মালয়েশিয়া

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ

সাল

৬০১-১৪০০ শ্রীবিজয় সাম্রাজ্যিক রাষ্ট্র, গঠিত ছিল মালয়া উপদ্বীপ, সুমাত্রা, পশ্চিম জাভা, ও পশ্চিম বোর্নিও নিয়ে।

১৩০১-১৪০০ মালয় জাতি ইসলামে দীক্ষিত হতে শুরু করলেন।

১৪০০ জাভা-ভিত্তিক মাজাপাহিত সাম্রাজ্য শ্রীবিজয় সাম্রাজ্যিক রাষ্ট্রকে ঘেরাও করলে শ্রীবিজয় থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের দ্বারা গঠিত হল মালাক্কা।

১৫১১ মালাক্কা দখল করে নিল পর্তুগিজরা।

১৬০১-১৭০০ সিঙ্গাপুর এ সময় কাগজেকলমে জোহর সুলতানশাহির অংশ ছিল।

১৬৪১ মালাক্কা দখল করে নিল ওলন্দাজরা।

১৭৮৬ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে পেনাং দ্বীপ লিজ দিলেন কেদাহের সুলতান।

১৮২৪ ইঙ্গ-ওলন্দাজ চুক্তি, মালাক্কা দখল করে নিল ব্রিটিশরা। এই চুক্তিতে অঞ্চলটিকে দুটি প্রভাব বলয়ে ভাগ করা হয়। প্রণালীর উত্তরে ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, দক্ষিণে ওলন্দাজরা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে।

১৮২৬ পেনাং ও সিঙ্গাপুরসহ স্ট্রেইটস সেটেলমেন্টের অংশ হয়ে গেল মালাক্কা।

ব্রিটিশরা এ সময় থেকেই মালয় সুলতানশাহিগুলোকে নিজেদের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত করতে শুরু করল।

১৮৪২ ব্রুনাইয়ের সুলতান সারাওয়াককে জেমস ব্রুকের হাতে ছেড়ে দিলেন, তাঁর উত্তরসূরীরা শেতাঙ্গ রাজা হিসাবে শাসন করতে শুরু করল।

১৮৬৭ স্ট্রেইটস সেটেলমেন্টকে ব্রিটিশ-রাজ উপনিবেশ ঘোষণা করা হল।

১৮৭৪ পেরাকের সাথে পাঙ্কর চুক্তির মধ্য দিয়ে পুরো মালয়া উপদ্বীপের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করল ব্রিটেন।

১৮৭৭/৭৮ ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণে চলে এল সাবাহ।

১৮৯০-৯৯
 মালয়া ও সিঙ্গাপুরে রাবার শিল্প স্থাপিত হল, যার ফলে দ্বীপটি রাবার রফতানির একটি বিশ্ব কেন্দ্রে পরিণত হয়।

১৮৯৫ চারটি মালয় রাজ্যকে একত্রিত করে গঠন করা হল ফেডারেটেড মালয় স্টেটস।

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৪১-৪৫ মালয়ায় জাপানি উপনিবেশিক শাসনের কাল।

১৯৪১ সাম্রাজ্যিক জাপানের বিমান বাহিনীর আক্রমণের মুখে তলিয়ে গেল মালয়া ও সিঙ্গাপুরের ‘প্রতিরক্ষায়’ নিয়োজিত দুটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস এবং এইচএমএস রিপালস। মালয়া আক্রমণ করল সাম্রাজ্যিক জাপানের সেনাবাহিনী। পরাস্ত করল সংখ্যায় বহুগুণ ব্রিটিশ, ভারতীয়, অস্ট্রেলীয়, ও মালয়া সেনাদের।

১৯৪৫ জাপানের আত্মসমর্পণ।

১৯৪৮ ব্রিটিশ-নিয়ন্ত্রিত মালয়া ভূখণ্ডগুলোকে ফেডারেশন অফ মালয়ার অধীনে একীভূত করা হল।

১৯৪৮-৬০ জাতিগত চীনাদের নেতৃত্বাধীন মালয়া কমিউনিস্ট পার্টি সিঙ্গাপুর ও বর্তমান মালয়ায় অভ্যুত্থান শুরু করল। ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের মালয়া থেকে তাড়ানো। প্রতিক্রিয়ায় মালয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হল।

১৯৫৭ ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল ফেডারেশন অফ মালয়া।

১৯৬১ মালয়ার প্রধানমন্ত্রী টুংকু আবদুল রহমান মালয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, উত্তর বোর্নিও, ও সারাওয়াককে একত্রিত করে মালয়েশিয়া নামের একটি নতুন ফেডারেশন গঠনের ডাক দিলেন। এই প্রকল্পটি যুক্তরাজ্যের সমর্থন লাভ করে। কারণ, তারা বিশ্বাস করত, এটা বাস্তবায়িত হলে সিঙ্গাপুরের কমিউনিস্ট অভয়ারণ্য হওয়াটা ঠেকানো যাবে।

১৯৬৩ ফেডারেশন অফ মালয়েশিয়ায় যোগ দিল সিঙ্গাপুর।

১৯৬৩-৬৬ কনফ্রন্তাসি

১৯৬৪ সিঙ্গাপুরে মালয় ও চীনাদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গায় ৩৬ জনের মৃত্যু, ৫৬০ জন আহত।

১৯৬৫ মালয়েশিয়া ছেড়ে বেরিয়ে এল সিঙ্গাপুর।

১৯৬৭ আগস্ট ৮ প্রতিষ্ঠিত হল অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান), মালয়েশিয়া যার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একটি।

১৯৬৯ মে ১৩ মালয়েশিয়ায় মালয় ও চীনাদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গায় প্রায় ১৭০ জনের মৃত্যু।

১৯৭১ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন তুন আবদুল রাজ্জাক। গ্রহণ করা হল নয়া অর্থনৈতিক নীতি। যার উদ্দেশ্য ছিল অর্থনীতিতে মালয় জাতির ভাগ বাড়ানো।

১৯৮১ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন ড. মাহাথির মোহাম্মদ, “পূর্বমুখী” পররাষ্ট্র নীতি গ্রহণ করলেন তিনি।

১৯৯৩ মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার দেশটির রাজকীয় রাজ্যগুলোর ক্ষমতা ও বিশেষাধিকারকে চ্যালেঞ্জ করল।

১৯৯৭-৯৮ উপপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে বরখাস্ত করা হল। দুর্নীতি ও যৌন অপরাধের দায়ে তাঁকে অভিযুক্ত করা হল। পরবর্তীতে আদালত তাঁকে দায়মুক্তি প্রদান করে।

২০০৩ ২২ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মাহাথির মোহাম্মদ। নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন আবদুল্লাহ আহমাদ বাদাওয়ি।

২০০৪ কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন আনোয়ার ইব্রাহিম। নির্বাচনে ভূমিধবস বিজয় লাভ করল উমনো। প্রধানমন্ত্রী হলেন বাদাওয়ি।

২০০৮ নির্বাচনে জিতে পুনরায় সরকার গঠন করল উমনো। সংসদে ফিরে আসলেন আনোয়ার ইব্রাহিম। প্রধানমন্ত্রী বাদাওয়ি ঘোষণা করলেন ২০০৯ সালের শুরুর দিকে স্বীয় পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।

২০১৮-২০ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাহাথির মোহাম্মদের দ্বিতীয় মেয়াদ।

২০২২ একটি বহুজাতির জোট প্রধান হিসাবে নির্বাচনে জিতলেন আনোয়ার ইব্রাহিম।

তথ্যসূত্র

ASEAN. n.d. “ASEAN member states.” Accessed March 6, 2025.
https://asean.org/member-states/.

BBC. 2023. “Malaysia Country Profile.” BBC, May 19.
https://www.bbc.com/news/world-asia-pacific-15356257.

Church, Peter, ed. 2009. A Short History of South-East Asia. Singapore: Wiley.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *