গ্রিস

Spread the love

Featured Image: বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ.

পূর্বসাল

৩৫০০ ক্রিটসহ ইজিয়ান সাগরের অন্যান্য দ্বীপে মিনোয়ান সভ্যতা, যা ১১০০ পূর্বসাল পর্যন্ত টিকে ছিল।*
* দ্বিতীয় সহস্রাব্দে মিনোয়ান সভ্যতার ব্যাপক সমৃদ্ধি ঘটে। প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য থেকে জানা গেছে, এই সভ্যতার নসোসের মত শহরগুলো অত্যন্ত ধনশালী ছিল। মিনোয়ান সভ্যতা ছিল এক উঁচুমাত্রায় বিকশিত সভ্যতা।

২০০০ গ্রিক গোষ্ঠীগুলো দক্ষিণপূর্ব ইওরোপের দিকে সরে আসে।

১৮০০ এ সময় নাগাদ মিনোয়ান সভ্যতা ভূমধ্যসাগরের সবচে শক্তিশালী নৌশক্তিতে পরিণত হয়।

১৭৫০ আনুমানিক এ সময় মাইসেনীয় সভ্যতার সূচনা ঘটে, যা ১০৫০ পূর্বসাল পর্যন্ত টিকে ছিল।

১৬৫০ একটা ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ভূমধ্যসাগরের পুবদিকের সংস্কৃতিগুলোর মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হল।

১৫০০-১৪০১ মিনোয়ানদের সাফল্যই, প্যারাডক্সিকালি, তাদের পতন ডেকে আনে। সভ্যতাটির কৌশলগত অবস্থান আর বিপুল ধনসম্পদ দেখে অনেক বহিঃশক্তিরই চোখ টাটাতে শুরু করে। এরকমই একটি গ্রিক গোষ্ঠী ছিল মাইসেনীয়রা, যাদের হাতে এই শতাব্দীর মাঝামাঝি কোনো সময়ে মিনোয়ান সভ্যতার পতন হয়।

১৩৩৪ সামোসের ডুরিসের মতে, ট্রয় যুদ্ধ ঘটার বছর।

১২৫০ হেরোডোটাসের মতে, ট্রয় যুদ্ধ ঘটার বছর।

১১৮৪ এরাতোস্থেনেসের মতে, ট্রয় যুদ্ধ ঘটার বছর।

১১০০-৯০০ হোমারীয় যুগ, গ্রিসে ডোরীয় গ্রিক গোষ্ঠীগুলোর বসতি স্থাপন সম্পন্ন। এটা একটা বৃহত্তর অভিবাসনের ফল ছিল, যার চেইন রিএকশন মধ্যপ্রাচ্য আর মিসরের মত দূরবর্তী অঞ্চলগুলোকেও স্পর্শ করেছিল। বাইবেলে এই ঘটনাটির বর্ণনা পাওয়া যায়, যেখানে এটিকে ফিলিস্তিনের উপকূলে বসতি স্থাপনকারী “সমুদ্রবাসীদের আগ্রাসন” হিসেবে দেখে হয়েছে।*

১০০০ অ্যাটিকা শহরের পত্তন।

৯০০-৭০০ গ্রিসে স্থবিরতার কাল

৮০০-৭০০ মহাকবি হোমার এ সময়ই লিখছেন ইলিয়াডওডিসি।*
* ইজিয়ান পারের শহর স্মিরনায় জন্মেছিলেন হোমার, আজকে অবশ্য শহরটি তুর্কি নামে পরিচিত: ইজমির

৭৭৬ প্রাচীন গ্রিসের প্রথম অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হল।

৭০০-৬০১ গ্রিকরা ভূমধ্যসাগর অঞ্চল ও তা পেরিয়ে গিয়ে অন্যত্রও উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করল। পরবর্তী দুই শতাব্দী ধরে এসব অঞ্চলের নানান জনগোষ্ঠী হেলেনীয় সংস্কৃতির প্রভাবে আসবে। ইওরোপের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত হেলেনীয় সংস্কৃতির ছাতার নিচে একটা বিশ্বনাগরিকতাবাদী জীবনযাপন দেখা দিল।

৬৬৭ গ্রিসের মূল ভূখণ্ড থেকে যাওয়া উপনিবেশিকরা বসফরাস প্রণালির ইওরোপীয় অংশে একটি বসতি স্থাপন করলেন। তাঁরা বসতিটির নাম রাখলেন বাজনাতিন। শহরটি পরবর্তীতে যথাক্রমে কন্সটান্টিনোপল ও ইস্তানবুল নামে পরিচিত হবে, যা আজকের দিনের তুরস্কে অবস্থিত।

৬২০ এথেন্সে এ সময়ই প্রবর্তিত হয় দ্রাকোনের আইন। এই আইনগুলো ছিল ভয়াবহ রকমের কঠোর, ধনীদের বাগানের আঙুর পাড়ার শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। ইংরেজিতে “ড্রাকোনিয়ান ল” বলতে যে কালাকানুন বোঝায়, তার মূলে আছে এই দ্রাকোনের আইন।

৬০০-৫০১ মিলেতুস আর আয়োনিয়া বিজ্ঞানচর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়।

৫৯৪ “গণতন্ত্রের জনক” সোলোন এথেন্সের শাসনকর্তা নির্বাচিত হলেন। নানাপ্রকার সংস্কার করলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কীর্তি চাষীদের ঋণ মকুব করা।

৫৫০-৫০১ কৃষ্ণসাগর আর ইজিয়ান সাগরের তীরে কিছু গ্রিক উপনিবেশ গড়ে ওঠে।

৫০০-৪০১ পেরিক্লিসের স্বর্ণযুগ

৪৯৭ গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিজের জন্ম।

৪৯০ ম্যারাথনের যুদ্ধ, পারসিক দখলদারদের পরাস্ত করে গ্রিকরা। পরে সালামিসের যুদ্ধেও তারা পারসিকদেরকে হারায়। ইওরোপের মাটি থেকে পারসিকদেরকে চিরতরে তাড়িয়ে দেয়।

৪৭০ বিজ্ঞানী দেমোক্রিতোস আনুমানিক এ বছর জন্মলাভ করেন, আনুমানিক ৪০০ পূর্বসালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি অণুর ধারনা প্রবর্তন করার জন্য বিখ্যাত। দার্শনিক সক্রেটিসের জন্মও আনুমানিক এই বছরই।

৪৬০ অলিম্পিয়ায় জিউসের মন্দিরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হল।

৪৫০ ইতিহাসের জনক হেরোদোতোস এ সময়ের কাছাকাছি কখনো রচনা করেন তাঁর গ্রিস-পারস্য যুদ্ধের ইতিহাস

৪৪৭-৩২ এথেন্সে পার্থেননসহ অ্যাক্রোপলিসের নির্মাণ কাজ শেষ হল।

৪৩১-৪০৪ স্পার্টা আর এথেন্সের মধ্যে পেলোপনেসীয় যুদ্ধ, এই যুদ্ধ শেষ হয় স্পার্টার বিজয় ও এথেনীয় সাম্রাজ্যের অবসানের মাধ্যমে।

৪৩০ সফোক্লিজ, ইদিপাস রেক্স

৪২৭ দার্শনিক প্লেটোর জন্ম।

৪০৭ প্লেটো সক্রেটিসের একজন শিষ্যে পরিণত হলেন।

৪০৬ নাট্যকার সফোক্লিজের মৃত্যু।

৩৯৯ সক্রেটিসের বিচার ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।

৩৮৭ প্লেটো তাঁর বিখ্যাত একাডেমি খুললেন।

৩৮৪ দার্শনিক আরিস্তোতলের জন্ম।

৩৬৭ একাডেমিতে ক্লাস করতে এলেন আরিস্তোতল।

৩৫৬-২৩ ম্যাকিদোনিয়ার সেকান্দার শার রাজত্বকাল।

৩৪৭ গ্রিক দার্শনিক প্লেটোর মৃত্যু।

৩৪৩ সেকান্দার শার শিক্ষক নিযুক্ত হলেন দার্শনিক আরিস্তোতল, ৩৩৯ সাল পর্যন্ত গুরুগিরি করবেন তিনি।

৩৪১ গ্রিক দার্শনিক এপিকিউরাসের জন্ম।

৩৩৮ কাইরোনিয়ার যুদ্ধ, নিভে গেল গ্রিক সভ্যতার আলো।

৩৩৫ দার্শনিক জেনোর জন্ম। এ বছরই লাইসিয়াম খোলেন আরিস্তোতল।

৩২৪ এথেন্সে এলেন এপিকিউরাস।

৩২৩ সেকান্দার শার মৃত্যু।

৩২২ দার্শনিক আরিস্তোতলের মৃত্যু।

৩১৬ এথেন্সে এলেন জেনো।

৩০৭ এপিকিউরাস এথেন্সে তাঁর ইশকুল খুললেন।

৩০০ জেনো এথেন্সে তাঁর ইশকুল খুললেন। ইউক্লিড, এলিমেন্টস

২৭০ গ্রিক দার্শনিক এপিকিউরাসের মৃত্যু।

২৬৪ গ্রিক দার্শনিক জেনোর মৃত্যু।

২০০ গ্রিক পণ্ডিত এরাতোস্থেনেস জিওগ্রাফি শব্দটা ব্যবহার করলেন, যার আক্ষরিক অর্থ: “ভূমির ব্যাপারে লেখা”।

২০০-১০১ এ সময় নাগাদ গ্রিস তার গৌরব হারিয়ে রোমক সাম্রাজ্যের এক মামুলি প্রদেশে পরিণত হয়।

৬ পূর্বসাল – ৩০ সাল বর্তমান ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে জন্ম নেয়া খ্রিস্টধর্মের প্রাণকেন্দ্র জেসাস ক্রাইস্টের জীবনকাল।

সাল

৩৩০ প্রাচীন গ্রিক শহর বাইজান্টিয়ামে একটি নতুন খ্রিস্টান শহর নির্মাণ করলেন কনস্টান্টাইন। নাম দিলেন কনস্টান্টিনোপল।* নবগঠিত শহরটিকে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী করা হল।**
* বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল।
**  আজকে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য আর পূর্ব রোমক সাম্রাজ্য পদ দুটি সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এটা মনে রাখা দরকার, পূর্ব রোমক সাম্রাজ্যের নাগরিকরা নিজেদেরকে রুমি বিবেচনা করতেন। গ্রিক ভাষায় কথা বললেও আচারব্যবহারে রুমি ছিলেন। তারা কখনোই নিজেদের মাতৃভূমিকে বাইজেন্টাইন বলেননি। কিন্তু অতিকথা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে বাইজেন্টাইন। শব্দটি ব্যবহারিক কারণে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। আজ আর এই ভুল শোধরানো সম্ভব নয়।

১০৫৪ খ্রিস্টীয় চার্চ পুব পশ্চিমে ভাগ হয়ে গেলে গ্রিস পূর্ব অর্থোডক্স চার্চের অন্তর্ভুক্ত হল।

১২৯৯-১৯২২ ওসমানি সুলতানশাহি

১৪৫৩ ফাতিহ সুলতান মেহমেতের হাতে কন্সটান্টিনোপলের পতন ঘটে। এতে এশিয়া মাইনর ও বলকানে সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ওসমানি সুলতানশাহি। এসময় ওসমানিরা গ্রিস দখল করে নেয়।

১৮২১-২৯ ওসমানি সুলতানশাহির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গ্রিকদের স্বাধীনতালাভ।

১৮৩০-৩৯ গ্রিসের জাতীয় সংসদ হেলেনিক পার্লামেন্ট গঠিত হল।

১৮৩১ স্বাধীন গ্রিসের প্রথম রাজা হলেন বাভারিয়ার রাজকুমার অটো।

১৮৬৩ রাজা অটোকে ক্ষমতাচ্যুত করা হল, গ্রিকদের নতুন রাজা ডেনমার্কের প্রিন্স উইলিয়াম।

১৮৯৪-১৯২৪ ৩০ বছর ধরে প্রথমে ওসমানি সুলতানশাহি, তারপর তরুণ তুর্কি, ও শেষে দুনিয়াবি প্রজাতন্ত্রীরা তুরস্কের সংখ্যালঘু অ্যাসিরীয়, আরমানি, ও গ্রিক খ্রিস্টানদের ওপর এক ভয়াবহ ও পদ্ধতিগত গণহত্যা চালায়। আরমানি গণহত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটা ছিল এই বৃহত্তর গণহত্যার একটি অংশ। (Morris & Ze’evi 2019)

১৮৯৬ এথেন্সে প্রথমবার আধুনিক অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হল।

১৯০১ থেসালোনিকির পোতাশ্রয়ের উদ্বোধন।

১৯১২-১৩ প্রথম বলকান যুদ্ধ, ওসমানি সুলতানশাহির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামল বলকান লীগ (গ্রিস, বুলগারিয়া, সার্বিয়া, মন্টেনেগ্রো)। যুদ্ধে বলকান লীগ জেতে। এই যুদ্ধে ওসমানিদের কাছ থেকে গ্রিকরা লাভ করে ক্রিট, এপিরুস, ম্যাকিদোনিয়া, ও উত্তর ইজিয়ান সাগর।

১৯১৩ দ্বিতীয় বলকান যুদ্ধ, বুলগারিয়ার বিরুদ্ধে গ্রিস আর সার্বিয়া যুদ্ধে নামে, ওসমানি সুলতানশাহি স্বতন্ত্রভাবে বুলগারিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। যুদ্ধে বুলগারিয়া হারে। এই যুদ্ধে বুলগারদের কাছ থেকে গ্রিকরা লাভ করে পশ্চিম থ্রেস।

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

১৯১৪ গ্রিস মিত্রশক্তির পক্ষে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেয়।

১৯১৯-২২ গ্রিস তুরস্ক যুদ্ধ। যুদ্ধে গ্রিকরা পরাজিত হয়। তাদের ইওরোপীয় মিত্ররা আনাতোলিয়া ছেড়ে পালিয়ে যায়।

১৯২২ স্মিরনা হত্যাযজ্ঞ

১৯২৩ লসানে চুক্তির মধ্য দিয়ে গ্রিস থেকে তুর্কি আর তুরস্ক থেকে গ্রিকদেরকে জোরপূর্বক অভিবাসিত করার ভিত্তি স্থাপিত হয়।

১৯২৪ গ্রিকরা রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করার পক্ষে ভোট দিলেন; আর এর মধ্য দিয়ে, গ্রিস আনুষ্ঠানিকভাবে একটি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হল।

১৯৩৫ গ্রিসে রাজতন্ত্র পুনর্বহাল।

১৯৩৬ সেনাপতি আয়োআনিস মেটাজাস একটি ডানপন্থী একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেন।

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৪০ ইতালীয় ফ্যাশিস্ত বেনিতো মুসোলিনির বাহিনীগুলো ইতালি অধিকৃত আলবানিয়া থেকে গ্রিসে আক্রমণ করে, কিন্তু তাদেরকে রুখে দেয়া হয়।

১৯৪১ সেনাপতি মেটাজাসের মৃত্যু। জার্মান নাৎসিরা গ্রিস দখল করে নিল। অধিকৃত গ্রিসে দুর্ভিক্ষে ১ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারালেন।

১৯৪২-৪৪ নাৎসিদের বিরুদ্ধে গ্রিকরা ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তুললেন। প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে একটা অংশ ছিলেন রাজতন্ত্রী। আরেকটা অংশ কমিউনিস্ট।

১৯৪৪ ব্রিটিশ আর গ্রিক বাহিনীগুলোর সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে নাৎসিরা গ্রিস ছেড়ে যেতে বাধ্য হল। ব্রিটিশদের সহায়তায় গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী হলেন জর্জিয়াস পাপেনদ্রেউ। কমিউনিস্টরা প্রতিবাদ জানালে দেশটিতে সংঘাত দেখা দেয়।

১৯৪৬ গ্রিসের জাতীয় নির্বাচনে রাজতন্ত্রীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জেতেন।

১৯৪৬-৪৯ গ্রিসে কমিউনিস্ট আর রাজতন্ত্রীদের মধ্যে গৃহযুদ্ধ, যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কমিউনিস্টরা হেরে যায়। এসময় তুরস্ক ছাড়া দেশটির বাকি সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রে কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করে। স্নায়ুযুদ্ধের পুরোটা কালপর্ব জুড়ে গ্রিস ছিল দক্ষিণপশ্চিম ইওরোপের একমাত্র অকমিউনিস্ট শাসিত দেশ।

১৯৫২ গ্রিসে একটি নতুন সংবিধান গৃহীত হল। এতে বলা হল, গ্রিস একটি রাজত্ব, যা সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে। এ বছরই দেশটি ন্যাটোতে যোগদান করে।

১৯৫৫ গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী হলেন কন্সটান্টিনোস কারামানলিস।

১৯৬৪ গ্রিসের নতুন রাজা হলেন দ্বিতীয় কন্সটান্টাইন।

১৯৬৭ গ্রিক সেনাবাহিনীর একদল ডানপন্থী কর্মকর্তা রাজা দ্বিতীয় কন্সটান্টাইনকে এক ক্যুদেতার মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে। কর্নেল জর্জ পাপাদোপোলুস দেশটির প্রধানমন্ত্রী হলেন। শত শত রাজনৈতিক কর্মী জেলজুলুমের শিকার হলেন।

১৯৭৩ রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে দিয়ে গ্রিসকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হল। জর্জ পাপাদোপোলুস প্রেসিডেন্ট হলেন। এক রক্তপাতহীন ক্যুদেতার মধ্য দিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করলেন সামরিক পুলিশের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল দেমেত্রিওস আয়োনিডিস।

১৯৭৪ অবশেষে দেমেত্রিওস আয়োনিডিস সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে গ্রিসে ডানপন্থী সামরিক একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটল।

১৯৭৫ নতুন সংবিধান গ্রিসকে সংসদীয় প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করল, তবে কিছু নির্বাহী ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতে রেখে দেয়া হল।

১৯৮১ গ্রিস ইওরোপীয় ইকোনমিক কমিউনিটিতে (ইইসি) যোগদান করে, পরবর্তীতে যার পুনঃনামকরণ হয় ইওরোপীয় ইউনিয়ন। দেশটিতে প্রথমবারের মত নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসল আন্দ্রিয়াস পাপানদ্রিউর প্যানহেলেনিক সোশালিস্ট মুভমেন্ট (পাসোক)। পরবর্তী দুই দশক ধরে পাসোকই ছিল গ্রিসের সবচে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল।

১৯৮৭ ইউনেস্কো ডেলফিকে বিশ্ব ঐতিহ্য সাইট ঘোষণা করল।

১৯৯০ গ্রিসে কন্সটান্টাইন মিতসোতাকিসের নেতৃত্বে সরকার গঠন করল মধ্য-ডানপন্থী নিয়া দেমোক্রাতিয়া পার্টি।

১৯৯১ গ্রিস আর ম্যাকিদোনিয়ার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটল।

১৯৯৫ ম্যাকিদোনিয়ার সাথে গ্রিসের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকৃত করা হল।

১৯৯৯ এথেন্সে রিখটার স্কেলে ৫.৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হল। এতে ১৫০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে। ৩৫,০০০ ঘরবাড়ি ধবংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২০০০ জানুয়ারি ১ শেনগেন জোনে যোগ দিল গ্রিস।

২০০১ গ্রিস ইওরোজোনে প্রবেশ করল। এ বছর পর্যন্ত গ্রিসের মুদ্রা ছিল দ্রাখমা। আনুষ্ঠানিকভাবে মুদ্রা পরিবর্তন করে ইওরো গৃহীত হল।

২০০৪ গ্রিসের জাতীয় নির্বাচনে জিতল নিয়া দেমোক্রাতিয়া পার্টি। এ বছরই এথেন্সে অনুষ্ঠিত হয় গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস।

২০০৫ থেসালোনিকির নিকটবর্তী আথোস পাহাড়, যা গ্রিক অর্থোডক্স চার্চের অনুসারীদের একটি তীর্থক্ষেত্র, পরিদর্শন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

২০০৬ এ সময় নাগাদ গ্রিসের থ্রেস অঞ্চলে জাতিগত সংখ্যালঘু হিসেবে বাস করছেন প্রায় ১০০,০০০ তুর্কি। আরেক জাতিসংঘ সংখ্যালঘু আলবানীয়দের সংখ্যা ৫ লাখ। গ্রিসের জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশই গ্রিক, এবং উগ্র জাতীয়তাবাদী আবেগের কারণে গ্রিস রাষ্ট্র এই তুর্কি ও আলবানীয়দের হয় উপেক্ষা করে আর না হয় গ্রিক বলে চালিয়ে দেয়।

২০০৯ গ্রিসের ঋণ সংকট শুরু, নজিরবিহীন অর্থনৈতিক বিপর্যয়।

২০১৩ গ্রিসে তরুণদের বেকারত্বের হার ৬০ শতাংশে পৌঁছাল।

২০১৫ গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন সাইরিজার অ্যালেক্সিস সিপ্রাস। ইইউয়ের বেইলআউট শর্তাবলীর পক্ষেবিপক্ষে গণভোট ডাকা হল। অধিকাংশ ভোটার বেইলআউট শর্তাবলীর বিপক্ষে ভোট দিলেন।

২০১৭ ইয়ানিস ভারুফাকিস, অ্যাডাল্টস ইন দ্য রুম: মাই ব্যাটেল উইদ দ্য ইওরোপিয়ান অ্যান্ড আমেরিকান ডিপ এস্টাবলিশমেন্ট

২০১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রিসে অর্থনৈতিক বর্ধনশীলতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসতে শুরু করায় ক্রেডিট রেটিংস সংস্থা ফিচের মূল্যায়নে দেশটির উন্নতি ঘটল।

জুন ম্যাকিদোনিয়ার আনুষ্ঠানিক নাম নিয়ে গ্রিস আর ম্যাকিদোনিয়ার মধ্যে ২৭ বছর ধরে যে বিবাদ চলে আসছিল, দেশ দুটি এক ঐতিহাসিক চুক্তি সই করার মধ্য দিয়ে তার অবসান ঘটাল।

২০১৯ জুলাই গ্রিসে নির্বাচনে মধ্য-ডানপন্থী নিয়া দেমোক্রাতিয়া পার্টির ভূমিধবস বিজয়, দেশটির প্রধানমন্ত্রী হলেন কিরিয়াকস মিতসোতাকিস।

ইয়ানিস ভারুফাকিস, টকিং টু মাই ডটার: আ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ ক্যাপিটালিজম

ভ্যান লিংই, ক্লিফস অফ ফ্রিডম

২০২১ গ্রিগরিস কারান্তিনাকিস, স্মিরনা

২০২৩ ইয়ানিস ভারুফাকিস, টেকনোফিউডালিজম: হোয়াট কিলড ক্যাপিটালিজম

তথ্যসূত্র

করোভকিন, ফিওদর। ১৯৮৬। পৃথিবীর ইতিহাস: প্রাচীন যুগ। দ্বিতীয় সংস্করণ। মূল রুশ থেকে হায়াৎ মামুদ কর্তৃক অনূদিত। মস্কো: প্রগতি প্রকাশন।

BBC. 2022. “Greece profile – Timeline.” BBC, November 28.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17373216

European Union. n.d. “Greece – EU Country Profile | European Union.” Accessed February 24, 2025.
https://european-union.europa.eu/principles-countries-history/eu-countries/greece_en

Johnston, Derek. 2017. A Brief History of Philosophy: From Socrates to Derrida. New Delhi: Bloomsbury.

Morris, Benny, and Ze’evi, Dror. 2019. The Thirty-Year Genocide: Turkey’s Destruction of Its Christian Minorities, 1894-1924. Cambridge, Massachusetts: Harvard University Press.

Pavlovi´c, Zoran. 2006. Greece. New York: Chelsea House.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *