
পোল্যান্ড
Featured Image: Wikipedia Commons.

পূর্বসাল
১০০০-১ এ সময় জার্মানিক, কেল্টিক, আর স্লাভিক গোষ্ঠীগুলো বর্তমান পোল্যান্ডে তাঁদের সাংস্কৃতিক ছাপ রাখছে।
৬ পূর্বসাল-৩০ সাল বর্তমান ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে জন্ম নেয়া খ্রিস্টধর্মের প্রাণকেন্দ্র জেসাস ক্রাইস্টের জীবনকাল।
সাল
১-১০০০ স্ক্যান্ডিনেভীয় উপদ্বীপ থেকে গথরা বর্তমান পোল্যান্ডে অভিবাসিত হল। অভিবাসীরা দেশটিতে এমন একটি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করল যা স্লাভদের পুরবী, পশ্চিমা, আর দক্ষিণা শাখায় ভাগ করল। পোলদের পশ্চিমা স্লাভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়ে থাকে।
৯৬৫ পোলদের মধ্যে জাতীয় চেতনার বিকাশ শুরু হল।
৯৬৬ ক্যাথলিক খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হলেন ডিউক প্রথম মিয়েজকো।
১০৯৫ পোল্যান্ড রাজ্য ঘোষণা করলেন প্রথম বোলেস্ল।
১২২৭ বর্তমান পোল্যান্ডে টিউটোনিক নাইটদের আগমন।
১২৯৯-১৯২২ ওসমানি সুলতানশাহি।
১৩৩০-৯০ কাজিমির দ্য গ্রেটের শাসনকাল।*
* পোল্যান্ডের ইতিহাসের সবচে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিবেচিত হন। ক্র্যাকাও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর রাজত্বে পোল্যান্ডে ইহুদি অভিবাসন শুরু হয়।
১৫৬৯ লুবলিন ইউনিয়ন, পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার গ্র্যান্ড ডাচি মিলে গঠন করল পোলীয়-লিথুয়ানীয় সাধারণতন্ত্র।
১৬০১-১৮০০ রাশিয়া, প্রুশিয়া, ও হাপসবুর্গ রাজতন্ত্রের উত্থানের ফলে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ল পোল্যান্ড-লিথুয়ানিয়া।
১৬৮৩ দ্বিতীয় সিয়েজ অফ ভিয়েনা, হাবসবুর্গদের রাজধানী ভিয়েনা দ্বিতীয়বারের মত অবরুদ্ধ করে ওসমানি তুর্কিরা। জুলাই ১৪ থেকে সেপ্টেম্বর ১২ পর্যন্ত চলা যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় তারা।* এই যুদ্ধে ওসমানি সুলতানশাহি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়, যা আখেরে মেয়াদে তাঁদের পতনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
* পোলীয়-লিথুয়ানীয় সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইয়ান তৃতীয় সবিয়েস্কি।
১৭৭২ পোল্যান্ডের প্রথম পার্টিশন।
১৭৯১ ৩ মে গঠনতন্ত্র, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কারের একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নেয়া হল, যা পোলীয়-লিথুয়ানীয় সাধারণতন্ত্রের শহরবাসী ও গ্রামের চাষীদের কিছু নাগরিক অধিকার দেয়ার ওয়াদা করল। এই উদার পরিবর্তন ঠেকাতে সাম্রাজ্যিক রাশিয়া হামলা করল, তার সাহায্যার্থে সেনা পাঠাল প্রুশিয়া। দুবছর পর সাধারণতন্ত্রটি দ্বিতীয়বারের মত ভাগ হবে।
১৭৯৩ পোল্যান্ডের দ্বিতীয় পার্টিশন।
১৭৯৪-৯৫ সাম্রাজ্যিক রাশিয়া ও প্রুশিয়ার বিরুদ্ধে সংস্কারপন্থীদের সশস্ত্র অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থান সফল হয়নি। সাধারণতন্ত্র তৃতীয়বারের মত ভাগ হল: সাম্রাজ্যিক রাশিয়া, প্রুশিয়া, আর অস্ট্রিয়ার মধ্যে।
১৭৯৫ পোল্যান্ডের তৃতীয় পার্টিশন।
১৮০৭ নেপোলিয়ান বোনাপার্তে একটি করদ রাজ্য হিসেবে শাসন করার জন্য তৈরি করলেন ওয়ারশ ডাচি।
১৮১৫ কংগ্রেস অফ ভিয়েনা একটা খণ্ডিত পোল্যান্ড রাজ্য তৈরি করল, যা সাম্রাজ্যিক রাশিয়া কর্তৃক শাসিত হবে।
১৮৩০-৩১ সাম্রাজ্যিক রাশিয়ার শাসনের বিরুদ্ধে সেনা বিদ্রোহ।
১৮৬৩-৬৪ সাম্রাজ্যিক রাশিয়ার শাসনের বিরুদ্ধে আরেকটি বিদ্রোহ দমন করা হল, রাজ্যটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ সাম্রাজ্যের সীমানাভুক্ত করে নেয়া হল।
১৮৬৪-১৯১৪ সাম্র্যাজিক রাশিয়া, প্রুশিয়া, ও অস্ট্রিয়ায় পোলদের জাতীয় আন্দোলন।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৮ এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিদেশি শাসনের অধীনস্ত থাকার পর প্রথমবারের মত পোল্যান্ডে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হল।
১৯২০ সোভিয়েত লাল ফৌজের অগ্রাভিযান প্রত্যাহত করা হল।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।*
* ১৯৩৯ সালে নাৎসি জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৪০ এপ্রিল কাতিন হত্যাযজ্ঞ। সোভিয়েত গোপন পুলিশ ২০ হাজারেরও বেশি পোল জাতীয়তাবাদী সেনা কর্মকর্তা, সরকারি কর্মচারী, ও পেশাজীবীকে ঠাণ্ডা মাথায় ও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। সমকালে অপরাধের দায় নাৎসিদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেও ১৯৮০র দশকের শেষদিকে এসে সোভিয়েতরা হত্যাযজ্ঞের দায় স্বীকার করে নেয়।
১৯৪১ পোল্যান্ডে কনসেনট্রেশন ক্যাম্প বানাতে শুরু করল জার্মানরা।*
* তাদের নামগুলো; আউশভভিৎজ, ত্রেবলিনকা, আর মাজদেনাক; হলোকাস্টের সমার্থক হয়ে গেছে।
১৯৪৩ ওয়ারশ ঘেট্টো অভ্যুত্থান।
১৯৪৪ আগস্ট পোল্যান্ডের প্রতিরোধ বাহিনীগুলো ওয়ারশর নিয়ন্ত্রণ নিল।
অক্টোবর নাৎসিরা ওয়ারশ পুনর্দখল করল।
১৯৪৫ পটসডাম সম্মেলন, পোল্যান্ডের সীমানা নির্ধারণ করা হল।
সোভিয়েতরা পোল্যান্ড থেকে নাৎসিদের তাড়িয়ে দিল। কিছু পোল ভূখণ্ড সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হল। কিন্তু একইসাথে, জার্মানির দখলে থাকা কিছু ভূখণ্ড ফিরে পেল পোল্যান্ড।
১৯৪৫-৮১ পোল্যান্ডে কমিউনিস্ট শাসন।
১৯৪৭ সোভিয়েত মদতে পোল্যান্ডে একটি গণপ্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হল।
১৯৫৫ ওয়ারশ প্যাক্ট সামরিক জোটে যোগ দিল পোল্যান্ড।
১৯৫৬ পোজনান বিক্ষোভ।
১৯৭০ দানস্ক, দিনিয়া, এলবলাগ, ও জেজেসিনে খাদ্য দাঙ্গা। ভুখা মানুষদের বিদ্রোহ রক্তাক্তভাবে দমন করা হল। ৪৪ জন খুন।
১৯৭৮ পোপ নির্বাচিত হলেন ক্র্যাকাওয়ের কার্ডিনাল ক্যারল ওজটিলা।
১৯৮০ দানস্কের লেনিন শিপইয়ার্ড থেকে সলিডারিটি আন্দোলনের শুরুয়াত।*
* পূর্ব ইওরোপের দেশে দেশে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান ঘটানোয় এই আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য প্রভাব আছে।
১৯৮১ সামরিক আইন জারি।
১৯৮৩ সামরিক আইন প্রত্যাহার।
১৯৯০ পোল্যান্ডের ইতিহাসের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন লেস ওয়ালেচা। ব্যাপক বাজার সংস্কার কর্মসূচি।
১৯৯১ সোভিয়েত সেনারা পোল্যান্ড ছেড়ে যেতে শুরু করল।
১৯৯৯ ন্যাটোতে যোগ দিল পোল্যান্ড।
২০০৪ মে ১ ইওরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিল পোল্যান্ড।
২০০৫ ইওরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ লাভ করল পোল্যান্ড।
২০০৭ ডিসেম্বর ২১ শেনগেন জোনে যোগ দিল পোল্যান্ড।
২০২২ ফেব্রুয়ারি ২৪ রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাল, ইউক্রেন যুদ্ধের সূচনা।*
* পোল্যান্ড সীমান্ত পেরোলেন প্রায় ৭০ লক্ষ শরণার্থী।
তথ্যসূত্র
BBC. 2018. “Poland Country Profile.” BBC, May 28.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17753718.
European Union. n.d. “Poland – EU Country Profile | European Union.” Accessed February 26.
https://european-union.europa.eu/principles-countries-history/eu-countries/poland_en
Pavlovic´, Zoran. 2008. Poland. New York: Chelsea House.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি