
কাতার
Featured Image: Wikimedia Commons.

Courtesy: The Perry-Castañeda Library Map Collection (PCLMC), The University of Texas at Austin.
সাল
১৭০০ তামিম গোত্রের মাদহিদ অংশ উশায়কির ছেড়ে গেল। ইয়াবরিন মরুদ্যানে বসতিস্থাপন করল। এরপর তাঁরা কাতারের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের জুবারায় সরে আসল।
১৭৬২ কুয়েত ছেড়ে গেলেন মোহাম্মদ বিন খলিফা আল কবির, জুবারায় আহমেদ বিন রিজকের সাথে যোগ দিলেন।
১৭৭৬ সুমাইসমার সমর, মুসাল্লাম গোত্রকে পরাস্ত করলেন মোহাম্মদ বিন খলিফা আল-কবির।
১৭৮৩ উতুব গোত্র বাহরাইন জয় করল, যা পরবর্তীকালে আল খলিফা পরিবার শাসন করতে লাগল।
১৮১১ একটি ওসমানি নৌবহর থেকে জুবারায় বোমাবর্ষণ করা হল।
১৮২৫ কাতারের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করল আল থানি, বাহরাইনি আধিপত্যবাদ থেকে মুক্তিলাভের চেষ্টা চালাল।
১৮২৬ রাহমা বিন জাবিরের মৃত্যু।
১৮৩৫ হুওয়াইলার সমর, আল বিন আলি গোত্রের সর্দার ইসা বিন তারিফকে পরাস্ত করলেন মোহাম্মদ বিন খলিফা।
১৮৪৭ সুওয়াইয়ার সমর, খুন হলেন ইসা বিন তারিফ।
১৮৪৯ ফুওয়াইরিত থেকে দোহায় স্থানান্তরিত হলেন মোহাম্মদ বিন থানি।
১৮৫১ ফয়সাল বিন তুর্কির নেতৃত্বে ওহাবিরা অল্প কিছুদিনের জন্য দোহার নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হল।
১৮৬৩ উইলিয়াম গিফোর্ড পেলগ্রেভ কাতার সফর করলেন এবং মোহাম্মদ বিন থানির সাথে সাক্ষাৎ করলেন।
১৮৬৭ বাহরাইন ও আবু ধাবিস্থ জাহাজ থেকে বিদআ/দোহার ওপর বোমাবর্ষণ।
১৮৬৮ গ্রেট ব্রিটেনের সাথে চুক্তি সই করলেন মোহাম্মদ বিন থানি।
১৮৭১ ওসমানিদের বশ্যতা স্বীকার করে নিল আল থানি, দোহায় ওসমানি পতাকা উত্তোলন করা হল।
১৮৭৬ শেখ জসিমকে কাইম-মাকাম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হল।
১৮৭৮ নভেম্বর: জুবারায় নাইম গোত্রকে পরাস্ত করলেন শেখ জসিম।
মোহাম্মদ বিন থানির মৃত্যু।
১৮৯৩ ওয়াজবাতে ওসমানি বাহিনীগুলোকে পরাস্ত করলেন শেখ জসিম।
১৮৯৫ জুবারার প্রথম ঘটনা।
১৯০৫ আহমাদ বিন মোহাম্মদ আল থানির মৃত্যু।
১৯১৩ শেখ জসিমের মৃত্যু। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ।
জুলাই ২৯ ইঙ্গ-তুর্কি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। ব্রিটিশরা কাতার থেকে সেনা প্রত্যাহারের দরখাস্ত করলে ওসমানিরা তাতে রাজি হল।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৬ ব্রিটিশদের সাথে কাতারিরা একটা চুক্তি সই করল। ঠিক হল, ব্রিটিশরা কাতারিদের সুরক্ষা প্রদান করবে। বিনিময়ে কাতারের বহির্দেশীয় সম্পর্কের নিয়ন্ত্রণ পাবে ব্রিটেন।
১৯৩৫ ভূমিপথে হামলার হাত থেকে কাতারকে সুরক্ষা দিতে রাজি হল ব্রিটেন।
১৯৩৭ জুবারার দ্বিতীয় ঘটনা।
১৯৩৯/৪০ কাতারের দুখানে তেল সম্পদ আবিষ্কৃত হল।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।*
* দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তেল রফতানি কাতারের আয়ের মূল উৎস হয়ে উঠে। এর আগ পর্যন্ত দেশটির আয়ের মূল উৎস ছিল মাছ চাষ ও মুক্তা বিক্রি করা।
১৯৪৮ যুবরাজ হামাদ বিন আবদুল্লার মৃত্যু।
১৯৪৯ পুত্র আলীর জন্য মসনদ ছাড়লেন শেখ আবদুল্লাহ।
১৯৫০-৫৯ তেল রফতানি করে যে বিপুল আয় হল, তা অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে লাগানো হল।
১৯৫৫ সুয়েজ খাল সংকটের সময় দোহায় প্রতিবাদ মিছিল।
১৯৬০ পুত্র আহমাদের জন্য মসনদ ছাড়লেন শেখ আলী, যুবরাজ নিযুক্ত হলেন খলিফা বিন হামাদ।
১৯৬৩ জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রতিবাদ।
১৯৭১ সেপ্টেম্বর ৩ ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল কাতার।
১৯৭২ এক প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে নিজ কাজিন আমির আহমাদকে সরিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করলেন খলিফা বিন হামাদ আল থানি।
১৯৭৭ যুবরাজ হিসেবে নিযুক্ত হলেন হামাদ বিন খলিফা।
১৯৮১ মে ২৫ পারস্য উপসাগরীয় ৬টি রাষ্ট্র (বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ও সৌদি আরব) নিয়ে গঠিত হল গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)।
১৯৮৯ রোজমেরি সাঈদ জাহলান, দ্য মেকিং অফ দ্য মডার্ন গালফ স্টেটস: কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, দ্য ইউনাইটেড আরব এমিরাতস অ্যান্ড ওমান।
১৯৯০-৯৯ কাতারের সাথে সীমান্ত বিরোধে জড়িয়ে পড়ল বাহরাইন।
১৯৯০ সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন ইরাক কুয়েতে হামলা চালাল। প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে এই যুদ্ধে অংশ নিল কাতার।
জিল ক্রিস্টাল, অয়েল অ্যান্ড পলিটিকস ইন দ্য গালফ: রুলার্স অ্যান্ড মার্চেন্টস ইন কুয়েত অ্যান্ড কাতার।
১৯৯২ আল খুফুজ ঘটনা।
১৯৯৫ এক রক্তপাতহীন ক্যুদেতায় উৎখাত হলেন শেখ খলিফা। স্বীয় পুত্রের হাতেই। ক্ষমতায় আসলেন হামাদ বিন খলিফা আল থানি।
দ্য কাতার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হল।
১৯৯৬ দোহা থেকে আল জাজিরার সম্প্রচার শুরু হল।*
* আরব বিশ্বের সবচে জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। তহবিল যোগায় কাতারের শাসক পরিবার আল থানি। সাহসী সাংবাদিকতার জন্য যেমন পেয়েছে বিপুল প্রশংসা, তেমনি নানান ইস্যুতে উঠেছে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ।
১৯৯৭ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানি করতে শুরু করল কাতার।
১৯৯৯ পৌরসভা নির্বাচন আয়োজিত। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন। যাকে দেশটির গণতন্ত্রায়নের শুরুয়াত বলে ভাবা হয়।
২০০১ নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগস্থ আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা আদালত জুবারার ওপর কাতারের আর হাওয়ার দ্বীপপুঞ্জের ওপর বাহরাইনের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করল।
২০০২ ইরাকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন হামলা পরিকল্পনায় কাতার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করল। খোর আল-উদেইদ বিমানঘাঁটির বিকাশ ঘটানো হল ও সম্প্রসারণ করা হল। ওয়াশিংটন জানাল, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড স্টাফকে কাতারে মোতায়েন করা হবে।
২০০৩ মার্চ-এপ্রিল ইরাক হামলায় কাতারভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড ফরওয়ার্ড ঘাঁটি স্নায়ুকেন্দ্রের ভূমিকা পালন করল।
২০০৫ জুন প্রথমবারের মত একটি লিখিত সংবিধান পেল কাতার, যাতে কিছু গণতান্ত্রিক সংস্কার দেয়া হল।
নভেম্বর দুনিয়ার সবচে বড় তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) কারখানা বানাতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ১৪ বিলিয়ন ডলারের একটি যৌথ প্রকল্প হাতে নিল কাতার। উৎপাদিত গ্যাসের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা হবে।
কাতার বিনিয়োগ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হল।
২০০৮ সৌদি আরব আর কাতারের সীমানা চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হল।
২০০৯ জানুয়ারি ইসরায়েলের গাজা আক্রমণের জের ধরে দেশটির সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করল কাতার।*
* এর আগ পর্যন্ত কাতারই ছিল ইসরায়েলের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকা একমাত্র উপসাগরীয় রাষ্ট্র।
২০১০ আরব বসন্তের ধাক্কা কাতারে সামান্যই লাগল।
জেকেরিয়া কুরসুন, দি অটোমানস ইন কাতার: আ হিস্ট্রি অফ অ্যাংলো-অটোমান কনফ্লিক্টস ইন দ্য পার্সিয়ান গালফ।
২০১১ মার্চ লিবিয়ায় গাদ্দাফি সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত আন্তর্জাতিক সামরিক অভিযানে অংশ নিল কাতার, বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর ইসলামপন্থী অংশটিকে অস্ত্র সরবরাহ করতে শুরু করল।
২০১২ জানুয়ারি আফগান তালেবান জানাল, তৎকালীন আফগানিস্তান সরকারের সাথে আলোচনায় বসার স্বার্থে, তারা কাতারে একটি রাজনৈতিক অফিস খুলতে যাচ্ছে।
অক্টোবর ২০০৭ সালে হামাস ক্ষমতায় আসার পর পাঁচ বছরে প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে গাযা সফর করলেন শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি।
কাতার, ফাতাহ, ও হামাসের মধ্যে কায়রো চুক্তি সই।
২০১৩ জুন আমির হামাদ ছেলের জন্য মসনদ ছেড়ে দিলেন। নিলেন ‘বাবা আমির’ নামে একটি নতুন খেতাব। কাতারের নতুন আমির হলেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
ক্রিস্টোফার এম. ডেভিডসন, আফটার দ্য শেখস: দ্য কামিং কলাপস অফ দ্য গালফ মোনার্কিজ।
২০১৪ সেপ্টেম্বর সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিমান হামলায় আরো চারটি আরব রাষ্ট্রের সাথে অংশ নিল কাতার।
২০১৫ মার্চ ইয়েমেন হুথি বিদ্রোহিদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বে বিমান হামলায় জিসিসিভুক্ত আরো চারটি রাষ্ট্রের সাথে অংশ নিল কাতার।
লিসা উরকেভিচ, মিউজিক অ্যান্ড ট্র্যাডিশনস অফ দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা: সৌদি অ্যারাবিয়া, কুয়েত, বাহরাইন, অ্যান্ড কাতার।
২০১৬ ডিসেম্বর কাতার সরকার জানাল, খালাফা বিলুপ্ত করতে যাচ্ছে।*
* বিতর্কিত শ্রম পৃষ্ঠপোষকতা ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার অধীনস্ত বিদেশি শ্রমিকরা নিজেদের ইচ্ছায় কাতার ছেড়ে যেতে বা চাকরি পাল্টাতে পারেন না। নিয়োগদাতার অনুমতির প্রয়োজন পড়ে।
২০১৭ জুন ইরানের সাথে কাতার গোপনে খাতির জমাচ্ছে, এহেন অনুমানের কারণে সৌদি আরবের সাথে দেশটির কূটনৈতিক সংকট দেখা দিল। কাতারের ওপর স্থলপথ, নৌপথ, ও আকাশপথে অবরোধ দিল মিসর, সৌদি আরব, ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। পণ্য পরিবহনে ওমানের বন্দরগুলো ব্যবহার করতে শুরু করল কাতার।
২০১৮ ডিসেম্বর কাতার ঘোষণা দিল, পরের বছরের জানুয়ারিতে অর্গানাইজেশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবে। গ্যাস রফতানির ওপর নির্ভরশীলতার কারণ দর্শানো হল। যদিও বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপের আসল উদ্দেশ্য সৌদি আরবের সাথে দূরত্ব তৈরি করা।
২০১৯ ফেব্রুয়ারি দোহায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর তালেবানদের মধ্যে শান্তি সংলাপ তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
২০২০ ফেব্রুয়ারি ২৯ দোহায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমাই খালিদজাদ আর শীর্ষ তালেবান নেতা মোল্লা আবদুল গণি বারাদারের মধ্যে শান্তি চুক্তি সাক্ষরিত।
সেপ্টেম্বর ১২ দুই দশকে প্রথমবারের মত আফগান সরকার ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কাতারের দোহায় তালেবানদের সম্মুখীন হল। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তালেবানদের পূর্বের একটা চুক্তি অনুসারে আফগান সরকার ৫,০০০ তালেবান যোদ্ধাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ার প্রেক্ষিতে শুরু হয় এই সংলাপ।
২০২২ কাতারে আয়োজিত হল ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা।
তথ্যসূত্র
BBC. 2018. “Qatar profile – Timeline.” BBC, December 3.
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-14702609
— 2023. “Qatar country profile.” BBC, September 7.
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-14702226
Morton, Michael Quentin. 2020. Masters of Pearl: A History of Qatar. London: Reaktion Books.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি