Featured Image: Wikimedia Commons.
সাল
১৪৯৮ সুরিনামের উপকূল ক্রিস্টোফার কলম্বাসের চোখে পড়ল।
১৫৯৩ স্পেনীয় অভিযাত্রিকরা অঞ্চলটি পরিদর্শন করলেন এবং দেশটির আদিতম বাসিন্দা সুরিনানদের নামানুসারে দেশটির নাম সুরিনাম রাখলেন।
১৬০০-১৬৫০ স্পেনীয়, ফরাসি, ব্রিটিশ, ও ওলন্দাজ উপনিবেশিক শক্তি বারংবার বসতিস্থাপন করার চেষ্টা চালাল, কিন্তু স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে এসব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।
১৬৫১ সুরিনামে প্রথম স্থায়ী ইওরোপীয় বসতি, পারামারিবোতে ব্রিটিশ লর্ড ফ্রান্সিস উইলোবি কর্তৃক স্থাপিত হল।
১৬৬৭ ব্রিটিশরা নিউ আমস্টারডামের* বিনিময়ে নেদারল্যান্ডসের কাছে সুরিনামের ব্রিটিশ-শাসিত অংশ বেচে দিল।
* এই নিউ আমস্টারডামই আজকের নিউ ইয়র্ক সিটি।
১৬৮২ সুরিনামে কফি আর আখ প্ল্যান্টেশন স্থাপন করে তাতে আফ্রিকান দাসদের কাজে লাগানো হল।
১৭৯৯-১৮০২, ১৮০৪-১৬ সুরিনামে ব্রিটিশ শাসন পুনর্বহাল।
১৮৬৩ সুরিনামে দাসপ্রথার বিলোপসাধন করা হল। প্ল্যান্টেশনে কাজে লাগানোর জন্য ভারত, জাভা ও চীন থেকে শর্তাবদ্ধ শ্রমিকদের নিয়ে আসা হল।
১৯১৬ খনি থেকে বক্সাইট তুলতে শুরু করল অ্যালুমিনিয়াম কোম্পানি অফ আমেরিকা (অ্যালকোয়া), যা কালক্রমে সুরিনামের প্রধান রফতানি পণ্য হয়ে উঠবে।
১৯৫৪ সুরিনামকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দেয়া হল, নেদারল্যান্ডসের হাতে রইল কেবল প্রতিরক্ষা আর বৈদেশিক সম্পর্ক।
১৯৭৫ নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করল সুরিনামে। জনগণের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ল। সুরিনাম জাতীয় দলের (এনপিএস) জোহান ফেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন, প্রধানমন্ত্রী হলেন একই দলের হেঙ্ক আররন।
১৯৮০ এক সামরিক ক্যুদেতায় উৎখাত হল আররন সরকার।
১৯৮২ লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডিজায়ার “দেশি” বউতের্সের নেতৃত্বে সংঘটিত এক ক্যুদেতায় ক্ষমতাদখল করল সশস্ত্র বাহিনী। স্থাপন করল একটি বিপ্লবী গণফ্রন্ট। ১৫ জন বিরোধীদলীয় নেতাকে ক্যু ঘটানোর ষড়যন্ত্রের দায়ে অভিযুক্ত করে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল, অর্থনৈতিক সহায়তার পরিমাণ কমিয়ে দেয়ার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৮৫ রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হল।
১৯৮৬ মূলত আফ্রিকান দাসদের বংশধরদের নিয়ে গঠিত সুরিনাম মুক্তিফৌজ (এসএলএ) সাংবিধানিক ব্যবস্থা পুনর্বহাল করার লক্ষ্যে গেরিলা যুদ্ধে নামলো।
১৯৮৭ নয়া বেসামরিক সংবিধান ইলেকটোরেটের ৯৭%য়ের অনুমোদন পেল।
১৯৮৮ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী রামসেওয়াক শঙ্কর।
১৯৮৯ এসএলএ’য়ের সাথে প্রেসিডেন্ট শঙ্করের চুক্তি প্রত্যাখ্যান করলেন বউতের্সে, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার শপথ ব্যক্ত করলেন।
১৯৯০ বউতের্সে-পরিকল্পিত এক সামরিক ক্যুদেতায় ক্ষমতাচ্যুত হলেন শঙ্কর।
১৯৯১ অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হলেন এনপিএসের জোহান ক্রাগ। বিরোধী দলগুলোর জোট গণতন্ত্র ও উন্নয়নের নয়া ফ্রন্ট নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রোনাল্ড ভেনেশিয়ান।
১৯৯২ সুরিনাম সরকার ও এসএলএর মধ্যে শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হল।
১৯৯৬ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বউতের্সের মিত্র জুলস উইসডেনবশ।
১৯৯৯ একটি ওলন্দাজ আদালত মাদক চোরাচালানের দায়ে বউতের্সের বিচার করে in absentia দোষী সাব্যস্ত করল।
২০০০ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রোনান্ড ভেনেশিয়ান।
২০০২ এপ্রিল: রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কলা কোম্পানি বন্ধ করে দেয়া হল।
২০০৪ জানুয়ারি: গিল্ডারকে সুরিনাম ডলার দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা হল। মার্চ একটি ক্ষুদ্রাকার পুনর্গঠিত কলা কোম্পানি খোলা হল।
২০০৫ দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন রোনান্ড ভেনেশিয়ান।
২০১০ আগস্ট: প্রেসিডেন্ট হলেন সাবেক সামরিক শাসক দেশি বউতের্সে।
২০১৫ আগস্ট: দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।
২০২০ জুলাই: সংসদ কর্তৃক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সাবেক পুলিশ প্রধান চন্দ্রিকাপ্রসাদ “চান” সান্তোখি।
তথ্যসূত্র
BBC. “Suriname profile – Timeline.” BBC, October 18, 2022.
https://www.bbc.com/news/world-latin-america-20028418
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি