Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Image: Perry-Castañeda Library Map Collection, The University of Texas at Austin.

পূর্বসাল

৩৫০০-২২০০ প্রাচীন আর্মেনিয়ার শ্নাজাভিতে দেশটির আদিতম বাসিন্দাদের বসতিস্থাপন।

৩৫০০-১০০০ নিকট প্রাচ্যে হুররীয় সংস্কৃতি সমৃদ্ধি লাভ করছে।

১৫০০-১২০০ প্রাচীন তুরস্ক আর আর্মেনিয়ায় আদিবাসী গোষ্ঠীদের হায়াসা-আজ্জি কনফেডারেশন সমৃদ্ধি লাভ করছে।

১৩২০ হায়াসা-আজ্জি কনফেডারেশনের ওপর হামলা চালালেন হিত্তীয়দের রাজা দ্বিতীয় মুসিলি।

৯০০-৫৯০ উরুর্তু সভ্যতা।*

* প্রাচীন আর্মেনিয়া, তুরস্কের পূর্বাঞ্চল, ও ইরানের পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে ছিল।

৭৮২ প্রাচীন আর্মেনিয়া এরেবুনি দুর্গের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হল।

৫৮৫ এরেবুনি দুর্গ দখল করে নিল পারস্যের মিদীয় সাম্রাজ্য।

৫৭০-২০০ ওরোন্তীয় রাজবংশ।

৫৭০-৬০ ওরোন্তীয় রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ইরেভান সাকাভাকইয়াতসের রাজত্বকাল।

৫৫০ পারস্যে কুরুশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল হাখমানেশি সাম্রাজ্য, ৩৩০ পূর্বসাল পর্যন্ত টিকে ছিল সাম্রাজ্যটি।*

* ইংরেজিভাষী বিশ্বে সাইরাস দ্য গ্রেট নামে পরিচিত।

৫২২ আর্মেনিয়ার পারসিক সাত্রাপি হাখমানেশী সাম্রাজ্য থেকে বেরিয়ে আসার একটা চেষ্টা চালাল, কিন্তু দ্রুত অঞ্চলটিকে বাগে আনলেন প্রথম দারিউস।

৩৩৩ ‘ইসুসের সমর’: পারসিকদের জন্য সেনা সরবরাহ করল ওরোন্তীয় রাজবংশ।

৩৩১ ‘ইসুসের সমর’: পারসিকদের জন্য সেনা সরবরাহ করল ওরোন্তীয় রাজবংশ।

৩৩০ আরমাভিরকে আর্মেনিয়ার রাজধানী বানানো হল।*

* কার্যত, আরমাভির ম্যাকিদোনীয় সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

২৬০ আর্মেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে সংযুক্ত কোমাজেনে ও সোফেনে রাজ্যের উত্থান।

২৪৭ গ্রিক সেলুসীয়দের বিরুদ্ধে পারস্যবাসী বিদ্রোহ করে এবং পার্থীয় নামের একটি রাজবংশকে ক্ষমতায় বসায়। ২২৪ সাল পর্যন্ত পারস্য শাসন করে পার্থীয়রা।

২১২-২০০ ওরোন্তীয় রাজবংশের শেষ রাজা চতুর্থ ইরেভানের রাজত্বকাল।

২০০ পূর্বসাল – ১৪ সাল আর্তাজিয়া রাজবংশ।

২০০-১৬০ আর্তাজিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম আর্তাজিয়াসের রাজত্বকাল।

১৭৬ আর্তাশাতকে আর্মেনিয়ার নতুন রাজধানী বানালেন প্রথম আর্তাজিয়াস।

৯৫-৫৬ দ্বিতীয় টাইগ্রানেসের রাজত্বকাল।

৯৪ সোফেনে রাজ্যকে নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করে নিলেন আর্মেনিয়ার রাজা দ্বিতীয় টাইগ্রানেস।

৮৭ পার্থীয় রাজাদের গ্রীষ্মকালীন নিবাস একবাটানা ধবংস করে দিলেন আর্মেনিয়ার রাজা দ্বিতীয় টাইগ্রানেস।

৮৫ আর্মেনিয়ার রাজা দ্বিতীয় টাইগ্রানেস শাহেনশাহ উপাধি ব্যবহার করা শুরু করলেন।

৮৩ টাইগ্রানাকার্টকে আর্মেনিয়ার নতুন রাজধানী বানালেন দ্বিতীয় টাইগ্রানেস।

৬৯ লিসিনিয়াস লুকুলাসের নেতৃত্বাধীন একটি রোমক বাহিনী আরমানি রাজা দ্বিতীয় টাইগ্রানাসকে পরাজিত করল। টাইগ্রানাকার্টের পতন। আর্তাশাত আবার আর্মেনিয়ার রাজধানীতে পরিণত হল।

৬৬ দ্বিতীয় টাইগ্রানেসের আরমানি রাজত্ব আক্রমণ করে এটিকে একটি রোমক প্রটেক্টরেটে পরিণত করলেন পম্পেই দ্য গ্রেট।

৫৬-৩৪ দ্বিতীয় আর্তাভাসদেসের রাজত্বকাল।

৫৩ পার্থীয়দের বিরুদ্ধে অভিযানে সেনা দিয়ে সহায়তা করতে আরমানিদের বাধ্য করলেন রোমক সেনাপতি মার্কাস লিসিনিয়াস ক্রসাস।

৩৪ আর্মেনিয়া আক্রমণ করলেন রোমক সেনাপতি মার্ক অ্যান্টনি। আর্মেনিয়ার রাজা দ্বিতীয় আর্তাভাসদেসকে বন্দী করে আলেকজান্দ্রিয়ায় নিয়ে যাওয়া হল।

৩০ দ্বিতীয় আর্তেসেসকে আর্মেনিয়ার রাজা বানালেন পার্থীয়রা।

২০ তৃতীয় টাইগ্রানেসকে আর্মেনিয়ার রাজা বানালেন রোমক সম্রাট অগাস্টাস।

৬ পূর্বসাল – ৩০ সাল বর্তমান ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে জন্ম নেয়া খ্রিস্টধর্মের* প্রাণকেন্দ্র জেসাস ক্রাইস্টের** জীবনকাল।

* খ্রিস্টধর্ম সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে দেখুন, (Brown & Anatolias 2009) ও (Brown 2009).

** ইবরানি জেশুয়া মেসিয়ার গ্রিক অনুবাদ ইউসুস খ্রিস্তোস; ইউসুস খ্রিস্তোসের ইংরেজি অনুবাদ জেসাস ক্রাইস্ট। জেসাস ক্রাইস্টের অনুসারীরা খ্রিস্টান নামে পরিচিত। বাংলায় খ্রিস্টান শব্দটি গ্রিক ভাষার খ্রিস্তোস (Χριστός) থেকে এসেছে, এর সোজাসাপটা অর্থ ‘ত্রাতা।’

সাল

৬-১২ আর্মেনিয়ার শেষ আর্তাজিয়াদ রাজা পঞ্চম টাইগ্রানের রাজত্বকাল।

১২-৪২৮ আর্সাসীয় রাজবংশ।

৬৩ ‘হ্রান্ডিয়া চুক্তি’: রোম আর পার্থিয়াকে আর্মেনিয়ার শাসক আর সরকারের ওপর সমান নিয়ন্ত্রণ প্রদান করল।

৬৩-৮৮ প্রথম তিরিদাতেসের রাজত্বকাল।

৭২ কোমাজেনে রাজ্য দখল করেন নিলেন রোমক সম্রাট ভেসপাসিয়ান।

২২৪ পার্থীয়দের শেষ রাজাকে উৎখাত করলেন পার্সিসের রাজা আরদাশির, প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি সাসানীয় রাজবংশ।

২৩৯-৩৩০ সেইন্ট গ্রেগরি দ্য ইলুমিনেটরের জীবনকাল।

২৮০ আর্মেনিয়াকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করলেন গ্রেগরি দ্য ইলুমিনেটর।

৩১৪ আর্মেনিয়ার রাজা মহান তিরিদাতেসের খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করার প্রেক্ষিতে সেইন্ট গ্রেগরি দ্য ইলুমিনেটরকে আর্মেনিয়ার প্রথম বিশপ বানানো হল।

৩৬০-৪৪০ মেসরোপ মাশতোতসের জীবনকাল।*

* আরমানি বর্ণমালা আবিষ্কারের কৃতিত্ব তাঁকেই দেয়া হয়।

৩৮৭ রোমক সম্রাট প্রথম থিওডোসিয়াস এবং পারস্যের শাহ তৃতীয় শাপুর আর্মেনিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাইজেন্টাইন* সাম্রাজ্য ও সাসানীয় সাম্রাজ্যের মধ্যে ভাগ করে নিলেন।

* রোমক সাম্রাজ্যের ভাঙনের পর পূর্ব রোমক সাম্রাজ্য বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ((Βασιλεία Ρωμαίων) নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এখানে বাইজেন্টাইন বলতে সাম্রাজ্যটির শাসকদেরকে বোঝাবে। কুরআন শরিফে রুম বলতে এই সাম্রাজ্যকেই বোঝানো হয়েছে, যার কেন্দ্র ছিল কনস্টান্টিনোপল, বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল।

৪০৫ আরমানি বর্ণমালা আবিষ্কার করলেন মেসরোপ মাশতোতস।

৪১০-৪৯০ আরমানি ঐতিহাসিক মোভসেস খোরেনাতসির জীবনকাল।*

* খোরেনাতসির হিস্ট্রি অফ দ্য আর্মেনিয়ানসয়ের জন্য তাঁকে আরমানি ইতিহাসের জনক বিবেচনা করা হয়।

৪২৮-৬৫২ পারস্য এসময় আর্মেনিয়ার অর্ধেক অংশ শাসন করছে। অংশটির নাম মার্জপানাতে। অর্থ: ‘যা মার্জপান ভাইসরয়দের দ্বারা শাসিত হয়’।

৪৩৯ মামিকোনীয় রাজকুমার হামাজাস্প সাহাকানিউশকে বিয়ে করলেন এবং সেইন্ট গ্রেগরি দ্য ইলুমিনেটরের বংশধরদের সাথে মামিকোনীয়দের এস্টেট সংযুক্ত করলেন।

৪৫১ ‘আভারআইরের সমর’: আরমানি বাহিনী ও সাসানীয়দের মধ্যে সংঘটিত হয়।

৪৮৪ ‘নভার্সাক চুক্তি’: পারস্য আর আর্মেনিয়ার মধ্যে সই হল, আরমানিদের অধিকতর রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন ও ধর্মীয় চিন্তার স্বাধীনতা প্রদান করা হল।

৪৮৫ ভাহান মামিকোনিয়ানকে আর্মেনিয়ার মার্জপান বানানো হল।

৫৫৪ দভিন পরিষদ ঘোষণা করল, আরমানি গির্জা মনোফিজাইট মতাদর্শ মেনে চলবে।

৫৭০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম।

৬১০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুয়তলাভ ও কুরআন শরিফ নাজিলের সূচনা।*

* হযরত মুহাম্মদের (সা.) অনুসারীরা মুসলিম নামে পরিচিত, আরবিতে এর অর্থ আত্মসমর্পণকারী; যাঁরা আল্লাহ’র কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরাই মুসলিম। বাংলায় ঐতিহাসিকভাবে মুসলমান শব্দটিই বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে, সেই ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে মুসলমান শব্দটি ব্যবহার করি আমি। মুসলমানদের পবিত্র বই কুরআন শরিফ নামে পরিচিত।

৬২৩ আর্মেনিয়ার রাজধানী দভিন আক্রমণ করলেন বাইজেন্টীয় সম্রাট হেরাক্লিয়াস।

৬২৭ নিনেভেতে পারসিকদের পরাজিত করলেন বাইজেন্টাইন সম্রাট হেরাক্লিয়াস।

৬৩২-৬১ ‘রাশিদুন খেলাফত’।

৬৪০-৬৫০ রাশিদুন খেলাফতের আর্মেনিয়া বিজয়।

৬৪০ অক্টোবর: রাশিদুন খেলাফতের হাতে আর্মেনিয়ার রাজধানী দভিনের পতন।

৬৪২ আর্মেনিয়ার রাজধানী দভিন আক্রমণ করলেন বাইজেন্টীয় সম্রাট দ্বিতীয় কন্সটান্স।

৬৪৩ আর্মেনিয়া ও ককেশাসে একটি অসফল অভিযান পরিচালনা করল রাশিদুন খেলাফত।

৬৫২-৫৩ রাশিদুন খেলাফতের করদ রাজ্যে পরিণত হল আর্মেনিয়া।

৬৬১-৭৫০ ‘উমাইয়া খেলাফত’।

৭০১ আর্মেনিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে উমাইয়া খেলাফতের একটি প্রদেশে পরিণত হল।

৭০৩ ভার্ডানেকার্টে আরব গ্যারিসন একটি আরমানি সেনাবাহিনীর কাছে হারল।

৭০৬ উমাইয়া খেলাফতের পায়কান্দ জয়, আরমানি অভিজাতদের হত্যা করা হল।

৭৪৬-৫২ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল আর আর্মেনিয়ায় সফল অভিযান পরিচালনা করলেন বাইজেন্টীয় সম্রাট পঞ্চম কনস্টান্টাইন।

৭৮৯ আর্মেনিয়ার রাজধানী হিসেবে দভিনকে প্রতিস্থাপিত করল পারতাভ।

৮৬২ ‘সিরাকাওয়ান পরিষদ’: খ্রিস্টবিদ্যা-বিষয়ক ইস্যু নিয়ে আরমানি ও বাইজেন্টীয় অর্থোডক্স গির্জাদের মধ্যে আলোচনা। উদ্দেশ্য পুনরেকত্রীকরণ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।

৮৯২ এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে দভিন শহরের বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেল।

৯৪০-১০২০ আরমানি স্থপতি ত্রদাতের জীবনকাল।

৯৬১ আনিকে আর্মেনিয়ার রাজধানী করা হল।

৯৯৪ আয়া সোফিয়ার গম্বুজ পুনর্নির্মাণ করলেন স্থপতি ত্রদাত।

১০০১-০৬ স্থপতি ত্রদাত কর্তৃক আনি ক্যাথেড্রালের নির্মাণকাজ সম্পন্ন।

১০২১-২২ আর্মেনিয়া ও জর্জিয়ায় বিজয়লাভ করলেন বাইজেন্টীয় সম্রাট দ্বিতীয় বাসিল।

১০৬৪ আগস্ট ১৬: সুলতান আল্প আরসালানের নেতৃত্বে আর্মেনিয়ার সাবেক রাজধানী আনি ধবংসসাধন করল সেলজুক তুর্কিরা।

১১২৪ আনি শহরের আরমানি বাসিন্দাদের নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শহরটি দখল করে নিল জর্জিয়া।

১১৩৭ আর্মেনিয়ার রুবেনীয়দের ওপর আধিপত্য বিস্তার করলেন বাইজেন্টীয় সম্রাট জন প্রথম কমনেসোস, দখল করলেন রাজধানী আনাজারবোস।

১২০৬ তামারের নেতৃত্বাধীন জর্জীয় বাহিনীগুলো আরমানি শহর এরজুরুম ও কার্স দখল করল।

১২০৯ আরদাবিলের সুলতান জর্জীয়দের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরমানি শহর আনি ধ্বংস করে দিলেন।

১২৩৬ মঙ্গোল আক্রমণে ধবংস হয়ে গেল আর্মেনিয়ার সাবেক রাজধানী দভিন।

১৮৯৪-১৯২৪ ৩০ বছর ধরে প্রথমে ওসমানি সুলতানশাহি, তারপর তরুণ তুর্কি, ও শেষে দুনিয়াবি প্রজাতন্ত্রীরা তুরস্কের সংখ্যালঘু অ্যাসিরীয়, আরমানি, ও গ্রিক খ্রিস্টানদের ওপর এক ভয়াবহ ও পদ্ধতিগত গণহত্যা চালায়। আরমানি গণহত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। এটা ছিল এই বৃহত্তর গণহত্যার একটি অংশ। (Morris & Ze’evi 2019)

১৯১৪-১৮ ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধ’।

১৯১৫-১৭ আরমানি গণহত্যা।

১৯১৬ ওসমানি সুলতানশাহির আরমানি অঞ্চলগুলো রুশ সেনাবাহিনীর দখলে গেল।

১৯২০ আর্মেনিয়ায় হামলা চালাল তুরস্ক আর বলশেভিক রাশিয়া। রুশ বলশেভিকদের সাথে আরমানিরা একটা সমঝোতায় পৌঁছালেন। নিজেকে একটি সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করল আর্মেনিয়া।

১৯২২ আর্মেনিয়াকে সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রসমূহের ইউনিয়নের (ইউএসএসআর) অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হল।

১৯৮৮ উত্তর আর্মেনিয়ায় ভূমিকম্পে ২৫ হাজার মানুষের মৃত্যু।

১৯৯১ সেপ্টেম্বর: এক গণভোটে ৯৪ শতাংশ ভোটার সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে ভোট দিলেন।

১৯৯২ জাতিসংঘে যোগ দিল আর্মেনিয়া।

১৯৯১-২০২৩ আর্তসাখ প্রজাতন্ত্র।

১৯৯২-৯৪ প্রথম নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধ।

২০০১ জানুয়ারি: কাউন্সিল অফ ইওরোপের পূর্ণ সদস্য হল আর্মেনিয়া।

২০০৭ আততায়ীদের হাত খুন হয়ে গেলেন সাংবাদিক রান্ট দিংক, যিনি একইসাথে তুরস্কের আরমানি সম্প্রদায়ের একজন নেতা ছিলেন।

২০০৭ সেপ্টেম্বর ৭: নাগর্নো-কারাবাখের de facto প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বাহো সাহাকিয়ান।

২০০৮ প্রথম তুর্কি নেতা হিসেবে আর্মেনিয়া সফর করলেন প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল।

নভেম্বর ২: নাগর্নো-কারাবাখ দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধানকল্পে রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ, আজারবাইজানি প্রেসিডেন্ট আলিয়েভ, এবং আরমানি প্রেসিডেন্ট সারকিশিয়ান সই করলেন মেইয়েনডর্ফ ঘোষণা

২০০৯ সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এক সভায় তুরস্ক সরকার ও আর্মেনিয়া সরকার দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ব্যাপারে একমত হল।

ডিসেম্বর ১-২: এথেন্সে ওএসসিই’র মন্ত্রীপরিষদ পর্যায়ে আলোচিত হল নাগর্নো-কারাবাখ।

২০১২ জুলাই ১৯: দ্বিতীয় মেয়াদে নাগর্নো-কারাবাখের de facto প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বাহো সাহাকিয়ান।

২০১৬ এপ্রিল: নাগর্নো-কারাবাখ সংঘাতে এক ডজন মানুষের মৃত্যু হল। ডিসেম্বর: আর্মেনিয়ার সাথে আজারবাইজানের সীমান্ত সংঘাত দেখা দিলে তাতে ৪ জন আরমানি ও ১ জন আজারির মৃত্যু হয়।

২০১৮ আরমানি গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিল নেদারল্যান্ডসের সংসদ।

২০১৯

প্রকাশিত বই

বেনি মরিস ও দ্রোর জিই’ভি, দ্য থার্টি-ইয়ার জেনোসাইড তুর্কি’জ ডেস্ট্রাকশন অফ ইটস ক্রিশ্চিয়ান মাইনরিটিজ: ১৮৯৪-১৯২৪

২০২০ দ্বিতীয় নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধ।

সেপ্টেম্বর-অক্টোবর: নাগর্নো-কারাবাখ সংঘাতে ৩ হাজার আজারবাইজানি ও ৪ হাজার আরমানি সৈনিকের মৃত্যু, অঞ্চলটির একাংশ আজারবাইজানের সামরিক নিয়ন্ত্রণে এল।

২০২২ সেপ্টেম্বর: আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সীমান্ত সংঘাতে দুপক্ষের ১০০ জনের মৃত্যু।

২০২৩ সেপ্টেম্বর: আজারবাইজানের অবরোধের মুখে আর্তসাখ প্রজাতন্ত্রের পতন হল।*

* এই রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল না। মাত্র ৩টা রাষ্ট্র আর্তসাখ প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, যাঁদের কেউই জাতিসংঘের সদস্য নয়: আবখাজিয়া, ট্রান্সনিস্ত্রিয়া, ও দক্ষিণ ওসেটিয়া। নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত।

সেপ্টেম্বর ২৫: নাগোর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে বাকুর বিজয়ের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করতে আর্মেনিয়ার ভেতরে আজারবাইজানের ছিটমহল নাখশিভান সফর করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসিপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সেপ্টেম্বর ২৮: আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিহীন আর্তসাখ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট সাম্ভেল শাহরামানইয়ান একটি ডিক্রিতে সই করলেন। এতে বলা হল, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে উক্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী/স্বাধীনতাকামী প্রজাতন্ত্র তার তাবৎ প্রতিষ্ঠানসহ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সেপ্টেম্বর ২৯: আরমানি কর্তৃপক্ষের মতে, ৯৩ হাজার জাতিগত আরমানি নাগোর্নো-কারাবাখ ছেড়ে পালিয়েছেন, যারা অঞ্চলটির মোট জাতিগত আরমানি জনসংখ্যার ৭৫%। আর্মেনিয়ায় জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি কবিতা বেলানি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বললেন, তাঁরা ১ লক্ষ ২০ হাজার শরণার্থীর চাপ সামলাতে প্রস্তুত। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বললেন, ভবিষ্যতে নাগর্নো-কারাবাখে কোন শান্তিরক্ষা মিশন থাকবে কি থাকবে না, তা রাশিয়া আর আজারবাইজান মিলে ঠিক করবে। ইওরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আজারবাইজানের প্রতি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে একটি জাতিসংঘ মিশনকে নাগর্নো-কারাবাখ পরিদর্শন করতে দেয়ার আহবান জানাল।

২০২৪ আর্তসাখ প্রজাতন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত করে দেয়া হল।

তথ্যসূত্র

BBC. 2018. “Armenia profile – Timeline 17405415.” BBC, December 20, 2018.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17405415

Brown, Stephen F.. 2009. Protestantism. 3rd ed. New York: Chelsea House.

Brown, Stephen F. and Anatolias, Khaled. 2009. Catholicism & Orthodox Christianity. 3rd ed. New York: Chelsea House.

Cartwright, Mark. 2018a. “Ancient Armenia.” World History Encyclopedia. Last modified March 06, 2018. https://www.worldhistory.org/armenia/.
2018b. “Artaxiad Dynasty.” World History Encyclopedia. Last modified February 21, 2018. https://www.worldhistory.org/Artaxiad_Dynasty/.
2018c. “Mamikonian Dynasty.” World History Encyclopedia. Last modified March 01, 2018. https://www.worldhistory.org/Mamikonian_Dynasty/.
2018d. “Mesrop Mashtots.” World History Encyclopedia. Last modified March 20, 2018. https://www.worldhistory.org/Mesrop_Mashtots/.
2018e. “Movses Khorenatsi.” World History Encyclopedia. Last modified March 02, 2018. https://www.worldhistory.org/Movses_Khorenatsi/.
2018f. “Saint Gregory the Illuminator.” World History Encyclopedia. Last modified February 28, 2018. https://www.worldhistory.org/Saint_Gregory_the_Illuminator/.
2018g. “Tiridates I of Armenia.” World History Encyclopedia. Last modified February 23, 2018. https://www.worldhistory.org/Tiridates_I_of_Armenia/.
2018h. “Trdat the Architect.” World History Encyclopedia. Last modified January 23, 2018. https://www.worldhistory.org/Trdat_the_Architect/.

DW. 2023a. “Erdogan visits Azerbaijan after Nagorno-Karabakh cease-fire.” Deutsche Welle, September 25, 2023.
https://www.dw.com/en/erdogan-visits-azerbaijan-after-nagorno-karabakh-cease-fire/a-66916267
2023b. “Nagorno-Karabakh: Over 75% of ethnic Armenians have fled.” Deutsche Welle, September 29, 2023.
https://www.dw.com/en/nagorno-karabakh-over-75-of-ethnic-armenians-have-fled/live-66963366

Higgins, Andrew, and Nechepurenko, Ivan. 2023. “A Stunningly Sudden End to a Long, Bloody Conflict in the Caucasus.” The New York Times, September 27, 2023.
https://www.nytimes.com/2023/09/27/world/europe/nagorno-karabakh-armenia-azerbaijan.html

Hoyland, Robert G.. 2014. In God’s Path: the Arab Conquests and the Creation of an Islamic Empire. Oxford: Oxford University Press.

Morris, Benny, and Ze’evi, Dror. 2019. The Thirty-Year Genocide: Turkey’s Destruction of Its Christian Minorities, 1894-1924. Cambridge, Massachusetts: Harvard University Press.

Pietromarchi, Virginia. 2023. “Nagorno-Karabakh live: Breakaway republic to be dissolved – Separatists.” Al Jazeera, September 28, 2023.
https://www.aljazeera.com/news/liveblog/2023/9/28/nagorno-karabakh-live-breakaway-republic-to-be-dissolved-separatists

Waal, Thomas de. 2013. Black Garden: Armenia and Azerbaijan through Peace and War. 10th-year anniv. ed. New York: New York University Press.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

By irrafinofficial

ইরফানুর রহমান রাফিনের জন্ম ঢাকায়, ১৯৯২ সালে। বর্তমানে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে লিখে অন্নসংস্থান করেন। নিজেকে স্মৃতি সংরক্ষণকারীদের পরম্পরার একজন হিসাবে দেখেন। যোগাযোগ: irrafin2022@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Creative Commons License
Except where otherwise noted, the content on this site is licensed under a Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 International License.