Featured Image: Wikimedia Commons.
সাল
১৮২০ পারস্য উপসাগরের উপকূলের ছয়টি আরব আমিরশাহির শাসকরা জলদস্যুতা ঠেকাতে ব্রিটিশদের সাথে চুক্তি করলেন।*
* ১৯৭১ পর্যন্ত ট্রুসিয়াল স্টেটস নামে পরিচিত ছিল।
১৮৯২ আরব আমিরশাহিগুলোর শাসকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন যে, তাঁরা অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করবেন; আর ব্রিটেন বহির্দেশীয় সম্পর্কের দিকটা দেখবে।
১৯১০-২৮ আজমানের শেখ হিসেবে হুমাইদ বিন আবদুল আজিজ আল-নুয়াইমির শাসনকাল।
১৯১২-৫৮ দুবাইয়ের শেখ হিসেবে সা’ইদ বিন মাকতুম ইবনে হাশির আল-মাকতুমের শাসনকাল।
১৯১৪-২৪ শারজার শেখ হিসেবে খালিদ বিন আহমাদের শাসনকাল।
১৯২২-২৬ আবু ধাবির শেখ হিসেবে সুলতান বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের শাসনকাল।
১৯২৪-৫১ শারজার শেখ হিসেবে সুলতান বিন সাকর আল-কাসিমির শাসনকাল।
১৯২৬-২৮ আবু ধাবির শেখ হিসেবে সাকর বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের শাসনকাল।
১৯২৮-৬৬ আবু ধাবির শেখ হিসেবে শাখবুত বিন সুলতান আল-নাহিয়ানের শাসনকাল।
১৯২৮-৮১ আজমানের শেখ হিসেবে রশিদ বিন হুমাইদ আল-নুয়াইমির শাসনকাল।
১৯৪৮ রাস আল-খাইমা’র আমির হলেন শেখ সাকর বিন মুহাম্মদ আল-কাশিমি।
১৯৫০য়ের দশক সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তেল সম্পদ আবিষ্কৃত হল।
১৯৫১-৬৫ শারজার শেখ হিসেবে সাকর বিন সুলতান আল-কাসিমির শাসনকাল।
১৯৫২ সাতটি আরব আমিরশাহি একটি বিচারিক সভা গঠন করল।
১৯৫৮-৯০ দুবাইয়ের শেখ হিসেবে রশিদ বিন সা’ইদ বিন আল-মাকতুমের শাসনকাল।
১৯৬২ আবু ধাবি থেকে প্রথমবারের মত তেল রফতানি করা হল।
১৯৬৫-৭২ শারজার শেখ হিসেবে শেখ খালিদ বিন মোহাম্মেদ আল-কাসিমির শাসনকাল।
১৯৬৬-৭১ আবু ধাবির শেখ হিসেবে জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ানের শাসনকাল।
১৯৬৮ ট্রুসিয়াল স্টেটসে যোগ দিল বাহরাইন ও কাতার।
১৯৭১ নভেম্বর: গ্রেটার তুনব, লেসার তুনব, এবং আবু মুসা নামের দ্বীপগুলো দখল করে নিল ইরান। ডিসেম্বর: ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল আমিরশাহিগুলো, এর মধ্য দিয়ে ট্রুসিয়াল স্টেটস ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটল। আবু ধাবি, আজমান, দুবাই, ফুজায়রা, শারজা, এবং উম্মে আল-কাওয়াইন মিলে গঠন করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।*
* এই নবগঠিত ফেডারেশনের সভাপতি হলেন শেখ জায়েদ।
১৯৭২ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যোগ দিল রাস আল-খাইমা।
১৯৭২-বর্তমান শারজার শেখ হিসেবে ডক্টর সুলতান বিন মোহাম্মদ বিন সাকর আল-কাসিমির শাসনকাল।
১৯৮১ ফেব্রুয়ারি: উম্মে আল-কাওয়াইনের আমির হলেন শেখ রশিদ বিন আহমাদ আর মুয়াল্লা। মে: পারস্য উপসাগরীয় ৬টি রাষ্ট্র (বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ও সৌদি আরব) নিয়ে গঠিত হল গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)।
১৯৮১-বর্তমান আজমানের শেখ হিসেবে হুমাইদ বিন রশিদ আল-নুয়াইমির শাসনকাল।
১৯৮৬ অক্টোবর: চতুর্থ মেয়াদে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট হলেন শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান।
১৯৮৭ জুন: শারজায় ক্যুদেতা প্রচেষ্টা।
১৯৮৯
প্রকাশিত বই
রোজমেরি সাঈদ জাহলান, দ্য মেকিং অফ দ্য মডার্ন গালফ স্টেটস: কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, দ্য ইউনাইটেড আরব এমিরাতস অ্যান্ড ওমান।
১৯৯০-২০০৬ দুবাইয়ের শেখ হিসেবে মাকতুম বিন রশিদ আল-মাকতুমের শাসনকাল।
সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন ইরাক কুয়েতে হামলা চালাল। প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ। পরের বছর এই যুদ্ধে অংশ নেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (ইউএই)।
১৯৯১ জুলাই: ব্যাংক অফ ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনালের (বিসিসিআই) পতন।
১৯৯৮ ইরাকের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।*
* ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল।
১৯৯৯ গ্রেটার তুনব, লেসার তুনব, এবং আবু মুসা নামের দ্বীপগুলো নিয়ে ইরানের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরোধে আরব রাষ্ট্রটিকে সমর্থন দিল জিসিসি।
২০০১ জুন: ৬০০০ রাজবন্দীর প্রতি ক্ষমা ঘোষণা করলেন শেখ জায়েদ।
২০০৪-২০২২ আবু ধাবির শেখ হিসেবে খলিফা বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের শাসনকাল।
২০০৬ ডিসেম্বর ১৬: সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রথম জাতীয় নির্বাচন আয়োজিত।
২০০৬-বর্তমান দুবাইয়ের শেখ হিসেবে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতুমের শাসনকাল।
২০০৭ সেপ্টেম্বর: লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের (এলএসই) সর্বোচ্চ শেয়ারহোল্ডার বনে গেল দুবাই ও কাতার।
২০০৮ জানুয়ারি: সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বৃহত্তম আমিরশাহি আবু ধাবিতে ফ্রান্সকে একটি স্থায়ী সামরিক ঘাঁটি বসানোর অনুমোদন দিয়ে দেশটির সাথে চুক্তি সই করা হল।
২০১০ জানুয়ারি: বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন হিসাবে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার উদ্বোধন ঘটল।
২০১১ মার্চ: লিবিয়ায় গাদ্দাফি সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত সামরিক অভিযানে অংশ নিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
২০১৩ জুলাই: সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র পরিকল্পনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আল-ইসলাহ সংগঠনের ৬৮ জন সদস্যকে কারারুদ্ধ করা হল। নভেম্বর: সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখা খোলার দায়ে মিসরীয় ও আমিরশাহির নাগরিকদের বিচার শুরু হল।*
* উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোতে মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন।
প্রকাশিত হল ক্রিস্টোফার এম. ডেভিডসনের আফটার দ্য শেখস: দ্য কামিং কলাপস অফ দ্য গালফ মোনার্কিজ।
২০১৪ মার্চ: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ এনে কাতার থেকে নিজ নিজ রাষ্ট্রের দূতদেরকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করল সৌদি আরব, বাহরাইন, ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। সেপ্টেম্বর: সিরিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিমান হামলায় আরো চারটি আরব রাষ্ট্রের সাথে অংশ নিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। নভেম্বর: মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সংযুক্ত আরব আমিরশাহির শাসকদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের পর থেকে ভিন্নমত দমনে ব্যাপক ধরপাকড় চালানোর অভিযোগ আনল।
২০১৫ মার্চ: ইয়েমেন হুথি বিদ্রোহিদের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বে বিমান হামলায় জিসিসিভুক্ত আরো চারটি রাষ্ট্রের সাথে অংশ নিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
২০২০ আগস্ট: প্রথম উপসাগরীয় রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
২০২২ মে ১৪: সংযুক্ত আরব আমিরশাহির তৃতীয় প্রেসিডেন্ট ও আবু ধাবির শাসক হলেন মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান (এমবিজেড)।
তথ্যসূত্র
BBC. 2018. “United Arab Emirates profile – Timeline.” BBC, May 14, 2018.
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-14704414
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি