
বার্মা
Featured Image: Wikimedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ
সাল
২০১-৭০০ ফুনান সমাজ, যার অন্তর্ভুক্ত ছিল আজকের কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চল, এবং বার্মার দক্ষিণাঞ্চল।
১০৫৭ প্রথম পাগান রাজ্য স্থাপন করলেন রাজা আনাউরাহতা। থেরাবাদী বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করলেন। পাগান রাজ্যই কালক্রমে বর্তমান বার্মার রূপ নিবে।
১২৮৭ কুবলাই খানের নেতৃত্বে মঙ্গোলরা দখল করল পাগান রাজ্য।
১৫৩১ পর্তুগিজদের সহায়তায় বার্মাকে ঐক্যবদ্ধ করল তুনগো রাজবংশ।
১৭০১-১৮০০ এ সময় লাওসের বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছেন থাই, বার্মিজ, ও ভিয়েতনামিরা।
১৭৫৫ আলাউঙ্গপায়া কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল কোনবাউঙ্গ রাজবংশ।
১৮২৪-২৬ প্রথম ইঙ্গ-বার্মিজ যুদ্ধ।*
* ইয়ানদাবো চুক্তির মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শেষ হয়। এই চুক্তি অনুসারে, ব্রিটিশ ভারতকে উপকূলীয় রাজ্য আরাকান সোপর্দ করতে বাধ্য হল বার্মা। আরাকান চট্টগ্রাম আর নেগ্রাইস অন্তরীপের মধ্যখানে অবস্থিত।
১৮৫০-৫৯ দ্বিতীয় ইঙ্গ-বার্মিজ যুদ্ধ।
১৮৫২ রেঙ্গুনসমেত বার্মার নিম্নাঞ্চল সাম্রাজ্যভুক্ত করে নিল ব্রিটেন।
১৮৮৫-১৮৮৬ সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ শেষে মান্দালে দখল করল ব্রিটেন। বার্মার স্বাধীনতার অবসান। দেশটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশে পরিণত হল।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৩৭ ব্রিটেন বার্মাকে ভারত থেকে পৃথক করল ও একটি রাজ-উপনিবেশের স্ট্যাটাস দিল।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪২ বার্মায় জাপানি হামলা। জাপানিদের কাছে প্রশিক্ষণ পাওয়া বার্মা ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির সহায়তায় দেশটি দখল করল জাপান। পরে অই একই বাহিনী নিজেদের এন্টাই-ফ্যাসিস্ট পিপলস ফ্রিডম লীগে (এএফপিএফএল) রূপান্তরিত করে ও জাপানি শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
১৯৪৫ অং সানের নেতৃত্বাধীন এএফপিএফএল ও ব্রিটেন বার্মাকে জাপানি দখলদারিত্বের হাত থেকে মুক্ত করল।
১৯৪৬ ফেব্রুয়ারি ১২ শ্যান স্টেটের পেং লংয়ে বার্মার বিভিন্ন জাতির প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত, উদ্দেশ্য স্বাধীনতা-উত্তর বার্মাকে একটি ফেডারেল ইউনিয়ন রূপে গড়ে তোলা।
১৯৪৭ লন্ডনে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেন্ট এটলি ও বার্মার জাতীয়তাবাদী নেতা অং সানের মধ্যে স্বাধীনতার প্রশ্নে এক ঐতিহাসিক চুক্তি সাক্ষরিত হল।
জুলাই ১৯ অং সানের জাতীয়তাবাদী প্রতিদ্বন্দ্বী উ সাউয়ের নেতৃত্বাধীন একদল রাজনৈতিক বিরোধীর আততায়ী হামলায় খুন হলেন অং সান ও তাঁর অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ জন সদস্য। উ নুকে এএফপিএফএলের পার্টিপ্রধান ও সরকারপ্রধান হতে ডাকা হল। উল্লেখ্য, এই ব্যক্তি জাপানি দখলদারিত্বের বছরগুলোতে বার্মা শাসন করা বা মাউ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।
সেপ্টেম্বর ২৪ শ্যান ও কারেনদের ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে এবং ফেডারেল কাঠামো তৈরির অঙ্গীকারকে ধারণ করে বার্মা ইউনিয়নের প্রথম সংবিধান গৃহীত।
১৯৪৮ জানুয়ারি ৪ ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল বার্মা। গঠন করা হল বার্মা ইউনিয়ন। প্রধানমন্ত্রী হলেন উ নু।
ডিসেম্বর ব্যাপক কারেনবিরোধী সহিংসতার শুরুয়াত। কারেনদের এক গির্জায় গ্রেনেড হামলায় ৮০ জন মানুষ নিহত হলেন।
১৯৪৮-৬২ বার্মায় গণতন্ত্রের কাল।
১৯৪৯ কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট পার্টি আলাদা আলাদাভাবে সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধ শুরু করলেন।
১৯৫০ চীনের পরাজিত জাতীয়তাবাদী কুয়োমিনটাংদের একাংশ ইউনান প্রদেশ থেকে বার্মার শ্যান এলাকায় আশ্রয় নিলেন। বার্মার সেনাবাহিনীর সাথে তাঁদের সংঘাত দেখা দিল।
শ বা উ জি’র নেতৃত্বে কারেন বিদ্রোহ।
আগস্ট ১২ রেঙ্গুন থেকে ১৭০ মাইল দূরে মউলমেইনে শ বা উ জিকে হত্যা করে তাঁর লাশটা সাগরে নিঃক্ষেপ করা হল। সেই থেকে দিনটিকে কারেনরা শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
১৯৫৩ কেন্দ্রীয় বার্মার একটি ট্রেনে কমিউনিস্টদের গেরিলা হামলা।
১৯৫৫ সারাদেশে অসংখ্য চোরাগুপ্তা হামলা চালাল কমিউনিস্ট পার্টি।
১৯৫৮-৬০ সেনাপ্রধান নে উইন গঠন করলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার।*
* শাসকদল এএফপিএফএলে ভাঙনের ধারাবাহিকতায় এই ঘটনা ঘটে।
১৯৫৮ মন জনগোষ্ঠীর বিশিষ্ট রাজনীতিক ও গেরিলা নেতা নাই শয়ে চিয়েন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল নিউ মন স্টেট পার্টি।
১৯৬০ নির্বাচনে নিষ্পত্তিমূলক বিজয়লাভ করল এএফপিএফএলের উ নু নেতৃত্বাধীন অংশ।
তিনি বৌদ্ধধর্মকে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেন। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যাপারে সহিষ্ণুতার নীতি গ্রহণ করেন। এটি দেশটির সেনাবাহিনীকে ক্ষুব্ধ করে তোলে।
১৯৬১ ভারতের নেহরু, মিসরের নাসের, ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণ, আর যুগোস্লাভিয়ার টিটোর সাথে মিলে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) গঠন করলেন বার্মার প্রধানমন্ত্রী উ নু।
১৯৬২ বার্মায় এক সামরিক ক্যুদেতায় এএফপিএফএলের উ নু নেতৃত্বাধীন অংশকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করলেন সেনাপতি নে উইন। দেশটির ফেডারেল ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হল। বার্মিজ ধাঁচের সমাজতন্ত্র প্রবর্তন করা হল। যা আসলে ছিল বার্মা সোশালিস্ট প্রোগ্রাম পার্টির (বিএসপিপি) নেতৃত্বে একটি একদলীয় একনায়কতন্ত্র। অর্থনীতির জাতীয়করণ। দেশের সব বেসরকারি প্রচার মাধ্যম নিষিদ্ধ ঘোষিত। শত শত চীনা ও ভারতীয় বহিষ্কৃত।
নভেম্বর ৩০ জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে বার্মার উ থান্টের দায়িত্বগ্রহণ।
১৯৬৭ রেঙ্গুনের এক ইশকুলে চীনা জাতিসত্তার এক শিক্ষার্থীর মাও ব্যাজ পরাকে কেন্দ্র করে চীনা-বার্মিজ সংঘাত ও দাঙ্গা দেখা দিল।
১৯৭৪ বার্মায় একটি নয়া সংবিধান কার্যকর করা হল। এটি রাষ্ট্র ক্ষমতা সামরিক বাহিনীর হাত থেকে নে উইন ও অন্য সাবেক সামরিক নেতার নেতৃত্বধীন একটি গণপরিষদের হাতে সোপর্দ করে। গঠন করা হল বার্মা ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।
জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্টের দেহাবশেষ শেষকৃত্যের জন্য বার্মায় আনা হল।
১৯৭৫ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গঠন করা হল। যার সামাজিক ভিত্তি ছিল বিভিন্ন আঞ্চলিক সংখ্যালঘু গোষ্ঠী। বার্মা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধে নামল ফ্রন্ট।
১৯৮১ সান ইয়ু নামের এক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তার হাতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন নে উইন। তবে বার্মা সোশালিস্ট প্রোগ্রাম পার্টির (বিএসপিপি) সভাপতির দায়িত্ব পালন করা অব্যাহত রাখলেন।
১৯৮২ নতুন নাগরিকত্ব আইন। ভূমিপুত্র বলে বিবেচিত হন না এমন জাতির মানুষদের “সহযোগী নাগরিক” বলে চিহ্নিত করা হল যা তাদের সরকারি চাকরি পাবার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল। এসময়ই রোহিঙ্গারা নাগরিক অধিকার হারাতে শুরু করেন।
১৯৮৪ দেড় লক্ষ কারেন শরণার্থী থাইল্যান্ডে আশ্রয় নিলেন।
১৯৮৫ সামরিক শাসক নে উইনের ৭৫তম জন্মবার্ষিকীতে ৭৫ কিয়াতের একটি মুদ্রা চালু করা হল।
১৯৮৭ মুদ্রার মূল্যহ্রাসের কারণে বার্মার বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের সঞ্চয় হারিয়ে ফেললেন, ফলে দেশটিতে সরকারবিরোধী দাঙ্গা দেখা দিল।
১৯৮৮ গণতন্ত্রপন্থী ছাত্র আন্দোলন ক্রমান্বয়ে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিল। এ সময় ২০০ জন অভ্যুত্থানকারীকে গুলি করে হত্যা করে সামরিক জান্তা। সেনাপতি সাউ মংয়ের নেতৃত্বে বার্মার নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করল স্টেট ল অ্যান্ড অর্ডার রেস্টোরেশন কাউন্সিল (এসএলওআরসি)।
সেপ্টেম্বর ১৮ ন্যাশনাল লীগ অফ ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নামক নতুন দল প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দিলেন সাংবাদিক উইন তিন ও রাজনীতিক অং সান সু চি।
রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার ঘোষণা দিলেন নে উইন।
১৯৮৯ সামরিক আইন জারি করল এসএলওআরসি। হাজার হাজার গণতন্ত্রী ও মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হল। দেশের নাম বদলে “রিপাবলিক অফ দ্য ইউনিয়ন অফ মিয়ানমার” রাখা হল, যা সংক্ষেপে মিয়ানমার নামে পরিচিত। রাজধানী রেঙ্গুনের নাম বদলে ইয়াঙ্গুন রাখা হল। বার্মার জাতীয়তাবাদী নেতা অং সানের মেয়ে ও এনএলডি নেতা অং সান সু চিকে গৃহবন্দী করা হল।
১৯৯০ সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধবস বিজয় লাভ করল এনএলডি। দলটি ৪৯৫টি আসনের মধ্যে ৩৯২টি আসন জিতল, যেখানে সেনাসমর্থিত দল ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টি মাত্র ১০টি আসন জেতে। সেনাবাহিনী এই নির্বাচনের ফল উপেক্ষা করে।
১৯৯১ বার্মার গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ায় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন অং সান সু চি।
১৯৯২ এসএলওআরসির সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী, ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদগুলোয় পরিবর্তন আসল। সাউ মংয়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন থান শোয়ে। বিশ্বের দরবারে বার্মার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য বেশ কয়েকজন রাজবন্দীকে মুক্তি দেয়া হল।
১৯৯৫ ছয় বছর পর গৃহবন্দী দশা থেকে মুক্তি পেলেন অং সান সু চি।
১৯৯৭ জুলাই ২৩ অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসে (আসিয়ান) যোগ দিল বার্মা।
স্টেট ল অ্যান্ড অর্ডার রেস্টোরেশন কাউন্সিলের (এসএলওআরসি) নাম পাল্টে রাখা হল স্টেট পীস অ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট কাউন্সিল (এসপিডিসি)।
১৯৯৮ ৩০০ এনএলডি সদস্যকে কারামুক্তি প্রদান করা হল।
১৯৯৯ সু চির ব্রিটিশ স্বামী মাইকেল আরিস যুক্তরাজ্যে ক্যান্সারে মারা গেলেন। শাসক পরিষদ তাঁকে কিছু শর্তসাপেক্ষে যুক্তরাজ্য সফর করতে দিতে রাজি হল। তিনি তাদের এই করুণা প্রত্যাখ্যান করলেন।
২০০০ সেপ্টেম্বর শাসক পরিষদ সু চি ও এনএলডির শীর্ষ নেতাদের চলাচলের ওপর থাকা বিধিনিষেধ শিথিল করল।
অক্টোবর শাসক পরিষদের সাথে গোপন আলোচনা শুরু করলেন সু চি।
২০০১ ফেব্রুয়ারি থাই সীমান্তে শান বিদ্রোহীদের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল সেনাবাহিনী।
জুন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা বার্মা সফর করলেন।
নভেম্বর বার্মা সফর করলেন চীনা প্রেসিডেন্ট জিয়াং জেমিন। বার্মা সরকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে বিবৃতি দিলেন। অর্থনৈতিক সংস্কারের তাগিদ দিলেন।
থান্ট মাইন্ট-উ, দ্য মেকিং অফ মডার্ন বার্মা।
২০০২ অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের দায়ে গ্রেপ্তার হলেন প্রাক্তন সামরিক শাসক নে উইনের কয়েকজন নিকটাত্মীয়। একই অভিযোগে কয়েকজন সেনাকর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হল। নে উইন গৃহবন্দী।
ডিসেম্বর ৫ নিজ গৃহে মারা গেলেন নে উইন।
১৯ মাস বন্দী থাকার পর মুক্তি পেলেন সু চি।
২০০৩ আগস্ট বার্মার প্রধানমন্ত্রী হলেন খিন নিউন্ত।
মন জনগোষ্ঠীর বিশিষ্ট রাজনীতিক ও গেরিলা নেতা নাই শয়ে চিয়েনের মৃত্যু।
আবারও বন্দী হলেন সু চি।
২০০৪ জানুয়ারি বার্মা সরকার ও কারেন জাতীয় ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল। প্রায় ৯ হাজার রাজবন্দীকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা।
মে সংবিধান সভা বসলো। এনএলডি এই সভা বয়কট করে। দুই মাস পরে সভা স্থগিত করা হয়।
অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে খিন নিউন্তকে সরিয়ে দেয়া হল। তাঁকে গৃহবন্দী করা হল।
নভেম্বর হাজার হাজার কারাবন্দীকে মুক্তি দেয়া হল, যার অংশ হিসেবে ছাড়া পেলেন বার্মার শীর্ষস্থানীয় ভিন্নমতাবলম্বীরা। এদের একজন মিন কো নাইং। তিনি ১৯৮৮ সালে গণতন্ত্রী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ইন্টারনেটে “রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর” কিছু ছড়ালে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে এই মর্মে নতুন আইন তৈরি করা হল।
২০০৫ নভেম্বর বার্মা সরকার ঘোষণা করল, ইয়াঙ্গুনের ৪০০ কিলোমিটার উত্তরের নেপিদো এসময় থেকে দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী বলে গণ্য হবে।
ভারতে বার্মার চিন ন্যাশনাল আর্মির গেরিলা ঘাঁটি ধবংস করা হল।
২০০৬ কারেন এলাকায় বার্মার সেনাবাহিনী ব্যাপক মাত্রায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করল, এতে হাজার হাজার কারেন গ্রাম ছেড়ে থাই সীমান্তে অংশ নিলেন।
বার্মার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের মেয়াদ বছরতিনেক বাড়ল।
থাইল্যান্ডে মৃত্যুবরণ করলেন কারেন গেরিলা নেতা বো মায়া।
২০০৭ জানুয়ারি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের আনা একটি খসড়া প্রস্তাবে বার্মার সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ও বিরোধীদের ওপর নির্যাতন থামাতে দেশটির প্রতি আহবান জানানো হলে চীন ও রাশিয়া ভেটো প্রদান করল।
এপ্রিল উত্তর কোরিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করল বার্মা।*
* ২৪ বছর আগে বার্মা সফররত দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের ওপর এক মারাত্মক বোমা হামলার জন্য উত্তর কোরীয় এজেন্টদের দায়ী করে পিয়ংইয়ংয়ের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল ইয়াঙ্গুন।
মে অং সান সু চির গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ আরো এক বছরের জন্য বাড়ানো হল।
জুন ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিসিআর) তার সাধারণভাবে নিরপেক্ষ থাকার নীতি থেকে সরে আসার একটি বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে বার্মা সরকার কর্তৃক দেশটির জনগণের অধিকারহানির নিন্দা জানাল।
আগস্ট জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখা দিল। ব্যাপক ধরপাকড় চলল৷ জনগণের আন্দোলনের সমর্থনে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের বিক্ষোভ শুরু।
কাচিন এলাকায় অসংখ্য মানুষের বিস্থাপিত হবার আশঙ্কা সত্ত্বেও একটি সোনার খনি থেকে খনিজ উত্তোলনের অনুমতি দেয়া হল।
বার্মার বিরুদ্ধে অবরোধ জোরদারের ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৮ সংসদে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ঘোষণা দিয়ে নতুন সংবিধানের খসড়া প্রকাশ করা হল। সংবিধান অনুমোদনের লক্ষ্যে গণভোট আয়োজন করা হল। সামরিক বাহিনীর দাবি, ৯৭% ভোট পক্ষে পড়েছে।
মে সাইক্লোন নার্গিসের হামলায় ইরাবতি বদ্বীপে প্রায় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হল।
চীনের সাথে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপন সংক্রান্ত বৃহদায়তন চুক্তি সই করল বার্মার সামরিক সরকার।
২০০৯ রাজবন্দীদের মুক্তি সাপেক্ষে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিল এনএলডি। অং সান সু চিকে বিদেশি কূটনীতিকদের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হল। সামরিক সরকারের তরফে দেশটির সব জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীকে বার্মার সীমান্তরক্ষী দলে অন্তর্ভুক্ত করে নেবার প্রস্তাব দেয়া হল।
মাইকেল ডব্লিউ. চার্নি, আ হিস্ট্রি অফ মডার্ন বার্মা।
২০১০ নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা দিল এনএলডি। প্রায় দুই দশক পরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ঘোষণা দিল দেশটির সেনাসমর্থিত রাজনৈতিক দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)। নির্বাচনের হপ্তাখানেক পর গৃহবন্দী দশা থেকে অং সান সু চিকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা।
২০১১ প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের নেতৃত্বে দায়িত্ব গ্রহণ করল সামরিক বাহিনী প্রভাবিত “বেসামরিক সরকার।”
অক্টোবর প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ করলেন অং সান সু চি।
ডিসেম্বর বার্মা সফর করলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
২০১২ সরকার কাচিন গেরিলাদের সাথে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা-রাখাইন দাঙ্গায় ২০০ জন নিহত। মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে কাঠের নৌকায় করে ব্যাপকহারে দেশান্তরিত হতে শুরু করলেন রোহিঙ্গারা।
মে ১৯৮৭ সালের পর প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বার্মা সফর করলেন মনমোহন সিং।
গ্রেগ কন্সটান্টাইন, এক্সাইলড টু নোহোয়ার বার্মা’জ রোহিঙ্গাজ।
২০১৩ মার্চ মেইকটিলায় বৌদ্ধ-মুসলমান সংঘাতে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু।
পাঁচ দশক পরে প্রথমবারের মত ব্যক্তি মালিকানাধীন চারটি সংবাদ মাধ্যমের পথচলা শুরু হল।
২০১৪ এপ্রিল সরকারি সেনাদল আর উত্তরের কাচিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘাতে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু। ককাংকদের সাথে সরকারি বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ। প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন কর্তৃক বিভিন্ন সশস্ত্র দলগুলোর সঙ্গে ন্যাশনাল সিজফায়ার এগ্রিমেন্টয়ের প্রস্তাব দেয়া হল।
২০১৫ সালে নির্বাচন আয়োজন করার এবং ৩ হাজার রাজবন্দীকে মুক্তি দেয়ার ঘোষণা।
তিন দশক পরে দেশটিতে জনশুমারি শুরু হল, কিন্তু রোহিঙ্গাদের এই শুমারির বাইরে রাখা হল।
২০১৫ মার্চ ১৬টি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে খসড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করল বার্মা।
মে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীদের সাথে নৌকায় করে বিপজ্জনকভাবে সমুদ্র পাড়ি দিলেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলো উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘের সমালোচনার শিকার হল।
সামরিক শাসন-পরবর্তী প্রথম “গণতান্ত্রিক” নির্বাচনে জিতে এনএলডি ক্ষমতায় এল, কিন্তু এই একই নির্বাচনে রোহিঙ্গাদের ভোটাধিকার বাতিল হয়ে যায়।
২০১৬ রোহিঙ্গা গণহত্যা।
আজিম ইব্রাহিম, দ্য রোহিঙ্গাজ: ইনসাইড মিয়ানমার’স হিডেন জেনোসাইড।
২০১৭ নভেম্বর বার্মা ও বাংলাদেশ সফর করলেন পোপ ফ্রান্সিস।
কিয়ি মাই কাউং, দ্য রোহিঙ্গা জেনোসাইড ইন বার্মা ২০১২-১৭: অ্যান অ্যাকটিভিস্টস’ হ্যান্ডি হ্যান্ডবুক।
ফ্রান্সিস ওয়াড, মিয়ানমার’স এনিমি উইদিন: বুদ্ধিস্ট ভায়োলেন্স অ্যান্ড দ্য মেকিং অফ আ মুসলিম ‘আদার’।
২০১৮ আগস্ট জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বার্মার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত করার দায়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর নেতাদের অভিযুক্ত করা হল। ৬ জন সেনা কর্মকর্তার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) করার আহবান জানান হল। সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে প্রতিবেদনটিতে অং সান সু চিকেও অভিযুক্ত করা হয়। বার্মা এই প্রতিবেদনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে।
সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় গোপন আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল। তাঁরা দাবি করলেন, এটা পুলিশের সাজানো মামলা। উল্লেখ্য, এই সাংবাদিকদ্বয় বার্মার রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দেশটির সামরিক বাহিনীর চালানো সাম্প্রতিকতম গণহত্যার বাস্তবতা বিশ্ববাসীর সামনে এনেছিলেন।
অ্যান্থনি ওয়ের আর কস্টাস লাউটিডিস,মিয়ানমার’স ‘রোহিঙ্গা’ কনফ্লিক্ট।
মোহাম্মদ আবদুল বারী, দ্য রোহিঙ্গা ক্রাইসিস: আ পিপল ফেসিং এক্সটিংশন।
রণবীর সমাদ্দার ও সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী, দ্য রোহিঙ্গা ইন সাউথ এশিয়া: পিপল উইদাউট আ স্টেট।
হাবিবুর রহমান, সোফি আনসেলের সাথে, ফার্স্ট, দে ইরেজড আওয়ার নেইমস আ রোহিঙ্গা স্পিকস।
২০১৯ জন ক্লিফোর্ড হোল্ট, মিয়ানমার’স বুদ্ধিস্ট-মুসলিম ক্রাইসিস: রোহিঙ্গা, আরাকানিজ, অ্যান্ড বার্মিজ ন্যারেটিভস অফ সিয়েজ অ্যান্ড ফিয়ার।
থান্ট মাইন্ট-উ, দ্য হিডেন হিস্ট্রি অফ বার্মা: রেস, ক্যাপিটালিজম, অ্যান্ড দ্য ক্রাইসিস অফ ডেমোক্রেসি ইন দ্য টোয়েন্টি-ফার্স্ট সেঞ্চুরি।
মায়ূ আলী, এক্সোডাস বিটউইন জেনোসাইড অ্যান্ড মি।
২০২০ নভেম্বর সংসদীয় নির্বাচনে সামরিকপন্থী প্রার্থীদের পরাজিত করল এনএলডি।
কার্লোস সার্ডিনা গালাশ, দ্য বার্মিজ ল্যাবিরিন্থ: আ হিস্ট্রি অফ দ্য রোহিঙ্গা ট্রাজেডি।
নাসির উদ্দিন, দ্য রোহিঙ্গা: অ্যান এথনোগ্রাফি অফ ‘সাবহিউম্যান’ লাইফ।
২০২১ ফেব্রুয়ারি বার্মায় ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে এক সামরিক ক্যুদেতায় সরকার উৎখাত করা হল। ক্ষমতায় এল সামরিক জান্তা। সেনাপ্রধান অং মিন হ্লা রাষ্ট্রক্ষমতা কবজা করলেন। ব্যাপক আন্তর্জাতিক নিন্দাবাদ। দেশ জুড়ে গণতন্ত্রীদের ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা দিল। দুই মাসে ৫০০রও অধিক মানুষ খুন হলেন। দেশ জুড়ে নাগরিক অবাধ্যতা আন্দোলনে যোগ দিলেন হাজার হাজার সরকারি কর্মচারী।
এপ্রিল সামরিক শাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, এবং ফেডারেল ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবিতে গঠন করা হল একটি জাতীয় ঐক্য সরকার।
মে আত্মপ্রকাশ করল জাতীয় ঐক্য সরকারের সামরিক শাখা পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধের ডাক দিল। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যের জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাহিনীগুলো এতে মদত দেয়।
আগস্ট অং মিন হ্লা নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন।
রোনান লি, মিয়ানমার’স রোহিঙ্গা জেনোসাইড: আইডিটিন্টি, হিস্ট্রি, অ্যান্ড হেট স্পিচ।
২০২২ বার্মা জুড়ে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তীব্রতর হল, জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাহিনীগুলো বহু পিডিএফ ইউনিটের সাথে ঐক্য গড়ল।
ইমতিয়াজ এ. হোসেন, সম্পারোহিঙ্গা ক্যাম্প ন্যারেটিভস: টেলস ফ্রম দ্য ‘লেসার রোডস’ ট্রাভেলড।
ক্রিয়াংসাক কিত্তিচাইসারি, দ্য রোহিঙ্গা, জাস্টিস, অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ল।
নাসির উদ্দিন, ভয়েসেস অফ দ্য রোহিঙ্গা পিপল আ কেইস অফ জেনোসাইড, এথনোসাইড অ্যান্ড ‘সাবহিউম্যান’ লাইফ।
২০২৩ অক্টোবর ২৭ উত্তরাঞ্চলের শান রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাহিনীগুলোর জোট থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স অপারেশন ১০২৭ লঞ্চ করল। সামরিক জান্তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিল। যা বার্মার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের একটি বিজয় ও যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া ঘটনা বলে বিবেচিত হয়।
কামিল আহমেদ, আই ফীল নো পীস: রোহিঙ্গা ফ্লিয়িং ওভার সীজ অ্যান্ড রিভারস।
মানজুর হাসান, সৈয়দ মানসুব মুর্শেদ, ও প্রিয়া পিল্লাই, সম্পাদিত, দ্য রোহিঙ্গা ক্রাইসিস: হিউম্যানিটারিয়ান অ্যান্ড লিগাল অ্যাপ্রোচেস।
২০২৪ জানুয়ারি চীনের মধ্যস্ততায় সামরিক জান্তা ও থ্রি ব্রাদারহুড এলায়েন্সের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হল। চীন বার্মা সরকারের প্রকাশ্য সমালোচনা থেকে বিরত থাকে। তবে বার্মায় নিজের বাণিজ্যিক স্বার্থ ও বার্মা-চীন সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাহিনীগুলোর সাথে অনানুষ্ঠিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ফেব্রুয়ারি সামরিক জান্তা ১৮-৩৫ বছর বয়সী সব পুরুষ ও ১৮-২৭ বছর বয়সী সব মহিলার জন্য সেনাবাহিনীতে নাম লেখানো বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে। ফল হয় বিপরীত। দেশটির তরুণদের মধ্যে প্যানিক দেখা দেয়, যাদের কেউ দেশ ছাড়ার জন্য বিভিন্ন দূতাবাসে ভিড় জমাতে শুরু করে, আর কেউ সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
সেপ্টেম্বর হতোদ্যম সেনাবাহিনী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের শান্তি প্রস্তাব দেয়, কিন্তু অপরপক্ষ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
তথ্যসূত্র
পারভেজ, আলতাফ। ২০১৯। বার্মা জাতিগত সংঘাতের সাত দশক। ঐতিহ্য।
ASEAN. n.d. “ASEAN member states.” Accessed March 6, 2025.
https://asean.org/member-states/.
BBC. 2018. “Myanmar Profile – Timeline.” BBC, September 3.
https://www.bbc.com/news/world-asia-pacific-12992883.
Church, Peter, ed. 2009. A Short History of South-East Asia. Wiley.
Ewe, Koh. 2024. “How Myanmar’s Civil War Could Actually End.” TIME, October 31.
https://time.com/7160736/myanmar-coup-civil-war-conflict-timeline-endgame-explainer/
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি