উপমহাদেশ

Spread the love

Featured Image: Reuters and AFP via the Scroll.

বাংলা মানচিত্র ব্লগ

নোট: উপমহাদেশ আজকে তিনটি জাতি-রাষ্ট্রে ভাগ হয়ে আছে। পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ। কিন্তু জাতি-রাষ্ট্রের আগে এই ভূখণ্ডে মানুষ ছিল। তাঁদের মধ্যে ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতির ফারাক ছিল। কিন্তু নানান অর্থেই এই মানুষেরা আন্তঃসম্পর্কিত ছিল। সেই সম্পর্ক কখনো তৈরি হয়েছে সাম্রাজ্য ও বাণিজ্য বিস্তারের স্বার্থে, কখনো ধর্মের প্রচারে, কখনো স্রেফ জীবিকার তাড়নায়। পরিচয়ের নামে উন্মত্ততার রাজনীতির যে ভীতিকর উত্থান পুরো উপমহাদেশ জুড়ে ঘটছে, তাকে পরাস্ত করে অধিকতর মানবিক ভবিষ্যতের দিকে যেতে চাইলে সেই আন্তঃসম্পর্কের স্মৃতি আমাদের মনে রাখা জরুরি।

পূর্বসাল

১ কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে উপমহাদেশে বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে শুরু করল।

১ কোটি ১০ লক্ষ বছর আগে উপমহাদেশে বিভিন্ন পশুপাখির অভিবাসন প্রক্রিয়া শেষ হল।

৬৫-৪৪ লক্ষ বছর আগে উপমহাদেশে বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেল।

৫ লক্ষ বছর আগে এ সময় ভারত ও পাকিস্তানে প্রাচীন প্রস্তর যুগের আদিম মানব প্রজাতি ঘোরাফেরা করছেন।

৩-১.৫ লক্ষ বছর আগে সিন্ধু উপত্যকায় প্রাচীন প্রস্তর যুগের বসতি স্থাপিত হল।

৬৫ হাজার বছর আগে আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে আসা মানুষেরা উপমহাদেশে পৌঁছলেন।

৬২-৩৫ হাজার বছর আগে উপমহাদেশে এ সময় প্রাগৈতিহাসিক মানুষের নিবাস ছিল।

৪৫-২০ হাজার বছর আগে প্রথম উপমহাদেশবাসীরা এ সময় ছোট পাথরের হাতিয়ার (microlithic) প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন।

৭০০০-২৬০০ মেহেরগড়।*
* সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতার গ্রামীণ পটভূমি বিবেচিত হয়।

৭০০০ সিন্ধু উপত্যকায় এ সময় ধর্মীয় চর্চা চালু ছিল, তার পক্ষে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

৬০০০ রাজস্থান ও কাশ্মীরে কৃষিকাজ শুরু হল।

৫০০০ মেহেরগড়ে এ সময় তুলা চাষ শুরু হয়।

৪০০০ সিন্ধু উপত্যকায় স্থাপিত হল বহু কৃষি বসতি।

৩৩০০-১৩০০ সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা

৩১০২ ফেব্রুয়ারি ১৭/১৮ কলি যুগয়ের সূচনা।*
* হিন্দু পুরাণে সময় যে চারটি চক্রে বিভক্ত, তাঁর শুরু বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। ইন্টারেস্টিংলি, ইতিহাস বা সভ্যতার বয়স ৫ হাজার বছর, এরকম একটি মত চালু আছে। যা এই তারিখের সাথে বেশ মিলে যায়। আমরা মনে রাখতে পারি, এই সময়ই মেহেরগড়ের গ্রাম জীবন ছেড়ে হরপ্পার নগর জীবনে আসতে শুরু করেন মানুষ। হয়তো অনেকেই পরিবর্তনটা মেনে নিতে পারেন নাই। তাই এটাকে অধঃপতনের যুগের শুরু হিসেবে দেখেছেন, নগরের প্রতি প্রকাশ করেছেন অন্তহীন আক্রোশ। নগরের প্রতি আক্রোশ অবশ্য সেমিটীয় পরম্পরায়ও আছে, বাইবেলে বহু পাপের নগরীর কথা মেলে।

২৮০০-১৯০০ মহেঞ্জো দারো আর হরপ্পার মত নগরগুলোর উত্থান।

২৬০০-২৫০০ উপমহাদেশে ব্রোঞ্জযুগের সূচনা।

২৬০০ সিন্ধু উপত্যকায় গড়ে উঠল শত শত শহর ও নগর।

২৬০০-১৭০০ হরপ্পার নগরায়ন: পরিণত (Mature) ও আখেরি জামানার (Late) হরপ্পা।

২৫০০ সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতায় ব্যবহৃত লিপির আদিতম ব্যবহার।*
* এই লিপির পাঠোদ্ধার করা এখনো সম্ভব হয়নি।

২০৫০ ইন্দো-ইরানিরা এ সময় ইরান ও আফগানিস্তানে বসতিস্থাপন করছেন।

২০০০-১৬০০ হরপ্পায় নাগরিক সভ্যতার পতনের কাল শুরু হল।

২০০০-১০০১ মধ্য এশিয়া থেকে ভারতের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল ও পাকিস্তানে যাযাবর আর্যদের আগমন।*
* “হিন্দুত্ববাদী চিন্তকরা একটা বহির্গমন তত্ত্ব প্রচার করেন। যার সারকথা হচ্ছে, সংস্কৃতভাষী আর্যদের উৎপত্তিস্থল ভারত। সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা বাকি দুনিয়ায় গেছেন। এই তত্ত্বের অসারতা দেখিয়ে দিয়েছেন টনি জোসেফ। তিনি খেয়াল করেছেন যে, বহির্গমন তত্ত্বটির পক্ষে “একটাও বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র নেই, যা সতীর্থদের দ্বারা যাচাই করা হয়েছে।” […] হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা প্রায়শই আরেকটা দাবি করে থাকেন। উপমহাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে যে একটি প্রাচীন সভ্যতা ছিল, সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা, আর্যদের আগমনের কয়েকশো বছর আগে ক্ষয়লাভ করেছিল; তাদের দাবি বৈদিক সভ্যতা সেটির ধারাবাহিকতা। হিন্দুত্ববাদের অনুসারীরা অসততার বিস্ময়কর পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন। যার মধ্যে রয়েছে সম্পূর্ণরূপে জাল প্রমাণ বানানো। যেমন, ঘোড়ার সীলমোহর। এই জালিয়াতির উদ্দেশ্য হচ্ছে সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা আর বৈদিক সংস্কৃতিকে এক করে দেখানো (উইজেল ও ফার্মার ২০০০)। বহির্গমন তত্ত্বের মত এই প্রমাণেরও একটাই সমস্যা। এই হাওয়াই দাবির কোন বিদ্যায়তনিক ভিত্তি নেই।” (Truschke 2020, translation mine)

২০০০-১৫০০ ভারতীয় সভ্যতার কেন্দ্র সরস্বতী নদী উপত্যকা থেকে গঙ্গা নদীর উপত্যকায় স্থানান্তরিত হল।

১৯০০ সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতার অবসানের সূচনা।

পূর্বসাল ১৫০০-৫০০ সাল গান্ধারা সভ্যতা।*
* পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চল ও আফগানিস্তানের অধিকাংশ অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল প্রাচীন গান্ধারা অঞ্চল।

১৫০০-৫০০ উপমহাদেশের বিভিন্ন অংশে নব্যপ্রস্তরযুগীয় ও তাম্রপ্রস্তরযুগীয় সংস্কৃতি। মূলত উপদ্বীপে মহাপাথুরে (megalithic) সমাধির অস্তিত্ব।

১৫০০-১০০০ ঋগ্বেদয়ের সম্ভাব্য রচনাকাল।

আধুনিক পণ্ডিতদের হিসেবে, ইরানি নবি জরাথুস্ট্রের জীবনকাল।* জরাথুস্ট্রবাদের পবিত্র বই আবেস্তা নামে পরিচিত, এসময়ই তা মৌখিকভাবে বিকশিত হতে শুরু করে। আবেস্তার সাথে ঋগ্বেদের বহু মিল পাওয়া গেছে।**
* প্রাচীন পারস্যের ধর্ম ছিল একটি বহুঈশ্বরবাদী ধর্ম। প্রাচীনেরা বিশ্বাস করতেন, সুনীতির প্রতীক খোদা আহুরা মাজদা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, সৃষ্টি করেছেন তিনি একইসাথে আনাহিতা আর মিথ্রার মত গৌণ উপাস্যদেরও। আহুরা মাজদার শত্রু হচ্ছে দুর্নীতির প্রতীক খোদাদ্রোহী আংরা মান্যু, অন্ধকারের শক্তিগুলোর অধিপতি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করাই যার কাজ। সুনীতি আর দুর্নীতির মধ্যে নিরন্তর লড়াই চলছে। আদিপিতা মাশ্যা আর আদিমাতা মাশ্যানা আংরা মান্যুর ধোঁকাবাজির শিকার হয়ে আহুরা মাজদার পথ থেকে দূরে সরে যান। তবে তাঁদের উত্তরসূরী মানুষেরা স্বাধীন ইচ্ছার অধিকারী। তারা অন্ধকারের পরিবর্তে আলোর পথে হাঁটতে পারে। স্বার্থপরতার চেয়ে উন্নততর মূল্যবোধের চর্চা করতে পারে। নবি জরাথুস্ট্র এই বিশ্বাসে মৌলিক পরিবর্তন আনেন। তিনি বলেন, এতকাল লোকে ধর্মটাকে ভুল বুঝেছে। আহুরা মাজদা প্রধান নন, এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি সর্বশক্তিমান, তাই তাঁর কোন শরিক নেই। অন্য কথিত উপাস্যরা আসলে তাঁরই গুণের বহিঃপ্রকাশ। এভাবে একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম হয়ে উঠল জরাথুস্ট্রবাদ। তবে স্বাধীন ইচ্ছার চিন্তাটা মেনে নিয়েছিলেন জরাথুস্ট্র। তাঁর ধর্মে মানুষ নিয়তির হাতের পুতুল নয়। তারা স্বাধীন ইচ্ছা ব্যবহার করার সামর্থ্য রাখে।
** জরাথুস্ট্রবাদ সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে দেখুন, (Hartz 2009a).

১৩০০ সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা এসময় পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যায়।*
* একসময় “আর্য আগ্রাসন”কে দায়ী করা হত। বর্তমানে এই আগ্রাসন তত্ত্ব অতিকথা বিবেচিত হয়। ধারণা করা হয়, সম্ভবত কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতার মানুষেরা অঞ্চলটি ছেড়ে চলে গিয়ে থাকবে।

১২০০-৯০০ অথর্ববেদ, যজুর্বেদ, ও সামবেদগুলোর সম্ভাব্য রচনাকাল।

১২০০-৬০১ এ সময় ভারতে নির্মিত হচ্ছে রঙিন ধূসর মৃৎপাত্র।

১২০০-৫০০ বর্তমান উত্তর ভারত জুড়ে আর্য সংস্কৃতির বিস্তার। গড়ে উঠতে থাকল বহু কতিপয়তন্ত্র ও রাজত্ব।

১২০০-৪০০ বাংলায়* পশ্চিম থেকে আর্যদের আগমন।**
* বাংলা বলতে এই রচনায় ১৯৪৭ সালপূর্ব সময়ে বর্তমান বাংলাদেশ ও ভারতীয় বাংলার অন্তর্গত যে ভূখণ্ড তাকে বুঝাবে।
** এ সময়ই কখনো বর্তমান বাংলাদেশের রাজশাহী ও রংপুরে পুন্ড্র রাজ্যের উত্থান ঘটে, যা পুন্ড্রবর্ধন নামে অধিক পরিচিত।

১০০০ উপমহাদেশে লৌহযুগের সূচনা। বাংলায় দক্ষিণ থেকে দ্রাবিড়দের আগমন।*
* বাংলা শব্দটির সত্যিকার উৎস কেউই জানেন না। অনেকগুলো তত্ত্ব রয়েছে। এর একটি হল, এ সময় যে দ্রাবিড়রা বাংলায় বসতি গেড়েছিলেন, তাঁদের একটি গোত্রের নাম বঙ্গ থেকেই বাংলা।

৯৫০-৬৫০ মুখের ভাষা হিসেবে সংস্কৃতের ব্যবহার হ্রাস পেল।

৮০০-৬০০ ব্রাহ্মণ্যগুলোর সম্ভাব্য রচনাকাল।

৭৫০ উপমহাদেশের বিভিন্ন সংস্কৃতিতে প্রাকৃত ভাষাগুলোর বিকাশ ঘটছে।

৭০০ মহাস্থানগড়ে* এ সময়ে নাগরিক সভ্যতার বিকাশ ঘটছে।
* পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী, বর্তমান বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় অবস্থিত।

৬০০-৫০১ লোহার নিদর্শনের ব্যবহার পরিসর ও সংখ্যায় বাড়ল।

৬০০-৩৪৫ গাঙ্গেয় উপত্যকায় নগরায়ন, গড়ে উঠল ১৬টি মহাজনপদ।*
* অবন্তী, অশ্মক, অঙ্গ, কম্বোজ, কাশী, কুরু, কোশল, গান্ধার, চেদি, বৃজি, বৎস, পাঞ্চাল, মগধ, মৎস্য, মল্ল ও শূরসেন।

৬০০-৫০০ আরণ্যকগুলোর সম্ভাব্য রচনাকাল।

৬০০-১০১ এ সময় ভারতে নির্মিত হচ্ছে কালো রঙপালিশ মৃৎপাত্র।

৫৯৯-৫২৭/৫৬০-৪৬৭ মহাবীর বর্ধমানের জীবনকাল। জৈনধর্মের অনুসারীদের ২৪তম তীর্থঙ্কর বলে বিবেচিত হন। অহিংসা, তপশ্চর্যা, ও নিরামিষবাদ প্রচার করেছেন মহাবীর।

৫৬৩-৪৮৩/৪৮০-৪০০ সিদ্ধার্থ গৌতমের জীবনকাল। “বুদ্ধ” নামেই অধিক পরিচিত। রাজপরিবারে জন্মেছিলেন; জগতের মায়া কাটাতে গৃহত্যাগ করেন, নির্বাণ লাভ করে পরিশেষে বৌদ্ধধর্ম* প্রবর্তন করেন।
* বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে দেখুন, (Wangu 2009a).

৫৪৪-৪১৩ মগধে হর্ষঙ্ক রাজবংশ

৫৪৪-৪৯২ মগধে বিম্বিসারের রাজত্বকাল।

পূর্বসাল ৫২০-৩২৫ সাল গান্ধারায় হাখমানেশি শাসন।

৫০০-৪০১ বাংলায় নাগরিক সভ্যতা। দূর দেশের সাথে সামুদ্রিক বাণিজ্য চালু হচ্ছে। প্রথমবারের মত বিবেচনাযোগ্য আকারের রাষ্ট্র গড়ে উঠছে। এসময় ইন্দো-ইওরোপীয় ভাষাগুলো পশ্চিম থেকে ছড়িয়ে পড়ছে। আর্য সংস্কৃতির বিস্তার। বাংলার অঞ্চলগুলো ও মানুষেরা নিজেদের বঙ্গ, গৌড়, রাঢ়, পুন্ড্র, বরেন্দ্র, সমতট, হরিকেল ইত্যাদি শব্দ দ্বারা নির্দেশিত করছেন।

৫০০-৪০০ আদিপর্বের উপনিষদগুলোর সম্ভাব্য রচনাকাল।

৫০০-২০০ ধর্মশাস্ত্রগুলোর সম্ভাব্য সংকলন।*
* এগুলো আইনের বই।

৫০০ শ্রৌতসূত্রগুলোর* সম্ভাব্য রচনাকাল।
* শ্রৌতসূত্রগুলোতে প্রাচীন ভারতের রাজাদের সিংহাসন আরোহণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অভিষেকানুষ্ঠান ও উচ্চবর্ণীয়দের নানাবিধ উপলক্ষ্যে বলিদানের বিবরণ পাওয়া যায়।

যাস্ক, নিরুক্ত

৪৯২-৪৬০ মগধে অজাতশত্রুর রাজত্বকাল।

৪৫০ স্থাপিত হল গঙ্গাঋদ্ধি রাজ্য। উয়ারী-বটেশ্বরে নাগরিক সভ্যতা।*
* বর্তমান বাংলাদেশের নরসিংদীতে অবস্থিত।

শৌনক, বৃহদেবতা

৪১৩-৩৪৫ মগধে শিশুনাগ রাজবংশ

৪০০-১০০ শেষপর্বের উপনিষদগুলোর সম্ভাব্য রচনাকাল।

৪০০ জৈমিনি, পূর্ব মীমাংসা সূত্র ও বাদরায়ণ, বেদান্ত সূত্র

৩৬২-৩২১/৩৪৫-৩২২ মগধ ও গাঙ্গেয় উপত্যকায় নন্দ সাম্রাজ্য

৩৪৫-৩৪০ মহাপদ্ম নন্দের রাজত্বকাল।

৩২৯-৩২২ ধন নন্দের রাজত্বকাল।

৩২৬ খাইবার পাস দিয়ে উপমহাদেশে ঢুকলেন সেকান্দার শা। পাঞ্জাবের রাজা পুরুকে যুদ্ধে পরাস্ত করলেন। পরে অবশ্য পুরুর সাথে তার বন্ধুত্ব হয়ে গেছিল।

৩২৫/৩২০-১৮৫ মৌর্য সাম্রাজ্য

৩২৫-৩২০ গান্ধারায় গ্রিক শাসন।

৩২০-১৮০ গান্ধারায় মৌর্য শাসন।

৩২০-২৯৭ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজত্বকাল।

৩০৩ দক্ষিণ আফগানিস্তানে এক যুদ্ধে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের কাছে হেরে যান প্রাচ্যে সেকান্দার শার এক সেনাপতি সেলুকাস, প্রথম নিকাটোর। তবে ব্যাকট্রিয়া রাজ্যটি দখলে রাখতে সমর্থ হন। উভয়ের মধ্যে একটা শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়, চন্দ্রগুপ্তের কাছ থেকে পাওয়া ৫০০ হাতির বিনিময়ে ভারতবর্ষের ওপর নিজের দাবি ছেড়ে দেন সেলুকাস, প্রথম নিকাটোর।

পূর্বসাল ৩০০-৩০০ সাল রচিত হল মহাভারত।*
* মহাভারতয়ের আদি নাম ছিল জয় সংহিতা। শুরুতে এতে ছিল মাত্র ৮ হাজার ৮০০টি স্তবক। পরে স্তবকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৪ হাজার। সেইসাথে বদলে গেল বইটির নাম, হল ভারত। চূড়ান্ত রূপে স্তবকের সংখ্যা ১ লাখে পৌঁছাল। ফলে, বইটির নাম আবারও বদলে হল শতসহস্রী সংহিতা। আজকে এই চূড়ান্ত রূপটিই মহাভারত নামে পরিচিত। (শর্মা ২০১৭)

৩০০-২০১ এ সময় প্রাকৃত ভাষায় শিলালিপি খোদাই করা হচ্ছে।

৩০০-২০০ বৈশেষিক দর্শনের ধারা প্রতিষ্ঠা করলেন মহর্ষি কণাদ।

ভরত মুণি, নাট্যশাস্ত্র

৩০০-১০০ ধর্মসূত্রগুলোর সম্ভাব্য রচনাকাল।

৩০০ বাংলায় মৌর্য শাসনের সূচনা। গৃহ্যসূত্রগুলোর সম্ভাব্য রচনাকাল।*
* গৃহ্যসূত্রগুলোতে পাই প্রাচীন ভারতের পারিবারিক আচার-অনুষ্ঠানের বিবরণ।

পাণিনি, অষ্টাধ্যায়ী

২৯৭-২৭৩ বিন্দুসার মৌর্যের রাজত্বকাল।

২৬৯-২৩২ অশোক মৌর্যের রাজত্বকাল।

২৬২ বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হলেন রাজা অশোক। ন্যায়ানুগ শাসনের বর্ণনা দিয়ে ১৪টি ফরমান জারি করলেন। যা শাসক হিসেবে তাঁর ক্ষমতাকে সীমিত করল।

২৫০ পাটালিপুত্রে অনুষ্ঠিত হল তৃতীয় বৌদ্ধ কাউন্সিল।

পূর্বসাল ২০০-২০০ সাল বাল্মীকি, রামায়ণ

২০০-১০০ ন্যায় দর্শনের ধারা প্রতিষ্ঠা করলেন গৌতম।

২০০-১ বর্তমান দাক্ষিণাত্য শাসন করতে শুরু করলেন অন্ধ্র বা সাতবাহন রাজারা। তৃতীয় শতাব্দী সাল পর্যন্ত চলবে এই শাসন।

২০০ এ সময়ই কখনো অজন্তায় গুহাচিত্র আঁকা শুরু হয়।

১৮৬ গান্ধারা অঞ্চলে একটি নিষ্পত্তিমূলক বিজয় লাভ করলেন গ্রেকো-ব্যাকট্রীয় রাজা দিমিত্রিয়াস, অত্র অঞ্চলে যবন শাসনের সূচনা।*
* যবন সংস্কৃত শব্দ। আদিতে সম্ভবত গ্রিসের আয়োনীয় দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা বুঝাত। পরে শব্দটি নিন্দার্থে অহিন্দু অর্থ লাভ করে।

১৮০-৮০ গান্ধারায় ইন্দো-গ্রিক শাসন।

১৫০ পতঞ্জলি, যোগসূত্র

পূর্বসাল ২০০-১০০ সাল তোলাকাপ্পিয়াম ও জৈমিনি, মীমাংসাসূত্র

১৮০-৬৮ মগধে শুঙ্গ সাম্রাজ্য

পূর্বসাল ১৫০-২২৪ সাল সাতবাহন রাজবংশ

১০০-১ উপমহাদেশে শক আক্রমণ।

পূর্বসাল ৮০-৭৫ সাল গান্ধারায় সিথীয়-পার্থীয় শাসন।

৬৮-২২ কাহ্ন রাজবংশ।

৫৮ হিন্দু পঞ্জিকায় বিক্রম যুগের সূচনা।

৫৫-৫০ ইন্দো-শক রাজারা গান্ধারা ও পশ্চিম পাঞ্জাব দখল করে নেন।

পূর্বসাল ৫০-৫০ সাল রুমিদের সাথে ভারতীয়দের সমুদ্র বাণিজ্যের সমৃদ্ধির উৎকর্ষকাল।

সাল

১-১০০ দক্ষিণ ভারতে পাণ্ড্য, চেরা, ও চোলা রাজ্য। তামিলনাড়ুতে ভরত নট্যম নাচের উৎপত্তি। দক্ষিণপূর্ব এশিয়া আর চীনে পৌঁছে গেল বৌদ্ধধর্ম।

১-২০০ দক্ষিণ ভারতের কেরালার কোদুনগাল্লুরে বসতিস্থাপন করল ইহুদিরা।

৩০-৩৭৫ কুশান সাম্রাজ্য

৫০ তক্ষশীলায় সেইন্ট টমাসের ধর্মপ্রচারক দলের আগমন ঘটল।

৫২ ভারতে এলেন জেসাসের অন্যতম শিষ্য সেইন্ট টমাস। তিনি শায়িত আছেন বর্তমান ভারতের চেন্নাইয়ে (মাদ্রাজ)। তাই স্থানীয় খ্রিস্টানরা নিজেদেরকে টমাস/সিরীয় খ্রিস্টান বলে।

৭৫ গুজরাতের এক রাজকুমারের জাভা অভিযান।

৭৫-৪৫০ গান্ধারায় কুশান শাসন। কালপর্বটি গান্ধারা সভ্যতার স্বর্ণযুগ বলে বিবেচিত হয়। শিল্প ও স্থাপত্যকলার ব্যাপক সমৃদ্ধির জন্য পরিচিত।

৭৮ কুশান সম্রাট হিসেবে কনিষ্কের রাজ্যাভিষেক। শকাব্দের সূচনা।

১০০-৩০০ দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে রচিত হচ্ছে সঙ্গম সাহিত্য।

১০০ সাংখ্য দর্শনের প্রবক্তা কপিলের জন্ম।

ভগবত গীতা ও মনু, ধর্মশাস্ত্র

১০১-৫০০ এ সময় সংস্কৃত ভাষায় শিলালিপি খোদাই করা হচ্ছে।

১১২-১৪৪/১২৭-১৫০ রাজা কনিষ্কের শাসনকাল।

১৫০ পশ্চিম ভারত শাসন করছেন শক ক্ষত্রপ রাজা রুদ্রদমন। জুনাগড়ে প্রথম সংস্কৃত শিলালিপি প্রকাশ করেন তিনি। ক্লডিয়াস টলেমির মানচিত্রে গঙ্গাঋদ্ধি রাজ্যটি দেখানো হল।

২০০ কম্বোডিয়া ও মালয়েশিয়ায় স্থাপিত হল হিন্দু রাজ্য।

কৌটিল্য, অর্থশাস্ত্র

২৭৫-৮৯৭ দাক্ষিণাত্যে পল্লব সাম্রাজ্য

২৪০-৫৭৯ গুপ্ত সাম্রাজ্য

২৫০ তামিলনাড়ুর পল্লব রাজারা তাঁদের রাজধানী কাঞ্চিপুরামে কামাক্ষী মন্দির কমপ্লেক্স নির্মাণ করলেন।

২৫০-৫০০ মৎস্যপুরাণ

২৫০-৫৫০ মার্কণ্ডেয় পুরাণ।*
* দেবীমাহাত্ম্য অংশটুকু প্রক্ষিপ্ত।

২৫৫-৫৫০ ভকতক রাজ্য।

৩০০ পঞ্চতন্ত্র ও বাৎস্যায়ন মল্লনাগ, কামসূত্র

৩২০-৫৫০/৭০০ গুপ্ত সাম্রাজ্য। সম্রাটরা বৈষ্ণবমত* ও শৈবমত** উভয়েরই পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। বৌদ্ধদের প্রতিও সহিষ্ণুতা দেখাচ্ছেন।
* বৈষ্ণবরা বিষ্ণু ও তাঁর অবতারদের উপাসনা করেন, যাঁদের মধ্যে রাম আর কৃষ্ণই প্রধান।
** শৈবরা শিবের উপাসক।

৩৩৫-৮০ “গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ রাজা” বিবেচিত সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকাল।

৩৩৫ বাংলাকে গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হল।

৩৫০-৯৫০ ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ

৩৮০-৪১৩/১৫ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্যের রাজত্বকাল।

৪০০-৪৭৭ শকুন্তলামেঘদূতয়ের লেখক কবি কালীদাসের জীবনকাল।

৪০০ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে হিন্দুধর্মের* বিস্তার ঘটছে।
* হিন্দুধর্ম সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে দেখুন, (Wangu 2009b).

তামিলনাড়ুর ৬৩ জন শৈব সাধুর প্রথমজন কারাইকালাম্মাইয়ারের মৃত্যু।

৪০০-৫০০ ইলানকো আতিকাল, চিলাপ্পাতিকারাম

৪০১-৫০০ বর্তমান ভারতে এলেন চীনা পরিব্রাজক ফা হিয়েন। এ সময়ই কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।

৪৫০ হরিবংশবিষ্ণুপুরাণ

৪৪০-৫৬০ হেপথালীয় সাম্রাজ্য

৪৫০-৯০০ বামনপুরাণ

৪৫৫-৪৮৪ গান্ধারায় শ্বেত হুন রাজা তেজিন তুনজিনার রাজত্বকাল।

৪৫৪, ৪৯৫ ভারতে হুন-এফথালাইটরা পরপর দুটি আক্রমণ চালাল।

৪৭০ উপমহাদেশে হেপথালীয় বা শ্বেত হুনদের অভিযানের সূচনা।

৪৮৪/৪৯৩-৫১৫ শ্বেত হুন রাজা তোরমানের রাজত্বকাল।

৫০০-৮০০ তেভামারয়ের রচয়িতা নয়নমার শৈব তামিল কবিদের যুগ।

৫০১-১১০০ এ সময় দক্ষিণ ভারতের একাংশ শাসন করছে পল্লব রাজবংশ।

৫০১-৬০০ উপমহাদেশে এলেন চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং।

৫১৫-৫৩৩/৫৪০ গান্ধারায় শ্বেত হুন রাজা মিহিরকুলের রাজত্বকাল।

৫৩০ বঙ্গে গোপচন্দ্রের স্বাধীন রাজ্য।

৫৪৩-৭৫৩ দক্ষিণ ও মধ্য ভারতে বাদামি চালুক্য রাজবংশ

৫৬৫ পারস্যের প্রথম খসরু আর তাঁর তুর্কি মিত্রদের একটি যৌথ বাহিনী শ্বেত হুনদের পরাস্ত করলেন।

৫৪৩-৪৪ উত্তরবঙ্গে গুপ্তশাসন অব্যাহত।

৫৫০-৮৫০ কূর্মপুরাণ

৫৬৭-৯৭ বঙ্গে অভিযান চালালেন চালুক্যের রাজা কীর্তিবর্মণ।

৫৭০-৬৭০ শৈব সাধু আপ্পার ও সাম্বানথারের জীবনকাল।

৫৮১-৬০০ উত্তরবঙ্গে অভিযান চালালেন তীব্বতের রাজা স্রং-সান।

৫৯০-৯২০ প্রথম পাণ্ড্য রাজবংশ।

৫৯৩ গৌড়ে জয়নাগের স্বাধীন রাজ্য।

৬০০-৭৫০ পদ্মপুরাণ

৬০০-৯৩০ তামিলনাড়ুয় দেখা দিলেন ১২ জন আলভার বৈষ্ণব সাধু, বিষ্ণু ও তাঁর অবতারদের প্রশংসা করে ৪০০০এরও বেশি গান ও কবিতা লিখলেন।

৬০০-১০০০ লিঙ্গপুরাণ

৬০৫-৬৩৭ গৌড়ে শশাঙ্কের উত্থান।

৬০৬-৪৭ এ সময় বর্তমান উত্তর ভারত শাসন করছেব হর্ষবর্ধন।

৬২৯-৪৫ বর্তমান ভারতে এলেন চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং।

৬২৪-১১৮৯ দক্ষিণ ভারতে ভেঙ্গি বা পূর্ব চালুক্য রাজবংশ

৬৩৬/৪৪ ভারতীয় জলদস্যুদের ওপর রাশিদুন খেলাফতের আক্রমণ।

৬৩৮ আরাকানের রাজা কর্তৃক প্রবর্তিত হল মঘী সন।

৬৪০ চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙের বর্ণনায় পূর্ববঙ্গের কথা উল্লেখ করা হল।

৬৪৪ রাশিদুন খেলাফতের বালুচিস্তান জয়।*
* বালুচিস্তান বর্তমান পাকিস্তানের ৭টি প্রশাসনিক অঞ্চলের একটি।

৬৪৭-৪৮ বঙ্গ আক্রমণ করলেন তীব্বতরাজ ওয়েন হিয়েন সে।

৬৫০ বঙ্গে খরগ রাজবংশ, সমতট ও ত্রিপুরায় রাত রাজবংশ।

৬৫০-৭৫০ উত্তরবঙ্গে মাৎস্যন্যায় পর্ব

৬৫০-৮০০ আদি পর্বের তন্ত্র

৭০০-৮০০ জরথুস্ট্রবাদীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ভারতবর্ষে চলে আসলেন, বর্তমানে যারা পার্সি নামেই বেশি পরিচিত। এরা হাজার বছর ধরে আবেস্তা সংরক্ষণ করেছেন। অগ্নি মন্দিরের ঐতিহ্য নতুন ভূখণ্ডেও জারি রেখেছেন।

৭০০-৭৫০/৭৮৮-৮২০ আদি শঙ্করের জীবনকাল। মালাবার উপকূলে জন্ম নিয়েছিলেন এই বিখ্যাত দার্শনিক। অদ্বৈত দর্শনকে সুসংহত রূপ প্রদান করেন তিনি।

৭০১-১২০০ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রথমবারের মত মুসলমানদের আগমন।

৭০০-১১০০ স্কন্ধপুরাণ

৭১২ উমাইয়া খেলাফতের পক্ষে আরব সেনাপতি মুহাম্মদ ইবনে কাশিমের সিন্ধ বিজয়।*
* সিন্ধ বর্তমান পাকিস্তানের ৭টি প্রশাসনিক অঞ্চলের একটি।

৭৩০-১০৩৬ গুর্জর-প্রতিহার রাজবংশ

৭৩৬ প্রতিষ্ঠা করা হল দিল্লির প্রথম শহর ধিল্লিকা।

৭৫০-১৫০০ ভারতের মধ্যযুগীয় পুরাণগুলো এ সময়কালের মধ্যে রচিত।

৭৫০-১৩৫০ শিবপুরাণ

৭৫০-১১৬১ পূর্ব ভারতে পাল সাম্রাজ্য

৭৫০-৮০০ বঙ্গে দেব রাজবংশ।

৭৫৩-৯৮২ রাষ্ট্রকূট সাম্রাজ্য

৭৫৬-৮১ গোপালের রাজত্ব।

৭৮১-৮২১ ধর্মপালের রাজত্ব।

৮০০ কাশ্মীরী শৈবমতের প্রতিষ্ঠা বসুগুপ্তের জন্ম। তামিলনাড়ুর বালিকা সাধু আন্দালের জন্ম। কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে ভক্তিমূলক কবিতা লেখা আন্দাল ১৬ বছর বয়সে হঠাৎ উধাও হয়ে যান।*
* পরবর্তীকালে দেবী বসুন্ধরার অবতার হিসাবে বিবেচিত হবেন।

মাণিক্যবাসাগর, তিরুভাচাকাম

৮০১-১০০০ আঞ্চলিক ভাষায় শিলালিপি খোদাই করা হচ্ছে।

৮০১-৯০০ বাংলার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে এ সময়ই নির্মিত হয় পাহাড়পুর।

৮১৪-৭৮/৮০ রাজা অমোঘবর্ষের রাজত্বকাল।

৮২১-৮৬১ দেবপালের রাজত্ব।

৮২৫ তামিল শৈব সাধু সুন্দররের জন্ম।

৮৪৮-১২৭৯ দক্ষিণ ভারতের একাংশে চোলা সাম্রাজ্য

৮৫১ দেবপালের মৃত্যু।

৮৮০-৯৩০ তিরুভায়মলির রচয়িতা নাম্মালভারের জীবনকাল।

৯০০-১৩০০ যোগবশিষ্ঠ

৯০০-১০৪৫ বঙ্গে চন্দ্র রাজবংশ

৯০০-১০০০ ব্রাহ্মণ্যমালা তন্ত্র

৯০১-১২০০ ভারতের ওড়িশায় ওড়িশি নাচের উৎপত্তি।

৯০৭ দক্ষিণ ভারতে চোলা ক্ষমতা সংহত করলেন প্রথম পরন্তক।

৯১৬-১২০৩ মধ্য ভারতে ছান্দেলা রাজবংশ।

৯৩০ বঙ্গে শ্রীচন্দ্রের শাসনের শুরু। বিক্রমপুরে রাজধানী স্থাপন করা হল।

৯৫০ এ সময়ের কাছাকাছি কখনো জন্ম নেয় বাংলা ভাষা।

ভাগবতপুরাণ

৯৫৭-১১৮৪ দক্ষিণ ভারতে কল্যাণী বা পশ্চিম চালুক্য রাজবংশ

৯৫৮ সিংহাসনে বসলেন মহীপাল।

৯৬২-১১৮৬ এ সময় আফগানিস্তানের গজনী থেকে বর্তমান ভারতের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল শাসন করছে গজনবী রাজবংশ।

৯৭৩-১০৪৮ আল-বিরুনির জীবনকাল।

৯৭৩ কল্যাণীর চালুক্যদের হাতে রাষ্ট্রকূটরা পরাস্ত হলেন।

৯৮৫-১০১৪ প্রথম রাজারাজের রাজত্বকাল।*
* তাঁর সময়েই ঘটে চোলা ক্ষমতার ব্যাপক বিস্তার।

৯৭৭ আরব সেনাপতি ইবনে শায়বানকে সিন্ধে পাঠানো হল। সিন্ধ প্রদেশে আরও ভূখণ্ড যোগ করতে। তিনি মুলতান জয় করেন।

৯৯৫-১০৪৩ মহীপালের রাজত্ব।

৯৯৭ গজনীর মসনদে আসীন হন সুলতান মাহমুদ, তিন দশকে ১৭ বার উপনিবেশ আক্রমণ করেন।

৯৯৮ আফগানিস্তানের গজনীর মসনদে বসলেন সবুক্তগীনের পুত্র মাহমুদ।*
* ভারতবর্ষে ইনি “গজনীর সুলতান মাহমুদ” নামে পরিচিতি। তাঁর রাজত্ব কুর্দিস্তান থেকে কাশ্মীর আর আমু দরিয়া থেকে গঙ্গা নদী পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। ১০৩০ সালে মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত শাসন করেন মাহমুদ। জীবদ্দশায় মোট ১৭ বার ভারতবর্ষে আক্রমণ চালান। তাঁর বিরুদ্ধে মন্দির লুঠ করার অভিযোগ আছে, আছে হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ, যা সমকালীন ভারতের অন্যতম ঐতিহাসিক বাহাছ। তবে মাহমুদ জ্ঞানবিজ্ঞান ও শিল্পসাহিত্যের সমঝদার ছিলেন। শাহনামার রচয়িতা কবি ফেরদৌসী থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক আল-বিরুনি অনেকেই তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন।

১০০১ সুলতান মাহমুদ প্রথমবার ভারতবর্ষ আক্রমণ করলেন।

১০০১-২১ উত্তর-পশ্চিম ভারতে অভিযান চালাচ্ছেন গজনীর সুলতান মাহমুদ।

১০১৪-৪৪ রাজেন্দ্র চোলার রাজত্বকাল।

১০২১-২৪ বঙ্গে অভিযান চালালেন দক্ষিণ ভারতের রাজেন্দ্র চোল।

১০২৩ উত্তরে অভিযান চালালেন দক্ষিণ ভারতের রাজেন্দ্র চোলা।

১০২৫ চোলাদের নৌ অভিযান।

১০২৬ গজনীর সুলতান মাহমুদ কর্তৃক সোমনাথ মন্দির ধবংসসাধন।

১০৩০ গজনীর সুলতান মাহমুদের মৃত্যু।

আল বিরুনি, কিতাব আল-হিন্দ

১০১৭-১১৩৭/১০৭৭-১১৫৭ রামানুজের জীবনকাল।

১০৪০ তিব্বত সফর করলেন পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান।

১০৪৭ বঙ্গ আক্রমণ করলেন কলচুরীর রাজা লক্ষীকর্ণ। চন্দ্রবংশের পতন।

১০৭০ বরেন্দ্রে কৈবর্ত বিদ্রোহ।

১০৭৫-৮০ বরেন্দ্রে কৈবর্ত রাজত্ব।

১০৭৭ দক্ষিণ ভারতের চোলা রাজ্যের বণিকদের চীন সফর।

১০৮০-১১৫০ বঙ্গে বর্মণ রাজবংশ।

১০৮২-১১২৪ রামপালের রাজত্ব। পালদের পুনরুত্থান।

১১০০-১২০০ মহাদেবী আক্কার জীবনকাল।

১১০১-১২০০ এ সময় সেন রাজ্যের রাজধানী ছিল লক্ষণাবতী।

১১০৬-৬৭/৬৮ লিঙ্গায়ত দর্শনের ধারার প্রতিষ্ঠাতা বাসবের জীবনকাল।

১১১০ বিষ্ণুবর্ধণ ও হৈষালা ক্ষমতার উত্থান।

১১৪২-১২৩০ বাংলায় সেন রাজবংশ

১১৪৩-৭২ চালুক্য বা সোলানকি রাজা কুমারপালের রাজত্ব।

১১৪৮ কলহন, রাজতরঙ্গিনী

১১৫১ আফগানিস্তানে শেষ হয়ে গেল গজনভী বংশের রাজত্ব। আফগান তুর্কিদের আরেকটি রাজবংশ ঘুরীদের রাজত্ব শুরু। ঘুরীরা গজনীতে গণহত্যা চালায়। শহরটির বিখ্যাত লাইব্রেরি ও ভবনগুলো পুড়িয়ে দেন আলাউদ্দিন। ধারণ করেন জাহানসুজ উপাধি। যার অর্থ: “দুনিয়াদগ্ধকারী”।

১১৫৯ বাংলায় ক্ষমতায় আসলেন বল্লাল সেন। সর্বানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন টীকাসর্বস্ব, সংস্কৃত অভিধান অমরকোষের টীকা। আমাদের জানাশোনার মধ্যেই এটিই বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম অভিধান।

১১৬৫ বল্লাল সেনের বরেন্দ্র বিজয়।

১১৭৫ আফগান সমরপ্রভু শাহাবুদ্দিন মুহাম্মদ ঘুরির মুলতান বিজয়।

১১৭৮-১২০৬ লক্ষণ সেনের রাজত্বকাল।

১১৭৮ কম্বনের ইরামাবাতারামের সম্ভাব্য রচনাকাল।*
* রামায়ণের তামিল সংস্করণ।

১১৯১ অযোধ্যায় মালিক হিশাম উদ্দিনের সেনাদলে কাজ পেলেন আফগানিস্তানের হেলমান্দ নদীর ধারের তেরে আগা গ্রাম থেকে আসা ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি।

তরাইনের প্রথম যুদ্ধ।*
* সুলতান মুহাম্মদ ঘুরিকে পরাস্ত করেন রাজপুত পৃথ্বীরাজ চৌহান।

১১৯২ তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ।*
* রাজপুত পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাস্ত করেন ও মৃত্যুদণ্ড দেন মুহাম্মদ ঘুরি।

১১৯৩ ওদন্তপুরীর বৌদ্ধ মহাবিহার বখতিয়ার খলজির হস্তগত হল। তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকাটির নাম রাখলেন বিহার শরিফ। কালক্রমে বিহার একটি প্রদেশের নাম হয়ে গেল।

১২০০ উত্তর ভারতের আদি সূফীদের কাল। জয়দেবের গীতগোবিন্দয়ের সম্ভাব্য রচনাকাল। রামাচরিতময়ের সম্ভাব্য রচনাকাল।*
* রামায়ণের মালয়ালাম সংস্করণ।

১২০৪ লক্ষণ সেনকে হারিয়ে বখতিয়ার খলজির নবদ্বীপ জয়।

১২০৫ বখতিয়ার খলজির সৈন্যরা গৌড়ের পুরাতন রাজধানী লক্ষণাবতী – বর্তমান গৌড় ও মালদহ – দখল করে নিল। এই শহরের নামে বখতিয়ার তাঁর নবলব্ধ রাজ্যের নাম রাখলেন লখনৌতি।* চারদিক থেকেই নদীবেষ্টিত এই রাজ্যের পূর্বে ছিল করতোয়া, পশ্চিমে গঙ্গা, দক্ষিণে পদ্মা, আর উত্তরে তিস্তা।
* আজকের ভারতের বৃহত্তর পাটনা, ভাগলপুর, পূর্ণিয়া, মালদহ এবং বাংলাদেশের রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী ও বগুড়া ছিল এর অন্তর্গত।

১২০৬ তিব্বত জয়ের উদ্দেশ্যে এক বিশাল বাহিনী নিয়ে লখনৌতির সীমান্ত পেরোলেন বখতিয়ার খলজি।

১২০৬-১৫২৬ দিল্লি সুলতানশাহি।*
* দিল্লি সুলতানশাহির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কুতুবুদ্দিন আইবেক। ছোটকালে তাঁকে গোলাম হিসেবে বিক্রি করা হয়েছিল। এই তুর্কিস্তানি গোলামকে কিনে নেন মুহাম্মদ ঘুরি, কালক্রমে আইবেক প্রতিষ্ঠা করেন দিল্লি সুলতানশাহি।

১২০৬-১১ দিল্লিতে কুতুবুদ্দিন আইবেকের রাজত্বকাল।

১২০৬-২৩ বঙ্গে বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেনের রাজত্ব।

১২১১-৮৯ গোলাম রাজবংশ।

১২১১-৩৫ শামসুদ্দিন আলতামাসের রাজত্বকাল।

১২১৩-২৭ গিয়াসুদ্দিন ইওজ খলজির রাজত্ব।

১২১৬-১৩২৭ দ্বিতীয় পাণ্ড্য রাজ্য।

১২২০-২৫ রণবঙ্কমল শ্রীহরিকালদেবের রাজত্ব।

১২২১ ভারতে মঙ্গোল আক্রমণ।

১২২৩-২৪ দক্ষিণ এশিয়ার দেশে দেশে মঙ্গোল আক্রমণ।

১২২৭ দিল্লির সুলতান শামসুদ্দিন আলতামাসের বাহিনী গিয়াসুদ্দিন ইওজ খলজিকে হত্যা করে লখনৌতিকে দিল্লি সুলতানশাহির অন্তর্ভুক্ত করে নিল।

১২২৭-৮৭ লখনৌতি এ সময় দিল্লি সুলতানশাহির অধীনে ছিল।

১২২৮-১৮২৬ এ সময় আসাম শাসন করছে অহোম রাজবংশ।

১২৩০ বাংলার শেষ সেন রাজা কেশব সেনের মৃত্যু।

১২৩৬ আজমিরে সূফী মঈনুদ্দিন চিশতির মৃত্যু।

১২৩৮-১৩১৭ কর্ণাটকের দ্বৈতবাদী দার্শনিক মাধবের জীবনকাল।

১২৪৬-৭৯ শেষ চোলা রাজা তৃতীয় রাজেন্দ্রর রাজত্বকাল।

১২৪১ মঙ্গোলদের লাহোর দখল।

১২৫০ কোনারকের সূর্যমন্দিরের উদ্বোধন।

পালকুরিকি সোমনাথ, বাসবপুরাণ

১২৬০ দশরথদেবের আক্রমণে সূর্য সেনের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলায় সেন রাজত্বের অবসান হল।

১২৬৫-১২৮৭ গিয়াসুদ্দিন বলবনের রাজত্বকাল।

১২৭৯ দিল্লি সুলতানশাহির বিরুদ্ধে লখনৌতির সহকারী প্রশাসক তুগরল খানের বিদ্রোহ। সুলতান গিয়াস উদ্দিন বলবন কর্তৃক বিদ্রোহ দমন। রাজধানীর বাজারে তুগরলের পুরুষ আত্মীয়, মন্ত্রী, আর পাইকপেয়াদাদেরকে পাইকারি হাতে হত্যা করেন বলবন।

১২৮২-৯১ নাসিরুদ্দিন মাহমুদ শাহ ওরফে বুগরা খানের রাজত্ব।

১২৮৪ নাসিরুদ্দিন বুগরা খানের বঙ্গ বিজয়, বিক্রমাদিত্যদেবের পরাজয়।

১২৯০-১৩২০ দিল্লি সুলতানশাহির খলজি রাজবংশ।

১২৯০ দিল্লির সাথে লখনৌতির শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপিত হল, বাড়তে শুরু করল লখনৌতির রাজ্যসীমা।

১২৯০-৯৬ জালালুদ্দিন ফিরোজ শাহের রাজত্বকাল।

১২৯১-১৩০১ রোকনুদ্দিন কায়কাউসের রাজত্ব।

১২৯৬-১৩১৬ আলাউদ্দিন খলজির রাজত্বকাল।

১৩০১-১৪০০ এ সময়ই কখনো ভারতে কাগজের ব্যবহার শুরু হয়।

১৩০৬ ইরাবতী বা রাভি নদীর তীরে মঙ্গোলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।

১৩০৭ দেবগিরি ও ওয়ারঙ্গল দখল করলেন মালিক কাফুর।

১৩১৩ জাফর খাঁ গাজীর সাতগাঁও বিজয়।

১৩১৬-২০ কুতুবুদ্দিন মোবারক শাহের রাজত্বকাল।

১৩২০-১৪১২ দিল্লি সুলতানশাহির তুঘলক রাজবংশ।

১৩২০-২৫ গিয়াসুদ্দিন তুঘলক শাহের রাজত্বকাল।

১৩২৫-৩৮ লখনৌতি, সাতগাঁও, ও সোনারগাঁও দিল্লি সুলতানশাহির অধীনস্ত।

১৩২৫-৫১ মোহাম্মদ শাহের রাজত্বকাল।

১৩২৫ দিল্লির চিশতিয়া তরিকার সূফী নিজামুদ্দিন আউলিয়ার মৃত্যু।

১৩৩০-১৫৬৫ বিজয়নগর রাজ্য।

১৩৩৬ চেঙ্গিজ খানের বংশধর আমির তৈমুরের জন্ম।

১৩৩৮ সোনারগাঁওয়ের প্রশাসক বাহরাম খানের মৃত্যু। তাঁর দেহরক্ষী ফখর দিল্লির কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে সোনারগাঁর সিংহাসনে বসলেন। নতুন নাম নিলেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ।

১৩৩৮-১৫৩৮ স্বাধীন সুলতানদের যুগ।*
* শের খান – পরবর্তীতে শেরশাহ – বাংলা জয় করার আগ পর্যন্ত দুইশো বছর বাংলা স্বাধীন থাকবে।

১৩৩৮-৫২ ফখরুদ্দিন মোবারক শাহি সুলতানদের রাজত্ব।

১৩৪০ ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের কাছে ত্রিপুরারাজ প্রতাপমাণিক্যের পরাজয়।

১৩৪১ আলাউদ্দিন আলী শাহ নামে লখনৌতির সিংহাসনে বসলেন আলী মোবারক, যিনি ছিলেন দিল্লির সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলকের চাচাতো ভাই ফিরোজ বিন রজবের এক বিশ্বস্ত কর্মচারী।

১৩৪২ আলাউদ্দিন আলী শাহের দুধ ভাই ইলিয়াস আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলে সেই যুদ্ধের এক পর্যায়ে আলাউদ্দিন আলী শাহ মৃত্যুবরণ করেন। ইলিয়াস নতুন নাম নিলেন শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ। লখনৌতি আর সাতগাঁওর শাসক হয়ে পান্ডুয়ার মসনদে বসলেন।

১৩৪২-১৪৫২ শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ* ও ইলিয়াসশাহী সুলতানদের রাজত্ব।
* উপাধি শাহ-ই-বাঙ্গাল

১৩৪৫-৪৬ শাহি বাংলা সফর করলেন ইবনে বতুতা।

১৩৪৬ সিলেটে হযরত শাহ জালালের সাথে সাক্ষাৎ করলেন মরক্কীয় পরিব্রাজক ইবনে বতুতা।

১৩৪৭-১৫২৭ বাহমানী সুলতানশাহি।

১৩৫০ শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের নেপাল অভিযান। এ সময় ঋগ্বেদের ভাষ্য লিখছেন সায়ন।

১৩৫১ শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের দিল্লি অভিযান।

১৩৫১-৮৮ ফিরোজ শাহ তুঘলকের রাজত্বকাল।

১৩৫২-১৪৪৮ মিথিলার বিদ্যাপতির জীবনকাল।

১৩৫৩ দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহের সেনাবাহিনী শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের বাহিনীকে ধাওয়া করল।

১৩৫৪ দিল্লিতে ফিরে গেলেন ফিরোজ শাহ।

১৩৫৮ শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের মৃত্যু। মসনদে বসলেন তাঁর পুত্র সেকান্দর শাহ।*
* উপাধি নিলেন ইমাম-উল-আজম। যা প্রকারান্তরে নিজেকে খলিফা ঘোষণা করার সমতুল্য। তিনি ১৩৯০ সাল পর্যন্ত শাসন করেন।

১৩৭৫-১৪৫০ চণ্ডীদাসের জীবনকাল।

১৩৯৩-১৪১০ গিয়াসুদ্দিন আজম শাহের রাজত্ব।

১৩৯৮ আমির তৈমুরের আক্রমণে দিল্লি ধবংস হয়ে গেল।

১৩৯৮-১৫১৮ কবীরের জীবনকাল।

১৪০০ মহাভারতয়ের তামিল সংস্করণ রচনা করলেন ভিল্লিপুত্তুর আলভার। রামায়ণের বাংলা সংস্করণ প্রস্তুত করলেন কৃত্তিবাস ওঝা।

বড়ু চণ্ডীদাস, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

১৪০১-১৫৬২ মালওয়া সুলতানশাহি।

১৪০১-১৬০০ বর্তমান ভারতের আসামে ছত্রিয়া নামের উৎপত্তি।

১৪০৫ চীনের সম্রাট ইউং লির সাথে নিয়মিত দূত ও উপহার বিনিময় করা শুরু করেন সুলতান গিয়াসুদ্দিন আজম শাহ।

১৪০৫-০৯ বাংলা-চীন দূত বিনিময়।

১৪০৮-১৫০৩ তেলেগু কবি অন্যমায়ার জীবনকাল।

১৪১১ ভাতুড়িয়ার জমিদার গণেশনারায়ণ রায়ভাদুড়ির কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে কিছু বিক্ষুব্ধ সৈন্য অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে গিয়াসুদ্দিন আজম শাহকে হত্যা করল।

১৪১১-১২ সাইফুদ্দিন হামজা শাহের রাজত্ব।

১৪১৩-১৪ শিহাবুদ্দিন বায়েজিদ শাহের রাজত্ব।

১৪১৪ শিহাবুদ্দিন বায়েজিদ শাহের শিশুপুত্র আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহকে অপসারণ করে বাংলার মসনদে বসলেন মহারাজ গণেশনারায়ণ রায়ভাদুড়ি, ‘রাজা গণেশ’ নামেই যিনি বেশি পরিচিত।

১৪১৫-৩৩ রাজা গণেশের পুত্র জালালুদ্দিন মুহাম্মদ শাহের রাজত্ব।

১৪১৮ রাজা গণেশের আরেক পুত্র মহেন্দ্রদেবের রাজত্ব।

১৪১৯ সারেং বিদ্রোহ।

১৪২১-৩৪ মোবারক শাহের রাজত্বকাল।

১৪২২-৩৫ আহমদ শাহ বাহমনীর রাজত্বকাল।

১৪৩৩-৩৬ শামসুদ্দিন আহমদ শাহের রাজত্ব।

১৪৩৬-৮৭ মাহমুদ শাহ* ও মাহমুদ শাহি সুলতানদের রাজত্ব।
* তিনি শাহ-ই-বাঙ্গাল শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের বংশধর ছিলেন।

১৪৪৬-৮১ মাহমুদ গাওয়ানের রাজত্বকাল।

১৪৫১-১৫২৫ দিল্লি সুলতানশাহির লোদি রাজবংশ।

১৪৫১-৮৯ বাহলুল খাঁর রাজত্বকাল।

১৪৫৮-১৫১১ প্রথম মাহমুদ বেগার্হার রাজত্বকাল।

১৪৬৯-১৫৩৯ গুরু নানকের জীবনকাল।*
* শিখ ধর্মের প্রবর্তক। দিল্লি সুলতানশাহির শেষদিকে ভারতের বেনারসে জন্মগ্রহণ করেন। হিন্দুধর্ম আর ইসলামের মধ্যে সমন্বয়সাধন করতে চেয়েছিলেন। নানক এক ধরণের ধর্মীয় মানবতাবাদ প্রচার করেছেন নানক। পরবর্তীতে পাঞ্জাব শিখ ধর্মাবলম্বীদের নিবাসভূমিতে পরিণত হয়। শিখ ধর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, দেখুন, (Singh 2009)।

১৪৮০ বাংলায় ক্ষমতায় আসলেন জালালুদ্দিন ফতেহ শাহ।

১৪৮১ বাংলায় ফতেহ শাহের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন প্রভাবশালী হাবশি মালিক আন্দিল, সীমান্তে স্থাপন করলেন একটি ছোট স্বাধীন রাজ্য।

১৪৮৬-১৫৩৩ নবদ্বীপে শ্রীচৈতন্যের সময়কাল।

১৪৮৭ বাংলায় জালালুদ্দিন ফতেহ শাহের বিরুদ্ধে হাবশি সৈন্যদের বিদ্রোহ। সুলতানের দেহরক্ষীদের উৎকোচ দিয়ে সুলতানকে খুন করাল তারা।

১৪৮৭-৯৩ হাবশি সুলতানদের রাজত্ব

১৪৮৯-১৫১৫ সিকান্দার শাহের রাজত্বকাল।

১৪৯২ বিপ্রদাস চক্রবর্তী, মনসামঙ্গল

১৪৯৩ বাংলার শেষ হাবশি সুলতান শামসুদ্দিন মুজাফফর শাহের উজির আলাউদ্দিনের হাতে হাবশি সুলতানশাহির অবসান। সুলতান হয়ে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ নাম ধারণ করে সিংহাসনে বসলেন তিনি।

বিজয়গুপ্ত, পদ্মপুরাণ

১৪৯৩-১৫৩৮ হোসেন শাহি সুলতানদের রাজত্ব

১৪৯৩-১৫১৯ আলাউদ্দিন হোসেন শাহের রাজত্ব।

১৪৯৪ দিল্লির সুলতান সিকান্দার লোদির হাতে পরাস্ত হলেন জৌনপুরের সুলতান হোসেন শাহ শর্কি, প্রাণভয়ে পরাজিত সুলতান রাজনৈতিক আশ্রয় নিলেন বাংলায়।

১৪৯৮ ভারতে এ সময় পর্তুগিজদের আগমন ঘটে।

১৪৯৯ আলাউদ্দিন হোসেন শাহের সেনাবাহিনীর কামতারাজ্য আক্রমণ। রাজ্যটির একাংশ বাংলার অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।

১৪৯৮ ভারতে পৌঁছলেন পর্তুগীজ অভিযাত্রিক ভাস্কো দা গামা।

১৪৯৮-১৫৪৭ মীরাবাঈয়ের জীবনকাল।

১৫০১-১৭০০ বঙ্গীয় বদ্বীপে এ সময় ইসলাম প্রসার লাভ করে।

১৫০১-১৬০০ এই শতাব্দীতে কেরালায় মহিনট্যম, উত্তর ভারতে কত্থক, আর অন্ধ্র প্রদেশে কুচিপুরি নাচের উৎপত্তি ঘটে। এ সময় বঙ্গীয় বদ্বীপ থেকে ভারত, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়াসহ দুনিয়ার বহু দেশে চাল রফতানি হচ্ছে। বৃহৎ টেক্সটাইল শিল্প। বহির্বিশ্বে বাংলা রফতানি করছে তুলা আর রেশম।

১৫০৪ মায়ের দিক থেকে চেঙ্গিজ খান আর বাপের দিক থেকে আমির তৈমুরের বংশধর ১৯-বছর-বয়সী তুর্কি যুবক জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবুর কাবুল জয় করেন।

১৫০৯-২৯ কৃষ্ণদেব রায়ের রাজত্বকাল।

১৫১০ পর্তুগিজরা গোয়া দখল করে নিল।

১৫১৮ চট্টগ্রামে পর্তুগিজ কুঠি স্থাপনের অনুমতি চেয়ে গোয়ার শাসনকর্তা আল বুকার্ক তাঁর দূত হোয়াও দ্য সিলভেরাকে সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের কাছে পাঠালেন। নানান ঘটনাচক্রে এযাত্রায় অনুমতি পেল না পর্তুগিজরা।

১৫১৯-৩২ নাসিরুদ্দিন নসরত শাহের রাজত্ব।

১৫২৬ পানিপথের প্রথম যুদ্ধ, জাহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবুরের কাছে হেরে গেলেন দিল্লির লোদি রাজবংশের শেষ সুলতান ইব্রাহিম লোদি।

১৫২৬-১৮৫৮ মুঘল সাম্রাজ্য।*
* মুঘল শব্দটা আসলে মঙ্গোল শব্দের হিন্দুস্থানী রূপ। প্রাচীন আর্যভাষীদের মত এরাও ভারতের বাইরে থেকে এসেছেন। তবে পাকাপাকিভাবে ভারতে নিবাস গড়ে স্থানীয় হয়ে যাওয়ায় আর্যভাষী বা মুঘল কাউকেই আর বহিরাগত বলার সুযোগ নেই।

১৫২৬-৩০ জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবুরের রাজত্বকাল।

১৫২৮ বাবুরের কাছে আশ্রয় চাইলেন শের খান, যাঁর বাবা হাসান খান সূরি আফগানিস্তান থেকে ভারতে এসে দিল্লির সুলতান বাহালুল খান লোদির আনুকূল্য ও বিহারের তিনটি পরগনার – তান্ডা, সাসারাম, আর খাবাসপুর – জমিদারি লাভ করেছিলেন।

১৫২৯ বাবুরের বাংলা আক্রমণ।

১৫৩০ জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবুরের মৃত্যু।  মুঘল সম্রাটের পক্ষে বিহারের অল্পবয়স্ক শাসনকর্তা জালাল খান লোহানির অভিভাবক নিযুক্ত হলেন শের খান।

১৫৩০-৪০ নাসিরুদ্দিন মুহাম্মদ হুমায়ুনের প্রথম রাজত্বকাল।

১৫৩২ একনাখায় বাবার কবর জিয়ারত করার সময় গুপ্তঘাতকের হাতে খুন হয়ে গেলেন সুলতান নসরত শাহ।

১৫৩২-৩৩ আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহের রাজত্ব।

১৫৩২/৪৩-১৬২৩ তুলসীদাসের জীবনকাল।

১৫৩৩ মাত্র এক বছর রাজত্ব করার পর নসরত শাহের ছেলে দ্বিতীয় আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহ তাঁর চাচা আবদুল বদরের হাতে খুন হয়ে গেলেন। গিয়াসুদ্দিন মাহমুদ শাহ নাম নিয়ে বাংলার মসনদে বসেন আবদুল বদর। তাঁর শাসনামলেই পর্তুগিজরা প্রথমবারের মত বাংলায় ঘাঁটি গাড়ার অনুমতি পায়। মখদুম-ই-আলমের বিরুদ্ধে গিয়াসুদ্দিন মাহমুদ শাহের সেনাপতি কুতুব খানের অভিযান। কুতুব খান পরাজিত ও নিহত হলেন। পুরীতে শ্রীচৈতন্যের মৃত্যু। অনেকের মতে হত্যাকাণ্ডের শিকার।

১৫৩৩-৩৯ গিয়াসুদ্দিন মাহমুদ শাহের রাজত্ব।

১৫৩৪ লোহানিদের কর্তৃত্ব মেনে নিতে অস্বীকার করেন শের খান, প্রাণভয়ে জালাল খান লোহানি বাংলার সুলতানের আশ্রয় প্রার্থনা করলেন। কুতুব খানের ছেলে ইব্রাহিম খানের নেতৃত্বে বিশাল এক সেনাবাহিনী শের খানের বাহিনীকে আক্রমণ করল, যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হলেন ইব্রাহিম খান। আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান শের খান বাংলা আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন।

১৫৩৫ ঈসা খাঁর জন্ম, যাঁর বাবা ক্ষত্রিয় রাজপুত কালিদাস – ইসলাম গ্রহণের পরে সুলাইমান খান – আর মা গিয়াসুদ্দিন মাহমুদ শাহের মেয়ে মোমেনা খাতুন।

১৫৩৮ শের খানের পুত্র জালাল খান আর সেনাপতি খাওয়াস খানের বাংলা বিজয়, গিয়াসুদ্দিন মাহমুদ শাহের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শেষ হল বাংলার দুইশো বছরের স্বাধীন সুলতানদের যুগ।

দিউতে দুর্গ নির্মাণ করল পর্তুগিজরা।

১৫৪০ ফরিদুদ্দিন শেরশাহ নামে দিল্লির মসনদে বসলেন শের খান। এ সময়ই বৃন্দাবনে বাঙালি বৈষ্ণব-গোস্বামীরা প্রতিষ্ঠালাভ করেন।

১৫৪০-৪৫ বাংলায় পাঠান রাজত্ব

১৫৪০-৪৫ বর্তমান ভারতের উত্তরাঞ্চল শাসন করছেন শের শাহ। সুরি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমান বাংলায় শাসনকালটি পাঠান রাজত্ব বলে পরিচিত।

১৫৪১ শেরশাহের গৌড় আগমন। এ বছরই শাসনকর্তার পদ তুলে দেন শেরশাহ। বাংলাকে ১৯টি সরকারে বিভক্ত করে প্রত্যেক সরকারে ১ জন করে আমির নিযুক্ত করেন। 

১৫৪৫ গিয়াসুদ্দিন মাহমুদ শাহের মেয়ের জামাই সুলাইমান খানকে হত্যা করা হল। প্রাসাদ লুট করা হল। তাঁর দুই ছেলে ইসমাইল খাঁ আর ঈসা খাঁকে ইরানি বণিকদের কাছে দাস হিসেবে বেচে দেয়া হল।

কলিঙ্গ দুর্গ অবরোধ করাকালে শেরশাহের মৃত্যু।

১৫৪৫-৫৪ শের শাহের পরে সুরি সাম্রাজ্যের মসনদে আসীন হলেন তাঁর পুত্র ইসলাম শাহ।

১৫৫০ কবি চন্দ্রাবতীর জন্ম।*
* বাংলা ভাষার প্রথম নারী কবি বলে বিবেচিত চন্দ্রাবতী তিনি রামায়ণের একটি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অনুবাদ করেন।

১৫৫৩-৬৩ মুহাম্মদ শাহি সুলতানদের রাজত্ব।

১৫৫৫-৫৬ নাসিরুদ্দিন মুহাম্মদ হুমায়ুনের দ্বিতীয় রাজত্বকাল।

১৫৫৬-১৬০৫ জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবরের রাজত্বকাল।

১৫৫৬ পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে বিদ্রোহী হেমুকে হারালেন আকবর।

১৫৬২ মোট অঙ্কের মুক্তিপণ দিয়ে ইসমাইল খাঁ আর ঈসা খাঁর দাসত্ব মোচন করলেন তাঁদের চাচা কুতুব খান।

১৫৬৪ শেরশাহের এককালীন সেনাপতি তাজ খান কররানি মুঘলদের ধাওয়া খেয়ে বিহার থেকে বাংলায় এসে নিজেকে বাংলার সুলতান বলে ঘোষণা করলেন।

১৫৬৪-৭৬ কররানিদের রাজত্ব

১৫৬৫ বিজয়নগর রাজ্যের পতন।

১৫৬৮ ওড়িশার রাজা মুকুন্দ দেবের বিরুদ্ধে পুত্র বায়েজিদ আর সেনাপতি কালাপাহাড়ের – জন্মগত নাম রাজীবলোচন রায়, ইসলাম গ্রহণ করার পর প্রচণ্ড হিন্দুবিদ্বেষীতে পরিণত হন – নেতৃত্বে সৈন্যদল পাঠালেন তাজ খান কররানির পুত্র সুলায়মান খান কররানি, যিনি মুঘলদের কর্তৃত্ব পুনরায় স্বীকার করে নিয়েছিলেন। এই অভিযানে যোগ দিলেন ঈসা খাঁ।

১৫৭২ সুলায়মান খান কররানির মৃত্যু, বাংলার শাসক হলেন তাঁর ছেলে দাউদ খান কররানি।

১৫৭৩ ত্রিপুরার রাজা উদয়মাণিক্যের চট্টগ্রাম আক্রমণ। ঈসা খাঁ কররানিদের পক্ষে চট্টগ্রাম গিয়ে উদয়মাণিক্যকে বিতাড়িত করলেন।

১৫৭৪ দাউদ খান কররানির কাছ থেকে রাজা উপাধি পেলেন প্রতাপাদিত্যের পিতা বিক্রমাদিত্য। গৌড়ের যশ হরণ করে বিক্রমাদিত্যের রাজ্যের সমৃদ্ধি ঘটেছে দাবি করে গৌড় থেকে আসা কিছু লোক রাজ্যটিকে ‘যশোহর’ ডাকা শুরু করল। কালক্রমে যা লোকমুখে যশোর হয়ে উঠবে।

১৫৭৪-৭৭ তুলসীদাস, রামচরিতমানস

১৫৭৪ দাউদ খান কররানির কাছ থেকে রাজা উপাধি পেলেন প্রতাপাদিত্যের পিতা বিক্রমাদিত্য। গৌড়ের যশ হরণ করে বিক্রমাদিত্যের রাজ্যের সমৃদ্ধি ঘটেছে দাবি করে গৌড় থেকে আসা কিছু লোক রাজ্যটিকে ‘যশোহর’ ডাকা শুরু করল। কালক্রমে যা লোকমুখে যশোর হয়ে উঠবে।

১৫৭৫ সুলায়মান খান কররানির ছেলে দাউদ খান কররানির বিদ্রোহ দমন করতে বাংলায় এলেন দিল্লির সুলতান জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর, বিদ্রোহ দমন করে মুনেম খানকে সুবাদার নিযুক্ত করে আকবর ফিরে গেলেন আগ্রায়। মহামারীতে মুনেম খানের মৃত্যু। সোনারগাঁওয়ের কাছাকাছি অবস্থান নেয়া মুঘল নৌবহর ধবংস করে ফেললেন ঈসা খাঁ, দাউদ খান কররানি দ্বিতীয়বারের মত বাংলা দখলের চেষ্টা চালালেন।

১৫৭৬ জুলাই ১২ রাজমহলের যুদ্ধ, মুঘলদের কাছে পরাজিত হলেন দাউদ খান কররানি, তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল।

১৫৭৯ মুজাফফর খান তুরবাতিকে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত করলেন মুঘল সম্রাট জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর।

১৫৮০ এপ্রিল ১৯ মুঘল সম্রাটের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্রোহ করলেন মুঘল সেনাপতি মাসুম খান কাবুলি। তান্ডায় তুরবাতিকে খুন করলেন তিনি।

জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবরের অর্থমন্ত্রী টোডরমলের বাংলা আগমন।

১৫৮০-৮৯ ঢাকায় প্রথম ইওরোপীয় বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করল পর্তুগিজরা।

১৫৮১ মাসুম খান কাবুলির সাথে ঈসা খাঁর মৈত্রীচুক্তি। নিজেকে বাংলার পূর্বাংশের স্বাধীন শাসক বলে ঘোষণা করলেন তিনি, সুবর্ণগ্রাম হল পূর্ব বাংলার রাজধানী। উপাধি নিলেন মসনদ-ই-আলা

১৫৮২ জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবরকে বিভ্রান্ত করে যশোর রাজ্যের সনদ নিজের নামে লিখে নিয়ে বাংলায় ফিরলেন প্রতাপাদিত্য, মনক্ষুন্ন হলেন তাঁর কাকা বসন্ত রায়।

১৫৮৩ রাজা বিক্রমাদিত্যের মৃত্যু, প্রতাপাদিত্যের রাজ্যাভিষেক।

১৫৮৪ এবছর পর্যন্ত মুঘলদের সাথে সরাসরি সংঘাত এড়িয়ে চলেছেন ঈসা খাঁ, তবে মুঘলদের বিরুদ্ধে মাসুম খান কাবুলিকে নিয়মিত নৌবহর দিয়ে সাহায্য করেছেন। বক্তারপুরে ঈসা খাঁর নৌঘাঁটি আক্রমণ করলেন মুঘল সুবাদার শাহবাজ খান। এগারসিন্দুর আর ভাওয়ালের যুদ্ধে ঈসা খাঁর জয়।

১৫৮৪-১৬১২ বারো ভূঁইয়া বিদ্রোহ।*
* এই বিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে গেলেও বাংলার বিদ্রোহী মনোভাবের কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছে।

১৫৮৬ শাহবাজ খানের সাথে ঈসা খাঁর মৈত্রীচুক্তি, কিন্তু এই চুক্তি বেশিদিন টেকেনি।

১৫৮৮ চাঁদ রায় ও কেদার রায় ঈসা খাঁকে আক্রমণ করলেন, কিন্তু শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে রায়দের বাহিনী খাঁ বাহিনীর কাছে পর্যুদস্ত হল।

১৫৯৪ মানসিংহকে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত করলেন জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর, দায়িত্ব দিলেন ঈসা খাঁকে উৎখাত করার।

১৫৯৭ মানসিংহের ছেলে কুমার দুর্জন সিংহ বিক্রমপুরে ঈসা খাঁর মুখোমুখি হলেন, যুদ্ধে কুমার সিংহের মৃত্যু। আগ্রায় গিয়ে আকবরের সাথে সাক্ষাৎ করেন ঈসা খাঁ। আকবর ঈসা খাঁর মসনদ-ই-আলা উপাধি স্বীকার করে নেন, তাঁকে বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত করেন, এবং নামমাত্র কর দিয়ে ঈসা খাঁ স্বাধীনভাবে বাংলা শাসন করতে থাকেন।

১৫৯৯ এগারসিন্দুর দুর্গ থেকে বক্তারপুরে নৌঁঘাটি পরিদর্শন করতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন ঈসা খাঁ। অচিরেই মৃত্যুবরণ করেন। ঈসা খাঁর মৃত্যুর পর বাংলার মসনদে বসেন মুসা খাঁ। পূর্বসূরীর মত তিনিও মুঘলদের আনুগত্য অস্বীকার করেন। লড়াই চালিয়ে যান সুবর্ণগ্রাম থেকে।

১৬০০ এক শিক্ষিত ইরানি পরিবারে মির্জা আবু তালিবের জন্ম। কলকাতায় আরমানি বণিকরা আসতে শুরু করলেন। প্রথম এলিজাবেথের ইস্যুকৃত রাজকীয় সনদের ভিত্তিতে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

কাশীরাম দাসের মহাভারতয়ের সম্ভাব্য রচনাকাল।

১৬০১-১৭০০ এই শতাব্দীতে কেরালায় কথাকলি নাচের উৎপত্তি ঘটে।

১৬০২ রাজা প্রতাপাদিত্য তাঁর কাকা বসন্তরায় ও বসন্তরায়ের ছেলেদের হত্যা করলেন। কারভালহোর সন্দ্বীপ জয়।

১৬০২-১০ মহাভারতের আংশিক বাংলা অনুবাদ করলেন কাশীরাম দাস।

১৬০৫-২৭ নুরুদ্দিন মুহাম্মদ সেলিমের রাজত্বকাল। জাহাঙ্গীর নামে অধিক পরিচিত। নামকাওয়াস্তে বাদশা ছিলেন জাহাঙ্গীর; কার্যত, সম্রাজ্ঞী নূরজাহানই দেশ চালাতেন।

১৬০৮ ইসলাম খানকে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিয়োগ দিলেন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর।

১৬০৮-৪৯ তুকারামের জীবনকাল।

১৬০৯ রাজা প্রতাপাদিত্যের প্রতি সুবাদার ইসলাম খানের প্রস্তাব: মুসা খাঁর বিরুদ্ধে মুঘলদের অভিযানে সৈন্য ও নৌবহর দিয়ে সাহায্য করবেন প্রতাপাদিত্য। বিনিময়ে তিনি পাবেন শ্রীপুর ও বিক্রমপুরের জমিদারি। সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করলেও টালবাহানা করলেন প্রতাপাদিত্য। ইসলাম খানের সেনাপতি ইনায়েত খান আক্রমণ করলেন প্রতাপাদিত্যকে।

১৬১০ মুসা খাঁকে পরাজিত করলেন সুবাদার ইসলাম খান। পরবর্তী সুবাদার ইব্রাহিম খান ফতেহ-ই-জঙ্গ মুসা খাঁর সাথে মৈত্রী স্থাপন করে তাঁকে মুঘলদের ত্রিপুরা ও কামরূপ অভিযানে কাজে লাগান। মুঘল বাহিনীর সাথে প্রতাপাদিত্যের বাহিনীর তুমুল লড়াই। পরাজিত হয়ে আত্মসমর্পণ করলেন রাজা প্রতাপাদিত্য। ঢাকাকে মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হল। সুবাদার ইসলাম খান কর্তৃক নতুন নামকরণ: জাহাঙ্গীরনগর। জাহাঙ্গীরনগর এসময় থেকে বাংলার রাজধানী হয়ে ওঠে।

১৬১১ রাজা প্রতাপাদিত্যকে শিকলে বেঁধে বাঘের মত করে প্রদর্শন করতে করতে ঢাকা থেকে আগ্রায় নিয়ে যাবার সময় সম্ভবত কাশীতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

১৬১২ উপমহাদেশে ব্রিটিশদের আগমন। বঙ্গীয় বদ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চলের ওপর মুঘলদের শাসন কায়েম হল।

১৬১৩ ইসলাম খানের মৃত্যু।

১৬১৩-১৪ উইলিয়াম হকিনসের নেতৃত্বে মসুলিপত্নম ও সুরাটে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। রাজা প্রথম জেমসের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে বাদশা জাহাঙ্গীরের সামনে উপস্থাপন করলেন স্যার টমাস রো।

১৬১৫-১৮ মুঘলরা ভারতে ব্রিটিশদের ব্যবসা করার ও কারখানা খোলার অনুমতি দিল।

১৬২৩ মুসা খাঁর মৃত্যু।*
* মুসা খাঁ ঢাকায় তাঁর প্রতিষ্ঠা করা মসজিদের উত্তর-পূর্বে কোণে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন, তাঁর কবরটি বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ ছাত্রাবাসের নিকটেই অবস্থিত।

১৬২৮-৫৮ শাহাবুদ্দিন মুহাম্মদ খুররমের রাজত্বকাল। শাহজাহান নামে অধিক পরিচিত। স্থাপত্যকলার অনুপম নিদর্শন তাজমহল নির্মাণের জন্য বিখ্যাত।

১৬৩১ আগ্রায় সম্রাট শাহজাহানের হুকুমে নির্মিত হল তাজমহল।

১৬৩৩ সম্রাট শাহজাহানের এক ফরমানের বলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় তাঁদের উপনিবেশিক বাণিজ্য শুরু করে।

১৬৫০-৫৯ এ সময় আরাকানের রাজসভায় সক্রিয় আছেন বাঙালি কবি ও অনুবাদক আলাওল।

১৬৫৮-১৭০৭ আবু মুজাফফর মহিউদ্দিন মুহাম্মদ আওরঙ্গজেবের রাজত্বকাল। তাঁর শাসনামলেই মুঘলরা দক্ষিণ ভারত জয় করে। বাদশা আওরঙ্গজেব তাঁর শাসনামলের প্রায় পুরোটাই উত্থানশীল মারাঠা শক্তির সাথে লড়েছেন।

১৬৬৪ লোরেইনেঁ প্রতিষ্ঠিত হল ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

১৬৬৪-৭৮ সুবাদার শায়েস্তা খানের আমল।*
* বাংলার সমৃদ্ধি আর প্রাচুর্যের যুগ হিসেবে প্রবাদপ্রতিম হয়ে আছে শায়েস্তা খানের আমল।

১৬৬৬ জানুয়ারি ২৭ চট্টগ্রামের ওপর দাবি ছেড়ে দিল পর্তুগিজ উপনিবেশিক শক্তি আর আরাকানিরা, ফলে তা মুঘলদের নিয়ন্ত্রণে এল।

১৬৬৯ গোকলা অভ্যুত্থান।

১৬৭০-৭৯ এ সময়ই কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম বোম্বে পার্সি পঞ্চায়েত।

১৬৭৩ লাহোরের বাদশাহি মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হল।

১৬৭৪ ভারতে বাণিজ্যকুঠি নির্মাণ করতে শুরু করল ফরাসিরা। ছত্রপতি শিবাজি রাজে ভোঁসলে কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল মারাঠা সাম্রাজ্য। এই সাম্রাজ্য ১৮২০ সাল পর্যন্ত টিকে ছিল।

১৬৮০ মারাঠা নেতা ছত্রপতি শিবাজী রাও পেশোয়ার মৃত্যু।

১৬৮৫ চট্টগ্রামে একটা ব্রিটিশ নৌবহরকে পরাজিত করল মুঘলরা।

১৬৮৬ বিজাপুর ও গোলকুন্ডা দখল করলেন আওরঙ্গজেব।

১৬৯০ সুতানুটি, ডিহি কলকাতা, ও গোবিন্দপুর এই তিনটি গ্রাম নিয়ে কলকাতা শহরের পত্তন করা হল।

১৬৯৮ মুঘল সম্রাট আলমগীর আওরঙ্গজেবের কাছ থেকে কলিকাতা, সুতানুটি, আর গোবিন্দপুর – এই তিনটি গ্রাম খরিদ করার অনুমতি পেল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

১৬৯৯ গুরু গোবিন্দ সিং কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল খালসা।

১৬৯৯-১৯৩৫ ফোর্ট উইলিয়ামের প্রেসিডেন্সি।

১৭০০ এসময় বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের ভাগ ২৭ শতাংশ।

মহানির্বাণ তন্ত্র কল্কিপুরাণ

১৭০১-১৮০০ বর্তমান ভারতের মণিপুরে মণিপুরি নাচের উৎপত্তি।

১৭০২ মাদ্রাজের প্রশাসক টমাস পিট চুরি করলেন পিট হীরক, এরপর তা ১ লক্ষ ৩৫ হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে ফ্রান্সের রাজপ্রতিনিধির কাছে বেচে দিলেন।

১৭০৭ শেষ “মহান মুঘল” সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যু।

১৭১৩ রাজধানী জাহাঙ্গীরনগর থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত করা হল।

১৭১৫-৬০ বর্তমান বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এ সময় মুঘলদের রাজস্ব হিসেবে কার্পাস প্রদান করত; তাই কার্পাসমহল নামে পরিচিত হয়।

১৭২০-৮১ রামপ্রসাদ সেনের জীবনকাল।

১৭২৩ ভারতে সফর করতে গিয়ে এক বণিক আবেস্তার একটি পাণ্ডুলিপি সাথে নিয়ে ব্রিটেনে ফিরলেন। ইওরোপীয়রা এই বইটির অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারল। পাণ্ডুলিপিটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বডলেইয়ান পাঠাগারে রাখা হল।

১৭২৫-৭৪ রবার্ট ক্লাইভের জীবনকাল।

১৭৩৩ মির্জা মুহাম্মদ শাহ কুলির জন্ম, ইতিহাসে যিনি তাঁর উপাধি সিরাজুদ্দৌলা নামেই পরিচিত হয়ে আছেন।

১৭৩৯ পারস্যের শাসক নাদির শাহ দিল্লি আক্রমণ করলেন। মুঘলদের ময়ূর সিংহাসন নিয়ে গেলেন পারস্যে। এর কাছাকাছি সময়েই বাংলায় মারাঠা আক্রমণ আরম্ভ হয়, ইতিহাসে যা বর্গি আক্রমণ বলে পরিচিত হয়ে আছে।

১৭৪৩ লিসবনে রোমান হরফে মুদ্রিত হল বাংলা বই।*
* মুদ্রিত বই তিনটি: ব্রাহ্মণ-রোমান ক্যাথলিক সংবাদ, কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ, ও ভোকাবুলারিও এম ইদিওমা বেনগলা ই পোরতুগীজ। প্রথম বইটির লেখক বাঙালি, নাম দোম আন্তোনিয়ো। পরের দুইটির প্রণেতা-সংকলক মানোএল দা আসসুম্পসাউঁ।

১৭৪৭-৭৩ “আফগানিস্তানের জনক” খ্যাত আহমাদ শাহ দুররানির রাজত্বকাল।

১৭৫১ তামিলনাড়ুর আরকট কবজা করলেন ২৬-বছর-বয়সী রবার্ট ক্লাইভ।

১৭৫৫ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বডলেইয়ান পাঠাগারে রাখা আবেস্তার পাণ্ডুলিপিটি আব্রাহাম হায়াসিন্থ আনকোতিল-দুপ্রে নামের এক ফরাসি পণ্ডিতের নজরে আসলো।

১৭৫৬-৫৭ নবাব সিরাজুদ্দৌলার আমল।

১৭৫৬ আলিবর্দি খানের মৃত্যু। সিরাজুদ্দৌলার হাতে প্রথমে কাশিমবাজার কুঠি, তারপর ফোর্ট উইলিয়ামের পতন। কলকাতা জয় করে নগরীর নতুন নাম দিলেন আলিনগর।

১৭৫৭ জুন ২৩ পলাশীর যুদ্ধে ব্রিটিশদের হাতে নবাব সিরাজুদ্দৌলার পরাজয়। মুর্শিদাবাদের নবাবির পতন। বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সূচনা।
জুন ২৮ ব্রিটিশ পুতুল হিসাবে নামকাওয়াস্তে নবাব হলেন মির জাফর আলি খান। বাংলার গভর্নর হলেন রবার্ট ক্লাইভ।

১৭৫৭-১৯৪৭ ব্রিটিশ ভারত

১৭৬০ ২৭ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে বর্ধমান, মেদিনীপুর, ও চট্টগ্রাম জেলা তুলে দিলেন মির কাশেম। পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্রিটিশদের রাজস্ব প্রদান শুরু করল।

১৭৬১-৯৯ মহীশূর রাজ্য।

১৭৬১ মারাঠা আর শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন আহমাদ শাহ দুররানি।

১৭৬১-৮২ হায়দার আলির রাজত্বকাল।

১৭৬১ মারাঠা আর শিখদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন আহমাদ শাহ দুররানি। ব্রিটিশদের হাতে ভারতে ফরাসিদের রাজধানী পণ্ডিচেরির পতন। পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আফগানদের কাছে মারাঠাদের পরাজয়।

১৭৬১-৬৯ আফগান-শিখ যুদ্ধ, এসময় আফগানরা কয়েক হাজার শিখকে হত্যা করে। ধবংস করে অসংখ্য শিখ উপাসনালয়। কিন্তু এতকিছুর পরও তারা পাঞ্জাবের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ হয়।

১৭৬২ আবেস্তা পুনরুদ্ধার করতে ভারত সফর করলেন আনকোতিল-দুপ্রে। ফ্রান্সে ফিরলেন ১৮০টা আবেস্তান পাণ্ডুলিপি সাথে নিয়ে। শুরু করলেন অনুবাদ।

১৭৬৩-১৮০০ ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহ।*
* ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী ঐতিহাসিকরা এই বিদ্রোহীদেরকে ‘ডাকাত’ হিসেবে দেখেছেন, উপমহাদেশের ‘মূলধারার’ জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিকরাও এদেরকে প্রাপ্য মর্যাদাটুকু দেন নি। কিন্তু ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ উপনিবেশিক আমলে যে-কৃষক বিদ্রোহের ঐতিহ্য তৈরি করেছিল, তাই পরবর্তী সকল কৃষক বিদ্রোহের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। এই বিদ্রোহের নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মজনু শাহ, ভবানী পাঠক, ও দেবী চৌধুরানী।

১৭৬৩-৬৯ উপনিবেশিক ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের প্রথম পর্ব।

১৭৬৪ বক্সারের যুদ্ধ।

১৭৬৫ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সাথে একটি বাণিজ্য চুক্তি করলেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসক রবার্ট ক্লাইভ। বাংলা, বিহার, ওড়িশার দেওয়ানি লাভ করল কোম্পানি। ভারতে কাগজে-কলমে মুঘল সাম্রাজ্য টিকে থাকলেও এসময় থেকেই কার্যত ব্রিটিশ শাসন শুরু হয়।

১৭৬৭ প্রথম ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ।*
* এই যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, মারাঠা, আর হায়দ্রাবাদের নিজামের সম্মিলিত বাহিনী মহীশূরের হায়দার আলীর কাছে পরাজিত।

১৭৬৭-৬৮ ত্রিপুরার সমশের গাজীর বিদ্রোহ।

১৭৬৯ সন্দ্বীপের প্রথম কৃষক বিদ্রোহ।

১৭৭০ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিষ্কাশনমূলক রাজস্ব নীতির ফলে যে ভয়ানক দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, তাতে বাংলার ১ কোটি মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যান।

১৭৭০-৭২, ১৭৭৩-৭৮, ১৭৭৫-৮০, ১৭৮১-৮৬, ১৭৮৭-৯২ ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ পর্ব।

১৭৭১ দিল্লি মারাঠাদের হাতে এল।

১৭৭২-৮৫ বাংলার গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংসের আমল।

১৭৭২-১৮৩৩ রামমোহন রায়ের জীবনকাল।

১৭৭৩ বাংলার আফিমের উৎপাদন ও বিক্রয়ের ওপর একচেটিয়া অধিকার লাভ করল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ব্রিটিশ সংসদে অনুমোদন পেল ভারত নিয়ন্ত্রণ আইন।

১৭৭৪ ব্রিটিশ ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হলেন ওয়ারেন হেস্টিংস।

১৭৭৫-৮৪ প্রথম ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ।

১৭৭৬-৭৭ প্রথম চাকমা বিদ্রোহ।

১৭৮০-৮৪ দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ।

১৭৮১ হায়দার আলীর ছেলে টিপু সুলতানের হাতে ব্রিটিশদের পরাজয়। বাংলার একটি মানচিত্র প্রকাশ করলেন মেজর জেমস রেনেল।

১৭৮২ দ্বিতীয় চাকমা বিদ্রোহ।*
* চাকমা রাজা শের দৌলত খানের মৃত্যু। চাকমাদের নতুন রাজা হলেন জান বকশ খান। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে পিতার বিদ্রোহ অব্যাহত রাখেন তিনি।

১৭৮২-৯৯ টিপু সুলতানের রাজত্বকাল।

১৭৮৩ রংপুর বিদ্রোহ।

১৭৮৪ জানুয়ারি ১৫ আইনজীবী ও ভাষাবিজ্ঞানী স্যার উইলিয়াম জোনস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতার রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটি।

পাশ হল উইলিয়াম পিটের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অ্যাক্ট: উদ্দেশ্য কোম্পানির রাশ টেনে ধরে সংসদীয় কর্তৃত্বের অধীনে আনা। যশোর ও খুলনার প্রথম প্রজাবিদ্রোহ।

১৭৮৪-৮৭ তৃতীয় ও শেষ চাকমা বিদ্রোহ।

১৭৮৫-৮৬ বীরভূমের গণবিদ্রোহ।

১৭৮৬ ব্রিটিশ ভারতের দ্বিতীয় গভর্নর-জেনারেল হলেন লর্ড কর্নওয়ালিস। উইলিয়াম জোনস কর্তৃক ঘোষিত হল ইন্দো-ইওরোপীয় ভাষাপরিবার।

১৭৮৬-৯৩ লর্ড কর্নওয়ালিসের প্রথম আমল।

১৭৮৭-৯৫ ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর-জেনারেল থাকাকালীন সময়কার অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির দায়ে ব্রিটেনের সংসদে অভিশংসন বিচারের সম্মুখীন হলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। এই বিচারে প্রজিকিউশনের নেতৃত্বে দেন এডমুন্ড বার্কে। বিচারের মূলে ছিল উপনিবেশবাদ বিষয়ে দুই দৃষ্টিভঙ্গি। হেস্টিংস ব্রিটিশদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন, আর বিশ্বাসী ছিলেন নিরঙ্কুশ ক্ষমতার চর্চায়। বার্কে মনে করতেন, উপনিবেশের জনগণের অধিকারের একটা স্বীকৃতি থাকা দরকার, সাম্রাজ্যিক ক্ষমতার চর্চারও একটা সীমা থাকা উচিত। বিচার শেষে অধিকাংশ অভিযোগ থেকে খালাস পান হেস্টিংস, সংখ্যাগুরুর ভোট তার পক্ষে যাওয়ায় অভিশংসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ যায়। এটা ব্রিটেনের ইতিহাসের সবচে বিখ্যাত মামলাগুলার একটা।

১৭৮৭ চাকমা রাজা জান বখশ খান শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশদের বশ্যতা স্বীকার করলেন। বিনিময়ে ব্রিটিশরা অঞ্চলটির প্রশাসনিক ব্যাপারে নাক না গলানোর প্রতিশ্রুতি দিল। এসময় দ্বিতীয় শের দৌলত খান নামে অভিহিত আরেকজন চাকমা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন।

১৭৮৮ ন্যাথানিয়াল ব্র্যাসি হ্যালহেড, বাঙ্গালা ব্যাকরণ

১৭৮৯ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে চাকমা রাজা দ্বিতীয় শের দৌলত খানের বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়ে গেল, এর ফলে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্রিটিশ শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

১৭৮৯-৯১ বীরভূম ও বাঁকুড়ার পাহাড়িয়া বিদ্রোহ।

১৭৯০-৯২ তৃতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ।

১৭৯২ বাখরগঞ্জের সুবান্দিয়া বিদ্রোহ।

১৭৯৩ লর্ড কর্নওয়ালিস কর্তৃক প্রবর্তিত হল চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। সিভিল সার্ভিসের সংস্কার।

১৭৯৩-৯৪ লর্ড কর্নওয়ালিসের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, স্থানীয় অনুগত জমিদারদের হাতে পাকাপাকিভাবে ভূমি মালিকানা তুলে দিল, সর্বনাশ করল বাংলার কৃষকদের।

১৭৯৩-১৮০০ ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহের শেষ পর্ব।

১৭৯৩-১৮০১ আফগানিস্তানে জামান শাহ দুররানির রাজত্বকাল।

১৭৯৬ যশোর ও খুলনার দ্বিতীয় প্রজাবিদ্রোহ।

১৭৯৭-৯৮ শিখদের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের জামান শাহ দুররানির দুটি অভিযান। ব্যর্থ হয়ে গেল। লাহোরে নিজেরই রাজ্যপাল রঞ্জিৎ সিংয়ের কাছে হারলেন।

১৭৯৮ ব্রিটিশ ভারতের তৃতীয় গভর্নর-জেনারেল হলেন লর্ড ওয়ালেসলি।

১৭৯৯ চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ। ৫ হাজার ব্রিটিশ সৈনিক মহীশূরের রাজা টিপু সুলতানের রাজধানী শ্রীরঙ্গপত্নম দখল করে নিল। শহিদ হলেন টিপু।

১৮০১ কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করা হল ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ।*
আজকে আমরা “প্রমিত” বাংলা বলতে যা বুঝি, তা এই কলেজের তৈয়ার; বাংলা ভাষা থেকে বিপুল পরিমাণে আরবিফারসি গোড়ার শব্দ খেদিয়ে ও অপ্রচলিত সংস্কৃত গোড়ার শব্দ আমদানি করে তৈরি করা হয় এই উপনিবেশিক বাংলা।

উইলিয়াম কেরি, বাঙ্গালা ব্যাকরণ

১৮০১-১৮৩৯ পাঞ্জাবে শিখ সাম্রাজ্য স্থাপন করলেন ‘শের-ই-পাঞ্জাব’ মহারাজা রণজিৎ সিং।

১৮০৩-৫ দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ।*
* ব্রিটিশরা দিল্লি দখল করে নিল এবং ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করল।

১৮০৬ ভেলোর বিদ্রোহ রক্তাক্ত উপায়ে দমন করা হল।

১৮০৭ দিল্লিতে কৃষক অভ্যুত্থান।

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জনৈক কর্মচারী জেমস প্রিন্সেপ প্রথমবারের মত সম্রাট অশোকের শিলালিপিগুলোর পাঠোদ্ধার করতে সমর্থ হলেন।*
* বহু আগেই, সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক মীরাটে সম্রাট অশোকের একটি স্তম্ভলিপির সন্ধান পেয়েছিলেন। তিনি সেটি দিল্লি নিয়ে আসেন এবং তাঁর দরবারের পণ্ডিতদের বলেন এর পাঠোদ্ধার করতে। পণ্ডিতরা ব্যর্থ হন। (শর্মা ২০১৭)

১৮১২ ময়মনসিংহের কৃষক বিদ্রোহ।

১৮১৩ ভারত সনদ আইন।

১৮১৩ এপ্রিল ২০ সতীদাহ নিষিদ্ধ করল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।* কোম্পানির সনদ নবায়ন করা হল। এ বছরই মিশনারিদের খ্রিস্টধর্ম প্রচারের পূর্ণ সুযোগ দেয়া হয়।
* “একই সাথে সহমরণকে আইনীভাবে রিকগনাইজ করে। নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, ১৬ বছরের নিচে বিধবা হলে, গর্ভবতী অবস্থায় হলে বা দুগ্ধপোষ্য শিশুর মা বিধবা–এনারা সহমরণে যেতে পারবে না; এবং নেশাদ্রব্য সেবন বা জোরারোপের মাধ্যমে স্বামীর চিতায় বিধবাকে পোড়ানো যাবে না; সহমরণের একমাত্র বৈধ উপায় বিধবার উইল; বিধবার ইচ্ছা ভিন্ন কোন উপায় নাই আর। বিধবার ‘উইল’ জিনিসটা এইখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ; ইংরেজ তথা ইউরোপীয় অনুমান ছিলো সহমরণ হয় না আসলে, ওইটা সতীদাহ।” (মনু ২০১৩)

১৮১৫ প্রতিষ্ঠিত হল আর্যসভা।

১৮১৭ জানুয়ারি ২০ কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করা হল হিন্দু কলেজ।

১৮১৭-৯৮ সৈয়দ আহমদ খানের জীবনকাল।

১৮১৭-১৯ তৃতীয় হিন্দু-মারাঠা যুদ্ধ।

১৮১৯ সন্দ্বীপের দ্বিতীয় ও তৃতীয় কৃষক বিদ্রোহ।

১৮২০-৯১ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনকাল।

১৮২৪-৮৩ স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবনকাল।

১৮২৫-১৯১৭ দাদাভাই নওরোজীর জীবনকাল।

১৮২৫-২৭ ময়মনসিংহের প্রথম “পাগলপন্থী” বিদ্রোহ।

১৮২৫ ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ থেকে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শ্রমিক রিইউনিয়ন ও মরিশাসে অভিবাসিত হলেন।

১৮২৬ রামমোহন রায়, বাঙ্গালা ব্যাকরণ

১৮২৮ রাজা রামমোহন রায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ব্রাহ্মসভা। পরবর্তীতে ব্রাহ্ম সমাজে পরিণত হয়। ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর-জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক।

১৮২৯ কলকাতা মাদ্রাসার পাঠ্যক্রমে ঐচ্ছিক ও অতিরিক্ত বিষয় হিসাবে ইংরেজি ভাষা চালু করা হল।

১৮৩০-৩৯ দরবারি ভাষা হিসেবে ফারসিকে প্রতিস্থাপিত করল ইংরেজি।

১৮৩১ ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন বারাসাতের মীর নিসার আলি। ইতিহাসে যিনি তিতুমীর নামেই অমর হয়ে আছেন। ব্রিটিশরা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা কামান দেগে উড়িয়ে দেয়।

১৪ নভেম্বর শহিদ হন তিতুমীর। তাঁর অনুসারীদের ১৪০ জনকে প্রহসনের বিচারের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। তিতুমীরের ভাগ্নে ও সেনাপতি গোলাম মাসুমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মাসুমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ধবংসপ্রাপ্ত বাঁশের কেল্লার সামনে তাঁকে ফাঁসি দেয়ার মাধ্যমে।

১৮৩২-৩৩ ময়মনসিংহের দ্বিতীয় ‘পাগলপন্থী’ বিদ্রোহ।

১৮৩৩ সনদ আইন, ব্রিটিশ সংসদে এই আইন পাশ হওয়ার মধ্য দিয়ে উপমহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসায়িক তৎপরতার আইনী অবসান ঘটল।

১৮৩৪/৬-১৮৮৬ রামকৃষ্ণ পরমহংসের জীবনকাল।

১৮৩৫ ব্রিটিশ ভারতে পশ্চিমা শিক্ষা বিস্তারের পক্ষে ম্যাকলের মিনিট। ইংলিশ এডুকেশন অ্যাক্ট, ফারসির বদলে ইংরেজিকে দাপ্তরিক ও দরবারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হল। মরিশাসে ১৯ হাজার শর্তাবদ্ধ ভারতীয় শ্রমিকের আগমন।

১৮৩৭-৮২ ময়মনসিংহের গারো বিদ্রোহ।

১৮৩৮ আদালতে ফারসির পরিবর্তে ইংরেজি চালু করা হল। হাজী শরিয়তুল্লার নেতৃত্বে শুরু হল ফরায়েজি আন্দোলন।

১৮৩৮-৪৭ ফরায়েজি আন্দোলন

১৮৩৮-৯৪ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনকাল।

১৮৩৯ ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সমালোচনা করলেন ধর্মপ্রচারক উইলিয়াম হাউইট।

১৮৪০ ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা হাজী শরিয়তুল্লার মৃত্যু।

১৮৪১ প্রতিষ্ঠিত হল ঢাকা কলেজ।

১৮৪৩ ব্রিটিশরা সিন্ধু প্রদেশ দখল করে নিল। ডক্ট্রিন অফ ল্যাপস, কোন দেশীয় রাজা ওয়ারিশ না রেখে মারা গেলে তার রাজ্য গ্রাস করে নেয়ার আইন বানানো হল। ব্রাহ্ম সমাজকে পুনরুজ্জীবিত করে তুললেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৮৪৪ সরকারি চাকরির জন্য ইংরেজি জানা অত্যাবশ্যক ঘোষিত হল।

১৮৪৪-৯০ কুকি বিদ্রোহ।

১৮৪৫-৪৬ প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ।

১৮৪৭ ব্রিটিশ ভারতে ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা হাজী শরিয়তুল্লার ছেলে দুদু মিয়া ও তাঁর অনুসারীদের বিচার শুরু হল। এই প্রহসনের বিচারে তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হন এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা লাভ করেন। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করলে পূর্ববর্তী রায় বাতিল হয়ে যায় এবং দুদু মিয়া ও তাঁর অনুসারীরা মুক্তি লাভ করেন।

১৮৪৮ জুন ১২ ঢাকার প্রথম প্রাইভেট স্কুল পোগোজ স্কুল প্রতিষ্ঠা করলেন আরমানি বণিক জোয়াখিম গ্রেগরি নিকোলাস পোগোজ, ওরফে “নিকি পোগোজ।”

১৮৪৮-৪৯ দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ।

১৮৪৯ শিখদের পরাজিত করে পাঞ্জাব নিয়ে নিল ব্রিটিশরা।

১৮৪৯-১৮৫৬ বাংলা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, আর আওধের প্রিন্সলি স্টেটগুলো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন গভর্নর-জেনারেল লর্ড ডালহৌসি।

১৮৫০-৯৫ বর্তমান পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশের – যা অতীতে উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ (এনডব্লিউএফপি) নামে পরিচিত ছিল – নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ব্রিটিশ ও রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হল, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ইতিহাসে গ্রেট গেম নামে পরিচিত।*
* ম্যাকিদোনিয়ার সেকান্দার শা থেকে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবুর তক সব বিজেতাই এই প্রদেশস্থিত খাইবার পাস দিয়ে ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছেন।

১৮৫০-৫৯ বাংলায় রেলপথের বিস্তার।

১৮৫০ তিপ্রা বিদ্রোহ।

১৮৫২ হানা ক্যাথরিন মুলেন্স, ফুলমণি ও করুণার বিবরণ

১৮৫৩ বোম্বে ও থানেকে সংযুক্ত করা রেলরাস্তা বসানো হল।

১৮৫৪ বোম্বেতে প্রথম কাপড়ের কারখানা খোলা হল।

১৮৫৫-৫৭ সান্তাল বিদ্রোহ

১৮৫৫ হিন্দু বিধবা আইন প্রবর্তন করা হল। কলকাতা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন করা হল। হিন্দু কলেজের নাম বদলে প্রেসিডেন্সি কলেজ রাখা হল।

১৮৫৬-১৯২০ বালগঙ্গাধর তিলকের জীবনকাল।

১৮৫৬-১৯১৮ শিরডি’র সাই বাবার জীবনকাল।*
* তাঁকে হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই ভালোবাসেন। হিন্দুরা তাঁকে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিবের অবতার মনে করেন। আর মুসলমানরা তাঁকে একজন ফকির হিসেবে দেখেন।

১৮৫৭ জানুয়ারি ১ প্রতিষ্ঠা করা হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

মহাবিদ্রোহ, দিল্লির সেপাইরা ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করল, দ্রুত ভারতবর্ষের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল বিদ্রোহের আগুন।*
* এই বিদ্রোহ শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরের নামে হলেও কার্যত এর কোনো একক কেন্দ্র বা নেতৃত্ব ছিল না, সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে যে যার মত লড়েছেন। মহাবিদ্রোহের কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব – প্রিন্স আজিমুল্লাহ, নানাসাহেব, ঝাঁসির রানী লক্ষী বাঈ, আওধের নবাব বেগম হযরত মহল। এই বিদ্রোহ ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশদের তাড়াতে সক্ষম না হলেও সাম্রাজ্যকে ধাক্কা দিয়েছিল, পরের বছর কোম্পানি বিলুপ্তি করে দিয়ে ভারতবর্ষকে ব্রিটিশ রাজমুকুটের অধীনস্ত করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যতে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পুনরাবৃত্তি রোখা।

মে ১১ বিদ্রোহীরা দিল্লি দখল করে নিলেন।

সেপ্টেম্বর ১৪ বিদ্রোহীদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা ছিনিয়ে নিল দিল্লি।
সেপ্টেম্বর ২১ দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরের সিংহাসনত্যাগের মধ্য দিয়ে ৩৩১ বছর বয়সী মুঘল সাম্রাজ্যের অবসান।*
* ব্রিটিশ ঐতিহাসিক রিচার্ড এম. ইটন দিল্লি সুলতানশাহি আর মুঘল সাম্রাজ্যের ছয়শো বছরকে বলেছেন পার্সিয়ানাত: ফারসি ভাষার সাম্রাজ্য। ১৮৫৭ সালের আগ পর্যন্ত ভারত – গ্রিকে ইন্ডিয়া আর ফারসিতে হিন্দুস্তান – স্রেফ একটা geographical territory ছিল, রাষ্ট্র নয়। ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলেই কেন্দ্রীভূত কর্তৃত্ববাদী প্রতিষ্ঠান অর্থে রাষ্ট্র হয়ে ওঠে, যার উত্তরাধিকার বর্তমান পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ।

কলকাতা, বোম্বে, ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হল।

১৮৫৮ সিপাহি যুদ্ধের কারণে ব্রিটিশ রাজপরিবার বুঝতে পারে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্রিটেনের জন্য একটা বোঝায় পরিণত হচ্ছে। খোদ ব্রিটেনে কোম্পানির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠছিল।

নভেম্বর ১ রানী ভিক্টোরিয়া ভারত শাসনের দায়ভার ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে নিজের হাতে তুলে নিলেন; ব্রিটিশ সংসদে লর্ড স্ট্যানলির আনা ভারত বিল পাশের মধ্য দিয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ভারতবর্ষকে ব্রিটিশ রাজমুকুটের অধীনে আনা হয়। এই শতকের শেষাবধি, ভারতবর্ষের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ডে রাজ করে ব্রিটিশরা।*
* বাকি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ থাকে প্রিন্সলি স্টেটগুলোর দখলে। ১৯৪৭ সাল নাগাদ এরকম ৫০০-৬০০ প্রিন্সলি স্টেট ছিল, যাদের শাসকরা ব্রিটিশদের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে, আধা-স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতেন। ১৯৪৭-৪৯ সালে অধিকাংশ প্রিন্সলি স্টেট ভারতে ও অল্প কয়েকটি পাকিস্তানে যোগদান করে; অবশ্য জম্মু ও কাশ্মির, জুনাগড় এবং হায়দারাবাদের মত কয়েকটি প্রিন্সলি স্টেট নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

ভারতীয়দের সিভিল সার্ভিসে যোগদানের অধিকার দেয়া হল। স্যার সৈয়দ আহমদ খান মুসলমান সমাজের ব্রিটিশ কৃষ্টিকালচার গ্রহণ করে নেয়ার ও ইসলামের সংস্কারের পক্ষে কলম ধরলেন।

প্যারীচাঁদ মিত্র, তখল্লুস টেকচাঁদ ঠাকুর, আলালের ঘরের দুলাল।*
* এই উপন্যাসটি সাধু ভাষায় লেখা হয় নি। আজকের দিনে ‘প্রমিত চলিত বাংলা’ বলতে যা বোঝায় এমনকি তাতেও নয়। প্যারীচাঁদ মিত্র আলালের ঘরের দুলাল লিখেছিলেন সমকালীন চলতি ভাষায়।

১৮৫৯ বাংলার ভূমিরাজস্ব আইন: ভারতের প্রথম প্রজাস্বত্ব আইন।

১৮৫৯-৬১ নীল বিদ্রোহ।*
* বাংলার ইতিহাসে প্রচারণার মাধ্যমে যাঁদের ‘উনিশ শতকের মহাপুরুষ’ বলে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তাঁরাসহ বাঙালি মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের প্রায় সবাই ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের মত নীল বিদ্রোহের ব্যাপারেও নির্লিপ্ত ছিলেন। হরিশ মুখার্জি এই ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম। হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার এই সম্পাদক শুধু যে নীল বিদ্রোহে বুদ্ধিবৃত্তিক সমর্থন দিয়েছেন তাই নয়, বিদ্রোহী চাষীদের আর্থিক সহায়তাও প্রদান করেছেন।

১৮৬০ পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল করে নিল ব্রিটিশ উপনিবেশিক শক্তি। চট্টগ্রাম থেকে আলাদা করল। পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে একটি স্বতন্ত্র জেলা গঠন করল।

১৮৬০-১৯২০ ব্রিটিশ উপনিবেশিক সরকার বর্তমান পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে সেচকার্যের প্রকল্প হাতে নেয়, যা দীর্ঘমেয়াদে পাঞ্জাবকে পাকিস্তানের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির কেন্দ্রে পরিণত করে।  প্রদেশটির জন্য এর ফল হয়েছে সুদূরপ্রসারী। পাকিস্তানের সবচে ক্ষমতাশালী প্রদেশ পাঞ্জাব, দেশটির রাজনীতি অর্থনীতি মূলত পাঞ্জাবিরাই নিয়ন্ত্রণ করেন।

১৮৬০-৬১ কুকি অভ্যুত্থান।

১৮৬১-১৯৪১ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনকাল।

১৮৬১ সুন্দরবন অঞ্চলের বিদ্রোহ। আহমেদাবাদে একটি কাপড়ের কারখানা খোলা হল।

মাইকেল মধুসূদন দত্ত, মেঘনাদবধ কাব্য

১৮৬২-১৯০২ স্বামী বিবেকানন্দের জীবনকাল।

১৮৬৩ জমাতিয়া বিদ্রোহ।

কালীপ্রসন্ন সিংহ, হুতোম প্যাঁচার নকশা

১৮৬৪ হজ পালন করলেন ভোপালের নবাব সিকান্দার বেগম।

১৮৬৫ ইওরোপের সাথে ব্রিটিশ ভারতের টেলিযোগাযোগ স্থাপিত হল।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, দুর্গেশনন্দিনী

১৮৬৬-৮৮ এ সময়ই কখনো দেওবন্দে প্রতিষ্ঠিত হল দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসার বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপনিবেশবাদবিরোধী লড়াইয়ে অবদান রেখেছেন।

১৮৬৬ ওড়িশা দুর্ভিক্ষ, ১৫ লক্ষ ভারতীয়র মৃত্যু।

১৮৬৮ দেওবন্দে প্রতিষ্ঠিত হল দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসা। এই মাদ্রাসার বিভিন্ন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপনিবেশবাদবিরোধী লড়াইয়ে অবদান রেখেছেন।

১৮৬৯-১৯৪৮ মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর জীবনকাল।

১৮৬৯ উইলিয়াম শেকসপিয়ারের কমেডি অফ এররস বাংলায় রূপান্তরিত করলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বেরোলো ভ্রান্তিবিলাস নামে।

১৮৭০ গঠন করা হল পুনে সর্বজনিক সভা।

১৮৭২ ব্রিটিশ ভারতের প্রথম আদমশুমারি। পাঞ্জাবের নামধারী বিদ্রোহ। পার্বত্য চট্টগ্রামে এ সময় পাহাড়িদের জনসংখ্যার হার ৯৮ শতাংশেরও বেশি। বাঙালিদের জনসংখ্যার হার মাত্র ১.৭৩ শতাংশ।

১৮৭২-৭৩ পাবনা ও বগুড়া জেলার কৃষক বিদ্রোহ।

১৮৭২-১৯৪৮ অরবিন্দ ঘোষের জীবনকাল।

১৮৭৩-১৯২৪ মহাকবি কুমারান আসানের জীবনকাল।

১৮৭৩-৭৫ মহারাষ্ট্রে মহাজনদের বিরুদ্ধে কৃষক বিদ্রোহ।

১৮৭৩ মীর মোশাররফ হোসেন, জমিদার দর্পণ

১৮৭৪ বাংলা ও বিহারে দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। ফোর্ট উইলিয়ামের প্রেসিডেন্সির বাংলাভাষী অঞ্চল গোয়ালপাড়া ও কাছারকে আসামের সাথে যুক্ত করা হল। প্রতিষ্ঠা করা হল ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা।

১৮৭৫ স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল আর্য সমাজ। হেলেনা ব্লাভাতস্কি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল থিওজফিকাল সোসাইটি।

১৮৭৬ পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী করাচিতে এক গুজরাটি পরিবারে জন্ম নিলেন মোহাম্মদালি জিন্নাভাই।

১৮৭৬-৭৭ ভাইসরয় লর্ড লিটনের দায়ে বড় আকারের দুর্ভিক্ষ।

১৮৭৭ মহারানী ভিক্টোরিয়াকে ভারতবর্ষের সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হল।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোটে কবি ইকবালের জন্ম, যাকে পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা ভাবা হয়।

১৮৭৭ জানুয়ারি ১ মহারানী ভিক্টোরিয়াকে ভারতবর্ষের সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হল। নাগপুরের কাপড়ের কলে প্রথম শ্রমিক ধর্মঘট। কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হল জাতীয় মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন।

১৮৭৮ ব্রিটিশ ভারতে পাশ হল দুটি নিবর্তনমূলক আইন: ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট আর আর্মস অ্যাক্ট

১৮৭৯ বাসুদেব বলবন্ত ফাড়কের বিদ্রোহ।

১৮৭৯-৮৩ রাম্পার কৃষক অভ্যুত্থান।

১৮৮১ ভারতে ইসমাইলি নেতা প্রথম আগা খানের মৃত্যু। প্রণয়ন করা হল ভারতের প্রথম কারখানা আইন।

১৮৮৪ বোম্বেতে বস্ত্রকল শ্রমিকদের প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হল। প্রতিষ্ঠিত হল প্রথম ভারতীয় শ্রমিক ইউনিয়ন।

১৮৮৫ ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস, পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তা, অ্যালান অক্টাভিয়াম হিউম কর্তৃক ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) প্রতিষ্ঠিত।

১৮৮৫-৯১ মীর মোশাররফ হোসেন, বিষাদসিন্ধু

১৮৮৯-১৯৬৪ জওহরলাল নেহরুর জীবনকাল।

১৮৯১ এইজ অফ কনসেন্ট বিল। বাংলা আর মহারাষ্ট্রের হিন্দুদের বিরোধিতার মুখে স্ট্যাচুয়েটরি রেপের বয়সসীমা ১০ থেকে ১২ করল ব্রিটিশ ভারতের উপনিবেশিক সরকার। মণিপুরে গণঅভ্যুত্থান।

১৮৯১-১৯৫৬ বাবাসাহেব ভীমরাও রামজি আম্বেদকারের জীবনকাল।

১৮৯২ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট: ব্রিটিশ ভারতের বাংলা, বোম্বে, আর মাদ্রাজের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলোর প্রতিনিধিদের অপ্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত করার আইন পাশ হল। ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আইসিএস) পরীক্ষায় বসার বয়স বাড়িয়ে ২৩ করা হল।

১৮৯৩ ব্রিটিশ ভারতের ফরেন সেক্রেটারি মর্তিমার দুরান্দ কর্তৃক আফগানিস্তান আর ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার মাঝখানে আঁকা হল দুরান্দ রেখা। এই রেখা আঁকা হয়েছিল পশতুনদের গোত্রীয় জমিজমার ওপর দিয়ে। এই রেখা আঁকার মধ্য দিয়ে পরবর্তীতে পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের মধ্যকার দ্বন্দ্বের ভিত্তি স্থাপিত হয়।

শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম সংসদে অংশ নিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। ‘গোরক্ষা’ ইস্যুতে হিন্দু মুসলমান উত্তেজনা দেখা দিল।

১৮৯৩-১৯৫২ পরমহংস যোগানন্দের জীবনকাল।

১৮৯৫-১৯৮৬ জিদ্দু কৃষ্ণমূর্তির জীবনকাল।

১৮৯৬-১৯৭৭ এ. সি. ভক্তিবেদান্তের জীবনকাল।*
* ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসের (ইসকন) প্রতিষ্ঠাতা।

১৮৯৬ ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা ও মারাঠি পণ্ডিত বাল গঙ্গাধর তিলকের প্রচেষ্টায় উদযাপিত হল গণেশ বিসর্জন ও শিবাজি উৎসব।*
* তিলকই প্রথম ‘পূর্ন স্বরাজ’-য়ের দাবি উত্থাপন করেন।

১৮৯৭ ব্রিটিশ ভারত আর রুশ-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে আঁকা হল দুরান্দ রেখা।  পশতুনদের – পাঠান নামে অধিক পরিচিত – ঐতিহাসিক নিবাসভূমি পার্টিশনড হয়ে গেল।  এর প্রভাব হল সুদূরপ্রসারী: আফ-পাক সীমান্ত বিবাদ ও স্বাধীন পশতুনিস্তানের দাবিতে আন্দোলন।

ভারতে একটি বড় মাপের দুর্ভিক্ষ চলাকালীন সময়ে রানী ভিক্টোরিয়ার হীরক জয়ন্তী উদযাপিত হল। স্বামী বিবেকানন্দ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল রামকৃষ্ণ মিশন।

১৮৯৭-১৯৪৬ সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনকাল।

১৮৯৮ বাংলাদেশের মানিকগঞ্জে হীরালাল সেন প্রতিষ্ঠা করেন দ্য রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পানি, ঢাকার সদরঘাটের ক্রাউন থিয়েটারে ছায়াছবি প্রদর্শিত হল।*
* ভারতের জাতীয়তাবাদী ইতিহাসে দাদাসাহেব ফালকেকে ‘ভারতীয় উপমহাদেশে ছায়াছবির জনক’ হওয়ার সম্মান দেয়া হয়। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী ইতিহাস আবদুল জব্বার খানকে দেখা হয় প্রথম বাংলা ছায়াছবির নির্মাতা হিসেবে। বাস্তবে, মানিকগঞ্জের হীরালাল সেনই উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্রকার।

১৮৯৮ মুসলমান আধুনিকতাবাদী সংস্কারক সৈয়দ আহমদ খানের মৃত্যু। আহমদিয়া আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির মৃত্যু।

১৯০০-৭৩ নিম কারোলি বাবার জীবনকাল।

১৯০০ ব্রিটেনে এ সময় ভারত থেকে ১৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থমূল্যের চা রফতানি হচ্ছে।

মে ১৭ পাশ হল চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়াল ল।

১৯০১ ব্রিটিশ সাংবাদিক উইলিয়াম ডিগবি লিখলেন, “দেড়শ বছর আগেও বাংলা ব্রিটেনের চেয়ে অনেক বেশি ধনী ছিল।” ভারতের প্রথম এথনোগ্রাফিক জরিপ পরিচালনা করলেন হার্বার্ট রিজলি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল শান্তিনিকেতন।

১৯০৩-১৯৭৯ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবু আলা মওদূদীর জীবনকাল।

১৯০৩ লর্ড কার্জনের দিল্লি দরবার

১৯০৩-১৯২৮ জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন (সংকলন ও সম্পাদনা), লিঙ্গুইস্টিক সার্ভে অফ ইন্ডিয়া

১৯০৫ অক্টোবর ১৬ ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকরা বঙ্গভঙ্গ ঘোষণা করলেন, উদ্দেশ্য ছিল পূর্ববঙ্গ ও আসাম নিয়ে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ গঠন করা। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে শুরু হল স্বদেশী আন্দোলন। লর্ড কার্জনের পদত্যাগ।

শ্যামাজি কৃষ্ণবর্মা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল দ্য হোমরুল সোসাইটি।

১৯০৬  কলকাতায় বালগঙ্গাধর তিলক উদ্বোধন করলেন শিবাজি উৎসব।
ডিসেম্বর ৩০ ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হল নিখিল ভারত মুসলিম লীগ (এআইএমএল)

মিসেস আর এস হোসেইন, সুলতানার স্বপ্ন

১৯০৭ সুরাটে আইএনসির কংগ্রসে প্রথম ভাঙন দেখা দিল।

১৯০৮ জুলাই ১৩-২২ বালগঙ্গাধর তিলকের মামলা।
জুলাই ২৩ সাধারণ রাজনৈতিক ধর্মঘট।
জুলাই ২৪ বোম্বেতে রাজনৈতিক ধর্মঘট।

সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবীদের কার্যক্রম শুরু।

১৯০৯ মর্লে-মিন্টো সংস্কার, মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র নির্বাচনব্যবস্থা চালু করা হল।

১৯০৯-৬৬ হোমি জাহাঙ্গীর ভাবার জীবনকাল।

১৯০৯-১০ মর্লি মিন্টো সংস্কার।

১৯১১ ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম জর্জের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষ্যে দিল্লিতে শেষবারের মত বসান হল দিল্লি দরবার। রাজধানী কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হল। বঙ্গভঙ্গ রদ করা হল।

জামশেদপুরে নির্মিত হল ভারতের প্রথম ধাতুশিল্প কারখানা।

১৯১২ ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হল।

১৯১৩ মুসলিম লীগে যোগ দিলেন গুজরাটের মুহাম্মদালি জিন্নাভাই।* যুক্তরাষ্ট্রে গঠিত হল ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশন (পরে, গদর পার্টি)। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
* পরবর্তীতে তাঁর নামের প্রথম অংশের মুহাম্মদ আরআলি আলাদা হয়ে যাবে আর জিন্নাভাই থেকে ভাই ঝরে পড়বে, তিনি হয়ে উঠবেন মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ।

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

১৯১৪-২০০২ স্বামী সচ্চিদানন্দের জীবনকাল।

১৯১৪ মুসলিম লীগ ক্রমেই ব্রিটিশবিরোধী অবস্থান নিতে শুরু করায় সংগঠনটির প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আগা খান।

১৯১৫ হরিদ্বারে পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা।* বার্লিনে প্রতিষ্ঠিত হল ভারত স্বাধীনতা কমিটির সংগঠন। কাবুলে প্রতিষ্ঠিত হল প্রবাসী অস্থায়ী ভারত সরকার। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এলেন গান্ধী। গান্ধীর সত্যাগ্রহ আশ্রম।
* ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিক্রিয়ায় গড়ে ওঠা এই সংগঠনটিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) মাতৃসংগঠন বলা যেতে পারে।

নভেম্বর সিঙ্গাপুরে ভারতীয় সেপাইদের বিদ্রোহ। গান্ধীর নেতৃত্বে প্রথম সত্যাগ্রহ আন্দোলন।

১৯১৬ লখনৌ চুক্তি। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের মধ্যে সই হয়। গঠিত হল নিখিল ভারত হোমরুল লীগ।

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ, শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

১৯১৭ রুশ বিপ্লব

১৯১৮ মাদ্রাজে প্রতিষ্ঠিত হল ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন।

আগস্ট আইএনসিতে আবার ভাঙন দেখা দিল। গঠিত হল লিবারেল ফেডারেশন।

খেলাফত আন্দোলন গ্রহণ করে নিল মুসলিম লীগ।

স্পেনীয় ফ্লুতে সারা পৃথিবীতে ২ কোটি ১৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু। এদের মধ্যে ১ কোটি ২৫ লক্ষ ভারতীয়। ব্রিটেনের রয়েল সোসাইটির ফেলোশিপ পেলেন শ্রীনিবাস রামানুজন।

১৯১৮-২০০৮ মহর্ষি মহেশ যোগীর জীবনকাল।

১৯১৯ মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসন সংস্কার। অমৃতসরের কসাই রেজিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড। গান্ধীর রাওলাট সত্যাগ্রহ

১৯১৯-২২ অসহযোগখেলাফত আন্দোলন

১৯২০-২২ অসহযোগ আন্দোলন

১৯২০ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম পর্যায়।

সেপ্টেম্বর অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করে নিল আইএনসি।

অক্টোবর ১৭ মধ্য এশিয়ার তাশখন্দে গঠিত হল ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই)।

দীনেশচন্দ্র সেন (সম্পাদিত), ময়মনসিংহ গীতিকা

ডিসেম্বর আইএনসি কর্তৃক গৃহীত হল প্রথম পার্টি সংবিধান। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করলেন পরমহংস যোগানন্দ। গঠিত হল ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই)। প্রতিষ্ঠিত হল নিখিল ভারত ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস।

বর্তমান পাকিস্তানে আবিষ্কৃত হল সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতা।

১৯২১ মে আসামে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট।

জুলাই ১ প্রতিষ্ঠা করা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আগস্ট মোপলা অভ্যুত্থান শুরু।

নভেম্বর বোম্বেতে চারদিনের রাজনৈতিক ধর্মঘট।

১৯২১-২২ যুক্তপ্রদেশে চাষীদের একা আন্দোলন, পাঞ্জাবে আকালি আন্দোলন।

১৯২২ ফেব্রুয়ারি বারদোলি প্রস্তাব। চৌরিচৌরা সহিংসতা দেখে অসহযোগ আন্দোলন বাতিল করলেন গান্ধী। রবীন্দ্র ঠাকুরের শান্তিনিকেতন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হল।
মে চৌরিচৌরা থানার ঘটনা। অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন গান্ধী।

ব্রিটিশ সরকার কবি ইকবালকে নাইটহুড প্রদান করল।

১৯২২-২৩ পেশওয়ার ষড়যন্ত্র মামলা

১৯২৩ বিনায়ক দামোদর সাভারকার, হিন্দুত্ব: হু ইজ আ হিন্দু?

১৯২৪ কানপুর কমিউনিস্টবিরোধী মামলা। বাংলা, পাঞ্জাব, ও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের (এনডব্লিউএফপি) মত ব্রিটিশ ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে ফেডারেল কাঠামোর আওতায় কয়েকটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ গঠনের দাবি তুলল অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ। স্যার জন মার্শাল প্রাক-হিন্দু সিন্ধু উপত্যকার সভ্যতার নানান নিদর্শন আবিষ্কার করতে শুরু করলেন।

১৯২৪-২৫ বোম্বের বস্ত্রকল শ্রমিকদের ধর্মঘট।

১৯২৫ বিজয়া দশমীর দিন নাগপুরে কেশব বলিরাম হেজওয়ার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল হিন্দুত্ববাদী আদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)।

ডিসেম্বর ২৮-৩০ কানপুরে কমিউনিস্টদের প্রথম সর্বভারতীয় সম্মেলন। গঠিত হল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি।

১৯২৬-২৭ গঠিত হল কৃষক ও শ্রমিক পার্টি।

১৯২৬-৩০ ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, ও বরিশালে দাঙ্গা।

১৯২৬-২০১১ সত্য সাই বাবার জীবনকাল।

১৯২৭ মহারাষ্ট্রে দেবদাসী প্রথা নিষিদ্ধ করা হল। দ্রুত প্রথাটি নিষিদ্ধ হয়ে গেল কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশাতেও। বাবাসাহেব ভীমরাও রামজি আম্বেদকারের নেতৃত্বে মাহাদ সত্যাগ্রহ

১৯২৮ সর্বদলীয় সম্মেলন আয়োজিত। রাজনৈতিক দলগুলো একটি সংবিধানের মুসাবিদা করতে এক হল।

ডিসেম্বর নিখিল ভারতের স্বাধীনতা লীগের অধিবেশন। প্রতিষ্ঠিত হল হিন্দুস্তান সোশালিস্ট রিপাবলিকান এসোসিয়েশন (এইচএসআরএ)।

১৯২৯-৩৩ মীরাট ষড়যন্ত্র মামলা

১৯৩০ মুসলিম লীগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন কবি ইকবাল।

১৯৩০ মার্চ গান্ধীর ইয়াং ইন্ডিয়ার এগারো দফা।

এপ্রিল গান্ধীর নেতৃত্বে লবন সত্যাগ্রহ আন্দোলন। পেশওয়ার, শোলাপুর, ও চট্টগ্রামে দেখা দিল সশস্ত্র অভ্যুত্থান।
১৮ চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন।

কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন জওহরলাল নেহরু। লাহোরে পাশ হয়ে গেল পূর্ণ স্বরাজ প্রস্তাব। মার্কিন ঐতিহাসিক উইল ডুরান্ট ভারত সফর করলেন।

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেলেন চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমণ।

১৯৩০-৩২ লন্ডনের গোলটেবিল বৈঠক।

১৯৩১ বর্তমান ভারতের গুজরাট রাজ্যের এক মুসলমান পরিবারে জন্ম নিলেন মানববাদী আবদুল সাত্তার ইধি।*
* পাকিস্তানের অসহায় মানুষদের জন্য, বিশেষত এতিম শিশুদের জন্য, তাঁর নিঃস্বার্থ অবদানের কারণে তাকে ‘দয়ার ফেরেশতা’ ডাকা হয়।

মার্চ ৫ গান্ধী আরউইন চুক্তি।
মার্চ করাচিতে আইএনসির কংগ্রেস। এ সময় প্রায় ২৫ লক্ষ ভারতীয় হিন্দু শ্রীলঙ্কা, মালয়া, মরিশাস, দক্ষিণ আফ্রিকা ইত্যাদি দেশে বাস করছেন।

১৯৩১-৯০ ভগবান শ্রী রজনীশের জীবনকাল।*
* ওশো নামেও পরিচিত।

১৯৩১-৩২ কাশ্মীরে সামন্তবিরোধী আন্দোলন।

১৯৩২ সাম্প্রদায়িক রোয়েদাদপুনা চুক্তি

১৯৩৩ ইকবালের চিন্তাধারা কর্তৃক অনুপ্রাণিত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ভারতীয় ছাত্র পাকিস্তান শব্দটি চালু করলেন।

১৯৩৪ গঠিত হল কংগ্রেস-সমাজতান্ত্রিক পার্টি।

পল ব্রান্টন, আ সার্চ ইন সিক্রেট ইন্ডিয়া

১৯৩৫-১৯৪৭ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি।

১৯৩৫ আগস্ট ২ ভারত শাসন আইন, ভারতে একটি ফেডারেটেড সরকার প্রতিষ্ঠা করা হল।

যুক্তরাষ্ট্রে সেলফ-রিয়েলাইজেশন ফেলোশিপ প্রতিষ্ঠা করলেন পরমহংস যোগানন্দ।

১৯৩৬ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি থেকে উড়িষ্যাকে বিচ্ছিন্ন করা হল।

শ্রীযুক্তা লক্ষীবাঈ কেলকর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল রাষ্ট্রীয় সেবিকা সমিতি।

এপ্রিল গঠিত হল সর্বভারতীয় কৃষক সভা।

মে কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন জওহরলাল নেহরু।
* আরএসএসের প্রথম শাখা সংগঠন বিবেচিত হয়।

১৯৩৭ ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারতের প্রথম “গণতান্ত্রিক” নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। এই নির্বাচনে ব্রিটিশ ভারতের এগারোটি প্রদেশের আটটিতে জেতে ও প্রাদেশিক সরকার গঠন করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি)। মুসলিম লীগ প্রাদেশিক নির্বাচনগুলোতে জিতে সরকার গঠনে ব্যর্থ হলেও কংগ্রেসি রাজনীতিকরা মুসলিম লীগের রাজনীতিকদেরকে কিছু ছাড় দেন।

নাসিকে বালকৃষ্ণ শিবরামজি মুঞ্জে কর্তৃক ফ্যাসিস্ট ইতালির সামরিক ইশকুলগুলোর ধাঁচে প্রতিষ্ঠিত হল আরএসএসের শাখা সংগঠন সেন্ট্রাল হিন্দু মিলিটারি এডুকেশন সোসাইটি।

১৯৩৮ বোম্বেতে কে. এম. মুনশি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ভারতীয় বিদ্যা ভবন। কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন সুভাষচন্দ্র বসু। কবি আল্লামা ইকবালের মৃত্যু।

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৩৯ আইএনসি থেকে বেরিয়ে এলেন সুভাষচন্দ্র বসু। গঠন করলেন ফরওয়ার্ড ব্লক।

সেপ্টেম্বর যুদ্ধ সম্পর্কে আইএনসির ঘোষণা।

ডিসেম্বর ১৬ ঢাকা থেকে প্রথম বেতার অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হল।

সাবিত্রী দেবী মুখার্জি, আ ওয়ার্নিং টু দ্য হিন্দুজ

১৯৪০ মার্চ ২৩ লাহোর প্রস্তাব, ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশনে মুসলমান-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা দাবি গৃহীত হল।*
* শুরুতে অখণ্ড পাকিস্তানের প্রস্তাব তোলা হয়নি, অখণ্ড পাকিস্তানের দাবি আরো পরে উঠেছে। তবে এ সময়ই জিন্না দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রদান করেন। এই তত্ত্ব অনুসারে, হিন্দু আর মুসলমানরা স্রেফ সম্প্রদায়গতভাবেই পৃথক নন, স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ধারণা করা দুটি জাতি।

অক্টোবর ব্যক্তিগত সত্যাগ্রহে কারাবরণ করলেন ২০ হাজার কংগ্রেসী।

আকালি দলের নেতা মাস্টার তারা সিং পাকিস্তানের ধারণার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, শিখরা “আজাদ পাঞ্জাব”য়ের জন্য লড়বে। লাহোর ও মুলতানের অংশবিশেষ পরবর্তীতে খালিস্তান নামে পরিচিতি পাওয়া এই রাষ্ট্রপ্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

১৯৪১ ডিসেম্বর ১০ মুসলিম লীগ থেকে বহিষ্কৃত হলেন শেরে বাংলা।

লাহোর প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় লাহোরের ইসলামিয়া পার্কে আবু আলা মওদূদী প্রতিষ্ঠা করলেন জামায়াতে ইসলামী।*
* মওদূদী লাহোর প্রস্তাব সমর্থন করেন নি, কেননা তিনি সর্বপ্রকার জাতীয়তাবাদকে ‘ইসলামবিরোধী’ মনে করতেন। তবে ইতিহাস তার কল্পলৌকিকতাকে প্রশ্রয় দেয়নি। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের মত জামায়াতে ইসলামীও পার্টিশনড হয়ে যায়: জামায়াতে ইসলামী হিন্দ আর জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান।

১৯৪২ ভারতে আপোস প্রস্তাব নিয়ে ক্রিপস মিশনের আগমন। এই মিশন থেকে প্রস্তাব রাখা হল, বিশ্বযুদ্ধের পরে ভারতকে ডমিনিয়ন স্ট্যাটাস দেয়া হবে। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল আইএনসি, কংগ্রেস নেতাদের কারাবরণ।

এপ্রিল গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হল ভারত ছাড়ো আন্দোলন।

জুলাই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে বৈধতা প্রদান করা হল।

আগস্ট গান্ধী গ্রেপ্তার, আইএনসির কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হল।

সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অক্ষশক্তির সাথে হাত মেলালেন। তাঁর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ) বার্মায় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হল। আইএনএ ও সাম্রাজ্যিক জাপানের হাতে সিঙ্গাপুরের পতন।

১৯৪৩ তেতাল্লিশের মন্বন্তর, চার্চিলের উপনিবেশিক বর্ণবাদী নীতির ফলে বাংলায় দুর্ভিক্ষ। চলল ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত। এর মধ্যে না খেতে পেয়ে মারা যান ৩৫ লক্ষ মানুষ।*
* দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের পরাস্ত করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় যুদ্ধনায়ক বিবেচিত হন উইনস্টন চার্চিল, আর সেটা ন্যায্যও বটে। কিন্তু ফসলে উদ্বৃত্ত বাংলায় ভাতের কষ্ট পেয়ে মারা যাওয়া ৩৫ লক্ষ বাঙালির চোখে তিনি নায়ক ছিলেন না। ইতিহাসে নায়ক আর খলনায়কদের বিচারটা খুবই আপেক্ষিক।

মে ২৩ কলকাতায় অনুষ্ঠিত হল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সম্মেলন।

১৯৪৫ ব্রিটিশ ভারতের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনগুলোতে মুসলমান-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে মুসলমানদের একটি স্বতন্ত্র আবাসভূমির দাবিতে প্রচারণা চালাল মুসলিম লীগ।* প্রায় সবকটি মুসলিম আসনে মুসলিম লীগ জিতল। অমুসলিম আসনগুলোর ৯১ শতাংশ জিতল আইএনসি।
* এসময় থেকেই অখণ্ড পাকিস্তানের ধারণা সংহত হয়।

কংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হল। লর্ড ওয়াভেলের সিমলা সম্মেলন। বাংলায় শুরু হল “তেভাগা আন্দোলন।”

১৯৪৬ ব্রিটিশ ভারতে কেবিনেট মিশনের আগমন। কিন্তু ভবিষ্যৎ ভারত সরকারের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর ব্যাপারে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) ও মুসলিম লীগের নেতারা একমত হতে না পারায় মিশন ব্যর্থ হল।

ফেব্রুয়ারি ১৮-২৩ বোম্বেতে বিদ্রোহ করলেন রাজকীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা।

এপ্রিল আইনসভার নির্বাচন।
এপ্রিল ৯ অখণ্ড পাকিস্তানের প্রস্তাব দিলেন হোসেন শহিদ সরোওয়ার্দি।

জুন কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন জওহরলাল নেহরু।

জুলাই মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ পাকিস্তানের প্রতি মুসলমানদের অঙ্গীকারবদ্ধতা প্রদশর্ন করতে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস পালনের ডাক দিলেন। কলকাতা, নোয়াখালি, ও বিহারে হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা। অমৃতসর ও লাহোরে শিখ মুসলিম দাঙ্গা।

আগস্ট শপথ গ্রহণ করলেন ভারতের অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যরা।

কাশ্মীর ছাড়ো আন্দোলন।

জওহরলাল নেহরু, দ্য ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া

১৯৪৭ এপ্রিল গোয়ালিয়রে অনুষ্ঠিত হল নিখিল ভারত প্রজাপরিষদের অধিবেশন।

মে গঠিত হল ভারতের জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন।

জুন ৩ ভারত ও পাকিস্তানের ভিত্তিতে স্বাধীনতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হল, যার অর্থ ছিল ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির দুই ভাগ হয়ে যাওয়া।
২০ হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাসমূহের কংগ্রেস সদস্য, হিন্দু মহাসভার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ও কমিউনিস্ট পার্টির জ্যোতি বসু সমেত ৫৮ জন বিধায়ক বাংলা ভাগের পক্ষে ভোট দেন। অন্যদিকে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের ১১৬ জন মুসলিম লীগ সদস্য বাংলা ভাগের বিপক্ষে ও ৩৪ জন কংগ্রেস সদস্য বাংলা ভাগের পক্ষে ভোট দেন। অমুসলিমদের মধ্যে দলিতদের তফশিলি ফেডারেশনের ৫ জন বিধায়কও বাংলা ভাগের বিপক্ষে ভোট দেন।

জুলাই দিল্লিতে প্রথম প্রকাশিত হল আরএসএসের মুখপত্র অর্গানাইজার
ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় হলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
তিনি ব্রিটিশ ভারতকে দুটি আলাদা ডমিনিয়নে পার্টিশনড করার একটা চূড়ান্ত পরিকল্পনা হাজির করলেন।
৬-৭ জুলাই গণভোটের মাধ্যমে পূর্ববঙ্গে যোগদানের রায় দিল সিলেট।
১৮ জুলাই ব্রিটেনের পার্লামেন্টে পাশ হল ভারতের স্বাধীনতা আইন।
১৯ শ্রীনগর ঘোষণায় সর্বসম্মতিক্রমে পাকিস্তানে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল অল জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর মুসলিম কনফারেন্স।

আগস্ট ১৩ র‍্যাডক্লিফ রোয়েদাদ। খুলনার মতও পার্বত্য চট্টগ্রামও পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হল। এটা চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস পিপলস এসোসিয়েশন ভালোভাবে নেয়নি। ফলে রাঙামাটিতে ভারতের জাতীয় পতাকা আর বান্দরবানে বার্মার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৪, মধ্যরাত ব্রিটিশ ভারতের অবসান।

পোস্টস্ক্রিপ্ট: ১৯৪৭-পরবর্তী ইতিহাসের জন্য, দেখুন, পাকিস্তান, ভারত, ও বাংলাদেশ

তথ্যসূত্র

আজাদ, হুমায়ুন। ২০১৯। লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী। দ্বিতীয় সংস্করণ সপ্তদশ মুদ্রণ। আগামী।
—২০২১। কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী। দ্বিতীয় সংস্করণ একাদশ মুদ্রণ। আগামী।

আন্তোনভা, কোকা, বোনগার্দ-লেভিন, গ্রিগোরি, ও কতোভস্কি, গ্রিগোরি। ১৯৮৮। ভারতবর্ষের ইতিহাস। তৃতীয় সংস্করণ। মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায় ও দ্বিজেন শর্মা কর্তৃক অনূদিত। প্রগতি প্রকাশন।

আব্দুল্লাহ, শোয়েব। ২০২১। জানাজা থেকে স্বাধীনতা: কাশ্মীরে আজাদির লড়াই ও তার সাম্প্রতিক বৃত্তান্ত। আদর্শ।

বাংলাপিডিয়া। ২০১৫। “দুর্ভিক্ষ।” বাংলাপিডিয়া। শেষ সম্পাদিত হয়েছে জানুয়ারি ১৪, ২০১৫য়।
https://bn.banglapedia.org/index.php/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7
 ২০১৫খ। “দুর্ভিক্ষ, ১৯৪৩।” বাংলাপিডিয়া। শেষ সম্পাদিত হয়েছে জানুয়ারি ১৪, ২০১৫য়।
https://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7,_%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%AA%E0%A7%A9

মনু, রক। ২০১৩। “সহমরণ হতে সতীদাহ।” বাছবিচার।
https://bacbichar.net/2013/07/art.1154.bb/

রহমান, মুহাম্মদ হাবিবুর। ২০০৮। বাংলাদেশের তারিখ। তৃতীয় সংস্করণ। মাওলা ব্রাদার্স।

রাফিন, ইরফানুর রহমান। ২০২২। সময়রেখা: মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে করোনাসংকট পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ঘটনাপঞ্জি। দিব্যপ্রকাশ।

রায়, সুপ্রকাশ। ২০১৮। ভারতের কৃষক-বিদ্রোহ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম। দ্বিতীয় র‍্যাডিকাল প্রকাশ। র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন।

রায়, সুমিত। ২০২২। “গুর্জর-প্রতীহার রাজবংশ (৭৩০-১০৩৬ খ্রি.) : রাজবৃত্তান্ত।” বিবর্তনপথ, জানুয়ারি ৩১।
https://www.bibortonpoth.com/10542

শর্মা, রাম শরণ। ২০১৭। প্রাচীন ভারত। ষষ্ঠ মুদ্রণ। সুমন চট্টোপাধ্যায় কর্তৃক ভাষান্তরিত। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ।

শাহরিয়ার, খন্দকার স্বনন। ২০২১। মধ্যযুগের বাংলা: বখতিয়ার খলজি থেকে সিরাজ-উদ-দৌলা। প্রথম সংস্করণ। বাতিঘর।
— ২০২৩। প্রাচীন যুগের বাংলা: গঙ্গারাজ্য থেকে গৌড়। প্রথম সংস্করণ। বাতিঘর।

BBC. 2019. “India profile – Timeline.” BBC, March 4.
https://www.bbc.com/news/world-south-asia-12641776

Brown, Stephen F.. 2009. Protestantism. 3rd ed. Chelsea House.

Brown, Stephen F. and Anatolias, Khaled. 2009. Catholicism & Orthodox Christianity. 3rd ed. Chelsea House.

Burki, Shahid Javed. 2006. Historical Dictionary of Pakistan. 3rd ed. The Scarecrow Press.

Crompton, Samuel Willard. 2007. Pakistan. 2nd Ed. Chelsea House.

Doniger, Wendy. 2014. On Hinduism. Oxford University Press.
2018. Against Dharma: Dissent in the Ancient Indian Sciences of Sex and Politics. Yale University Press.

Gordon, Matthew S.. 2009. Islam. 4th ed. New York.

Hartz, Paula R.. 2009a. Zoroastrianism. 3rd ed. Chelsea House.

Jones, Constance A., and Ryan, James D. 2007. Encyclopedia of Hinduism. Facts On File.

Joseph, Tony. 2018. Early Indians: The Story of Our Ancestors and Where We Came From. Juggernaut.

Kapoor, Coomi. 2015. The Emergency: A Personal History. Penguin Books.

Malik, Iftikhar H.. 2008. The History of Pakistan. Greenwood Press.

Mansingh, Surjit. 2006. Historical Dictionary of India. 2nd ed. The Scarecrow Press.

Mcleod, John. 2015. The History of India. 2nd ed. Greenwood.

Phillips, Douglas A., and Gritzner, Charles F. 2003. India. Chelsea House.
— 2007. Bangladesh. Chelsea House.

Riaz, Ali. 2016. Bangladesh: A Political History since Independence. I.B. Tauris.

Robinson, Andrew. 2014. India: A Short History. Thames & Hudson.

Rose, Jenny. 2011. Zoroastrianism: A Guide for the Perplexed. Bloomsbury.

Sardar, Ziauddin. 2017. Mecca: The Sacred City. Paperback ed. Bloomsbury.

Schendel, Williem Van. 2020. A History of Bangladesh. 2nd ed. Cambridge University Press.

Singh, Nikky-Guninder Kaur. 2009. Sikhism. 3rd ed. Chelsea House.

Thapar, Romila. 2003. The Penguin History of Early India: From the Origins to AD 1300. Penguin Books.

Tharoor, Shashi. 2016. An Era of Darkness: The British Empire in India. Aleph Book Company.

Wangu, Madhu Bazaz. 2009a. Buddhism. 4th ed. Chelsea House.
— 2009b. Hinduism. 4th ed. Chelsea House.

Wikipedia.

Wynbrandt, James. 2009. A Brief History of Pakistan. Facts On File.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *