
কুর্দিস্তান
Featured Image: Wikimedia Commons.

Washington Kurdish Institute (WKI).
নোট: কুর্দিস্তান নামে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোন জাতি-রাষ্ট্র নেই। ঐতিহাসিক কুর্দিস্তান অঞ্চলটি চারটি জাতি-রাষ্ট্র তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, ও ইরানে ভাগ হয়ে আছে। ইওরোপীয় উপনিবেশিক শক্তিরা ১৯১৬ সালের গোপন সাইকস-পিকো চুক্তিতে ওসমানি সুলতানশাহির কুর্দিভাষী অঞ্চলগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিল। কুর্দিদের কাছে তুর্কি কুর্দিস্তান বাকুর, সিরীয় কুর্দিস্তান রোজাভা, ইরাকি কুর্দিস্তান বাসুর, আর ইরানি কুর্দিস্তান রোজহিলাত নামে পরিচিত। বাকুর মানে "উত্তর", রোজাভা মানে "পশ্চিম", বাসুর মানে "দক্ষিণ", আর রোজহিলাত মানে "পূর্ব"। কুর্দি শব্দটা উৎসগতভাবে প্রাচীন সুমেরীয় ভাষার শব্দ। এর অর্থ: "পাহাড়ি"।
"If my mother tongue is shaking the foundations of your state, it probably means that you built your state on my land."
Musa Anter (1920-92), Kurdish Writer
পূর্বসাল
৪০১ গ্রিক ঐতিহাসিক জেনোফন তাঁর আনাবাসিসয়ে লিখলেন, এশিয়া মাইনরে ‘কার্দোচোই’ নামের একটি গোষ্ঠীর হাতে মার গ্রিকরা পিছু হটেছে।
সাল
৬০১-৭০০ কুর্দিদের ইসলাম গ্রহণ।
১১৬৯ আইয়ুবী সুলতানশাহি।*
* মিসর ও সিরিয়ায় ইতিহাসের সবচে বিখ্যাত কুর্দি সালাউদ্দিন আইয়ুবী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত।
১১৮৬ মিসর, সিরিয়া, আর ইরাককে ঐক্যবদ্ধ করলেন সালাউদ্দিন আইয়ুবী।
১১৮৭ হাত্তিনের সমর। জেরুসালেমের ক্রুসেডার রাজাকে পরাজিত করলেন সালাউদ্দিন আইয়ুবী। ক্রুসেডারদের হাত থেকে জেরুসালেম পুনরুদ্ধার করা হল, সিরিয়া ও লেবানন থেকে বিতাড়িত হল ক্রুসেডাররা।
১১৮৯ রিচার্ড দ্য লায়নহার্টের সাথে সালাউদ্দিন আইয়ুবীর লড়াই।
১২৯৯-১৯২২ ওসমানি সুলতানশাহি।
১৫০১-১৪ কুর্দিস্তানে ক্ষমতা সংহত করলেন প্রথম শাহ ইসমাইল।
১৫১৪ চালদিরানের সমর। কুর্দিস্তানে ওসমানি সুলতানশাহি ও সাফাভি সাম্রাজ্যের মধ্যকার সীমান্ত নির্ধারিত হল।
১৫১৪-১৬ ওসমানিদের কুর্দিস্তান বিজয়।
১৫১৬-১৬৬০ কুর্দিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ধ্রুপদী কাব্য সাহিত্যের উৎকর্ষের কাল।
১৫৪৩-১৬০৩ শরাফ খান বিতলিসির জীবনকাল।
১৫৭৮ বিতলিস প্রিন্সিপালিটির প্রধান হলেন শরাফ খান বিতলিসি।
১৫৯৭ শরাফ খান বিতলিসি, শরাফনামা।*
* কুর্দিস্তানের ইতিহাস রচনার প্রথম পদ্ধতিগত প্রচেষ্টা।
১৫৯৮-১৬০১ পারস্যের প্রথম শাহ আব্বাস ৪৫ হাজার কুর্দি পরিবারকে খোরাসানে পুনর্বাসিত করেন।
১৬০৬-০৭ ওসমানি সুলতানশাহির বিরুদ্ধে কুর্দি কানপোলাদ রাজবংশের বিদ্রোহ। বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়। কানপোলাদরা লেবানন পর্বতমালায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
১৬০৯-১৬১০ পারসিকদের হাতে পারস্যের পশ্চিমাঞ্চলের কুর্দি পার্বত্য দুর্গ দিমদিমের পতন। এর সমস্ত রক্ষকরা বন্দী হওয়ার পরিবর্তে আত্মহত্যা করে। কার্যত, কুর্দি মাসাদা।
১৬৩৯ জুহাবের চুক্তি। কুর্দিস্তানে ওসমানি সুলতানশাহি ও সাফাভি সাম্রাজ্যের মধ্যকার সীমান্ত পুনঃনির্ধারিত হল। কিরকুক অঞ্চলের তেলক্ষেত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিল ওসমানি সুলতানশাহি।
১৬৫০-১৭০৬ আহমাদ-ই খানির সময়কাল।
১৬৫৫ ওসমানি সুলতানশাহির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন বিতলিসের কুর্দি প্রশাসক আবদুল খান।
১৬৭৮ বাবান গোত্রের সর্দার সুলেইমান বের ইস্তানবুল সফর। পারস্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁর অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ এই কুর্দি গোত্রপিতাকে পাশা উপাধি দেয়া হয়।
১৬৯২ আহমাদ-ই খানি, মেম উ জিন।
১৭৩৬-৪৭ পারস্যের নাদির শাহ কিছু খোরাসানি কুর্দিকে গিলানে পুনর্বাসিত করেন।
১৭৫৮-১৮০৩ সিরিয়া আর আনাতোলিয়ায় একটা বাহিনী হিসেবে কুর্দি মিল্লি গোত্রের উত্থান।
১৭৭৫ কুর্দিদের বাজালান ট্রাইবাল কনফেডারেশনকে পরাস্ত করল পারসিকরা।
১৭৮১ সুলেইমানিয়া শহর প্রতিষ্ঠা করলেন মাহমুদ পাশা বাবান।
১৭৮৭ কুর্দি গোত্রগুলোর সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে শুরু করলেন রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী ক্যাথরিন।
১৭৮৯/১৮০৩-১৮১৩ আবদুররহমান পাশা বাবানের রাজত্বকাল।
১৭৯৭/১৮০০-১৮৫৫/৫৬ নালির জীবনকাল।
১৮০৫-৪৮ মাহ শরাফ খানমের, তখল্লুস মাস্তুরে আরদালান, জীবনকাল।
১৮০৬ ওসমানি সুলতানশাহির বিরুদ্ধে আবদুররহমান পাশা বাবানের বিদ্রোহ।
১৮১১ বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে নকশবন্দি সূফি তরিকা প্রতিষ্ঠা করলেন মৌলানা খালিদ।
১৮১৪ সোরান আমিরশাহির প্রধান হলেন রাওয়ানদুজের মীর মোহাম্মদ।
১৮১৭-৯৭ কুর্দি কবি হাজী কাদির কোয়ির জীবনকাল।
১৮২০ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এজেন্ট ক্লডিয়াস রিচের সুলেইমানিয়া সফর। রিচের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এ সময় শহরটির জনসংখ্যা ছিল ১০ হাজার। ছিল ৫টি বাজার, ২টি মসজিদ, ও ১টি হাম্মামখানা।
১৮২১-৪৭ বোহতানের শেষ আমির বদর খান বেগের রাজত্বকাল।
১৮৩২ রাওয়ানদুজ থেকে সিনজারে হামলা করলেন মোহাম্মদ পাশা।
১৮৩৬ দিয়ারবাকিরে ওসমানিদের গ্রিক প্রশাসক রশিদ মেহমেত পাশার হাতে পরাস্ত হলেন রাওয়ানদুজের মীর মোহাম্মদ। তাঁকে তদনগদ ইস্তানবুলে পাঠানো হল, যেখানে তাঁকে “কুর্দিস্তানের প্রকাশক” হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। ফেরার পথে ওসমানি এজেন্টরা তাঁকে খুন করে।
১৮৩৭ সিনজারে হামলা চালালেন দিয়ারবাকিরের ওসমানি প্রশাসক হাফিজ পাশা।
১৮৩৯-৭৬ তানজিমাত, ওসমানি সুলতানশাহি জুড়ে উদারপন্থী সংস্কার কর্মসূচি।
১৮৪০-৪৯ কুর্দিস্তানের বারজানে বারজানি বংশ প্রতিষ্ঠা লাভ করল।
১৮৪০ এক দল কুর্দি আমিরের সাথে এক গুচ্ছ জোট গঠন করলেন বদর খান বেগ। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মুকুসের খান মাহমুদ এবং হাক্কারির নুরুল্লা বে। বিচার ব্যবস্থা ও সেনা সংস্কার করেন বেগ।
১৮৪২ সিজরের প্রশাসনিক এখতিয়ার দিয়ারবাকির থেকে মসুলে স্থানান্তরিত করে বদর খান বেগের আমিরশাহি ভাঙার চেষ্টা চালাল ওসমানি সরকার। এঁর প্রতিক্রিয়ায় বদর খান প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেন। নিজের নামে মুদ্রা বানাতে শুরু করেন তিনি। তবে সবচে বড় কথা, জুমার খুতবায় সুলতানের নাম নিজের নাম দ্বারা প্রতিস্থাপিত করেন। ইসলামি ঐতিহ্যে জুমার খুতবা কার নামে পড়ানো হবে, এর বিশাল রাজনৈতিক তাৎপর্য ছিল। ছিল সার্বভৌমত্বের প্রতীক। তাই, বেগ মূলত নিজের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করছিলেন।
১৮৪৫ ওসমানিদের হাতে পরাজিত হলেন আহমেদ পাশা বাবান।
১৮৪৩, ১৮৪৬ হাক্কারির নেস্টোরিয়ান খ্রিস্টানদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালান বদর খান বেগ, যা ইওরোপের বৃহৎ শক্তিদের দৃষ্টিও আকর্ষণ করে।
১৮৪৬ বদর খান বেগের ভাতিজা ও অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সেনা কমান্ডার ইয়েজদান শার ওসমানিদের পক্ষে যোগ দিলে তিনি পিছু হঠতে বাধ্য হয়। ওসমানিরা ইয়েজদানকে লোভ দেখিয়েছিল, তাঁদের পক্ষে চলে এলে বোহতানের নয়া আমির বানিয়ে দিবে। ইয়েজদান, বলাই বাহুল্য, এই প্রস্তাব লুফে নেন।
১৮৪৬-৬৭ এয়ালেত-ই কুর্দিস্তান।*
* ওসমানি সুলতানশাহি এই প্রথম কুর্দিস্তান শব্দটা ভৌগলিক অঞ্চলের বদলে প্রকাশনিক ইউনিট অর্থে ব্যবহার করল।
১৮৪৭ ওসমানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করলেনশেষ আধা-স্বাধীন কুর্দি আমিরশাহির আমির বদর খান বেগ।
১৮৪৯ সিনজারে ওসমানি সুলতানশাহির প্রথম স্থায়ী প্রতিনিধি।
১৮৫০ বাবান গোত্রের পতন।
১৮৫০-৭৬ কুর্দি অভিজাত পরিবারগুলোর পতনে কুর্দিস্তান জুড়ে ক্ষমতার জায়গাটায় একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়। অচিরেই এই শূন্যতাটা পূরণ করেন কুর্দি শেখরা। তাঁরা ছিলেন অঞ্চলটির বিভিন্ন সূফি তরিকার প্রধান।
ওসমানিরা যে তানজিমাত বা উদারপন্থী সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন, এটা কুর্দি জনগণ ভালোভাবে নেননি। ওসমানি প্রশাসনের ওপর ইওরোপীয় সরকারগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে তাঁরা মুসলমানদের ওপর খ্রিস্টানদের আধিপত্য লাভের বাসনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছিলেন। এ সময় অঞ্চলটিতে ইওরোপ ও উত্তর আমেরিকা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে খ্রিস্টান মিশনারিদের আগমন পরিস্থিতি জটিল করে তোলে।
কুর্দিরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন, ইসলামের পরম্পরাগত কর্তৃত্ব হুমকির মুখে; আর এই বিশ্বাস শেখদের শক্তিশালী করে তোলে।
১৮৫৫ ওসমানি সুলতানশাহির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন ইয়েজদান শার।
১৮৬৭ কুর্দিদের আরদালান প্রিন্সিপালিটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত করে দিলেন পারস্যের রাজা নাসের আল-দ্বীন শাহ কাজার।
১৮৮০ কুর্দিদের জন্য আজাদির দাবি তোলেন শেখ ওবায়দুল্লা। তাঁর বিদ্রোহ এই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। কিন্তু এই বিদ্রোহ কুর্দি জাতীয়তাবাদের জন্ম দিয়েছিল।
১৮৮৮ তুরস্কের মুস শহরে বাসরত হাজি মুসা নামের জনৈক কুর্দি শেখ আরমেনুহি নামের এক আরমানি তরুণীকে অপহরণ করেন। মেয়েটিকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করে তারপর বিয়ে করেন। নাম রাখেন গুলিজার।
এই ঘটনা ব্যাপক আন্তর্জাতিক নিন্দাবাদের জন্ম দেয়। মেয়েটিকে পরে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। যদিও পরের বছর হাজি মুসাকে কাঠগড়ায় তোলে ওসমানি সরকার, তাঁকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
এই রায় সুলতানের আরমানি প্রজা ও বৃহত্তর ইওরোপীয় জনগণ উভয়কেই ক্ষুব্ধ করে তোলে।
১৮৮৯ ইস্তানবুলে উদারপন্থী সংস্কার আন্দোলনে ‘তরুণ তুর্কি’-দের সাথে যোগ দিলেন কুর্দি বুদ্ধিজীবীরা।
১৮৯১ হামিদিয়ে নামে একটি কুর্দি ঘোড়সওয়ার বাহিনী গঠন করলেন ওসমানি সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ।
১৮৯২ ইস্তানবুলে একটা সাম্রাজ্যিক ট্রাইবাল স্কুল (Mekteb-i Aşiret-i Humayun) খোলা হল, যার পাঠ্যসূচিতে তুর্কি ভাষা ও ইসলামি জ্ঞানের পাশাপাশি আধুনিক বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ও রাখা হয়েছিল। যদিও প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল আরব গোত্রনেতাদের ছেলেদের ‘উপজাতি’ থেকে ‘সভ্য’ বানানো, কুর্দিদের জন্যও স্কুলের দরজা খোলা ছিল। ১৯০৭ সালে স্কুলটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
মসুল থেকে সিনজারে হামলা করলেন ওমর ওয়াহবি পাশা।
১৮৯৪-৯৬ হামিদিয়ে হত্যাযজ্ঞ। সুলতানের কুর্দি অশ্বারোহী বাহিনী ওসমানি অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন হিসাবে ৮০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ আরমানিকে খুন করে। ঘটনাটা জানাজানি হলে পশ্চিমা গণমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়; সুলতান দ্বিতীয় আবদুলহামিদকে এই হত্যাযজ্ঞের জন্য রাজনৈতিকভাবে দায়ী করা হয় এবং তাঁকে বিরোধীদের তরফে ‘লাল সুলতান’ আখ্যা দেয়া হয়।
১৮৯৮ মিসরে নির্বাসিত থাকা অবস্থায় মিদহাত বদর খান কর্তৃক প্রকাশিত হল কুর্দি পত্রিকা কুর্দিস্তান।
১৯০২ প্যারিসে ‘তরুণ তুর্কি’ আন্দোলনের কংগ্রেস অফ অটোমান অপোজিশনে শামিল হলেন কুর্দি অভিজাত আবদুররহমান বদর খান ও হিকমেত বাবান।
১৯০৬ বোহতান প্রিন্সিপালিটির শেষ আমিরের নাতি আবদুররেজাক বদর খান ও তাঁর পরিবারকে নির্বাসিত করল ওসমানিরা।
১৯০৭-০৮ ওসমানিদের বিরুদ্ধে শেখ আবদুস সালাম বারজানির বিদ্রোহ।
১৯০৮ জুলাই ৩-২৪ তরুণ তুর্কি বিপ্লব।
সেপ্টেম্বর ইস্তানবুলে প্রতিষ্ঠা করা হল কুর্দিশ সোসাইটি ফর মিউচুয়াল এইড অ্যান্ড প্রগ্রেস (Kürt Teavün ve Terakki Cemiyeti: KTTC)।
১৯১০ কুর্দিস্তানে ফিরে এলেন আবদুররেজাক বদর খান।
১৯১২ ইরশাদ নামে একটি বিপ্লবী দল গঠন করলেন আবদুররেজাক বদর খান। টিকলো না। পরের বছর তাঁর অন্যতম সাথী হায়রেদ্দিন বেরাজি খুন হলে দলটি ধবংস হয়ে যায়।
আগস্ট ইস্তানবুলে অধ্যয়নরত একদল ছাত্র মিলে গঠন করলেন কুর্দিশ স্টুডেন্ট হোপ সোসাইটি।
১৯১৪ মসুলে শেখ আবদুস সালাম বারজানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।*
* এই যুদ্ধে কুর্দিরা ওসমানি সুলতানশাহির পক্ষে লড়েছিল।
১৯১৫ ‘তরুণ তুর্কি’দের চালানো জেনোসাইডের হাত থেকে বাঁচতে খ্রিস্টান ও ইয়েজিদিরা ওসমানি সুলতানশাহির বিভিন্ন এলাকা থেকে সিনজারে পালিয়ে এলে ইয়েজিদি গোত্র সর্দার হেমোয়ে শেরো তাঁদের আশ্রয় দেন।
১৯১৬ সাইকস-পিকো গোপন চুক্তি।
১৯১৮ সিনজারে ব্রিটিশ দখলদারিত্ব। বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে শেখ মাহমুদ বারজিনজির দশকব্যাপী অসফল বিদ্রোহের সূচনা। ইস্তানবুলে প্রতিষ্ঠা করা হল সোসাইটি ফর দ্য বেটারমেন্ট অফ কুর্দিস্তান (Komela Tealîya Kurdistanê)।
১৯১৯-২২ তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধ।*
* এই যুদ্ধে কুর্দিরা তুর্কিদের সমর্থন প্রদান করে।
পারস্যে শেকাক গোত্রের কুর্দি সর্দার ইসমাইল আগা সিমকোর বিদ্রোহ।
১৯১৯ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন শেখ মাহমুদ বারজানি।
১৯২০ আগস্ট সেভরেসের চুক্তি। কুর্দিদের স্বাধীনতা দেয়ার ওয়াদা করা হল। যা স্রেফ কাগুজে ব্যাপার ছিল।
১৯২০-২৯ সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হল লাছিন, “লাল কুর্দিস্তান”।
১৯২১ সেপ্টেম্বর-জুলাই ১৯২৪ ‘কুর্দিস্তানের রাজা’ শেখ মাহমুদ বারজানির রাজত্বকাল।
১৯২২ নভেম্বর ১ ওসমানি সুলতানশাহি বিলুপ্ত করে দিল তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি, ছয় শতাব্দীর সাম্রাজ্যের অবসান।
১৯২৩ জুলাই ৭ আজারবাইজান এসএসআরের একটি প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হল কুর্দিস্তান উয়েজেদ। “লাল কুর্দিস্তান” নামে পরিচিত। রাজধানী লাছিন।
২৪ লসানে চুক্তি। এই চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্র পক্ষের সাথে তুরস্কের যুদ্ধের অবসান ঘটায়, এবং নবগঠিত রাষ্ট্রটির সীমান্ত নির্ধারণ করে। কিন্তু, কোন অধিকার দেয়া তো পরের কথা; এই চুক্তিতে কুর্দিদের উল্লেখই করা হয়নি।
অক্টোবর ২৯ তুরস্ককে একটি প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা করা হল।
১৯২৪ মার্চ ৩ ডিক্রি জারি করে খেলাফত বিলুপ্ত করে দিল তুরস্কের গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি।
১৯২৫-৩৮ একগুচ্ছ তুর্কি অভ্যুত্থান দমন করল তুরস্ক।
১৯২৫ ওসমানি সুলতানশাহির পতন এবং কুর্দি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তুর্কি জাতীয়তাবাদীদের ক্রমবর্ধমাণ বৈরিতা তুরস্কের কুর্দিদের মধ্যে অভ্যুত্থানের মনোভাব উসকে দেয়। আজাদি নামে কুর্দি সামরিক কর্মকর্তাদের এক গোপন কমিটি বিদ্রোহের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। তবে, আন্দোলনের নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন শেখ সাঈদ। ১৯২৫ সালের বসন্তে তুর্কি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। ইসলামি মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটানোর অভিযোগ এনে। ১০ হাজার কুর্দি যোদ্ধার এক বাহিনী নিয়ে দিয়ারবাকির ঘেরাও করেন সাঈদ। সরকারপন্থী কুর্দি গোত্রগুলোর সহায়তায় এই বিদ্রোহ দমন করে তুরস্ক, শেখ সাঈদকে ফাঁসিতে ঝুলায়।
১৯২৭ অক্টোবর লেবাননে নির্বাসিত একদল কুর্দি কর্তৃক গঠিত হল নিখিল-কুর্দি রাজনৈতিক দল খয়বুন।
২৮ ঘোষিত হল আরারাত প্রজাতন্ত্র।
১৯২৮-৩২ এরবিল থেকে রাওয়ানদুজ হয়ে পিরানশহর পর্যন্ত নির্মিত হল হ্যামিল্টন রোড।
১৯২৯ এপ্রিল ৮ ষষ্ঠ সোভিয়েত আজারবাইজানি কংগ্রেসে প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কারের অংশ হিসেবে কুর্দিস্তান উয়েজেদসহ সব উয়েজেদ বিলুপ্ত করে দেয়া হয়।
১৯৩০ আরারাত অঞ্চলের কুর্দি বিদ্রোহ দমন করল তুরস্ক।
বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে মোল্লা মোস্তফা বারজানির রাজনৈতিক উত্থানের শুরু।
মে ৩০-২৩ জুলাই কুর্দিস্তান ওকরুগ।
জুলাই পারস্যে গুপ্তঘাতকদের হাতে খুন হলেন কুর্দিদের শিকাক গোত্রের সর্দার ইসমাইল আগা শিকাক, ওরফে সিমকো।
১৯৩১-৩২ শেখ আহমেদ বারজানির নেতৃত্বে প্রথম বারজানি বিদ্রোহ।
১৯৩২ নবগঠিত রাষ্ট্র ইরাকের অংশ হয়ে গেল সিনজার। বারজানিদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাল ব্রিটিশ আরএএফ। ইরাকি বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন শেখ মাহমুদ বারজানি।
১৯৩৬ কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণ করতে সাক্ষরিত হল সাদাবাদ চুক্তি।
১৯৩৭ এ. এম. হ্যামিল্টন, রোড থ্রু কুর্দিস্তান: দ্য ন্যারেটিভ অফ অ্যান ইঞ্জিনিয়ার ইন ইরাক।
১৯৩৭-৩৮ দেরসিম হত্যাযজ্ঞ। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের দেরসিম অঞ্চলে বিভিন্ন হিসাবে ১৩ থেকে ৭০ হাজার আলেভি কুর্দি নারী, পুরুষ, ও শিশুকে হত্যা করে তুর্কি জাতীয়তাবাদীরা। শ্বাসরোধ করে, জবাই করে, বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে, পাহাড় থেকে ফেলে দিয়ে, ও পানিতে ডুবিয়ে সম্পন্ন করা হয় এই হত্যাযজ্ঞ। দেরসিমের নাম পাল্টে ফেলে রাখা হয় তুনসেলি। হাজার হাজার কুর্দি মধ্য আনাতোলিয়ায় নির্বাসিত হন। এটি ছিল অঞ্চলটির ‘তুর্কিকরণের’ বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ। ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর দেরসিম হত্যাযজ্ঞের জন্য তুরস্ক রাষ্ট্রের পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রেসিডেন্ট রেসিপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
১৯৩৮ কুর্দি কবি ইউনূস রাউফ “দিলদার” কারাবন্দী অবস্থায় লিখলেন এয় রাকিপ, যা পরে কুর্দিদের জাতীয় সঙ্গীতে পরিণত হবে। রফিক হিলমি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল হিওয়া পার্টি।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪২ মাহাবাদে গঠিত হল কোমালা জে.কে.। ইরাক, সিরিয়া, ও তুরস্কের কুর্দি জাতীয় আন্দোলনগুলোর সাথে এঁরা যোগাযোগ স্থাপন করেন। কুর্দিদের জন্য একটি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনা করতে।
১৯৪৩ অপারেশন ম্যামথ।*
* জার্মান গুপ্তচরদের একটা ছোট দল গোপনে প্যারাশুট দিয়ে বাসুর তথা ইরাকি কুর্দিস্তানে নামে। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল একটি কুর্দি অভ্যুত্থান ঘটানো। প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে। নাৎসিরা কুর্দিদের অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করার পরিকল্পনাও করেছিল। যাতে অঞ্চলটি থেকে ব্রিটিশদের তাড়িয়ে দিতে পারে। এর বিনিময়ে একটি স্বাধীন কুর্দিস্তান রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে কুর্দিরা পাবে জার্মান সহায়তা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই এই মিশন ব্যর্থ হয়।
১৯৪৩-৪৪ প্রকাশিত হল কুর্দিভাষী জার্নাল নিশতিমান: মাতৃভূমি।
১৯৪৩-৪৫ দ্বিতীয় বারজানি বিদ্রোহ।
১৯৪৪ আগস্ট দালানপুর পর্বতে কুর্দি নেতাদের ত্রিসীমান্ত সভা অনুষ্ঠিত।
১৯৪৫ আগস্ট ১৬ কাজী মোহাম্মদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইরানিয়ান কুর্দিস্তান (পিডিকেআই)।
১৯৪৬ জানুয়ারি ২২ ইরানে কুর্দি নেতাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হল একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিহীন সোভিয়েত পুতুল রাষ্ট্র মাহাবাদ প্রজাতন্ত্র। ডিসেম্বর পর্যন্ত টিকেছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কূটনৈতিক চাপের মুখে সোভিয়েত ইউনিয়ন ইরান থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে এই প্রজাতন্ত্রের পতন হয়।
আগস্ট ১৬ মোস্তফা বারজানি কর্তৃক রোজহিলাত বা ইরানি কুর্দিস্তানের মাহাবাদে প্রতিষ্ঠিত হল কুর্দিশ ডেমোক্রেটিক পার্টি (কেডিপি)।
ডিসেম্বর ১৫ মাহাবাদ প্রজাতন্ত্রের পতন।
১৯৪৭ মার্চ ৩১ গাদ্দারির দায়ে অভিযুক্ত করে কথিত মাহাবাদ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট কাজী মোহাম্মদকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান।
মে মাহাবাদ প্রজাতন্ত্রের পতনের পর ৫৬০ জন লোকের একটা বাহিনী নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে পালিয়ে গেলেন মোল্লা মোস্তফা বারজানি।
১৯৪৭-৫৮ সোভিয়েত ইউনিয়নে নির্বাসিত হলেন মোল্লা মোস্তফা বারজানি।
১৯৪৮ মে ১৪ ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষিত হল।
১৯৪৯ আবদুল্লা ওজালানের জন্ম।
১৯৫১ মার্চ-মে ইসরায়েল সরকার ‘অপারেশন এজরা’ আর ‘অপারেশন নেহেমিয়া’র অংশ হিসেবে ১ লক্ষ ২০ হাজার ইরাকি ইহুদিকে এয়ারলিফট করে। এঁদের মধ্যে ২০ হাজার ছিলেন কুর্দি ইহুদি। যাঁদের মাতৃভাষা আরামাইক।
১৯৫১ কেডিপির মহাসচিব নিযুক্ত হলেন ইব্রাহিম আহমেদ।
১৯৫৩ কেডিপির নাম বদলে রাখা হল কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি।
১৯৫৫ ইরান, পাকিস্তান, ও তুরস্কের সাথে বাগদাদ চুক্তি সই করল ইরাক; অন্যতম উদ্দেশ্য দেশটির কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণ করা।
১৯৫৭ সিরীয় কুর্দি বুদ্ধিজীবী ওসমান সাবরি ও দাহাম মিরো কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল কুর্দিশ ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ সিরিয়া (Partiya Demokrat a Kurdistanê li Sûriyê: PDK-S)।
সিনজার পর্বতমালার প্রথম গ্রামগুলো ধবংস করা হল। হাতে নেয়া হল কয়েকটি বসতিস্থাপন প্রকল্প।
১৯৫৮ ইরাকে রাজতন্ত্রের অবসান। ব্রিটিশপন্থী বাগদাদ চুক্তি থেকে বেরিয়ে এল ইরাক।
অক্টোবর দীর্ঘ ১১ বছর সোভিয়েত ইউনিয়নে নির্বাসিত থাকার পর বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে ফিরে এলেন মোল্লা মোস্তফা বারজানি।
১৯৫৯ “বিচ্ছিন্নতাবাদ” ও “বিদেশি শক্তির মদতে জাতীয় ঐক্য দুর্বল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার” অভিযোগে ৫০ জন কুর্দি ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে তুরস্ক সরকার, যাঁদের একজন আটক অবস্থায় মারা যান। অংশত তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আর অংশত প্রমাণের অভাবে ১৯৬১ সালের জানুয়ারি মাসে গ্রেপ্তারকৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়। দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর অবশেষে ১৯৬৪ সালে আঙ্কারার সুপ্রিম কোর্ট অফ অ্যাপিলস অফ টার্কি গ্রেপ্তারকৃতদের সব অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয়।
১৯৬০ সিনজারের দক্ষিণে যে জমিগুলো ইয়েজিদিরা ব্যবহার করত, তা আরব চাষীদের হাতে তুলে দেয়া হল।
মে ২০ তুরস্কে সামরিক ক্যুদেতা, প্রাথমিকভাবে উদারতার নয়া পর্ব।
১৯৬১ সেপ্টেম্বর-মার্চ ১৯৭০ প্রথম ইরাকি-কুর্দি যুদ্ধ।
১৯৬২ অক্টোবর ৫ রোজাভা বা সিরীয় কুর্দিস্তানের আল-হাসাকা প্রদেশে এক ব্যতিক্রমী আদমশুমারি পরিচালনা করল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট নাজিম আল-কুদসির সরকার। উদ্দেশ্য ছিল ১৯৪৫ সালের পর তুরস্ক বা ইরাক সিরিয়ায় থেকে আসা কুর্দিদের “অবৈধ অনুপ্রবেশকারী” হিসেবে চিহ্নিত করা। মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে নাগরিকত্ব হারালেন ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার কুর্দি।
১৯৬২ সেপ্টেম্বর-মে ১৯৬৩ ইস্তানবুল থেকে দ্বিভাষিক (তুর্কি-কুর্দি) দিজলে-ফিরাত পত্রিকার ৮টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
১৯৬৩ ফেব্রুয়ারি বা’আথ পার্টির এক ক্যুদেতায় উৎখাত হলেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আবদুল করিম কাশেম। পরে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয় তাঁর বুলেটবিদ্ধ দেহ। বা’আথিদের ক্ষমতা সংহতকরণের অংশ হিসেবে কাশেমের মিত্র ইরাকি কমিউনিস্ট পার্টির (আইসিপি) প্রায় ৩ হাজার সদস্যকে হত্যা করল নবগঠিত ন্যাশনাল গার্ড। নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন আবদুস সালাম মোহাম্মদ আরিফ আর প্রধানমন্ত্রী হলেন আহমেদ হাসান আল-বকর। কুর্দি শহরগুলোয় কারফিউ জারি করা হল। কেডিপি সদস্যরা এ সময় গুপ্তহত্যার শিকার হন।
এপ্রিল ইরাকের বা’আথিদের সামরিক সহায়তা প্রদান করল যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে ছিল ট্যাংক, ট্যাংক ট্রান্সপোর্টার, কমব্যাট হেলিকপ্টার, আর সামরিক ট্রাক।
১১ ইরাকি বা’আথিদের কাছে ৬ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের অস্ত্র বেচল ব্রিটেন।
জুন ইরাকের বা’আথিদের নাপাম বোমা সরবরাহ করল যুক্তরাষ্ট্র, যা পরে কুর্দিদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়।
১৯৬৪-৬৬ বারজানির সাথে এ সময় কেডিপির পলিটব্যুরোর লড়াই চলছে।
১৯৬৪ কেডিপি দুইভাগ হল। মোল্লা মোস্তফা বারজানির বিরুদ্ধে ‘কর্তৃত্ববাদের’ অভিযোগ এনে একটি উপদল গঠন করলেন ইব্রাহিম আহমেদ ও জালাল তালাবানি। আহমেদ, তালাবানি, ও তাঁদের ৪ হাজার অনুসারীকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং জুলাইয়ে তাঁরা ইরানে পালিয়ে যান।
১৯৬৫ ৯৩ নং আইন। সিরিয়া সরকার সিদ্ধান্ত নিল, বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তান আর তুরস্কের সাথে সিরিয়ার যে সীমান্ত, সেখানে একটি আরব কর্ডন তৈরি করা হবে। এটি ছিল কুর্দিদের কোনঠাসাকরণের দিকে আরেক কদম।
গঠিত হল তুরস্কের প্রথম ভূগর্ভস্থ কুর্দি রাজনৈতিক দল দ্য কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ টার্কি (টিকেডিপি)।
১৯৬৬ জুন ২৯ বাজ্জাজ ঘোষণা।
১৯৬৯ উচ্চ শিক্ষা শেষ করলেন ওজালান। দিয়ারবাকিরে চলে এলেন। সম্পত্তির দলিল বিষয়ক একটা রাষ্ট্রীয় অফিসে কাজ করতে।
১৯৭০ ইরাকে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হল। এই সংবিধানে ইরাককে একটি দ্বিজাতিক রাষ্ট্র বলা হল, এবং আরব ও কুর্দি উভয় জাতিকেই স্বীকৃতি দেয়া হল। ব্রিটিশ মালিকানাধীন তেলশিল্পের জাতীয়করণ শুরু করল ইরাক।
ইস্তানবুলে বদলি হওয়ার ব্যবস্থা করলেন ওজালান, যেখানে বাম রাজনীতির সাথে পরিচিত হন তিনি।
মার্চ ইরাকে মার্চ ইশতেহার। কুর্দিদের স্বায়ত্তশাসন প্রদানের তত্ত্বগত ওয়াদা করা হল।
১৯৭০-৭৯ সিনজার পর্বতমালায় ৪০০ গ্রাম ধবংস করা হল। মুজামা’আত নামের ‘সমবায়িত’ নগরে ইয়েজিদির পুনর্বসতিস্থাপন করা হল। ইয়েজিদিদের আরব বলে গণ্য করা শুরু হল।
১৯৭১ মার্চ তুরস্কে আবারও সামরিক ক্যুদেতা। অতীতে অনুমোদিত স্বাধীনতা ও অধিকারগুলো কেড়ে নেয়া হল। কুর্দি ও বাম দলগুলো এ সময় নিষিদ্ধ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আবদুল্লা ওজালানের আঙ্কারা গমন।
১৯৭২ মার্চ বামপন্থীদের একটা সমাবেশে যোগ দেয়ায় আবদুল্লা ওজালানকে গ্রেপ্তার করা হল। পাঠানো হল মামাক কারাগারে। যেখানে আটক ছিলেন বহু র্যাডিকাল বামপন্থী।
১৯৭৩-৭৬ আরব বেল্ট প্রকল্প।
১৯৭৪ ইরাক সরকারের সাথে ইরাকি কুর্দিদের যুদ্ধ নতুন করে শুরু হল। সীমিত স্বায়ত্তশাসন পেল বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তান।
জানুয়ারি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হলেন বুলেন্ত এজেভিত। দেশটিতে একটি নতুন, অপেক্ষাকৃত উদার, জমানার সূচনা।
তুরস্কের একটি র্যাডিকাল বাম দলের কুর্দি সদস্যরা আঙ্কারার চুবুক বাঁধে সভা করে একটি স্বতন্ত্র কুর্দি সংগঠন গঠন করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এই গোষ্ঠীর নেতা নির্বাচিত হলেন আবদুল্লা ওজালান।
১৯৭৫ উত্তর ইরাককে আরবায়িত করার উদ্যোগ নিল বা’থিরা। তেলসমৃদ্ধ অঞ্চলটি থেকে কুর্দিদের তাড়িয়ে দিয়ে আরবদের বসতিস্থাপন করল। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মদতে বা’থিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন ইরাকি কুর্দিরা।
মার্চ আলজিয়ার্স চুক্তিতে সই করল ইরান ও ইরাক।
ইরাকি কুর্দিদের সমর্থন দেয়া বন্ধ করল মার্কিনী-ইরানিরা। কুর্দি বিদ্রোহের অবসান।
জুন ১ মোস্তফা বারজানিকে প্রতিক্রিয়াশীল আখ্যা দিয়ে কুর্দিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (কেডিপি) থেকে বেরিয়ে আসলেন জালাল তালাবানি, গঠন করলেন প্যাট্রিওটিক ইউনিয়ন অফ কুর্দিস্তান (পিইউকে)।
আঙ্কারায় দিকমেন সভা করলেন ওজালান। তিনি ও তাঁর সমর্থকরা জনসমর্থন আদায়ের জন্য বাকুর বা তুর্কি কুর্দিস্তানে নিজেদের কার্যকলাপ কেন্দ্রীভূত করার সিদ্ধান্ত নেন। নিজেদের কুর্দিস্তান বিপ্লবী বলতে শুরু করেন।
১৯৭৬ গঠিত হল কুর্দিস্তান সোশালিস্ট ডেমোক্রেটিক পার্টি (কেএসডিপি)।
ডিসেম্বর আঙ্কারায় দিকিমেভি সভা করলেন ওজালান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সমর্থকরা। এই সভার উদ্দেশ্য ছিল গঠন পর্যায়ে থাকা কুর্দি জাতীয়তাবাদী দলটিকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেয়া।
১৯৭৭ বাকুর বা তুর্কি কুর্দিস্তান সফর করলেন ওজালান। সেখানে তিনি নিজ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন।
১৯৭৮ নভেম্বর ২৭ তুরস্কে গঠিত হল কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (Partiya Karkerên Kurdistanê: PKK)।
২৭ পিকেকের প্রতিষ্ঠাকালীন কংগ্রেস।
১৯৭৯ মার্চ ইরানের খোমিনীপন্থীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন ইরানি কুর্দিরা।
জুলাই ৩০ আবদুল্লা ওজালানের নেতৃত্বে মেহমেত জেলাল বুসুক ও অন্য বড় জমিদারদের খতম করার সিদ্ধান্ত নিল পিকেকে।
আগস্ট ১৮ ইরানি কুর্দিস্তানের কুর্দিদের বিরুদ্ধে ‘পবিত্র যুদ্ধ’ ঘোষণা করলেন আয়াতুল্লা খোমিনী।
কেডিপির প্রেসিডেন্ট হলেন মোস্তফার ছেলে মাসুদ বারজানি।
সীমান্ত পেরিয়ে রোজাভা বা সিরীয় কুর্দিস্তানে চলে গেলেন ওজালান। দ্রুতই বৈরুতের জন্য রোজাভা ছেড়ে যান তিনি। সশস্ত্র ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরু করেন।
১৯৮০-৮৮ সাদ্দাম হোসেনের ইরান আক্রমণের ফলে ইরান-ইরাক যুদ্ধ। দুই দেশেই কুর্দিদের প্রতিপক্ষের দালাল বলা হল, খুন হলেন বহু বেসামরিক কুর্দি নাগরিক। দুই দেশের কুর্দিদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হল।
১৯৮০ আগস্ট রাজনৈতিক ও সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য আবদুল্লা ওজালান সহ অল্প কয়েকজন পিকেকে সদস্যকে লেবাননের বেকা উপত্যকায় পাঠান হল।
সেপ্টেম্বর তুরস্কে আবারও সামরিক ক্যুদেতা, ভয়াবহ জুলুমের সূচনা।
১৯৮২ এপ্রিল তুর্কি বাম দল দেভ-ইয়লের সাথে যুক্তফ্রন্ট ঘোষণা করল পিকেকে।
আগস্ট ২০-২২ পিকেকের দ্বিতীয় পার্টি কংগ্রেস। কুর্দিস্তানে ফিরে যাওয়া, কূটনৈতিক তৎপরতা হাতে নেয়া, সামরিক ও রাজনৈতিক সংগঠন করে তোলা এবং আবদুল্লা ওজালানের নেতৃত্ব বহাল রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত। এই কংগ্রেসে গঠন করা হয় কুর্দিস্তান লিবারেশন ফোর্স (Hêzên Rizgariya Kurdistanê: HRK)।
বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে নিজেদের কিছু যোদ্ধাকে স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে মাসুদ বারজানির অনুমতি পেল পিকেকে।
নভেম্বর তুরস্কের বর্তমান সংবিধান।*
* এর অনেক ধারাই কুর্দিদের রাজনৈতিক অধিকারের বিরোধী।
১৯৮৩ নভেম্বর সীমিত পরিসরে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করল তুরস্ক।
ডিসেম্বর তুরস্কে নয়া প্রধানমন্ত্রী হলেন তুরগুত ওজাল।
দেভ-ইয়লের সাথে তুরস্কের সম্পর্ক আলগা হয়ে গেল।
১৯৮৪ আগস্ট ১৫ জানডারমা পুলিশ থানায় হামলা করল পিকেকের বাহিনী। কয়েকজন সৈনিক নিহত। তুরস্ক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পিকেকের সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু।*
* এ সময় আবদুল্লা ওজালান দামিশকে অবস্থান করছিলেন।
১৯৮৫ মার্চ ২১ গঠিত হল ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ কুর্দিস্তান (Eniya Rizgariya Neteweyî ya Kurdistanê: ERNK)।
এপ্রিল তুরস্কে গঠন করা হল গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
নভেম্বর ২ স্টকহোমে গুপ্তহত্যার শিকার হলেন পিকেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য, এবং পার্টির ভেতরে আবদুল্লা ওজালানের কর্তৃত্ববাদ নিয়ন্ত্রণের বিরোধী, সেতিন গুনগোর।*
* পার্টির ভেতরে তিনি ‘সেমির’ নামে পরিচিত হল।
১৯৮৬ অক্টোবর ২৫-৩০ লেবাননের বেকা উপত্যকায় পিকেকের তৃতীয় পার্টি কংগ্রেস। পার্টির ভেতরে ওজালানের যে কর্তৃত্ববাদী নিয়ন্ত্রণ তৈরি হচ্ছিল, এ সময় থেকে তা সংহত হতে শুরু করে। এই কংগ্রেসে কুর্দিস্তান লিবারেশন ফোর্সকে (এইচআরকে) পিপল’স লিবারেশন আর্মি অফ কুর্দিস্তান (Artêşa Rizgariya Gelê Kurdistanê: ARGK) দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হয়।
১৯৮৭ মে পিকেকের সাথে সব সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে ছিন্ন করলেন মাসুদ বারজানি।
জুন বাকুর বা তুর্কি কুর্দিস্তানের পিনারচিক গ্রামে এক হামলায় ২ ডজন কুর্দি নারী ও শিশুকে হত্যা করল পিকেকে।
জুন-আগস্ট বাকুর বা তুর্কি কুর্দিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি।
ইরানের কাছ থেকে রোজহিলাত বা ইরানি কুর্দিস্তানের ভূখণ্ড সাময়িক ব্যবহারের অনুমতি পেল পিকেকে। ওজালানের ভাই ওসমানকে রোজহিলাতের দায়িত্ব দেয়া হল।
১৯৮৮ ইরাকি কুর্দিদের বিরুদ্ধে সাদ্দামের আল-আনফাল অভিযান। এই গণহত্যায় বিভিন্ন হিসাবে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার বেসামরিক কুর্দি নাগরিকের মৃত্যু হয়।
মার্চ ১৬ হালাবজা গণহত্যা। ইরাকের কুর্দি শহর হালাবজায় বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করলেন সাদ্দাম। যাতে ৫০০০য়েরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
মে জালাল তালাবানির সাথে অনাগ্রাসন চুক্তি করল পিকেকে। চুক্তিটি স্রেফ এক বছর বলবৎ থাকে। গঠন করা হল ইরাকি কুর্দিস্তান ফ্রন্ট।
১৯৮৯ জুলাই ১৩ ভিয়েনায় গুপ্তঘাতকদের হাতে খুন হলেন পিডিকেআই নেতা আবদুল রহমান ঘাসসেমলু।
অক্টোবর কুর্দিদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করল কুর্দিশ ইন্সটিটিউট ইন প্যারিস।
১৯৯০ মার্চ সাভুরের কাছে ১৩ জন পিকেকে বিদ্রোহী খুন হলে এর প্রতিক্রিয়া বাকুর বা তুর্কি কুর্দিস্তানে তুরস্ক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়।
জুন গঠিত হল তুরস্কের প্রথম বৈধ কুর্দি রাজনৈতিক দল পিপল’স লেবার পার্টি (Halkın Emek Partisi: HEP)।
ডিসেম্বর ২৬-৩১ বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানের হাফতানিন ক্যাম্পে পিকেকের চতুর্থ পার্টি কংগ্রেস। মেহমেত সেনের আবদুল্লা ওজালানের নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করলেন। কয়েক মাস পরে, ১৯৯১ সালে, সিরিয়ায় পিকেকে অপারেটিভদের হাতে গুপ্তহত্যার শিকার হন সেনের।
১৯৯১ ইরাকের উত্তরে কুর্দি আর দক্ষিণে শিয়া বিদ্রোহ। সিনজার সাদ্দাম হোসেনের হুকুমতের অধীনে রয়ে গেল। লালিশকে অন্তর্ভুক্ত করে সেজান অঞ্চল কুর্দি পেশমেরগা নিয়ন্ত্রিত কুর্দিস্তান অঞ্চলের অংশ হয়ে গেল।
কুর্দিদের সাথে আলাপ-আলোচনা শুরু করলেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী (পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট) তুরগুত ওজাল। আলোচনা চলবে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত। তুরস্কে সন্ত্রাসবিরোধী আইন কুর্দি অধিকারের শান্তিপূর্ণ ওকালতিকে অপরাধ বলে চিহ্নিত করল।
নভেম্বর তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী হলেন সুলেইমান দেমিরেল। “কুর্দি বাস্তবতা” স্বীকার করে নিলেন।
১৯৯২ ইরাকে পিকেকের সেভ হ্যাভেনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে ইরাকি কুর্দিস্তানে প্রবেশ করলেন ২০,০০০ তুর্কি সৈন্য। পিকেকের নারী কংগ্রেস। এই কংগ্রেসের সিদ্ধান্তগুলো খারিজ করে দিলেন ওজা্লান।
১৯৯৩ মার্চ ১৭ একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন আবদুল্লা ওজালান।
মে ২৪ ৩৩ জন নিরন্ত্র তুর্কি সৈনিকের হত্যার মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতির অবসান।
১৯৯৪ ইরাকি কুর্দিদের দুই রাজনৈতিক দল কেডিপি আর পিইউকের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে ২০০০য়েরও বেশি কুর্দি নাগরিকের মৃত্যু হল। ইরাকি কুর্দিস্তানে গৃহযুদ্ধ। ১৯৯৮ সালে মার্কিন মধ্যস্ততায় গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
ফেব্রুয়ারি ৬ বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে গঠিত হল কুর্দিস্তান ইসলামিক ইউনিয়ন।
মার্চ ৮ আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবসে আয়োজিত হল আন্তর্জাতিক কুর্দি নারী সম্মেলন।
১৯৯৫ জানুয়ারি ২৪ পিকেকের পঞ্চম পার্টি কংগ্রেস।
মার্চ ৮ আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবসে পিকেকের প্রথম আনুষ্ঠানিক নারী কংগ্রেস। এই কংগ্রেস একজন নির্বাহীকে নির্বাচিত করল। যিনি কালক্রমে কুর্দিস্তান উইমেন’স ফ্রিডম মুভমেন্ট (Tevgera Azadiya Jinên Kurdistan: TAJK) গঠন করেন, পরে যার নাম বদলে অ্যাসোসিয়েশন অফ ফ্রি উইমেন অফ কুর্দিস্তান (Yekîtiya Azadiya Jinên Kurdistan: YAJK) রাখা হয়, আরও পরে যা ফ্রি উইমেন ইউনিটস (Yekîtiyên Jinên Azad STAR: YJA STAR) নাম লাভ করবে।
ডিসেম্বর ১০ তুরস্কের সাথে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল পিকেকে।
১৯৯৬ আগস্ট ১৬ তুরস্ক-পিকেকে যুদ্ধবিরতির অবসান।
নেলিদা ফুককার, দ্য আদার কুর্দস: ইয়াজিদিজ ইন কলোনিয়াল ইরাক।
১৯৯৮ জানুয়ারি পিকেকের ষষ্ঠ পার্টি কংগ্রেস কুর্দিস্তানে আয়োজিত হল।
মে ২৪-২৬ গঠিত হল কুর্দিস্তান ন্যাশনাল কংগ্রেস (Kongreya Neteweyî ya Kurdistanê: KNK)।
সেপ্টেম্বর ১ একটি নয়া একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল পিকেকে।
অক্টোবর ৯ আবদুল্লা ওজালানকে সিরিয়া থেকে বিতাড়িত করা হল।
১৯৯৯ ফেব্রুয়ারি ১৫ কেনিয়ার নাইরোবি থেকে ওজালানকে পাকড়াও করা হল।*
* এ কাজে তুরস্কের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এমআইটিকে সহায়তা করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ওজালানকে শুরুতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও পরে তীব্র বৈশ্বিক প্রতিবাদের মুখে তাঁর সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়। মর্মর সাগরের ইমরালি কারাদ্বীপে বন্দী আছেন ওজালান, ১৯৯৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কারাদ্বীপটির একমাত্র বন্দী ছিলেন তিনি।
ফেব্রুয়ারি ১৬ পিকেকের ষষ্ঠ পার্টি কংগ্রেস। যুদ্ধবিরতির অবসান ঘোষণা করল পিকেকের প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিল।
আগস্ট আবদুল্লাহ ওজালান তাঁর আইনজীবীদের মাধ্যমে পার্টি কংগ্রেসে একটি বার্তা পাঠালে যুদ্ধবিরতি পুনর্বহাল করে পিকেকে।
২০০০ জানুয়ারি পিকেকে সপ্তম এক্সট্রাঅর্ডিনারি পার্টি কংগ্রেস। এই কংগ্রেসে সশস্ত্র সংগ্রাম থেকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের মাধ্যমে ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তরের’ দিকে অগ্রসর হওয়ার নীতি নেয়া হল।
এআরজিকের নাম বদলে পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স রাখা হল (Hêzên Parastina Gel: HPG)।
২০০১ ক্রিস্টোফার হাউস্টন, ইসলাম, কুর্দস, অ্যান্ড দ্য তুর্কিশ নেশন স্টেট।
২০০২ এপ্রিল পিকেকের অষ্টম পার্টি কংগ্রেস। এই কংগ্রেসে পিকেকে সাময়িকভাবে নিজের নাম বদলায়। পার্টির নতুন নাম রাখে কুর্দিস্তান ফ্রিডম অ্যান্ড ডেমোক্রেসি কংগ্রেস (Kongreya Azadî û Demokrasiya Kurdistanê: KADEK)।
ফরিদেহ কুহি-কামালি, দ্য পলিটিকাল ডেভলাপমেন্ট অফ দ্য কুর্দস ইন ইরান।
২০০৩ মার্চ ২০ জর্জ বুশ জুনিয়রের নেতৃত্বে ইরাকে মার্কিন হামলা।
এপ্রিল ৯ সাদ্দাম সরকারের পতন।
১২ সিনজার অঞ্চল দখল করে নিল মার্কিন সেনাবাহিনী। সিনজারের সিনুনেতে মার্কিনীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রতিরোধ।
কাদেক নিজের নাম বদলে রাখল কুর্দিস্তান পিপল’স কংগ্রেস (Kongra-Gel)।
ইভা ওস্টেরগার্ড-নিয়েলসন, ট্রান্সন্যাশনাল পলিটিকস: তুর্কস অ্যান্ড কুর্দস ইন জার্মানি।
মাইকেল এম. গুন্টার, হিস্টোরিকাল ডিকশনারি অফ দ্য কুর্দস।
ফরিদেহ কুহি-কামালি, দ্য পলিটিকাল ডেভলাপমেন্ট অফ দ্য কুর্দস ইন ইরান।
২০০৪ জুন ১ কংগ্রা-জেল কর্তৃক যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক অবসান।
জুলাই ২৯ বাকুর বা তুর্কি কুর্দিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হল কুর্দিস্তান ফ্রিডম হকস।
রোজহিলাত বা ইরানি কুর্দিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হল দ্য পার্টি ফর আ ফ্রি লাইফ ইন কুর্দিস্তান (পিজেএকে)।
কেরিম ইলদিজ, দ্য কুর্দস ইন ইরাক: দ্য পাস্ট, প্রেজেন্ট, অ্যান্ড ফিউচার।
হাকান ওজোগালু, কুর্দিশ নোটেবলস অ্যান্ড দ্য অটোমান স্টেট: এভলভিং আইডেন্টিটিজ, কমপিটিং লয়ালিটিজ, অ্যান্ড শিফটিং বাউন্ডারিজ।
২০০৫ জানুয়ারি ৩০ বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে সম্পন্ন হল স্বাধীনতা গণভোট, ৯৮.৯৮% ভোট প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে।
মার্চ ২৮-৪ এপ্রিল পিকেকের নবম পার্টি কংগ্রেস। এই কংগ্রেসে পিকেকে তাঁর আদি নামে ফেরে।
এপ্রিল ইরাকে প্রেসিডেন্ট হলেন কুর্দি নেতা জালাল তালাবানি আর প্রধানমন্ত্রী হলেন ইব্রাহিম জাফারি। ইরাকি কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট হলেন মাসুদ বারজানি।
এপ্রিল-মে ইরাকি কুর্দিস্তানের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট হলেন মাসুদ বারজানি।
মে ১৭ গঠন করা হল কুর্দিস্তান কমিউনিটিজ ইউনিয়ন (Koma Civakên Kurdistanê: KCK)। ঐতিহাসিক কুর্দিস্তানের সকল অংশে পিকেকের আন্দোলনের সব কার্যক্রম তদারকি করার দায়িত্ব দিয়ে। কুর্দিস্তানের সকল অংশের প্রতিনিধিত্ব করা কুর্দিদের নিয়ে একটি প্রশাসনিক কাউন্সিলের মাধ্যমে এটি পরিচালিত হয়।
আগস্ট ১৭ তুরস্কে গঠিত হল ডেমোক্রেটিক সোসাইটি পার্টি (Partiya Civaka Demokratîk: PCD)।
১৯ নতুন করে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল পিকেকে। যা ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এরপর ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
সিনজার থেকে ৩২ মাইল দূরের তাল আফারে সুন্নী ইসলামপন্থীদের উত্থান।
কেরিম ইলদিজ, দ্য কুর্দস ইন তুর্কি: ইউ অ্যাসেশন অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস।
— দ্য কুর্দস ইন সিরিয়া: দ্য ফরগটেন পিপল।
বাহমান ঘোবাদি, টার্টলস ক্যান ফ্লাই।
২০০৬ পিকেকে ও তুর্কি সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই তীব্রতর হল।
অক্টোবর ১ নতুন করে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল পিকেকে।
২০০৭ অসলোতে পিকেকে ও তুরস্ক রাষ্ট্রের মধ্যে সংলাপ।
এপ্রিল আবারও একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল পিকেকে।
জুন ও অক্টোবর বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে পিকেকে ঘাঁটিতে তুর্কি হামলা এবং দক্ষিণপূর্ব তুরস্কে সংঘর্ষে যুদ্ধবিরতির অবসান।
আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নূরি আল-মালিকির সরকারকে সহায়তা করতে ইরাকের শিয়া আর কুর্দি নেতারা একটি জোট গঠন করলেন, কিন্তু ইরাকি সুন্নি নেতারা এই জোটে যোগ দেননি।
১৪ সিনজারের তেল এজের ও সিবা শেখ খিদির গ্রামে সন্ত্রাসবাদী হামলা।
১৯ উত্তর মসুলে আত্মঘাতী ট্রাক বোমা হামলায় জাতিগত সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের কয়েকশো মানুষের মৃত্যু।
আলিজা মার্কাস, ব্লাড অ্যান্ড বিলিফ: দ্য পিকেকে অ্যান্ড দ্য কুর্দিশ ফাইট ফর ইন্ডিপেন্ডেন্স।
কেরিম ইলদিজ, দ্য কুর্দস ইন ইরান: দ্য পাস্ট, প্রেজেন্ট, অ্যান্ড ফিউচার।
২০০৮ আগস্ট পিকেকের দশম পার্টি কংগ্রেস।
হিরমিস আবুনা, অ্যাসিরিয়ানস, কুর্দস, অ্যান্ড অটোমানস: ইন্টারকমিউনাল রিলেশনস অন দ্য পেরিফেরি অফ দ্য অটোমান এম্পায়ার।
২০০৯ মে ‘কুর্দি ওপেনিং’ ঘোষণা করলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা গুল।
আগস্ট পিকেকের নতুন একতরফা যুদ্ধবিরতি স্রেফ হপ্তাখানেক টিকল।
ডিসেম্বর তুরস্কে নিষিদ্ধ হল ডেমোক্রেটিক সোসাইটি পার্টি (পিসিডি)।
২০১০ মে কুর্দিস্তান ন্যাশনাল কংগ্রেস দাবি করল, ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে ১,৫০০রও বেশি রাজনীতিবিদ, মানবাধিকারের উকিল, লেখক, কারিগর ও নাগরিক সমাজের নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আগস্ট ১৩ পিকেকের নতুন একতরফা যুদ্ধবিরতি।
২০১১ ফেব্রুয়ারি ২৮ পিকেকের যুদ্ধবিরতির অবসান।
আব্বাস ভালি, কুর্দস অ্যান্ড দ্য স্টেট ইন ইরান: দ্য মেকিং অফ কুর্দিশ আইডেনটিটি।
২০১২ অক্টোবর ১৫ তুরস্কে গঠিত হল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (Halkların Demokratik Partisi: HDP)।
১৮ এমআইটি আর ওজালানের মধ্যে শান্তি আলোচনার অস্তিত্ব স্বীকার করল আঙ্কারা।
২০১৩ জানুয়ারি ১০ প্যারিসে ৩ পিকেকে সদস্য সাকিন কানসিজ, ফিদান দোগান ও লেইলা সয়েলেমেজকে গুলি করে হত্যা করা হল।
মার্চ সলিউশন প্রসেস, দিয়ারবাকিরে কুর্দি শান্তি কর্মসূচি উদ্বোধন করা হল।
মার্চ ২১ কুর্দি নববর্ষ নেওরোজ উপলক্ষে তুর্কি সরকার ও পিকেকের মধ্যে সংঘাতের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন ওজালান।
মসুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ইয়েজিদি শিক্ষার্থীদের হুমকি দিল ইসলামপন্থীরা।
ফেভজি বিলগিন ও আলী সারিহান (সম্পা.), আন্ডারস্ট্যান্ডিং টার্কি’জ কুর্দিশ কোশ্চেন।
২০১৩-১৪ পিকেকের সাথে তুরস্কের সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু ও যুদ্ধবিরতি।
২০১৪ জুন ১০ ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইরাক ও সিরিয়ার একাংশে খেলাফত ঘোষণা করল ইসলামিক স্টেট গ্রুপ (আইএস)।
আগস্ট ৩ সিনজার ও এর আশেপাশের ইয়েজিদি গ্রামগুলোতে আইএসের হামলা। প্রায় ৫০ হাজার ইয়েজিদি সিনজার পর্বতে পালিয়ে গেলেন, যেখানে তাঁরা হপ্তাখানেক ঘেরাও হয়ে ছিলেন। ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় শতাধিক ইয়েজিদির মৃত্যু হল।
৩-৫ সিনজার শহর ও এর আশেপাশে প্রায় ৫০০ ইয়েজিদি পুরুষকে হত্যা করা হল।
৪ সিনজারের হারদান গ্রামে ৬০ জন ইয়েজিদি পুরুষকে হত্যা করল আইএস। নারী ও শিশুদের বন্দী করে তেল আফারে নিয়ে গেল।
৭ সিনজার পর্বতে ইয়েজিদিদের ঘেরাও হয়ে থাকার অবসান ঘটাতে ও সেখানে একটি সম্ভাব্য গণহত্যা ঠেকাতে বিমানহামলার অনুমোদন দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
৮ কথিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপের (আইএস) ইউনিট আর কনভয়গুলোর ওপর মার্কিন বিমান হামলা শুরু।
৯-১১ সিনজার পর্বতমালা ও সিরিয়ার মধ্যে ইয়েজিদিদের জন্য একটা নিরাপত্তা করিডোর খুলল পিকেকে, ওয়াইপিজি, ও ওয়াইপিজে। ইরাকি কুর্দিস্তানে আশ্রয় নিলেন ১ লক্ষ ইয়েজিদি। তাঁদের অধিকাংশ এখনো সেখানকার শরণার্থী শিবিরদেরগুলোতে আছেন।
১৫ কোচো হত্যাযজ্ঞ। সিনজারের কোচো গ্রামে একটি নিধনযজ্ঞ চালাল আইএস। গ্রামটির সব প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের হত্যা করা হল। নাবালক ছেলেদের শিশুসৈনিক বানাতে কেড়ে নেয়া হল। নারী ও কন্যাশিশুদের যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করা হল।
১৯ দ্য নেদারল্যান্ডসে নিবন্ধিত হল ফ্রি ইয়েজিদি ফাউন্ডেশন।
সেপ্টেম্বর সুন্নি আরব ও কুর্দিদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি সরকার গঠন করলেন ইরাকি শিয়া রাজনীতিক হায়দার আল-আবাদ।
অক্টোবর আইএস তার ইংরেজিভাষী ম্যাগাজিন দাবিকে ইয়েজিদিদের দাস বানানোর কথা গর্বের সাথে প্রচার করল।*
* ইয়েজিদিরা মালেক তাউসের উপাসনা করেন। আইএস যাকে শয়তান মনে করে। ফলে, আইএসের প্রচারণায় ইয়েজিদিরা হচ্ছে “শয়তানের উপাসক।”
২১ আইএস সিনজারের উত্তরে আরও এলাকা দখল করে, এবং পালানোর পথ বন্ধ করে দেয়।
ডিসেম্বর আইএসের আক্রমণের মুখে পুরো দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে ইরাক সরকার এবং ইরাকি কুর্দিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদিত হল।
১৭ আইএসের বিরুদ্ধে প্রথম কুর্দি অভিযান শুরু হল, সিনজার পর্বতমালার উত্তরাঞ্চল মুক্ত করা হল।
হ্যারিয়েট অ্যালসপ, দ্য কুর্দস অফ সিরিয়া: পলিটিকাল পার্টিজ অ্যান্ড আইডেনটিটি ইন দ্য মিডল ইস্ট।
মাইকেল এম. গুন্টার, আউট অফ নোহোয়ার: দ্য কুর্দস অফ সিরিয়া ইন পীস অ্যান্ড ওয়ার।
২০১৫ জুন জাতি প্রশ্নে গণতন্ত্রের পক্ষপাতী পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) প্রথমবারের মত নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেয়ে সংসদে ঢুকল। তুর্কি কুর্দিস্তানে সহিংসতা, কুর্দি শান্তি কর্মসূচির অবসান।
সেপ্টেম্বর ভূমধ্যসাগরের তীরে আলান কুর্দি নামের এক ২-বছর-বয়সী কুর্দি শিশুর লাশ ভেসে উঠল। তাঁর মৃতদেহের ছবি তুললেন তুর্কি আলোকচিত্রী নিলুফার দেমির। ছবিটি সারা বিশ্বে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করে।
নভেম্বর ১২ সিনজারকে মুক্ত করতে কুর্দিদের দ্বিতীয় অভিযান শুরু।
১৩ মুক্ত হল সিনজার।
কয়েক মাস আইএসের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে থাকার পর সিরিয়ার কোবানে শহর পুনরুদ্ধার করল সিরীয় কুর্দিরা। এই সমরে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির ৫০ জন সৈন্য কুর্দিদের পক্ষে যোগ দেয়।
ব্রায়ান আর. গিবসন, সোল্ড আউট? ইউএস ফরেন পলিসি, ইরাক, দ্য কুর্দস, অ্যান্ড দ্য কোল্ড ওয়ার।
স্ট্রেঞ্জার্স ইন আ ট্যাঙ্গলড ওয়াইল্ডারনেস, আ স্মল কিই ক্যান ওপেন আ লার্জ ডোর: দ্য রোজাভা রেভল্যুশন।
২০১৬ ফেব্রুয়ারি আঙ্কারায় সেনাবহরের ওপর বোমা হামলায় অন্তত ৩৮ জন মানুষের মৃত্যু, পিকেকে থেকে বেরিয়ে আসা কুর্দিস্তান ফ্রিডম হকস (টিএকে) এই হামলার দায় স্বীকার করে।
আগস্ট সিরীয় কুর্দিস্তানে ঢুকল তুর্কি সেনাবাহিনী ও ফ্রি সিরিয়ান আর্মি।
মাইকেল এপ্পেল, আ পিপল উইদাউট আ স্টেট: দ্য কুর্দস ফ্রম দ্য রাইজ অফ ইসলাম টু দ্য ডন অফ ন্যাশনালিজম।
মাইকেল ন্যাপ, আনজা ফ্ল্যাচ, আর এরকান আয়বোগা, রেভল্যুশন ইন রোজাভা: ডেমোক্রেটিক অটোনমি অ্যান্ড উইমেন্স লিবারেশন ইন সিরিয়া।
আবদুল্লাহ ওজালান, দ্য পলিটিকাল থট অফ আবদুল্লাহ ওকালান কুর্দিস্তান, উইমেন’স রেভল্যুশন, অ্যান্ড ডেমোক্রেটিক কনফেডারেলিজম।
ইন্টারন্যাশনালিস্ট কমিউন অফ রোজাভা, মেইক রোজাভা গ্রেট এগেইন: বিল্ডিং অ্যান ইকোলজিকাল সোসাইটি।
২০১৭ মার্চ ৩ জানাসোরের কাছে ওয়াইবিএস ও রোজ পেশমেরগার মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত।
মে ১২-১৯ সিনজারের উত্তরাঞ্চল মুক্ত করল ইরাকি সেনাবাহিনী ও পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটস (পিএমইউ)।
সেপ্টেম্বর ২৫ বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে সম্পন্ন হল স্বাধীনতা গণভোট, ৯২.৭৩% ভোট প্রস্তাবের পক্ষে পড়ে। বাগদাদ গণভোটের ফল মেনে নিতে অস্বীকার জানায়। এরবিলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়।
অক্টোবর ১৫-২৭ ইরাকি-কুর্দি সংকট। বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মাসুদ বারজানি। সিনজার থেকে সেনা প্রত্যাহার করল কেডিপির পেশমেরগা। কুর্দিদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ইরাকের ফেডারেল সুপ্রিম কোর্টের বিরোধিতা মেনে নিল কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার। এরবিল ও সুলায়মানিয়া বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ ফেডারেল সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে সম্মত হল কুর্দি কর্তৃপক্ষ। ইরাকি কুর্দিরা নিজেদের আয়ের প্রধান উৎস কিরকুক তেলক্ষেত্র হারাল।
নভেম্বর ইরাকি সেনাবাহিনী, শিয়া মিলিশিয়া, ও তাদের কুর্দি মিত্ররা আইএসের খেলাফতের ইরাকি অংশের প্রায় পুরোটা পুনরুদ্ধার করল।
মার্কিন সহায়তা নিয়ে আইএসের হাত থেকে তাবকা বাঁধ পুনরুদ্ধার করল সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) ও কুর্দিদের পপুলার প্রটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজি)।
গ্যারেথ স্ট্যান্সফিল্ড ও মোহাম্মেদ শরিফ (সম্পা.), দ্য কুর্দিশ কোশ্চেন রিভিজিটেড।
টমাস শ্মিডিঞ্জার, মাইকেল শিফমান কৃত ইংরেজি অনুবাদ, রোজাভা: রেভল্যুশন, ওয়ার, অ্যান্ড দ্য ফিউচার অফ সিরিয়া’জ কুর্দস।
২০১৮ জানুয়ারি অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ, সিরীয় কুর্দিস্তানে তুর্কি সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু। কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিপুল এলাকা দখল। এর একটি আফরিন শহর।
আগস্ট তুর্কি হামলায় নিহত হলেন ওয়াইবিএস কমান্ডার জেকি সেনগালি।
অক্টোবর ইরাকের প্রেসিডেন্ট হলেন কুর্দি রাজনীতিক বারহাম সালিহ।
আরাম রাফাত, কুর্দিস্তান ইন ইরাক দ্য এভল্যুশন অফ আ কোয়াসি-স্টেট।
জেকি সারিগিল, এথনিক বাউন্ডারিজ ইন টার্কিশ পলিটিকস: দ্য সেকুলার কুর্দিশ মুভমেন্ট অ্যান্ড ইসলাম।
২০১৯ মার্চ ১৭ জানাসোরের কাছে ওয়াইবিএস ও ইরাকি সেনাবাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত।
২২ সিরিয়ায় আইএসের শেষ ঘাঁটি বাঘুজকে মুক্ত করা হল। আইএসের কথিত খেলাফতের শেষ দিনগুলোতে ইয়েজিদি বন্দীদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল। শিশুসৈনিক হিসাবে ধরে নিয়ে যাওয়া ছেলেগুলোকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়।
দেনিজ চিফচি, দ্য কুর্দস অ্যান্ড দ্য পলিটিকস অফ তুর্কি।
টমাস শ্মিডিঞ্জার, মাইকেল শিফমান কৃত ইংরেজি অনুবাদ, দ্য ব্যাটল ফর দ্য মাউন্টেন অফ দ্য কুর্দস: সেলফ-ডিটারমিনেশন অ্যান্ড এথনিক ক্লিনজিং ইন দ্য আফরিন রিজিওন অফ রোজাভা।
মার্সেল কার্তিয়ের, সেরকেফতিন: আ ন্যারেটিভ অফ দ্য রোজাভা রেভল্যুশন।
২০১৯ ডিসেম্বর-মার্চ ২০২০ সিরীয় কুর্দিস্তানে রুশ অভিযানের কারণে ১০ লক্ষ সিরীয় স্থানচ্যুত হলেন, সিরীয় শরণার্থীদের জন্য তুরস্ক সীমান্ত খুলে দিল।
২০২০ জানুয়ারি ১৫ ওয়াইবিএসের আরেক স্থানীয় কমান্ডার জেরদাস্ত সেনগালি ওয়াবিএসের আরো কিছু সৈনিকের সাথে খুন হলেন।
জুন বৈশ্বিক মহামারী চলাকালে শরণার্থী শিবিরগুলোর বেহাল দশার কারণে হাজার হাজার পরিবার সিনজারে ফিরে এলেন।
১৪ সিনজার অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বোমাবর্ষণ করল তুর্কি বিমান বাহিনী।
আগস্ট ৩১-৩১ অক্টোবর সিনজারে শরণার্থী শিবির-বহির্ভূত স্থানে ফিরে এসেছে এমন ৬৩৯৪টি পরিবারের তথ্য নথিভুক্ত করল ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)।
অক্টোবর ৯ সিনজার জেলা নিয়ে বাগদাদ ও এরবিলের মধ্যে নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক চুক্তি।
উইলিয়াম গৌরল, দ্য কুর্দস ইন এরদোয়ানস তুর্কি: ব্যালেন্সিং আইডেনটিটি, রেজিস্ট্যান্স, অ্যান্ড সিটিজেনশিপ।
হ্যারিয়েট অ্যালসপ ও ভ্লাদিমির ভ্যান উইলগেনবার্গ, দ্য কুর্দস অফ নর্দার্ন সিরিয়া: গাভার্নেন্স, ডাইভারসিটি, অ্যান্ড কনফ্লিক্টস।
২০২১ জানুয়ারি ২২ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ঘোষণা করলেন, সিনজারে পিকেকের বিরুদ্ধে ইরাক সরকারের সাথে যৌথ অভিযান চালাতে পারে তাঁর সেনাবাহিনী।
ফেব্রুয়ারি ৬ কোচো নিধনযজ্ঞের শিকার হওয়া ১০৪ জন ইয়েজিদির দেহাবশেষ গ্রামটিতে ইয়েজিদিদের নিজস্ব ধর্মীয় রীতি অনুসারে সমাহিত করা হল। সিনজার জুড়ে ৮০টিরও বেশি গণকবর ছড়িয়ে আছে, যাতে শত শত অচিহ্নিত লাশ আছে।
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের এক আদালত ২০১৪-১৫ সালে ইয়েজিদি গণহত্যা চলাকালীন সময়ে একটি ৫-বছর-বয়সী ইয়েজিদি শিশুকে হত্যা করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে আইএস সদস্য তাহা আল-জুমাইলিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল।
মার্চ ১ ইরাকি সংসদে পাশ হল দ্য ইয়েজিদি সার্ভাইভার্স ল।
এপ্রিল ২৪ বাগদাদ ও এরবিলের মধ্যে চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়াল পিকেকের স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ।
আগস্ট ১৮ সিনজারের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে সিকেনিয়ে গ্রামের এক হাসপাতালে তুর্কি বিমান হামলায় ৮ ব্যক্তি নিহত।
অক্টোবর ১০ ইরাকি সংসদীয় নির্বাচনে সিনজারের জন্য সংরক্ষিত ৩টি ম্যান্ডেটই জিতল কেডিপি। সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত ম্যান্ডেটটি জিতলেন ইয়েজিদি প্রগ্রেস পার্টির (পিপিই) নাইফ খালাফ সেইদু। পিকেকে-সংশ্লিষ্ট পিএডিই কোন ম্যান্ডেট জিততে ব্যর্থ হয়।
নভেম্বর সিনজার থেকে এ সময় বিপুল সংখ্যায় ইয়েজিদিরা পোলিশ-বেলারুশ সীমান্তে হাজির হচ্ছেন এবং বেলারুশ হয়ে ইওরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কোন দেশে যাবার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ডিসেম্বর ৭ জানাসোরে এক তুর্কি ড্রোন হামলায় খুন হলেন রাজনীতিক ও ওয়াবিএস কমান্ডার ‘দিজওয়ার’ নামে পরিচিত মেরওয়ান বেদেল জোয়েদেদা।
১১ জানাসোরে পিপল’স কাউন্সিলের (Meclîsa Gel) বিরুদ্ধে তুর্কি বিমান হামলা।
২০২২ সেপ্টেম্বর ১৩ ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পোশাকবিধি লঙ্ঘণ করার অভিযোগে ইরানি কুর্দিস্তানের তরুণী জিনা মাহসা আমিনিকে আটক করল তেহরানের মোরালিটি পুলিশ।
১৬ তেহরানের এক হাসপাতাল কোমায় মৃত্যু হল জিনার। ইরানি কর্তৃপক্ষ জানাল, নিকটবর্তী এক স্টেশনে ‘শিক্ষা’ দিতে নিয়ে গেলে হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। জিনার পরিবার এই রাষ্ট্রীয় ভাষ্য প্রত্যাখ্যান করে। সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনার প্রতিবাদ শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ঘটনার তদন্ত দাবি করেন।
১৭ জিনার দেশের বাড়ি সাকেজে জানাজা সম্পন্ন হল। সেখান থেকে প্রতিবাদ প্রথমে প্রাদেশিক রাজধানীতে দেখা দেয়। এরপর দেশের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে যায়। প্রতিবাদ আন্দোলনে “স্বৈরাচার নিপাত যাক” শ্লোগান ওঠে। প্রতিবাদীদের মধ্যে কিছু নারী নিজেদের মাথা থেকে হিজাব খুলে ফেলেন ও আগুনে পোড়ান।
১৯ ইরানি কুর্দিস্তানের কোন কোন জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে প্রতিবাদীদের সংঘাত দেখা দিল।
২০ সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনির এক সহকারী সমবেদনা জানাতে জিনার পরিবারের সাথে দেখা করলেন, জানালেন খামেনি জিনার মৃত্যুর ব্যথা অনুভব করেন।
২১ কর্তৃপক্ষ ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ অভিগম্যতা সীমিত করল। সরকারিভাবে ৮ জনের মৃত্যু স্বীকার করা হল।
২২ প্রেসিডেন্ট রাইসি বললেন, “অরাজকতা” গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের মোরালিটি পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল।
২৩ বিভিন্ন শহরে সরকারি র্যালির আয়োজন করা হল, যেখান থেকে প্রতিবাদীদের ফাঁসির দাবি উঠল। সেনাবাহিনী “শত্রুদের নানামুখী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেয়ার” শপথ নিল।
২৪ ইরাকি কুর্দিস্তানে অবস্থিত ইরানের সশস্ত্র বিরোধীপক্ষীয় ঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে মদত দেয়ার অভিযোগ এনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করল রেভল্যুশনারি গার্ডস।
৩০ জাহেদান হত্যাযজ্ঞ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানাল, জাহেদান শহরে জুম্মার নামাজের পর প্রতিবাদীদের ওপর গুলি চালিয়ে শিশুসহ ৬৬ জনকে খুন করা হয়েছে। সরকারি টিভি বলল, ‘সন্ত্রাসবাদীরা’ একটা থানায় গুলি চালিয়েছিল, তাই পাল্টা গুলি চালানো হয়েছে। রেভল্যুশনারি গার্ডস বলল, এর বাহিনীর ও বাসিজ মিলিশিয়ার ৫ জন খুন হয়েছেন।
অক্টোবর ৩ নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে সমর্থন ব্যক্ত করলেন খামেনি। জানালেন, জিনার মৃত্যু তাঁর “বুক ভেঙে দিয়েছে”; কিন্তু অভিযোগ তুললেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ইরানের শত্রুদের উসকানি আছে। একাধিক শহরে সর্বস্তরের ইরানিরা রাস্তায় নেমে এলেন, “স্বৈরাচার নিপাত যাক” শ্লোগান দিলেন; এবং সরকার পরিবর্তনের দাবি তুললেন।
৭ সরকারি তদন্তকারী বিচারকের প্রতিবেদনে দাবি করা হল, জিনার মৃত্যু পুলিশ হেফাজতে মাথায় ও দেহে আঘাতজনিত কারণে হয়নি; আগে থেকেই থাকা অসুস্থতার কারণে হয়েছে।
নভেম্বর ইস্তানবুলে এক বোমা হামলায় ৬ জন নিহত। তুরস্ক সরকার এর জন্য কুর্দিদের দোষারোপ করল। সিরিয়া আর ইরাকের প্রায় ৫০০টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো শুরু করল তুরস্ক।
১৪ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাখোঁ ইরানের চলমান আন্দোলনকে “বিপ্লব” বলে আখ্যায়িত করলেন।
২১ ইরানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড জাতীয় সঙ্গীত গাইতে অস্বীকার জানিয়ে প্রতিবাদীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করল।
ডিসেম্বর ৪ ইরানের পাবলিক প্রজিকিউটর জানালেন, মোরালিটি পুলিশ তুলে দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানাল, বাধ্যতামূলক হিজাব আইন ভিন্ন উপায়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
জেনেত বিয়েল, দেয়ার ব্লাড গট মিক্সড: রেভল্যুশনারি রোজাভা অ্যান্ড দ্য ওয়ার অন আইসিস।
দিলার দিরিক, দ্য কুর্দিশ উইমেন’স মুভমেন্ট: হিস্ট্রি, থিওরি, প্র্যাকটিস।
টমাস শ্মিডিঞ্জার, দ্য ওয়ার্ল্ড হ্যাজ ফরগটেন আস: সিনজার অ্যান্ড দ্য ইসলামিক স্টেটস জেনোসাইড অফ দ্য ইয়েজিদিজ।
২০২৩ অক্টোবর ১-২ আঙ্কারায় পিকেকের সদস্যরা সন্ত্রাসবাদী হামলা চালালে এর প্রতিক্রিয়ায় উত্তর ইরাকে ২০টি পিকেকে লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালাল তুরস্ক।
সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটসের (এসএনএইচআর) ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুসারে, ২০১১ সালের মার্চ থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত সিরিয়া যুদ্ধের সব পক্ষের হাতে দেশটির ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৬৫ জন বেসামরিক নাগরিক খুন হয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২ লক্ষ ১ হাজার ৬৩ জন (৮৭.২৪%) খুন হয়েছেন সিরিয়া সরকার ও ইরানি মিলিশিয়ার হাতে। বাকি মৃতদের পরিসংখ্যান: অন্যান্য দলের হাতে ৮১৮২ জন (৩.৫৫%), রুশিদের হাতে ৬,৯৫০ জন (৩.০২%), আইএসের হাতে ৫,০৫৪ জন (২.১৯%), সশস্ত্র বিরোধীদের হাতে ৪,২১৩ জন (১.৮৪%), মার্কিন-নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর হাতে ৩,০৫২ জন (১.৩২%), কুর্দি-নেতৃত্বাধীন এসডিএফের হাতে ১,৪২৭ জন (০.৬২%), এইচটিএসের হাতে ৫২০ জন (০.২২%), টিআইপির হাতে ৪ জন।
২০২৪ জানুয়ারি ১৩ ইরাকে অবস্থানরত তুর্কি সেনাদের ওপর কুর্দি যোদ্ধাদের হামলায় ৯ জন নিহত হলে এর ধারাবাহিকতায় ইরাক ও সিরিয়ায় বিমান হামলা চালাল তুরস্ক।
ফেব্রুয়ারি ২৫ ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের চালানো এক বিমান হামলায় নিহত হলেন ৪ পিকেকে সদস্য।
মে ৩ বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানের সুলায়মানিয়া গভর্নরেটের কারাদাগ জেলায় বন্যায় ডুবে ৪ পর্বতারোহীর মৃত্যু।
৬ বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে বিমান হামলা চালাল তুর্কি বিমান বাহিনী, এতে ১৬ পিকেকে বিদ্রোহী নিহত হন।
৩১ সিরীয় কুর্দিস্তানের কামিশলিতে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) লক্ষ্যবস্তুগুলোতে তুরস্কের চালানো ড্রোন হামলায় ৪ জন যোদ্ধা ও ১১ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু।
জুন ৩ পিকেকের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে হাক্কারির ডেম পার্টির মেয়র মেহমেত সিদ্দিক আকিসকে তাঁর অফিস থেকে সরিয়ে দেয়া হল এবং গ্রেপ্তার করা হল।
৫ মেহমেত সিদ্দিক আকিসকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল।
জুলাই ৩০ তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাল, তারা উত্তর ইরাকে বিমান হামলা চালিয়ে ১৩ জন কুর্দি যোদ্ধাকে খতম করেছে।
আগস্ট ২৩ বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে তুর্কি সেনাবাহিনীর গাড়িতে এক বিমান হামলায় ২ সাংবাদিক নিহত।
সেপ্টেম্বর ৫ বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানে এক তুর্কি ড্রোন হামলায় ১ শিশুসহ ৩ ব্যক্তি নিহত। পরদিন অঞ্চলটিতে এক গাড়ি হামলায় একই পরিবারের ৩ জন খুন।
৯ তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানাল, উত্তর ইরাকে পিকেকের সাথে সংঘর্ষে ১ তুর্কি সৈনিক নিহত হয়েছেন।
১১-১৩ ইরাক সফর করলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। বাগদাদের ফেডারেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ইরবিলে বাসুর বা ইরাকি কুর্দিস্তানের নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন।
অক্টোবর ২৩ তুরস্কের আঙ্কারা প্রদেশের কাহরামানকাজানের টার্কিশ এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের সদরদপ্তরে এক বন্দুক ও বোমা হামলায় ৫ ব্যক্তি নিহত। এই হামলার জন্য পিকেকেকে দায়ী করা হয়। হামলাকালে ২ হামলাকারীও মারা যান।
৩০ পিকেকের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তুরস্কের ইস্তানবুল প্রদেশের এসেনইয়ুর্টের সিএইচপি মেয়র আহমেত ওজের গ্রেপ্তার।
নভেম্বর ৪ পিকেকের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বাতমান, মারদিন ও হালফেতির ডেম মেয়রদের বরখাস্ত করা হল।
২২ পিকেকের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তুনসেলি ও ওভাসিকের ডেম মেয়রদের বরখাস্ত করা হল।
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১১ পিকেকের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে তুরস্কের ইস্তানবুল প্রদেশের আতাসেহির ও কারতালের ১০ জন সিএইচপি জেলা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হল।
১৩-১৮ পিকেকের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে সারা তুরস্কের ৫১টি শহরে অভিযান চালিয়ে ২৮২ জনকে গ্রেপ্তার করা হল।
২৭ পিকেকে নেতা আবদুল্লাহ ওজালান কারাগার থেকে একটি বার্তা জারি করেন, যেখানে দলটিকে একটি কংগ্রেস ডেকে নিজেদের বিলুপ্ত করে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানানো হয়।
মার্চ ১ ওজালানের আহবানে সারা দিয়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল পিকেকে।
১০ নিজ সৈন্য ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সিরিয়ার রূপান্তরকালীন সরকারে একীভূত করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করল সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)।
১২ পার্টির বিলুপ্তি ও অস্ত্র সমর্পণের ঘোষণা দিল পিকেকে।
এপ্রিল ৪ অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে একটি চুক্তির অংশ হিসেবে আলেপ্পোর শেখ মাকসুদ এবং আশরাফিয়ে এলাকা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিল এসডিএফ।
১২ সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে একটি চুক্তির অংশ হিসেবে তিশরিন বাঁধ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিল এসডিএফ।
জুলাই ৬ ২০২২ সালে অপারেশন ক্ল-লকের সময় পিকেকের হাতে খুন হওয়া এক সতীর্থ সৈনিকের দেহাবশেষ খুঁজতে গিয়ে উত্তর ইরাকের একটি গুহায় মিথেন গ্যাসের বিষক্রিয়ায় ১২ তুর্কি সেনা নিহত।
৯ পিকেকে নেতা আবদুল্লাহ ওজালানের একটি বার্তা প্রকাশিত হল, যেখানে তিনি তুরস্ক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এলিনর ফিনলে, প্র্যাকটিসিং সোশাল ইকোলজি: ফ্রম বুকচিন টু রোজাভা অ্যান্ড বিয়োন্ড।
চিহাদ হাম্মি ও টমাস জেফরি মিলে (সম্পা.), রোজাভা ইন ফোকাস: ক্রিটিকাল ডায়লগস।
ম্যাট ব্রুমফিল্ড, হোপ উইদাউট হোপ: রোজাভা অ্যান্ড রেভল্যুশনারি কমিটমেন্ট।
তথ্যসূত্র
Abrahamian, Ervand. 2018. A History of Modern Iran. 2nd ed. Cambridge University Press.
Al Jazeera.
BBC.
Council on Foreign Relations – cfr. 2025. “The Kurds’ Long Struggle With Statelessness (1920-2005).” Accessed August 1, 2025.
https://www.cfr.org/timeline/kurds-long-struggle-statelessness
Free Yezidi Foundation. n.d. “Yezidi Genocide Timeline.” Accessed March 7, 2023.
https://freeyezidi.org/yezidi-genocide-timeline/
Gunter, Michael M. 2009. The A to Z the Kurds. Scarecrow Press.
— 2018. Historical Dictionary of the Kurds. 3rd ed. Rowman & Littlefield.
Hunt, Courtney. 2005. The History of Iraq. Greenwood Press.
Kurdish Memory Programme. n.d. “History of the Kurds.” Accessed August 3, 2025.
https://kurdistanmemoryprogramme.com/history-of-the-kurds/
Marcus, Aliza. 2007. Blood and Belief: The PKK and the Kurdish Fight for Independence. NYU Press.
Murray, Williamson, and Woods, Kevin M. 2014. The Iran-Iraq War: A Military and Strategic History. Cambridge University Press.
Schmidinger, Thomas. 2022. The World Has Forgotten Us: Sinjar and the Islamic State’s Genocide of the Yezidis. Translated by Michael Schiffmann. Pluto Press.
Shoup, John A.. 2018. The History of Syria. Greenwood.
Syrian Network For Human Rights.
https://snhr.org/
Wikipedia.
White, Paul. 2015. The PKK: Coming Down From the Mountains. Zed Books.
Zürcher, Erik J.. 2017. Turkey: A Modern History. 4th ed. I. B. Tauris.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি



