
ব্রাজিল
Featured Image: Wikimedia Commons.

সাল
১৪৯৮ তর্দেসিল্লা চুক্তি, স্পেনীয় আর পর্তুগিজরা নতুন দুনিয়া নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল।
১৫০০ প্রথম ইওরোপীয় হিসেবে ব্রাজিল পৌঁছুলেন পর্তুগিজ অভিযাত্রিক পেদ্রো আলভারেস কাবরাল, দেশটির ওপর পর্তুগালের মালিকানা দাবি করলেন।
১৫০১-১৭০০ আখ প্ল্যান্টেশনে কাজে লাগানোর জন্য প্রায় ৩০-৪০ লক্ষ আফ্রিকান দাসকে ব্রাজিলে আনা হল।
১৫০২ পর্তুগিজরা ব্রাজিলে নিজেদের প্রথম বাণিজ্যকুঠি (ফিয়েতোরিয়া) স্থাপন করল রিও ডি জেনিরোর উত্তরে।
১৫১১ ইওরোপীয়দের মানচিত্রে ব্রাজিল নামটি প্রথমবারের মত দেখা গেল। ব্রাজিল উপকূলে অভিযাত্রা চালাচ্ছেন হোয়াও দে লিসবোয়া ও এস্তেভাও ফ্রোয়েজ।
১৫৩২ সাও ভিনসেন্তেতে প্রথম পর্তুগিজ বসতি স্থাপিত হল।
১৫৩৩-৩৯ রিও, পারনামবুকো, আর সাও ভিনসেন্তেতে প্রথম আখ প্ল্যান্টেশনগুলো বসান হল।
১৫৪৯ পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের একটা রাজ-উপনিবেশে পরিণত হল ব্রাজিল।
১৫৫৪ সাও পাওলোতে বসতিস্থাপন করলেন জেসুইট ধর্মপ্রচারকরা।
১৫৬৭ গুয়ানাবারা উপসাগরের ফরাসি উপনিবেশ ফ্রান্স আন্তারতিক ফরাসিদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল পর্তুগাল।
১৫৭০ আদিবাসী আমেরিকানদের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল পর্তুগাল সাম্রাজ্য।
১৫৭২ পর্তুগিজ ব্রাজিলে একজন ভাইসরয় নিযুক্ত করা হল।
১৬২৪ ওলন্দাজরা পর্তুগিজ ব্রাজিলের সালভাদর দখল করে নিল।
১৬৩০ ওলন্দাজরা পর্তুগিজ ব্রাজিলের ওলিন্দা ও রেকিফ দখল করে নিল।
১৬৩২ ওলন্দাজরা পর্তুগিজ ব্রাজিলের পারনামবুকো দখল করে নিল।
১৬৪৮ পর্তুগিজ ব্রাজিল থেকে যাওয়া একটি সেনাবাহিনী পর্তুগিজ অ্যাঙ্গোলার রাজধানী লুয়ান্ডাকে ওলন্দাজদের হাত থেকে পুনর্দখল করল।
১৬৫৪ ওলন্দাজদের দখল করা ভূখণ্ডগুলোর ওপর পুনরায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করল পর্তুগিজ ব্রাজিল।
১৬৬৩ পর্তুগিজ ব্রাজিল নিয়ে পর্তুগাল আর নেদারল্যান্ডসের মধ্যে শান্তি চুক্তি সাক্ষরিত হল।
১৬৯০-৯৯ মিনাস গেরাইস রাজ্যে সোনা আবিষ্কৃত হল।
১৭১১ ফরাসিরা সাময়িকভাবে পর্তুগিজ ব্রাজিলের কাছ থেকে রিও ডি জেনিরোর নিয়ন্ত্রণ নিল।
১৭৫৫ পর্তুগিজ ব্রাজিলের আদিবাসী আমেরিকানদের পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের পূর্ণ প্রজা হিসেবে স্বাধীনতা দেয়া হল।
১৭৬৩ রিও ডি জেনিরোকে পর্তুগিজ ব্রাজিলের রাজধানী ঘোষণা করা হল।
১৭৯০-৯৯ ব্রাজিল এ সময় দুনিয়ার মোট সোনার অর্ধেক উৎপাদন করছে।
১৮২০-২৯ কফি ব্রাজিলের একটি প্রধান পণ্যে পরিণত হল।
১৮০৮ আগের বছর নেপোলিয়ান বোনাপার্তের সেনাবাহিনীর ধাওয়া খেয়ে ব্রাজিলে নিজ সরকারের কেন্দ্র স্থাপন করলেন পর্তুগালের রাজা।
১৮১৫ ব্রাজিলকে পর্তুগালের সমান মর্যাদাসম্পন্ন রাজ্য বলে দাবি করলেন ডোম ষষ্ঠ জোয়াও।
১৮২২ পর্তুগালের রাজার ছেলে পর্তুগালের কাছ থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা ঘোষণা করে বসলেন। নিজেকে ব্রাজিলের সম্রাট ঘোষণা করে প্রথম পিটার নামে মসনদে আসীন হলেন।
সেপ্টেম্বর ৭ ব্রাজিল একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত হল।
১৮৮০-৮৯ আমাজন অঞ্চলে রাবার চাষের ধুম দেখা দিল।
১৮৮৮ দাসপ্রথার বিলোপসাধন করা হল।
১৮৮৯ ব্রাজিলে রাজতন্ত্র উৎখাত করে ফেডারেল সরকার প্রতিষ্ঠা করা হল।
১৯০০ এ সময় দুনিয়ার ৬৫% কফি উৎপাদন করছে ব্রাজিল।
১৯২০-২৯ ব্রাজিলের রাবার শিল্পের ব্যাপক অবক্ষয় শুরু হল।
১৯৩০ গেতুলিও ভার্গাস কর্তৃক গঠিত হল বিপ্লবী সরকার।
১৯৩৭ সেনামদতে স্বৈরাচারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন ভার্গাস।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।*
* ব্রাজিল যুদ্ধের শুরুতে নিরপেক্ষতা নীতি গ্রহণ করে, তবে ১৯৪৩ সালে মিত্রপক্ষে যোগ দেয়।
১৯৪৫ এক সামরিক ক্যুদেতায় ক্ষমতাচ্যুত হলেন ভার্গাস।
১৯৫১ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেন ভার্গাস।
১৯৫৪ আত্মহত্যা করলেন ভার্গাস।
১৯৫৬-৬১ প্রেসিডেন্ট জাসসেলানো কুবিতচেকের শাসনে ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
১৯৬০ প্রেসিডেন্ট কুবিতচেক রাজধানী রিও ডি জেনিরো থেকে সরিয়ে ব্রাসিলিয়ায় নিয়ে গেলেন। নয়া প্রেসিডেন্ট হলেন হানিও কুয়াদরোস, কিন্তু কয়েক মাস পরেই পদত্যাগ করলেন। এতে দেশটিতে একটি সাংবিধানিক সংকট দেখা দিল, যার সুরাহা হল বামপন্থী জোয়াও গউলার্টের প্রেসিডেন্ট হওয়ার মধ্য দিয়ে।
১৯৬৪ এক রক্তপাতহীন ক্যুদেতায় উৎখাত হলেন প্রেসিডেন্ট গউলার্ট। বিদেশে পালিয়ে গেলেন। সামরিক শাসনে সমান্তরালে চলল নিপীড়ন আর উন্নয়ন।
১৯৭৪ প্রেসিডেন্ট হলেন জেনারেল আর্নেস্তো গেইসেল। রাজনৈতিক সংস্কার প্রবর্তন করলেন। সীমিত পরিসরে রাজনীতি ও নির্বাচনের অনুমোদন দেয়া হল।
১৯৮৫ একুশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত বেসামরিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে সেনাচালিত ইলেকটোরাল কলেজ কর্তৃক মনোনীত হলেন তানক্রেডো নেভেস। কিন্তু শপথ গ্রহণ করার আগেই মৃত্যুবরণ করলেন। নয়া প্রেসিডেন্ট হলেন সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট হোসে সার্নি।
১৯৮৮ নয়া সংবিধান প্রবর্তিত। কমানো হল প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা।
১৯৮৯ ১৯৬০ সালের পর প্রথম জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হলেন ফার্নান্দো কলর দে মেলো।
১৯৯২ রিও ডি জেনিরোতে আয়োজিত হল বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন।
১৯৯৪ প্রেসিডেন্ট হলেন ফার্নান্দো হেনরিক কার্ডোসো।
১৯৯৮ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেন কার্ডোসো।
২০০২ প্রেসিডেন্ট হলেন লুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভা। চার দশকের মধ্যে প্রথমবারের মত একটি বামপন্থী সরকার ক্ষমতায় এল।
পঞ্চমবারের মত ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ব্রাজিল।
২০০৬ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেন লুলা।
২০১০ ব্রাজিলের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন দিলমা রুসেফ।
২০১৪ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হলেন দিলমা রুসেফ।
২০১৬ আগস্ট রিও ডি জেনিরোতে আয়োজিত হল অলিম্পিক গেমস।
২০১৮ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট হলেন উগ্র ডানপন্থী রাজনীতিক জেয়ার বলসোনারো।
২০২০ মার্চ করোনা মহামারীর বিস্তার ঠেকাতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে নারাজি জানিয়ে ব্যাপক বিতর্কিত হয়ে উঠলেন বলসোনারো।
তথ্যসূত্র
BBC. 2019. “Brazil profile – Timeline.” BBC, January 3.
https://www.bbc.com/news/world-latin-america-19359111
Cartwright, Mark.. “Portuguese Brazil.” World History Encyclopedia. Last modified July 08, 2021. https://www.worldhistory.org/Portuguese_Brazil/.
Greenbaum, Harry. 2003. Brazil. Philadelphia: Chelsea House.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি