
কম্বোডিয়া
Featured Image: Wikimedia Commons.

Cambodia. Political Map. 1997.
Courtesy: The Perry-Castañeda Library Map Collection (PCLMC), The University of Texas at Austin.
সাল
২০১-৭০০ ফুনান সমাজ, যার অন্তর্ভুক্ত ছিল আজকের কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চল, এবং বার্মার দক্ষিণাঞ্চল।
৮০১-১৪০০ আঙ্কর রাজ্য, যা খেমার সাম্রাজ্য নামেও পরিচিত।
১১১৩-১১৫০ খেমার সম্রাট দ্বিতীয় সূর্যবর্মনের শাসনামলে আঙ্কর ওয়াটের হিন্দু মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হল।
১১৭৭ চামদের দ্বারা লুণ্ঠিত হল খেমারদের রাজধানী আঙ্কর।
১১৮১-১২১৫ মহত্তম খেমার রাজা বলে বিবেচিত সপ্তম জয়বর্মণের রাজত্বকাল।
১২৫০-১৩৫০ হিন্দু মন্দির হিসাবে ব্যবহারোপযোগিতা হারাল আঙ্কর ওয়াট, বৌদ্ধ মন্দির হিসাবে পুনঃব্যবহৃত হতে লাগল।
১৫৫৩ থাইরা কম্বোডিয়ায় আগ্রাসন চালালে কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের অয়ুধ্যা রাজ্যের অংশে পরিণত হয়।
১৬০১-১৮০০ থাই আর ভিয়েতনামীরা এ সময় বারবার হামলা চালায় কম্বোডিয়ায়।
১৮৪৫ কম্বোডিয়ার ব্যাপারে থাই আর ভিয়েতনামীরা আপোস করতে সম্মত হলে কম্বোডিয়া দুই দেশকেই খাজনা দিতে শুরু করল।
১৮৬৩ কম্বোডিয়া ফ্রান্সের একটি আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হল।
১৮৬৩-১৯৫৩ কম্বোডিয়ায় ফরাসি উপনিবেশিক শাসনের কাল।
১৮৯৩ ভিয়েতনামকে তার পার্শ্ববর্তী দেশ কম্বোডিয়া আর লাওসের অধিকাংশ অঞ্চলের সাথে জুড়ে দিয়ে ফরাসিরা ইন্দোচীন ইউনিয়ন গঠন করল, যা ফরাসি ইন্দোচীন নামেই অধিক পরিচিত।*
* ইতিহাসের পরিহাস হচ্ছে, এই তিনটি দেশেই ফরাসিরা দীর্ঘমেয়াদে মার খাবে, এবং প্রতিটি দেশেই কমিউনিস্টরা ক্ষমতা দখল করবে।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।*
* এ সময় কম্বোডিয়া দখল করে নেয় সাম্রাজ্যিক জাপান।
১৯৪১ কম্বোডিয়ার রাজা হলেন রাজকুমার নরোদম সিহানুক।
১৯৪৫ কম্বোডিয়ায় জাপানি উপনিবেশিক শাসনের অবসান।
১৯৪৬ যুদ্ধোত্তর কম্বোডিয়া পুনরায় ফ্রান্সের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হল। দেশটিতে একটি নয়া সংবিধান কম্বোডীয়দে্র রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি দিল। ফরাসি উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নামলেন কম্বোডিয়ার কমিউনিস্ট গেরিলারা।
১৯৫৩ ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল কম্বোডিয়া, সিহানুকের অধীনে ঘোষিত হল কম্বোডিয়া রাজ্য।
১৯৫৫ সিহানুক রাজনীতিতে নামবেন বলে ঠিক করলেন। পিতার জন্য সিংহাসন ছেড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। কম্বোডিয়ায় শুরু হল তথাকথিত “বৌদ্ধ সমাজতন্ত্রের” যুগ।
১৯৬০ সিহানুকের বাবার মৃত্যুতে কম্বোডিয়ার নতুন রাষ্ট্রপ্রধান সিহানুক।
১৯৬৫ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেন সিহানুক। উত্তর ভিয়েতনামী গেরিলাদেরকে কম্বোডিয়ায় ঘাঁটি গাড়ার অনুমতি দিলেন। এসব ঘাঁটি থেকে ভিয়েতনামী গেরিলারা দক্ষিণ ভিয়েতনামের মার্কিন-মদতপুষ্ট সরকারের ওপর হামলা চালাচ্ছিলেন।
১৯৬৫-১৯৭৩ ১৯৬৫ সালের ৪ অক্টোবর কম্বোডিয়ায় বোমা ফেলতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, যা চলে ১৯৭৩ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময় মার্কিনীরা কম্বোডিয়ায় ২৭ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯৪১ টন বোমা ফেলে, যা পুরো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রপক্ষের ব্যবহৃত বোমার চেয়ে বেশি। হিরোশিমা-নাগাসাকিতে ৩৫ হাজার টন বোমা ফেলা হয়েছিল।*
* কম্বোডিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের কার্পেট বোমাবর্ষণ ও খেমার রুজদের সাময়িকভাবে জনপ্রিয় করে তুলতে তার প্রভাব সম্পর্কে জানতে দেখুন, (Owen 2006).
১৯৬৯ যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করল কম্বোডিয়া। মাও সেতুং ও চৌ এন লাই সিহানুককে চীনে আশ্রয় দিলেন। চীনের মধ্যস্ততায় সিহানুক ও পল পটের নেতৃত্বাধীন কম্বোডীয় কমিউনিস্টদের মধ্যে ঐক্যজোট গঠিত হল।
১৯৭০ এক সামরিক ক্যুদেতায় সিহানুককে ক্ষমতাচ্যুত করলেন লন নল। ঘোষণা করলেন খেমার প্রজাতন্ত্র। কম্বোডিয়ার মাটিতে সক্রিয় উত্তর ভিয়েতনামীদের বিরুদ্ধে লড়তে সেনা পাঠালেন। লন নলের খেমার প্রজাতন্ত্র যুক্তরাষ্ট্রের মদতপুষ্ট ছিল। এসময় সিহানুক গণ চীনে নির্বাসিত ছিলেন। তিনি একটি গেরিলা আন্দোলন গঠন করলেন। উত্তর ভিয়েতনামী বাহিনী আর কম্বোডিয়ার কমিউনিস্ট গেরিলা খেমার রুজ বাহিনীর হাতে ভূখণ্ড হারাতে শুরু করল কম্বোডীয় সেনাবাহিনী।
১৯৭৩ উত্তর কম্বোডিয়ায় খেমার রুজদের শিবিরগুলো পরিদর্শন করলেন সিহানুক।
১৯৭৫ এপ্রিল ১৭ খেমার রুজদের হাতে রাজধানী নমপেনের পতন ঘটল। নরোদম সিহানুককে সাময়িকভাবে রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করা হল, দেশটির নাম বদলে কম্পুচিয়া রাখা হল। ইয়ার জিরো, শুরু হল খেমার রুজ বিপ্লব।*
* একটি ফরাসি নাম। অর্থ: “লাল খেমার।” ১৯৬০য়ের দশকে সিহানুক কমিউনিস্টদের এই নাম দিয়েছিলেন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) খেমার রুজদের ১ বিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা প্রদান করে। সিহানুক কম্বোডিয়ায় ফেরেন, তাঁকে গৃহবন্দী করা হয়। ভিয়েতনামের একটি প্রতিনিধিদল কম্বোডিয়া সফর করতে এলে পল পট তাঁদেরকে একটি কুমিরের বাচ্চা উপহার দেন।
১৯৭৫-৭৯ কম্বোডীয় গণহত্যা, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ এই গণহত্যায় খেমার রুজদের হাতে প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে।*
* কম্বোডিয়া গণহত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, দেখুন, (Pheng et al. 2020).
১৯৭৬ কম্পুচিয়ার নাম বদলে গণতান্ত্রিক কম্পুচিয়া রাখা হল। পদত্যাগ করলেন সিহানুক। রাষ্ট্রপ্রধান হলেন খিউ সাম্ফান, প্রধানমন্ত্রী পল পট।
১৯৭৮ গণতান্ত্রিক কম্পুচিয়ার সাথে ভিয়েতনামের সীমান্ত সংঘাতের সূচনা।
১৯৭৯ ভিয়েতনামীদের হাতে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনের পতন ঘটল। পল পটসহ অপরাপর খেমার রুজ নেতারা কম্বোডিয়া ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। আশ্রয় নিলেন দেশটির থাইল্যান্ড সীমান্তে। ভিয়েতনামের উদ্যোগে কম্বোডিয়ায় গঠিত হল গণপ্রজাতন্ত্রী কম্পুচিয়া। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দেশটিতে ‘ভিয়েতনামী আগ্রাসনের’ নিন্দা জানাল। খেমার রুজদের ব্যাকার চীন ভিয়েতনাম আক্রমণ করল, দু’দেশের মধ্যে ১৬ দিনের সীমান্তযুদ্ধ। ভিয়েতনামীরা এই যুদ্ধে চীনাদেরকে পিছু হঠিয়ে দেয়।
১৯৮১ কম্বোডিয়ার সংসদীয় নির্বাচনে জয়লাভ করল ভিয়েতনামপন্থী কম্পুচিয়ান পিপলস রেভল্যুশনারি পার্টি। নবগঠিত সরকারকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। প্রবাসী কম্বোডীয় সরকার, সিহানুক ও খেমার রুজ যার অন্তর্গত, জাতিসংঘে কম্বোডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করা অব্যাহত রাখল।
১৯৮৩ ডেভিড পি. চ্যান্ডলার, আ হিস্ট্রি অফ কম্বোডিয়া।
১৯৮৫ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হলেন হুন সেন। দেশটিতে চলছে ব্যাপক গেরিলা যুদ্ধ। হাজার হাজার কম্বোডীয় এসময় শরণার্থীতে পরিণত হন।
বেন কিয়ের্নান, হাউ পল পট কেইম টু পাওয়ার:আ হিস্ট্রি অফ কমিউনিজম ইন কম্পুচিয়া, ১৯৩০-৭৫।
১৯৮৫-২০২৩ হুন সেনের শাসনকাল।
১৯৮৬ এলিজাবেথ বেকার, হোয়েন দ্য ওয়ার ওয়াজ ওভার: কম্বোডিয়া অ্যান্ড দ্য খেমার রুজ রেভল্যুশন।
আরউইন সিলবার, কম্পুচিয়া: দ্য রেভল্যুশন রেসকিউড।
১৯৮৯ কম্বোডিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করল ভিয়েতনাম। দেশটির নাম বদলে কম্বোডিয়া রাষ্ট্র রাখা হল। বৌদ্ধধর্মকে পুনরায় রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হল।
১৯৯১ কম্বোডিয়া সংকট নিরসনে প্যারিসে একটি শান্তি চুক্তি সই হল। কম্বোডিয়ায় ক্ষমতার জন্য লড়তে থাকা বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাথে ক্ষমতা ভাগ করে নিল জাতিসংঘ গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষ (আনটাক)। রাষ্ট্রপ্রধান হলেন সিহানুক।
মাইকেল হ্যাস, কম্বোডিয়া, পল পট, অ্যান্ড দ্য ইউনাইটেড স্টেটস:দ্য ফাউস্টিয়ান প্যাক্ট।
১৯৯২ ডেভিড পি. চ্যান্ডলার, ব্রাদার নাম্বার ওয়ান: আ পলিটিকাল বায়োগ্রাফি অফ পল পট।
১৯৯৩ নরোদম সিহানুককে রাজা ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে কম্বোডিয়ায় রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হল। দেশের নাম বদলে কম্বোডিয়া রাজ্য রাখা হল। প্রবাসী কম্বোডীয় সরকার জাতিসংঘে তার আসন হারাল।
কম্বোডিয়ার সাধারণ নির্বাচন। অধিকাংশ আসন জিতল রাজতন্ত্রের সমর্থক ফুনচিনপেক পার্টি। জোট সরকার গঠিত।
নবগঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন রাজকুমার নরোদম রানারিধ।
১৯৯৪ কম্বোডিয়া রাজ্যের নবগঠিত সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার পর হাজার হাজার খেমার রুজ গেরিলা আত্মসমর্পণ করল।
১৯৯৬ খেমার রুজ উপপ্রধান ইয়াং সেরি রাজা সিহানুকের ক্ষমা লাভ করলেন এবং একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলেন।
বেন কিয়ের্নান, দ্য পল পট রেজিম: রেস, পাওয়ার অ্যান্ড জেনোসাইড ইন কম্বোডিয়া আন্ডার দ্য খেমার রুজ, ১৯৭৫-১৯৭৯।
১৯৯৭ খেমার রুজরা পল পটের বিচারের আয়োজন করল এবং তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল।
১৯৯৮ এপ্রিল জঙ্গলে পলাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেন পল পট।*
* “ব্রাদার নাম্বার ওয়ান” নামে পরিচিত ছিলেন।
জুলাই বিতর্কিত নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসলেন হুন সেন। হুন সেনের কম্বোডিয়ান পিপল’স পার্টি আর রাজতন্ত্রের সমর্থক ফুনচিনপেক পার্টি একটি জোট সরকার গঠন করল।
১৯৯৯ এপ্রিল ৩০ অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসে (আসিয়ান) যোগ দিল কম্বোডিয়া।
ক্রিস্টোফার ব্র্যাডি, ইউনাইটেড স্টেটস ফরেন পলিসি টুওয়ার্ডস কম্বোডিয়া, ১৯৭৭-৯২: আ কোশ্চেন অফ রিয়েলিটিজ।
২০০০ নমপেনে হামলা চালাল মার্কিনভিত্তিক কম্বোডিয়ান ফ্রিডম ফাইটাররা (সিএফএফ)।
২০০১ কম্বোডীয়দের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে অভিযুক্ত খেমার রুজ নেতাদের বিচার করতে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের আইন পাশ হল।
ডিসেম্বর মেকং নদীর ওপর প্রথম সেতু চালু হল। সেতুটি কম্বোডিয়ার পূর্বাঞ্চল আর পশ্চিমাঞ্চলকে যুক্ত করল।
২০০৩ আঙ্কর ওয়াট কমপ্লেক্স থাইল্যান্ড থেকে চুরি করা হয়েছে, এক থাই টিভি তারকার নামে প্রচারিত এমন একটি মন্তব্যের সূত্র ধরে, থাইল্যান্ডের সাথে গুরুতর কূটনৈতিক বিবাদে জড়িয়ে পড়ল কম্বোডিয়া।
২০০৪ কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুনঃনির্বাচিত হলেন হুন সেন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সদস্যপদ লাভ করল কম্বোডিয়া। স্বাস্থ্যগত কারণে সিহানুক ক্ষমতা ছাড়লে কম্বোডিয়ার নতুন রাজা হলেন তাঁর ছেলে নরোদম সিহামনি।
কেন্টন ক্লাইমার, দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অ্যান্ড কম্বোডিয়া, ১৯৬৯-২০০০: আ ট্রাবলড রিলেশনশিপ।
২০০৫ এপ্রিল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত খেমার রুজ নেতাদের বিচার করার ব্যাপারে জাতিসংঘের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেল।
স্বেচ্ছানির্বাসনে গেলেন কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির (সিএনআরপি) প্রধান স্যাম রাইনসি।
জন টুলি, আ শর্ট হিস্ট্রি অফ কম্বোডিয়া: ফ্রম এম্পায়ার টু সার্ভাইভাল।
ফিলিপ শর্ট, পল পট: হিস্ট্রি অফ আ নাইটমেয়ার।
২০০৬ জুলাই খেমার রুজ নেতাদের অন্যতম তা মকের মৃত্যু।
ওড আর্নে ওয়েস্টাড ও সোফি কুইন-জাজ (সম্পাদিত), দ্য থার্ড ইন্দো-চায়না ওয়ার: কনফ্লিক্ট বিটউইন চায়না, ভিয়েতনাম অ্যান্ড কম্বোডিয়া, ১৯৭২-৭৯।
২০০৭ জুলাই গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত খেমার রুজ নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করল জাতিসংঘ ব্যাকড ট্রাইব্যুনাল।
সেপ্টেম্বর জীবিত খেমার রুজ সদস্যদের মধ্যে সবচে বয়স্কজন নুয়োন চিয়া গ্রেপ্তার হলেন।* তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হল।
* “ব্রাদার নাম্বার টু” নামে পরিচিত ছিলেন।
২০০৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের আদালত মার্কিনভিত্তিক কম্বোডিয়ান ফ্রিডম ফাইটারদের (সিএফএফ) নেতা ছুন ইয়াসিথকে ২০০০ সালে নমপেনে হামলা চালানোর দায়ে অপরাধী সাব্যস্ত করল।
জুলাই প্রেয়াহ ভিহিয়ার মন্দিরকে জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্য সাইটের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার মধ্যকার বিতর্কিত ভূখণ্ডে উত্তেজনা দেখা দিল।
অক্টোবর থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার মধ্যকার বিতর্কিত ভূখণ্ডে গুলি বিনিময়ের কারণে ২ কম্বোডীয় ও ১ থাই সেনার মৃত্যু।
২০০৯ কুখ্যাত তুয়োল স্লেং কারা শিবিরের প্রধান থাকাকালে হাজার হাজার কম্বোডীয়কে হত্যা ও নির্যাতনে নেতৃত্ব দেয়ার দায়ে সাবেক খেমার রুজ নেতা কাইং গুয়েক ইয়েভের বিচার শুরু হল।*
* “কমরেড ডাচ” নামে পরিচিত।
২০১০ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত ‘কমরেড ডাচ’-কে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল।
মার্গারেট স্লোকম্ব, অ্যান ইকোনমিক হিস্ট্রি অফ কম্বোডিয়া ইন দ্য টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি।
২০১১ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে অভিযুক্ত ‘ব্রাদার নাম্বার টু’ নুয়োন চিয়ার বিচার শুরু হল।
জোয়েল ব্রিংকল, কম্বোডিয়াজ কার্স: দ্য মডার্ন হিস্ট্রি অফ আ ট্রাবলড ল্যান্ড।
২০১২ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ-ব্যাকড ট্রাইব্যুনাল ডাচের আপীল খারিজ করে দিল এবং তার সাজা বাড়িয়ে বাকি জীবনের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল।
জুলাই নিজেদের মধ্যকার বিতর্কিত ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করল থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। অক্টোবর: কম্বোডিয়ার সাবেক রাজা নরোদম সিহানুকের মৃত্যু।
ইয়ান হ্যারিস, বুদ্ধিজম ইন আ ডার্ক এজ: কম্বোডিয়ান মঙ্কস আন্ডার পল পট।
২০১৩ মার্চ গণহত্যার দায়ে বিচারের সম্মুখীন হবার অপেক্ষায় থাকাকালে বয়সজনিত কারণে মারা গেলেন খেমার রুজদের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং সারি।
জুন খেমার রুজদের চালানো গণহত্যার দায় অস্বীকার করাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে একটি আইন পাশ করল কম্বোডিয়ার সংসদ।
জুলাই কম্বোডিয়ায় আয়োজিত হল সাধারণ নির্বাচন। বির্তর্কিত নির্বাচনে জিতে আবারও প্রধানমন্ত্রী হলেন হুন সেন।
সেপ্টেম্বর নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নমপেনে ব্যাপক প্রতিবাদ। বিরোধী দলীয় সদস্যরা সংসদ বয়কট করলেন।
২০১৪ আগস্ট সাবেক খেমার রুজ নেতা নুয়োন চিয়া আর খিউ সাম্পানকে গণহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠাল জাতিসংঘ-ব্যাকড ট্রাইব্যুনাল।
ঢাকা সফর করলেন কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন।
২০১৫ মার্চ জাতিসংঘ-ব্যাকড ট্রাইবুন্যাল মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে আরো ২ খেমার রুজ নেতাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করল।
২০১৬ জুলাই কেম লেই নামের এক সুপরিচিত সরকারবিরোধী ভাষ্যকারকে রাজধানী নমপেনে গুলি করে হত্যা করা হল।
নভেম্বর নুয়োন চিয়া আর খিউ সাম্পানের আপীল খারিজ করে দিয়ে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অব্যাহত রাখল জাতিসংঘ-ব্যাকড ট্রাইব্যুনাল।
ডিসেম্বর ফেসবুকে কম্বোডিয়া আর থাইল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি নিয়ে অযথাযথ পোস্ট করার দায়ে স্বেচ্ছানির্বাসিত বিরোধী নেতা স্যাম রাইনসিকে অনুপস্থিতিতেই ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল।
২০১৭ ফেব্রুয়ারি কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির (সিএনআরপি) প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন স্যাম রাইনসি।
মার্চ মানবাধিকার কর্মী কেম সোখাকে কম্বোডিয়ার প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টির (সিএনআরপি) প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেয়া হল।
সেপ্টেম্বর: কম্বোডিয়ার সুপ্রিম কোর্ট দেশটির প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকে (সিএনআরপি) বিলুপ্ত করে দিল।
নমপেন সফর করলেন বাংলাদেশের স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা।
২০১৮ ফেব্রুয়ারি কম্বোডিয়াতে লেসে-ম্যাজেস্তে আইন পাশ করা হল, যা রাজার অবমাননা ঘটানো বা তাঁকে অপমান করাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিধিবদ্ধ করল।
২০২৩ জুলাই চার দশক ধরে কম্বোডিয়া শাসন করার পর পদত্যাগ করার ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী হুন সেন, জানালেন আগস্টে ছেলে হুন মানেতের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। হুন সেন কম্বোডিয়ার পিপলস পার্টির (সিপিপি) প্রেসিডেন্ট। দলটি ১৯৭৯ সাল থেকে দেশটি শাসন করে আসছে।
তথ্যসূত্র
রেহমান, তারেক শামসুর। ২০১৯। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার রাজনীতি। ঢাকা: শোভাপ্রকাশ।
ASEAN. n.d. “ASEAN member states.” Accessed March 6, 2025.
https://asean.org/member-states/.
BBC. 2018. “Cambodia profile – Timeline.” BBC, July 20.
https://www.bbc.com/news/world-asia-pacific-13006828
Church, Peter, ed. 2009. A Short History of South-East Asia. Singapore: Wiley.
Mao, Frances. 2023. “Cambodia’s Hun Sen to resign after four decades and appoint son as PM.” BBC, July 27.
https://www.bbc.com/news/world-asia-66309249
Mark, Joshua J.. 2020. “Angkor Wat.” World History Encyclopedia. Last modified February 13. https://www.worldhistory.org/Angkor_Wat/.
Owen, Taylor. 2006. “Bombs over Cambodia.” The Walrus, October 12.
https://thewalrus.ca/2006-10-history/.
Plubins, Rodrigo Quijada. 2013. “Khmer Empire.” World History Encyclopedia. Last modified March 12. https://www.worldhistory.org/Khmer_Empire/.
Pong-Rasy Pheng et al.. 2020. A History of Democratic Kampuchea (1975-1979). 2nd ed. Phnom Pen: Documentation Centre of Cambodia.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি