
ইরান
Featured Image: Wikimedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ
পূর্বসাল
৩০০০ আর্যভাষী গোষ্ঠীগুলোর ইন্দো-ইরানি শাখা পারস্যে প্রবেশ করল। আর্যভাষীদের আরেকটি শাখা পরবর্তীতে ভারতে প্রবেশ করে।* প্রাচীন পারস্যে ধর্মের বিকাশ ঘটতে শুরু করল।
* ফারসি আর সংস্কৃত ভাষার মিলের রহস্য এটাই।
১৫০০-১০০০ আধুনিক পণ্ডিতদের হিসেবে, পারস্যের নবি জরাথুস্ট্রের জীবনকাল।* জরাথুস্ট্রবাদের পবিত্র বই আবেস্তা নামে পরিচিত, এসময়ই তা মৌখিকভাবে বিকশিত হতে শুরু করে। আবেস্তার সাথে ঋগ্বেদের বহু মিল পাওয়া গেছে।**
* প্রাচীন পারস্যের ধর্ম ছিল একটি বহুঈশ্বরবাদী ধর্ম। প্রাচীনেরা বিশ্বাস করতেন, সুনীতির প্রতীক খোদা আহুরা মাজদা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন তিনি একইসাথে আনাহিতা আর মিথ্রার মত গৌণ উপাস্যদেরও। আহুরা মাজদার শত্রু হচ্ছে দুর্নীতির প্রতীক খোদাদ্রোহী আংরা মান্যু, অন্ধকারের শক্তিগুলোর অধিপতি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই যার কাজ। সুনীতি আর দুর্নীতির মধ্যে নিরন্তর লড়াই চলছে। আদিপিতা মাশ্যা আর আদিমাতা মাশ্যানা আংরা মান্যুর ধোঁকাবাজির শিকার হয়ে আহুরা মাজদার পথ থেকে দূরে সরে যান। তবে তাঁদের উত্তরসূরী মানুষেরা স্বাধীন ইচ্ছার অধিকারী। তারা অন্ধকারের পরিবর্তে আলোর পথে হাঁটতে পারে। স্বার্থপরতার চেয়ে উন্নততর মূল্যবোধের চর্চা করতে পারে। নবি জরাথুস্ট্র এই বিশ্বাসে মৌলিক পরিবর্তন আনেন। তিনি বলেন, এতকাল লোকে ধর্মটাকে ভুল বুঝেছে। আহুরা মাজদা প্রধান নন, এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি সর্বশক্তিমান, তাই তাঁর কোন শরিক নেই। অন্য কথিত উপাস্যরা আসলে তাঁরই গুণের বহিঃপ্রকাশ। এভাবে একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম হয়ে উঠল জরাথুস্ট্রবাদ। তবে স্বাধীন ইচ্ছার চিন্তাটা মেনে নিয়েছিলেন জরাথুস্ট্র। তাঁর ধর্মে মানুষ নিয়তির হাতের পুতুল নয়। তারা স্বাধীন ইচ্ছা ব্যবহার করার সামর্থ্য রাখে।
* জরাথুস্ট্রবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে দেখুন, (Hartz 2009).
১০০০-৮০০ পারসিক ও মিদীয় গোষ্ঠী পারস্যে অভিবাসিত হল।
৭৫০-৭০০ জাগরোস পর্বতমালার ওপর বসবাসকারী মিদীয় গোষ্ঠীর ওপর অ্যাসিরীয় সম্রাটদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হল।
৬৭০ মিদিয়ার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাল অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্য।
৬২৮-৫৫১ পাহলবি উৎসগুলোতে দেয়া পারস্যের নবি জরাথুস্ট্রের জীবনকাল। এসব উৎসের ঐতিহাসিকতা খুব মজবুত না। সাম্রাজ্যিক প্রচারণা মনে হয়।
৬১২ মিদীয় আর বাবেলীয়রা অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী নিনেভে ধবংস করে দিল। এর মধ্য দিয়ে অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্যের পতনের শুরু।
৬০৮ অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্যের পতন।
৫৮৫ মিদিয়ার রাজা হলেন অস্তায়জেস। লিডিয়ার সাথে যুদ্ধ। ফল অনির্ধারিত হওয়ায় শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হল।
৫৫৯ পারস্যের রাজা হলেন কুরুশ।
৫৫০ কুরুশের মিদিয়া জয়।
পারস্যে কুরুশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল হাখমানেশি সাম্রাজ্য, ৩৩০ পূর্বসাল পর্যন্ত টিকে ছিল সাম্রাজ্যটি।* হাখমানেশি সাম্রাজ্য জরাথুস্ট্রবাদ গ্রহণ করে নিল।** হাখমানেশি সাম্রাজ্যের শেষদিকে জরবানবাদের বিকাশ শুরু হয়।***
* ইংরেজিভাষী বিশ্বে সাইরাস দ্য গ্রেট নামে পরিচিত।
** হাখমানেশি সম্রাটরা ধর্মের ক্ষেত্রে উদারতার পক্ষপাতী ছিলেন। তাঁরা সাম্রাজ্যবিস্তার করেছেন। কিন্তু বিজিতদের ওপর নিজেদের ধর্ম চাপিয়ে দেননি।
*** জরাথুস্ট্রবাদের একটি শাখা। তবে জরবানবাদকে জরাথুস্ট্রবাদের ‘হেরেসি’ বিবেচনা করা হয়। এর কারণ হল, দুটি ক্ষেত্রে জরবানবাদ এমন বিশ্বাস প্রচার করে, যার জরাথুস্ট্রবাদের বিশ্বাসের সাথে একেবারে সরাসরি সাংঘর্ষিক: (১) জরবানবাদ দাবি করে, সুনীতির প্রতীক আহুরা মাজদা আর দুর্নীতির প্রতীক আংরা মান্যু আসলে যমজ ভাই, দুজনেই সৃষ্ট। প্রকৃত সৃষ্টিকর্তার নাম জরবান আকারানা, ‘অসীম সময়।’ তাই একমাত্র অসীম সময়ই মানুষের উপাসনার যোগ্য। (২) জরবানবাদ দাবি করে, মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা নেই; কেননা সময়ের ওপর মানুষের নিয়ন্ত্রণ নেই। মানুষ নিয়তির হাতের পুতুল।
৫৫০-৩৩০ হাখমানেশি পারস্যে নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখছে আবেস্তা। গ্রিক সূত্রগুলো বলছে, এসময়ই পারস্য জুড়ে দেখা দেয় অগ্নি মন্দির, জরাথুস্ট্রবাদের উপাসনা স্থান। জরাথুস্ট্রীরা ‘অগ্নিপূজারী’, এরকম একটি ভুল ধারণা রয়েছে; বাস্তবে আগুন অপার্থিবের একটি প্রতীক মাত্র।
৫৫৬ কুরুশের লিডিয়া জয়।*
* লিডিয়ার রাজা ক্রসাস পারস্য সাম্রাজ্যে হামলা চালান। এই হামলা চালানোর আগে পরামর্শের জন্য ক্রসাস ডেলফির ওরাকলের কাছে গেলে ওরাকল তাঁকে জানায়, এই যুদ্ধে এক বৃহৎ সাম্রাজ্য ধবংস হবে। যুদ্ধ শেষে দেখা গেল ওরাকল ঠিকই অনুমান করেছিল, যুদ্ধে আসলেই এক বৃহৎ সাম্রাজ্য ধবংস হয়ে যায়, তবে সেই সাম্রাজ্যটি হল – লিডিয়া।
৫৪৫-৪০ বর্তমান মধ্য এশিয়ায় অভিযান চালালেন কুরুশ।
৫৩৯ কুরুশের বাবেল জয়।
ইহুদিদের বাবেলের বন্দিদশা থেকে মুক্তি দিলেন কুরুশ।*
* বাইবেলের ইসায়ার কেতাবে কুরুশকে মসীহা বলা হয়েছে। কুরুশের সাথে অনেক ইহুদিই ইরানে চলে আসেন। এই ইহুদিরাই হলেন আজকের ইরানি ইহুদিদের পূর্বপুরুষ।
৫২৯ কুরুশের মৃত্যু, হাখমানেশি পারস্যের নতুন সম্রাট ক্যামবিসেস।
৫২৫ ক্যামবিসেসের মিসর জয়।
৫২২ ক্যামবিসেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন বারদিয়া, ক্যামবিসেসের মৃত্যু। দারিয়ুস ও তাঁর ছয় সহযোগীর হাতে খুন হলেন বারদিয়া। এর মধ্য দিয়ে প্রথম দারিউস হিসাবে মসনদে বসলেন দারিউস, এবং ক্ষমতায় এসেই বাবেলীয়দের একটি বিদ্রোহ দমন করলেন।
৫২২-৪৮৬ প্রথম দারিউসের রাজত্বকাল।
৫২১ হাখমানেশি সাম্রাজ্যজুড়ে অসংখ্য বিদ্রোহ দেখা দিল, এসব বিদ্রোহ কঠোরভাবে দমন করলেন প্রথম দারিউস।
৫২০ বেহিস্তুন লিপি কমিশন করলেন প্রথম দারিউস।
৫১৩ প্রথম দারিউসের সিথিয়া অভিযান।
৫১২ প্রাচীন পারসিক উপাসনা ও উৎসবকেন্দ্র পার্সিপোলিস নির্মিত।
৫১২-১১ থ্রেসে পারস্যের দখলদারিত্ব।
৫০০-৪০১ মিসরের বিরুদ্ধে নিজেদের সীমান্ত রক্ষার কাজে আরবদেরকে নিয়োগ দিলেন হাখমানেশিরা।
৪৯৯ নাক্সোসে একটি হাখমানেশি অভিযান ব্যর্থ হয়ে গেল।
৪৮৬ হাখমানেশি সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে মিসরে বিদ্রোহ দেখা দিল।
প্রথম দারিউসের মৃত্যু, হাখমানেশি পারস্যের নতুন সম্রাট জেরজেস।
৪৮১ সার্ডিসে জেরজেসের আগমন। গ্রিসে হাখমানেশি অভিযান প্রতিহত করতে বদ্ধপরিকর গ্রিক নগররাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা স্পার্টায় মিলিত হলেন। গোয়েন্দাগিরি করার জন্য সার্ডিসে গুপ্তচর পাঠানো হল।
৪৮০ হেলেসপন্ত পেরোলেন জেরজেস। অ্যাথেনীয়রা শহর খালি করার পক্ষে ভোট দিল। থার্মোফিলি, আর্তেমিসিয়াম, আর হিমেরার যুদ্ধ। এথেন্স দখল করে শহরটি পুড়িয়ে দিলেন জেরজেস। সালামিসের যুদ্ধ। গ্রিকদের প্রতিরোধের মুখে পিছু হঠলেন জেরজেস। ফিরে এলেন সার্ডিসে।
৪৭২ মঞ্চস্থ হল এস্কাইলাসের লেখা নাটক দ্য পার্সিয়ানস।
৪৪৯ এথেন্স আর পারস্যের মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হল।
৪২০ পূর্বসাল-১০৫ সাল উত্তর আরবে ‘নাবাতীয় সভ্যতা’।
৩৩০ ম্যাকিদোনিয়ার সেকান্দার শার হাতে হাখমানেশি সাম্রাজ্যের পতন। পারস্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর পার্সিপোলিসকে পুড়িয়ে ফেলা হল। কিছুদিন পরেই অবশ্য সেকান্দার শা পারস্যের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রতি ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। দেশটির এক রাজকন্যা রোকসানাকে বিয়ে করেন তিনি। নিজের সেনাবাহিনীর ১০,০০০ সেনাকে পারসিক নারী বিয়ে করতে তাগিদ দেন সেকান্দার শা। পারস্যের শহর সুসায় সম্পন্ন হয় গণবিবাহ। সেকান্দার শা চেয়েছিলেন একটি গ্রেকো-পারসিক সংস্কৃতির নির্মাণ।
৩২৩ মাত্র ৩২ বছর বয়সে সেকান্দার শার মৃত্যু। সেকান্দার শার এক সেনাপতি পারস্যের তখতে বসলেন। সেলুসীয় শাসন শুরু।
২৪৭ গ্রিক সেলুসীয়দের বিরুদ্ধে পারস্যবাসী বিদ্রোহ করে এবং পার্থীয় নামের একটি রাজবংশকে ক্ষমতায় বসায়। ২২৪ সাল পর্যন্ত পারস্য শাসন করে পার্থীয়রা। এই সাম্রাজ্যেও প্রভাবশালী ধর্ম ছিল জরাথুস্ট্রবাদ।*
* পার্থীয়রা নিজেদেরকে হাখমানেশিদের উত্তরসূরী হিসেবে দেখতেন এবং ধর্মের ক্ষেত্রে হাখমানেশিদের মতই উদার ছিলেন।
২৪৭ পূর্বসাল-২২৪ সাল পার্থীয় পারস্যে নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখছে আবেস্তা, অগ্নি মন্দির এসময় আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে।
১৪১ সেলুসীয়দের হাত থেকে পার্থীয়দের দখলে এল পার্সিস।
১২৯ পার্থীয়দের মেসোপটেমিয়া জয়।*
* ‘দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান’। মেসোপটেমিয়া বর্তমান ইরাক ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর গ্রিকদের দেয়া নাম। দুই নদী হল দজলা ও ফোরাত।
৫৮-৫৭ তেসিফনকে পার্থীয় পারস্যের রাজধানী করলেন দ্বিতীয় ওরোদেস।
৫৪ পূর্বসাল-২১৭ সাল রোমক সাম্রাজ্যের সাথে পার্থীয় পারস্যের পর্যায়ক্রমিক যুদ্ধ।
৪০ রুমিদের বিরুদ্ধে পারসিকদের সাথে সাময়িক ঐক্য গড়লেন নাবাতীয়রা।
সাল
৫২ বর্তমান আর্মেনিয়া আক্রমণ করলেন পার্থীয় রাজা প্রথম ভলোগাসেস।
১১৪ রোমক সম্রাট ত্রাজান বর্তমান আর্মেনিয়াকে রুমি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন এবং পার্থীয় পারস্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন।
২০১-৩০০ আরবের লাখমি গোত্র পারসিকদের মক্কেলে পরিণত হল।
২১৭-৭৫ পারস্যে মানির সময়কাল। তিনি প্রাচীন দুনিয়ায় মানিকিয়ান ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। জানা যায়, তিনি আফগানিস্তানের বামিয়ানে সক্রিয় ছিলেন।
২২৪ পার্থীয়দের শেষ রাজাকে উৎখাত করলেন পার্সিসের রাজা আরদাশির, প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি সাসানীয় রাজবংশ।*
* পার্থীয়দের মত সাসানীয় রাজাদের রাজধানীও ছিল তেসিফন। সাসানীয়রা শাহেনশা উপাধি নেন, অর্থ ‘রাজাদের রাজা।’ প্রাচীন পারস্যের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জীবনমানের বিকাশ ঘটানো এবং কৃষি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য সাসানীয়রা বিখ্যাত হয়ে আছেন।
২২৪-৬৫১ সাসানীয় পারস্য।
জরাথুস্ট্রবাদ সাসানীয় পারস্যে দরবারি ধর্মের মর্যাদা পায়, অগ্নি মন্দিরগুলো তাদের সমৃদ্ধির শীর্ষে পৌঁছায়। ধর্মের ক্ষেত্রে মোটেও উদার ছিলেন না সাসানীয়রা। সাম্রাজ্যে অন্য সব ধর্ম আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ ছিল।
সাসানীয় পারস্যে জরবানবাদ পূর্ণ মাত্রায় বিকশিত হয়।
৩০১-৪০০ পূর্ব আরবে পারসিকদের সাম্রাজ্যের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ল।
৩০৯-৭৯ সাসানীয় শাহেনশা দ্বিতীয় শাপুরের রাজত্বকাল। তিনি মৌখিক ঐতিহ্যনির্ভর আবেস্তাকে লিপিবদ্ধ করার প্রতিজ্ঞা করেন।
৪০১-৫০০ আরবের বনু ঘাসসান গোত্র বাইজেন্টাইনদের মক্কেলে পরিণত হল।*
* রোমক সাম্রাজ্যের ভাঙনের পর পূর্ব রোমক সাম্রাজ্য বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ((Βασιλεία Ρωμαίων) নামে পরিচিত। এখানে বাইজেন্টাইন বলতে সাম্রাজ্যটির শাসকদেরকে বোঝাবে। কুরআন শরিফে রুম বলতে এই সাম্রাজ্যকেই বোঝানো হয়েছে, যার কেন্দ্র ছিল কনস্টান্টিনোপল, বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল।
৫০১-৬০০ আরবে এ সময় পারসিক আর বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মক্কেলদের মধ্যে ভয়াবহ আন্তঃগোত্রীয় যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছে।
৫৩১-৫৭৯ সাসানীয় শাহেনশা প্রথম খসরুর রাজত্বকাল। তাঁর শাসনামলে আবেস্তা লিখিত রূপ পায়। এভাবে ধর্মটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে।
৫৭০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম।
৫৭৫ সাসানীয় সাম্রাজ্য বর্তমান ইয়েমেন দখল করে নিল।
৬০২ পারসিকরা তাঁদের মক্কেল লাখমি সর্দারকে খুন করলেন।
৬১৪ পারসিকরা আরবের উত্তর সীমান্ত দখল করে নিলেন এবং বাইজেন্টাইনদেরকে পরাজিত করলেন।
৬৩০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) নেতৃত্বে মুসলমানদের মক্কা বিজয়।
৬৩২ বিদায় হজ। হযরত মুহাম্মদের (সা.) মৃত্যু। তাঁর কোন জীবিত পুত্রসন্তান না থাকায় ও উত্তরাধিকারী মনোনীত করে না যাওয়ায় যে নেতৃত্ব সংকট দেখা দেয়, কালক্রমে তাই শিয়া-সুন্নী বিভাজনে রূপ নেবে।*
* শিয়া-সুন্নী বিভাজনের ইতিহাস জানতে, দেখুন, (McHugo 2017) ও (Louër 2020).
৬৩২-৬১ রাশিদুন খেলাফত।*
* সুন্নিরা যেই চার খলিফাকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশিত বলে বিশ্বাস করেন, সেই রাশিদুন খেলাফতের কাল। শিয়াদের অধিকাংশ প্রথম তিন খলিফাকে অবৈধ ভাবেন, তাঁদের বিশ্বাসে সুন্নিদের চতুর্থ খলিফা আলীই একমাত্র বৈধ খলিফা। তবে জায়েদি শিয়ারা চার খলিফাকেই বৈধ ভাবেন।
৬৩২-৩৪ প্রথম রাশিদুন খলিফা আবু বকরের শাসনকাল।
৬৩৪-৪৪ দ্বিতীয় রাশিদুন খলিফা উমর ইবনে আল-খাত্তাবের শাসনকাল।
৬৩৭ আরব মুসলমানরা লেভান্ত জয় করলেন এবং অঞ্চলটি থেকে বাইজেন্টাইনদেরকে বের করে দিলেন।*
* সেকালের এশিয়া মাইনর আর ফিনিশিয়া নিয়ে গঠিত। বর্তমান তুরস্ক, সিরিয়া, আর লেবানন অঞ্চলটির অন্তর্গত। বৃহত্তর অর্থে গ্রিস আর মিসরের মধ্যবর্তী পুরো অঞ্চলটাকেই লেভান্ত বলা যেতে পারে।
৬৪২ নেহাওয়ান্দের যুদ্ধ, রাশিদুন খেলাফতের হাতে সাসানীয়দের পরাজয়।
৬৪৪-৫৬ তৃতীয় রাশিদুন খলিফা উসমান ইবনে আফফানের শাসনকাল।
৬৫০ খলিফা উসমানের উদ্যোগে কুরআন শরিফের একটি মান সংস্করণ প্রস্তুত করা হল। এটি আল-মুশহাফ আল-উসমানি নামে পরিচিত। বাকি সব সংস্করণ ধ্বংস করে ফেলা হল।
৬৫১ রাশিদুন খেলাফতের পারস্য জয়।
৬৫১-১৪০০ রাশিদুন খেলাফতের পারস্য জয়ের কারণে দেশটিতে জরবানধর্মের অনুসারীর সংখ্যা হ্রাস পেলেও সময়, নিয়তি, ও স্বাধীন ইচ্ছা বিষয়ে জরবানধর্মের বিশ্বাস ধর্মচর্চা ও সাহিত্যচর্চাকে প্রভাবিত করা অব্যাহত রাখল।
৬৫৬-৬১ চতুর্থ খলিফা ও শিয়াদের প্রথম ইমাম আলি ইবনে আবু তালেবের শাসনকাল।
৬৮০ মার্চ বিষপ্রয়োগে নিহত হলেন শিয়া ইসলামের দ্বিতীয় ইমাম হাসান ইবনে আলি। অক্টোবর: কারবালার যুদ্ধে শহিদ হলেন শিয়া ইসলামের তৃতীয় ইমাম হোসেন ইবনে আলি।
৬৯৬ আরবিকে পারস্যের দরবারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হল।*
* তবে ইরানিরা ফারসিতে বাতচিত করা অব্যাহত রাখেন। সংস্কৃতিচর্চার ভাষা হিসেবেও ফারসিই ব্যবহৃত হতে থাকে। আনুমানিক এসময় থেকে নবম শতাব্দীর মধ্যে আধুনিক ফারসি ভাষা গড়ন পেয়ে থাকবে, যা লেখা হবে এক ধরণের আরবি লিপিতে।
৮০১-৯০০ এ সময় নাগাদ পারস্যের অধিকাংশ মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেন, জরথোশতিধর্ম সংখ্যালঘু ধর্মে পরিণত হয়।
৮৭৫-১০০৫ সামানীয় রাজবংশের শাসন।
৯৬২-১১৮৬ গজনভী রাজবংশের শাসন।
১০১০ শাহনামা লেখা শেষ করলেন ফেরদৌসী।
১০৩৭-১২২০ সেলজুক সুলতানদের শাসন।
১১৩১ কবি ওমর খৈয়্যামের মৃত্যু।
১২০২ কবি নিজামীর মৃত্যু।
১২২০-৫৮ চেঙ্গিজ খাঁর নেতৃত্বে মঙ্গোলরা পারস্যে ধবংসলীলা চালায়।
১২৭৩ কবি রুমির মৃত্যু।
১২৭৮ এসময়ই কখনো লেখা হল জরথোশতনামা।
১৩৩৪ সাফাভীয় তরিকার প্রতিষ্ঠাতা শায়েখ সাফি আল-দীনের মৃত্যু।
১৩৮৯ কবি হাফিজের মৃত্যু।
১৪০৫ পারস্য জয় করলেন আমির তৈমুর।
১৪৫৬-৯ তুর্কমানদের আকুয়ুনলু রাজ্যের রাজা উজুন হাসানের সাথে সাফাভীয় তরিকার প্রধান শেখ জুনায়েদের বোনের বিয়ে।
১৪৬০ এক যুদ্ধে শেখ জুনায়েদের মৃত্যু হলে সাফাভীয় তরিকার নতুন প্রধান হলেন ছেলে হায়দার সাফাভি।
১৪৬৭ জাহান শাহ কারাকুয়ুনলুর মৃত্যু।
১৪৭১-৭২ উজুন হাসানের মেয়ের সাথে হায়দার সাফাভির বিয়ে।
১৪৭৩ বাশকেন্তে ওসমানি সুলতানশাহির হাতে আকুয়ুনলু রাজ্যের পরাজয়।
১৪৭৮ উজুন হাসানের মৃত্যু।
১৪৮৭ হায়দার সাফাভির তৃতীয় পুত্র ইসমাইলের জন্ম।
১৪৮৮ এক যুদ্ধে হায়দার সাফাভির মৃত্যু হলে সাফাভীয় তরিকার নতুন প্রধান হলেন ছেলে ইসমাইল।
১৫০১ ইসমাইলের তাবরিজ জয়।
শিয়া কিজিলবাশ যোদ্ধা গোষ্ঠীগুলোর সহায়তা নিয়ে পারস্যের সাফাভীয় রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম শাসক হলেন প্রথম শাহ ইসমাইল।*
* সাফাভীয়রা নিজেদেরকে সপ্তম শিয়া ইমাম মুসা আল-কাজিমের বংশধর দাবি করে জনসম্মতি আদায় করেন। সাফাভীয় রাজতন্ত্রের দরবারি ধর্ম ছিল শিয়া মতবাদ। এসময় থেকেই ইরানে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
১৫০৮ সাফাভীয় বাহিনীর হাতে বাগদাদের পতন ঘটল।
১৫১০-১১ সাফাভীয় বাহিনীর হাতে খোরাসানের পতন ঘটল।
১৫১২ খোরাসানে উজবেকদের হাতে সাফাভীয় বাহিনীর পতন ঘটল। হেরাত সাফাভীয়দের হাতছাড়া হয়ে গেল। পরে তারা তা পুনর্দখল করে।
১৫১৪ চালদিরানের যুদ্ধ, ওসমানি সুলতানশাহির হাতে সাফাভীয়দের পরাজয়। তাবরিজ সাফাভীয়দের হাতছাড়া হয়ে যায়। পরে তারা তা পুনর্দখল করে।
১৫১৫ পারস্য উপসাগরের হরমুজ দ্বীপের ওপর পর্তুগিজদের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রতিষ্ঠিত হল।
১৫২৪ শাহ প্রথম ইসমাইলের মৃত্যু হলে সাফাভীয় সাম্রাজ্যের নতুন শাসক হলেন শাহ তামাস্প।
১৫২৪-৩৬ সাফাভীয় ইরানের প্রথম গৃহযুদ্ধ।
১৫২৪-৪০ উজবেকরা টানা পাঁচবার খোরাসানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়।
১৫৩২-৫৫ সাফাভীয় সাম্রাজ্যে অনেকগুলো অভিযান চালাল ওসমানি সুলতানশাহি।
১৫৩৩-৩৪ শাহ তামাস্পের প্রথম তওবা।
১৫৫৫ আমাস্যা চুক্তি। ওসমানি সুলতানশাহির সাথে সন্ধি করল সাফাভীয় সাম্রাজ্য। আরব ইরাকের ওপর ওসমানিদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হল।
১৫৫৫-৫৬ শাহ তামাস্পের দ্বিতীয় তওবা।
১৫৮৭-১৬২৯ প্রথম শাহ আব্বাসের শাসনকাল।*
* দেশটিতে ধর্ম আর রাষ্ট্র আলাদা হতে শুরু করল। প্রথম শাহ আব্বাস সেনাসংস্কার করলেন। ইরানের রাজধানী তেসিফন থেকে ইস্ফাহানে স্থানান্তরিত করলেন এবং পশ্চিম ইওরোপের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করলেন।
১৬৩৯ ইরাক আর ককেশীয় অঞ্চলের সীমান্ত বিরোধ নিরসনে ওসমানিদের সাথে সাফাভিরা শান্তিচুক্তি সই করে।
১৭২২ শেষ সাফাভি রাজা পারস্যে আক্রমণ চালানো ও ইস্ফাহান দখল করে নেয়া এক আফগান সর্দারের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন।
১৭৩৬ নাদির শাহের হাতে আফগান সেনাবাহিনী পরাজিত হল, তিনি পারস্যে আফশার রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করলেন।
১৭৫০-৭৯ করিম খানের শাসনামল। তিনি শাহ উপাধি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন, নিজেকে জনগণের সেবক বলে দাবি করেন। দয়াবান শাসক হিশাবে তাঁকে স্মরণ করা হয়।
১৭৯৪-৯৫ কাজার রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন মোহাম্মদ খান কাজার। এরা রাজধানী ইস্ফাহান থেকে তেহরানে নিয়ে যায়। সর্বাত্মক স্বৈরতন্ত্রী রাজবংশটি ১৩০ বছর ক্ষমতায় ছিল।
১৮১৩ গুলিস্তান চুক্তি ও ১৮২৮ তুর্কমানচাই চুক্তি এই দুটি আলাদা চুক্তির মাধ্যমে পারস্যের ককেশীয় অঞ্চলগুলো (জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, ও আজারবাইজান) নিয়ে নিল রাশিয়া।
১৮১৭ নভেম্বর ১২ তেহরানে মির্জা হুসাইন আলী নূরির জন্ম।
১৮১৯ অক্টোবর ২০ শিরাজে সিয়িদ আলি মুহাম্মদের জন্ম।
১৮৪৪ মে ২৩ সিয়িদ আলি মুহাম্মদ নিজেকে ঐশী বানীপ্রাপ্ত ঘোষণা করলেন। তাঁর অনুসারীরা তাঁকে বাব ডাকা শুরু করলেন, অর্থ দরজা। ধর্মটি বাবীধর্ম নামে পরিচিত হলেন।
বাবীধর্মে দীক্ষিত হলেন মির্জা হুসাইন আলী নূরি।
১৮৪৪-১৯২১ মির্জা হুসাইন আলী নূরির ছেলে আবদুল বাহার জীবনকাল।
১৮৪৬ গ্রেপ্তার এড়িয়ে শিরাজ ছেড়ে গেলেন বাব।
১৮৪৮ বাদাশতে বাবীদের একটা সম্মেলন আয়োজিত হল। এই সম্মেলনেই বাহাউল্লা উপাধি লাভ করলেন নূরি। এর অর্থ ‘ঈশ্বরের গৌরব।’
১৮৪৮-৫০ বাবীদের ইসলামের শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করে তাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন চালাল পারস্যের মোল্লারা।
১৮৫০ মোল্লাদের হুকুমে ৭৫০ জন আরমানি খ্রিস্টানের একটি ফায়ারিং স্কোয়াড বাবের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হল। এরপর মুসলমান সৈনিকদেরকে এই দায়িত্ব দেয়া হল। তারা এতে সফল হল, নিহত হলেন বাব।
১৮৫১-১৯০৬ পারস্যের মধ্য এশীয় ভূখণ্ডগুলো নিয়ে নিল রাশিয়া। ব্রিটিশরা পারস্যবাদীদের বাধ্য করল আফগানিস্তানে হেরাত-সহ অন্যান্য শহরের ওপর তার দাবি ছেড়ে দিতে।
১৮৫২ বিশৃঙ্খলা আর নেতৃত্বশূন্যতার কারণে বাবীধর্মের অবক্ষয়ের শুরু। সিয়া-চালে কারারুদ্ধ হলেন বাহাউল্লা, অন্ধকূপে শেকলে বাঁধা থাকা অবস্থায় তাঁর মনে হল, তিনি ঐশী প্রত্যাদেশ লাভ করেছেন। বাগদাদে নির্বাসিত হলেন।
১৮৫৮ এসময়ই কখনো কালিমাত-ই-মাকনুনিহ লেখা শেষ করেন বাহাউল্লা।
১৮৬২ কিতাব-ই-ইকান লেখা শেষ করলেন বাহাউল্লা।
১৮৬৩ ইস্তানবুলে নির্বাসিত হলেন বাহাউল্লা। রিদভান ঘোষণা। এদির্নেতে নির্বাসিত হলেন বাহাউল্লা।
১৮৬৮ আক্রেতে কারারুদ্ধ হলেন বাহাউল্লা।
১৮৭৩ কিতাব-ই-আকদাস লেখা শেষ করলেন বাহাউল্লা।
১৮৯০ একটি ব্রিটিশ কোম্পানিকে তামাক উৎপাদন ও বিক্রির ওপর একচেটিয়া অধিকার প্রদান করেন কাজার রাজা নাসিরুদ্দিন শাহ। পারস্যবাসী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করলে মির্জা শিরাজি নামের এক মোল্লা পারস্যবাসীদেরকে তামাক ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা ও তামাক বয়কট করার আহবান জানিয়ে ফতোয়া দেন। কাজাররা ব্রিটিশদের সাথে করা চুক্তি রদ করতে বাধ্য হয়।
১৮৯২ মে ২৯ বাহাউল্লার মৃত্যু।
১৮৯৭-১৯৫৭ বাহাইধর্মের গার্ডিয়ান অফ দ্য ফেইথ শোগি এফেন্দি রাব্বানির জীবনকাল। বাহাউল্লা আর আবদুল বাহার লেখাগুলো অনুবাদ করেন। সারা দুনিয়ায় বাহাইধর্ম প্রচার করার উদ্যোগ নেন।
১৯০২ খোমিনে রুহুল্লার জন্ম।*
* পরবর্তীকালে আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমিনি নামে পরিচিত হবেন।
১৯০৬ সাংবিধানিক বিপ্লব, প্রথম সংসদ মজলিস প্রতিষ্ঠা। মোজাফফরুদ্দিন শাহ একটা সংবিধান প্রবর্তন করলেন, যেখানে মোল্লাদের যেকোন বিধানের বিরুদ্ধে ভেটো দেয়ার অধিকার দেয়া হল।
১৯০৮ তেল আবিষ্কৃত, পারস্যে ব্রিটিশ প্রভাব বৃদ্ধি পেল।
১৯১০-১১ সাংবিধানিক সরকারের সাথে মোহাম্মদ আলী-শাহের দ্বন্দ্ব দেখা দিল। আলী-শাহকে ক্ষমতাচ্যুত করা হল। তেহরানে হোজ্জাতুল ইসলাম শেখ ফজলুল্লাহ নূরিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হল।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৪-২১ পারস্যের বিপ্লবী মির্জা কুচিক খানের জঙ্গল আন্দোলন।
১৯১৪ মানেকজি নাসেরওয়ানজি ধাল্লা, জোরোয়েস্ট্রিয়ান থিওলজি।
১৯১৭ রুশ বিপ্লব।
পারস্যের সোশাল ডেমোক্র্যাটরা প্রতিষ্ঠা করলেন জাস্টিস পার্টি।
এরভাদ ফিরোজ শাপুরজি মাসানি, জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম: অ্যানসেইন অ্যান্ড মডার্ন।
১৯১৮-১৯ বিশ্বযুদ্ধের সময় ইরান দখল করে রাখা বিদেশি সেনারা দেশটি ছেড়ে গেল। রুহুল্লা আরাকে চলে এলেন, মাদ্রাসায় ভর্তি হলেন। এরপর শেখ আবদুল-করিমকে অনুসরণ করে কোমে চলে গেলেন ও সেখানেই থিতু হলেন।
১৯১৯-২২ ইরানে ইসমাইল আগা সিমকোর বিদ্রোহ।
১৯২০ পারস্যের জাস্টিস পার্টির নাম বদলে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরান রাখা হল। জুন: সোভিয়েত লাল ফৌজের সহায়তায় ইরানের গিলান প্রদেশে পার্সিয়ান সোশালিস্ট সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেন মির্জা কুচিক খান। অস্বীকৃত রাষ্ট্রটি ১৯২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকেছিল।
১৯২১ ব্রিটিশদের মদতে সামরিক কর্মকর্তা রেজা খানের ক্যুদেতা। এতে কাজারদের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। সেপ্টেম্বর জঙ্গল আন্দোলনের নেতা মির্জা কুচিক খানের মৃত্যুতে পার্সিয়ান সোশালিস্ট সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের পতন। কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরানকে নিষিদ্ধ করা হল।
মানেকজি নাসেরওয়ানজি ধাল্লা, জোরোয়েস্ট্রিয়ান সিভিলাইজেশন।
১৯২২-২৬ ক্ষমতা সংহত করলেন রেজা খান। শাহেনশাহ (রাজাদের রাজা) খেতাব নিয়ে গদিতে বসলেন। প্রতিষ্ঠা করলেন পাহলবী রাজবংশ।
১৯২৬ পারস্যের প্রথম পাহলবী রাজা হলেন রেজা খান। রেজা শাহ পাহলবি নামে মসনদে আরোহণ করেন।
১৯২৭-৪০ রেজা শাহ নিজের সেক্যুলারাইজেশন প্রচারাভিযান চালু করলেন। মোল্লাদের বিদ্রোহ রক্তাক্ত উপায়ে দমন করা হল, সারা দেশের ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তৃত্ব জোরদার করা হল। মহিলাদের হিজাব করা নিষিদ্ধ করা হল, মোল্লাদের দাঁড়ি কামাতে এবং পাগড়ির পরিবর্তে কেপি পরতে বাধ্য করা হল।
১৯৩০ ইরানে আততায়ীদের হাতে খুন হলেন ইসমাইল আগা সিমকো।
১৯৩৫ পারস্যের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে বদলে ইরান রাখা হয়।*
* পার্সিয়া – বাংলায় পারস্য – নামটা গ্রিকদের দেয়া। ইরান নামটা এসেছে আরইয়ানা ভায়েহো থেকে। এর অর্থ হল: ‘আর্যদের উৎপত্তিস্থল’।
ধর্মীয় পোষাক পরিধানের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধের প্রতিবাদে মাশহাদের এক মোল্লার অনুসারীরা রেজা শাহের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শুরু করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মসজিদে বোমাবর্ষণ করেন রেজা শাহ।
১৯৩৮ মানেকজি নাসেরওয়ানজি ধাল্লা, দ্য হিস্ট্রি অফ জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪১ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রেজা শাহ অক্ষশক্তির পক্ষাবলম্বন করলে ব্রিটেন আর সোভিয়েত ইউনিয়ন মিলে দখল করে নেয় ইরান। চাপের মুখে পুত্রের পক্ষে সিংহাসন ত্যাগ করেন রেজা শাহ ও নির্বাসনে চলে যান। শাহ হিসাবে শপথগ্রহণ করেন রেজা শাহের পুত্র মোহাম্মদ শাহ।
সোলেইমান মির্জা এসকান্দারি প্রতিষ্ঠা করলেন তুদেহ পার্টি।*
* একটি কমিউনিস্ট পার্টি।
১৯৪২ আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমিনি, কাশফ আল আসরার (কি টু দ্য সিক্রেটস)।
১৯৪৫ কাজী মোহাম্মদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইরানিয়ান কুর্দিস্তান।
১৯৪৬ জানুয়ারি কুর্দিরা ইরানি কুর্দিস্তানে প্রতিষ্ঠা করে মাহাবাদ প্রজাতন্ত্র। সোভিয়েত সহায়তায় প্রায় বছরখানেক টিকে ছিল প্রজাতন্ত্রটি।
ডিসেম্বর সোভিয়েত সৈন্যরা ইরান ছেড়ে চলে গেলে ইরান মাহাবাদ পুনর্দখল করে এবং মাহাবাদ প্রজাতন্ত্রের পতন ঘটে।
১৯৪৭ মার্চ ৩১ কুর্দি নেতা কাজী মোহাম্মদকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান।
১৯৪৯ মোহাম্মদ মোসাদ্দেগ কর্তৃক গঠিত হল ন্যাশনাল ফ্রন্ট। মোল্লাদের রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে গ্র্যান্ড আয়াতুল্লা বোরুজের্দি একটি সম্প্রসারিত সেমিনার আয়োজন করলেন। রুহুল্লা এই সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন এবং সক্রিয়তাবাদী উপদলের পক্ষে ছিলেন।
১৯৫০ ইরানের দ্বিতীয় পাহলবি রাজা হলেন রেজা শাহের ছোট ছেলে ও রাজপুত্র মোহাম্মদ রেজা।
১৯৫১ ফেদাইন ইসলাম সংগঠনের এক সদস্যের আততায়ী হামলায় খুন হয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী হজ আলী-রাহমারা। নয়া প্রধানমন্ত্রী হলেন মোহাম্মদ মোসাদ্দেগ। শাহ রাজকীয় অনুমতি প্রদান করলে মোসাদ্দেগ সরকার ইরানের তেল শিল্পের জাতীয়করণ করে। এতে ব্রিটেনের সাথে সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দেয়। ইরানের তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজকীয় নৌবহর। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেয়া প্রধানমন্ত্রী মোসাদ্দেগ দেশটির মোল্লাদের এক উল্লেখযোগ্য অংশের সমর্থন পান, যাঁদের অন্যতম আয়াতুল্লাহ কাশানি। এসময় ইরানের রাজনীতিতে মোল্লাদের প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
১৯৫২ মোসাদ্দেগ ও শাহের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এতে আয়াতুল্লা কাশানি প্রথমে মোসাদ্দেগের পক্ষে ছিলেন। পরে পক্ষত্যাগ করে শাহের শিবিরে চলে যান।
১৯৫৩-৫৪ কমিউনিস্ট তুদেহ পার্টি রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করছে। শাহ-মোসাদ্দেগ দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত মাত্রায় এসে পৌঁছাল। দেশ ছাড়লেন শাহ। সিআইএ-পরিচালিত এক ক্যুদেতায় মোসাদ্দেগ সরকারের পতন। ফজলুল্লাহ জাহেদিকে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হল। শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলবির সাময়িক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।
১৯৫৫ শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ, ফরাসি, ও মার্কিন কোম্পানিগুলোর সাথে একটা নতুন তেল চুক্তি সম্পাদিত হল। গঠিত হল সাভাক, শুরু হল কমিউনিস্ট শিকার। সেনাবাহিনীতে ৬০০ জন সোভিয়েতপন্থী সামরিক কর্মকর্তার একটি নেটওয়ার্ক উন্মোচন করা হল।
১৯৫৯ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ারের সাথে একটা সামরিক চুক্তি সই করলেন শাহ, যাকে শাহ তাঁর নিজের সরকারকে দেয়া মার্কিন গ্যারান্টি বলে ধরে নিলেন।
১৯৬০-৬৯ শাহ তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতা নিরঙ্কুশীকরণের লক্ষ্যে বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ণ চালাতে গোপন পুলিশ সাভাকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
১৯৬০ শাহ ভূমি সংস্কারের লক্ষ্যে একটি আইন প্রণয়ন করার চেষ্টা করলে গ্র্যান্ড আয়াতুল্লা বোরুজের্দি এর বিরোধিতা করলেন। এই বিরোধিতায় তিনি অন্য মোল্লাদের সমর্থন পেলেন। চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সরকারকে আইনটি রদ করে দিতে বললেন শাহ।
আয়াতুল্লা রহুল্লা খোমিনি, তৌজিহ আল মাসায়েল (এক্সপ্লিকেশন অফ প্রবলেমস)।
১৯৬১ প্রতিষ্ঠিত হল ফ্রিডম মুভমেন্ট ইন ইরান।
১৯৬১-৬২ শাহ বিরোধী বাজারিরা খোমিনির সাথে যোগাযোগ করল। বোরুজের্দির মৃত্যুতে উত্তরাধিকারের লড়াই শুরু হয়ে গেল। তাতে জিতলেন আয়াতুল্লা আবদুল্লা হাকিম তাবাতাবা’ঈ। গ্র্যান্ড আয়াতুল্লার খেতাব নিলেন রুহুল্লা খোমিনি।
১৯৬৩ মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডির চাপে শাহের ‘শ্বেত বিপ্লব’। ভূমি সংস্কারসহ নানা ধরণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক আধুনিকীকরণের কর্মসূচি হাতে নেয়া হল। মোল্লা আয়াতুল্লা খোমিনী শ্বেত বিপ্লবের বিরোধিতা করলেন। চাষীদের মধ্যে জমি পুনর্বন্টন, নারী মুক্তি, এবং স্থানীয় সরকারের চাকুরিতে অমুসলিমদের নিয়োগ দেয়ার বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান শুরু করলেন। খোমিনীকে গ্রেপ্তার করে তেহরানে নিয়ে যাওয়া হল। এতে তেহরান ও অন্য বড় শহরগুলায় বেশ বড় আকারের দাঙ্গা দেখা দিল। ‘খোমিনি জিন্দাবাদ’ শ্লোগান দেয়া অনেকে খুন হলেন।
১৯৬৪ খোমিনিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হলেও তাঁকে তেহরানে গৃহবন্দী করে রাখা হল। পরে তাঁকে কোমে ফিরে আসতে দেয়া হয়। যেখানে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন। ইরানে মার্কিন সেনাদের প্রতি কূটনৈতিক সুরক্ষা সম্প্রসারিত করা একটি আইনকে তিনি সমালোচনার জন্য বেছে নেন। ফলে, তাঁকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয়। তুরস্কে নির্বাসিত হন খোমিনী।
১৯৬৫ তেহরানে খোমিনীর সহযোগীদের হুকুমে আততায়ী হামলায় খুন হলেন ইরানের প্রিমিয়ার হাসান আলী-মনসুর। তাঁর স্থলে প্রধানমন্ত্রী হলেন আমির আব্বাস হোভায়দা। ইরানের শাহবিরোধী বামপন্থী ছাত্রদের দ্বারা গঠিত হল মুজাহিদিন-ই খালক।
১৯৬৬ নিজের ধর্মীয় পোশাক পরিধান করা নিয়ে তুরস্কের কর্তৃপক্ষের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়লেন খোমিনী। ইজমির, আঙ্কারা, ইস্তানবুল, আর বুরসায় কয়েক মাস বাস করার পর ইরাকের জন্য তুরস্ক ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি লাভ করলেন। পবিত্র শহর নাজাফে থিতু হলেন খোমিনী।
১৯৬৭ জুন ৫-১০ তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, জুন যুদ্ধ বা ছয় দিনের যুদ্ধ নামেও পরিচিত। এই যুদ্ধে ইসরায়েলের কাছে আরব রাষ্ট্রগুলোর পরাজয় সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে ভীষণভাবে নাড়া দেয়। খোমিনীর সাথে সাক্ষাৎ করেন আয়াতুল্লা মোহাম্মদ-বাকের সদর এবং ইহুদি রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে ইসলামি সংগ্রাম শুরু করার পরামর্শ দেন।
১৯৬৮ খোমিনী তাঁর সেমিনারি পুনরায় চালু করেন। নতুন ছাত্রদের আকৃষ্ট করতে থাকেন। র্যাডিকাল হয়ে ওঠার সাথে সাথে তাঁর সার্কেলও বড় হতে থাকে।
১৯৬৯ ইরানি মাওবাদীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হল অর্গানাইজেশন অফ কমিউনিস্ট রেভল্যুশনারিজ (মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট)।
দারিউশ মেরজাই, দ্য কাউ।
১৯৬৯-৭১ শাহের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে ইরানিদের প্রতি বারংবার আহবান জানালেন খোমিনী, কিন্তু এসময় তিনি উপেক্ষিত হন। পারসিক সাম্রাজ্যের ২৫০০ বছর উদযাপনকে সুনির্দিষ্টভাবেই খারিজ করেন খোমিনী। তেহরানে তাঁর সহযোগীরা নিজেদের সাংগঠনিক বিস্তার ঘটান ও গোপন সেল তৈরি করতে শুরু করেন।
১৯৭০-৭৯ ইরানি বিপ্লবের দশক। শুরুতে বিপ্লবের কোন ইসলামি এজেন্ডা ছিল না। জাতীয়তাবাদী, মার্কসবাদী, আর নারীবাদীরা বিপ্লবের সম্মুখভাগে ছিল।
১৯৭২-৭৬ খোমিনীর লেকচার নাজাফে আরো বেশি বেশি করে ছাত্রদের আকৃষ্ট করতে লাগল। শাহবিরোধী ছাত্ররা ইওরোপ ও যুদ্ধরাষ্ট্র থেকে তাঁর সাথে দেখা করতে এলেন।
আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমিনী, ভেলায়েত-ই-ফাকিহ (দ্য রিজেন্সি অফ দ্য থিওলজিয়ান), প্রথম সংস্করণ।
আয়াতুল্লা রুহুল্লা খোমিনী, হুকুমত-ই-এসলামি (ইসলামি হুকুমত)।
১৯৭৫, ১৯৮২, ১৯৯১ তিন খণ্ডে প্রকাশিত হল মেরি বয়েসের আ হিস্ট্রি অফ জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম।
১৯৭৫ উত্তর ইরাককে আরবায়িত করার উদ্যোগ নিল বা’থিরা। তেলসমৃদ্ধ অঞ্চলটি থেকে কুর্দিদের তাড়িয়ে দিয়ে আরবদের বসতিস্থাপন করল। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মদতে বা’থিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন ইরাকি কুর্দিরা। আলজিয়ার্স চুক্তিতে সই করল ইরান ও ইরাক। ইরাকি কুর্দিদের সমর্থন দেয়া বন্ধ করল মার্কিনী-ইরানিরা। কুর্দি বিদ্রোহের অবসান। মোস্তফা বারজানিকে প্রতিক্রিয়াশীল আখ্যা দিয়ে কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (কেডিপি) থেকে বেরিয়ে আসলেন জালাল তালাবানি, গঠন করলেন প্যাট্রিওটিক ইউনিয়ন অফ কুর্দিস্তান (পিইউকে)।
১৯৭৬ ইরানি মাওবাদীদের অর্গানাইজেশন অফ কমিউনিস্ট রেভল্যুশনারিজ (মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট) থেকে গঠিত হল ইউনিয়ন অফ ইরানিয়ান কমিউনিস্টস (সারবেদারান)।
১৯৭৭ প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের নতুন মার্কিন প্রশাসন ইরানের শাহের ক্ষমতাচ্যুতি চায় দাবি করে ইয়াজদি খোমিনীকে শাহবিরোধী প্রচারাভিযান জোরদার করার পরামর্শ দিলেন। খোমিনী শাহকে ‘উৎখাত’ করার ফরমান জারি করলেন। শাহ আমেরিকা ও কার্টার ইরান সফর করলেন।
১৯৭৮ ইরানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খোরাসানে রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ২৫,০০০ মানুষের মৃত্যু, এই ভূমিকম্পে প্রাচীন শহর তাবাস পুরোপুরি ধবংস হয়ে যায়।
তেহরানের দৈনিক এত্তেলাত পত্রিকা খোমিনীর মানহানি করা একটা জাল চিঠি প্রকাশ করল। ফলে, প্রথমে কোম, ও পরে তাবরিজসহ অন্য ডজনখানেক শহরে দাঙ্গা বেঁধে গেল। নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে শত শত মানুষ খুন হলেন। খোমিনী শাহকে উৎখাত করার আহবান জানালেন। তাঁকে ইরাক থেকে বহিষ্কার করা হল। তিনি ফ্রান্সে চলে গিয়ে শাহকে আক্রমণ করা অব্যাহত রাখলেন।
সেপ্টেম্বর সামরিক আইন জারি করা হল।
১৯৭৯ জানুয়ারি ১৬ শাহ তাঁর পরিবার নিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেলেন। ইরানের ২৫০০ বছরের রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটল। দেশজুড়ে বিপুল জন-উচ্ছ্বাস।
ফেব্রুয়ারি ১৪ বছরের নির্বাসন শেষে খোমিনীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।
মার্চ ইরানের খোমিনীপন্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন ইরানি কুর্দিরা।
এপ্রিল ১ ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষে গণভোট আয়োজিত হল, অধিকাংশ ভোট পক্ষে পড়ল; ইরান একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
আগস্ট ১৮ ইরানি কুর্দিস্তানের কুর্দিদের বিরুদ্ধে ‘পবিত্র যুদ্ধ’ ঘোষণা করলেন আয়াতুল্লা খোমিনী।
নভেম্বর শাহকে এক্সট্রাডিট করার দাবিতে ইসলামি বিপ্লবী ছাত্ররা তেহরানস্থ মার্কিন দূতাবাসে ৫২ জন মার্কিনীকে জিম্মি করলেন।
ডিসেম্বর ১৪ তেহরান জানাল, ইরানে অনুপ্রবেশ চালানোর একটি ইরাকি প্রচেষ্টা তারা রুখে দিয়েছে।
মনসুর হেকমত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ইউনিয়ন অফ কমিউনিস্ট মিলিট্যান্টস।*
* ১৯৭৯ সালে ইরানি বামপন্থীদের একটা বড় অংশ ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধিতার’ নামে আয়াতুল্লা খোমিনীকে সমর্থন দিয়েছিলেন। এই ক্ষেত্রে মনসুর হেকমত একজন উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম। তিনি শাহ আর খোমিনী উভয়েরই বিরোধিতা করেন।
১৯৮০-৮৮ সাদ্দাম হোসেনের ইরান আক্রমণের ফলে ইরান-ইরাক যুদ্ধ। দুই দেশেই কুর্দিদের প্রতিপক্ষের দালাল বলা হল, খুন হলেন বহু বেসামরিক কুর্দি নাগরিক। দুই দেশের কুর্দিদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হল।
১৯৮০ জানুয়ারি ২৬ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আবোল হাসান বনি-সদর।
ফেব্রুয়ারি ইরান ও ইরাকের মধ্যে পর্যায়ক্রমিক সীমান্ত সংঘাত।
এপ্রিল ১৭ আয়াতুল্লা খোমিনী ইরাকের বা’থি সরকারকে উৎখাত করতে দেশটির জনগণ ও সেনাবাহিনীর প্রতি আহবান জানালেন।
জুলাই নির্বাসিত শাহ মিসরে ক্যান্সারের দরুণ মারা গেলেন।
সেপ্টেম্বর ৪ ইরাকের খানাকিন ও মান্দালি শহরে শেলিং করল ইরান।
সেপ্টেম্বর ২২ সাদ্দাম হোসেনের ইরাক ইসলামি প্রজাতন্ত্র আক্রমণ করল। প্রতিষ্ঠিত হল ওয়ার্ল্ড জোরোয়েস্ট্রিয়ান অর্গানাইজেশন (ডব্লিউজেডও)।
আলী শরিয়তি, ইংরেজি অনুবাদ, মার্ক্সিজম অ্যান্ড আদার ওয়েস্টার্ন ফ্যালাসিস: অ্যান ইসলামিক ক্রিটিক।
১৯৮১ প্রেসিডেন্টের পদ থেকে বনি-সদর’কে বরখাস্ত করা হল, তিনি জান বাঁচাতে ফ্রান্সে পালিয়ে গেলেন।*
* ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৮১ সালের জুনের মধ্যবর্তী সময়ে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিপ্লবী আদালতগুলো ৪৯৭ জন রাজবন্দীর বিরুদ্ধে ‘প্রতিবিপ্লবী’ হওয়ার অভিযোগ এনে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।
১৯৮২ এরভান্দ আব্রাহামিয়ান, ইরান বিটুইন টু রেভল্যুশনস।
১৯৮৩ আবদুল্লাহ মোহতাদি ও মনসুর হেকমত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরান।
জুন ১৮ শিরাজ শহরে ফাঁসিতে লটকিয়ে ১৭ থেকে ৫৬ বছর বয়সী ১০ জন বাহাই নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল। ‘অপরাধ’ ছিল বাহাইধর্ম পরিত্যাগ করতে অস্বীকার করা। তাঁদের নাম মুনা, মাহশিদ, সিমিন, জারিন, আখতার, শাহীন/শিরিন, রুয়া, ইজ্জাত, তাহিরি, ও নুসরাত।
উল্লেখ্য যে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে জরথোশতিদেরকে প্রটেক্টেড মাইনরিটি হিসাবে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা প্রদান করা হলেও বাহাইদের এমন কোন সুরক্ষা প্রদান করা হয় না, এবং দেশটিতে বাহাইধর্ম প্রচার করা মৃত্যুদণ্ডের দ্বারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচিত হয়।
১৯৮৫ ইরান-কন্ট্রা স্ক্যান্ডাল। ১৯৮১ সালের জুন থেকে এ বছরের জুনের মধ্যে ইরানের ‘বিপ্লবী আদালতগুলো’ ৮,০০০এরও বেশি রাজবন্দীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের অনেকেই শাহবিরোধী বিপ্লবে মোল্লাদের মিত্র ছিলেন।
১৯৮৬ সাইরাস বারুচা, অন উইংস অফ ফায়ার।
১৯৮৮ মার্কিন নৌ ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় একটি ইরানি জেটলাইনার ভূপাতিত হয়, ২৯০ জন ইরানির মৃত্যু।
আগস্ট ইরান আর ইরাকের এক দশকব্যাপী যুদ্ধের অবসান। এবছর ২৮০০ রাজবন্দীকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়, যাঁদের মধ্যে অনেকেই বামপন্থী ছিলেন; এঁদের লাশ কাফেরাস্তান (অবিশ্বাসীদের ভূমি) আর লানতাবাদ (অভিশপ্তদের ভূমি) নামের দুটি জনশূন্য স্থানে ডাম্প করা হয়।
১৯৮৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক সালমান রুশদীর স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাসের বিরুদ্ধে ধর্মাবমাননার অভিযোগ এনে রুশদীকে হত্যা করার আহবান জানিয়ে ফতোয়া দিলেন আয়াতোল্লাহ খোমিনী।
জুন আয়াতুল্লা খোমিনীর মৃত্যু। ইরানের নতুন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হলেন আয়াতুল্লা খামেনী।
আগস্ট ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আলি আকবর হাশেমি-রাফসানজানি।
এরভান্দ আব্রাহামিয়ান, র্যাডিকাল ইসলাম: দ্য ইরানিয়ান মোজাহেদিন।
১৯৯০ জুন উত্তর ইরানে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫০,০০০ মানুষের মৃত্যু ও ১০০,০০০ মানুষ আহত, ভিটেমাটি হারান ৫ লক্ষ মানুষ। ইরাক কুয়েতে আগ্রাসন চালালে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান নিরপেক্ষ থাকার নীতি গ্রহণ করে।
সেপ্টেম্বর ইরান আর ইরাকের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহাল।
আব্বাস কিয়ারুস্তম, ক্লোজ-আপ।
দারিউশ মেরজাই, হামুন।
১৯৯১ পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধ। মনসুর হেকমত কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ওয়ার্কার-কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরান।
১৯৯২ মোহসেন মাখমালবাফ, ওয়ান্স আপন আ টাইম, সিনেমা।
১৯৯৪ আব্বাস কিয়ারুস্তমি, থ্রো দ্য অলিভ ট্রিজ।
১৯৯৫ ইরানের ওপর তেল ও বাণিজ্য অবরোধ দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৯৬ মোহসেন মাখমালবাফ, গাব্বেহ।
১৯৯৭ ইরানের পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পে ২,০০০ মানুষের মৃত্যু হল। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ খাতামি।
আব্বাস কিয়ারুস্তমি, টেস্ট অফ চেরি।
মজিদ মাজিদী, চিলড্রেন অফ হ্যাভেন।
১৯৯৮ আলী রাহনেমা, অ্যান ইসলামিক ইউটোপিয়ান: আ পলিটিকাল বায়োগ্রাফি অফ আলী শরিয়তি।
দারিউশ মেরজাই, দ্য পিয়ার ট্রি।
সামিরা মাখমালবাফ, দ্য আপেল।
১৯৯৯ গণতন্ত্রের দাবিতে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিক্ষোভ করে।
আব্বাস কিয়ারুস্তমি, দ্য উইন্ড উইল ক্যারি আস।
মজিদ মাজিদী, দ্য কালার অফ প্যারাডাইস।
২০০০ এজ্জাতুল্লা সাহাবি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল কাউন্সিল অফ ন্যাশনালিস্ট-রিলিজিয়াস অ্যাকটিভিস্টস অফ ইরান।
সামিরা মাখমালবাফ, ব্ল্যাকবোর্ডস।
২০০১ জর্জ বুশ জুনিয়র তার স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে ইরানকে ‘শয়তানের অক্ষের’ অংশ বলে উল্লেখ করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন খাতামি। ইরানি মাওবাদীদের ইউনিয়ন অফ ইরানিয়ান কমিউনিস্টস (সারবেদারান) থেকে গঠিত হল কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরান (মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট-মাওয়িস্ট)।
মোহসেন মাখমালবাফ, কান্দাহার।
২০০২ ইরানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প। ২৬১ জনের মৃত্যু। ১৩০০রও বেশি জখম হলেন, ২৫,০০০-এরও বেশি গৃহহীন।
ইফ্রাইম কার্শ, দ্য ইরান-ইরাক ওয়ার, ১৯৮০-৮৮।
২০০৩ তেহরানে মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সহস্রজনের বিক্ষোভ। আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী শিরিন এবাদি প্রথম ইরানি হিশাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন। দক্ষিণপূর্ব ইরানে এক ভূমিকম্পে ৪০০০০ মানুষ নিহত।
আজার নাফিসি, রিডিং ইন লোলিতা ইন তেহরান: আ মেমোয়ার ইন বুকস।
ফরিদেহ কুহি-কামালি, দ্য পলিটিকাল ডেভলাপমেন্ট অফ দ্য কুর্দস ইন ইরান।
২০০৪ ওয়ার্কার-কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বেরিয়ে আসা কমিউনিস্টদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হল ওয়ার্কার-কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইরান-হেকমতবাদী। ইরানি কুর্দিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হল দ্য পার্টি ফর আ ফ্রি লাইফ ইন কুর্দিস্তান (পিজেএকে)। প্রতিষ্ঠিত হল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য রিভাইভাল অফ জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম (এআরজেড)।
২০০৫ ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ঐতিহ্যবাদী মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। প্রতিষ্ঠিত হল ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স অফ পার্সি অ্যান্ড ইরানি জরথোশতিজ (ওয়াপিজ)।
আজাদেহ মোয়াভেনি, লিপস্টিক জিহাদ: আ মেমোয়ার অফ গ্রোয়িং আপ ইরানিয়ান ইন আমেরিকা অ্যান্ড আমেরিকান ইন ইরান।
বাহমান ঘোবাদি, টার্টলস ক্যান ফ্লাই।
২০০৬ জন ডব্লিউ. ওয়াটারহাউজ, জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম।
হামিদ রেজা সদর, ইরানিয়ান সিনেমা: আ পলিটিকাল হিস্ট্রি।
২০০৭ যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর কঠোর অবরোধ দিল।
মাইকেল আক্সওয়ার্দি, এম্পায়ার অফ দ্য মাইন্ড: আ হিস্ট্রি অফ ইরান।
কেরিম ইলদিজ, দ্য কুর্দস ইন ইরান: দ্য পাস্ট, প্রেজেন্ট, অ্যান্ড ফিউচার।
দারিউশ মেরজাই, সান্তুরি।
মারজানে সাত্রাপি আর ভিনসেন্ট পারোন্নাউড, পার্সিপোলিস।
২০০৮ সামিরা মাখমালবাফ, টু-লেগড হর্স।
মজিদ মাজিদী, দ্য সং অফ স্প্যারোজ।
২০০৯ দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদ।
আসগর ফরহাদি, অ্যাবাউট এলি।
২০১০ হোমা কাতৌজিয়ানে, দ্য পার্সিয়ানস: এনসিয়েন, মেডিইভাল অ্যান্ড মডার্ন ইরান।
২০১১ জেনি রোজ, জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম: অ্যান ইন্ট্রোডাকশন।
— জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম: আ গাইড ফর দ্য পারপ্লেক্সড।
হামিদ দাবাশি, ব্রাউন স্কিন, হোয়াইট মাস্কস।
হামিদ নাফিসি, আ সোশাল হিস্ট্রি অফ ইরানিয়ান সিনেমা, প্রথম ও দ্বিতীয় বালাম।
আব্বাস ভালি, কুর্দস অ্যান্ড দ্য স্টেট ইন ইরান: দ্য মেকিং অফ কুর্দিশ আইডেনটিটি।
দ্য অয়েল কিংস: হাউ দ্য ইউ.এস., ইরান, অ্যান্ড সৌদি অ্যারাবিয়া চেঞ্জড দ্য ব্যালেন্স অফ পাওয়ার ইন দ্য মিডল ইস্ট।
আসগর ফরহাদি, আ সেপারেশন।
২০১২ হামিদ দাবাশি, দ্য আরব স্প্রিং: দ্য এন্ড অফ পোস্টকলোনিয়ালিজম।
হামিদ নাফিসি, আ সোশাল হিস্ট্রি অফ ইরানিয়ান সিনেমা, তৃতীয় ও চতুর্থ/শেষ বালাম।
প্যাট্রিসিয়া ক্রোন, দ্য নেটিভিস্ট প্রফেটস অফ আর্লি ইসলামিক ইরান: রুরাল রিভোল্ট অ্যান্ড লোকাল জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম।
প্রডস অক্টর স্কজায়েরভো, দ্য স্পিরিট অফ জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম।
২০১৩ ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সংস্কারপন্থী হাসান রুহানি।
মাইকেল আক্সওয়ার্দি, রেভল্যুশনারি ইরান: আ হিস্ট্রি অফ দ্য ইসলামিক রিপাবলিক।
২০১৪ ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানালেন, আইএসের বিরুদ্ধে ইরাক সরকারের যুদ্ধে সহায়তা করতে তাঁর দেশ প্রস্তুত; ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ইরাক সেনাবাহিনীকে সামরিক প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া শুরু করল।
২০১৫ বহুলআকাঙ্খিত পারমাণবিক আপোসমীমাংসা। বছরের পর বছর ধরে দরকষাকষির পর বৈশ্বিক শক্তিগুলো ইরানের ওপর থাকা আন্তর্জাতিক অবরোধ তুলে নিতে রাজি হল। বিনিময়ে ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিতকরণের প্রতিশ্রুতি দিল।
আমির আহমাদি, দ্য দেভা কাল্ট ইন দ্য গাথাজ: অ্যান ইডিওলজিকাল আর্কিওলজি অফ জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম।
শিবা রাহবারান, ইরানিয়ান সিনেমা আনসেন্সর্ড: কনটেম্পোরারি ফিল্ম-মেকার্স সিন্স দ্য ইসলামিক রেভল্যুশন।
আসগর ফরহাদি, ট্যাক্সি।
ওরভাজি ইরানি, দ্য পাথ অফ জরথুস্ত্র।
মজিদ মাজিদী, মুহাম্মদ রাসুলুল্লাহ।
২০১৬ সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের শিয়া ধর্মযাজক আয়াতুল্লাহ শেখ নিমর বকির আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবের সাথে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটল। তেহরানে উত্তেজিত জনতা সৌদি দূতাবাসে অগ্নিসংযোগ করল। দেড় দশকের মধ্যে প্রথম ইরানি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইওরোপ সফর করলেন রুহানি।
রোহিন্তন ফালি নারিমান, দ্য ইনার ফায়ার: ফেইথ, চয়েস, অ্যান্ড মডার্ন-ডে লিভিং ইন জোরোয়েস্ট্রিয়ানিজম।
আসগর ফরহাদি, দ্য সেলসম্যান।
২০১৭ দ্বিতীয় মেয়াদে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন হাসান রুহানি। ইরানের পার্লামেন্ট আর আয়াতোল্লাহ খোমিনির মাজারে সমন্বিত হামলায় একাধিক মানুষের মৃত্যু, আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করে। অর্থনৈতিক অসন্তোষের দরুণ ইরান জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ।
আব্বাস আমানত, ইরান: আ মডার্ন হিস্ট্রি।
মজিদ মাজিদী, বিয়োন্ড দ্য ক্লাউডস।
২০১৮ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আপোসমীমাংসা থেকে সরে আসার ঘোষণা দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খুজেস্তান প্রদেশের আহভাজে এক সামরিক কুচকাওয়াজে বন্দুকধারীদের প্রকাশ্য গুলিবর্ষণে ২৫ জন মানুষের মৃত্যু। একটি আরব জাতীয়তাবাদী সংগঠন ও আইএস আলাদা আলাদাভাবে এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে।
২০১৯ পারস্য উপসাগরে তেলের ট্যাংকারে আক্রমণের জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তেহরান এই হামলার দায় অস্বীকার করল। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে ইরান জুড়ে বিক্ষোভ। ইরান সরকার বিক্ষোভকারীদের ওপর ব্যাপক দমনপীড়ণ চালালে তাতে ১০০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
২০২০ মার্কিন বিমানহামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলেমানির মৃত্যু।
২০২১ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ইব্রাহিম রাইসি, যার বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালে ৩ হাজার ভিন্নমতাবলম্বীর ওপর নিধনযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ আছে।*
* তেহরানের যে ডেথ কমিটি এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তার অন্যতম সদস্য ছিলেন আয়াতুল্লা হোসেইন আলি মোনতাজেরি। তিনি কমিটির সিদ্ধান্ত সমর্থন করতে পারেননি। একটি সভায় বলেছিলেন, “ইতিহাস আমাদের অভিযুক্ত করবে।”
এরভান্দ আব্রাহামিয়ান, অয়েল ক্রাইসিস ইন ইরান: ফ্রম ন্যাশনালিজম টু ক্যুদেতা।
আলী রাহনেমা, কল টু আর্মস: ইরান’স মার্ক্সিস্ট রেভ্যলুশনারিজ: ফর্মেশন অ্যান্ড এভল্যুশন অফ দ্য ফাদা’ইজ, ১৯৬৪-৭৬।
আহমেদ দীন রুমি, সাইরাস: একজন জাতির পিতা আইনপ্রণেতা ও মুক্তিদাতার জীবন।
২০২২ সেপ্টেম্বর ১৩ ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পোশাকবিধি লঙ্ঘণ করার অভিযোগে ইরানি কুর্দিস্তানের তরুণী জিনা মাহসা আমিনিকে আটক করল তেহরানের মোরালিটি পুলিশ।
সেপ্টেম্বর ১৬ তেহরানের এক হাসপাতাল কোমায় মৃত্যু হল জিনার। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানাল, নিকটবর্তী এক স্টেশনে ‘শিক্ষা’ দিতে নিয়ে গেলে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। জিনার পরিবার এই রাষ্ট্রীয় ভাষ্য প্রত্যাখ্যান করে। সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ঘটনার তদন্ত দাবি করেন।
সেপ্টেম্বর ১৭ জিনার দেশের বাড়ি সাকেজে জানাজা সম্পন্ন হল। সেখান থেকে প্রতিবাদ প্রথমে প্রাদেশিক রাজধানীতে দেখা দেয়। এরপর দেশের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে যায়। প্রতিবাদ আন্দোলনে “স্বৈরাচার নিপাত যাক” শ্লোগান ওঠে। প্রতিবাদীদের মধ্যে কিছু নারী নিজেদের মাথা থেকে হিজাব খুলে ফেলেন ও আগুনে পোড়ান। সেপ্টেম্বর ১৯ ইরানি কুর্দিস্তানের কোন কোন জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে প্রতিবাদীদের সংঘাত দেখা দিল। সেপ্টেম্বর ২০ সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির এক সহকারী সমবেদনা জানাতে জিনার পরিবারের সাথে দেখা করলেন, জানালেন খামেনি জিনার মৃত্যুর ব্যথা অনুভব করেন।
সেপ্টেম্বর ২১ কর্তৃপক্ষ ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ অভিগম্যতা সীমিত করল। সরকারিভাবে ৮ জনের মৃত্যু স্বীকার করা হল।
সেপ্টেম্বর ২২ প্রেসিডেন্ট রাইসি বললেন, “অরাজকতা” গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের মোরালিটি পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল।
সেপ্টেম্বর ২৩ বিভিন্ন শহরে সরকারি র্যালির আয়োজন করা হল, যেখান থেকে প্রতিবাদীদের ফাঁসির দাবি উঠল। সেনাবাহিনী “শত্রুদের নানামুখী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়ার” শপথ নিল।
সেপ্টেম্বর ২৪ ইরাকি কুর্দিস্তানে অবস্থিত ইরানের সশস্ত্র বিরোধীপক্ষীয় ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে মদত দেয়ার অভিযোগ এনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করল রেভল্যুশনারি গার্ডস।
সেপ্টেম্বর ৩০ জাহেদান হত্যাযজ্ঞ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানাল, জাহেদান শহরে জুম্মার নামাজের পর প্রতিবাদীদের ওপর গুলি চালিয়ে শিশুসহ ৬৬ জনকে খুন করা হয়েছে। সরকারি টিভি বলল, ‘সন্ত্রাসবাদীরা’ একটা থানায় গুলি চালিয়েছিল, তাই পাল্টা গুলি চালানো হয়েছে। রেভল্যুশনারি গার্ডস বলল, এর বাহিনীর ও বাসিজ মিলিশিয়ার ৫ জন খুন হয়েছেন।
অক্টোবর ৩ নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করলেন খামেনি। জানালেন, জিনার মৃত্যু তাঁর “বুক ভেঙে দিয়েছে”; কিন্তু অভিযোগ তুললেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইরানের শত্রুদের উসকানি আছে। একাধিক শহরে সর্বস্তরের ইরানিরা রাস্তায় নেমে এলেন, “স্বৈরাচার নিপাত যাক” শ্লোগান দিলেন; এবং সরকার পরিবর্তনের দাবি তুললেন।
অক্টোবর ৭ সরকারি তদন্তকারী বিচারকের প্রতিবেদনে দাবি করা হল, জিনার মৃত্যু পুলিশ হেফাজতে মাথায় ও দেহে আঘাতজনিত কারণে হয়নি; আগে থেকেই থাকা অসুস্থতার কারণে হয়েছে।
অক্টোবর ১০ ইরানের প্রতিবাদ আন্দোলন জ্বালানি খাতেও ছড়িয়ে পড়ল। আবাদান ও কাঙ্গান তেল শোধনাগার এবং বুশেহের পেট্রোকেমিক্যাল প্রকল্পের শ্রমিকরা প্রতিবাদে অংশ নিলেন।
অক্টোবর ১৫ তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে আগুন লেগে গেল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানালেন তাঁরা গুলির শব্দ শুনেছেন। আইনী কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে জানাল, কারাগারে দেখা দেয়া অসন্তোষে ৮ জন মারা গেছেন।
নভেম্বর ১৪ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাখোঁ ইরানের চলমান আন্দোলনকে “বিপ্লব” বলে আখ্যায়িত করলেন। নভেম্বর ২১ ইরানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার জানিয়ে প্রতিবাদীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করল।
ডিসেম্বর ৪ ইরানের পাবলিক প্রজিকিউটর জানালেন, মোরালিটি পুলিশ তুলে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানাল, বাধ্যতামূলক হিজাব আইন ভিন্ন উপায়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
ডিসেম্বর ৮ তেহরানে সড়ক অবরোধ করা, ছুরিকাঘাতে বাসিজ মিলিশিয়ার এক সদস্যকে জখম করা, এবং ‘মোহারেবের’ (খোদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা) অভিযোগ এনে ২২-বছর-বয়সী প্রতিবাদী মোহসেন শেকারিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হল।
ডিসেম্বর ১২ মাশহাদে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ‘মোহারেব’ (খোদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা) সংঘটিত করার অভিযোগ এনে আরেক ইরানি প্রতিবাদী ২৩-বছর-বয়সী মজিদরেজা রাহনাবার্দের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।
২০২৩ ফেব্রুয়ারি ৫ মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানাল, ইসলামি প্রজাতন্ত্রের হাতে ছয় মাসে ৫০০ জন প্রতিবাদী খুন হয়েছেন, যাঁদের ৭১ জন শিশু।
মার্চ চীনের মধ্যস্ততায় সৌদি-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতি।
মার্চ ৩ ইরানজুড়ে শত শত স্কুলছাত্রী বিষপ্রয়োগে খুন হলেন। প্রেসিডেন্ট রাইসি বললেন, এটা ‘তেহরানের শত্রুদের’ কাজ। পরদিন ইরান সরকারকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে নতুন করে প্রতিবাদ দেখা দিল।
মার্চ ৭ ইরান সরকার জানাল, ছয় মাসে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৫৩ জন সদস্য খুন হয়েছেন।
মে ১৩ প্রতিবাদ আন্দোলনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে ৩ জনকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান।
জুলাই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) যোগ দিল ইরান।
জুলাই ১৬ মোরালিটি পুলিশ বাধ্যতামূলক হিজাব আইন মান্য করা নিশ্চিত করতে আবারও রাস্তায় টহল দিতে শুরু করল।
অক্টোবর ৬ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মদি।
অক্টোবর ৭ ইসরায়েলে ইরান-সমর্থিত ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের হামলায় ১২০০ মানুষের প্রাণহানির প্রেক্ষিতে গাজা গণহত্যা শুরু।
অক্টোবর ৮ হামাসের হামলার একদিন পর ইরান-সমর্থিত লুবনানী শিয়াদের সংগঠন হিযবুল্লা ইসরায়েলের সাথে সীমান্তে নিম্ন মাত্রার সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল।
নভেম্বর ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালাতে শুরু করল।
রুহুল মাহফুজ জয়, অনুবাদ, আব্বাস কিয়ারোস্তামি কবিতাসমগ্র।
২০২৪ এপ্রিল ১ দামিশকে ইরানের এক দূতাবাস ভবনে হামলায় রেভল্যুশনারি গার্ডের দুই ইরানি সেনাপতি নিহত হলেন। ইরান এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে।
এপ্রিল ১৪ ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান ৩০০টি ড্রোন, ক্রুজ, ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালনা করল।
মে ১৯ এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু।
মোহাম্মদ রাসূলফ, দ্য সীড অফ দ্য স্যাক্রেড ফিগ।
তথ্যসূত্র
রাফিন, ইরফানুর রহমান। ২০২২। সময়রেখা: মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে করোনাসংকট পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ঘটনাপঞ্জি। দিব্যপ্রকাশ।
A., Patrick Scott Smith, M. 2019. “Parthia (Empire).” World History Encyclopedia. Last modified July 22, 2019.
https://www.worldhistory.org/Parthia_(Empire)/.
Abrahamian, Ervand. 2018. A History of Modern Iran. 2nd ed. Cambridge University Press.
BBC. 2020. “Iran Profile – Timeline.” BBC, January 6.
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-14542438
Council on Foreign Relations – cfr. n.d. “The Kurds’ Quest for Independence.” Accessed August 31, 2022.
https://www.cfr.org/timeline/kurds-quest-independence
Crabben, Jan van der. 2011. “Levant.” World History Encyclopedia. Last modified April 28, 2011.
https://www.worldhistory.org/levant/.
Fantappie, Maria and Nasr, Vali. 2023. “A New Order in the Middle East?.” Foreign Affairs, March 22.
https://www.foreignaffairs.com/china/iran-saudi-arabia-middle-east-relations.
Hartz, Paula R. 2009a. Zoroastrianism. 3rd ed. Chelsea House.
— 2009b. Baha’i Faith. 3rd ed. Chelsea House.
Holland, Tom. 2007. Persian Fire: The First World Empire and the Battle for the West. Anchor Books.
Internet Movie Database (IMDb).
Khan, Syed Muhammad. 2019a. “Prophet Muhammad.” World History Encyclopedia. Last modified December 02, 2019. https://www.worldhistory.org/Prophet_Muhammad/.
— 2019b. “Islam.” World History Encyclopedia. Last modified November 25, 2019. https://www.worldhistory.org/islam/.
— 2020. “Rashidun Caliphate.” World History Encyclopedia. Last modified January 10, 2020. https://www.worldhistory.org/Rashidun_Caliphate/.
Kheirabadi, Masoud. 2003. Iran. Chelsea House.
Louër, Laurence. 2020. Sunnis and Shiʻa: A Political History of Discord. Translated by Ethan Rundell. Princeton University Press.
Mark, Joshua J.. 2018a. “Mesopotamia.” World History Encyclopedia. Last modified March 14, 2018. https://www.worldhistory.org/Mesopotamia/.
— 2018b. “Fertile Crescent.” World History Encyclopedia. Last modified March 28, 2018. https://www.worldhistory.org/Fertile_Crescent/.
— 2019a. “Zoroastrianism.” World History Encyclopedia. Last modified December 12, 2019. https://www.worldhistory.org/zoroastrianism/.
— 2019b. “Behistun Inscription.” World History Encyclopedia. Last modified November 28, 2019. https://www.worldhistory.org/Behistun_Inscription/.
— 2020a. “Zorvanism.” World History Encyclopedia. Last modified January 06, 2020. https://www.worldhistory.org/Zorvanism/.
— 2020b. “Avesta.” World History Encyclopedia. Last modified January 08, 2020. https://www.worldhistory.org/Avesta/.
— 2020c. “Fire Temple.” World History Encyclopedia. Last modified February 11, 2020. https://www.worldhistory.org/Fire_Temple/.
McHugo, John. 2018. A Concise History of Sunnis & Shi‘is. Georgetown University Press.
Murray, Williamson, and Woods, Kevin M. 2014. The Iran-Iraq War: A Military and Strategic History. Cambridge University Press.
Newman, Andrew J.. 2006. Safavid Iran: Rebirth of a Persian Empire. I.B. Tauris.
Rose, Jenny. 2011. Zoroastrianism: A Guide for the Perplexed. Bloomsbury.
Taheri, Amir. 1985. The Spirit of Allah: Khomeini and the Islamic Revolution. Hutchinson.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি