Featured Image: Wikipedia Commons.
পূর্বসাল
২৫০০-৫০ কেল্টরা এসময় গলে* আধিপত্য করছে।
* গল পশ্চিম ইওরোপের একটি অঞ্চল। রোমকরা প্রথম এর বর্ণনা দেয়। আজকের দিনের ফ্রান্স, বেলজিয়াম, দ্য নেদারল্যান্ডস, লুক্সেমবার্গ, এবং সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও উত্তর ইতালির একাংশ নিয়ে গঠিত ছিল।
৬০০ গ্রিকরা প্রতিষ্ঠা করল মাসিলিয়া।*
* বর্তমানে মার্সেই নামে পরিচিত।
১২৫-১২ রোমক সাম্রাজ্য এসময় গলে অভিযান পরিচালনা করছে।
৫৮-৫১ জুলিয়াস সীজারের গল অভিযাত্রা, রোমক শাসনের শুরুয়াত।
৫২ আরিভের্নির ভার্সিনজেটোরিক্সের নেতৃত্বে গলীয় অভ্যুত্থান। আলেসিয়ায় তা কঠোর হস্তে দমন করলেন সীজার। প্রতিষ্ঠা করা হল লুটেশিয়া।*
* বর্তমানে প্যারিস নামে পরিচিত, আজকের ফ্রান্সের রাজধানী।
সাল
৪৩ প্রতিষ্ঠা করা হল লুগোডোনুম।*
* বর্তমানে লিওঁ নামে পরিচিত।
১০০-২০০ গলে খ্রিস্টধর্মের আগমন।
২৭৫ বর্বরদের হামলার সূচনা।
৪০৬ ফ্রাঙ্ক ও অন্যান্য জার্মানিক গোষ্ঠীগুলো গলে হামলা চালাল ও বসতিস্থাপন করল।
৪৭৬ জার্মানিক বর্বরদের আক্রমণে পশ্চিম রোমক সাম্রাজ্যের অবসান।
৪৮১-৫১১ ফ্রাঙ্কদের রাজা ক্লভিসের শাসনকাল।
৪৮১/৪৯৬/৪৯৮ খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হলেন ক্লভিস।
৫০৮/৫১১ ম্যারোভিঞ্জীয় রাজা ক্লভিস প্যারিসকে তাঁর রাজধানী বানালেন।
৬০০ এসময়ই কখনো “ফ্রান্স” নামটির ব্যবহার শুরু হয়।
৭০০-৯০০ ফ্রান্সে প্রতিষ্ঠিত হল সামন্তবাদ ও ভূমিদাস প্রথা।
৭৩২ ‘পয়তিয়ের্সের/তুর্সের সমর’: ফ্রান্সে শার্ল মার্টেলের হাতে উমাইয়া সেনাবাহিনীর পরাজয়; ব্যর্থ হয়ে গেল আরবদের ইওরোপ জয়ের প্রচেষ্টা।
৭৫১ প্রথম ক্যারোলিঞ্জীয় শাসক হলেন পেপিন দ্য শর্ট।
৮০০ পোপ তৃতীয় লিও শার্লামেইনের মাথায় পরিয়ে দিলেন পবিত্র রোমক সাম্রাজ্যের মুকুট। এসময় ইহুদিরা মুসলমান ও ক্যারোলিঞ্জীয় শাসনে বাস করছেন এবং স্পেন ও জার্মানিতে নিজেদের শক্ত উপস্থিতি তৈরি করছেন।
৮০০-৯১১ ক্যারোলিঞ্জীয় রাজবংশ।
৮০০-৯১০ এই সময়কালের মধ্যে ভাইকিং, আরব, আর মাগইয়াররা বারবার ফ্রান্সে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
৮০৩ শার্লামেইন অ্যান্ডোরাকে মুসলমানদের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করলেন। কথিত আছে, তিনি এর অধিবাসীদের একটি সনদ প্রদান করেছিলেন। শার্লামেইনের মৃত্যুর পর, অ্যান্ডোরার দায়িত্ব তাঁর নাতি ও স্পেনের উর্গেলের কাউন্ট দ্বিতীয় চার্লসের হাতে অর্পণ করা হয়।
৮৪৩ ‘ভের্দুন চুক্তি’: শার্লামেইনের সাম্রাজ্য প্রথম লুইয়ের তিন ছেলের মাঝে ভাগ করে দেয়া হল।
৯১১ নর্ম্যান্ডির ভবিষ্যৎ ডাচির ভিত্তি স্থাপন করা হল।
৯৮৭ শেষ ক্যারোলিঞ্জীয় শাসক পঞ্চম লুইয়ের মৃত্যু।
৯৮৭-১৩২৮ কাপেতীয় রাজবংশ।
৯৮৭ কাপেতীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করলেন হুগ কাপেত, প্যারিসকে বানালেন তাঁর রাজ্যের রাজধানি।
১০৯৫ ক্লেরমন্তের কাউন্সিলে প্রথম ক্রুসেডের ডাক দিলেন পোপ দ্বিতীয় আরবান।
১০৯৫-১২৭০ মূলত ফ্রান্সের নেতৃত্বে সংঘটিত হল আটটি ক্রুসেড।
১১১৫ ক্লেয়ারভক্সের বার্নার্দ তাঁর প্রথম মঠ স্থাপন করলেন।
১১২০ এসময়ই কখনো আবেলার্দ লিখছেন সিক এত নন।
১১৬৩ প্যারিসে নটরডেমের নির্মাণ কাজ শুরু হল।
১১৩০-১৪০০ গথিক শিল্পের সমৃদ্ধিকাল।
১১৮০ সিংহাসনে বসলেন দ্বিতীয় ফিলিপ, অগাস্টাস।
১২০০ এসময়ই কখনো প্রতিষ্ঠা করা হয় প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়।
১২০৪ নর্ম্যান্ডি দখল করে নিলেন ফ্রান্সের রাজা ফিলিপ।
১২০৮-১৩ আলবিজেন্সীয়দের বিরুদ্ধে ক্রুসেড।
১২২৬-৭০ নবম লুইয়ের রাজত্বকাল।*
* প্যারিসের সংসদের প্রতিষ্ঠাতা, বর্তমানে ন্যায়বিচারের উচ্চ আদালত।
১২৮৫-১৩১৪ চতুর্থ ফিলিপের রাজত্বকাল।*
* ‘দ্য ফেয়ার’ বলে পরিচিত। তাঁর রাজত্বকালে ফ্রান্সে আমলাতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা চালু হয়। প্রতিষ্ঠিত হয় জনপ্রতিনিধিদের সংসদ ‘দ্য এস্টেটস জেনারেল’।
১২৯৭ নবম লুইকে সেইন্ট হিসেবে কানুনীকৃত করা হল।*
* তিনিই একমাত্র ফরাসি রাজা যিনি সেইন্টহুড পেয়েছেন।
১৩০৯-৭৮ এসময়ই কখনো পাপাসিকে আভিননে সরিয়ে আনা হল।
১৩২৮-১৫৮৯ ভ্যালোয়েস রাজাদের শাসনকাল।
১৩৩৭ ইংল্যান্ডের তৃতীয় এডওয়ার্ডের কাছ থেকে গাসকোনি ছিনিয়ে নিলেন ফ্রান্সের ষষ্ঠ ফিলিপ, দেশ দুটির মধ্যে শতবর্ষের যুদ্ধের সূচনা।
১৩৩৭-১৪৫৩ ইংল্যান্ড আর ফ্রান্সের মধ্যে শতবর্ষের যুদ্ধ।*
* এই যুদ্ধের শেষে ক্যালে ছাড়া ফ্রান্সে নিজের সব ভূখণ্ড হারায় ইংল্যান্ড।
১৩৪৮-৫০ ‘বুবোনিক প্লেগ’, যা ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামেও পরিচিত।*
* ফ্রান্সের ওপর এর ফল হয় মারাত্মক, পরবর্তী পঞ্চাশ বছরে জনসংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসে।
১৩৪৯ ডফিনে’কে ফ্রান্সের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হল।
১৩৫৮ ‘জাকেরি’: ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে চাষীদের বিদ্রোহ।
১৩৬৩-১৪৭৭ বেলজিয়ামের লো কান্ট্রিগুলো বার্গ্যাণ্ডির ফরাসি ডিউকদের হাতে চলে গেল।*
* ফলে, ফ্রান্স আর ইংল্যান্ডের শতবর্ষের যুদ্ধে (১৩৩৭-১৪৫৩ সাল) জড়িয়ে যায় বেলজিয়াম।
১৪১৩ প্যারিসে কাবোচিয়েন অভ্যুত্থান।
১৪২৮-২৯ ইংরেজদের কাছ থেকে অর্লিয়েন্স মুক্ত করলেন জোয়ান অফ আর্ক, রিয়েমসে সপ্তম চার্লসকে মুকুট পরানো হল।
১৪৩৮ বর্জেসের ওপর বাস্তবসম্মত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হল।
১৪৭০ আনুমানিক এসময় ফ্রান্সে ছাপাখানা প্রবর্তন করা হয়।
১৪৮১ প্রভেন্স, আনজু, মাইন, আর বারকে ফ্রান্সের অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন রাজা লুই।
১৪৮২ বার্গ্যাণ্ডির ডাচিকে ফ্রান্সের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হল।
১৪৯১ অষ্টম চার্লস দখল করে নিলেন ব্রিটানি।
১৫২৬ শ্যাম্বোর্দ নির্মাণের মধ্য দিয়ে লোয়ার উপত্যকায় শাত্যু বানানোর চল শুরু হল।
১৫৩০ প্রতিষ্ঠা করা হল কলেজ দ্য ফ্রান্স।
১৫৩২ র্যাবেলে লিখছেন পান্তাগ্রুয়েল।
১৫৩৯ ‘ভিলে-কত্তেরের ডিক্রি’: ফ্রান্সে আইনী কাজের ভাষা হিসাবে লাতিনের বদলে ফরাসি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হল।
১৫৪১ জন কালভিনের নিজকৃত ফরাসি অনুবাদে প্রকাশিত হল তাঁর ইন্সটিটিউটস অফ দ্য ক্রিশ্চান রিলিজিয়ন।
১৫৬২-৯৮ ধর্মযুদ্ধের কাল।
১৫৮৯-১৭৯২ বুর্বো রাজবংশ।
১৫৮৯ প্রথম বুর্বো নৃপতি হিসেবে ফ্রান্সের মসনদে বসলেন চতুর্থ হেনরি।
১৫৯৮ ‘নান্তেসের ফরমান’: ধর্মীয় সহিষ্ণুতার নিশ্চয়তা দেয়া হল।
১৬০৭ ফরাসি এক রাজকীয় ফরমানে ফ্রান্সের রাষ্ট্রনায়ক ও উর্গেলের বিশপকে অ্যান্ডোরার যৌথ-রাজকুমার বানানো হল।
১৬০৮ কুইবেক প্রতিষ্ঠা করা হল।
১৬১৮-৪৮ তিরিশ বছরের যুদ্ধ।
১৬৩৫ প্রতিষ্ঠিত হল আকাদেমি ফ্রসেঁ।
১৬৪৮ ‘ভেস্টফালিয়ার শান্তি’। এর মধ্য দিয়ে তিরিশ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটে, এবং ইওরোপে জাতি-রাষ্ট্রের উত্থানের শর্ত তৈরি হয়। অস্ট্রিয়ার অ্যানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল প্যারিস।
১৬৪৮-৫৩ ফ্রন্ডে বিদ্রোহ।
১৬৬৭-১৭১৩ চতুর্দশ লুইয়ের যুদ্ধসমূহ।
১৬৮০ প্রতিষ্ঠিত হল কমেডি-ফ্রসেঁ।
১৬৮১ স্ট্রাসবুর্গ দখল করলেন চতুর্দশ লুই।
১৬৮২ ভার্সাইয়ে রাজদরবার স্থাপন করা হল, লুইজিয়ানা প্রতিষ্ঠিত।
১৬৮৫ নান্তেসের ফরমান প্রত্যাহার করা হল।
১৭২৫-৪৩ কার্ডিনাল ফ্লেউরির মন্ত্রণাকাল।
১৭৩৪
প্রকাশিত বই
ভলতেয়ার, লেত্রেঁ ফিলোসফিক (দার্শনিক পত্রাবলি)।
১৭৫৬-৬৩ সপ্তবর্ষীয় যুদ্ধ।
১৭৬২
প্রকাশিত বই
রুশো, দু কন্ত্রাত সোশাল (সামাজিক চুক্তি)।
১৭৬৩ ‘প্যারিস শান্তি’: ক্যানাডা, লুইজিয়ানা, ও সেনেগাল হারাল ফ্রান্স।
১৭৬৬-১৭৬৮ লোরেইন ও কর্সিকা অধিগ্রহণ করে নিল ফ্রান্স।
১৭৭৮ আমেরিকান বিপ্লবের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে জোট বাঁধল ফ্রান্স।
১৭৮৩ প্যারিস শান্তি’: সেনেগাল পুনরুদ্ধার করল ফ্রান্স। মন্তগলফিয়ের ভাইদের বেলুন উড্ডয়ন।
১৭৮৭ অভিজাতদের সংসদের প্রথম সভা।
১৭৮৮ অভিজাতদের সংসদের দ্বিতীয় সভা।
১৭৮৯ ‘ফরাসি বিপ্লব’।*
* মে: এস্তেত জেনারেলের সূচনা।
জুলাই ১৪: বাস্তিল দুর্গের পতন।
আগস্ট: এনসিয়েন রেজিম বিলুপ্ত করে দেয়া হল। আগস্ট ২৬: মানুষ ও নাগরিকদের অধিকার ঘোষণা করা হল।
অক্টোবর: রাজপরিবারকে জোরপূর্বক ভার্সাই থেকে প্যারিসে আনা হল।
১৭৯০ যাজকদের নাগরিক বিধি। ফ্রান্সকে অনেকগুলো ডিপার্টমেন্টে বিভক্ত করা হল।
১৭৯১ মেট্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হল।
১৭৯২ আগস্ট: ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি। অস্ট্রিয়া ও প্রুশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সেপ্টেম্বর ২-৬: সেপ্টেম্বর হত্যাযজ্ঞ। সেপ্টেম্বর ২১: ফ্রান্সে প্রজাতন্ত্র ঘোষিত। বিপ্লবী ফ্রান্সের জাতীয় সঙ্গীতে পরিণত হল মার্সেই।
১৭৯৩ জানুয়ারি ২১: রাজা ষোড়শ লুইয়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।
ফেব্রুয়ারি: গ্রেট ব্রিটেন ও নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষিত হল।
আগস্ট ২৩: লেভে এন মাস (সেনাবাহিনীতে নাগরিকদের গণ তালিকাভুক্তিকরণ)।
১৭৯৩-৯৪ ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’।
১৭৯৪ বিপ্লবী ফ্রান্সের সেনাবাহিনী বেলজিয়াম দখল করে নিল।
১৭৯৫-৯৯ ‘ডিরেক্টরির শাসন’।
১৭৯৮ মুলহাউসকে ফ্রান্সের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হল। রাইন নদীর পুবদিকের এলাকা de facto ফ্রান্সের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। দ্বিতীয় জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
১৭৯৯ অষ্টাদশ ব্রুমেয়ারের ক্যুদেতা। নভেম্বর ৯-১০: কার্যত ফ্রান্সের শাসক বনে গেলেন নেপোলীয়ন। নেপোলীয়ন বোনাপার্তেকে ফ্রান্সের কনসাল ঘোষণা করা হল।
১৭৭৯-১৮০৪ ‘কনস্যুলেট শাসন’।
১৮০৩ লুইজিয়ানা টেরিটোরি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করল ফ্রান্স।
১৮০৪ মার্চ ২১: নাগরিক বিধি প্রবর্তন করা হল। ডিসেম্বর ২: নেপোলীয়নকে সম্রাটের মুকুট পরানো হল।
১৮০৪-১৫ ‘প্রথম সাম্রাজ্য’।*
* ‘নাগরিক সম্রাট’ হিসেবে পরিচিতি পেলেন নেপোলীয়ন বোনাপার্তে।
১৮০৫-১৫ ইওরোপে নেপোলীয়নীয় যুদ্ধ।
১৮০৬ চতুর্থ জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
১৮০৭ স্পেন ও নেপোলীয়নের ফ্রান্স পর্তুগালে যৌথ হামলা চালাল ও লিসবন দখল করে নিল।
১৮০৯ পঞ্চম জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
১৮১২ নেপোলীয়ন বোনাপার্তের রাশিয়া আক্রমণ।
১৮১৪ মিত্রপক্ষের ফ্রান্স আক্রমণ, ফলে সিংহাসন ছাড়লেন নেপোলীয়ন। ‘প্রথম পুনর্বহাল’। অষ্টাদশ লুইকে গদিতে বসিয়ে রাজতন্ত্রকে ফেরানো হল।
১৮১৫ নেপোলীয়ন বোনাপার্তেকে এলবা দ্বীপে* নির্বাসিত করা হল। ‘ওয়াটারলুর যুদ্ধ’: ব্রিটিশদের কাছে পরাজিত হলেন নেপোলীয়ন। ‘দ্বিতীয় পুনর্বহাল’।
* ইতালির তাসকানিতে অবস্থিত।
১৮১৫-১৬ শ্বেত সন্ত্রাস।
১৮২০ আততায়ীদের হাতে খুন হলেন বেরির ডিউক। তড়িৎচুম্বকত্বের আইনগুলো প্রণয়ন করলেন আম্পেরে।
১৮২৪ নিপসে আলোকচিত্র আবিষ্কার করলেন।
১৮৩০ জুলাই ২৭-২৯: ফ্রান্সের রাজা হিসেবে মুকুট পরলেন প্রথম লুই-ফিলিপ। ফ্রান্সের আলজেরিয়া অভিযান শুরু।
১৮৩০-৪৯ চিত্রকলার রিয়েলিস্ট স্কুলের পথচলা শুরু।
১৮৩১ ফরাসি ফরেন লিজিয়ন প্রতিষ্ঠা করা হল।
১৮৩৩ গুইজো আইন প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করল।
১৮৩৫
প্রকাশিত বই
অরিঁ দ্য বালজাক, পেরে গরিয়ত।
১৮৩৬ প্যারিসে আনুষ্ঠানিকভাবে আর্ক দে ত্রিয়োম্পের উদ্বোধন ঘটানো হল।
১৮৩৭ প্যারিস ও সাঁ-জার্মেইন-এন-লায়ির মধ্যে রেলপথ চালু করা হল।
১৮৪১ ফরাসি মিশনারিদের দ্বারা এবছর নাগাদ প্রায় ১০ লক্ষ ভিয়েতনামী খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হলেন।
১৮৪৭ ফরাসিরা দা নাং-এ ১০,০০০ ভিয়েতনামীকে হত্যা করে।
১৮৪০-৪৮ গুইজোর মন্ত্রণাকাল।
১৮৪৮ ফেব্রুয়ারি বিপ্লব: দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হল।
জুন: প্যারিসে শ্রমিক অভ্যুত্থান।
ডিসেম্বর: প্রেসিডেন্ট হলেন লুই-নেপোলীয়ন।
১৮৪৮-৭১ ‘দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র’।
১৮৫০ ফ্যালুক্স আইন, নির্বাচনবিধি।
১৮৫১ নেপোলীয়ন বোনাপার্তের ভাগ্নে লুই-নেপোলিয়নের ক্যুদেতা। ডিসেম্বর ২: লুই-নেপোলীয়ন নিজেকে তৃতীয় নেপোলীয়ন ঘোষণা করলেন। বনে গেলেন প্রেসিডেন্ট ফর লাইফ ।
১৮৫২-৭০ ‘দ্বিতীয় সাম্রাজ্য’।*
* এক ক্যুদেতায় প্রেসিডেন্ট থেকে সম্রাট বনে গেলেন তৃতীয় নেপোলীয়ন।
১৮৫৩ প্যারিসকে নতুনভাবে নকশা করতে শুরু করলেন হাউজম্যান।
১৮৫৭
প্রকাশিত বই
গুস্তাভ ফ্লবেয়ার, মাদাম বোভারি।
শার্ল বোদলেয়ার, লে ফ্ল্যুর দু মাল।
১৮৫৮ ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ান ভিয়েতনামকে একটি প্রটেকটরেটে পরিণত করার জন্য একটি নৌ অভিযাত্রিক দল প্রেরণ করলেন। ভিয়েতনামে ফরাসি উপনিবেশিক শাসনের সূচনা হল।
১৮৫৯ ফরাসি হানাদার বাহিনী সায়গন দখল করে নিল।
১৮৬০-৬৯ দ্বিতীয় সাম্রাজ্যের উদার পর্ব শুরু। চিত্রকলার ইম্প্রেশনিস্ট স্কুলের পথচলা শুরু।
১৮৬০ স্যাভয় ও নিস দখল করে নিল ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেনের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
১৮৬২ ‘সায়গন চুক্তি’: ফরাসিদের সাথে একটি অন্যায্য চুক্তিতে সই করতে বাধ্য হলেন ভিয়েতনামের শেষ স্বাধীন সম্রাট তু দাক। এই চুক্তিতে সায়গনের নিকটবর্তী তিনটি প্রদেশ ফরাসিদের হাতে তুলে দেয়া হয়। মেকং নদী ব্যবহার করে কম্বোডিয়ার সাথে বাণিজ্য করার অধিকারও লাভ করে ফরাসিরা।
প্রকাশিত বই
ভিক্তর উগো, লা মিজারেবল।
১৮৬২-৬৭ ফ্রান্সের মেক্সিকো অভিযান।
১৮৬৩ কম্বোডিয়া ফ্রান্সের একটি প্রটেক্টরেটে পরিণত হল।
১৮৬৩-১৯৫৩ কম্বোডিয়ায় ফরাসি উপনিবেশিক শাসনের কাল।
১৮৬৪ ফরাসি শ্রমিকরা ধর্মঘটে যাওয়ার অধিকার লাভ করল।
১৮৬৬ লুক্সেমবার্গের ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা নিয়ে ফ্রান্স আর প্রুশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হল।
১৮৬৭ ‘দ্বিতীয় লন্ডন চুক্তি’: লুক্সেমবার্গ নিয়ে ফ্রান্স আর প্রুশিয়ার দ্বন্দ্বের অবসান। দেশটির স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার নিশ্চয়তা দেয়া হল।
১৮৭০-৭১ ফ্রাঙ্কো-প্রুশীয় যুদ্ধ।*
* এই যুদ্ধে প্রুশিয়ার কাছে হেরে যায় ফ্রান্স। ধরা পড়েন নেপোলীয়ন। বিজয়ীরা প্যারিস দখল করে নেয়, ফরাসিদের ওপর কঠোর শর্তে শান্তি আরোপ করে; এবং পরাজিত ফ্রান্স আলজাস-লোরেইন হারায়।
১৮৭১-১৯৪৪ ‘তৃতীয় প্রজাতন্ত্র’।
১৮৭১ মে: প্যারি কমিউন।
১৮৭২ আলসাসে-লোরেইন দখল করে নিল জার্মানি।
১৮৭৫ তৃতীয় প্রজাতন্ত্রের সংবিধানকে অনুমোদন দেয়া হল।
জর্জ বিজেত লিখছেন কারমেন।
১৮৭৬ ফ্রান্সের আঙুরক্ষেতগুলো থেকে ছড়িয়ে পড়ল ফিলোজেরা মহামারী।
১৮৭৭ রাজতন্ত্রীদের ক্যুদেতা ব্যর্থ, শুরু হল প্রজাতন্ত্রের সংহতকরণ।
১৮৮০-১৯০১ পশ্চিম ও ইকুয়েটোরিয়াল আফ্রিকায় ফরাসি সম্প্রসারণ।
১৮৮১ ফ্রান্সে দুনিয়াবি গণ শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করা হল।
১৮৮২-৮৩ ফরাসিরা হামলা চালিয়ে হ্যানয় দখল করে নিল। তু দাকের মৃত্যু। ভিয়েতনামে রাজতন্ত্রের অবসান।
১৮৮৪ ফ্রান্সের ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে আইনী বৈধতা দেয়া হল।
১৮৮৫ জলাতঙ্ক বিরোধী প্রতিষেধক আবিষ্কার করলেন লুই পাস্তুর।
১৮৮৭-৮৯ নির্মিত হল ইফেল টাওয়ার।
১৮৯৩ ভিয়েতনামকে তার পার্শ্ববর্তী দেশ কম্বোডিয়া আর লাওসের অধিকাংশ অঞ্চলের সাথে জুড়ে দিয়ে ফরাসিরা ইন্দোচীন ইউনিয়ন গঠন করল।*
* ইতিহাসের পরিহাস হচ্ছে, এই তিনটি দেশেই ফরাসিরা দীর্ঘমেয়াদে মার খাবে, এবং প্রতিটি দেশেই কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করবে।
১৮৯৪-৯৯ ‘দ্রেইফুস অ্যাফেয়ার’।
১৮৯৪ দে কোউবার্তিন গঠন করলেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সমিতি।
১৮৯৫ ফ্রান্সের লুমিয়ের ভাইয়েরা সিনেমা আবিষ্কার করলেন। প্রতিষ্ঠা করা হল জেনারেল কনফেডারেশন অফ লেবার (Confédération Général du Travail – CGT : কনফেডারেসিওন জেনেরেল দু ত্রাভাইল – সিজিটি)।
১৯০০ রেডিয়াম আবিষ্কার করলেন পিয়েরে ও মেরি কুরি।
১৯০৩ টুর দ্য ফ্রান্সের সূচনা।
১৯০৪ ব্রিটেনের সাথে আঁতাত কর্ডায়ালে যুক্ত হল ফ্রান্স। ১০ ঘন্টা কর্মদিবসের আইন তৈরি করা হল।
১৯০৫ দুনিয়াবিকরণ: ফ্রান্সে রাষ্ট্র আর ধর্মকে আলাদা করা হল। প্রতিষ্ঠা করা হল (Section Française de l’Internationale Ouvrière – SFIO : সেকশন ফ্রসেঁ দ্য লিন্টারন্যাশনালে ওউভরিয়ে – এসএফআইও)।
১৯০৭ ত্রয়ী শক্তির আঁতাত।*
* রুশ সাম্রাজ্য, ফ্রান্সের তৃতীয় প্রজাতন্ত্র, এবং গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক বোঝাপড়া।
১৯০৮ ভিয়েতনামীদের ফ্রি স্কুল মুভমেন্ট দমন করল ফরাসিরা।
১৯০৯ ইংলিশ চ্যানেলের ওপর দিয়ে উড়লেন লুই ব্লেরিও।
১৯১৩
প্রকাশিত বই
মার্সেল প্রুস্ত, রিমেমব্রেন্স অফ থিংস পাস্ট/ইন সার্চ অফ লস্ট টাইম, প্রথম খণ্ড।
১৯১৪-১৮ ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধ’।
১৯১৮-১৯ স্পেনীয় ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারীতে ফ্রান্সে বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যু।
১৯১৯ প্যারিস শান্তি সম্মেলন। জুন ২৮: ‘ভার্সাই চুক্তি’।
১৯২০ ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টি গঠন করা হল।*
* প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ছিলেন হো চি মিন।
১৯২৩-২৫ বর্তমান জার্মানির রুর অঞ্চল এসময় ফরাসি দখলদারিত্বে ছিল।
১৯২৫
প্রকাশিত বই
হো চি মিন, ফ্রেঞ্চ কলোনিয়ালিজম অন ট্রায়াল।
১৯২৮ সামাজিক নিরাপত্তা আইন প্রবর্তন করা হল।
প্রকাশিত বই
মরিস রাভেল, বোলেরো।
১৯২৯ ম্যাজিনো লাইনের নির্মাণ কাজ শুরু হল।
১৯৩৬-৩৮ পপুলার ফ্রন্ট সরকার।
১৯৩৬-৩৯ স্পেনীয় গৃহযুদ্ধ যেন অ্যান্ডোরায়ও ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য দেশটিতে ফরাসি সেনা পাঠানো হল।
১৯৩৯-৪৫ ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ’।*
১৯৪০ নাৎসি জার্মানি ফ্রান্স দখল করে নিল। দক্ষিণপূর্ব ফ্রান্সে দালাল ভিকি সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হল। দ্য গল প্রতিষ্ঠা করলেন দা ফ্রি ফ্রেঞ্চ।
১৯৪৩
প্রকাশিত বই
জাঁ-পল সার্ত্র, বিয়িং অ্যান্ড নাথিংনেস।
১৯৪৪ জুন ৬: ডি-ডে অবতরণ, নর্ম্যান্ডিতে নামল মিত্রপক্ষ।
আগস্ট ২৫: প্যারিসের মুক্তি। প্রাপ্তবয়স্ক ফরাসি নারী নাগরিকদেরকে ভোটাধিকার দেয়া হল।
১৯৪৫ অক্টোবর: গণভোটের মাধ্যমে তৃতীয় প্রজাতন্ত্রের অবসান ঘটান হল। ফরাসি নারীরা প্রথমবারের মত পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধিকার পেলেন। ইঙ্গ, ফরাসি, মার্কিন, ও সোভিয়েত দখলদারিত্বে অস্ট্রিয়া।
১৯৪৫/৪৬ ফরাসিদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু হল।
১৯৪৫-৭৫ টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তিন দশক।
১৯৪৬ লাওসের ওপর ফরাসি নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হল, যুদ্ধোত্তর কম্বোডিয়া পুনরায় ফ্রান্সের প্রটেক্টরেটে পরিণত হল। ফরাসি উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নামলেন কম্বোডিয়ার কমিউনিস্ট গেরিলারা। প্রথম ইন্দোচীন যুদ্ধ: ফরাসিদের সাথে ভিয়েত মিন-দের (ভিয়েতনাম স্বাধীনতা লীগ) যুদ্ধ শুরু।
১৯৪৬-৫৮ ‘চতুর্থ প্রজাতন্ত্র’।
১৯৪৯ গঠিত হল নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো)।*
* ন্যাটোর আনুষ্ঠানিক ভাষা দুইটি: ইংরেজি আর ফরাসি। ফরাসিতে সংগঠনটির নাম Organisation du Traité de l’Atlantique Nord. সংক্ষিপ্ত রূপ OTAN.
প্রকাশিত বই
সিমন দ্য বোভোয়ার, দা সেকেন্ড সেক্স।
১৯৫০ ফরাসিদের ব্যাপারে লাও’দের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ আর ভিয়েতনামীদের সাথে ফরাসিদের যুদ্ধের প্রেক্ষিতে লাওসকে সীমিত আকারে স্বায়ত্তশাসন দিল ফ্রান্স।
১৯৫১ ‘প্যারিস চুক্তি’: গঠিত হল ইওরোপীয় কয়লা ও ইস্পাত সম্প্রদায়।
১৯৫৩ ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল কম্বোডিয়া। সিহানুকের অধীনে ঘোষিত হল কম্বোডিয়া রাজ্য। দিয়েন বিয়েন ফুর ঐতিহাসিক সমর শুরু হল।
১৯৫৪ মে ৭: ৫৫ দিনের যুদ্ধ শেষে ভিয়েতনামীদের হাতে দিয়েন বিয়েন ফুর ফরাসি ঘাঁটির পতন ঘটল। পরাজিত ফরাসি বাহিনী ভিয়েতনামীদের কাছে আত্মসমর্পণ করল। ভিয়েতনামে ফরাসি উপনিবেশিক শাসনের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি।
ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল লাওস।
নভেম্বর: ফরাসি শাসনের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হল।
১৯৫৪-৬২ আলজেরিয়ার স্বাধীনতাযুদ্ধ।
১৯৫৫ অস্ট্রিয়াকে পশ্চিমা ব্লক আর সোভিয়েত ব্লকের মধ্যে একটি বাফার জোন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হল।
১৯৫৬ ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতালাভ করল মরোক্কো আর তিউনিসিয়া।
১৯৫৭ ‘রোম চুক্তি’: গঠিত হল ইওরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়।
১৯৫৮ জুন ১: শার্ল দ্য গল একটি সরকার গঠন করলেন।
সেপ্টেম্বর ২৮: গণভোটে পঞ্চম প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়া হল।
১৯৫৮-বর্তমান ‘পঞ্চম প্রজাতন্ত্র’।
১৯৬০ জানুয়ারি: ‘নয়া ফ্রাঙ্ক’ প্রবর্তন করা হল। ফেব্রুয়ারি: প্রথম ফরাসি আণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হল। আফ্রিকার ১৪টি ফরাসি উপনিবেশকে স্বাধীনতা দেয়া হল।
১৯৬১ প্রেসিডেন্ট শার্ল দ্য গলের বিরুদ্ধে ব্যর্থ ক্যুদেতা প্রচেষ্টা।
১৯৬২ ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল আলজেরিয়া। প্রাপ্তবয়স্ক ফরাসি নাগরিকদেরকে সর্বজনীন ভোটাধিকার দেয়া হল। প্রেসিডেন্ট পদে প্রত্যক্ষ নির্বাচন অনুমোদন লাভ করল।
১৯৬৮ ‘মে সিক্সটি-এইট’: ফ্রান্সে ছাত্র ও শ্রমিক অভ্যুত্থান।
১৯৬৯ এপ্রিল: প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শার্ল দ্য গল।
জুন: ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন জর্জেস পম্পিদু।
১৯৭১ এপিনেতে সমাজতন্ত্রী দল প্রতিষ্ঠা করা হল।
১৯৭২ ফ্রান্সের নারী নাগরিকদেরকে আইনী সমঅধিকার দেয়া হল।
১৯৭৪ মে: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হল গিসকার্ড এস্তাইং।
১৯৭৫ গর্ভপাতকে বৈধতা দিয়ে ওয়েইল আইন পাশ হল।
১৯৭৬ (Rassemblement du Peuple Français: রাসেমব্লেমেন্ত দ্যু পিউপেল ফ্রসেঁ) প্রতিষ্ঠা করা হল।
১৯৮১ এপ্রিল-মে: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সমাজতন্ত্রী ফ্রাসোয়া মিতেরাঁ।
১৯৮৫ ফ্রান্সে নারী নাগরিকদেরকে পূর্ণ পারিবারিক অধিকার দেয়া হল।
১৯৮৬ ফরাসিভাষী দেশগুলোর প্রথম সম্মেলন। মার্চ: প্রথমবারের মত গঠিত হল ‘কোহ্যাবিটেশন’ সরকার।
১৯৮৮ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেন ফ্রাসোয়া মিতেরাঁ।
১৯৯১ মে: ফ্রান্সের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এডিথ কার্সন সরকার গঠন করলেন।
কম্বোডিয়া সংকট নিরসনে প্যারিসে একটি শান্তি চুক্তি সই হল।
১৯৯২ ফেব্রুয়ারি: ‘ম্যাসট্রিচ চুক্তি’: গঠিত হল একটি ইওরোপীয় অর্থনৈতিক ও মুদ্রাবিষয়ক সম্প্রদায়।
১৯৯৩ মার্চ: ফ্রান্সে আইনসভা নির্বাচনে মধ্য-ডানপন্থীরা জয়লাভ করলেন, দ্বিতীয়বারের মত গঠিত হল ‘কোহ্যাবিটেশন’ সরকার। ফ্রান্স আর স্পেন অ্যান্ডোরায় দূতাবাস স্থাপন করল।
১৯৯৪ প্রথম ফরাসি হিসেবে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন পল তউভিয়ে।
১৯৯৫ এপ্রিল-মে: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হলেন রক্ষণশীল রাজনীতিক জ্যাক শিরাক।
জুন: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফ্রান্সের চালানো পারমাণবিক পরীক্ষাগুলো তীব্র আন্তর্জাতিক নিন্দার শিকার হল।
জুলাই: প্যারিসে সন্ত্রাসবাদীদের বোমা হামলা।
ইওরোপীয় সম্প্রদায়ের (ইসি) নাম বদলে ইওরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রাখা হল।
১৯৯৭ ফ্রান্সে আইনসভা নির্বাচনে বামপন্থীরা জয়লাভ করলেন, তৃতীয়বারের মত গঠিত হল ‘কোহ্যাবিটেশন’ সরকার।
২০০১ বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা বিলুপ্ত করা হল।
২০০২ জানুয়ারি: আনুষ্ঠানিক মুদ্রা হিসেবে ফ্রাঙ্ককে প্রতিস্থাপিত করল ইওরো।
মে: দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন জ্যাক শিরাক। (Union pour un Mouvement Populaire – UMP : ইউনিয়ন পৌ উন মুয়েভমেন্ত পপুলেয়া – ইউএমপি) গঠন করা হল।
২০০৩ সাংবিধানিক সংশোধনীর মধ্য দিয়ে অঞ্চল ও ডিপার্টমেন্টগুলোর মধ্যে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটানো হল। আগস্ট: তীব্র দাবদাহে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু।
২০০৫ মে: প্রস্তাবিত ইওরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সংবিধানকে গণভোটে পরাজিত করা হল।
অক্টোবর-নভেম্বর: ব্যাপক নাগরিক দাঙ্গা।
২০০৬ মার্চ-এপ্রিল: ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে তরুণ বেকারত্ব আইন বর্জন করা হল।
জুন: নতুন অভিবাসন আইন বিধিনিষেধ জোরদার করল।
২০০৭ মে: ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন নিকোলা সারকোজি।
নভেম্বর: বেতন সংকোচন ও অবসরভাতা সংস্কারের বিরুদ্ধে ফরাসি কর্মচারীরা ধর্মঘটে নেমে দেশ অচল করে দিলেন।
২০০৮ ফেব্রুয়ারি: লিসবন চুক্তি অণুসমর্থিত।
জুলাই: ইউ প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব হাতে নিল ফ্রান্স।
অক্টোবর: সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন জাঁ-মারি লে ক্লেজিও।
২০০৯ ফেব্রুয়ারি: অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রণোদনা কর্মসূচি হাতে নিল সরকার।
২০১০ আগস্ট: ফ্রান্স অবৈধ রোমা ক্যাম্পগুলো ভেঙে দিল এবং তাঁদের বাসিন্দাদের রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ায় ফেরত পাঠাল।
সেপ্টেম্বর: ফরাসি সরকার অবসরে যাওয়ার বয়স ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬২ করল, যা ২০১৮ সাল থেকে বলবৎ হবে। ফরাসি সরকার মুখঢাকা নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল, যা ২০১১ সাল থেকে বলবৎ হবে।
২০১১ এপ্রিল: মুখঢাকা নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ফ্রান্স।
২০১২ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ফ্রাসোয়া ওলাঁ।
প্রকাশিত বই
এলাইন আর. টমাস, ইমিগ্রেশন, ইসলাম, অ্যান্ড দ্য পলিটিকস অফ বিলোংগিং ইন ফ্রান্স: আ কমপেয়ারেটিভ ফ্রেমওয়ার্ক।
২০১৪ সেপ্টেম্বর: প্রথমবারের মত ফরাসি সিনেটে আসন জিতল উগ্রডানপন্থী রাজনৈতিক দল দ্য ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এফএন)।
প্রকাশিত বই
মায়ান্থি এল. ফার্নান্দো, দ্য রিপাবলিক আনসেটেলড: মুসলিম ফ্রেঞ্চ অ্যান্ড দ্য কন্ট্রাডিকশনস অফ সেক্যুলারিজম।
২০১৫ জানুয়ারি: প্যারিসে ইসলামপন্থী বন্দুকধারীর গুলিতে ১৭ জন খুন হলেন, অধিকাংশই শার্লি হেবদো পত্রিকার স্টাফ।*
* শার্লি হেবদো পত্রিকায় ইসলামের নবির ব্যাঙ্গাত্মক চিত্র প্রকাশের জের ধরে এই ঘটনাটি ঘটে।
২০১৬ জুলাই: নীসে এক লরি হামলায় বাস্তিল দিবস উদযাপনরত ৮৪ জনের মৃত্যু, আইএস এই জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করে।
২০১৭ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন উদারনীতিক ইমানুয়েল মাখোঁ।
২০১৮ এপ্রিল: রেল শ্রমিকরা ৩ মাসের জন্য ধর্মঘটে গেলেন।
নভেম্বর-ডিসেম্বর: জিলেত জসঁ আন্দোলন। এই আন্দোলন ২০১৯ সালেও অনেকদিন ধরে চলেছে।
প্রকাশিত বই
পল এ. সিলভারস্টেইন, পোস্টকলোনিয়াল ফ্রান্স: দ্য কোশ্চেন অফ রেস অ্যান্ড দ্য ফিউচার অফ দ্য রিপাবলিক।
জেমস উলফ্রেইজ, রিপাবলিক অফ ইসলামোফোবিয়া: দ্য রাইজ অফ রেসপেক্টেবল রেসিজম ইন ফ্রান্স।
পার-এরিক নিলসন, আনভেইলিং দ্য ফ্রেঞ্চ রিপাবলিক: ন্যাশনাল আইডেন্টিটি, সেকুলারিজম, অ্যান্ড ইসলাম ইন কনটেম্পোরারি ফ্রান্স।
২০২০ সেপ্টেম্বর ১: শার্লি হেবদো ঘোষণা দিল, পূর্বপ্রকাশিত ইসলামের নবি-বিষয়ক কার্টুনগুলো তারা পুনঃপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বর ২: ২০১৫ সালের প্যারিস আক্রমণের বিচার শুরু হল। সেপ্টেম্বর ২৫: শার্লি হেবদোর পুরনো অফিসের সামনে কাটারিধারীর হামলা, এই হামলায় ২ জন জখম হন।
অক্টোবর ২: মাখোঁ বললেন, ইসলাম একটি ‘সংকটে থাকা ধর্ম’। অক্টোবর ৫: ইতিহাস বিষয়ের ইশকুলশিক্ষক স্যামুয়েল পেটি তাঁর ক্লাসে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে কার্টুনগুলো ব্যবহার করলেন। অক্টোবর ৭: পেটির এক ১৩-বছর-বয়সী শিক্ষার্থীর বাবা মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা শুনে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পেটির সমালোচনা করে পোস্ট দিলেন এবং ইসলামপন্থী নেতা আবদেলহাকিম সেফরুইকে সাথে নিয়ে ইশকুলের হেডমিস্ট্রেসের কাছে পেটির নামে বিচার দিতে গেলেন। অক্টোবর ৮: পেটির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফিক ছবি বিতরণের অভিযোগ দায়ের করলেন উক্ত শিক্ষার্থীর বাবা, পেটি মানহানির পাল্টা অভিযোগ দায়ের করলেন। অক্টোবর ১২: পেটির সমালোচনা করে একটা ইউটিউব ভিডিও পোস্ট করা হল, যাতে ছিলেন আবদেলহাকিম সেফরুই। অক্টোবর ১৬: আবদুল্লাখ আবুইয়েজিদোভিচ আনজোরোভ নামের এক চেচেন-রুশ মুসলমান শরণার্থী প্রকাশ্যে স্যামুয়েল পেটির শিরশ্ছেদ করলেন। মুহূর্ত পরেই পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। অক্টোবর ১৭-১৮: স্যামুয়েল পেটির সম্মানে ও বাকস্বাধীনতার পক্ষে ফ্রান্সের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এলেন। অক্টোবর ১৯: ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন উক্ত শিক্ষার্থীর বাবা ও আবদেলহাকিম সেফরুইয়ের বিরুদ্ধে পেটি হত্যার ফতোয়া ইস্যু করার অভিযোগ আনলেন। ফরাসি পুলিশ ইসলামপন্থীদের ওপর ধরপাকড় শুরু করল। অক্টোবর ২০: প্যারিসের পান্তিন মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হল। অক্টোবর ২২: স্যামুয়েল পেটিকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার লেজিওঁ দনর প্রদান করা হল। অক্টোবর ২৪: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসিপ তাইয়েপ এরদোয়ান বললেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ‘মানসিক চিকিৎসা’ দরকার। বহু মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা ফরাসি পণ্য বর্জন করার ডাক দিলেন। অক্টোবর ২৮: এরদোয়ানের একটা কার্টুন প্রকাশ করল শার্লি হেবদো। এরদোয়ান বললেন, পশ্চিমারা নতুন ক্রুসেডে নামতে চায়। অক্টোবর ২৯: নিসে এক ছুরিধারীদের আক্রমণে ৩ জন নিহত। কয়েক ঘন্টা পরেই আভিননের নিকটবর্তী মন্তফাভেতে বন্দুক হাতে পথচারীদের হুমকি দেয়া এক ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত হলেন।
প্রকাশিত বই
নাদিয়া কিওয়ান, সেকুলারিজম, ইসলাম অ্যান্ড পাবলিক ইন্টেলেকচুয়ালস ইন কনটেম্পোরারি ফ্রান্স।
২০২২ এপ্রিল: দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ইমানুয়েল মাখোঁ।
২০২৩ এপ্রিল: ফরাসি প্রজিকিউটররা পেটি হত্যার জন্য ১৪ জনকে বিচারের জন্য খুঁজছে বলে জানা গেল।
প্রকাশিত বই
আবদেল্লালি হাজ্জাত ও মারওয়ান মোহাম্মদ, স্টিভ গার্নার কর্তৃক অনূদিত, ইসলামোফোবিয়া ইন ফ্রান্স: দ্য কনস্ট্রাকশন অফ দা “মুসলিম প্রবলেম”।
তথ্যসূত্র
বইপত্র
Jett, Stephen C. and Roberts, Lisa. 2003. France. Philadelphia: Chelsea House.
Haine, W. Scott. 2019. The History of France. 2nd ed. Santa Barbara, California: Greenwood.
State, Paul F.. 2010. A Brief History of France. New York: Facts On File.
সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি