
নাইজার
Featured Image: Wikipedia Commons.

সাল
১৮৯০ ফরাসি উপনিবেশিক শক্তি নাইজার দখল করে নিল।
১৯৫৮ নাইজারকে স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্রের মর্যাদা প্রদান করল ফ্রান্স।
১৯৬০ ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করল নাইজার। সংসদ হামানি দিওরিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করল।
১৯৫৮-৭৩ তীব্র খরার দরুণ পশুসম্পদ ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি।
১৯৭৪ এপ্রিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেইনি কউনচের নেতৃত্বাধীন এক সামরিক ক্যুদেতায় উৎখাত হলেন প্রেসিডেন্ট হামানি। সংবিধান স্থগিত করা হল, সংসদ ভেঙে দেয়া হল। গঠিত হল ১২ সদস্যবিশিষ্ট সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদ।
১৯৮৩ ফিন ফুগলেস্তাদ, আ হিস্ট্রি অফ নাইজার ১৮৫০-১৯৬০।
১৯৮৭ মস্তিষ্কের টিউমারের কারণে মারা গেলেন সেইনি কউনচে। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন আলী সেইবু।
১৯৮৯ নয়া সংবিধানের বলে বেসামরিক শাসনে ফিরল নাইজার। কিন্তু একইসাথে কায়েম করা হল একদলীয় ব্যবস্থা। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেন আলী সেইবু।
১৯৯০ বিপুল প্রতিবাদের মুখে বিরোধী দলগুলো আইনী বৈধতা প্রদান করা হল। উত্তরে আরম্ভ হল তুয়ারেগ জাতির বিদ্রোহ।
১৯৯১ জুলাই এক সংবিধান সভা সেইবুর ক্ষমতা কেড়ে নিল। আন্দ্রে সালিফুর নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হল।
১৯৯২ নয়া সংবিধানে বহুদলীয় নির্বাচনকে অণুসমর্থন করা হল।
১৯৯৩ ক্ষমতায় এল পরিবর্তনের শক্তি জোট, প্রেসিডেন্ট হলেন মাহামানে ওসমান।
১৯৯৪ উইলিয়াম এফ. এস. মাইলস, হাউসাল্যান্ড ডিভাইডেড: কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড ইন্ডিপেন্ডেন্স ইন নাইজেরিয়া অ্যান্ড নাইজার।
১৯৯৫ নাইজার সরকার ও সাহারা বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি।
১৯৯৬ জানুয়ারি কর্নেল ইব্রাহিম মাইনাসারার নেতৃত্বাধীন এক ক্যুদেতায় উৎখাত হলেন প্রেসিডেন্ট মাহামানে ওসমান, সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হল।
মে নয়া সংবিধানে প্রেসিডেন্টকে দেয়া বাড়তি ক্ষমতা এক গণভোটে অনুমোদন লাভ করল, রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হল।
জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলেন মাইনাসারা।
১৯৯৭ নাইজার সরকারের সাথে শান্তি চুক্তি সই করল তুয়ারেগ বিদ্রোহীদের দল গণতান্ত্রিক পুনর্জাগরণ ফ্রন্ট।
১৯৯৯ এপ্রিল নিয়ামে বিমানবন্দরে দেহরক্ষীদের হাতে খুন হয়ে গেলেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মাইনাসারা, ক্ষমতা গ্রহণ করলেন মেজর দাউদা মালাম ওয়ানকে। ওয়ানকে ঘোষণা দিলেন, নাইজার নির্বাচিত প্রেসিডেন্টই পাবে। ২০০০ সাল নাগাদ দেশটি বেসামরিক শাসনে ফিরবে।
আগস্ট এক গণভোটে প্রেসিডেন্টকে দেয়া বাড়তি ক্ষমতা অনুমোদন লাভ করেছিল, কিন্তু নয়া সংবিধানে তা ঘুরিয়ে দেয়া হল।
অক্টোবর ও নভেম্বর ক্ষমতায় এল উন্নয়নে থাকা সমাজের জন্য জাতীয় আন্দোলন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মামাদু তানজা। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা জানালেন, ক্যুদেতা-পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন মোটামুটি মুক্ত ও সুষ্ঠুভাবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০০১ জানুয়ারি সিংহ, জিরাফ, জলহস্তীসহ বন্য প্রাণীদের রক্ষা করার একটা উদ্যোগ হিসেবে শিকার নিষিদ্ধ করল নাইজার।
২০০৯ সংসদ ভেঙে দিলেন মামাদু তানজা।
২০১০ জেনারেল সালোউ জিবোর নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনর্বহালের সর্বোচ্চ পরিষদ (সিএসডিআর) নামে একদল সামরিক নেতা বন্দুকের জোরে ক্ষমতা দখল করলেন। দেশটির সংবিধান স্থগিত করা হল। গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওয়াদা করা হল।
২০১৩ জানুয়ারি আগাদেজকে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের মর্যাদা দিল ইউনেস্কো।
২০২১ এপ্রিল নাইজারে স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তরিত হল, দেশটির প্রেসিডেন্ট হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহামেদ বাজুম।
২০২৩ জুলাই ২৬ জেনারেল ওমর ছিয়ানির নেতৃত্বে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের একদল সদস্য প্রেসিডেন্ট মোহামেদ বাজুমকে গৃহবন্দী করল। নাইজারের স্থল ও আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়া হল, এবং কারফিউ জারি করা হল। ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ও পশ্চিম আফ্রিকার রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক সম্প্রদায় (ইকোওয়াস) কড়া ভাষায় এই ক্যুদেতাকে অভিযুক্ত করল এবং “অসাংবিধানিক” আখ্যায়িত করল।
তথ্যসূত্র
African Union. n.d. “Member States | African Union.” Accessed March 3, 2025.
https://au.int/en/member_states/countryprofiles2.
Al Jazeera. 2023. “Timeline: A history of coups in Niger.” Al Jazeera, July 27.
https://www.aljazeera.com/news/2023/7/27/timeline-a-history-of-coups-in-niger
BBC. 2018. “Niger profile.” BBC, February 19.
https://www.bbc.com/news/world-africa-13944995
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি