
সৌদি আরব
Featured Image: বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ.

পূর্বসাল
৩২০০-১৬০০ পূর্ব আরবে দিলমুন সভ্যতা।
২০০০-১৫০০ আরবে ভাষা এ সময় প্রথম লিখিত রূপ পাচ্ছে।
২০০০-১০০১ উত্তর আরবে ঘোড়ায় চালিত রথ ব্যবহৃত হচ্ছে। উর্বর চন্দ্রকলা* ছেড়ে একদল যাযাবরের আরবে আগমন। সিরিয়া-ফিলিস্তিন ছেড়ে সাবাঈদের পূর্বপুরুষরা দক্ষিণ আরবে আসছেন।
* এই অঞ্চলটি সভ্যতার দোলনা বলে বিবেচিত হয়। বর্তমান ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, জর্দান, ফিলিস্তিন, এবং মিসর, তুরস্ক ও ইরানের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত উর্বর চন্দ্রকলা অঞ্চল। ১৯১৬ সালে মিসরবিদ জে. এইচ. ব্রেস্টেড প্রথমবারের মত ‘উর্বর চন্দ্রকলা’ পদটি ব্যবহার করেন।
১৮১২-১৬৩৭ ইব্রাহিম নবি কাবা ঘর নির্মাণ করলেন, এই কাজে তাঁকে সহায়তা করলেন পুত্র ইসমাইল।*
* মুসলিম বিশ্বাস অনুযায়ী, আরবরা ইসমাইল নবির বংশধর।
১৫০০-১০০০ এ সময় কখনো উটকে পোষ মানানো হয়।
১০০০-১ পরিবহনের কাজে আরবের সর্বত্র উট ব্যবহৃত হচ্ছে।
৯০০ পূর্বসাল-৫৪২ সাল দক্ষিন আরবে সাবাঈ সভ্যতা।
৮৫৩ এ সময় থেকে প্রাপ্ত একটি কিউনিফর্মে অ্যাসিরীয় রাজা তৃতীয় শালমানেসারের কারকারের সমরয়ের কথা বলা হল, যেখানে আরিবি শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়, যার অর্থ ‘যাযাবর’। ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত আরবরা উল্লিখিত হল। অ্যাসিরীয় শিলালিপি থেকে আরো জানা যায়, গিন্দিবু নামের এক আরব অ্যাসিরীয়দের একটি শত্রু বাহিনীকে উট সরবরাহ করেছিল।
৮০০ সাবাঈরা উর্বর চন্দ্রকলার সাথে ব্যবসা করছেন।
৭৫০ উত্তর আরবে এ সময় কেদার নামে একটি গোষ্ঠীগত ফেডারেশন গড়ে উঠেছে।
৭৩০ আরবদের রানী শামসিকে পরাজিত করলেন অ্যাসিরীয়রা।
৭০০-৬০১ অ্যাসিরীয়রা তাদের পুতুল রানী তাবুয়াকে কেদারের ক্ষমতায় বসালেন।
৬৭০ এ সময় উত্তর আরবের ভেতর দিয়ে সিরিয়া জয় করতে যাচ্ছেন প্রাচীন অ্যাসিরীয় সম্রাটরা।
৫০০-৪০১ মিসরের বিরুদ্ধে নিজেদের সীমান্ত রক্ষার কাজে আরবদের নিয়োগ দিলেন ইরানিরা।
৪২০ পূর্বসাল – ১০৫ সাল উত্তর আরবে নাবাতীয় সভ্যতা।
৩২৩ ম্যাকিদোনিয়ার সিকান্দার শার আরব জয় করার পরিকল্পনা থাকলেও এ বছর তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটায় পরিকল্পনাটি ভেস্তে যায়।
৩১২ নাবাতীয় রাজ্য দখল করে নেয়ার একটি অসফল প্রয়াস চালান হেলেনীয় সেনাপতি আন্তিগোনাস।
১০০ গ্রিক ঐতিহাসিক দিওদোরাস সিকুলাস তাঁর বিবওলিওথিকা হিস্টোরিকায় একটি উপাসনালয়ের কথা বললেন। সিকুলাসের মতে, উপাসনালয়টি সকল আরবের চোখেই শ্রদ্ধেয়। অনেকে মনে করেন, তিনি কাবার কথা বলছিলেন।
৮৮ নাবাতীয়দের বিরুদ্ধে একটি অসফল যুদ্ধ পরিচালনা করলেন সেলুসীয় রাজা দ্বাদশ অ্যান্টিওকাস।
৬২ নাবাতীয় রাজ্য রুমিদের মক্কেল রাষ্ট্রে পরিণত হল।
৪০ রুমিদের বিরুদ্ধে পার্থীয়দের সাথে সাময়িক ঐক্য গড়লেন নাবাতীয়রা।
২৬ দক্ষিণ আরবের সাবাঈদের বিরুদ্ধে রুমিদের সামরিক আক্রমণে যোগ দিলেন উত্তর আরবের নাবাতীয়রা।
সাল
১-১০০ দক্ষিণ আরবে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠেছে হিমইয়ারিরা।
২৭-৪৪ জুদিয়ার হেরোদীয় রাজাদের সাথে নাবাতীয়দের বিক্ষিপ্ত যুদ্ধবিগ্রহ।*
* জুদিয়া প্রাচীন ইস্রাইলি গোষ্ঠীর দুটি রাজ্যের একটি।
৬৭-৭০ ফিলিস্তিনে ইহুদি বিদ্রোহ দমনে রুমিদের সহায়তা করলেন নাবাতীয়রা।
১০০-২৫০ এ সময় জুরহামের ইয়েমেনি গোষ্ঠীগুলো মক্কা শাসন করছে।
১০১-২০০ পশ্চিম আরবের সামুদরা রোমক সাম্রাজ্যকে খাজনা দিচ্ছে।
১০৫ রোমক আরব, নাবাতীয় রাজ্যকে রোমক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হল।
১৩২ ফিলিস্তিন থেকে আরব উপদ্বীপে অভিবাসিত হলেন ইহুদিরা।
২০১-৩০০ আরবের লাখমি গোত্র পারসিকদের মক্কেলে পরিণত হল।
২২৪-৬৫১ সাসানীয় ইরান।
২৪১ পারসিক আরব, হাত্রানদের রাজ্যকে পারসিক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হল।
২৪৪-৪৯ রোমক সাম্রাজ্যের ইতিহাসের একমাত্র আরব শাসকের রাজত্বকাল, যিনি ফিলিপ দ্য আরব নামে পরিচিত।
২৫০-৩৮০ খুজা নামের একটি গোষ্ঠী মক্কা শাসন করছে।
২৬৭ বর্তমান সৌদি আরবের মাদাইন সালেহতে এসময় থেকে প্রথমবারের মত একটি পুরোপুরি আরবিতে লেখা শিলালিপির সন্ধান পাওয়া গেছে।
৩০১-৪০০ পূর্ব আরবে পারসিক সাম্রাজ্যের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ল।
৩১২ খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করলেন রোমক সম্রাট কনস্টান্টাইন।
৩২৮ লাখমি রাজা ইমরুল কায়েসের এপিটাফে তাঁকে সকল আরবের রাজা বলে বর্ণনা করা হল।
৪০১-৫০০ আরবি কবিতার সমৃদ্ধিকাল।
৪৯০ আরবের বনু ঘাসসান গোত্র বাইজেন্টাইনদের মক্কেলে পরিণত হল।*
* রোমক সাম্রাজ্যের ভাঙনের পর পূর্ব রোমক সাম্রাজ্য বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ((Βασιλεία Ρωμαίων) নামে পরিচিত। এখানে বাইজেন্টাইন বলতে সাম্রাজ্যটির শাসকদেরকে বোঝাবে। কুরআন শরিফে রুম বলতে এই সাম্রাজ্যকেই বোঝানো হয়েছে, যার কেন্দ্র ছিল কনস্টান্টিনোপল, বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল।
৫০১-৬০০ আরবে এ সময় ইরানি আর বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের মক্কেলদের মধ্যে ভয়াবহ আন্তঃগোত্রীয় যুদ্ধ সংঘটিত হচ্ছে। ঘাসসানি আর লাখমিদের এলাকাগুলোয় খ্রিস্টধর্মের প্রসার। এ সময়ই কখনো হিমইয়ারিদের রাজা ইহুদিধর্ম গ্রহণ করেন।
৫১৮ হিমইয়ারিরা নাজরানের খ্রিস্টানদের ওপর একটা হত্যালীলা চালাল।
৫২৫ ইথিওপিয়ার খ্রিস্টান রাজ্য হিমইয়ারি-সাবাঈ রাজ্য জয় করে।
৫৪২ বর্তমান ইয়েমেনে অবস্থিত মারিব বাঁধ ধবসে পড়ল।
৫৭০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম।
৫৭৫ সাসানীয় ইরান বর্তমান ইয়েমেন দখল করে নিল।
৫৮২ বাইজেন্টাইনদের মক্কেলগিরি থেকে ঘাসসানিদেরকে বরখাস্ত করা হল।
৫৯৪ লাখমিরা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হল।
৬০২ পারসিকরা তাঁদের মক্কেল লাখমি সর্দারকে খুন করলেন।
৬০৫ কাবা পুনর্নিমাণ করার বছর, অংশ নিয়েছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
৬১০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুয়তলাভ ও কুরআন শরিফ নাজিলের সূচনা।* ঝুকারে লাখমিদের সেনাবাহিনী পারসিকদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করল।
* হযরত মুহাম্মদের (সা.) অনুসারীরা মুসলিম (المسلمون) নামে পরিচিত, আরবিতে আল-মুসলিমুন অর্থ ‘আত্মসমর্পণকারী’; যাঁরা আল্লাহ’র (ٱللَّٰه) কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরাই মুসলিম। বাংলায় ঐতিহ্যগতভাবে মুসলমান শব্দটিই বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে, সেই ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে মুসলমান শব্দটি ব্যবহার করি আমি। মুসলমানদের পবিত্র বই কুরআন ( ٱلۡقُرۡءَانُ ) নামে পরিচিত।
৬১৪ পারসিকরা আরবের উত্তর সীমান্ত দখল করে নিল এবং বাইজেন্টাইনদেরকে পরাজিত করল।
৬১৪-২৮ সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে পারসিক দখলদারিত্বের কাল।
৬২২ মক্কা থেকে ইয়াসরিবে হিজরত করলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। ইয়াসরিব পরবর্তীতে মদিনা নামে পরিচিতি পাবে। আরবিতে মদিনা অর্থ শহর।*
* মদিনা এসেছে মদিনাতুন নবি থেকে। এর অর্থ ‘নবির শহর’। মুসলিম পঞ্জিকার, যা হিজরি সন বলে পরিচিত, গণনা এবছর থেকে শুরু হয়।
৬২৪ বদরের যুদ্ধ, মক্কার ক্ষমতাশালীদের বিরুদ্ধে আরব মুসলমানদের জয়লাভ।
৬২৫ উহুদের যুদ্ধ, আরব মুসলমানদের বিরুদ্ধে মক্কার ক্ষমতাশালীদের জয়লাভ।
৬২৭ খন্দকের যুদ্ধ। মক্কার ক্ষমতাশালীরা ইয়াসরিব ঘেরাও করার চেষ্টা চালাল। আরব মুসলমানদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হল।
বনু কুরাইজা ঘটনা। ঐতিহ্যিক ঐতিহাসিকদের মতে, মদিনার ইহুদিরা আরব মুসলমানদের সাথে থাকা তাদের চুক্তি ভঙ্গ করেছিল, এবং গোপনে মক্কার ক্ষমতাশালীদের সাথে হাত মিলিয়েছিল। তাই বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তিস্বরূপ বনু কুরাইজার সব প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের শিরশ্ছেদ করা হয় এবং নারী ও শিশুদের দাস হিসাবে বেচে দেয়া হয়।
বিদ্যায়তনিক ঐতিহাসিকদের কেউ কেউ এই ঘটনার ঐতিহাসিকতা ও সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। (Arafat 1976)
৬২৮ হুদায়বিয়ার সন্ধি, মক্কার ক্ষমতাশালী ও মুসলমানদের মধ্যে। খায়বার বিজয়। এই যুদ্ধ বেদুঈনদের মধ্যে মুসলমানদের জনপ্রিয়তা বাড়ায়, বহু বেদুঈন এ সময় ইসলাম গ্রহণ করেন।
৬২৯ হযরত মুহাম্মদের (সা.) নেতৃত্বে মুসলমানদের মক্কা গমন ও ওমরা পালন। মুত’আর যুদ্ধ। বাইজেন্টাইনদের কাছ থেকে জর্দান নদীর পূর্বদিকের একটি গ্রাম দখল করার চেষ্টা করলেন মুসলমানরা, কিন্তু ব্যর্থ হলেন।
৬৩০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) নেতৃত্বে আরব মুসলমানদের মক্কা বিজয়। হুনাইনের যুদ্ধ, বেদুঈন হাওয়াজিন গোত্রের বিরুদ্ধে একটি নিষ্পত্তিমূলক বিজয় অর্জন করলেন আরব মুসলমানরা। তায়েফ শহর ও থাকিফ গোত্রের সাথে জোট গঠন করলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। জেরুসালেমে পবিত্র ক্রুশকাঠের অংশবিশেষ পুনর্বহাল করলেন রোমক সম্রাট হেরাক্লিয়াস।
৬৩২ বিদায় হজ। হযরত মুহাম্মদের (সা.) মৃত্যু। তাঁর কোন জীবিত পুত্রসন্তান না থাকায় ও উত্তরাধিকারী মনোনীত করে না যাওয়ায় যে নেতৃত্ব সংকট দেখা দেয়, কালক্রমে তাই শিয়া-সুন্নী বিভাজনে রূপ নেবে।*
* শিয়া-সুন্নী বিভাজনের ইতিহাস জানতে, দেখুন, (McHugo 2017) ও (Louër 2020).
৬৩২-১৯২৪ খেলাফত।*
* ইসলামের ইতিহাসে নবির জমানাকে নববী যুগ বলে, ৬৩২ সালে এই যুগের অবসান ঘটে। এরপর শুরু হয় ইসলামের ইতিহাসের খেলাফতের যুগ। খেলাফতকে মুসলমানদের রাজনৈতিক সাম্রাজ্য বলা যেতে পারে। ৬৩২ সাল থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত দুনিয়ার সব মুসলমান অন্তত তত্ত্বগতভাবে কোন না কোন খেলাফতে বাস করেছেন। মুসলমানদের শেষ খলিফা তুরস্কের দ্বিতীয় আবদুল মজিদ, যাঁকে নির্বাসিত করে ১৯২৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে খেলাফত বিলুপ্ত করেন আতাতুর্ক। তবে অনেকেই খেলাফতের বিলুপ্তি মেনে নিতে পারেননি, এবং আধুনিক জমানার ইসলামপন্থী রাজনীতির বিকাশে এই ঘটনা ভূমিকা রেখেছে। আধুনিক ইসলামপন্থীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বহুদলীয় গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে গ্রহণ করে নিলেও জঙ্গি বলে চিহ্নিতরা আধুনিকতার সাথে এই ধরণের আপোসে আগ্রহী নন; তাঁরা সশস্ত্র পদ্ধতিতে খেলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
৬৩২-৬১ রাশিদুন খেলাফত।*
* সুন্নিরা যেই চার খলিফাকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশিত বলে বিশ্বাস করেন, সেই রাশিদুন খেলাফতের কাল। শিয়াদের অধিকাংশ প্রথম তিন খলিফাকে অবৈধ ভাবেন, তাঁদের বিশ্বাসে সুন্নিদের চতুর্থ খলিফা আলীই একমাত্র বৈধ খলিফা। তবে জায়েদি শিয়ারা চার খলিফাকেই বৈধ ভাবেন।
৬৩২-৩৪ প্রথম রাশিদুন খলিফা আবু বকরের শাসনকাল।
৬৩২-৩৩ রিদ্দা যুদ্ধ। হযরত মুহাম্মদের মৃত্যুর পর অনেক গোত্রাধিপতি ইসলাম ত্যাগ করতে শুরু করেন, এদের কেউ কেউ এমনকি নিজেকে নবি দাবি করে বসেন। এই মুরতাদদের (ধর্মত্যাগী) বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন খলিফা আবু বকর, সমগ্র আরব উপদ্বীপকে ইসলামের ব্যানারের পেছনে ঐক্যবদ্ধ করেন।
৬৩২ ইয়ামামার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে নিহত হন মুসাইলামা। মুসলমানরা তাঁকে ভণ্ড নবি হিসাবে দেখেন এবং আল-কাজ্জাব (মিথ্যুক) উপাধিতে ভূষিত করেন।
৬৩৪ আজনাদাইনের যুদ্ধ। এটি ছিল রাশিদুন খেলাফতের জন্য একটি নিষ্পত্তিমূলক বিজয়। আরব মুসলমানদের দামিশক জয়।
৬৩৪-৪৪ দ্বিতীয় রাশিদুন খলিফা উমর ইবনে আল-খাত্তাবের শাসনকাল।
৬৩৫ ফাহলের যুদ্ধ, রাশিদুন খেলাফতের বাহিনী বাইজেন্টাইনদের ফিলিস্তিন গ্যারিসনকে পরাজিত করল।
৬৩৬ আগস্ট ইয়ারমুকের যুদ্ধ, রাশিদুন খেলাফতের হাতে বাইজেন্টাইনরা পরাস্ত হলেন।
৬৩৭ রাশিদুন খেলাফতের লেভান্ত* জয়, অঞ্চলটি থেকে বাইজেন্টাইনদেরকে বের করে দেয়া হল।
* সেকালের এশিয়া মাইনর আর ফিনিশিয়া নিয়ে গঠিত। বর্তমান তুরস্ক, সিরিয়া, আর লেবানন অঞ্চলটির অন্তর্গত। বৃহত্তর অর্থে গ্রিস আর মিসরের মধ্যবর্তী পুরো অঞ্চলটাকেই লেভান্ত বলা যেতে পারে।
৬৩৮ কাদিসিয়ার যুদ্ধ, রাশিদুন খেলাফতের জেরুসালেম জয়।
৬৪০-৪২ রাশিদুন খেলাফতের মিসর জয়।
৬৪০ রাশিদুন খেলাফতের সেলুসিয়া-তেসিফন জয়। আর্মেনিয়ার তৎকালীন রাজধানী দভিনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হল। সিরিয়ার প্রশাসক নিযুক্ত হলেন মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান।
৬৪১ রাশিদুন খেলাফতের সিজারিয়া জয়।
৬৪২ রাশিদুন খেলাফতের আলেকজান্দ্রিয়া জয়। নেহাওয়ান্দের যুদ্ধ, রাশিদুন খেলাফতের হাতে পরাজিত হল সাসানীয় বাহিনী।
৬৪৩ আর্মেনিয়া ও ককেশাসে একটি অসফল অভিযান পরিচালনা করল রাশিদুন খেলাফত।
৬৪৪-৫৬ তৃতীয় রাশিদুন খলিফা উসমান ইবনে আফফানের শাসনকাল।
৬৪৬ সাময়িকভাবে আলেকজান্দ্রিয়া পুনর্দখল করল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য।
৬৪৯-৫০ রাশিদুন খেলাফত সাইপ্রাস ও আরওয়াদ অভিযান।
৬৫০-৫৩ রাশিদুন খেলাফতের সাথে সন্ধি করল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য।
৬৫০ খলিফা উসমানের উদ্যোগে কুরআন শরিফের একটি মান সংস্করণ প্রস্তুত করা হল। এটি আল-মুশহাফ আল-উসমানি নামে পরিচিত। বাকি সব সংস্করণ ধ্বংস করে ফেলা হল।
নুবিয়ায় একটা ব্যর্থ অভিযান চালাল রাশিদুন খেলাফত।
৬৫১ রাশিদুন খেলাফতের মেসোপটেমিয়া জয়।*
* ‘দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান’। মেসোপটেমিয়া বর্তমান ইরাক ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর গ্রিকদের দেয়া নাম। দুই নদী হল দজলা ও ফোরাত।
রাশিদুন খেলাফতের হাতে সাসানীয় সাম্রাজ্যের পতন। রাশিদুন খেলাফতের ইরান জয়। শেষ সাসানীয় সম্রাট তৃতীয় ইয়াজদিগার্দের মৃত্যু।
৬৫২-৫৩ রাশিদুন খেলাফতের করদ রাজ্যে পরিণত হল আর্মেনিয়া।
৬৫৪ রাশিদুন খেলাফতের ক্রীট, কস, ও রোডস জয়।
৬৫৪-৫৫ মাস্তুলের যুদ্ধ, কন্সটান্টিনোপলের বিরুদ্ধে রাশিদুন খেলাফতের প্রথম বৃহদায়তন অভিযান।
৬৫৬ একদল বিদ্রোহীর হাতে খুন হলেন খলিফা উসমান।
৬৫৬-৬১ চতুর্থ খলিফা ও শিয়াদের প্রথম ইমাম আলি ইবনে আবু তালেবের শাসনকাল। প্রথম ফিতনা, আরবিতে ফিতনাত মাকতাল উসমান বলে পরিচিত। খলিফা উসমান হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেখা দেয়।
৬৫৯ বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সাথে শান্তিচুক্তি সই করল রাশিদুন খেলাফত।
৬৬১ মুসাইলামার স্ত্রী সাজাহ বিনতে আল-হারিস ইবনে সুয়াদের মৃত্যু, রিদ্দা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনিই একমাত্র মহিলা যিনি নিজেকে নবি বলে দাবি করেছিলেন।
৬৬১-৭৫০ উমাইয়া খেলাফত।*
* এই খেলাফতের কেন্দ্র ছিল বর্তমান সিরিয়ার দামিশক।
৬৬১ সুন্নী ইসলামের পঞ্চম ও উমাইয়া খেলাফতের প্রথম খলিফা হলেন মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান, ‘প্রথম মুয়াবিয়া’ হিসাবে পরিচিত।
৬৬৪ খলিফা প্রথম মুয়াবিয়ার প্রতি আনুগত্য ব্যক্ত করলেন আলবানিয়ার রাজকুমার জুয়ানশের।
৬৬৮-৭০ কন্সটান্টিনোপোলের বিরুদ্ধে উমাইয়া খেলাফতের অভিযান।
৬৭০ কায়রাওয়ান প্রতিষ্ঠা, মার্ভে ঘাঁটি গাড়লো উমাইয়া সেনাবাহিনী।
৬৭০-৭৯ উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে লেবাননের পাহাড়গুলোতে গড়ে উঠল মারদাইতেস গেরিলা আন্দোলন।
৬৭৩ লিসিয়ায় আরবদের নৌ অভিযাত্রা, উমাইয়া খলিফা প্রথম মুয়াবিয়া আর বাইজেন্টাইন সম্রাট চতুর্থ কন্সটান্টাইনের মধ্যে সন্ধি।
৬৭৪ আরবরা প্রথমবারের মত আমু দরিয়া পার হল।
৬৮০-৮৫/৬৮৩-৯২ দ্বিতীয় ফিতনা, খলিফা প্রথম মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর, মতান্তরে তাঁর পুত্র খলিফা প্রথম ইয়াজিদের মৃত্যুর পর, দেখা দেয়া রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা। আস্কেলন ও সিজারিয়ায় অভিযান চালাল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য।
৬৮০-৮৯ উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে উত্তর আফ্রিকার কুসায়লা বিদ্রোহ।
৬৮০ মার্চ বিষপ্রয়োগে নিহত হলেন শিয়া ইসলামের দ্বিতীয় ইমাম হাসান ইবনে আলি।
অক্টোবর কারবালার যুদ্ধে শহিদ হলেন শিয়া ইসলামের তৃতীয় ইমাম হোসেন ইবনে আলি।
৬৮১-৯২ উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন ইবনে জুবায়ের। বিদ্রোহের কেন্দ্র মক্কা। কঠোরহস্তে বিদ্রোহ দমন করলেন হাজ্জাজ বিন ইউসূফ।
৬৯২ বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সাথে উমাইয়া খেলাফতের শান্তিচুক্তির অবসান। সেবাস্তোপোলিসের যুদ্ধ।
৬৯৭ উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো বার্বার রানীর মৃত্যু। তাঁর আরব প্রতিপক্ষ তাঁর নাম দিয়েছিল আল-কাহিনা। অর্থ ‘দিব্যদর্শী’।
৬৯৮ উমাইয়া খেলাফতের কার্থেজ জয়।
৭০৩ ভার্ডানেকার্টে আরব গ্যারিসন একটি আরমানি সেনাবাহিনীর কাছে হারল।
৭০৬ উমাইয়া খেলাফতের পায়কান্দ জয়, আরমানি অভিজাতদের হত্যা করা হল।
৭০৮ উমাইয়া খেলাফতের তানজিয়ার্স জয়।
৭০৯ উমাইয়া খেলাফতের বোখারা জয়।
৭১০ উমাইয়া খেলাফতের সিন্ধ জয়।
৭১১-১৪ উমাইয়াদের আল-আন্দালুস অভিযান।*
* স্পেন ও পর্তুগালের মুসলমান রাজ্যগুলোকে আল-আন্দালুস বলে।
৭১২ উমাইয়া খেলাফতের সমরখন্দ জয়।
৭১২ উমাইয়া খেলাফতের সমরখন্দ জয়।
৭২৮-৩০ আমু দরিয়া আর সির দরিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চলে উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে বড় ধরণের বিদ্রোহ দেখা দিল।
৭৩২ পয়তিয়ের্সের/তুর্সের সমর, ফ্রান্সে শার্ল মার্টেলের হাতে উমাইয়া সেনাবাহিনীর পরাজয়; ব্যর্থ হয়ে গেল আরবদের ইওরোপ জয়ের প্রচেষ্টা।
৭৪০ আনাতোলিয়ায় উমাইয়া বাহিনী বাইজেন্টাইন বাহিনীর কাছে হারল।
৭৪০-৪২ উমাইয়া খেলাফতের বিরুদ্ধে উত্তর আফ্রিকায় বার্বার বিদ্রোহ।
৭৫০-১২৫৮ আব্বাসীয় খেলাফত।*
* এই খেলাফতের কেন্দ্র ছিল বর্তমান ইরাকের বাগদাদ।
৭৬৭-৮২০ সুন্নীদের চার মাজহাবের একটির প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইবনে ইদ্রিস শফির সময়, যাঁর বিদ্যাশিক্ষা মক্কায়।
৭৬৮ সীরাত রাসূল উল্লাহয়ের রচয়িতা ইবনে ইসহাকের মৃত্যু।*
* সীরাত ইসলামের ইতিহাসের আদিপর্বের প্রাথমিক উৎস বলে বিবেচিত। এ সময় সম্পর্কে পরবর্তীতে যাঁরাই ইতিহাস লিখেছেন, সবাইকেই সীরাতয়ের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। পরম্পরাগত ঐতিহাসিকদের প্রধান উৎস ইবনে ইসহাকের সীরাত।
৭৮৬ মক্কায় শিয়া বিদ্রোহ।
৮৪৮-৫৫ সুন্নীদের চার মাজহাবের একটির প্রতিষ্ঠাতা ইবনে হাম্বলের সক্রিয়তার কাল, তিনি মক্কাতেই মৃত্যুবরণ করেন।
৮৬৫ আল-আজরাকি, আখবার মাক্কাহ।*
* শহরটির প্রথম ইতিহাস বলে বিবেচিত হয়।
৯২৩ ইসলামের ইতিহাসের একজন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক আল-তাবারির মৃত্যু।
৯৩০ কারমাতীয়রা মক্কায় ঢুকে অসংখ্য হাজীকে হত্যা করে। ব্যাপক লুঠতরাজ চালায়। কাবা ঘরের পবিত্র পাথরটিও চুরি করে তারা।
৯৫০-৫১ কারমাতীয়রা চুরিকৃত পবিত্র পাথরটি মক্কাকে ফিরিয়ে দেয়।
৯৬০ মক্কার স্থানীয় শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেন শরিফরা।
১১৮১-৮৩ ফরাসি নাইট রেনঁ দ্য শাতিলীয় মক্কাকে হুমকি দিলেন। রেনঁর বাহিনী সমগ্র হিজাজ অঞ্চলে লুঠতরাজ চালাল। ফ্রাঙ্কদের অঞ্চলটি থেকে বিতাড়িত করা হল।
১২০২ ইবনে আরাবি, দ্য মেক্কান রেভল্যুশনস।
১২৬০-১৫১৭ মক্কা মিসর-সিরিয়ার মামলুক সুলতানশাহির অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
১২৬৯ হজ পালন করলেন মিসরের মামলুক সুলতান বাইবার্স।
১৩২৫-৫৪ পরিব্রাজক ইবনে বতুতা এই সময়কালের মধ্যে পাঁচবার মক্কা সফর করেন, অবশ্য এই সফর তাঁর বিশ্বভ্রমণের অংশ ছিল।
১৩২৫ হজ পালন করলেন মালির সম্রাট মানসা মূসা।
১৫১৭ হিজাজের ওপর ওসমানি সুলতানশাহির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হল।
১৫৩৩ মুহিউদ্দিন লারি, কিতাব ফুতুহ আল-হারামাইন।*
* লারি চিত্রকর ছিলেন, বইটি মক্কার প্রথম চিত্রকর্ম-সংকলন।
১৫৫০ হাসার ওপর ওসমানি সুলতানশাহির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হল।
১৫৫১ কাবা ঘরের ছাদ পুনর্নিমাণ করালেন সুলতান সোলেমান।
১৬২৯ বন্যার কারণে কাবা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা পুনর্নিমাণ করালেন সুলতান চতুর্থ মুরাদ।
১৬৭০ হাসায় ওসমানিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল বনু খালিদ।
১৬৭১ হজ পালন করলেন ওসমানি পরিব্রাজক এভলিয়া চেলেবি।
১৭০৩ ওহাবিবাদের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাবের জন্ম।*
* ওহাবিবাদ ইসলামের একটি শুদ্ধতাকামী ধারা, যারা মুসলমানদের ঐতিহ্যিক চর্চাগুলো বর্জন করে কথিত ‘শুদ্ধ ইসলামে’ ফিরে যাওয়ার পক্ষপাতী।
১৭২৭-১৮১৮ প্রথম সৌদি রাষ্ট্র।*
* দিরিয়া আমিরশাহি নামেও পরিচিত। মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাবের সাথে একটি ধর্মতাত্ত্বিক-রাজনৈতিক মৈত্রীবন্ধনের মধ্য দিয়ে এটি প্রতিষ্ঠা করেন মোহাম্মদ ইবনে সৌদ।
১৭৮৮ নজদের ওপর সৌদিদের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হল।
১৭৯০ ওহাবিদের সাথে মক্কার শরিফদের দ্বন্দ্ব দেখা দিল।
১৭৯১ মোহাম্মদ বিন আবদুল ওহাবের মৃত্যু।
১৮০২ সৌদিরা দক্ষিণ ইরাকের কারবালা শহর লুঠ করল।
১৮০৫-৬ মক্কা ঘেরাও করল ওহাবিরা, আত্মসমর্পণ করল মক্কা।
১৮১৫ মিসরের মোহাম্মদ আলির বাহিনী ওহাবিদের পরাজিত করল।
১৮১৮ মিসরীয়রা দিরিয়ার সৌদি রাষ্ট্র ধবংস করে দিল।
১৮২৪ সৌদিরা রিয়াদ দখল করে নিল এবং দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্র গঠন করল।
১৮২৪-৯১ দ্বিতীয় সৌদি রাষ্ট্র।*
* নজদ আমিরশাহি নামেও পরিচিত।
১৮৩৮ মোহাম্মদ আলি রিয়াদ দখল করলেন।
১৮৪৩ রিয়াদে সৌদি রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেন ফয়সাল বিন তুর্কি।
১৮৪৭-৯৭ সৌদ রাজপরিবারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিদি রাজপরিবার এই অর্ধ শতাব্দী মধ্য আরব শাসন করেছে।
১৮৫৪-৫৬ ওসমানিরা তাদের সালতানাতে দাসপ্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করল। এর প্রতিক্রিয়ায় মক্কায় দাঙ্গাহাঙ্গামা দেখা দিল।
১৮৬৪ হজ পালন করলেন ভোপালের নবাব সিকান্দার বেগম।
১৮৮০ আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের জন্ম।
১৮৯১ রাশিদি রাজপরিবার রিয়াদ দখল করে নিল। সৌদ রাজপরিবার রিয়াদ থেকে পালিয়ে গিয়ে কুয়েতে আশ্রয় নিল।
১৯০২ রিয়াদ জয় করে তৃতীয় সৌদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলেন আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ।
১৯০২-১৩ রিয়াদ আমিরশাহি।
১৯০৬ রাশিদি রাজপরিবারের প্রধান ইবনে রাশিদের মৃত্যুতে সৌদ রাজপরিবারের উত্থানের পথে আর কোনো শক্তিশালী বাধা থাকল না।
১৯০৮ দামিশক আর মদীনাকে যুক্ত করা হিজাজ রেলপথের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হল।
১৯০৮-২৪ মক্কার শরিফ হলেন হুসাইন ইবনে আলী। ১৯১৭ সালে নিজেকে হিজাজের রাজা ঘোষণা করেন।
১৯১২ ওহাবি মতবাদের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হল ইখওয়ান ব্রাদারহুড। এরা ইবনে সৌদকে বিশেষ মদত যোগায়।
১৯১৩-২১ নজদ ও হাসার আমিরশাহি।
১৯১৪-১৯১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯২১-২৫ নজদ ও হিজাজ জয় করলেন ইবনে সৌদ।
১৯২১-২৬ নজদের সুলতানশাহি।
১৯২৪ তুরস্কে আতাতুর্ক খেলাফত বিলুপ্ত করে দিলেন। মক্কার শরিফ হোসেন নিজেকে খলিফা দাবি করলেন।
১৯২৪-২৫ ইবনে সৌদের মক্কা ও মদিনা বিজয়।
১৯২৬ ইবনে সৌদ নিজেকে হিজাজের রাজা ঘোষণা করলেন।
১৯২৬-৩২ হিজাজ ও নজদ রাজ্য।
১৯২৭ ইবনে সৌদের রাজত্বকে স্বীকৃতি দিল গ্রেট ব্রিটেন।
১৯২৮-৩০ ইবনে সৌদ অঞ্চলটির আধুনিকীকরণের উদ্যোগ হাতে নিলেন। এতে তাঁর সাবেক সমর্থক ইখওয়ানিরা তাঁর বিরোধীতে পরিণত হল, বিদ্রোহ করে বসল। শক্ত হাতে ইখওয়ানি বিদ্রোহ দমন করলেন ইবনে সৌদ।
১৯৩০-৩৯ স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির মত কিছু মার্কিন তেল কোম্পানির ভূগোলবিদরা বর্তমান সৌদি আরবের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বিপুল তেল আবিষ্কার করলেন। মার্কিন-সৌদি সুসম্পর্কের সূচনা। সৌদিদের কাছ থেকে অবিরত তেল পায় মার্কিনীরা, বিনিময়ে সৌদিরা দুনিয়ার সবচে শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের সমর্থন পায়।
১৯৩২ সেপ্টেম্বর ২৩ সৌদি আরব রাজ্য প্রতিষ্ঠা করলেন ইবনে সৌদ।*
* রাজা আবদুল আজিজ নামেও পরিচিত।
১৯৩২-৫৩ আবদুল আজিজের রাজত্ব।
১৯৩২-৩৪ সৌদি-ইয়েমেন যুদ্ধ। ইঙ্গ-ফরাসি-ইতালীয় চাপের কারণে শেষ হল।
১৯৩৮ দাহরানের আদ দাম্মামে তেল আবিষ্কৃত হল। পরবর্তীতে যা আরামকো নামে পরিচিত হবে, সেই কোম্পানি তেল উৎপাদন শুরু করল। সৌদি-মার্কিন সুসম্পর্কের শুরু।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সৌদি আরব নিরপেক্ষতা ঘোষণা করে। যুদ্ধের শেষদিকে এসে ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করার উদ্দেশ্যে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সৌদি আরব। ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট ও ইবনে সৌদের মধ্যে সাক্ষাৎকার।
১৯৪৭-৪৮ প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, সৌদি অংশগ্রহণ সামান্যই ছিল।
১৯৫১ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি করল সৌদি আরব।
১৯৫৩ ইবনে সৌদ, বা রাজা আবদুল আজিজের, মৃত্যু। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন পুত্র সৌদ বিন আবদুল আজিজ। সৌদি আরামকোর শ্রমিকরা প্রথম প্রতিবাদ আয়োজন করলেন।
১৯৫৩-৬৪ সৌদ বিন আবদুল আজিজের রাজত্ব।
১৯৫৫ ওমান ও আবু ধাবির সীমান্ত অঞ্চল আল-বুরিয়ামি থেকে সৌদিদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হল।
১৯৫৬ দ্বিতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ। সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে আরামকো শ্রমিকদের বিক্ষোভ।
১৯৫৭ রিয়াদে রাজা সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হল।
১৯৬০ সৌদি আরব অন্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সাথে মিলে গঠন করল অর্গানাইজেশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)।
১৯৬২ সৌদি আরবে দাসপ্রথা আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত করা হল।
১৯৬৪ সৌদি আরবের নতুন রাজা হলেন পূর্বতন রাজা সৌদের ভাই ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ। হজ পালন করলেন ম্যালকম এক্স।
১৯৬৪-৭৫ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের রাজত্ব।
১৯৬৭ দেশটির প্রথম বাঁধাইকৃত সড়কের (জেদ্দা-রিয়াদ) নির্মাণকাজ সমাপ্ত। তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।*
* ‘জুন যুদ্ধ’ নামেও পরিচিত।
১৯৭০ প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা।
১৯৭২ আরামকোর ২০ শতাংশ শেয়ার লাভ করল সৌদি আরব, এতে মার্কিনীদের ওপর তাদের নির্ভরতা হ্রাস পেল।
১৯৭৩ চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।* এই যুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলকে সমর্থন দেয়। এতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে অর্গানাইজেশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) তেল অবরোধ দিলে তেলের দাম চার গুন বেড়ে যায়।
* ‘অক্টোবর যুদ্ধ’, ‘ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধ’, ‘রমজান যুদ্ধ’ ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
১৯৭৪ জেদ্দার রাজা আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌদি স্থপতি সামি আনগাওয়ি কর্তৃক দ্য হজ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হল।
১৯৭৫ রাজা ফয়সাল আততায়ীদের হাতে খুন হলেন। নতুন রাজা হলেন খালেদ বিন আবদুল আজিজ। মিনার হজ ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ২০০ হাজীর মৃত্যু।
১৯৭৫-৮২ খালেদ বিন আবদুল আজিজের রাজত্ব।
১৯৭৮ সৌদি আরবের শীর্ষ আলেমদের কাউন্সিল একটি ফতোয়া দেয়, যা দেশটির বর্জ্যপানির পুনঃব্যবহার প্রক্রিয়া চালু করাকে বৈধতা দেয়।
১৯৭৯ মিসরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল সৌদি আরব। নভেম্বর-ডিসেম্বর জনৈক জুহাইমান আল-ওতায়বির অনুসারীরা মক্কার পবিত্র মসজিদ দুই সপ্তাহ ধরে ঘেরাও করে রাখল। ফ্রান্সের সহায়তায় বিদ্রোহ দমন করে সৌদি আরব, বিদ্রোহীদের নেতা আল-ওতায়বি ও তার ৬৭ জন অনুসারীর শিরশ্ছেদ করে।
১৯৭৯-৮০ সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে শিয়া বিদ্রোহ।
১৯৮০ পানি দূষণ রুখতে একটি রাজকীয় ডিক্রি জারি। মার্কিনীদের কাছ থেকে আরামকোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিল সৌদি আরব।
১৯৮০-৮৯ এই দশক থেকে ওপেক-বহির্ভূত দেশগুলোতে নতুন তেল আবিষ্কার হওয়ার ফলে আন্তর্জাতিকভাবে তেলের দামের ওপর একক নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করে সৌদি আরব। আধুনিকায়ন ও রাজপরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাপনের খরচা মেটাতে হয় বলে বিশ্বে তেলের দর পড়ে গেলে তা সৌদি অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিপুল তেল সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও বহু আন্তর্জাতিক ব্যাংকের কাছে ঋণগ্রস্ত সৌদ পরিবার।
১৯৮১ মে পারস্য উপসাগরীয় ৬টি রাষ্ট্র (বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ও সৌদি আরব) নিয়ে গঠিত হল গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)।
১৯৮২ হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেলেন রাজা খালেদ, সৌদি আরবের নতুন রাজা ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ।
১৯৮২-২০০৫ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজের রাজত্ব।
১৯৮৪ আবদুলরহমান মুনিফ, সিটিজ অফ সল্ট।
১৯৮৬ রাজা ফাহাদ ‘কাস্টোডিয়ান অফ দ্য টু হোলি মস্কস’ (মক্কার মসজিদুল হারাম আর মদিনার মসজিদে নববী) উপাধি নিলেন।
১৯৮৭ মিসরের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করল সৌদি আরব। ইরানি হাজিদের সাথে সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনীর ভয়াবহ সংঘাত। ৪০২ জন হাজীর মৃত্যু।
১৯৯০ ইরাকের কুয়েত আগ্রাসনের নিন্দা জানাল সৌদি আরব। মার্কিন হস্তক্ষেপ কামনা করল। মিনার সাথে মক্কার মসজিদুল হারামকে সংযুক্ত করা টানেলে ১৪২৬ জন হাজীর মৃত্যু।
১৯৯১ পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধ।*
* ইরাকে বিমান হামলা আর কুয়েতে ভূমি অভিযান উভয় প্রক্রিয়ায় শামিল ছিল সৌদি আরব।
১৯৯২ মৌলিক শাসনব্যবস্থা গৃহীত। সৌদি আরবে রাজার দায়দায়িত্বকে সুনির্দিষ্ট করা হল। রাজা ফাহাদ একটি মজলিসে শূরা প্রতিষ্ঠা করলেন।
১৯৯৩ সৌদি আরবকে ১৩টি প্রশাসনিক অঞ্চলে ভাগ করার জন্য ডিক্রি জারি করলেন রাজা ফাহাদ। রিয়াদে প্রতিষ্ঠিত হল দ্য কমিটি ফর দ্য ডিফেন্স অফ লেইজিটিমেট রাইটস ইন সৌদি অ্যারাবিয়া (সিডিএলআর)।
১৯৯৪ সৌদি আরবে সরকারি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘বুরাইদা অভ্যুত্থান’। ওসামা বিন লাদেনের সৌদি নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হল।
১৯৯৬ সৌদি আরবে এক সামরিক ঘাঁটিতে বোমা হামলায় ১৯ জন মার্কিনীর মৃত্যু।
১৯৯৭ সৌদি আরব মাইনিং কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করা হল। মিনায় এক অগ্নিকাণ্ডে ৩৪৩ জন হাজীর মৃত্যু।
২০০০ সৌদি আরবের রাজা ১৮ জন রাজপুত্রকে নিয়ে একটি পারিবারিক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করলেন, যার কাজ হবে ভবিষ্যৎ রাজা নির্বাচিত করা, ও রাজপরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা। ইউনেস্কো এবছর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদকে ‘আরব বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী’ বলে স্বীকৃতি দেয়।
২০০১ ৯/১১র সন্ত্রাসবাদী হামলা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার অজুহাতে আফগানিস্তান আক্রমণ করলেও ১৯ জন হামলাকারীর মধ্যে ১৫ জন সৌদি নাগরিক ছিলেন। সৌদি নারীরা প্রথমবারের মত পরিচয়পত্র পেলেন।
২০০২ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রের সাথে সাক্ষাৎ করলেন যুবরাজ আবদুল্লাহ।
মাদাওয়ি আল-রাশিদ, আ হিস্ট্রি অফ সৌদি অ্যারাবিয়া।
হামিদ আলগার, ওহাবিজম: আ ক্রিটিকাল এসে।
২০০৩ রিয়াদে এক গুচ্ছ বোমা হামলায় ৯০ জন নিহত ও ১৬০ জন আহত। গণতন্ত্রের দাবিতে মিছিল করেন ৩০০ সৌদি বুদ্ধিজীবী। রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে রিয়াদে নজিরবিহীন সমাবেশ ঘটে, সৌদি পুলিশ সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেয়।
২০০৪ হজ পালনের সময় জামারায় পাথর নিক্ষেপের সময় পদদলিত হয়ে ২৫১ জন হাজির মৃত্যু। জেদ্দায় মার্কিন দূতাবাসে আল কায়েদার হামলা। ইয়ানবু পেট্রোরাসায়নিক কেন্দ্র আর খোবার তেল কোম্পানিও আক্রমণের শিকার হয়।
আস’আদ আবুখলিল, দ্য ব্যাটেল ফর সৌদি অ্যারাবিয়া: রয়ালিটি, ফান্ডামেন্টালিজম, অ্যান্ড গ্লোবাল পাওয়ার।
২০০৫ রাজা ফাহাদের মৃত্যুতে সৌদি আরবের নতুন রাজা হলেন আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। ১৯৬০য়ের দশকের পর এ বছরই প্রথম দেশটিতে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যাকে অনেক পর্যবেক্ষকই গণতন্ত্রের আলামত হিসেবে দেখেছিলেন। তবে নারীদের ভোট দিতে দেয়া হয়নি।
দীর্ঘ বারো বছরের সংলাপের পর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্যপদ লাভ করল সৌদি আরব।
জন আর. ব্র্যাডলি, সৌদি অ্যারাবিয়া এক্সপোজড: ইনসাইড আ কিংডম ইন ক্রাইসিস।
২০০৫-১৫ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের রাজত্ব।
২০০৬ হজ পালনের সময় জামারায় পাথর নিক্ষেপের সময় পদদলিত হয়ে ৩৪৫ জন হাজির মৃত্যু। গঠিত হল ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইটস। সৌদি আরবের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খুন হলেন ছয় আল কায়েদা সদস্য।
চার্লস অ্যালেন, গড’স টেরোরিস্টস: দ্য ওহাবি কাল্ট অ্যান্ড দ্য হিডেন রুটস অফ মডার্ন জিহাদ।
ডেভিড কমিংস, দ্য ওহাবি মিশন অ্যান্ড সৌদি আরব।
রাচেল ব্রনসন, থিকার দ্যান অয়েল: আমেরিকা’জ আনইজি পার্টনারশিপ উইথ সৌদি অ্যারাবিয়া।
২০০৭ সৌদি আরবের রাজা আবদুল্লাহ ভ্যাটিকান সফর করলেন।
২০০৮ সৌদি আরব আর কাতারের সীমানা চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হল। মক্কার ইতিহাসের প্রথম আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হল।
২০০৯ সৌদি আরবের মন্ত্রীসভায় প্রথমবারের মত একজন নারী যোগদান করলেন। নোরা বিনতে আবদুল্লাহ আল ফায়েদ। ২০১৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সৌদি আরব সফর।
মনিরা আল-ঘাদির, ডেজার্ট ভয়েসেস: বেদুঈন উইমেন’স পোয়েট্রি ইন সৌদি অ্যারাবিয়া।
২০১০ সৌদি আরবে ৬০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের অস্ত্র বিক্রি করার পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের বৃহত্তম একক অস্ত্র চুক্তি।
আল মাকিন, রিপ্রেজেন্টিং দ্য এনিমি: মুসাইলামা ইন মুসলিম লিটারেচার।
টবি ক্রেইগ জোনস, ডেজার্ট কিংডম: হাউ অয়েল অ্যান্ড ওয়াটার ফোর্জড মডার্ন সৌদি অ্যারাবিয়া।
২০১১ আরব বসন্ত। সৌদি আরবে এর প্রভাব ঠেকাতে কল্যানমূলক ব্যয় বাড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজা আবদুল্লাহ। সৌদি সহায়তায় শিয়া বিদ্রোহ দমন করল বাহরাইন।
অ্যান্ড্রু স্কট কুপার, দ্য অয়েল কিংস: হাউ দ্য ইউ.এস., ইরান, অ্যান্ড সৌদি অ্যারাবিয়া চেঞ্জড দ্য ব্যালেন্স অফ পাওয়ার ইন দ্য মিডল ইস্ট।
২০১২ সৌদি আরব প্রথমবারের মত দেশটির নারী অ্যাথলেটদেরকে অলিম্পিক গেমসে অংশ নেয়ার অনুমতি দিল।
নিল গ্রিন, সূফীজম: আ গ্লোবাল হিস্ট্রি।
২০১৩ টবি ম্যাথিয়েসেন, সেক্টারিয়ান গালফ: বাহরাইন, সৌদি অ্যারাবিয়া, অ্যান্ড দ্য আরব স্প্রিং দ্যাট ওয়াজন’ন্ট।
মাদাওয়ি আল-রাশিদ, আ মোস্ট মাসকুলিন স্টেট: জেন্ডার, পলিটিকস, অ্যান্ড রিলিজিয়ন ইন সৌদি অ্যারাবিয়া।
ক্রিস্টোফার এম. ডেভিডসন, আফটার দ্য শেখস: দ্য কামিং কলাপস অফ দ্য গালফ মোনার্কিজ।
২০১৪ সেপ্টেম্বর সিরিয়ায় ইসলামি রাষ্ট্র সংগঠনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিমান হামলায় আরো চারটি আরব রাষ্ট্রের সাথে অংশ নিল সৌদি আরব।
২০১৫ জানুয়ারি রাজা আবদুল্লাহের মৃত্যুতে সৌদি আরবের নতুন রাজা হলেন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। সালমান তাঁর ৫৬ বছর বয়সী ভাগ্নে মোহাম্মদ বিন নায়েফকে যুবরাজ ঘোষণা করলেন। একইসাথে তাঁর ২৮ বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে (এমবিএস) প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে নিয়োগ দিলেন।
মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে এমবিএস ইয়েমেন থেকে হুদি বিদ্রোহীদের হঠিয়ে দিয়ে সামরিক অভিযান শুরু করলেন। প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বুহ মনসুর হাদি ইয়েমেন থেকে পালিয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নিলেন, এবং ইরান-সমর্থিত হুদি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন। ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরব-নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিল মিসর, মরক্কো, জর্দান, সুদান, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার ও বাহরাইন।
সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে শিয়া মসজিদে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫ জন মানুষের মৃত্যু।
লিসা উরকেভিচ, মিউজিক অ্যান্ড ট্র্যাডিশনস অফ দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা: সৌদি অ্যারাবিয়া, কুয়েত, বাহরাইন, অ্যান্ড কাতার।
২০১৫- সালমান বিন আবদুল আজিজের রাজত্ব।
২০১৬ সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের শিয়া ধর্মযাজক আয়াতুল্লাহ শেখ নিমর বকির আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল। তেহরানে উত্তেজিত জনতা সৌদি দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দিল। ইরাক আর লেবাননেও ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা দিল। ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল সৌদি আরব।
এপ্রিল ভিশন ২০৩০, তেলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার একটি মহাপরিকল্পনা প্রকাশ করলেন এমবিএস। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে ব্যক্তিমালিকানায় দেয়ার ঘোষণা এবং ২ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যমানের দুনিয়ার বৃহত্তম একটা সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠনের ডাক দিলেন। একইসাথে সংস্কৃতি ও বিনোদন খাতে বিনিয়োগের রূপরেখা পেশ করলেন এমবিএস, যা তাঁর একটি “সংস্কারক” ভাবমূর্তি তৈরি করল।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হল, সৌদি-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী ইয়েমেনে কয়েকশ শিশুকে খুন ও জখম করেছে।
মিদিয়া বেনজামিন, কিংডম অফ দি আনজাস্ট: বিহাইন্ড দি ইউএস-সৌদি কানেকশন।
২০১৭ এপ্রিল রাজকীয় প্রথা ভেঙে যুবরাজ ইস্যুতে পূর্বঘোষণা থেকে সরে এসে মোহাম্মদ বিন সালমানকে (এমবিএস) যুবরাজ ঘোষণা করলেন রাজা সালমান। পত্রপত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হল, মোহাম্মদ বিন নায়েফকে গৃহবন্দী করা হয়েছে, যদিও সৌদি কর্মকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার গেলেন। যুবরাজ হিসাবে এমবিএসের নাম প্রস্তাবিত হতে না হতেই কাতারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল সৌদি আরব। আকাশপথ, জলপথ, ও স্থলপথে অবরোধ আরোপ করল। কারণ দর্শানো হল, ইরানের সাথে কাতারের যোগাযোগ এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে মদত দেয়া। সৌদি-নেতৃত্বাধীন জোট কাতারের কাছে আল জাজিরা বন্ধ করে দেয়া ও ইরানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাল।
সেপ্টেম্বর এমবিএস তার সমালোচকদের ক্র্যাকডাউন করতে শুরু করলেন। ২০ জনেরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ শায়খ ও বুদ্ধিজীবীকে আটক করা হল। তাঁদের বিরুদ্ধে “রাজ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে বিদেশি শক্তির সাথে যোগসাজশে” লিপ্ত হওয়া এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের মত দলের সাথে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ আনা হল।
নভেম্বর রিয়াদের রিজ-কার্লটন হোটেলে ২০০ জনেরও বেশি সৌদি ব্যবসায়ী, যুবরাজ, ও সাবেক কর্মকর্তাদের বন্দী করা হল। আটককৃতদের পরিচিতরা জানালেন, এসময় বন্দীদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে, যার ফলে অন্তত একজন মারা গেছেন। ১৮ মাস ধরে চলে এমবিএসের এই পার্জ।
সৌদি আরবে অবস্থান করা লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি বিদেশের মাটিতে বসেই পদত্যাগ করলেন। এক সৌদি-মালিকানাধীন টিভি চ্যানেলে ঘটনাটি প্রচারিত হল। পদত্যাগপত্রে হারিরি আরব বিশ্বের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর দায়ে ইরানকে দোষারোপ করেন। এই ঘটনায় তাঁর নিজ দেশ লেবাননই শুধু নয়, পুরো আন্তর্জাতিক মহলই ধাক্কা খায়। লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন দাবি করেন, তাঁর দেশের প্রধানমন্ত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। ঘটনার কিছুদিন পর দেশে ফিরে আসেন হারিরি। তার মাসখানেক পর পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
নারীদের গাড়িচালনার ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেয়া হল।
আলেকজান্দার ডি. নিশ, সূফিজম: আ নিউ হিস্ট্রি অফ ইসলামিক মিস্টিসিজম।
২০১৮ মার্চ যুবরাজ এমবিএস তাঁর আন্তর্জাতিক সফর শুরু করলেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং জেফ বেজোস, রুপার্ট মারডক, মাইকেল ব্লুমবার্গ, বিল গেটস প্রমুখ বিলিয়নিয়ারদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই আন্তর্জাতিক সফরে এমবিএস তাঁর বিদেশি বন্ধুদের কাছে একটা “বদলে যেতে থাকা রাজ্যের” ভাবমূর্তি তুলে ধরেন।
এপ্রিল প্রায় চার দশক ধরে বন্ধ থাকার পর এমবিএসের উদ্যোগে সৌদি আরবে প্রকাশ্যে সিনেমা প্রদর্শনী শুরু হল।
মে সৌদি নারী অধিকারকর্মী লুইজাইন আল-হাথলুলকে গ্রেপ্তার করা হল। তিনি বছরের পর বছর ধরে নারীদের গাড়িচালনার ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পরের মাসেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে খুন হলেন সৌদি সাংবাদিক এবং দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের কলামলেখক জামাল খাশোগি। পরবর্তীকালে সিআইয়ের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এই হামলার নির্দেশদাতা ছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)। সৌদি কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
জন ম্যাকহুগো, আ কনসাইজ হিস্ট্রি অফ সুন্নীজ অ্যান্ড শিয়াজ।
নামিরা নাহুজা, ওহাবিজম অ্যান্ড দ্য রাইজ অফ দ্য নিউ সালাফিস্ট: থিওলজি, পাওয়ার অ্যান্ড সুন্নী ইসলাম।
২০১৯ সৌদি আরবের দুটি তেল শোধনাগারে হামলা হল। ইয়েমেনের হুদি বিদ্রোহীরা এই হামলার দায় নেয়। কিন্তু সৌদি আরব ও তার পশ্চিমা মিত্ররা (ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ও যুক্তরাষ্ট্র) হামলার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করে।
২০২০ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার ডাক দিয়ে গঠিত হল ন্যাশনাল এসেম্বলি পার্টি (নাস)।
২০২১ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করলেন, সৌদি আরব আর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কাছে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তার দেশ এতদিন যে-অস্ত্র বিক্রি করছিল, তা বন্ধ করা হবে।
ক্রিস্টোফার এম. ডেভিডসন, ফ্রম শেখস টু সুলতানিজম: স্টেটক্রাফট অ্যান্ড অথরিটি ইন সৌদি অ্যারাবিয়া অ্যান্ড ইউএই।
২০২৩ মার্চ চীনের মধ্যস্ততায় সৌদি-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতি।
এক বাস দুর্ঘটনায় ২২ জন ওমরা পালনকারীর মৃত্যু, এঁদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি।
সেপ্টেম্বর ১৩ যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানে স্বেচ্ছায় সহযোগিতা না করার দায়ে সৌদি আরবের সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের নামে সমন জারি করল মার্কিন সিনেটের তদন্ত বিষয়ক স্থায়ী উপকমিটি। তবে গণতন্ত্রী সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেনথালের সভাপতিত্বে হওয়া শুনানিতে আরো কিছু প্রসঙ্গ উঠে আসে: রেকর্ড মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘণ, ৯/১১র হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ ইত্যাদি। এই শুনানির একটা চোখে পড়ার মত বৈশিষ্ট্য হল, সৌদি আরব প্রশ্নে গণতন্ত্রী আর প্রজাতন্ত্রী সিনেটরদের মধ্যে সচরাচর বিরল বাইপার্টিজান ঐক্য।
অক্টোবর ৭ ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও গাযা গণহত্যা শুরু।
অক্টোবর ৮ ইসরায়েলের সাথে সীমান্তে নিম্ন মাত্রার সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল ইরান-সমর্থিত লেবানীয় শিয়াদের সংগঠন হিযবুল্লা।
অক্টোবর ১৮ দক্ষিণ লেবাননের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির কারণে লেবাননে অবস্থানরত সৌদি নাগরিকদের দেশটি অনতিবিলম্বে ছেড়ে যেতে বলল সৌদি আরব।
কোল এম. বুনজেল, ওহাবিজম: দ্য হিস্ট্রি অফ আ মিলিট্যান্ট ইসলামিক মুভমেন্ট।
২০২৪ জানুয়ারি ১ আনুষ্ঠানিকভাবে BRICS গ্রুপে যোগ দিল সৌদি আরব।
জানুয়ারি ২৪ রিয়াদের কূটনৈতিক পাড়ায় প্রথমবারের মত মদের দোকান খুলল সৌদি আরব।
জুন ১৪-১৯ সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুসারে, এ বছর হজের মৌসুমে তাপপ্রবাহে ১৩০১ জন হাজি মৃত্যুবরণ করেন।
আগস্ট ৯ তিন বছর ধরে সৌদি আরবে অস্ত্র বিক্রয়ের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা আংশিকভাবে তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন।
ডিসেম্বর ২৩ আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর প্রথমবারের মত কাবুলে পুনরায় দূতাবাস খুলল সৌদি আরব।
২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮ রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য রিয়াদে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করল রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
তথ্যসূত্র
Al-Rasheed, Madawi. 2010. A History of Saudi Arabia. 2nd ed. Cambridge University Press.
Al Arabiya English. 2024. “Saudi health minister says 1,301 people died during Hajj, 83 pct were without permits.” Al Arabiya, June 23.
https://english.alarabiya.net/News/saudi-arabia/2024/06/23/saudi-health-minister-says-1-301-died-during-hajj
AP. 2024. “Afghanistan welcomes Saudi Arabia’s decision to reopen embassy in Kabul.” AP, December 23.
https://apnews.com/article/afghanistan-taliban-saudi-embassy-reopening-538b176dd0e7e6f91753b2c0e34a6078
Arafat, W. N. 1976. “New Light on the Story of Banū Qurayẓa and the Jews of Medina.” Journal of the Royal Asiatic Society of Great Britain and Ireland, no. 2: 100–107.
http://www.jstor.org/stable/25203706.
BBC. 2023. “Saudi Arabia country profile.” BBC, August 29.
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-14702705
— “Saudi Arabia Profile – Timeline.” BBC, October 4.
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-14703523
bdnews24.com. 2023. “Eight Bangladeshis among 22 pilgrims dead in Saudi bus crash.” bdnews24.com, March 28.
https://bdnews24.com/bangladesh/zj5lcbkjwo
Bowen, Wayne H. 2008. The History of Saudi Arabia. Greenwood Press.
Crabben, Jan van der. 2011. “Levant.” World History Encyclopedia. Last modified April 28, 2011. https://www.worldhistory.org/levant/.
Fantappie, Maria and Nasr, Vali. 2023. “A New Order in the Middle East?.” Foreign Affairs, March 22.
https://www.foreignaffairs.com/china/iran-saudi-arabia-middle-east-relations.
Harper, Robert A. 2007. Saudi Arabia. 2nd ed. Chelsea House.
Hoyland, Robert G.. 2014. In God’s Path: the Arab Conquests and the Creation of an Islamic Empire. Oxford University Press.
Khan, Syed Muhammad. 2019a. “Prophet Muhammad.” World History Encyclopedia. Last modified December 02, 2019.
https://www.worldhistory.org/Prophet_Muhammad/.
— 2019b. “Islam.” World History Encyclopedia. Last modified November 25, 2019.
https://www.worldhistory.org/islam/.
— 2020. “Rashidun Caliphate.” World History Encyclopedia. Last modified January 10, 2020.
https://www.worldhistory.org/Rashidun_Caliphate/.
— 2020b. “Ridda Wars.” World History Encyclopedia. Last modified June 05, 2020.
https://www.worldhistory.org/Ridda_Wars/.
Louër, Laurence. 2020. Sunnis and Shiʻa: A Political History of Discord. Translated by Ethan Rundell. Princeton University Press.
Mackintosh-Smith, Tim. 2019. Arabs: A 3000-year History of People, Tribes, and Empires. Yale University Press.
Mark, Joshua J.. 2018. “Fertile Crescent.” World History Encyclopedia. Last modified March 28, 2018.
https://www.worldhistory.org/Fertile_Crescent/.
McHugo, John. 2018. A Concise History of Sunnis & Shi‘is. Georgetown University Press.
Pamuk, Humeyra, Zengerle, Patricia, and Holland, Steve. 2024. “US to lift ban on offensive weapons sales to Saudi Arabia.” Reuters, August 10.
https://www.reuters.com/world/us-lift-ban-offensive-weapons-sales-saudi-arabia-sources-say-2024-08-09/
Sardar, Ziauddin. 2017. Mecca: The Sacred City. Paperback ed. Bloomsbury.
Sauer, Pjotr, Harding, Luke, and Smith, David. “US and Russia agree to explore mutual opportunities of end to Ukraine war.” The Guardian, February 18.
https://www.theguardian.com/world/2025/feb/18/us-russia-ukraine-talks-riyadh-saudi-arabia
The Embassy of the Kingdom of Saudi Arabia Washington D.C. “History.” Accessed March 16, 2025.
https://www.saudiembassy.net/history
The National Assembly Party (NAAS). 2022. “Declaration of the National Assembly Party – NAAS.” Accessed August 22, 2022.
https://the-naas.com/en/statement
Wynbrandt, James. 2010. A Brief History of Saudi Arabia. 2nd ed. Facts on File.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি