বেলারুশ

Featured Image: Wikimedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ

সাল

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।

১৯১৮ বেলারুশী জাতীয় প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হল।

১৯১৯ সোভিয়েত লাল ফৌজ বেলারুশ দখল করে নিল।

১৯২১ রিগা চুক্তি, বেলারুশকে দুই ভাগ করে পোল্যান্ড আর সোভিয়েত ইউনিয়নের হাতে ধরিয়ে দেয়া হল।

১৯৩০-৩৯ স্তালিন আমলে ১ লক্ষাধিক বেলারুশী খুন হন। হাজার হাজার মানুষকে শ্রমশিবিরে পাঠানো হয়।

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

১৯৪১ নাৎসি জার্মানি দখল করে নিল বেলারুশ।

১৯৪১-৪৪ নাৎসি দখলদারিত্বে ১০ লক্ষাধিক বেলারুশী খুন হন। যাঁদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলেন ইহুদি।

১৯৪৪ লাল ফৌজ নাৎসিদের বেলারুশ থেকে তাড়িয়ে দেয়।

১৯৬০-৬৯ রুশীকরণ নীতির কারণে বেলারুশী ভাষার মর্যাদাহানি ঘটল।

১৯৮৬ ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনার প্রভাব প্রতিবেশী রাষ্ট্র হওয়ার কারণে বেলারুশের ওপরও পড়ল। ২০ শতাংশ আবাদি জমি তেজস্ক্রিয়তায় আক্রান্ত হল। ফলে এসব জমি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে ওঠে।

১৯৮৮ বেলারুশী জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা গঠিত হল পপুলার ফ্রন্ট।

১৯৯০ বেলারুশী ভাষাকে দরবারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হল।

১৯৯১ সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল বেলারুশ।

১৯৯৪-বর্তমান স্বঘোষিত “ইওরোপের শেষ একনায়ক”* আলেক্সান্দার লুকাশেনকোর শাসনামল।
* “I don’t really understand what a dictator is, but on the other hand I sometimes, in a nice way, envy myself. I am the last and only dictator in Europe and indeed there are none anywhere else in the world. You came here and looked at a living dictator and where else would you see one?” (Reuters 2012)

১৯৯৯ ডেভিড আর. মার্পলস, বেলারুশ: আ ডিন্যাশনালাইজড নেশন।

২০০৬ সেরহি প্লখি, দ্য অরিজিনস অফ স্লাভিক নেশনস: প্রিমর্ডান আইডেন্টিটিজ ইন রাশিয়া, ইউক্রেন, অ্যান্ড বেলারুশ।

২০১১ অ্যান্ড্রু উইলসন, বেলারুশ: দ্য লাস্ট ইওরোপিয়ান ডিক্টেটরশিপ।

২০১৪ মার্চ প্রতিবেশী বাল্টিক দেশগুলোয় ন্যাটোর সামরিক উপস্থিতি বাড়ল। প্রতিক্রিয়ায় বেলারুশ তার ভূখণ্ডে অতিরিক্ত ফাইটার জেট ও সামরিক পরিবহন এয়ারক্রাফট মোতায়েন করতে রাশিয়ার প্রতি আহবান জানাল। রাশিয়ার ক্রিমিয়াকে নিজ সীমানাভুক্ত করে নেয়া ও ইউক্রেন সংকটের কারণে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে।

২০১৫ আগস্ট ছয়জন কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করলেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেনকো, যাদের একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিকালায় স্তাতকেভিচ। পদক্ষেপটিকে দেখা হল ইওরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটানোর একটা প্রচেষ্টা হিসাবে।

অক্টোবর টানা পঞ্চম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হলেন আলেকজান্দার লুকাশেনকো।

২০১৭ ফেব্রুয়ারি একটি অজনপ্রিয় কর বাতিল করার দাবিতে গোমেল শহরে ২ হাজার লোকের প্রতিবাদ মিছিল।

২০১৮ আগস্ট স্বাস্থ্য খাতের তহবিল তছরুপ করা বিষয়ক এক কেলেংকারির জের ধরে প্রেসিডেন্ট লুকাশেনকো প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই কাবইয়াকোউ ও কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন। নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন অর্থনীতিবিদ ও দেশটির উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান সিয়ারহেই রুমাস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রুমাস অর্থনৈতিক উদারীকরণের পক্ষপাতী।

২০২০ আগস্ট প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষিত হলে দেখা গেল আলেক্সান্দার লুকাশেনকো ৮০% ভোট পেয়েছেন। ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ। ফলে দেশ জুড়ে গণ প্রতিবাদ দেখা দিল।

২০২২ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে দেশটিকে ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে আক্রমণ পরিচালনা করার জন্য নিজ ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিল বেলারুশ।

তথ্যসূত্র

BBC. 2022. “Belarus profile – Timeline.” BBC, December 13.
https://www.bbc.co.uk/news/world-europe-17941637.amp

Reuters. 2012. “Belarus President Lukashenko in his own words.” Reuters, November 27.
https://www.reuters.com/article/us-belarus-lukashenko-extracts-idUSBRE8AQ0V520121127

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি