কেনিয়া

Featured Image: Wikipedia Commons.

সাল

৬০০ কেনিয়ার উপকূলে বসতিস্থাপন করতে শুরু করল আরবরা।

১৮৯৫ গঠন করা হল ব্রিটিশ পূর্ব আফ্রিকা প্রটেক্টরেট।

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।

১৯২০ পূর্ব আফ্রিকা প্রটেক্টরেট একজন ব্রিটিশ প্রশাসকের তদারকির অধীনস্ত কেনিয়া মুকুট উপনিবেশে পরিণত হল।

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

১৯৪৪ গঠন করা হল কেনীয় আফ্রিকান ইউনিয়ন (কেএইউ)।

১৯৪৭ কেএইউ প্রধান হলেন জোমো কেনিয়াত্তা।

১৯৫২-৫৩ মাউ মাউ নামের গোপন কিকুয়ু গেরিলা দল শ্বেতাঙ্গ বসতিস্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করল। জরুরি অবস্থা জারি। কেনিয়াত্তাকে কারাগারে ঢোকানো হল, কেএইউ নিষিদ্ধ হল।

১৯৫৬ মাউ মাউ বিদ্রোহ রক্তাক্ত উপায়ে দমন করা হল।

১৯৬০ জরুরি অবস্থার অবসান। কেনিয়াকে সংখ্যাগুরু আফ্রিকানদের শাসনের জন্য প্রস্তুত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করল ব্রিটেন। টম মবোয়া আর ওজিঙ্গা ওদিঙ্গা কর্তৃক গঠিত হল কেনিয়া আফ্রিকান জাতীয় ইউনিয়ন (কানু)।

১৯৬৩ ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল কেনিয়া। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন জোমো কেনিয়াত্তা।

১৯৬৪ গঠন করা হল কেনিয়া প্রজাতন্ত্র। প্রেসিডেন্ট হলেন জোমো কেনিয়াত্তা। ভাইস-প্রেসিডেন্ট হলেন ওজিঙ্গা ওদিঙ্গা।

১৯৬৬ মতাদর্শিক দ্বন্দ্বের জের ধরে কানু ছেড়ে বেরিয়ে আসলেন ওদিঙ্গা। গঠন করলেন কেনিয়া জনগণের ইউনিয়ন (কেপিইউ)।

১৯৬৯ টম মবোয়া আততায়ীদের হাতে খুন হয়ে গেলে কেনিয়াজুড়ে জাতিগত অশান্তি দেখা দিল। কেপিইউকে নিষিদ্ধ করা হল, গ্রেপ্তার হলেন ওদিঙ্গা। নির্বাচনে অংশ নেয়ার অধিকার কেবল কানুর থাকল।

১৯৭৪ পুনর্নির্বাচিত হলেন কেনিয়াত্তা।

১৯৭৮ কেনিয়াত্তার মৃত্যু, নয়া প্রেসিডেন্ট হলেন ড্যানিয়েল আরাপ মোই।

১৯৮২ জুন কেনিয়ার জাতীয় সংসদ আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটিকে একটি একদলীয় রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করল।

১৯৮৭ কেনিয়ার বিরোধী দলগুলোর ওপর দমনপীড়ন নেমে এল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গ্রেপ্তার ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘণ। আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দা।

১৯৯১ আগস্ট ওজিঙ্গা ওদিঙ্গা-সমেত ছয়জন বিরোধী দলীয় নেতাকে নিয়ে গঠিত হল গণতন্ত্র পুনর্বহাল ফোরাম (ফোর্ড)। পার্টি নিষিদ্ধ হল ও সদস্যরা গ্রেপ্তার হল। তীব্র আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখে ক্রেডিটররা কেনিয়াকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা বন্ধ করে দিল।

১৯৯২ দেশের পশ্চিমাঞ্চলে জাতিগত বিবাদে প্রায় ২ হাজার মানুষের মৃত্যু।

১৯৯৪ ওজিঙ্গা ওদিঙ্গার মৃত্যু।

১৯৯৮ নাইরোবিস্থ মার্কিন দূতাবাসে আল কায়েদার বোমা হামলায় ২২৪ জনের মৃত্যু, আহত হলেন সহস্রাধিক।

২০০৪ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন কেনীয় প্রতিবেশবিদ ওয়ানগারি মাথাই।

২০১২ মার্চ তেল আবিষ্কৃত হল।

২০১৩ মার্চ প্রেসিডেন্ট হলেন জোমো কেনিয়াত্তার ছেলে উহুরু কেনিয়াত্তা।

২০১৫ এপ্রিল উত্তরপশ্চিম কেনিয়ার গারিসা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী আল-শাবাবের চালানো হত্যাযজ্ঞে ১৪৮ জন মানুষের মৃত্যু।

২০১৭ মে রাজধানী নাইরোবির সাথে মোম্বাসাকে যুক্ত করা একটি নতুন মাল্টি-বিলিয়ন ডলার রেলপথ উদ্বোধন করা হল।

২০২০ জানুয়ারি লামুর নিকটে ক্যাম্প সিমবা সেনাঘাঁটিতে আল-শাবাবের হামলায় ৩ জন মার্কিনীর মৃত্যু।

২০২২ আগস্ট প্রেসিডেন্ট হলেন উইলিয়াম রুটো।

তথ্যসূত্র

African Union. n.d. “Member States | African Union.” Accessed March 3, 2025.
https://au.int/en/member_states/countryprofiles2.

BBC. 2022. “Kenya profile – Timeline.” BBC, November 25.
https://www.bbc.com/news/world-africa-13682176

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি