
রোমানিয়া
Featured Image: Wikipedia Commons.

সাল
১২৯৯-১৯২২ ওসমানি সুলতানশাহি।
১৬০০-১ রোমানিয়ার তিনটি ঐতিহাসিক প্রিন্সিপালিটি সাময়িকভাবে ঐক্যবদ্ধ হল।* মাইকেল দ্য ব্রেভের নেতৃত্বে। এর আগে এগুলো হাপসবুর্গ সম্রাট ও ওসমানি সুলতানদের অধীনস্ত ছিল।
* ট্রান্সসিলভানিয়া, মলদাভিয়া, ওয়ালাচিয়া।
১৬৮৩ ওসমানি সুলতানদের কাছ থেকে ট্রান্সসিলভানিয়া পুনরায় কবজা করল হাবসবুর্গরা।
১৭১৫ ফানারীয় গ্রিক প্রশাসকরা ওসমানি সুলতানশাহির পক্ষে মলডাভিয়া আর ওয়ালাচিয়া শাসন করতে শুরু করলেন, হাতে নিলেন প্রশাসনিক সংস্কার।
১৮২১ রাশিয়ার জারশাহি মলদাভিয়া আর ওয়ালাচিয়ার প্রশাসন দেখভাল করতে শুরু করল। ফানারীয় শাসনের অবসান। স্থানীয় রোমানীয় শাসকদের প্রভাব বৃদ্ধি পেতে শুরু করল।
১৮৩৪ দ্য রেগ্লামেন্টুল অর্গানিক মলদাভিয়া আর ওয়ালাচিয়া একটি ঐক্যবদ্ধ মৌলিক সংবিধান গ্রহণ করে নিল।*
* এটি ছিল দীর্ঘমেয়াদে তাদের এক হওয়ার ভিত্তি।
১৮৫৬ ক্রিমিয়া যুদ্ধে মস্কোর হেরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে মলদাভিয়া আর ওয়ালাচিয়ার ওপর রুশ নিয়ন্ত্রণের অবসান ঘটল।
১৮৫৯ আলেক্সান্দ্রু আয়োন কুজাকে মলডাভিয়া আর ওয়ালাচিয়া উভয়ের রাজকুমার ঘোষণা করা হল।
১৮৬২ রোমানিয়াকে ঐক্যবদ্ধ করলেন রাজকুমার আলেক্সান্দ্রু আয়োন কুজা।
১৮৬৬ রাজকুমার কুজা ক্রমবর্ধমানভাবে কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠতে থাকায় রোমানিয়ার ভূমিভিত্তিক অভিজাত আর উদার রাজনীতিকরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হলেন। তাঁদের চাপে সিংহাসন ছাড়তে বাধ্য হলেন কুজা। রোমানিয়ার সংসদ জার্মানির হোহেনজলার্ন-সিগমারিঞ্জেনের রাজকুমার কার্লকে কুজার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার দাওয়াত দিল।
১৮৭৭-৭৮ রুশ-তুর্ক যুদ্ধ। এই যুদ্ধে রোমানিয়া রাশিয়ার পক্ষে যোগ দেয়। যুদ্ধে রাশিয়া জয়লাভ করলে রোমানিয়া ওসমানি সুলতানশাহির হাত থেকে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৮৮১ রোমানিয়া একটি রাজ্যে পরিণত হল।
১৯০৪ রোমানিয়ার প্রথম তেল শোধনাগারের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশটির তেল শিল্পের পথচলা শুরু হল।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৪ রাজা ক্যারোলের মৃত্যু। জার্মান আর অস্ট্রিয়ার সাথে রোমানিয়ার জোটবদ্ধতার অবসান। দুবছর পর ক্যারোলের নাতি ফার্দিনান্দের নেতৃত্বে রোমানিয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মিত্রশক্তির পক্ষে যোগদান করে।
১৯১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষের শান্তিমূলক বন্দোবস্তের বদৌলতে রোমানিয়ার আকার ও জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেল।
১৯৩০-৩৯ রোমানিয়ায় ফ্যাসিবাদী “আয়রন গার্ড” আন্দোলনের শুরুয়াত।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪০ জেনারেল আয়ন আন্তোনেস্কু ক্ষমতা দখল করলেন এবং রোমানিয়াকে নাৎসি জার্মানির সাথে মৈত্রীবন্ধনে আবদ্ধ করলেন।
১৯৪৪ রোমানিয়া পক্ষ বদলে সোভিয়েত শিবিরে চলে গেল।
১৯৪৫ রোমানিয়ায় একটি সোভিয়েত মদতপুষ্ট সরকার ক্ষমতায় এল।
১৯৪৭ এক শান্তি চুক্তিতে ট্রান্সসিলভানিয়া ফিরে পেল রোমানিয়া। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে কিছু ভূখণ্ড হারাল। রাজা মাইকেলকে সিংহাসন ছাড়তে বাধ্য করা হল এবং দেশটিতে একটি সোভিয়েত ধাঁচের গনপ্রজাতন্ত্র গঠন করা হল।
১৯৬৫ রোমানিয়ায় কমিউনিস্ট নেতা নিকোলা চসেস্কুর শাসন শুরু। চসেস্কু মস্কোর সাথে সাংঘর্ষিক পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন করলেন। দেশটি দমনপীড়ন আর ব্যক্তি পূজা বৃদ্ধি পেল।
১৯৭৫ যুক্তরাষ্ট্র রোমানিয়াকে “মোস্ট-ফেভারড-নেশন”* স্ট্যাটাস প্রদান করল।
* দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্ক বোঝায়, যেখানকে পরস্পরকে সমান বিবেচনা করা হয়।
১৯৭৭ বুখারেস্টে এক ভূমিকম্পে ১,৫০০ মানুষের মৃত্যু হল।
১৯৮৫-৮৬ বৈদেশিক ঋণের বোঝা কমাতে কৃচ্ছসাধন কর্মসূচি হাতে নিল চসেস্কু সরকার। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশ জুড়ে দেখা দেয় খাদ্য সংকট। বেড়ে যায় লোডশেডিং।
১৯৮৯ ডিসেম্বর বিবিধ দাবিতে তিমিসোয়ারায় প্রতিবাদ শুরু হল।
ডিসেম্বর ১৭ চসেস্কু মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করার চেষ্টা চালালে সারা দেশ ক্ষোভে ফেটে পড়ল। সারা দেশ থেকে জনতার ঢেউ বুখারেস্টে আসতে শুরু করলে সেনাবাহিনী সরকারের পক্ষত্যাগ করল। চসেস্কু আর তাঁর স্ত্রী এলেনা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের পাকড়াও করা হয়।
ডিসেম্বর ২৫ সংক্ষিপ্ত বিচার শেষে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে ফায়ারিং স্কোয়াডে পাঠানোর মধ্য দিয়ে রোমানিয়ায় চসেস্কু যুগের অবসান। চসেস্কুর সাবেক মিত্র আয়ন ইলিয়েস্কু একটি নতুন সরকার গঠন করলেন। যা গণতন্ত্র কায়েম করার ওয়াদা করল।
১৯৯০ মে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেয়া হল।
১৯৯৬ নির্বাচনে সাবেক কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে মধ্য-ডানপন্থীরা জয়লাভ করল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন এমিল কন্সট্যান্টিনেস্কু। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন ভিক্টর সিওরবিয়া।
১৯৯৭ অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করা হল এবং কমিউনিস্ট জমানার গোপন পুলিশের নথিগুলো খোলা হল।
১৯৯৯ জানুয়ারি রোমানিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী বেতনের দাবিতে ধর্মঘটে যাওয়া ১০ হাজার খনি শ্রমিককে বুখারেস্টে প্রবেশ করা থেকে বাধা দিল।
২০০৪ মার্চ ন্যাটোতে যোগ দিল রোমানিয়া।
২০০৫ এপ্রিল ইইউ অ্যাসেশন চুক্তিতে সই করল রোমানিয়া।
২০০৭ ১ জানুয়ারি ইওরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দিল বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া।
২০০৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির ব্যাপারে রোমানিয়াকে সতর্ক করে দিল ইওরোপীয় কমিশন।
২০০৯ মার্চ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও অন্য মহাজনরা রোমানিয়াকে ২০ বিলিয়ন ডলারের একটি আর্থিক সংকট থেকে উদ্ধার প্যাকেজ প্রদান করতে রাজি হল।
২০১২ মে বামপন্থীদের জোট সোশ্যাল লিবারেল ইউনিয়ন ক্ষমতায় এল, প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিক্টর পন্টা।
২০১৬ মে রাশিয়ার বিরোধিতা উপেক্ষা করে রোমানিয়ায় একটা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করল ন্যাটো।
২০১৭ জানুয়ারি সমাজ গণতন্ত্রীরা সরকার গঠন করল।
২০১৯ নভেম্বর সমাজ গণতন্ত্রীরা আস্থা ভোটে পরাজিত হওয়ার প্রেক্ষিতে রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী বনে গেল।
২০২৪ মার্চ ৩১ শেনগেন জোনে যোগ দিল রোমানিয়া।
তথ্যসূত্র
BBC. 2018. “Romania profile – Timeline.” BBC, October 8, 2018.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17776876
Britannica, T. Editors of Encyclopaedia. 2023. “most-favoured-nation treatment.” Encyclopedia Britannica, March 20, 2023.
https://www.britannica.com/topic/most-favored-nation-treatment.
European Union. n.d. “Romania – EU Country Profile | European Union.” Accessed February 27, 2025.
https://european-union.europa.eu/principles-countries-history/eu-countries/romania_en
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি