
চেকিয়া
Featured Image: Wikipedia Commons.

পূর্বসাল
৪০০ কেল্টিক গোষ্ঠীগুলো চেক ভূখণ্ড দখল করল।
সাল
৬০০ এ সময় বর্তমান চেকিয়ায় বাস করছে স্লাভিক গোষ্ঠীগুলো।
৮০০ পোপ তৃতীয় লিও শার্লামেইনের মাথায় পরিয়ে দিলেন পবিত্র রোমক সাম্রাজ্যের মুকুট।
৮০০-১৮০৬ পবিত্র রোমক সাম্রাজ্য।*
* লাতিনে এর আনুষ্ঠানিক নাম ছিল Sacrum Imperium Romanum Nationis Germanicae আর জর্মনে Heiliges Römisches Reich Deutscher Nation।
৯০০ বোহেমীয় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করল প্রজেমিস্লিদ পরিবার।
১৩৫৫ পবিত্র রোমক সাম্রাজ্যের রাজধানী হয়ে উঠল প্রাগ।
১৫২৬ বোহেমীয় রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ অস্ট্রিয়ার হাপসবুর্গদের হাতে এল।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৮ অস্ট্রিয়ার হাপসবুর্গদের পতন। চেক ও স্লোভাক ভূখণ্ডগুলো চেকোস্লোভাকিয়া গঠন করল। নিজেকে স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ঘোষণা করল চেকোস্লোভাকিয়া।
১৯৩৮ নাৎসি জার্মানির কাছে সুদেতেনল্যান্ড সমর্পণ করল চেকোস্লোভাকিয়া।
১৯৩৯ চেকোস্লোভাকিয়ায় নাৎসি আগ্রাসন।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪৫ নাৎসি দখলদারিত্ব থেকে চেকোস্লোভাকিয়াকে মুক্ত করা হল।
১৯৪৮ সোভিয়েত মদতে চেকোস্লোভাকিয়ায় কমিউনিস্ট শাসন কায়েম হল।
১৯৪৮-৮৯ চেকোস্লোভাকিয়ায় কমিউনিস্ট শাসন।
১৯৬৪ প্রাগ বসন্ত, ট্যাংক দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল সোভিয়েতরা।
১৯৮৯ মখমল বিপ্লব, চেকোস্লোভাকিয়ায় কমিউনিস্ট শাসনের অবসান হল।
১৯৯০ চেকোস্লোভাকিয়ায় পাঁচ দশকে প্রথমবারের মত মুক্ত নির্বাচন।
১৯৯৩ জানুয়ারি, চেকোস্লোভাকিয়া ভেঙে গঠিত হল চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া। চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ভাক্লাভ হাভেল। প্রধানমন্ত্রী হলেন নাগরিক গণতান্ত্রিক দলের (সিডিপি) ভাক্লাভ ক্লাউস, রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বেসরকারিকরণকে অগ্রাধিকার দিলেন।
১৯৯৫ যুক্তরাষ্ট্রের তহবিলপ্রাপ্ত রেডিও ফ্রি ইওরোপ/রেডিও লিবার্টি মিউনিখ থেকে প্রাগে স্থানান্তরিত হল।
১৯৯৭ অক্টোবর চেক প্রজাতন্ত্রের শত শত জিপসি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করলে এবং যুক্তরাজ্য ও ক্যানাডায় আশ্রয় চাইলে প্রেসিডেন্ট হাভেল নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ‘প্রচ্ছন্ন বর্ণবাদ’ মোকাবেলা করার আহবান জানালেন।
১৯৯৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ভাক্লাভ হাভেল।
১৯৯৯ মার্চ ন্যাটোর পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করল চেক প্রজাতন্ত্র।
২০০২ মারিয়া ডাউলিং, চেকোস্লোভাকিয়া।
২০০৩ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভাক্লাভ ক্লাউস।
২০০৪ মে ১ ইওরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দিল চেক প্রজাতন্ত্র।
২০০৭ ডিসেম্বর ২১ শেনগেন জোনে যোগ দিল চেক প্রজাতন্ত্র।
২০০৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ভাক্লাভ ক্লাউস।
২০১১ ডিসেম্বর ভাক্লাভ হাভেলের মৃত্যু। এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হল। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য পালন করা হল, যাতে উপস্থিত ছিলেন বহু বিশ্ব নেতা।
২০১৩ জানুয়ারি-মার্চ চেক প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রত্যক্ষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিলোস জেমান।
জুন দুর্নীতি ও গোয়েন্দাগিরির কেলেঙ্কারির মুখে পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী পেতর নেকাস। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থনীতিবিদ জিরি রুসনককে নিয়োগ দিলেন প্রেসিডেন্ট জেমান। একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করার দায়িত্ব দিলেন।
জুলাই শপথ গ্রহণ করল নতুন “বিশেষজ্ঞদের সরকার”।
আগস্ট সংসদে এক আস্থা ভোটে হেরে গেলেন নয়া সরকারের প্রধান জিরি রুসনক, এমপিরা ভোট দিয়ে সংসদ ভেঙে দিল।
অক্টোবর সংসদীয় নির্বাচনে সোশাল ডেমোক্র্যাটরা সর্বাধিক ভোট পেলেও তা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের তুলনায় কম ছিল।
ডিসেম্বর দুর্নীতিবিরোধী আনো আন্দোলন ও মধ্য-ডানপন্থী ক্রিশ্চান ডেমোক্র্যাটদের সাথে একটা জোট গঠনের সমঝোতায় পৌঁছালেন সোশাল ডেমোক্র্যাটরা।
২০১৬ চেক প্রজাতন্ত্রের বিকল্প নাম রাখা হল চেকিয়া, যদিও পূর্বনাম চেক প্রজাতন্ত্র বহাল থাকল।*
* কারো কারো মতে, চেকিয়া একটা বিশ্রি নাম। আবার নামটার উচ্চারণ চেচনিয়ার সাথে অনেকটাই মিলে যায়, যা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। চেকরা নিজেরাই নতুন নামটায় অভ্যস্ত হন নাই।
তথ্যসূত্র
BBC. 2018. “Czech Republic – Timeline.” BBC, June 11.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17220571
Docalavich, Heather, and Indovina, Shaina C. 2014. Czech Republic. Pennsylvania: Mason Crest.
European Union. n.d. “Czechia – EU Country Profile | European Union.” Accessed March 1, 2025.
https://european-union.europa.eu/principles-countries-history/eu-countries/czechia_en
Reuters in Prague. 2016. “Czechs agree to be ‘Czechia’ as catchy alternative.” The Guardian, April 15.
https://www.theguardian.com/world/2016/apr/15/czech-republic-czechia-new-name
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি