
যুক্তরাষ্ট্র
Featured Image: Wikipedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ
সাল
১৪৯৭ ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরির পৃষ্ঠপোষকতায় উত্তর আমেরিকায় অভিযান চালালেন ইতালীয় অভিযাত্রিক জিওভান্নি কাবোতো, যিনি ইংরেজিভাষীদের কাছে জন ক্যাবট নামেই বেশি পরিচিত।
১৫০৭ মানচিত্রে প্রথমবারের মত ‘আমেরিকা’ শব্দটি ব্যবহৃত হল।
১৫২৫-১৮৬৬ এ সময় ১ কোটি ২৫ লক্ষ আফ্রিকানকে জাহাজে করে নতুন দুনিয়ায় আনা হয়। জাহাজের চরম অমানবিক পরিস্থিতির কারণে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই ১৮ লক্ষ আফ্রিকানের মৃত্যু হয়। ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায়গুলোর একটি আন্তঃঅতলান্তিক দাস বাণিজ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, দেখুন, (Eltis & Richardson 2010, Araujo 2024)।
১৫৪০ ফ্রান্সিসকো করোনাডোর নেতৃত্বে একদল স্পেনীয় অভিযাত্রিক নিউ মেক্সিকো ও আশেপাশের এলাকায় অভিযাত্রা চালালেন।
১৫৬৫ ফ্লোরিডায় উত্তর আমেরিকার প্রথম স্থায়ী ইওরোপীয় বসতি-উপনিবেশ সেইন্ট অগাস্টিন স্থাপন করল স্পেনীয়রা।
১৬০৭ ভার্জিনিয়ার জেমসটাউনে ইংরেজ বসতি-উপনিবেশ স্থাপনকারীরা বসতিস্থাপন করল, এটিই উত্তর আমেরিকার প্রথম ইংরেজ বসতি-উপনিবেশ।
১৬১০ নিউ মেক্সিকোর সান্তা ফেতে স্পেনীয়দের বসতি-উপনিবেশ স্থাপন।
১৭৬৩ ফ্রান্সের সাথে সপ্তবর্ষীয় যুদ্ধে জেতায় মিসিসিপি নদী পর্যন্ত আমেরিকান ভূখণ্ডের ওপর ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হল।
১৭৭৪ ব্রিটিশরা বোস্টন পোতাশ্রয় বন্ধ করে দিল। ম্যাসাচুসেটসে সেনা মোতায়েন করল। এই প্রেক্ষিতে আহবান করা হল প্রথম কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস।
১৭৭৫ আমেরিকান বিপ্লব, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করল জর্জ ওয়াশিংটনের নেতৃত্বাধীন কন্টিনেন্টাল সেনাবাহিনী।
১৭৭৬ জুলাই ৪ ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল ব্রিটিশ আমেরিকার তেরোটি উপনিবেশ।
১৭৮১ ইয়র্কটাউনের সমরে ব্রিটিশদেরকে পরাস্ত করার পর আমেরিকার বিদ্রোহী রাজ্যগুলো কনফেডারেশন গঠন করল।
১৭৮৩ ব্রিটিশ আমেরিকার তেরোটি উপনিবেশকে স্বীকৃতি দিয়ে সদ্যস্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শান্তিচুক্তি সই করল ব্রিটেন।
১৭৮৯ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন জর্জ ওয়াশিংটন।
১৭৯১ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের বিল অফ রাইটসে ব্যক্তিস্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়া হল।
১৮০১-১৯০০ যুক্তরাষ্ট্রে রাজ্যের সংখ্যা ১৭ থেকে ৪৫-এ পৌঁছাল।
১৮০৩ ফ্রান্সের কাছ থেকে লুইজিয়ানা কিনে নিল যুক্তরাষ্ট্র।*
* এর জন্য খরচ পড়েছিল ১৫ মিলিয়ন ডলার।
১৮০৫ জোসেফ স্মিথের জন্ম।
১৮১২-১৫ ব্রিটেন-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ।
১৮২০ মর্মন বিশ্বাস অনুসারে, খোদা ও জেসাস ক্রাইস্টের কাছ থেকে নবুয়ত লাভ করলেন জোসেফ স্মিথ।
১৮২৩ মর্মন বিশ্বাস অনুসারে, প্রথমবারের মত জোসেফ স্মিথের কাছে আবির্ভূত হলেন দেবদূত মোরোনি।
১৮২৭ মর্মন বিশ্বাস অনুসারে, স্বর্ণপাত লাভ করলেন স্মিথ।
১৮২৯ মর্মন কিতাবের তর্জমা শেষ করলেন জোসেফ স্মিথ। আরোনিক ও মেলছিজেদিক পুরোহিততন্ত্র পুনর্বহাল করা হল।
১৮৩০ মর্মন কিতাব। মর্মন গির্জা সংগঠিত করা হল।
১৮৩১ মর্মন সন্তদের মিলনস্থল হয়ে উঠল ওহাইওর কির্টল্যান্ড। মর্মন বিশ্বাস অনুসারে, খোদা মিসৌরির ইন্ডিপেন্ডেন্সকে জায়ন শহর হিসেবে নির্ধারিত করল।
১৮৩৩ মিসৌরির জ্যাকসন কাউন্টির সন্তদের কাউন্টি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হল।
১৮৩৪ ইসরায়েল শিবির (জায়নের শিবির) ওহাইও থেকে মিসৌরিতে স্থানান্তরিত করলেন জোসেফ স্মিথ।
১৮৩৬ মর্মনদের কির্টল্যান্ড মন্দির ঈশ্বরের জন্য উৎসর্গকৃত হল। কির্টল্যান্ড মন্দিরে পুরোহিততন্ত্রের চাবি জোসেফ স্মিথ ও অলিভার কাউডেরির হাতে তুলে দেয়া হল।
১৮৩৮ জোসেফ স্মিথকে লিবার্টি কারাগারে আটক করা হল।
১৮৩৯ ইলিনয়েজের মর্মন সন্তদের সাথে হাত মেলালেন, এবং নাউভোর প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেন।
১৮৪০ মৃতদের বাপ্তাইজীকরণের শিক্ষা দিতে শুরু করলেন স্মিথ।
১৮৪২ মর্মন ত্রাণ সংস্থা সংগঠিত করা হল।
১৮৪৩ মর্মন পুরুষদের বহুবিবাহের অধিকার দেয়া প্রত্যাদেশ নথিবদ্ধ হল।
১৮৪৪ আততায়ীদের হাতে খুন হলেন জোসেফ ও হিরাম স্মিথ।
১৮৪৬ বহু মর্মন সন্ত সল্ট লেক উপত্যকার উদ্দেশ্যে তাঁদের সফর শুরু করলেন। মর্মনদের নাউভো মন্দির ঈশ্বরের জন্য উৎসর্গকৃত হল।
১৮৪৬-৪৮ যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো যুদ্ধ। ক্যালিফোর্নিয়া আর নিউ মেক্সিকোসহ বিপুল পরিমাণ মেক্সিকান ভূখণ্ড দখল করে নিল যুক্তরাষ্ট্র।
১৮৪৯ আমেরিকান গোল্ড রাশ।
১৮৫৪ দাসপ্রথার বিরোধীরা, যারা বিলোপবাদী বলেও পরিচিত, গঠন করলেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান পার্টি।*
* গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি (জিওপি) নামেও পরিচিত।
১৮৬০ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন রিপাবলিকান পদপ্রার্থী আব্রাহাম লিংকন।
১৮৬০-৬১ যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি রাজ্য, যারা দাসপ্রথার পক্ষে ছিল, ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। গঠন করল কনফেডারেট স্টেটস অফ আমেরিকা (সিএসআই)। উত্তরাঞ্চলের বিলোপবাদীদের সাথে যুদ্ধ অপরিহার্য হয়ে উঠল।
১৮৬১-৬৫ যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের বছর। এই যুদ্ধে দক্ষিণের কনফেডারেটরা লড়ছিল দাসপ্রথা টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে, আর উত্তরের ইউনিয়নিস্টরা লড়ছিল দাসপ্রথার বিলোপসাধন করার উদ্দেশ্যে। দার্শনিক কার্ল মার্ক্স যুদ্ধটার ওপর নজর রাখছিলেন। ১৮৬৪ সালের নভেম্বর মাসের ২২ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে তিনি প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের উদ্দেশ্যে একটা চিঠি লেখেন। যা ছাপা হয় পরের বছরের ৭ নভেম্বর। এই চিঠিতে মার্ক্স লিংকনকে “শ্রমিক শ্রেণীর সাধু সন্তান” বলে অভিহিত করেন, এবং এই আশা ব্যক্ত করেন যে, “স্বাধীনতার জন্য আমেরিকান যুদ্ধ যেমন বুর্জোয়া প্রভূত্বের যুগটার সূত্রপাত করেছিল, তেমনি দাসপ্রথার বিরুদ্ধে আমেরিকান যুদ্ধও শ্রমিক শ্রেণীর আধিপত্যের যুগটার সূত্রপাত করবে।” পরিষ্কারভাবেই মার্ক্সের সমর্থন ছিল উত্তরের ইউনিয়নিস্টদের প্রতি।
১৮৬২ হাইতিকে স্বীকৃতি প্রদান করল যুক্তরাষ্ট্র।
১৮৬৩ আব্রাহাম লিংকনের মুক্তি ইশতেহার, যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথার অবসান।
১৮৬৫ যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধে কনফেডারেটরা পরাজিত হল। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী দাসপ্রথা বিলুপ্ত করল। আততায়ীদের হাতে খুন হলেন লিংকন।
১৮৬৭ রাশিয়ার কাছ থেকে আলাস্কা কিনে নিল যুক্তরাষ্ট্র।*
* এর জন্য খরচ পড়েছিল ৭.২ মিলিয়ন ডলার।
১৮৬৯ প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় রেলপথের নির্মাণকাজ সমাপ্ত করল যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন ভূখণ্ড হওয়ার চেষ্টা চালাল দমিনিকান প্রজাতন্ত্র, মার্কিন সিনেটে এই প্রস্তাব মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে হেরে যায়।
১৮৯৮ স্পেনীয়-আমেরিকান যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় পুয়ের্তো রিকো, গুয়াম, দ্য ফিলিপাইন্স, আর কিউবা যুক্তরাষ্ট্রের হস্তগত হল; দখল করে নিল হাওয়াই।
১৮৯৮-১৯০২ কিউবায় মার্কিন দখলদারিত্ব।
১৯০০ টেক্সাসে এক হারিকেনে প্রায় ৮০০০ মানুষের মৃত্যু।
১৯০২ কিউবা থেকে মার্কিনীদের সেনা প্রত্যাহার।
১৯০৬ সান ফ্রান্সিসকোর ভূমিকম্পে ৫০০ মানুষের মৃত্যু। ভূমিকম্পের ফলে শহরটি প্রায় ধবংস হয়ে গেল।
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি ৫০ বছর মেয়াদী চুক্তি করল দমিনিকান প্রজাতন্ত্র।
১৯১২ দ্য হাইতিয়ান আমেরিকান সুগার কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হল।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।*
*যুক্তরাষ্ট্র এতে অংশ নেয়। কিন্তু যুদ্ধোত্তর সময়ে গঠিত লীগ অফ নেশনসে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
১৯১৪ যুক্তরাষ্ট্র ভেরাক্রুজ দখল করে নিল।
১৯১৫ হাইতিতে প্রায় দুই দশকের মার্কিন দখলদারিত্বের সূচনা।
১৯১৬-২৪ আভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলার জের ধরে দমিনিকান প্রজাতন্ত্রে মার্কিন দখলদারিত্ব।
১৯২০ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের উনবিংশ সংশোধনী নারীদেরকে ভোটাধিকার দিল।
১৯২৪ যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস আদিবাসী আমেরিকানদেরকে নাগরিকত্ব প্রদান করল। দমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে সেনা প্রত্যাহার করল মার্কিনীরা।
১৯২৯ ওয়াল স্ট্রিট ক্রাশ।
১৯২৯-৩৩ মহামন্দা। ১ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ বেকার।
১৯৩৩ প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্টের (এফডিআর) ‘নিউ ডিল’।
হাইতিতে প্রায় দুই দশকের মার্কিন দখলদারিত্বের অবসান।
১৯৪১-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪১ হাওয়াইয়ের পার্ল হারবারয়ে অবস্থিত মার্কিন নৌবহরে হামলা চালাল সাম্রাজ্যিক জাপান, এর ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে মিত্রপক্ষে যোগদান করে।
১৯৪৫ হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে আণবিক বোমা ফেলল আমেরিকা, এর ধারাবাহিকতায় সাম্রাজ্যিক জাপান আত্মসমর্পণ করে।
১৯৪৭ ট্রুম্যান ডক্ট্রিন। সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে স্নায়ুযুদ্ধ শুরু।
১৯৪৮ মার্শাল পরিকল্পনা। যুদ্ধোত্তর ইওরোপীয় অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য।
১৯৫০-৫৩ কোরীয় যুদ্ধ। উত্তর কোরীয় আর চীনা সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্বমূলক ভূমিকা পালন করল যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী।
১৯৫০-৫৪ ম্যাককার্থিজম। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর জোসেফ ম্যাককার্থি কমিউনিস্ট-বিরোধী ক্রুসেড শুরু করলেন।
১৯৫০ ভেনেজুয়েলার তেল বুম পর্ব শুরু। গায়ানা উচ্চভূমিতে খনি কার্যক্রম শুরু করল দুটি মার্কিন কর্পোরেশন। এগুলো হল বেথলেহেম স্টিল আর ইউএস স্টিল।
১৯৫৪ মার্কিন বিদ্যালয়গুলোতে বর্ণভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হল। আফ্রিকান আমেরিকানদের জন্য নাগরিক অধিকারের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে নাগরিক অবাধ্যতা আন্দোলন শুরু হল।
১৯৫৫ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আইসেনহাওয়ার দক্ষিণ ভিয়েতনামে টাকা ও সামরিক উপদেষ্টাদেরকে পাঠাতে শুরু করলেন।
১৯৫৮ ফেব্রুয়ারিতে মার্কিনীদের প্রতি অনুগত নগো দিন দিয়েম সরকার দক্ষিণ ভিয়েতনামের ফু লোই বন্দীশিবিরে ১,০০০ বিপ্লবীকে খুন করল।
১৯৫৯ কিউবা বিপ্লব, ফুলজেনসিও বাতিস্তা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। ফিদেল ক্যাস্ট্রো রুজের নেতৃত্বে ক্ষমতা দখল করলেন গেরিলারা। দেশটিতে ফুলজেনসিও বাতিস্তার মার্কিন-সমর্থিত একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটল।
আলাস্কা আর হাওয়াই যুক্তরাষ্ট্রের যথাক্রমে ৪৯-তম আর ৫০-তম রাজ্যে পরিণত হল।
১৯৬০ মার্কিন ব্যবসা ও সম্পত্তি জাতীয়করণ করল কিউবা। প্রতিক্রিয়ায় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল যুক্তরাষ্ট্র। কিউবার ওপর আংশিক বাণিজ্য অবরোধ আরোপ করল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন ডেমোক্রেটিক পদপ্রার্থী জন এফ কেনেডি।
১৯৬১ প্লায়া গিরোন (পিগস উপসাগর) হামলা।*
* মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) কিউবায় একটা ক্যুদেতা ঘটানোর চেষ্টা করল। কিন্তু ব্যর্থ হল। কিউবার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল যুক্তরাষ্ট্র।
কিউবার ওপর পূর্ণ বাণিজ্য অবরোধ দিল যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৬২ কিউবা ক্ষেপনাস্ত্র সংকট।
দক্ষিণ ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপদেষ্টার সংখ্যা এ-সময় ১২,০০০।
১৯৬৩ আততায়ীদের হাতে খুন হলেন জন এফ. কেনেডি। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন লিন্ডন জনসন। শুরু হয়ে গেল দ্বিতীয় ইন্দোচীন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে যা ভিয়েতনাম যুদ্ধ নামে পরিচিত।
১৯৬৪ ভিয়েতনাম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জনসন-ম্যাকনামারা পরিকল্পনা, যার উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ ভিয়েতনামকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে “ঠাণ্ডা করা।”
আগস্ট ৫ টংকিং উপসাগরের কথিত উসকানিমূলক ঘটনা। উত্তর ভিয়েতনামে মার্কিনীদের নির্বিচার বোমাবর্ষণ শুরু হল।
যুক্তরাষ্ট্রে বিধিবদ্ধ করা হল নাগরিক অধিকার আইন।
আলাস্কায় রিখটার স্কেলে ৯.২ মাত্রার একটা ভূমিকম্প হল।
১৯৬৫ ভিয়েতনামে ২ লক্ষ মার্কিন সেনার আগমন ঘটল।
১৯৬৮ বিখ্যাত টেট অফেন্সিভ: ভিয়েতনামে মার্কিনীদের বিরুদ্ধে দুই ভিয়েতনামের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের চালানো রক্তক্ষয়ী হামলা, টেলিভিশনে এই হামলায় নিহত মার্কিন সেনাদের লাশ বিমানে করে দেশে আনার দৃশ্য দেখে মার্কিনীদের মধ্যে ব্যাপক যুদ্ধবিরোধী মানস তৈরি হয়। মাই লাই গণহত্যা: মার্কিনীদের হাতে ৫০০ ভিয়েতনামী বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু। ভিয়েতনামীদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে মার্কিনীরা দেশটিতে বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বাধ্য হল।
গুপ্তঘাতকের হাতে খুন হলেন নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।
১৯৬৯ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন রিপাবলিকান পদপ্রার্থী রিচার্ড নিক্সন। ভিয়েতনামে মার্কিন সেনার সংখ্যা ৫ লক্ষ ছাড়াল। চন্দ্রপৃষ্ঠে হাঁটা প্রথম ব্যক্তি হলেন মার্কিন নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং।
নোয়াম চমস্কি, আমেরিকান পাওয়ার অ্যান্ড দ্য নিউ ম্যান্ডারিনস।
১৯৭০ প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার ও ভিয়েতনাম সরকারের প্রতিনিধি লি ডাক থো-র মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হল।
১৯৭২ শেষ মার্কিন সেনারা দক্ষিণ ভিয়েতনাম ছেড়ে গেল। দ্বিতীয় ইন্দোচীন যুদ্ধে ১৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়, যাদের অধিকাংশই ভিয়েতনামী। এই সংঘাতে ৫৮,০০০ মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হলেন রিচার্ড নিক্সন। প্রেসিডেন্ট নিক্সনের ঐতিহাসিক চীন সফর। মার্কিন-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণের সূচনা।
জ্যামাইকায় নর্ম্যান ম্যানলির ছেলে মাইকেল ম্যানলির নেতৃত্বে সমাজতন্ত্রীরা ক্ষমতায় এলেন। যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির মুখে কিউবার সাথে সম্পর্ক তৈরি করলেন মাইকেল। জ্যামাইকার অর্থনীতির অবক্ষয় শুরু হল, রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিল।
১৯৭৩ প্যারিসে মার্কিনী আর ভিয়েতনামীদের মধ্যে যুদ্ধবিরোধী চুক্তি সই হল। মার্চের মধ্যে ভিয়েতনাম ছেড়ে গেল শেষ মার্কিন সেনা।* এই যুদ্ধে ৫৮,০০০ মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়।
* যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামে কোনো সমরে হারেনি। কিন্তু তারা যুদ্ধে হেরে গেছে। সারা বিশ্বের জনমত ছিল ভিয়েতনামীদের পক্ষে।
১৯৭৪ ওয়াটারগেট স্ক্যান্ডাল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নিক্সন।
১৯৭৫ ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে আততায়ী হামলায় হত্যা করার প্রচেষ্টা বিষয়ে তদন্ত করল মার্কিন সিনেট কমিটি।
১৯৭৬ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন ডেমোক্রেটিক পদপ্রার্থী জিমি কার্টার।
১৯৭৯ আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন। তেহরানে আয়াতুল্লাহপন্থী ছাত্ররা মার্কিন দূতাবাসের দখল নেয়, শুরু হয় ৪৪৪ দিনের জিম্মি সংকট। এই সংকট প্রেসিডেন্ট কার্টারের জনপ্রিয়তা হ্রাস করে, পরের বছরের নির্বাচনে যার প্রতিফলন ঘটবে।
১৯৭৯ গ্রেনাডায় মরিস বিশপের নেতৃত্বে বামপন্থী নিউ জুয়েল আন্দোলন কর্তৃক সংঘটিত এক ক্যুদেতায় উৎখাত হলেন প্রধানমন্ত্রী গাইরি।
১৯৭৯-৮৩ গ্রেনাডা বিপ্লব।
১৯৮০ জানুয়ারি ২৯ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সোভিয়েত আগ্রাসন বিরোধী মুজাহিদিনকে পাকিস্তান সরকারের মাধ্যমে অস্ত্র সরবরাহ করার একটা সিআইএ কভার্ট অপারেশন অনুমোদন করেন।* কংগ্রেসকে এই কভার্ট অপারেশনের ব্যাপারে জানান হয়। এই কর্মসূচির জন্য কংগ্রেস বছরে ৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ দেয়া অনুমোদন করে। সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান আগ্রাসনের প্রতিবাদে এ বছরের মস্কো অলিম্পিক বয়কট করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন রিপাবলিকান পার্টির রোনাল্ড রিগ্যান।
* প্রেসিডেন্ট কার্টারের চোখে এই মুজাহিদিনরা ‘মুক্তিযোদ্ধা’ ছিলেন। পরে এদের একাংশ বন্দুকের নল রাশিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঘুরিয়ে দিলে এরা ‘সন্ত্রাসবাদীতে’ পরিণত হয়। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য দেখুন, (Eqbal 2001)।
ম্যারিয়েল বোটলিফট, ফিদেল ক্যাস্ট্রো ঘোষণা দিলেন, ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিউবান চাইলে বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে পারবেন। এসময় বহু কিউবান ফ্লোরিডা প্রণালী পাড়ি দেন। এই বিপজ্জনক অভিযাত্রায় অনেকে পানিতে তলিয়ে যান।
জ্যামাইকায় এডওয়ার্ড সিয়েগার নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার গঠিত হল। এটি যুক্তরাষ্ট্রের শক্ত সমর্থন পেয়েছিল।
মাউন্ট সেইন্ট হেলেনসের অগ্নুৎপাতে ৫৭ জনের মৃত্যু।
১৯৮৩ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান মুজাহিদিন নেতাদেরকে হোয়াইট হাউজে স্বাগত জানান, তাঁদেরকে দেশটির প্রতিষ্ঠাতা পিতাদের সাথে তুলনা করেন।
সাবেক বামপন্থী সতীর্থ বিপ্লবীদের হাতে প্রথমে উৎখাত, ও এরপর খুন, হলেন মরিস বিশপ। জেনারেল হাডসন অস্টিনের নেতৃত্বে সংঘটিত এই ক্যুদেতায় গ্রেনাডায় মার্কিন আগ্রাসনের পথ করে দেয়। গ্রেপ্তার হলেন অস্টিন, পুনর্বহাল হল চুয়াত্তরের সংবিধান।
গ্রেনাডায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন সমর্থন করল বার্বাডোস, কার্যত একটি মার্কিন ঘাঁটি হয়ে উঠল। গ্রেনাডায় যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন সমর্থন করল অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডা।
নোয়াম চমস্কি, দ্য ফেটফুল ট্রায়াঙ্গল: দ্য ইউনাইটেড স্টেটস, ইসরায়েল, অ্যান্ড দ্য প্যালেস্টাইনিয়ানস।
১৯৮৬ সিআইএ আফগান মুজাহিদিনকে স্টিঞ্জার এন্টিএয়ারক্রাফট মিসাইল সরবরাহ করল।
১৯৮৫-৮৭ দ্য ইরান-কন্ট্রা স্ক্যান্ডাল।
১৯৮৭ ডিসেম্বর মিখাইল গর্বাচেভ আর রোনাল্ড রিগ্যানের মধ্যে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা শুরু হল।
১৯৮৮ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে (নাফটা) সই করল যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডা।
এপ্রিল ১৪ জেনেভায় আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হল। এই চুক্তি মোতাবেক, সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে তাঁর সব সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন জর্জ বুশ সিনিয়র।
১৯৮৯ ফেব্রুয়ারি ১৫ শেষ সোভিয়েত সেনাটি আফগানিস্তান ছেড়ে গেলেন। ইসলামাবাদে সিআইএ’র প্রধান সংস্থাটির সদরদপ্তরে একটি দুই শব্দের সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠান: “আমরা জিতেছি।” যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচে সফল এই কভার্ট অপারেশনে ৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল।
পানামায় হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র। মাদক পাচারে যুক্ত থাকার দায়ে পানামার নেতা ম্যানুয়েল নরিয়েগাকে গ্রেপ্তার করল। নরিয়েগা নিজেই একসময় সিআইএর গুপ্তচর ছিলেন।
১৯৯০ সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন ইরাক কুয়েতে হামলা চালাল। প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক অভিযানের কারণে পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতে কুয়েত ছাড়ল ইরাক।
হাইতির ইতিহাসের প্রথম মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন জাঁ-বার্তান্দ আরিস্তিদ।
১৯৯১ ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল রাউল সেদ্রাসের নেতৃত্বে সংঘটিত এক সামরিক ক্যুদেতায় ক্ষমতাচ্যুত হলেন আরিস্তিদ। হাইতির ওপর অবরোধ দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অর্গানাইজেশন অফ আমেরিকান স্টেটস (ওএএস)।
নোয়াম চমস্কি, ডেটারিং ডেমোক্রেসি।
১৯৯২ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন ডেমোক্রেটিক পদপ্রার্থী বিল ক্লিনটন। মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হল মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (নাফটা)। টরিসেলি বিল কিউবায় মার্কিন অবরোধ আরো জোরদার করল। যুক্তরাষ্ট্রে কিউবা গণতন্ত্র আইন প্রণয়ন করা হল। ফলে, যেসব বিদেশি ব্যবসা কোন মার্কিন কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে আছে, তাদের জন্য কিউবার সাথে বাণিজ্য নিষিদ্ধ হয়ে গেল। এই আইন কিউবান আমেরিকানদের বছরে একবার আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা করতে কিউবা যাওয়ার অনুমতি দিল।
১৯৯৩ নিউ ইয়র্ক সিটির ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ট্রাক বোমা হামলা চালাল আল কায়েদা।
১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ও মেক্সিকোর মধ্যে গঠিত হল উত্তর আমেরিকার মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (নাফটা)।
মার্কিন আগ্রাসনের হুমকিতে ক্ষমতা ছাড়ল হাইতির সেনাকর্তৃপক্ষ। হাইতিতে আবার বেসামরিক শাসন চালু করা হল। ক্ষমতায় ফিরলেন আরিস্তিদ।
এসময় আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে তেলের পাইপলাইন বসানো নিয়ে মার্কিন কোম্পানি ইউনোকল আর আর্হেন্তাইন কোম্পানি ব্রিডাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। উভয়েই তালেবানের সাথে আলোচনায় বসে। অফিস খোলে আফগানিস্তানে।
ভিয়েতনামের ওপর থেকে তিন দশকের বাণিজ্যিক অবরোধ প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৯৫ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করল ভিয়েতনাম। ওকলাহোমা বোমা হামলায় ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু।
১৯৯৬ তালেবানদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বৃদ্ধি পেল। পাকিস্তান আর তুর্কমেনিস্তানের সাথে ইউনোকলের চুক্তি সাক্ষর। চুক্তিতে ঠিক হল, ১৯৯৮ সালে ২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। পাইপলাইনটি দৌলতাবাদ গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করবে।
১৯৯৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের খোস্তে ক্রুজ মিসাইল হামলা চালায়। ইউনোকলের পাইপলাইন প্রকল্প বাতিল হয়ে যায়। অপারেশন ডেজার্ট ফক্স। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের এই যৌথ বোমা হামলার ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল ইরাকের পারমাণবিক, রাসায়নিক, ও জৈব অস্ত্রের কর্মসূচিগুলোর বিনাশ ঘটান। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় ইরাকি কুর্দিস্তানে যুদ্ধের অবসান ঘটে।
হোয়াইট হাউজের কর্মচারী মনিকা লিউনিস্কির সাথে যৌন সম্পর্কে যুক্ত থাকার দায়ে মার্কিন কংগ্রেস কর্তৃক অভিশংসিত হলেন বিল ক্লিনটন।
১৯৯৯-২০০০ যুক্তরাষ্ট্রের একটা মাছ ধরার জাহাজ এলিয়ান গনজালেজকে জাহাজডুবির হাতে থেকে উদ্ধার করল, যাতে তার মায়ের মৃত্যু ঘটে। মা আর ছেলে একসাথে কিউবা ছেড়ে পালাচ্ছিলেন। সাত মাসের আইনী লড়াই শেষে যুক্তরাষ্ট্র বাচ্চা ছেলেটিকে তার বাবার সাথে বাস করতে কিউবায় ফেরত পাঠাল।
১৯৯৯ কসোভো যুদ্ধে জাতিগত আলবানীয়দের বিরুদ্ধে সার্বীয় ফ্যাসিস্টদের সহিংসতা থামাতে ন্যাটো বোমাবর্ষণ করলে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে যুক্তরাষ্ট্র।
২০০০ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন জর্জ বুশ জুনিয়র।
২০০১ ৯/১১, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত পেন্টাগন আর নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে – টুইন টাওয়ার নামে পরিচিত – আল কায়েদার হামলায় ৩,০০০ মানুষের মৃত্যু। খুনীদের কেউ আফগান না হওয়া সত্ত্বেও এই হত্যাযজ্ঞকে অজুহাত হিশাবে ব্যবহার করে আফগানিস্তানে হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র। জর্জ বুশ জুনিয়রের “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের” সূচনা। আফগানিস্তানে এই মিশনের নাম শুরুতে ছিল অপারেশন ইনফিনিট জাস্টিস, পরবর্তীতে নাম বদলে রাখা হয় অপারেশন এনডিউরিং ফ্রিডম। যুক্তরাজ্য শুরু থেকেই এই যুদ্ধের পার্টনার ছিল; ফ্রান্স, জার্মানি, ক্যানাডা, ও অস্ট্রেলিয়া ভবিষ্যৎ সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। ঘোষিত উদ্দেশ্য “আফগানিস্তানের জঙ্গি শিবিরগুলো ধবংস করা।”
সেপ্টেম্বর ১৮ প্রেসিডেন্ট বুশ জুনিয়র একটা জয়েন্ট রেজল্যুশনে সাক্ষর করে সেটিকে আইনে পরিণত করেন যা পরবর্তীতে আফগানিস্তান আগ্রাসন, মার্কিন নাগরিকদের ওপর বেআইনী সরকারি নজরদারি, ও কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার প্রতিষ্ঠাকে বৈধতাদানে ব্যবহৃত হয়।
নোয়াম চমস্কি, ৯-১১।
২০০১-২০০৯ মার্কিন কংগ্রেস আফগানিস্তানে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের মানবিক ও পুনঃনির্মাণ সাহায্য বরাদ্দ করে।
২০০২ মার্চ অপারেশন অ্যানাকোন্ডা, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বড়মাপের গ্রাউণ্ড অ্যাসল্ট, তোরা বোরার পর সবচে বড় সামরিক অপারেশন।
এপ্রিল ভার্জিনিয়া মিলিটারি ইন্সটিটিউটে এক বক্তৃতায় বুশ যুদ্ধবিধবস্ত আফগানিস্তান “পুনঃনির্মাণের” ডাক দিলেন, নিজেদেরকে জর্জ মার্শালের উত্তরসূরী ঘোষণা করলেন।*
* যুদ্ধোত্তর ইওরোপের অর্থনীতি পুনঃগঠনের পেছনে থাকা মার্শাল পরিকল্পনা যাঁর নামে রাখা হয়েছিল।
২০০৩ মার্চ ২০ জর্জ বুশ জুনিয়রের নেতৃত্বে ইরাকে হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র।*
* যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক আগ্রাসনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিল কানাডা। ইরাকে আগ্রাসনে সমর্থন দেয়া থেকে বিরত থাকল মেক্সিকোর ফক্স প্রশাসন।
এপ্রিল ৯ সাদ্দাম সরকারের পতন।
মে ১ বুশ বললেন, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।
মে ২৩ দ্য কোয়ালিশন প্রভিন্সিয়াল অথোরিটি ইন ইরাকের প্রধান পল ব্রেমার এক হুকুমে ইরাকি সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করে দিলেন।
মে কাবুলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স ডোনাল্ড রামসফেল্ড বললেন, ‘মূল সংঘাতের’ অবসান ঘটেছে।
জুন ২২ ইরাকের উত্তরাঞ্চলের শহর মসুলে যুক্তরাষ্ট্রীয় সেনাদের হাতে খুন হলেন সাদ্দাম হোসেনের দুই ছেলে উদয় আর কুসাই।
আগস্ট ১৯ বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্রের সদরদপ্তরে ট্রাক বোমা হামলা। এতে ইরাকে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি সার্জিও ভিয়েরা দে মিলোর মৃত্যু হয়।
আগস্ট ২৯ নাজাফে এক গাড়ি বোমা হামলায় ১২৫ জনের মৃত্যু হল। নিহতদের একজন শিয়া নেতা আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ বাকির আল-হালিম।
ডিসেম্বর ১৪ তিকরিতে মার্কিনীদের হাতে ধরা পড়লেন সাদ্দাম হোসেন।
তারিক আলী, বুশ ইন ব্যাবিলন: দ্য রিকলোনাইজেশন অফ ইরাক।
নোয়াম চমস্কি, হেজিমনি অর সার্ভাইভাল: আমেরিকাজ কোয়েস্ট ফর গ্লোবাল ডমিন্যান্স।
২০০৪ জানুয়ারি ২৪ বুশ প্রশাসন স্বীকার করল, যে-গণবিধবংসী অস্ত্রের দোহাই পেড়ে ইরাকে যুদ্ধ করে গেছিল তারা, তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
মার্চ ৩১ ফাল্লুজায় ৪ জন মার্কিন কন্ট্রাক্টরকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের পোড়া লাশ ফোরাত নদীর ওপরকার এক সেতুতে ঝুলিয়ে রাখা হল।
এপ্রিল ২৮ বাগদাদের আবু ঘারিব কারাগারে ইরাকি বন্দীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রীয় সেনাদের অত্যাচারের আলোকচিত্রীয় প্রমাণ মিলল।
মে ৩১ মার্কিন ব্যবসায়ী নিকোলাস বার্গের অপহরণকারীরা আবু ঘারিবের প্রতিশোধ নেয়ার দোহাই দিয়ে বার্গকে জবাই করল এবং জবায়ের দৃশ্যটি ভিডিওতে ধারণ করে একটি জঙ্গি ওয়েবসাইটে আপলোড করল, যুক্তরাষ্ট্র পরে দাবি করে জবাইকারী আল কায়েদা ইন ইরাকের (আকি) প্রতিষ্ঠাতা আবু মুসাব আল-জারকাওয়ি।
আগস্ট নাজাফে মার্কিন সেনাদের সাথে ইরাকি শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদরের শিয়া মিলিশিয়ার লড়াই চলছে এ-সময়।
সেপ্টেম্বর ৮ ফাল্লুজায় যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান, পেন্টাগনের হিসাবে ১২০০ জন বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়, রেড ক্রসের হিসাবে এর পাশাপাশি ৮০০ জন বেসামরিক নাগরিক মারা যান।
নোয়াম চমস্কি, পল ফার্মার, ও এমি গুডম্যান, গেটিং হাইতি রাইট দিস টাইম: দ্য ইউ.এস. অ্যান্ড দ্য ক্যু।
টমাস ডব্লিউ. লিপম্যান, ইনসাইড দ্য মিরেজ: আমেরিকা’জ ফ্র্যাজাইল পার্টনারশিপ উইথ সৌদি অ্যারাবিয়া।
২০০৫ মে ২৩ আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়র এক যৌথ ঘোষণা ইস্যু করলেন, যাতে দেশ দুটিকে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার বলে দাবি করা হল। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন বাহিনী, এবং আফগান সরকার সম্মিলিতভাবে প্রচারণা অভিযান চালিয়ে আফিম চাষ দমন করার চেষ্টায় নামে। মার্কিন আগ্রাসন পরবর্তী ইরাকের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের অবসানের পর প্রথম ভিয়েতনামী নেতা হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র সফর করলেন ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফান ভ্যান খাই।
হারিকেন ক্যাটরিনায় প্রায় ২০০০ মানুষের মৃত্যু হল।
নোয়াম চমস্কি, ইম্পেরিয়াল অ্যাম্বিশনস: কনভারসেশনস উইথ নোয়াম চমস্কি অন দ্য পোস্ট-৯/১১ ওয়ার্ল্ড (ইন্টারভিউজ উইথ ডেভিড বারসামিয়ান)।
— ফেইল্ড স্টেটস: দ্য এবিউজ অফ পাওয়ার অ্যান্ড দ্য অ্যাসল্ট অন ডেমোক্রেসি।
২০০৬ ইংরেজিতে পাঠদানের ব্যবস্থাসহ, ও সহশিক্ষার নীতিতে, আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ আফগানিস্তান পথচলা শুরু করল।
নভেম্বর ৮ পদত্যাগ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব ডোনাল্ড রামসফেল্ড।
ডিসেম্বর ৩০ ঈদের দিন সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝোলান হল।
রাচেল ব্রনসন, থিকার দ্যান অয়েল: আমেরিকা’জ আনইজি পার্টনারশিপ উইথ সৌদি অ্যারাবিয়া।
রবার্ট ভাইটালিস, আমেরিকা’জ কিংডম: মিথমেকিং অন দ্য সৌদি অয়েল ফ্রন্ট।
উইলিয়াম জে. স্পারলিন, ইম্পেরিয়ালিজম উইদিন দ্য মার্জিনস: কুইয়ার রিপ্রেজেন্টেশন অ্যান্ড দ্য পলিটিকস অফ কালচার ইন সাউদার্ন আফ্রিকা।
রবিন এল. রিলে ও নাঈম ইনায়েতুল্লা (সম্পা.), ইন্টারোগেটিং ইম্পেরিয়ালিজম: কনভারসেশনস অন জেন্ডার, রেস, অ্যান্ড ওয়ার।
২০০৭ ফেব্রুয়ারি ১০ ইরাকে মার্কিন বাহিনীর প্রধান হলেন ডেভিড পেট্রাস।
জুন ১ ইরাকে ইসলামি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সুন্নী গোত্রগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে শুরু করল যুক্তরাষ্ট্র।
সেপ্টেম্বর ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ব্ল্যাকওয়াটারের নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে ১৭ জন বেসামরিক ইরাকি নাগরিকের মৃত্যু হল।
ই. সান জুয়ান, জুনিয়র, ইউ.এস. ইম্পেরিয়ালিজম অ্যান্ড রেভল্যুশন ইন দ্য ফিলিপাইন্স।
নোয়াম চমস্কি, ইন্টারভেনশনস।
লিওনার্দ এ. কোল, টেরর: হাউ ইসরায়েল হ্যাজ কোপড অ্যান্ড হোয়াট আমেরিকা ক্যান লার্ন।
ব্রায়ান দে পালমা, রিডাক্টেড।
২০০৮ পশ্চিম হেরাত প্রদেশের শিনদান্দ জেলায় একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ থেকে চালানো এলোপাতাড়ি গুলিতে কয়েকজন আফগান বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু। ফারাহ প্রদেশে এরকম আরেকটি ঘটনায় ১৪০ জন আফগান বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু।
সেপ্টেম্বর ১ ইরাকের সুন্নী অধ্যুষিত আনবার প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের সাথে তুলে দিল যুক্তরাষ্ট্র।
নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হলেন ডেমোক্রেটিক সিনেটর বারাক ওবামা।
ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটা নিরাপত্তা চুক্তির অনুমোদন দিল ইরাকি সংসদ। যেই চুক্তির অধীনে ২০১১ সালের মধ্যে সব যুক্তরাষ্ট্রীয় সেনাকে ইরাক ছেড়ে যেতে হবে।
ডিসেম্বর ১৪ ইরাকে এক সংবাদ সম্মেলন চলাকালে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রের দিকে জুতা ছুঁড়ে মারেন ইরাকি সাংবাদিক মুনতাজার আল-জায়েদি। জুতানিক্ষেপের সময় মুনতাজার আরবিতে চিৎকার করে বলেন, “This is a farewell kiss from the Iraqi people, dog.” এই ঘটনার কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিসেম্বর ১৫ বাগদাদ, বসরা, ও নাজাফে হাজার হাজার ইরাকি মুনতাজারের মুক্তির দাবিতে পথে নেমে আসেন। পরের বছরের সেপ্টেম্বরে আল-জায়েদিকে মুক্তি দেয়া হয়।
ডেক্সটার ফিলকিনস, দ্য ফরএভার ওয়ার।
রবিন এল. রিলে, চন্দ্র তালপাড়ে মোহান্তি, ও মিন্নি ব্রুস প্রাট (সম্পা.), ফেমিনিজম অ্যান্ড ওয়ার: কনফ্রন্টিং ইউ ইম্পেরিয়ালিজম।
ক্যাথরিন বিগলো, দ্য হার্ট লকার।
২০০৯ যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফগানিস্তানে আরো ১৭,০০০ সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন। তিনি একটা নতুন রণনীতির ঘোষণাও দিলেন, যেখানে আফগানিস্তানে মার্কিন যুদ্ধপ্রয়াসের সাফল্যকে পাকিস্তানের স্থিতিশীলতার সাথে যুক্ত করা হল। আফগান পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তার জন্য দেশটি আরো ৪,০০০ মার্কিন সেনা পাঠানোর পরিকল্পনাও ব্যক্ত হল।
কারজাইয়ের বৈধতা নিয়ে মার্কিনীদের মনে প্রশ্ন ওঠে, সেক্রেটারি অফ স্টেট হিলারি ক্লিনটন জানান ভবিষ্যতে বেসামরিক সহায়তা পেতে হলে দুর্নীতি দমনে কারজাই প্রশাসনকে আরো বেশি উদ্যোগ নিতে হবে।
ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট ওবামা একটা জাতীয়ভাবে টেলিভাইজড বক্তৃতায় আফগানিস্তানে আরো ৩০,০০০ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দেন। ইতোমধ্যেই দেশটিতে ৬৮,০০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন ছিল। আট বছরে এই প্রথম আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারণ করা হল, প্রেসিডেন্ট ওবামা বললেন ২০১১ সালের জুলাইয়ে শুরু হবে সেনা প্রত্যাহার।
২০১০ অক্টোবর ইরাক ওয়ার লগস , জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের উইকিলিকস ইরাক যুদ্ধ বিষয়ক ৩৯১,৮৩২টি গোপন মার্কিন নথি ফাঁস করে দিল।
ফ্রান্সিস শোর, ডায়িং এম্পায়ার: ইউ.এস. ইম্পেরিয়ালিজম অ্যান্ড গ্লোবাল রেজিস্টেন্স।
ডানা এইচ. অ্যালিন, ও স্টিভেন সিমন, দ্য সিক্সথ ক্রাইসিস: ইরান, ইসরায়েল, আমেরিকা, অ্যান্ড দ্য রিউমারস অফ ওয়ার।
২০১১ মে ১ পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর অভিযানে খুন হলেন আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেল, যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড সংখ্যক নাগরিক আফগানিস্তান আগ্রাসন সমর্থন করেন না।
জুন বিশেষত ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতাদের চাপে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া জোরদার করার পরিকল্পনা ব্যক্ত করলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। ২০১২ সালের গ্রীষ্মের মধ্যে ৩৩,০০০ সেনা প্রত্যাহারের একটা রূপরেখা প্রকাশ করলেন তিনি, যার মধ্যে ১০,০০০ সেনাকে ২০১১’র শেষ নাগাদ প্রত্যাহার করা হবে।
এবছর তালেবান নেতৃত্বের সাথে শান্তি আলোচনার প্রাথমিক পর্বটা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মার্কিন সেনাবাহিনী দেশটিতে যে-বিষাক্ত এজেন্ট অরেঞ্জ ছড়িয়েছিল, তার দূষণ থেকে দেশটিকে মুক্ত করতে ভিয়েতনাম সরকার আর যুক্তরাষ্ট্র সরকার যৌথভাবে কাজ করতে শুরু করল।
২০১২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সেক্রেটারি লিওন পেনেট্টা ঘোষণা করেন, ২০১৩ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে আফগানিস্তানে সংঘাত মিশনগুলো গুটিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে পেন্টাগনের।
মাইকেল প্যাট্রিক কালিনান, লিবার্টি অ্যান্ড আমেরিকান এন্টাই-ইম্পেরিয়ালিজম ১৮৯৮-১৯০৯।
এরিক পল, নিওলিবারেল অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড ইউএস ইম্পেরিয়ালিজম ইন ইস্ট এশিয়া।
নোয়াম চমস্কি, অকুপাই।
— মেকিং দ্য ফিউচার: অকুপেশনস, ইন্টারভেনশনস, এম্পায়ার অ্যান্ড রেজিস্টেন্স।
ক্যাথরিন বিগলো, জিরো ডার্ক থার্টি।
২০১৩ এপ্রিল বোস্টন ম্যারাথনে জোড়া বোমা হামলায় ৩ জন নিহত হলেন। আহতের সংখ্যা ১৭০য়েরও বেশি।
মে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) সাবেক ঠিকাদার এডওয়ার্ড স্নোডেন রাশিয়ায় পালিয়ে গেলেন। মার্কিন নজরদারির বিপুল তথ্য ফাঁস করেছিলেন স্নোডেন।
জেরেমি কেনান, দ্য ডায়িং সাহারা: ইউএস ইম্পেরিয়ালিজম অ্যান্ড টেরর ইন আফ্রিকা।
২০১৪ প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০১৬ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিলেন।
আনন্দ গোপাল, নো গুড মেন অ্যামাং দা লিভিং: আমেরিকা, দ্য তালিবান, অ্যান্ড দ্য ওয়ার থ্রো আফগান আইজ।
তাজ হাশমী, গ্লোবাল জিহাদ অ্যান্ড আমেরিকা: দ্য হান্ড্রেড-ইয়ার ওয়ার বিয়োন্ড ইরাক অ্যান্ড আফগানিস্তান।
জেমস ই. মর্গান, ইনটু নিউ টেরিটোরি: আমেরিকান হিস্টোরিয়ানস অ্যান্ড দ্য কনসেপ্ট অফ ইউএস ইম্পেরিয়ালিজম।
২০১৫ জানুয়ারি হাভানায় কিউবা আর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দুই দিন ব্যাপী এক ঐতিহাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। ওয়াশিংটন ডি.সি.’তে পুনরায় বৈঠকের অঙ্গীকার ব্যক্ত হল। প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ট্রো প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি মার্কিন কংগ্রেস বাইপাস করতে নিজের নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করার ও কিউবার ওপর জারি থাকা মার্কিন অবরোধ তুলে নেয়ার আহবান জানালেন।
ফেব্রুয়ারি কিউবান ও মার্কিন কূটনীতিকরা জানালেন, দুই দেশের সম্পর্ক পুরোপুরি পুনর্বহাল করার ব্যাপারে ওয়াশিংটন ডি.সি.’তে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে।
মে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ব্যাংকিং সম্পর্ক পুনর্বহাল করল কিউবা। দেশটির নাম সন্ত্রাসবাদে মদদদাতা দেশের তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়া হল।
জুলাই কিউবা আর যুক্তরাষ্ট্র একে অন্যের দেশে দূতাবাস খুলল, এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বিনিময় করল।
জেমস পেট্রাস ও হেনরি ভেল্টমায়ার (সম্পা.), পাওয়ার অ্যান্ড রেজিস্টেন্স: ইউএস ইম্পেরিয়ালিজম ইন লাতিন আমেরিকা।
কেলি নাইকস, জ্যারেড পি. স্কট, পিটার ডি. হাচিসন, রিকোয়েম ফর দ্য আমেরিকান ড্রিম।
২০১৬ জানুয়ারি কিউবার ওপর থাকা বাণিজ্য অবরোধ শিথিল করল যুক্তরাষ্ট্র। ৮৮ বছরের মধ্যে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কিউবা সফর করলেন যুক্তরাষ্ট্রের বারাক ওবামা।
ইন্টারন্যাশনাল পিপলস ট্রাইব্যুনাল ১৯৬৫ তার প্রতিবেদনে ইন্দোনেশিয়ার ১৯৬৫-৬৬ সালের
ঘটনাবলীকে মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করল এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ও অস্ট্রেলিয়াকে এতে সহায়তা করার দায়ে অভিযুক্ত করল।
পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের এক ড্রোন হামলায় খুন হলেন আফগান তালেবানদের নতুন নেতা মোল্লা আখতার মনসুর।
মার্ক ম্যানসন, আ সাটল আর্ট অফ নট গিভিং আ ফাক: আ কাউন্টার-ইনটিটিউটিভ অ্যাপ্রোচ টু গুড লাইফ।
২০১৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আফগানিস্তানের নানগারহরের এক গুহায় সন্দেহভাজন আইএস যোদ্ধাদের ওপর দা মাদার অফ অল বোম্বস (মোয়াব) নিঃক্ষেপ করল যুক্তরাষ্ট্র। ওবামার আফগানিস্তান নীতিতে পরিবর্তন আনলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি জানালেন, অতীতে নির্ধারণ করা কোন সময়সীমা নয়, “মাঠের পরিস্থিতি” কেমন সেই বিবেচনায় সেনা প্রত্যাহার করা হবে। আফগানিস্তানকে নতুন করে গড়ে তোলার কাজে সাহায্য করার জন্য ভারতের প্রতি আহবান জানালেন তিনি, আর সন্ত্রাসবাদীদেরকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগে পাকিস্তানকে দুষলেন।
ডিসেম্বর জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওয়াশিংটন ডি.সি.তে নারী অধিকারের দাবিতে উইমেনস মার্চ।
২০১৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আর মেক্সিকো একটা নতুন বাণিজ্য চুক্তি করল। দ্য ইউনাইটেড স্টেটস-কানাডা-মেক্সিকো এগ্রিমেন্ট (ইউএসএমসিএ)। এটা নাফটাকে প্রতিস্থাপিত করে।
যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার দায়ে দেউলিয়া হয়ে গেল ব্রিটিশ পলিটিকাল কনসালটেন্সি ফার্ম কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের সাথে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হলেন যুক্তরাজ্যের রাজপুত্র হ্যারি। তালেবানদের সাথে দরকষাকষি করতে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জালমাই খালিলজাদকে তাঁর বিশেষ প্রতিনিধি নিযুক্ত করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০১৯ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইডো নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেন। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ এনে তাঁকে উৎখাত করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আহবান জানালেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইওরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গুইডোকে স্বীকৃতিপ্রদান করল।
ফেব্রুয়ারি দোহায় যুক্তরাষ্ট্র আর তালেবানদের মধ্যে শান্তি সংলাপ তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
মার্চ গোলান উপত্যকার ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র।
সেপ্টেম্বর ট্রাম্প শান্তি সংলাপ বন্ধ করে দেন। তিনি জানান, তালেবানদের আক্রমণে এক মার্কিন সেনা নিহত হওয়ায়, তিনি ক্যাম্প ডেভিডে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি আর তালেবান নেতৃত্বের সাথে হতে যাওয়া একটা গোপন বৈঠক বাতিল করেছেন।
অক্টোবর উত্তর সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র।
ডিসেম্বর মার্কিন হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস কর্তৃক অভিশংসিত হলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ইরাকে ২০০৩ সালের মার্চে মার্কিন হামলার পর থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত যুদ্ধরত সকল পক্ষের হাতে প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ১৫ হাজারের মাঝামাঝি সংখ্যক বেসামরিক ইরাকি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। (Watson Institute for International and Public Affairs 2022a)
জেমস এইচ. লেবোভিচ, প্ল্যানিং টু ফেইল : দ্য ইউএস ওয়ার্স ইন ভিয়েতনাম, ইরাক, অ্যান্ড আফগানিস্তান।
২০২০ জানুয়ারি বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় খুন হলেন ইরানি সেনাপতি কাশেম সোলেমানি
ফেব্রুয়ারি ২৯ দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমাই খালিদজাদ আর শীর্ষ তালেবান নেতা মোল্লা আবদুল গণি বারাদারের মধ্যে শান্তি চুক্তি সাক্ষরিত।
মে মিনিয়াপোলিস পুলিশ কর্তৃক আফ্রিকান আমেরিকান জর্ড ফ্লয়েড খুন হলে দেশ জুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা দিল।
নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের তরফে আফগানিস্তান থেকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা এল।
আফগানিস্তানে মার্কিন যুদ্ধাপরাধ খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে এল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়, দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আদালত এলজিবিটিকিউ ও ট্রান্স মানুষদের বিরুদ্ধে বৈষম্যনীতিকে বেআইনি ঘোষণা করল।
মার্কিন নৃবিজ্ঞানী ও অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ডেভিড গ্রেইবারের মৃত্যু। মার্কিন
আইনজীবী রুথ বাডের গিনসবার্গের মৃত্যু।
রবার্ট ড্রেপার, টু স্টার্ট আ ওয়ার: হাউ দ্য বুশ এডমিনিস্ট্রেশন টুক আমেরিকা টু ইরাক।
জেমস পেট্রাস, ইউএস ইম্পেরিয়ালিজম: দ্য চেঞ্জিং ডাইনামিকস অফ গ্লোবাল পাওয়ার।
জোয়ানা ব্রুকস, মর্মনিজম অ্যান্ড হোয়াইট সুপ্রিমেসী: আমেরিকান রিলিজয়ন অ্যান্ড দ্য প্রবলেম অফ রেসিয়াল ইনোসেন্স।
২০২১ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকরা ইউএস ক্যাপিটোলে নজিরবিহীন হামলা চালাল, দাঙ্গায় ৫ জনের মৃত্যু হল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করলেন, সৌদি আরব আর সংযুক্ত আরব ইমারাতের কাছে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এতদিন যে-অস্ত্র বিক্রি করছিল, তা বন্ধ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্যারিস চুক্তিতে পুনরায় যোগদান করল।
এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিলেন।
জুলাই মার্কিন সেনাবাহিনী বাগরাম বিমানবন্দর ছেড়ে গেল।
১৫ আগস্ট তালেবানদের হাতে কাবুলের পতন ঘটল। তালেবানরা রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে ঢোকার কয়েক ঘন্টা আগে প্রেসিডেন্ট ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সাথে তালেবানদের আলোচনা চলতে থাকে।
আগস্ট সেনা প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের বৈদেশিক রিজার্ভ ফ্রিজ করল। ইওরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়ে দিল, তালেবান সরকারের সাথে তাঁরা কোন ধরণের আলাপ-আলোচনায় অংশ নেবে না। পাকিস্তান, চীন, ও রাশিয়া কিছু শর্তসাপেক্ষে তালেবান সরকারের সাথে সম্পর্ক রক্ষায় আগ্রহ দেখাল।
কাবুল বিমানবন্দরে আইএস-খোরাসানের হামলায় ১০ জন মার্কিন সামরিক ব্যক্তিত্ব ও ১১০ জনেরও বেশি আফগান বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু। প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ১০ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু। এদের কনিষ্ঠতম মালিকা আহমাদি, বয়স ২ বছর।
প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব ঠেকাতে যুক্তরাজ্য আর অস্ট্রেলিয়ার সাথে মিলে যুক্তরাষ্ট্র গঠন করল সামরিক জোট অকাস।
কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রাউল ক্যাস্ট্রোর পদত্যাগ। খাদ্য ও অষুধের দাবিতে পার্টিবিরোধী আন্দোলন। বিরোধীরা সংকটের জন্য মুক্তবাজার ও গণতন্ত্রের অভাবকে দায়ী করলেন, সমর্থকরা দায়ী করলেন মার্কিন অবরোধকে।*
* জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ তার বার্ষিক প্রস্তাবে ২৯তম বারের মত কিউবায় মার্কিন অবরোধের অবসান ঘটানোর পক্ষে ভোট দিল। ইউক্রেন, কলম্বিয়া, আর ব্রাজিল ভোটদানে বিরত থাকে। মাত্র দুটি দেশ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়, তারা হল যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরায়েল।
মার্কিন নৃবিজ্ঞানী মার্শাল শাহলিনসের মৃত্যু। মার্কিন রাজনীতিক ও যুদ্ধাপরাধী ডোনাল্ড রামসফেল্ডের মৃত্যু। মার্কিন নারীবাদী লেখক বেল হুকসের মৃত্যু।
কারি ম্যালট, আ হিস্ট্রি অফ এডুকেশন ফর দ্য মেনি: ফ্রম কলোনাইজেশন অ্যান্ড স্লেভারি টু দ্য ডিক্লাইন অফ ইউএস ইম্পেরিয়ালিজম।
২০২২ আফগানিস্তানে ২০০১ সালের অক্টোবরে মার্কিন হামলার পর থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত যুদ্ধরত পক্ষগুলোর হাতে প্রায় ২ লক্ষ ৪৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দুই দশকে এই আগ্রাসনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র খরচ করেছে প্রায় ২.২৬ ট্রিলিয়ন ডলার। আগ্রাসনের কারণে ২ কোটি ৭০ লক্ষ আফগান ভিটেমাটি হারিয়ে শরণার্থী হয়ে পড়েছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান আর ইরানে যাপন করছেন মানবেতর জীবন। (Watson Institute for International and Public Affairs 2022a)
ইলিয়া জিপোলিয়া, হিউম্যান রাইটস, ইম্পেরিয়ালিজম, অ্যান্ড করাপশন ইন ইউএস ফরেন পলিসি।
২০২৩ ইরাকে ২০০৩ সালের মার্চে মার্কিন হামলার পর থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত যুদ্ধরত সকল পক্ষের হাতে প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ১৫ হাজারের মাঝামাঝি সংখ্যক বেসামরিক ইরাকি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। (Watson Institute for International and Public Affairs 2022b)
সনি কোরানেজ বোল্টন, ক্রিপ কলোনি: মেস্তিজাজে, ইউএস ইম্পেরিয়ালিজম, অ্যান্ড দ্য কুইয়ার পলিটিকস অফ ডিজ্যাবিলিটি ইন দ্য ফিলিপাইনস।
২০২৪ আনা লুসিয়া আরাউজো, হিউম্যানস ইন শ্যাকেলস: অ্যান আটলান্টিক হিস্ট্রি অফ স্লেভারি।
২০২৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তথ্যসূত্র
মার্কস, কার্ল, ও এঙ্গেলস, ফ্রিডরিখ। ১৯৮০। নির্বাচিত রচনাবলীর পঞ্চম খণ্ড। ননী ভৌমিক কর্তৃক অনূদিত। প্রগতি প্রকাশন।
রাফিন, ইরফানুর রহমান। ২০২২। সময়রেখা: মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে করোনাসংকট পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ঘটনাপঞ্জি। দিব্যপ্রকাশ।
Ahmad, Eqbal. 2001. Terrorism: Theirs & Ours. Seven Stories Press.
BBC. 2021. “United States profile – Timeline.” BBC, January 20.
https://www.bbc.com/news/world-us-canada-16759233
The Church of Jesus Christ of Latter-Day Saints. n.d. “General Timeline of Church History Events: 1805–1846.” Accessed September 11, 2022.
https://www.churchofjesuschrist.org/study/manual/latter-day-saint-history-1815-1846-teacher-material/timeline?lang=eng.
Eltis, David, and Richardson, David. 2010. Atlas of the Transatlantic Slave Trade. Yale University Press.
Gritzner, Charles F. 2007. The United States of America. Chelsea House.
Reidel, Bruce. 2014. What We Won: America’s Secret War in Afghanistan, 1979-89. Brookings Institution Press.
Watson Institute for International and Public Affairs. 2022a. “HUMAN AND BUDGETARY COSTS TO DATE OF THE U.S. WAR IN AFGHANISTAN, 2001-2022.” Accessed September 11, 2022.
https://watson.brown.edu/costsofwar/figures/2021/human-and-budgetary-costs-date-us-war-afghanistan-2001-2022
— 2022b. “Iraqi Civilians.” Accessed July 8, 2023.
https://watson.brown.edu/costsofwar/costs/human/civilians/iraqi
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি