অস্ট্রিয়া

Spread the love

Featured Image: বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ.

সাল

৮০০ পোপ তৃতীয় লিও শার্লামেইনের মাথায় পরিয়ে দিলেন পবিত্র রোমক সাম্রাজ্যের মুকুট।

৮০০-১৮০৬ পবিত্র রোমক সাম্রাজ্য।*
* লাতিনে এর আনুষ্ঠানিক নাম ছিল Sacrum Imperium Romanum Nationis Germanicae আর জর্মনে Heiliges Römisches Reich Deutscher Nation

১২৭৮ মার্চফিল্ডের যুদ্ধ, বোহেমিয়ার রাজা দ্বিতীয় অটোকারকে হারিয়ে স্টিরিয়া ও অস্ট্রিয়ার ডাচি জয় করলেন জার্মানির হাপসবুর্গ শাসক প্রথম রুডলফ।

১২৯৯-১৯২২ ওসমানি সুলতানশাহি

১৩০১-১৫০০ অস্ট্রিয়ার ডাচির প্রতিবেশী রাজ্যগুলো হাপসবুর্গের হস্তগত হল।

১৫২৬ মোহাকসের যুদ্ধ, ওসমানি সুলতানশাহির হাতে পরাজিত হলেন হাঙ্গেরির রাজা।

১৫২৯ প্রথম সিয়েজ অফ ভিয়েনা, ওসমানি সুলতানশাহি সেপ্টেম্বর ২৭ থেকে অক্টোবর ১৫ পর্যন্ত ভিয়েনা অবরুদ্ধ করে রাখেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দখল করতে ব্যর্থ হয়।*
* ইওরোপীয়রা ওসমানিদের এই নিতান্তই সাম্রাজ্যিক অভিলাষকে ‘খ্রিস্টীয় ইওরোপের বিরুদ্ধে মুসলমানদের’ যুদ্ধ হিসেবে দেখলেন। আজকের ইওরোপে উগ্রডানপন্থীরা মুসলিম অভিবাসনকে ঘিন্না করেন, যে ঘিন্নাকে ওসমানি আমলে হওয়া – বাস্তব ও কাল্পনিক – অত্যাচারের দোহাই দিয়ে জায়েজ করা হয়। সার্ব বর্ণবাদী জাতীয়তাবাদী নেতা স্লোবোদান মিলোসেভিচ যখন বসনিয়াকদের (বসনীয় মুসলমানদের) ওপর গনহত্যা চালিয়েছিলেন তখনও ইতিহাসের দোহাই দিয়েছিলেন।

১৬৮৩ দ্বিতীয় সিয়েজ অফ ভিয়েনা, হাপসবুর্গদের রাজধানী ভিয়েনা দ্বিতীয়বারের মত অবরুদ্ধ করে ওসমানি সুলতানশাহি। জুলাই ১৪ থেকে সেপ্টেম্বর ১২ পর্যন্ত চলা যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় তারা। এই যুদ্ধে ওসমানি সুলতানশাহি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়, যা আখেরে মেয়াদে তাঁদের পতনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

১৭১৩ দ্য প্র্যাগমেটিক স্যাংশন, পবিত্র রোমক সম্রাট ষষ্ঠ চার্লস একটা ফরমান জারি করলেন। তাতে বলা হল, হাপসবুর্গ রাজ্যগুলো যেন অবিভক্ত অবস্থায় তাঁর কন্যা মারিয়া তেরেসা পান সেটা নিশ্চিত করা হবে। এর অন্তর্গত ছিল অস্ট্রিয়ার আর্চডাচি, হাঙ্গেরি রাজ্য, ক্রোয়েশিয়া রাজ্য, বোহেমিয়া রাজ্য, মিলানের ডাচি, নেপলস রাজ্য, সার্ডিনিয়া রাজ্য, এবং অস্ট্রীয় নেদারল্যান্ডস।

১৭৯২-১৮১৫ প্রথমে বিপ্লবী ফ্রান্স আর তারপর নেপোলিয়ানের ফ্রান্সের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল অস্ট্রিয়া।

১৮০৪ অস্ট্রিয়া সাম্রাজ্য ঘোষণা করা হল।

১৮০৬ পবিত্র রোমক সাম্রাজ্য বিলুপ্ত করে দেয়া হল।

১৮১৪-১৫ কংগ্রেস অফ ভিয়েনা

১৮৬৬ অস্ট্রো-প্রুশীয় যুদ্ধ

১৯০৮ তুরস্কের তরুণ তুর্কি বিপ্লবের ধারাবাহিকতায়, কাগজেকলমে ওসমানি সুলতানশাহির অংশ বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাকে নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করে নিল অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি।

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।*
* অস্ট্রিয়ার আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্দ সারায়েভোতে জনৈক বসনীয় সার্ব ছাত্র গাভরিলো প্রিন্সিপের আততায়ী হামলায় খুন হওয়ার ভেতর দিয়ে এই যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯১৮ হাপসবুর্গ সাম্রাজ্যের অবসান।

১৯১৯ সাঁ জার্মানের চুক্তিতে অস্ট্রিয়ার সীমানা নির্ধারিত হল।

১৯২০ একটি নতুন সংবিধান গঠন করল অস্ট্রিয়া প্রজাতন্ত্র।

১৯৩৩ প্রজাতন্ত্রের অবসান। চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলবার্ট ডলফুস সংসদ স্থগিত করলেন। একটি স্বৈরাচারী সরকার প্রতিষ্ঠা করলেন।

১৯৩৪ সমাজতন্ত্রীদের অভ্যুত্থান দমন করল অস্ট্রিয়া সরকার, দ্য ফাদারল্যান্ড ফ্রন্ট ছাড়া সকল রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করা হল।

জুলাই অস্ট্রীয় নাৎসিদের ক্যুদেতা প্রচেষ্টার প্রেক্ষিতে নাৎসি ষড়যন্ত্রীদের কারাগারে নিঃক্ষেপ করা হল। গুপ্তঘাতকদের হাতে খুন হলেন চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলবার্ট ডলফুস, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন কুর্ট ফন শুসনিগ।

১৯৩৬ অস্ট্রিয়া নিজেকে একটি “জার্মান রাজ্য” ঘোষণা করল।

১৯৩৮ আনশলুস, অস্ট্রিয়াকে নাৎসি জার্মানির অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হল।

১৯৩৯-৪৫ নাৎসিদের নেতৃত্বে পূর্ব রণাঙ্গনে লড়াই করছে অস্ট্রীয়রা।

১৯৪৫ সোভিয়েত সেনারা ভিয়েনাকে মুক্ত করল। ইঙ্গ, ফরাসি, মার্কিন, ও সোভিয়েত দখলদারিত্বে অস্ট্রিয়া। নির্বাচনে পিপলস পার্টি ও সোশালিস্ট পার্টির জোট জয়লাভ করল।

১৯৪৬-৪৭ ডিনাজিফিকেশন আইন পাশ ও রাষ্ট্র সংস্কারের সূচনা।

১৯৪৯ সাবেক নাৎসিদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হল।

১৯৫৫ অস্ট্রিয়াকে পশ্চিমা ব্লক আর সোভিয়েত ব্লকের মধ্যে একটি বাফার জোন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হল। ঠিক হল অস্ট্রিয়া স্বাধীন ও নিরপেক্ষ থাকবে। জাতিসংঘে যোগ দিল অস্ট্রিয়া।

১৯৭০ সরকার গঠন করলেন চ্যান্সেলর ব্রুনো ক্রিয়েস্কি।

১৯৮৬ বিতর্ক সত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সাবেক নাৎসি ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কুর্ট ওয়াল্ডহেইম।

১৯৯৫ জানুয়ারি ১ ইওরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদান করল অস্ট্রিয়া।

১৯৯৯ অক্টোবর জাতীয় নির্বাচনে ২৭ শতাংশ ভোট পেয়ে রক্ষণশীল পিপলস পার্টির সাথে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল উগ্রডানপন্থী ফ্রিডম পার্টি।

২০০০ ফেব্রুয়ারি/মার্চ ফ্রিডম পার্টির সাথে জোট সরকার গঠন করল পিপলস পার্টি। ব্যাপক আন্তর্জাতিক নিন্দা। অস্ট্রিয়ার ওপর কূটনৈতিক অবরোধ আরোপ করল ইইউ।

২০০০ সেপ্টেম্বর অস্ট্রিয়ার ওপর থেকে কূটনৈতিক অবরোধ তুলে নিল ইইউ।

২০০১ জানুয়ারি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নাৎসিরা যেসব অস্ট্রীয় ইহুদির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল, তাঁদেরকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৩৬০ মিলিয়ন ডলার প্রদানের চুক্তি সাক্ষরিত হল।

নভেম্বর তেমলিন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিরোধ নিরসনের উদ্যোগ নিল অস্ট্রিয়া ও চেক সরকার।

২০০৩ অক্টোবর অস্ট্রিয়ায় একগুচ্ছ রাজনৈতিক আশ্রয় আইন প্রবর্তিত হল।

২০০৫ এপ্রিল ফ্রিডম পার্টি থেকে বেরিয়ে আসলেন জর্গ হাইডের। গঠন করলেন অ্যালায়েন্স ফর দ্য ফিউচার অফ অস্ট্রিয়া (Bündnis Zukunft Österreich: BZÖ)।

মে ইওরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সংবিধান অণুসমর্থন করল অস্ট্রিয়ার সংসদ।

২০০৬ নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে জয়লাভ করল সোশাল ডেমোক্র্যাটরা।

২০০৮ এপ্রিল জোসেফ ফ্রিৎজলের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভ সৃষ্টি করল।*
* ফিৎজল তাঁর কন্যাকে একটি সেলারে ২৪ বছর আটকে রেখেছিলেন। এসময় তিনি কন্যার ওপর যৌন নির্যাতন চালান এবং নিজ কন্যার সন্তানের পিতা হন। ঘটনাটির প্রতিক্রিয়ায় দেশটিতে যৌন নির্যাতন ঠেকাতে কঠোরতর আইন বানানোর পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়।

অক্টোবর এক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হলেন জর্গ হাইডের।

ডিসেম্বর সোশাল ডেমোক্র্যাটদের সাথে জোট সরকার গঠন করল পিপলস পার্টি।

২০১১ জুলাই ভিয়েনায় সাম্রাজ্যিক সমাধিগৃহে কবরস্থ হলেন অস্ট্রিয়ার শেষ যুবরাজ অটো ফন হাপসবুর্গ।

২০১৩ জানুয়ারি গণভোটে বাধ্যতামূলক সামরিক সার্ভিসের পক্ষে ভোট দিলেন অস্ট্রীয়রা।

২০১৫-১৬ সিরীয় অভিবাসী সংকটের ঢেউ অস্ট্রিয়াকেও স্পর্শ করল।

২০১৭ জানুয়ারি ইশকুল, আদালত, এবং অন্যান্য জনপরিসরে নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ব্যাপারে অস্ট্রিয়ার ক্ষমতাসীন জোটের দলগুলো একমত হল।

অক্টোবর উগ্রডানপন্থী ফ্রিডম পার্টির সাথে জোট সরকার গঠন করল রক্ষণশীল পিপলস পার্টি, চ্যান্সেলর হলেন সেবাস্তিয়ান কুর্জ।

২০১৯ মে উগ্রডানপন্থীদের সাথে রক্ষণশীলদের জোট ভেঙে গেল।

২০২০ জানুয়ারি গ্রিন পার্টির সাথে জোট সরকার গঠন করল পিপলস পার্টি।

নভেম্বর সশস্ত্র ইসলামপন্থী বন্দুকধারীদের গুলিতে মধ্য ভিয়েনায় খুন হলেন ৪ ব্যক্তি।

তথ্যসূত্র

BBC. 2023. “Austria country profile.” BBC, April 14.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17405422
2020. “Austria profile – Timeline.” BBC, January 8.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17431408

European Union. n.d. “Austria – EU Country Profile | European Union.” Accessed February 20, 2025. https://european-union.europa.eu/principles-countries-history/eu-countries/austria_en

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশবাতিঘর বইবাজারবইয়ের দুনিয়াবইফেরীবুক হাউজওয়াফিলাইফ রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *