্নিসংযোগ করল। দেড় দশকের মধ্যে প্রথম ইরানি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইওরোপ সফর করলেন রুহানি।

রোহিন্তন ফালি নারিমান, দ্য ইনার ফায়ার: ফেইথ, চয়েস, অ্যান্ড মডার্ন-ডে লিভিং ইন জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম

আসগর ফরহাদি, দ্য সেলসম্যান

২০১৭ দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন হাসান রুহানি। ইরানের পার্লামেন্ট আর আয়াতোল্লাহ খোমিনির মাজারে সমন্বিত হামলায় একাধিক মানুষের মৃত্যু, আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করে। অর্থনৈতিক অসন্তোষের দরুণ ইরান জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ।

আব্বাস আমানত, ইরান: আ মডার্ন হিস্ট্রি

মজিদ মাজিদী, বিয়োন্ড দ্য ক্লাউডস

২০১৮ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ক আন্তর্জাতিক আপোসমীমাংসা থেকে সরে আসার ঘোষণা ও দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খুজেস্তান প্রদেশের আহভাজে এক সামরিক কুচকাওয়াজে বন্দুকধারীদের প্রকাশ্য গুলিবর্ষণে ২৫ জন মানুষের মৃত্যু। একটি আরব জাতীয়তাবাদী সংগঠন ও আইএস আলাদা আলাদাভাবে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে।

লিওর বি. স্টার্নফিল্ড, বিটউইন ইরান অ্যান্ড জায়ন: জিউইশ হিস্ট্রিজ অফ টোয়েন্টিথ-সেঞ্চুরি ইরান

২০১৯ পারস্য উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে আক্রমণের জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তেহরান এই হামলার দায় অস্বীকার করল। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ। ইরান সরকার বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ণ চালালে তাতে ১০০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

২০২০ মার্কিন বিমানহামলায় নিহত হলেন আইআরজিসির বহিঃস্থ শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাশেম সোলেমানি।

২০২১ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রক্ষণশীল ইব্রাহিম রাইসি, যাঁর বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালে ৩ হাজার ভিন্নমতাবলম্বীর ওপর নিধনযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ আছে।*
* তেহরানের যে ডেথ কমিটি এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন আয়াতুল্লা হোসেইন আলি মোনতাজেরি। তিনি কমিটির সিদ্ধান্ত সমর্থন করতে পারেননি। একটি সভায় বলেছিলেন, “ইতিহাস আমাদের অভিযুক্ত করবে।”

এরভান্দ আব্রাহামিয়ান, অয়েল ক্রাইসিস ইন ইরান: ফ্রম ন্যাশনালিজম টু ক্যুদেতা
আলী রাহনেমা, কল টু আর্মস: ইরান’স মার্ক্সিস্ট রেভ্যলুশনারিজ: ফর্মেশন অ্যান্ড এভল্যুশন অফ দ্য ফাদা’ইজ, ১৯৬৪-৭৬
আহমেদ দীন রুমি, সাইরাস: একজন জাতির পিতা আইনপ্রণেতা ও মুক্তিদাতার জীবন

২০২২ সেপ্টেম্বর ১৩ ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পোশাকবিধি লঙ্ঘণ করার অভিযোগে ইরানি কুর্দিস্তানের তরুণী জিনা মাহসা আমিনিকে আটক করল তেহরানের মোরালিটি পুলিশ।
সেপ্টেম্বর ১৬ তেহরানের এক হাসপাতাল কোমায় মৃত্যু হল জিনার। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানাল, নিকটবর্তী এক স্টেশনে ‘শিক্ষা’ দিতে নিয়ে গেলে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। জিনার পরিবার এই রাষ্ট্রীয় ভাষ্য প্রত্যাখ্যান করে। সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ঘটনার তদন্ত দাবি করেন।
সেপ্টেম্বর ১৭ জিনার দেশের বাড়ি সাকেজে জানাজা সম্পন্ন হল। সেখান থেকে প্রতিবাদ প্রথমে প্রাদেশিক রাজধানীতে দেখা দেয়। এরপর দেশের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে যায়। প্রতিবাদ আন্দোলনে “স্বৈরাচার নিপাত যাক” শ্লোগান ওঠে। প্রতিবাদীদের মধ্যে কিছু নারী নিজেদের মাথা থেকে হিজাব খুলে ফেলেন ও আগুনে পোড়ান। সেপ্টেম্বর ১৯ ইরানি কুর্দিস্তানের কোন কোন জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে প্রতিবাদীদের সংঘাত দেখা দিল। সেপ্টেম্বর ২০ সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির এক সহকারী সমবেদনা জানাতে জিনার পরিবারের সাথে দেখা করলেন, জানালেন খামেনি জিনার মৃত্যুর ব্যথা অনুভব করেন।
সেপ্টেম্বর ২১ কর্তৃপক্ষ ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ অভিগম্যতা সীমিত করল। সরকারিভাবে ৮ জনের মৃত্যু স্বীকার করা হল।
সেপ্টেম্বর ২২ প্রেসিডেন্ট রাইসি বললেন, “অরাজকতা” গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের মোরালিটি পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল।
সেপ্টেম্বর ২৩ বিভিন্ন শহরে সরকারি র‍্যালির আয়োজন করা হল, যেখান থেকে প্রতিবাদীদের ফাঁসির দাবি উঠল। সেনাবাহিনী “শত্রুদের নানামুখী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়ার” শপথ নিল।
সেপ্টেম্বর ২৪ ইরাকি কুর্দিস্তানে অবস্থিত ইরানের সশস্ত্র বিরোধীপক্ষীয় ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে মদত দেয়ার অভিযোগ এনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করল রেভল্যুশনারি গার্ডস।
সেপ্টেম্বর ৩০ জাহেদান হত্যাযজ্ঞ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানাল, জাহেদান শহরে জুম্মার নামাজের পর প্রতিবাদীদের ওপর গুলি চালিয়ে শিশুসহ ৬৬ জনকে খুন করা হয়েছে। সরকারি টিভি বলল, ‘সন্ত্রাসবাদীরা’ একটা থানায় গুলি চালিয়েছিল, তাই পাল্টা গুলি চালানো হয়েছে। রেভল্যুশনারি গার্ডস বলল, এর বাহিনীর ও বাসিজ মিলিশিয়ার ৫ জন খুন হয়েছেন।

অক্টোবর ৩ নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করলেন খামেনি। জানালেন, জিনার মৃত্যু তাঁর “বুক ভেঙে দিয়েছে”; কিন্তু অভিযোগ তুললেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইরানের শত্রুদের উসকানি আছে। একাধিক শহরে সর্বস্তরের ইরানিরা রাস্তায় নেমে এলেন, “স্বৈরাচার নিপাত যাক” শ্লোগান দিলেন; এবং সরকার পরিবর্তনের দাবি তুললেন।
অক্টোবর ৭ সরকারি তদন্তকারী বিচারকের প্রতিবেদনে দাবি করা হল, জিনার মৃত্যু পুলিশ হেফাজতে মাথায় ও দেহে আঘাতজনিত কারণে হয়নি; আগে থেকেই থাকা অসুস্থতার কারণে হয়েছে।
অক্টোবর ১০ ইরানের প্রতিবাদ আন্দোলন জ্বালানি খাতেও ছড়িয়ে পড়ল। আবাদান ও কাঙ্গান তেল শোধনাগার এবং বুশেহের পেট্রোকেমিক্যাল প্রকল্পের শ্রমিকরা প্রতিবাদে অংশ নিলেন।
অক্টোবর ১৫ তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে আগুন লেগে গেল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানালেন তাঁরা গুলির শব্দ শুনেছেন। আইনী কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে জানাল, কারাগারে দেখা দেয়া অসন্তোষে ৮ জন মারা গেছেন।

নভেম্বর ১৪ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাখোঁ ইরানের চলমান আন্দোলনকে “বিপ্লব” বলে আখ্যায়িত করলেন। নভেম্বর ২১ ইরানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার জানিয়ে প্রতিবাদীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করল।

ডিসেম্বর ৪ ইরানের পাবলিক প্রজিকিউটর জানালেন, মোরালিটি পুলিশ তুলে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানাল, বাধ্যতামূলক হিজাব আইন ভিন্ন উপায়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
ডিসেম্বর ৮ তেহরানে সড়ক অবরোধ করা, ছুরিকাঘাতে বাসিজ মিলিশিয়ার এক সদস্যকে জখম করা, এবং ‘মোহারেবের’ (খোদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা) অভিযোগ এনে ২২-বছর-বয়সী প্রতিবাদী মোহসেন শেকারিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হল।
ডিসেম্বর ১২ মাশহাদে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ‘মোহারেব’ (খোদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা) সংঘটিত করার অভিযোগ এনে আরেক ইরানি প্রতিবাদী ২৩-বছর-বয়সী মজিদরেজা রাহনাবার্দের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।

মাহমুদ মুনশিপুরি, ইন দ্য শ্যাডো অফ মিসট্রাস্ট: দ্য জিওপলিটিকস অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি অফ ইউএস-ইরান রিলেশনস
মেহরান কামরাভা, আ ডাইনাস্টিক হিস্ট্রি অফ ইরান: ফ্রম দ্য কাজারস টু দ্য পাহলভিজ
 ট্রিম্ফ অ্যান্ড ডিসপেয়ার: ইন সার্চ অফ ইরান’স ইসলামিক রিপাবলিক

সায়ীদ রুস্তায়ি, লেইলা’স ব্রাদার্স

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ৫ মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানাল, ইসলামি প্রজাতন্ত্রের হাতে ছয় মাসে ৫০০ জন প্রতিবাদী খুন হয়েছেন, যাঁদের ৭১ জন শিশু।

মার্চ চীনের মধ্যস্ততায় সৌদি-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতি।
মার্চ ৩ ইরানজুড়ে শত শত স্কুলছাত্রী বিষপ্রয়োগে খুন হলেন। প্রেসিডেন্ট রাইসি বললেন, এটা ‘তেহরানের শত্রুদের’ কাজ। পরদিন ইরান সরকারকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে নতুন করে প্রতিবাদ দেখা দিল।
মার্চ ৭ ইরান সরকার জানাল, ছয় মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৫৩ জন সদস্য খুন হয়েছেন।

মে ১৩ প্রতিবাদ আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে ৩ জনকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান।

জুলাই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) যোগ দিল ইরান।
জুলাই ১৬ মোরালিটি পুলিশ বাধ্যতামূলক হিজাব আইন মান্য করা নিশ্চিত করতে আবারও রাস্তায় টহল দিতে শুরু করল।

অক্টোবর ৬ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মদি।
অক্টোবর ৭ ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে গাজা গণহত্যা শুরু।
অক্টোবর ৮ হামাসের হামলার একদিন পর ইরান-সমর্থিত লুবনানী শিয়াদের সংগঠন হিযবুল্লা ইসরায়েলের সাথে সীমান্তে নিম্ন মাত্রার সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল।

নভেম্বর ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালাতে শুরু করল।

মেহরান কামরাভা (সম্পা.), দ্য স্যাক্রেড রিপাবলিক: পাওয়ার অ্যান্ড ইন্সটিটিউশনস ইন ইরান
রুহুল মাহফুজ জয়, অনুবাদ, আব্বাস কিয়ারোস্তামি কবিতাসমগ্র

২০২৪ জানুয়ারি ১ বিআরআইসিএস গ্রুপে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিল ইরান।
জানুয়ারি ৩ কেরমানে এক বোমা হামলায় অন্তত ১০৩ ব্যক্তি নিহত।
জানুয়ারি ১১ ওমান উপসাগরে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী, যুক্তরাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত এবং গ্রিস-পরিচালিত বেসামরিক তেল ট্যাঙ্কার সেইন্ট নিকোলাসয়ের নিয়ন্ত্রণ নিল ইরানের নৌবাহিনী।
জানুয়ারি ১৫ ইরাকি কুর্দিস্তানের এরবিলে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ৪ জনকে খুন করল আইআরজিসি। সিরিয়ার আলেপ্পো গভর্নরেটেও একটি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল।
জানুয়ারি ১৬ “প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর” দায়ে নোবেল লরিয়েট নার্গিস মোহাম্মদির ১২ বছরের কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়াল ইরান সরকার। পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে “সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি” লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ইরান। পাকিস্তান দাবি করল, এতে বিনা উসকানিতে দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘিত হয়েছে, যাতে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জানুয়ারি ১৭ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান ইরান থেকে নিজ রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করল।
জানুয়ারি ১৮ অপারেশন মার্গ বার সরমাচার, ১৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ইরানের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ইরানের ভেতরে বেলুচিস্তান বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লক্ষ্যবস্তুতে “প্রিসিশন বিমানহামলা” চালাল। বেলুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট এবং বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির শিবিরগুলোতে আঘাত হানার খবর পাওয়া গেল। পাক-ইরান সীমান্তের কাছে ইরানের সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশের সারাভানে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেল। এই হামলায় ৪ মহিলা ও ৩ শিশু নিহত হন। যাঁদের সকলেই বিদেশী নাগরিক।
জানুয়ারি ২০ সিরিয়ার দামিশকে এক ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমানহামলায় জেনারেল সাদেগ ওমিদজাদে সহ ৫ আইআরজিসি সদস্য নিহত হন।
জানুয়ারি ২১ ইরানের কেরমান শহরে এক ব্যারাকের ছাত্রাবাসের ভেতরে একজন সৈনিক প্রকাশ্যে গুলি চালালে তাতে ৫ সৈনিক নিহত হন।
জানুয়ারি ২৫ ইরানি ব্যবসায়ী হোসেইন হাতেফি আরদাকানির তথ্যের জন্য ১৫ মিলিয়ন ডলার পুরষ্কার ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ। আরদাকানির বিরুদ্ধে আইআরজিসি কর্তৃক সংগৃহীত এবং পরে রাশিয়ার কাছে বিক্রি করা ড্রোনের যন্ত্রাংশ সংগ্রহের অভিযোগ ছিল।
জানুয়ারি ২৭ সারাভানে ৩ বন্দুকধারী ৯ পাকিস্তানি শ্রমিককে হত্যা করে।
জানুয়ারি ২৯ সামরিক সরঞ্জাম তৈরির একটি কারখানায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের নির্দেশে বোমা হামলার পরিকল্পনার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৪ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান।

ফেব্রুয়ারি ৮ মেটা তাঁদের “বিপজ্জনক সংগঠন ও ব্যক্তি নীতি” ভঙ্গ করায় ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আলী খামেনির ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দিল।
ফেব্রুয়ারি ১১ ইরানের সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশের এক ফাঁড়িতে হামলায় বাসিজ মিলিশিয়ার ২ সদস্যের মৃত্যু।

এপ্রিল ১ দামিশকে ইরানের এক দূতাবাস ভবনে একটি হামলায় আইআরজিসির দুই ইরানি সেনাপতি নিহত হলেন। ইরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে।
এপ্রিল ১৪ ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান ৩০০টি ড্রোন, ক্রুজ, ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালনা করল।

মে ১৯ এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু।

জুলাই ২৮ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজকেশিয়ান।

মোহাম্মদ রাসূলফ, দ্য সীড অফ দ্য স্যাক্রেড ফিগ

২০২৫ জানুয়ারি ১৭ রাশিয়ার সাথে একটি কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ট্রিটিতে সই করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।
জানুয়ারি ১৮ তেহরানের প্যালেস অফ জাস্টিসের ভেতরে ইরানের সুপ্রিম কোর্টের ২ বিচারপতি জনৈক বন্দুকধারীর গুলিতে খুন হলেন, যাঁদের একজন ১৯৮৮ সালে রাজবন্দীদের গণ মৃত্যুদণ্ড প্রদানের প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

ফেব্রুয়ারি ৬ ইরানের প্রথম ড্রোন-বহনকারী যুদ্ধজাহাজ শহিদ বাঘেরির উদ্বোধন।

এপ্রিল ৭ দামঘানের নিকটে এক কয়লা খনিতে গ্যাস বিস্ফোরিত হয়ে ৭ খনিশ্রমিকের মৃত্যু।
এপ্রিল ১২ সিস্তান ও বালুচেস্তান প্রদেশের মেহরেস্তান কাউন্টিতে এক হামলায় ১২ পাকিস্তানি মজদুরের মৃত্যু।
এপ্রিল ১৪ এভিন কারাগারের পরিচালক হেদায়েতুল্লা ফারজাদিকে অন্তর্ভুক্ত করে ৭ জন ইরানি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ইওরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
এপ্রিল ২৪ ইরানের স্টেট ব্রডকাস্টার আইআরআইবিতে খলিফা আবু বকরকে অবমাননা করা একটি প্রোগ্রাম সম্প্রচার করার দায়ে সংস্থাটির ৪ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হল।
এপ্রিল ২৬ শহিদ রাজায়ী বন্দর বিস্ফোরণে ৫৭ ব্যক্তির মৃত্যু।
এপ্রিল ২৯ ইস্ফাহান প্রদেশে এক বিস্ফোরণে ২ ব্যক্তির মৃত্যু।
এপ্রিল ৩০ কারাজ প্রদেশের গেজেল হেসার কারাগারের বন্দী মোহসেন লাঙ্গারনেশিনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল। লাঙ্গারনেশিন ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি ও আইআরজিসির জনৈক কর্নেল হাসান সাইয়াদ খোদায়ীকে গুপ্তহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। একাধিক মানবাধিকার সংস্থা বিচারটিকে অন্যায্য দাবি করল, বলল নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।

মে ৪ ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করল, তাঁরা কাশেম বাসির নামের নতুন একটা ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
মে ১৬ ২০২২ সাল থেকে ২ ফরাসি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে ও কারাবন্দী রেখে এবং তাঁদের জিম্মি করার মাধ্যমে অধিকার ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসে (আইসিজে) ইরানের বিরুদ্ধে একটা মামলা করল ফ্রান্স।
মে ২১ ২০২৩ সালে তেহরানস্থ আজারবাইজানি দূতাবাসে হামলা চালানোর দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান।

জুন ৪ আইএস-খোরাসানের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করল ইরান।
জুন ১০ ২০১৮ সাল থেকে ইরানের পশ্চিমাঞ্চলে চলে আসা সংঘর্ষের কালে ৩ আইআরজিসি সদস্যকে হত্যা করার দায়ে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের ৯ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান।
জুন ১১ বন্দর-ই-দাইয়ার শহরের এক রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে ৩ ব্যক্তির মৃত্যু।
জুন ১২ আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এই মর্মে রুল জারি করল যে, ২০০৫ সালের পর প্রথমবারের মত ইরান তাঁর নিউক্লিয়ার নন-প্রলিফারেশন বাধ্যবাধকতা ভঙ্গ করেছে।

২০২৫, জুন ১৩- ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সূচনা।

জুন ১৩ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর বিমানহামলা চালাল ইসরায়েল। এই হামলায় একাধিক সামরিক কর্মকর্তা খুন হন। যাঁদের মধ্যে আছেন দেশটির সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি ও আইআরজিসি কমান্ডার হোসেন সালামি।
জুন ১৪ ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালাতে শুরু করল।
জুন ১৬ তেহরানে স্টেট ব্রডকাস্টার আইআরআইবির সদরদপ্তরে বোমা হামলা চালিয়ে অন্তত ১ ব্যক্তিকে খুন করল ইসরায়েল। অনির্দিষ্টকালের জন্য ইরানের সাথে নিজ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিল পাকিস্তান।৩
জুন ২১ ইরানে বিমানহামলা চালানোর ভেতর দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে প্রবেশ করল যুক্তরাষ্ট্র।
জুন ২৩ কাতারের আল উবেইদ বিমান ঘাঁটিতে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল ইরানের বিমানবাহিনী। কাতারি সশস্ত্র বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে ইন্টারসেপ্ট করে। উল্লেখ্য, অই বিমান ঘাঁটিটি মার্কিন বিমানবাহিনীর।
জুন ২৪ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ভালি নাসর, ইরান’স গ্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজি: আ পলিটিকাল হিস্ট্রি

জাফর পানাহি, ইট ওয়াজ জাস্ট অ্যান অ্যাকসিডেন্ট

তথ্যসূত্র

রাফিন, ইরফানুর রহমান। ২০২২। সময়রেখা: মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে করোনাসংকট পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ঘটনাপঞ্জি। দিব্যপ্রকাশ।

Abrahamian, Ervand. 2018. A History of Modern Iran. 2nd ed. Cambridge University Press.

BBC.

Brosius, Maria. 2020. A History of Ancient Persia: The Achaemenid Empire. Willey Blackwell.

Council on Foreign Relations – cfr. n.d. “The Kurds’ Quest for Independence.” Accessed August 31, 2022.
https://www.cfr.org/timeline/kurds-quest-independence

Daryaee, Touraj. 2023. Sasanian Persia: The Rise and Fall of an Empire. 2nd ed. I. B. Tauris.

Ellerbrock, Uwe. 2021. The Parthians: The Forgotten Empire. Routledge.

Foreign Affairs.

Hartz, Paula R. 2009a. Zoroastrianism. 3rd ed. Chelsea House.
2009b. Baha’i Faith. 3rd ed. Chelsea House.

Holland, Tom. 2007. Persian Fire: The First World Empire and the Battle for the West. Anchor Books.

Internet Movie Database (IMDb).

Kheirabadi, Masoud. 2003. Iran. Chelsea House.

Louër, Laurence. 2020. Sunnis and Shiʻa: A Political History of Discord. Translated by Ethan Rundell. Princeton University Press.

Maloney, Suzanne, and Razipour, Keian. 2019. “The Iranian revolution—A timeline of events.” The Brookings Institution, January 19.
https://www.brookings.edu/articles/the-iranian-revolution-a-timeline-of-events/

McHugo, John. 2018. A Concise History of Sunnis & Shi‘is. Georgetown University Press.

Murray, Williamson, and Woods, Kevin M. 2014. The Iran-Iraq War: A Military and Strategic History. Cambridge University Press.

Newman, Andrew J.. 2006. Safavid Iran: Rebirth of a Persian Empire. I.B. Tauris.

Pourshariati, Parvaneh. 2017. Decline and Fall of the Sasanian Empire: The Sasanian-Parthian Confederacy and the Arab Conquest of Iran. Paperback edition. I. B. Tauris.

Rose, Jenny. 2011. Zoroastrianism: A Guide for the Perplexed. Bloomsbury.

Taheri, Amir. 1985. The Spirit of Allah: Khomeini and the Islamic Revolution. Hutchinson.

Wikipedia.

Waters, Matt. 2014. Ancient Persia: A Concise History of the Achaemenid Empire, 550–330 BCE. Cambridge University Press.

World History Encyclopedia.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *