
ইউক্রেন
Featured Image: Wikimedia Commons.

পূর্বসাল
৭০০-৪০০ এ সময় বর্তমান ইউক্রেনে স্কিথীয় সভ্যতার সমৃদ্ধি ঘটছে।
৪০০-৩০১ নীপার নদীর তীরে কিয়েভ শহর প্রতিষ্ঠিত হল।
৪২১ দক্ষিণ ইউক্রেনে গ্রিক উপনিবেশ চেরসোনিসাস প্রতিষ্ঠিত হল।
৬ পূর্বসাল-৩০ সাল বর্তমান ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে জন্ম নেয়া খ্রিস্টধর্মের প্রাণকেন্দ্র জেসাস ক্রাইস্টের জীবনকাল।
সাল
৫০০-৬০০ স্লাভরা ইউক্রেনে অভিবাসিত হল।
৫৭০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম।
৭০১-৮০০ একটি অর্ধ-যাযাবর তুর্কিচভাষী গোষ্ঠী খাজার এই শতকে ককেশাস পর্বতমালার উত্তরদিকে বসতিস্থাপন করে। একসময় তারা ইউক্রেনের একাংশে রাজত্ব করতে শুরু করল। খাজার শাসক শ্রেণি ইহুদিধর্ম গ্রহণ করেছিল।
* ইওরোপে আরব-মুসলিম সম্প্রসারণ ঠেকানোয় খাজারদের ভূমিকা ছিল।
৮৮২ কিয়েভের নিয়ন্ত্রণ ভাইকিং সর্দার ওলেগের হাতে চলে এল, সূচনা হল কিয়েভান রুস পর্বের।
৯৬৫ কিয়েভান যোদ্ধা-রাজকুমার ভিয়াতোস্লাভের সেনাবাহিনী খাজারদের রাজধানী ইতিল ধবংস করে দিল ও খাজার সেনাবাহিনীকে পরাস্ত করল।
৯৮৮ কিয়েভান রুসের ভ্লদিমির দ্য গ্রেট খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হলেন, সেইসাথে পুরো কিয়েভান রুস খ্রিস্টান হয়ে গেল।
১০১৭ কিয়েভে সেইন্ট সোফিয়া ক্যাথেড্রালের নির্মাণকাজ শুরু হল।
১০৩১ কিয়েভে সেইন্ট সোফিয়া ক্যাথেড্রালের নির্মাণকাজ শেষ হল।
১০৩৬-৫৪ ইয়ারোস্লাভ দ্য ওয়াইজের শাসনামল, কিয়েভান রুসের “স্বর্ণযুগ”।
১১০১-১২০০ নেস্টরের দ্য টেল অফ বাইগোন ইয়ার্স লেখা শেষ হল।
১২৪০ বাতু খানের নেতৃত্বে মঙ্গোলরা কিয়েভ দখল করল, প্রতিষ্ঠিত হল তাতারদের গোল্ডেন হোর্ড রাজ্য।
১৩৪৯ পোল্যান্ড পশ্চিম ইউক্রেনের গালিসিয়া দখল করে নিল।
১৩৬২ নীল জলপথের যুদ্ধ, লিথুয়ানীয়রা কিয়েভে অগ্রসর হল।
১৪৪১ গোল্ডেন হোর্ড থেকে বেরিয়ে এল ক্রিমীয় খানাত, বর্তমান ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশটাই দখল করে নিল।
১৫৬৯ পোল্যান্ড আর লিথুয়ানিয়া গঠন করল লুবলিন ইউনিয়ন, ফলে ইউক্রেন পোলিশ শাসনের অধীনস্ত হল।
১৫৯৬ ইউনিয়ন অফ ব্রেস্তের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হল গ্রিক ক্যাথলিক চার্চ, পশ্চিম ইউক্রেনের বিশপরা এই চার্চের অনুগত হলেন। ইউক্রেনের বাকি অংশ অবশ্য অর্থোডক্স রয়ে গেল।
১৬১৫ ইউক্রেনের প্রথম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিয়েভ-মহইলা আকাদেমির পত্তন।
১৬৪৮ পিলিয়াভৎসির সমর, পোল্যান্ডকে পরাস্ত করলেন কসাক সেনানায়ক বোহদান খমেলনিৎস্কি।* প্রতিষ্ঠা করলেন স্বাধীন কসাক রাজ্য হেতমানাত।** কিন্তু এই স্বাধীনতা দীর্ঘস্থায়ী হয় নাই।
* কসাক শব্দটি এসেছে তুর্কি কাজাক থেকে, যার অর্থ রোমাঞ্চপ্রিয় বা স্বাধীন মানুষ। ইউক্রেনীয়রা নিজেদেরকে কসাক জাতি হিসাবে অভিহিত করে। এর থেকে তাঁদের স্বাধীনতাকামী স্বভাবের পরিচয় পাওয়া যায়।
** এক ধরণের আদিম গণতন্ত্র, স্বাধীন চাষীদের সংঘ।
১৬৫৪ পেরেয়াস্লাভ চুক্তি, সামরিক সহায়তার বিনিময়ে রুশ জার অ্যালেক্সেই রোমানভের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করতে বাধ্য হলেন বোহদান খমেলনিৎস্কি।
১৬৬৭ আর্দ্রুৎসোভো চুক্তি, মধ্য দিয়ে ইউক্রেনকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল পোল্যান্ড ও রাশিয়া।
১৬৮৭-১৭০৯ ইউক্রেনীয় কসাকদের নতুন সেনানায়ক হলেন ইভান মাজেপা।
১৭০৯ পলতাভার যুদ্ধ, কসাক বিদ্রোহীদের পরাস্ত করল রাশিয়া।
১৭২১ পূর্ব ইওরোপের দনবাস অঞ্চলে বিপুল কয়লার মজুত আবিষ্কৃত হল। দনবাস অঞ্চল ইউক্রেনের সবচেয়ে প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ এলাকা। তাই ঐতিহাসিকভাবেই দনবাস একটি সংঘাতপ্রবণ অঞ্চল।
১৭৭২-৯৫ পোল্যান্ডের পার্টিশন, পশ্চিম ইউক্রেন রাশিয়ার হাতে এল।
১৭৭২-৭৪ গালিসিয়া আর বুকোভনিয়ার দখল নিল হাপসবুর্গ অস্ট্রিয়া।
১৭৭৫ রুশ জারিনা ক্যাথরিন দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী বিদ্রোহী কসাকরাজ্য জাপোরিঝীয় সিখ ধবংস করে দিল।
১৭৮৩ রাশিয়া ক্রিমীয় খানাত দখল করে নিল।
১৭৮৫ হেতমানাতকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল।
১৭৯৩-৯৫ রাশিয়া নীপার নদীর দক্ষিণ তীর ও ভলহিনা দখল করে নিল।
১৮১৪ ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদী ভাবধারার লেখক তারাস শেভচেনকোর জন্ম।
১৮৪০ তারাস শেভচেনকো, কোব্যা প্লেয়ার।
১৮৪৫ কিয়েভে প্রতিষ্ঠিত হল ব্রাদারহুড অফ সেইন্টস সিরিল অ্যান্ড মেথোডিয়াস।
১৮৪৮ ভিভ শহরে সুপ্রীম রুথেনীয় কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হল।
১৮৫৪ ক্রিমিয়া যুদ্ধ। একপক্ষে ছিল রুশ সাম্রাজ্য। অপরপক্ষে ছিল ওসমানি সালতানাত, গ্রেট ব্রিটেন, আর ফ্রান্স।
১৮৫৬ প্যারিস চুক্তির মধ্য দিয়ে ক্রিমিয়া যুদ্ধের অবসান।*
* এই যুদ্ধের সাথে উপমহাদেশের বিচিত্র সম্পর্ক আছে। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের অন্যতম নেতা আজিমুল্লাহ খান ক্রিমিয়া যুদ্ধে রুশদের হাতে ইংরেজদের মার খাওয়ার ঘটনায় উদ্দীপিত হয়েছিলেন। তিনি রুশ গোয়েন্দাদের সাথে যোগাযোগ করেন, যারা তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেয়, ভারতবাসী ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে রাশিয়া তাতে মদত যোগাবে। (সেন ২০১৮)
১৮৬১ ইউক্রেনে ভূমিদাস প্রথা বিলুপ্ত করা হল। ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদী ভাবধারার লেখক তারাস শেভচেনকোর মৃত্যু।
১৮৭৫ ইউক্রেনের স্তেপ অঞ্চলের আকসানিয়া-নোভাকে একটি বেসরকারি রিজার্ভ হিসাবে মনোনীত করা হল।
১৮৭৬ রুশ সাম্রাজ্যে ইউক্রেনীয় সাহিত্য নিষিদ্ধ করা হল।
১৮৮০-১৯১৪ ইউক্রেনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ গালিসিয়া থেকে বহু ভূমিহীন ও দরিদ্র মানুষ উন্নত জীবনের সন্ধানে পশ্চিম ইওরোপ ও উত্তর আমেরিকায় পাড়ি জমালেন।
১৮৯০ ভিভ শহরে ইউক্রেনের প্রথম রাজনৈতিক দল বামঘেঁষা জাতীয়তাবাদী ইউক্রেনিয়ান র্যাডিকাল পার্টি প্রতিষ্ঠিত হল।
১৮৯৮ মিখায়লো রুশেভস্কি, হিস্ট্রি অফ ইউক্রেন-রুস।
১৯১৪-১৫ রাশিয়া ইউক্রেনের গালিসিয়া প্রদেশ দখল করে নিল।
১৯১৭ ফেব্রুয়ারি রুশ বিপ্লব।
মার্চ প্রতিষ্ঠিত হল ইউক্রেনীয় কেন্দ্রীয় রাদা।
অক্টোবর বলশেভিকরা রাশিয়ায় ক্ষমতা দখল করলে ইউক্রেনকে একটি গণপ্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা করে রাদা।
ডিসেম্বর খারকিভ শহরে প্রথম সোভিয়েত ইউক্রেনীয় সরকার গঠিত হল।
১৯১৮ জানুয়ারি ইউক্রেন গণপ্রজাতন্ত্র স্বাধীনতা ঘোষণা করল।
এপ্রিল জার্মানদের মদতে কোরোপাডস্কির হেতমানাত প্রতিষ্ঠিত হল।
ডিসেম্বর হেতমানাতকে উৎখাত করে প্রতিষ্ঠা করা হল সিমোন পেতলুইরার ডিরেক্টরেট।
১৯১৯ ইউক্রেনের আকসানিয়া-নোভাকে জাতীয় পার্ক ঘোষণা করা হল। বুকোভিনাকে রুমানিয়া আর ট্রান্সকার্পেথিয়াকে চেকোস্লোভাকিয়ার হাতে তুলে দেয়া হল।
১৯২১-২২ এক দুর্ভিক্ষে ১০ লক্ষ ইউক্রেনীয়ের মৃত্যু হল।
১৯২১ ইউক্রেনীয় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হল। রিগা চুক্তি সই। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে গালিসিয়া আর পশ্চিম ভলহিনার নিয়ন্ত্রণ পোল্যান্ডের হাতে এল।
১৯২২ ইউক্রেনীয় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রকে ইউনিয়ন অফ সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকসের (ইউএসএসআর) অন্তর্ভুক্ত করা হল।
১৯২৭ কৃষ্ণ সাগর প্রাকৃতিক রিজার্ভ প্রতিষ্ঠা করা হল।
১৯২৯ বর্তমান অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ফ্যাশিস্ত মতাদর্শে বিশ্বাসী অর্গানাইজেশন অফ ইউক্রেনিয়ান ন্যাশনালিস্টস (ওইউএন) গঠিত হল।
১৯৩২-৩৩ হলোডোমোর, স্তালিনের কৃষিনীতির কারণে ইউক্রেনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে।
১৯৩৯ মলোটোভ-রিবেনট্রোপ চুক্তি। নাৎসি জার্মানি আর সোভিয়েত ইউনিয়ন পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল। ইউক্রেনের পোল্যান্ড-নিয়ন্ত্রিত অংশে প্রবেশ করল লাল ফৌজ।
১৯৪১ ইউক্রেনের রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত অংশে আক্রমণ চালাল নাৎসি জার্মানি। ওইউএন ইউক্রেনকে স্বাধীন ঘোষণা করল।
১৯৪১-৪৪ ইউক্রেন এ সময় নাৎসি দখলদারিত্বে আছে, হলোকাস্টে ইউক্রেনের ৬০ শতাংশ ইহুদির মৃত্যু ঘটল।
১৯৪৪ ইউক্রেনীয় ফ্যাশিস্তরা সোভিয়েত লাল ফৌজের সাথে লড়ছে। নাৎসি বাহিনীকে ইউক্রেন থেকে তাড়িয়ে দেয়া হল। ক্রিমীয় তাতারদের বিরুদ্ধে নাৎসিদের দোসর হওয়ার অভিযোগ এনে প্রায় ২ লক্ষ ক্রিমীয় তাতারকে সাইবেরিয়ায় নির্বাসিত করলেন স্তালিন।
১৯৪৫ ইউক্রেন জাতিসংঘে চার্টার সদস্য হিসাবে যোগ দিল। পশ্চিম ইউক্রেনকে ইউএসএসআরের অংশ করে নেয়া হল।
১৯৫৪ নিকিতা ক্রুশ্চেভ ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের হাতে তুলে দিলেন।
১৯৬৩-৭২ ইউক্রেন শাসন করছেন কমিউনিস্ট নেতা পেত্রো শেলেস্ত।
১৯৭২-৮৯ ইউক্রেন শাসন করছেন কমিউনিস্ট নেতা ভলোদিমির শেচেরবিৎস্কি।
১৯৮৬ চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনা, ছড়িয়ে পড়ল ভয়াবহ তেজষ্ক্রিয়তা।
১৯৯১ আগস্ট ২৪ সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল ইউক্রেনের সংসদ।
ডিসেম্বর ১ গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউক্রেনীয় স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিলেন, দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ক্রাভচুক। ইউক্রেনের কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হল।
১৯৯২ রাইন-মাইন-দানিয়ুব খালের মাধ্যমে পশ্চিম ইওরোপের সাথে যুক্ত হল ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতি দিল। কিয়েভে দূতাবাস খুলল।
১৯৯৩ ইউক্রেনের কমিউনিস্ট পার্টির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হল।
১৯৯৪ ইউক্রেন একটি পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি সই করল। রাশিয়ার কাছে তার অবশিষ্ট পারমাণবিক অস্ত্রগুলো তুলে দিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন লিওনিদ কুচমা।
১৯৯৫ ইউক্রেন সফর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন।
১৯৯৬ ইউক্রেনে নতুন মুদ্রা রিভনিয়া চালু করা হল। একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করা হল।
পল রবার্ট ম্যাগোচি, আ হিস্ট্রি অফ ইউক্রেন।
১৯৯৭ রাশিয়ার সাথে ইউক্রেন একটি বিশ বছর মেয়াদী চুক্তি করল, যেখানে বলা হল, ২০১৭ সাল পর্যন্ত সেভাস্তোপোলে রুশ নৌবহর অবস্থান করতে পারবে।
১৯৯৮ এ সময় ইউক্রেনের ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছেন।
১৯৯৯ ইউক্রেনে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন লিওনিদ কুচমা।
২০০০ চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হল। দ্বিতীয়বারের মত ইউক্রেন সফর করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন।
ওরেস্ত সাটেলনি, ইউক্রেন: আ হিস্ট্রি।
২০০১ ভিক্টর ইউশচেনকো প্রতিষ্ঠা করলেন আওয়ার ইউক্রেন পার্টি।
২০০৪ ইউক্রেনে রুশপন্থী ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ প্রেসিডেন্ট ঘোষিত হলেন, কিন্তু ব্যাপক নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ উঠল।কমলা বিপ্লব সংঘটিত। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন পশ্চিমপন্থী ভিক্টর ইউশশেঙ্কো।
২০০৮ ন্যাটো ইউক্রেনকে প্রতিশ্রুতি দিল একদিন দেশটিকে সামরিক জোটটির অংশ করে নেয়া হবে।
২০১০ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ।
২০১৪ ইউক্রেনে মাইদান বিপ্লব।
ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৭০+ আন্দোলনকারী খুন। প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ রাশিয়ায় পালিয়ে গেলেন। ক্ষমতায় এল বিরোধীরা।
মার্চ রুশ বাহিনী ক্রিমিয়া দখল করে নিল।
এপ্রিল রুশ মদতপুষ্ট বিদ্রোহীরা দনবাস অঞ্চলের লুহানস্ক আর দনেৎস্ক অঞ্চলগুলো দখল করে নিল, প্রতিক্রিয়া ইউক্রেন সেনাবাহিনী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল।*
* দনবাস যুদ্ধে ২০১৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৫,০০০এরও বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।
মে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হলেন পেত্রো পোরোশেঙ্কো।
২০১৫ সেরহি প্লখি, দ্য গেটস অফ ইওরোপ: আ হিস্ট্রি অফ ইউক্রেন।
২০১৭ ইওরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হল ইউক্রেন, ইউক্রেনীয়রা ইইউভুক্ত দেশগুলোতে ভিসাহীনভাবে ভ্রমণ করার অধিকার পেল।
অ্যান আপলবম, রেড ফেমিন: স্তালিনস ওয়ার অন ইউক্রেন।
২০১৮ ইয়ুলিয়া ইয়ুরশেনকো, ইউক্রেন অ্যান্ড দ্য এম্পায়ার অফ ক্যাপিটাল: ফ্রম মার্কেটাইজেশন টু আর্মড কনফ্লিক্ট।
২০১৯ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হলেন সাবেক কৌতুকাভিনেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি।
২০২১ ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে ইউক্রেনকে ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত করে নেয়ার আহবান জানালেন।
২০২২ ফেব্রুয়ারি ২৪ রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাল, ইউক্রেন যুদ্ধের সূচনা।
২০২৪ ডিসেম্বর এ সময় নাগাদ ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত বেসামরিক নাগরিকদের সংখ্যা ১২০০০য়ের কিছু বেশি।
ইয়ারোস্লাভ ত্রফিমভ, আওয়ার এনিমিজ উইল ভ্যানিশ: দ্য রাশিয়ান ইনভ্যাশন অ্যান্ড ইউক্রেনস ওয়ার অফ ইন্ডিপেন্ডেন্স।
তথ্যসূত্র
সেন, সত্যেন। ২০১৮। মহাবিদ্রোহের কাহিনী। দশম প্রকাশ। ঢাকা: মুক্তধারা।
BBC. 2020. “Ukraine profile – Timeline.” BBC, March 5.
https://www.bbc.com/news/world-europe-18010123
Cooper, Catherine W.. 2007. Ukraine. 2nd ed. New York: Chelsea House.
Kubicek, Paul. 2008. The History of Ukraine. Westport, Connecticut: Greenwood Press.
Reuters. 2022. “Timeline: The events leading up to Russia’s invasion of Ukraine.” Reuters, March 1.
https://www.reuters.com/world/europe/events-leading-up-russias-invasion-ukraine-2022-02-28/
Statista. 2022. “Topic: Russia-Ukraine War 2022.” Accessed February 21, 2025.
https://www.statista.com/topics/9087/russia-ukraine-war-2022/.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি