Featured Image: Wikimedia Commons.
পূর্বসাল
৩৭৬১ অক্টোবর ৭: দ্বিতীয় শতাব্দী সালে ইহুদি রাব্বি ইয়োসে বেন হালাফতা বাইবেল ঘেঁটে দাবি করেন, এই দিনে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে।*
* ইহুদি পঞ্জিকার প্রথম বছর বলে বিবেচিত হয়।
৩৫০০-১২০০ ব্রোঞ্জ যুগ: প্রাচীন কানানীয়রা এসময় এক ধাতুবিদ্যার দেবতায় বিশ্বাস করতেন। যাঁর ধারণা পরবর্তীকালে বিকশিত হয়ে বিধাতার রূপ লাভ করে। যাঁর উচ্চারণনিষিদ্ধ নাম ইয়াহওয়েহ বা জিহোভা (יהוה)।*
* ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, ঈশ্বর এতই পবিত্র যে, তার নাম উচ্চারণ করা যাবে না। তাই তাঁরা ইয়াহওয়েহ বা জিহোভার (יהוה) নাম মুখে নেন না। আদোনাই বা প্রভু বলে ডাকেন।
৩৩০০-১১৫০ ব্রোঞ্জ যুগ: কানানীয়* রাজ্যগুলোর কাল।
* এই কানানীয়দেরকেই ফিলিস্তিনিদের পূর্বপুরুষ মনে করা হয়। এঁরা পৌত্তলিক ছিলেন। কালের প্রবাহে খ্রিস্টান ও মুসলমান হয়ে যান।
২০০০-১০০১ ‘গোত্রপিতাদের যুগ’: ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, ইব্রাহিম, ইসহাক, ইয়াকুবের যুগ।*
* আদিপুস্তক ছাড়া সেই সময়ের আর কোন প্রাথমিক সূত্রে গোত্রপিতাদের নাম পাওয়া যায় না।
১৮০০ ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, ইব্রাহিম নবি তাঁর জন্মভূমি প্রাচীন সুমেরীয় নগরী উর ছেড়ে জ্ঞাতিগোষ্ঠী নিয়ে কানানে চলে আসেন।
১৫০০ প্রাচীন মিসরে ছেলেদের খতনা বহুলপ্রচলিত প্রথা ছিল। এসময় ইহুদিরা প্রথাটি গ্রহণ করে নেন।
১৪০০ ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, মূসা নবির সময়।
১২৫০-১২০০ হিব্রুদের কানানে আগমন।* ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, নবুয়ত লাভ করলেন মূসা। তাবুতে সাকিনা বা ‘আর্ক অফ দ্য কোভেন্যান্ট’।
* ইহুদি বাইবেলে লেখা আছে, ইহুদিরা মিসর থেকে বিতাড়িত হয়ে যাযাবরের মত সিনাই উপত্যকায় ঘুরতে ঘুরতে শেষে জোশুয়ার নেতৃত্বে কানান জয় করে। স্থানীয়দের – আজকের ফিলিস্তিনিদের পূর্বপুরুষ – ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। (Masalha 2018) দাবি করেছেন, এই ধর্মীয় বক্তব্যের পক্ষে ঐতিহাসিক-প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ নেই; বাইবেলীয় বয়ানগুলোর ক্ষেত্রে যা একটি সাধারণ সত্য।
১১৫০-৯০০ লৌহ যুগ: ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের কাল।*
* এই কথিত যুক্তরাজ্যের পক্ষে এক বাইবেলের বর্ণনা ছাড়া আর কোনো ঐতিহাসিক বা প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ পাওয়া যায় না।
১০৮০ ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের উত্থান ঘটছে।
১০৮০-৭২ ইয়াহওয়েহ বা জিহোভা (יהוה) এসময় ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের দরবারি উপাস্য হয়ে উঠেছেন। পরবর্তীকালে তিনি জুদাহ/জুদিয়া রাজ্যের উপাস্যে পরিণত হবেন। কালক্রমে তিনি হয়ে উঠবেন ইহুদিদের একমাত্র উপাস্য।
১০৩৫-৯৭০ ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের রাজা দাউদের জীবনকাল।
১০২০ শমূয়েল কর্তৃক ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হলেন শৌল।
১০১০-৯৩১ রাজা সোলেমানের জীবনকাল।
১০০৪/১০০৩ ইহুদি বিশ্বাস অনুসারে, রাজা দাউদ জেরুসালেমে তাঁর ইহুদি রাজ্যের রাজধানী প্রতিষ্ঠা করলেন।*
* জেরুসালেম ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমান – এই তিন একেশ্বরবাদী সম্প্রদায়ের চোখেই এক পবিত্র নগরী। পশ্চিম দেয়াল, দ্য চার্চ অফ দ্য হোলি সেপুলচার, আর আল আকসা মসজিদ এই নগরীর ওল্ড সিটিতে অবস্থিত। “জেরুজালেম এক ঈশ্বরের ঘর, দুই জাতির রাজধানী, তিন ধর্মের মন্দির, আর একমাত্র শহর যা অস্তিত্বশীল ছিল দুইবার – একবার স্বর্গে আর একবার মর্ত্যে।” (Montefiore 2011)
১০০০-১ ইহুদি বাইবেলের প্রথম পাঁচটি বইকে তোরাহ (תּוֹרָה) বলে, গ্রিকে যা পেন্টাটিউখ (πεντάτευχος) নামে পরিচিত। তোরাহ মানে আইন বা শিক্ষা বা নির্দেশনা। তোরাহের অন্তর্ভুক্ত বইগুলো হল আদিপুস্তক (בְּרֵאשִׁית), যাত্রাপুস্তক (שְׁמוֹת), লেবীয় পুস্তক (וַיִּקְרָא), গণনাপুস্তক (בְּמִדְבַּר), এবং দ্বিতীয় বিবরণ (דְּבָרִים)।
এই সহস্রাব্দেই তোরাহ লিখিত রূপ লাভ করে।
১০০০ সম্ভবত এসময়ই তোরাহের জে উৎস লিপিবদ্ধ হয়।
৯৬৫ ইস্রাইল নামের কথিত যুক্তরাজ্যের রাজা হলেন সোলেমান।
৯৬১-৯২৮ ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, এসময়ই কখনো রাজা সোলেমান নির্মাণ করেন জেরুসালেমের প্রথম মন্দির।*
* এই মন্দির যে আদৌ রাজা সোলেমান নির্মিত তার পক্ষে কোন ঐতিহাসিক বা প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ পাওয়া যায় না।
৯২৫ ইহুদি বিশ্বাস অনুসারে, ইস্রাইল এবছর দক্ষিণে জুদাহ/জুদিয়া আর উত্তরে ইস্রাইল নামে দুটি আলাদা রাজ্যে ভাগ হয়ে গেল।
৯০০ সম্ভবত এসময়ই তোরাহের ই উৎস লিপিবদ্ধ হয়।
৮৪১ উত্তরের ইস্রাইল রাজ্য এসময় অ্যাসিরিয়াকে খাজনা দিচ্ছে।
৭২২ অ্যাসিরীয়দের সামারিয়া ও উত্তরের ইস্রাইল রাজ্য জয়। ইস্রাইল রাজ্যের উচ্চকোটিকে নির্বাসনে পাঠায় অ্যাসিরীয়রা।
৭০১ অ্যাসিরীয় সম্রাট সেনাচেরিব জুদাহ’য়ের লাচিশ শহরটি ধবংস করে দিলেন, তবে জেরুসালেম দখল করতে ব্যর্থ হলেন তিনি।
৬২৬ ইহুদি বিশ্বাস অনুযায়ী, নবুয়ত লাভ করলেন যিরমিয়।
৬২১ সম্ভবত এসময়ই তোরাহের ডি উৎস লিপিবদ্ধ হয়।
৫৯৭ বাবেলের সম্রাট নেবুশাদনেসারের জেরুসালেম জয়।
৫৮৭ বাবেলীয়রা জেরুসালেমের প্রথম মন্দির ধবংস করে দিল। জুদিয়ার এক-তৃতীয়াংশ বাসিন্দাকে বাবেলে নির্বাসিত করল।
৫৮৭-৫৩৯ বাবেলের বন্দী হিসাবে ইহুদিদের নির্বাসনের কাল।
৫৮০ ইহুদিদের উপাসনা স্থান হিসাবে সিনাগোগের বিকাশ ঘটল।
৫৫০ বাবেলের বন্দীদশায় ইহুদিদের মধ্যেমসীহ ধারণার বিকাশ ঘটে। শব্দটির মানে ত্রাণকর্তা। এসময় থেকেই ইহুদিরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন; একজন মসীহ আসবেন, এবং তাঁদের সব দুঃখদুর্দশার অবসান ঘটাবেন।
৫৩৯ পারস্যের খসরু বাবেলে বন্দী ইহুদিদেরকে মুক্ত করলেন।
৫৩৯-৩৩০ সম্ভবত এসময়ই তোরাহের পি উৎস লিপিবদ্ধ হয়।
৫২০-৫১৫ বাবেলের বন্দীত্ব থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ইহুদিরা জেরুসালেমে ফিরলেন।
৫১৬/৫১৫ জেরুসালেমে নির্মিত হল ইহুদিদের দ্বিতীয় মন্দির।
৫১৫ পূর্বসাল – ৭০ সাল ‘দ্বিতীয় মন্দির’ পর্ব: ইহুদিধর্ম* এসময়ই সংগঠিত ধর্মের রূপ লাভ করে। এই পর্বেই ইহুদিদের পবিত্র বইগুলো কানুনীকৃত হয়। ইয়াহওয়েহ বা জিহোভা (יהוה) একমাত্র উপাস্য হয়ে ওঠেন।
* ইহুদিধর্ম সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে দেখুন, (Morrisson & Brown 2009).
৪৫০ পূর্বসাল-১৯৪৮ সাল ২ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে জর্দান নদী আর ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী ভৌগোলিক অঞ্চলটুকু ফিলিস্তিন নামে পরিচিত ছিল।
৩৩১ ম্যাকিদোনিয়ার সেকান্দার শা শান্তিপূর্ণভাবে জয় করলেন জুদিয়া।
২৮০ আলেকজান্দ্রিয়ার ইহুদি সম্প্রদায় ডায়াসপোরা শব্দটি প্রবর্তন করেন।* ওই একই সম্প্রদায় এসময়ই ইহুদি বাইবেল গ্রিক ভাষায় অনুবাদ করার কাজ হাতে নেন। যা ‘৭০ জন অনুবাদকের অনুবাদ’ (Ἡ μετάφρασις τῶν Ἑβδομήκοντα) বা সেপ্টুয়াজিন্ট নামে পরিচিতি পাবে।
* ইস্রাইল ভূমি থেকে দূরে বাস করা ইহুদিদের নির্দেশ করতে শব্দটির ব্যবহার চালু হয়। ইংরেজিতে এটি এসেছে গ্রিক ডায়াসপিয়েরো (διασπείρω) থেকে, যার অর্থ ‘আমি ছড়িয়ে পড়ি’। বর্তমানে শব্দটি প্রবাসী অর্থে সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়।
১৬৮ সিরিয়ার গ্রিক রাজা চতুর্থ অ্যান্টিওকাস দ্বিতীয় মন্দিরে গ্রিক দেবতা জিউসের একটি মূর্তি স্থাপন করে মন্দিরটিকে অপবিত্র করেন। এই ঘটনায় ইহুদিদের ধর্মানুভূতি আহত হওয়ায় তাঁরা অত্যন্ত সহিংসভাবে এর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। চতুর্থ অ্যান্টিওকাস জেরুসালেম থেকে ইহুদিধর্মের নাম ও নিশানা মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা চালান।
১৬৭-৬০ ‘হাসমোনীয় বিদ্রোহ’: জুদাস ম্যাকাবির নেতৃত্বে দেখা দিল।
১৬৫ জেরুসালেমের দ্বিতীয় মন্দিরকে পবিত্র করলেন জুদাস ম্যাকাবি।
১৪১ জেরুসালেমের মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হিসেবে নিয়োগ পেলেন সিমন ম্যাকাবি, এসময় থেকে পদটি বংশানুক্রমিকভাবে ম্যাকাবি পরিবারের দখলে থাকবে।
১৪০ প্রাচীন ইহুদি মুরুব্বিদের সংসদ সানহেদ্রিনে সাদুচ্চি আর ফারিসি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিল।
১০০ এসেন নামে ইহুদিদের একটি গোষ্ঠী দুনিয়াবি জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে মরুভূমিতে সন্ন্যাসীদের সম্প্রদায় গঠন করতে শুরু করল।
৬৩ জেরুসালেম দখল করলেন পম্পেই। জুদিয়াকে রোমের নিয়ন্ত্রণে আনা হল।
৩৭ পূর্বসাল-৪ সাল রোমের সিনেট হেরোদকে জুদিয়ার রাজা হিসাবে নিয়োগ দিল, ফিলিস্তিনের ওপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হল।
৩৭ পার্থীয়দের কাছ থেকে জেরুসালেম হস্তগত করলেন রাজা হেরোদ।
২০ জেরুসালেমের মন্দিরের পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করলেন হেরোদ।
৯ নাবাতীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন রাজা হেরদ।
৬ পূর্বসাল – ৩০ সাল বর্তমান ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে জন্ম নেয়া খ্রিস্টধর্মের* প্রাণকেন্দ্র জেসাস ক্রাইস্টের** জীবনকাল।
* খ্রিস্টধর্ম সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে দেখুন, (Brown & Anatolias 2009) ও (Brown 2009).
** ইবরানি জেশুয়া মেসিয়ার গ্রিক অনুবাদ ইউসুস খ্রিস্তোস; ইউসুস খ্রিস্তোসের ইংরেজি অনুবাদ জেসাস ক্রাইস্ট। জেসাস ক্রাইস্টের অনুসারীরা খ্রিস্টান নামে পরিচিত। বাংলায় খ্রিস্টান শব্দটি গ্রিক ভাষার খ্রিস্তোস (Χριστός) থেকে এসেছে, এর সোজাসাপটা অর্থ ‘ত্রাতা।’
সাল
২০ জেসাস ক্রাইস্টের সরাসরি শিষ্যদের একজন সেইন্ট পল এসময় একজন কিশোর যাঁর পিতা ছিলেন একজন গ্রিকভাষী ইহুদি ও রুমি সাম্রাজ্যের একজন নাগরিক।
২৯ এসময় রোমক ফিলিস্তিনের গালিলি প্রদেশে প্রচারকার্য চালাচ্ছেন ও অসুস্থদেরকে সুস্থ করছেন জেসাস ক্রাইস্ট।
৩০/৩৩ রোমক সম্রাট টাইবেরিয়াসের রাজত্বে প্রোকিউরেটর পন্টিয়াস পাইলেটের অধীনে জেসাস ক্রাইস্টকে রোমক ফিলিস্তিনের জেরুসালেমের গলগথায় ক্রুশবিদ্ধ করা হল।*
* রোমক সাম্রাজ্যে নিচুশ্রেণির অপরাধীদেরকে ক্রুশবিদ্ধ করা হত। সমকালীন শাসকদের চোখে জেসাস ক্রাইস্ট তাই ছিলেন। ইতিহাস খুবই পরিহাসপ্রবণ।
জেরুসালেমের খ্রিস্টানদের ক্ষুদ্র সম্প্রদায়টির নেতা হলেন পিটার।
৩৫ রোমক ফিলিস্তিনের জেরুসালেমের নগর দেয়ালের বাইরে সেইন্ট স্টিফেনকে পাথর মেরে হত্যা করা হল।*
* খ্রিস্টধর্মের ইতিহাসের প্রথম শহিদ বিবেচিত হয়ে থাকেন।
খ্রিস্টানদের ওপর নিপীড়ন চালাতে দামিশকে যাওয়ার পথে এক চোখধাঁধানো আলো দেখলেন সাউল। দীক্ষিত হলেন খ্রিস্টধর্মে। পরবর্তীকালে পরিচিত হলেন সেইন্ট পল নামে।
৪৮ খ্রিস্টধর্ম শুরুতে ইহুদিদের মধ্যে সীমিত ছিল। এসময় একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটে। রুমি সাম্রাজ্যে সফর করে অইহুদিদেরকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে শুরু করেন সেইন্ট পল।
৪৯ ঠিক হল পল জেন্টাইলদের মধ্যে প্রচারকার্য চালাবেন, পিটার আর জেমস যাবেন ইহুদিদের কাছে।
৫০ এবছর সেইন্ট পলের পত্রগুলোর প্রথমটি পেল থিষলনিকীয়রা। এটি বাইবেলের* নব সন্ধির আদিতম রচনা। গ্রিক ভাষায় লেখা।
* ইহুদি ও খ্রিস্টানদের পবিত্র বইগুলোর সমষ্টি বাইবেল। খ্রিস্টানদের চোখে, ইহুদি বাইবেল হচ্ছে প্রাক্তন সন্ধি। নব সন্ধি হচ্ছে বাইবেলের খ্রিস্টীয় অংশ, তবে খ্রিস্টানরা ধর্মীয় ঐতিহ্যগত পরম্পরার জায়গা থেকে প্রাক্তন সন্ধির ঐশীত্বে বিশ্বাস করে থাকেন।
‘জেরুসালেম কাউন্সিল’: জেসাসের জেন্টাইল (অইহুদি) অনুসারীদের জন্য ইহুদি আচার পালন করা জরুরি কিনা তা নিয়ে তীব্র বাহাস দেখা দিল।
৬০-১০০ খ্রিস্টধর্মের সুসমাচারগুলো* এসময়ই কখনো লিখিত হয়ে থাকবে।
* আদিতে সুসমাচার বলতে স্রেফ খ্রিস্টধর্মের বার্তা বোঝাত। পরবর্তীকালে, সুসমাচারের অর্থ দাঁড়ায় জেসাসের জীবনীমূলক রচনা। মার্ক, মথি, লুক ও যোহনের লেখা চারটি সুসমাচার বাইবেলের নব সন্ধির অংশ বিবেচিত।
৬০ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতা হিসাবে রোমে আসলেন পিটার। কালক্রমে, তিনি খ্রিস্টধর্মের প্রথম পোপ বিবেচিত হবেন। পলকে বন্দী করে রোমে নিয়ে আসা হল।
৬৪ এক অগ্নিকাণ্ডে রোমের অধিকাংশ এলাকা পুড়ে খাক হয়ে গেল। দুর্ঘটনাটিকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করলেন সম্রাট নিরো। সন্ত পিটারসহ আরো কিছু নিরীহ মানুষকে ভ্যাটিকান পাহাড়ের ওপর ক্রুশবিদ্ধ করলেন।
৬৭ রোমক সম্রাট নিরো সেইন্ট পলকে মৃত্যুদণ্ড দিলেন।*
* পল রোমক সাম্রাজ্যের নাগরিক ছিলেন। তাই তাঁর শিরশ্ছেদ করা হয়। অপেক্ষাকৃত কম যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিটি পেত অভিজাত অপরাধীরা।
৬৬ রোমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসলেন ইহুদিরা। এই বিদ্রোহে জিলটরা নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করেন।
৬৬-৭০ জেরুসালেমে ইহুদি শাসন।
৬৮ এসেন’রা তাঁদের পবিত্র পুঁথিগুলো রুমিদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য মৃত সাগরের নিকটবর্তী গুহাগুলোয় লুকিয়ে রাখল।
৭০ রুমিদের হাতে ধবংস হল জেরুসালেমের দ্বিতীয় মন্দির। এই ধবংসযজ্ঞে নেতৃত্ব দেন সম্রাট ভেসপাসিয়ানের পুত্র ও রোমের সাম্রাজ্যিক সেনাবাহিনীর অধিনায়ক টাইটাস। জেরুসালেমে চার বছরের ইহুদি শাসনের রক্তাক্ত অবসান।
আনুমানিক এসময়ই কখনো সিরিয়া বা এশিয়া মাইনরে (আনাতোলিয়া, বর্তমান তুরস্কের অধিকাংশ অঞ্চল) লিখিত হয় মার্কের সুসমাচার, যা আদিতম সুসমাচার বলে বিবেচিত।
ইয়াভনে ইহুদিধর্মের প্রথম ইয়েশিবা স্থাপন করা হল। স্থাপন করলেন ইহুদি রাব্বি ইয়োহান্নান বেন জাক্কাই। ইহুদি ডায়াসপোরার মধ্যে বিদ্যাচর্চার ঐতিহ্য চালু হল।
৭৫ সম্ভবত লুক কর্তৃক লিখিত হল প্রেরিতদের কার্য, বাইবেলের নব সন্ধির অংশ বিবেচিত হয়।
৭৩ বিদ্রোহী ইহুদিদের শেষ দুর্গ মাসাদার পতন ঘটল।
৭৫
প্রকাশিত বই
ফ্লাভিয়াস জোসেফাস, দ্য জিউইশ ওয়ার।
৮৪ ফিলিস্তিনের সিনাগোগ থেকে নাজোরীয়দের* বহিষ্কার করা হল।
* জেসাসের ইহুদি অনুসারী। এঁরা খ্রিস্টান ছিলেন। তবে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ইহুদি পরিচয়ও ধরে রেখেছিলেন।
৯০-৯৫ আনুমানিক এসময়ই কখনো মথি ও লুকের সুসমাচার লিখিত হয়।
১১০ আনুমানিক এসময়ই কখনো যোহনের সুসমাচার লিখিত হয়।
১১২ রোমক সম্রাট ত্রাজানের কাছে একটি চিঠি লিখলেন প্রাকৃতিক দার্শনিক (বিজ্ঞানী) প্লিনি দ্য এল্ডার। তিনি সম্রাটকে এই বলে আশ্বস্ত করলেন, যে খ্রিস্টানরা আইন মেনে চলা একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়। সাম্রাজ্যের জন্য এরা কোন হুমকি নয়।
১৩০ জেরুসালেম সফর করলেন রুমি সম্রাট হাদ্রিয়ান। শহরটিকে একটি রোমক শহর হিসাবে পুনর্নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। এই সিদ্ধান্ত ইহুদিদেরকে ক্ষুব্ধ করে তুলল।
১৩২ শিমন বার-কোচবার নেতৃত্বে রোমের বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্রোহ। জেরুসালেম থেকে রুমিদেরকে বিতাড়িত করল ইহুদিরা।
১৩২-৩৫ জেরুসালেমে ইহুদি শাসন।
১৩৫ শিমন বার-কোচবার নেতৃত্বাধীন ইহুদিদের কাছ থেকে জেরুসালেম পুনঃদখল করল রোম। শহরটি থেকে সব ইহুদিকে তাড়িয়ে দেয়া হল।
১৩৫-৩৯০ ফিলিস্তিন রোমক প্রদেশ ‘সিরিয়া প্যালেস্টাইনা’র অন্তর্ভুক্ত হল।
২০০ রাব্বি জুদাহ হা-নাসি কর্তৃক সংকলিত হল মিশনা, মৌখিক ঐতিহ্যনির্ভর তোরাহের ছয় খণ্ডের সারসংক্ষেপ।
২৩২ ফোরাত নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম তীরের সীমান্তবর্তী শহর দৌরা-ইওরোপাসের একটি বাড়ি খ্রিস্টধর্মীয় উপাসনালয় হয়ে উঠল।
২৪৫ সিজারিয়ার বাসিন্দা অরিজেন কর্তৃক সংকলিত হল হেক্সাপ্লা।*
* এতে তুলনামূলক অধ্যয়নের সুবিধার্থে প্রাক্তন সন্ধির বিভিন্ন সংস্করণকে ছয়টি কলামে বিন্যস্ত করে দেখানো হল।
২৫০ খ্রিস্টানদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছেন রোমক সম্রাট দেসিয়াস। রোমের খ্রিস্টানরা ভূগর্ভস্থ সমাধিক্ষেত্রগুলোকে কবরগৃহ হিসাবে ব্যবহার করতে আরম্ভ করল। যার দেয়ালে বাইবেলের নব সন্ধির কাহিনীগুলোর অনুসরণে নানান ম্যুরাল আঁকা হচ্ছিল।
২৫৮ রোমের দেবতাদের উদ্দেশ্যে কোরবানি দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় কার্থেজের* বিশপ সাইপ্রিয়নকে** শহিদ করা হল।
* প্রাচীন ফিনিশীয় বণিকদের তৈরি করা বাণিজ্য নগরী। যা বর্তমান তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে অবস্থিত।
** তিনি ছিলেন এহেন আরো অসংখ্য শহিদের একজন।
৩০০ ইহুদি ডায়াসপোরা এসময়ের মধ্যে সমগ্র রুমি সাম্রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছেন। যেখানে তাদেরকে সহ্য করা হচ্ছে।
৩০৬ রোমের অন্যতম সম্রাট হলেন কনস্টান্টাইন।*
* খ্রিস্টধর্মকে রোমক সাম্রাজ্যের বঞ্চিত-লাঞ্চিতদের ধর্ম থেকে বিশ্বধর্মে রূপান্তরিত করায় বিশেষ অবদান আছে তাঁর।
৩১২ মিলভিয়ান সেতুর একটি নিষ্পত্তিমূলক যুদ্ধে জিতলেন কনস্টান্টাইন। রোমে প্রবেশ করলেন। পশ্চিম সাম্রাজ্যের অধিপতি হিসাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেলেন।
৩১৩ ‘মিলানের ফরমান’: রোমক সম্রাটদ্বয় কনস্টান্টাইন ও লিসিনিয়াস খ্রিস্টানদের সহ্য করার নীতি ঘোষণা করলেন।
৩১৩-৬৩৬ ‘আরব খ্রিস্টান ফিলিস্তিন’: ফিলিস্তিন ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে বাইজেন্টাইন শাসনের কাল।*
* রোমক সাম্রাজ্যের ভাঙনের পর পূর্ব রোমক সাম্রাজ্য বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য ((Βασιλεία Ρωμαίων) নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এখানে বাইজেন্টাইন বলতে সাম্রাজ্যটির শাসকদেরকে বোঝাবে। কুরআন শরিফে রুম বলতে এই সাম্রাজ্যকেই বোঝানো হয়েছে, যার কেন্দ্র ছিল কনস্টান্টিনোপল, বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল।
৩২৪ সম্রাট প্রথম কনস্টান্টাইনের নির্দেশে সেইন্ট পিটারের কবরের ওপর একটা ব্যাসিলিকার নির্মাণ কাজ শুরু হল।
৩২৫ ‘নিসিয়ার কাউন্সিল’: রোমক সম্রাট কনস্টান্টাইনের তত্ত্বাবধানে খ্রিস্টানদের প্রথম নিখিল সাম্রাজ্য কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হল।
৩২৬ সম্রাট কনস্টান্টাইনের মা হেলেনা জেরুসালেমে তীর্থযাত্রায় গেলেন। তিনি পবিত্র স্থানগুলোতে নির্মাণকাজের কর্মসূচি হাতে নিলেন। কালক্রমে, পবিত্র ভূমি খ্রিস্টানদের তীর্থকেন্দ্র হয়ে উঠল।
৩২৭ হেলেনা জেরুসালেমে কথিত প্রকৃত ক্রুশ আবিষ্কার করলেন।*
* যেই কাঠের ওপর জেসাসকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল। হেলেনার এই দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ নেই। যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে, খ্রিস্টানদের ধর্মীয় আবেগকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জন্য, খুবই পরিকল্পিতভাবে উত্থাপন করা হয়েছিল এই দাবি।
৩৩০ প্রাচীন গ্রিক শহর বাইজান্টিয়ামে একটি নতুন খ্রিস্টান শহর নির্মাণ করলেন কনস্টান্টাইন। নাম দিলেন কনস্টান্টিনোপল।* নবগঠিত শহরটিকে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী করা হল।**
* বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল।
** আজকে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য আর পূর্ব রোমক সাম্রাজ্য পদ দুটি সমার্থক হিশাবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এটা মনে রাখা দরকার, পূর্ব রোমক সাম্রাজ্যের নাগরিকরা নিজেদেরকে রুমি বিবেচনা করতেন। গ্রিক ভাষায় কথা বললেও আচারব্যবহারে রুমি ছিলেন। তারা কখনোই নিজেদের মাতৃভূমিকে বাইজেন্টাইন বলেন নি। কিন্তু অতিকথা হিশাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে বাইজেন্টাইন। শব্দটি ব্যবহারিক কারণে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। আজ আর এই ভুল শোধরানো সম্ভব নয়।
৩৩৫ জেরুসালেমে নির্মিত হল চার্চ অফ দ্য হোলি সেপুলচার।
৩৮৬ বেথলেথেমে থিতু হলেন সেইন্ট জেরোমি। তাঁর শিষ্যারা তাঁর নিবাসের জন্য একটি মঠ স্থাপন করলেন। কাছেই নিজেদের জন্য স্থাপন করলেন একটি কনভেন্ট।
৪০৫ বেথলেহেমে বাইবেলের লাতিন তর্জমা সমাপ্ত করলেন জেরোমি, যা পরবর্তীকে ভালগেট নামে পরিচিতি পাবে।
৫৭০ লোহিত সাগরের পারে আরব উপদ্বীপের শহর মক্কার কুরাইশ বংশের হাশেম গোত্রে ইসলামের* নবি হযরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম।
* ইসলাম সম্পর্কে সংক্ষেপে জানতে দেখুন, (Gordon 2009).
৬১০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) নবুয়তলাভ ও কুরআন নাজিলের সূচনা।*
* হযরত মুহাম্মদের (সা.) অনুসারীরা মুসলিম (المسلمون) নামে পরিচিত, আরবিতে আল-মুসলিমুন অর্থ ‘আত্মসমর্পণকারী’; যাঁরা আল্লাহ’র (ٱللَّٰه) কাছে আত্মসমর্পণ করেন তাঁরাই মুসলিম। বাংলায় ঐতিহ্যগতভাবে মুসলমান শব্দটিই বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে, সেই ঐতিহ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে মুসলমান শব্দটি ব্যবহার করি আমি। মুসলমানদের পবিত্র বই কুরআন ( ٱلۡقُرۡءَانُ ) নামে পরিচিত।
৬১৪-২৮ সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে পারসিক দখলদারিত্বের কাল।
৬২৯ ‘মুত’আর যুদ্ধ’: বাইজেন্টাইনদের কাছ থেকে জর্দান নদীর পূর্বদিকের একটি গ্রাম দখল করার চেষ্টা করলেন আরব মুসলমানরা, কিন্তু ব্যর্থ হলেন।
৬৩০ জেরুসালেমে পবিত্র ক্রুশকাঠের অংশবিশেষ পুনর্বহাল করলেন রোমক সম্রাট হেরাক্লিয়াস।
৬৩২-৬১ ‘রাশিদুন খেলাফত’।*
* সুন্নিরা যেই চার খলিফাকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশিত বলে বিশ্বাস করেন, সেই রাশিদুন খেলাফতের কাল। শিয়াদের অধিকাংশ প্রথম তিন খলিফাকে অবৈধ ভাবেন, তাঁদের বিশ্বাসে সুন্নিদের চতুর্থ খলিফা আলীই একমাত্র বৈধ খলিফা। তবে জায়েদি শিয়ারা চার খলিফাকেই বৈধ ভাবেন।
৬৩৫ ‘ফাহলের যুদ্ধ’: রাশিদুন খেলাফতের বাহিনী বাইজেন্টাইনদের ফিলিস্তিন গ্যারিসনকে পরাজিত করল।
৬৩৬ আগস্ট: ‘ইয়ারমুকের যুদ্ধ’: রাশিদুন খেলাফতের হাতে বাইজেন্টাইনরা পরাস্ত হলেন।
৬৩৭ রাশিদুন খেলাফতের লেভান্ত* জয়, অঞ্চলটি থেকে বাইজেন্টাইনদেরকে বের করে দেয়া হল।
* সেকালের এশিয়া মাইনর আর ফিনিশিয়া নিয়ে গঠিত। বর্তমান তুরস্ক, সিরিয়া, আর লেবানন অঞ্চলটির অন্তর্গত। বৃহত্তর অর্থে গ্রিস আর মিসরের মধ্যবর্তী পুরো অঞ্চলটাকেই লেভান্ত বলা যেতে পারে।
৬৩৬ আরবদের জেরুসালেম জয়।
৬৩৬-১০৭১/৬৩৮-১০৯৯ ‘জুন্দ ফিলিস্তিন’: ফিলিস্তিন ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে আরব শাসনের কাল।
১০৭১ ‘মানজিকার্টের যুদ্ধ’: সেলজুক তুর্কিদের হাতে বাইজেন্টাইনদের পরাজয়। আনাতোলিয়ায় তুর্কিদের প্রবেশ। ফিলিস্তিন সমেত পুরো সিরিয়া সেলজুক সুলতানশাহির অধীনস্ত।
১০৭১-৯৮ এসময় ফিলিস্তিন শাসন করছেন তুরস্কের সেলজুক সুলতানশাহি।
১০৯৫ নভেম্বর ২৭: প্রথম ক্রুসেডের* ডাক দিলেন পোপ দ্বিতীয় আরবান। ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল, সেলজুক তুর্কিদের হাত থেকে পবিত্র ভূমি পুনরুদ্ধার করা। ‘রাইনল্যান্ড ম্যাসাকারস’: প্রথম ক্রুসেড চলাকালে জার্মানি আর ফ্রান্সের কৃষকরা ইহুদিদের ওপর এক ভয়াবহ নিধনযজ্ঞ চালান।
* ক্রুসেড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন, (Asbridge 2010).
১০৯৫-১২৭০ মূলত ফ্রান্সের নেতৃত্বে সংঘটিত হল আটটি ক্রুসেড।
১০৯৯ ক্রুসেডারদের হাতে জেরুসালেমের* পতন।
* শহরটির ইহুদি ও মুসলমানদের ওপর ভয়াবহ হত্যালীলা চালানো হয়, ইহুদিরা প্রাণভয়ে সীনাগোগে আশ্রয় নিলে বাইরে থেকে তালা আটকে তাদেরকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারে ক্রুসেডাররা।
১১০৮ ক্রুসেডাররা সিরিয়ার উপকূলীয় শহর লাটাকিয়া নিয়ে নিল।
১১০৯ ক্রুসেডাররা সিরিয়ার উপকূলীয় শহর ত্রিপোলি নিয়ে নিল।
১১১৯ সারমাদাহ’য়ের যুদ্ধে ক্রুসেডারকে পরাস্ত করল আলেপ্পোর সেলজুকরা।
১১২৪-২৫ আলেপ্পো পুনর্দখল করতে ক্রুসেডারদের প্রচেষ্টা, ব্যর্থ হল।
১১২৮-৪৬ আতাবেক ইমাদুদ্দিন জঙ্গির নেতৃত্বে সিরিয়ায় সুন্নীদের পুনর্জাগরন।
১১৪৫ দ্বিতীয় ক্রুসেড ঘোষণা করলেন পোপ।
১১৪৭-৪৯ দামিশকের বাইরে দ্বিতীয় ক্রুসেডারদেরকে পরাস্ত করলেন নুরুদ্দিন।
১১৭১ নুরুদ্দিন জঙ্গির সেনাপতি সালাউদ্দিন আইয়ুবী মিসরে নামকাওয়াস্তে আব্বাসীয় শাসন ফিরিয়ে আনলেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ফাতিমি ইসমাইলি শিয়া খেলাফতের অবসান হল। সুন্নী সুলতানশাহি প্রতিষ্ঠা করলেন সালাউদ্দিন আইয়ুবী।
১১৮৭ ‘হাত্তিনের যুদ্ধ’: জেরুসালেমের ক্রুসেডার রাজাকে পরাজিত করলেন সালাউদ্দিন আইয়ুবী। ক্রুসেডারদের হাত থেকে জেরুসালেম পুনরুদ্ধার করা হল। সিরিয়া ও লেবানন থেকে বিতাড়িত হল ক্রুসেডাররা।
১১৮৯ ইংল্যান্ডের রাজা হলেন প্রথম রিচার্ড। তিনি রিচার্ড দ্য লায়নহার্ট নামে বিখ্যাত।
১২০৪ ক্রুসেডাররা কন্সটান্টিনোপলে হামলা করে স্থানীয় গ্রিক অর্থোডক্স চার্চের অনুসারী খ্রিস্টানদের ওপর গণহত্যা চালাল।
১২৬১ কন্সটান্টিনোপলকে ক্রুসেডারদের হাত থেকে উদ্ধার করা হল।
১২৯১-১৫১৬ এসময় ফিলিস্তিন শাসন করছেন মিসরের মামলুক সুলতানশাহি।
১৩৮০-১৯১৮ বর্তমান মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব ইওরোপের বেশ বড় একটা অংশ এই সময়কালে তুরস্কের ওসমানি সুলতানশাহির শাসনের অধীনস্ত ছিল।
১৪৫৩ ফাতিহ সুলতান মেহমেতের হাতে কন্সটান্টিনোপলের পতন ঘটে, এতে এশিয়া মাইনর ও বলকানে সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ওসমানি সুলতানশাহি।
১৫১৬-১৯১৭ এসময় ফিলিস্তিন শাসন করছেন তুরস্কের ওসমানি সুলতানশাহি।
১৫৩৫ সিরিয়ার ফরাসি খ্রিস্টানদেরকে ধর্মীয় সুরক্ষা দিল ওসমানিরা।
১৫৮০ সিরিয়ার ব্রিটিশ খ্রিস্টানদেরকে ধর্মীয় সুরক্ষা দিল ওসমানিরা।
১৭০৩-০৭ জেরুসালেমে ওসমানি প্রশাসনের বিরুদ্ধে নকিব আল-আশরাফ* বিদ্রোহ।
* এই বিদ্রোহের নেতা ছিলেন মোহাম্মদ বিন মোস্তফা আল-ওয়াফা’ই আল-হোসেইনি। তিনি ছিলেন তাঁদের নকিব (প্রধান), যাঁদের ইসলামের নবির সরাসরি বংশধর (আশরাফ) ভাবা হয়। তাই এই নামকরণ।
১৭৪৬-৭৫ স্বাধীনভাবে আক্রে শাসন করছেন জহির আল-ওমর আল-জায়দানি।*
* গালিলির জায়দানি বংশ প্রত্যক্ষ ওসমানি শাসনকে চ্যালেঞ্জ করে বসে। তুলা, শস্য, জলপাইয়ের তেল, আর তামাক রফতানির ওপর নিজ একচেটিয়া কাজে লাগিয়ে গালিলি ও তার পশ্চাৎভূমির ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করলেন জহির আল-ওমর আল-জায়দানি, নাজারেথ পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন। আক্রেকে নিজের রাজধানী বানালেন জহির।
১৭৭৫-১৮০৪ ওসমানি সুলতানশাহি জায়দানি স্বায়ত্তশাসনের অবসান ঘটাল। ওসমানি সুলতান আহমাদ পাশা আল-জাজ্জারকে সিদন উলাইয়াতের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিলেন। আল-জাজ্জার আক্রেতে তার সরকার স্থাপন করলেন এবং আক্রে-কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক একচেটিয়া টিকিয়ে রাখলেন; তবে প্রকাশ্যে ইস্তানবুলের ওসমানি কর্তৃপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করা থেকে বিরত থাকলেন।
১৭৭৬ মশহুর ইংরেজ ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড গিবন লিখলেন, “মানবজাতির [সমষ্টিগত] স্মৃতিতে চিরকাল বেঁচে থাকবে ফিনিশিয়া (বর্তমান লেবানন) ও ফিলিস্তিন।”
১৭৯৯ ফেব্রুয়ারি-মে: মিসর থেকে ফিলিস্তিনে হামলা চালালেন নেপোলিয়ন বোনাপার্তে। হাইফা দখল করার পর তাঁর সেনাবাহিনী আক্রের দেয়াল পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং অবরোধ দেয়। কিন্তু আহমাদ পাশা আল-জাজ্জারের তীব্র প্রতিরোধের মুখে বোনাপার্তে রণে ভঙ্গ দিয়ে মিসরে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
১৮২৫-২৬ ওসমানিদের জোরপূর্বক কর সংগ্রহের বিরুদ্ধে জেরুসালেম বিদ্রোহ। ফিলিস্তিনিরা জেরুসালেমের নিয়ন্ত্রণ নিলেন এবং শহরটি থেকে ওসমানি সেনাদের তাড়িয়ে দিলেন। বিদ্রোহের জন্য নেতাদের কোন সাজা দেয়া হবে না, ওসমানিরা এই ওয়াদা করার পর, বিদ্রোহীদের শান্তিপূর্ণ আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
১৮৩১-৩৪ মিসরের শাসক মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইব্রাহিম পাশার নেতৃত্বে মিসরীয় সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনে হামলা চালাল। ওসমানিদের কাছ থেকে অঞ্চলটির অধিকাংশের নিয়ন্ত্রণ নিল। যা পুরো লেভান্তয়ে দখলদারির পথ খুলে দিল।
১৮৩৪ এপ্রিল-আগস্ট: মিসরীয় শাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনে গণঅভ্যুত্থান দেখা দিল। নাবলুসে শুরু হওয়া এই বিদ্রোহ অচিরেই ছড়িয়ে পড়ল উত্তরের গালিলি থেকে গাজা, জেরুসালেমের পাহাড়ে, ও হেবরনে। স্থানীয়দের গণঅভ্যুত্থানের মুখে সাময়িকভাবে পিছু হটে জাফায় অবস্থান নিতে বাধ্য হলেন ইব্রাহিম পাশা। কিন্তু মিসর থেকে নতুন করে সেনাদল এলেই দ্রুত ফিলিস্তিনের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনর্বহাল করলেন। গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের মৃত্যদণ্ড কার্যকর করা হল। উলামা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নির্বাসিত করা হল। হেবরন আর আল-কারাককে বিশেষভাবেই লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছিল।
১৮৩৯-৪১ ওসমানি সুলতানশাহির সমর্থনে এগিয়ে এল ইওরোপীয় শক্তিবর্গ। লেভান্ত ও আনাতোলিয়া থেকে মিসরীয় সেনাবাহিনীকে বিতাড়িত করতে হস্তক্ষেপ চালাল গ্রেট ব্রিটেন, রাশিয়া, ও অস্ট্রিয়া। মোহাম্মদ আলী লেভান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলেন।
১৮৩৯-৬২ ইওরোপীয় দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্র জেরুসালেমে কনস্যুলেট খুলল। পবিত্র ভূমিতে বসবাসরত খ্রিস্টানদের রক্ষা করার দোহাই দিয়ে নেয়া হয়েছিল এই পদক্ষেপ। আসল উদ্দেশ্য ছিল ক্রমেই দুর্বল হয়ে আসা ওসমানি সুলতানশাহিতে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করা।
১৮৩৯ জেরুসালেমে কনস্যুলেট খুলল গ্রেট ব্রিটেন।
১৮৪৩ জেরুসালেমে কনস্যুলেট খুলল প্রুশিয়া, ফ্রান্স, ও সার্ডিনিয়া।
১৮৪৯ জেরুসালেমে কনস্যুলেট খুলল অস্ট্রো-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্য।
১৮৫৪ জেরুসালেমে কনস্যুলেট খুলল স্পেন।
১৮৫৬ ফেব্রুয়ারি ১৮: হাত্তি-ই হুমায়ূন নামে একটি ফরমান জারি করলেন সুলতান আবদুল মজিদ। এটি তানজিমাত নামে পরিচিত। উদ্দেশ্য ছিল ওসমানি সুলতানশাহির সংস্কার ও আধুনিকীকরণ।
জেরুসালেমে কনস্যুলেট খুলল যুক্তরাষ্ট্র।
১৮৫৮ এপ্রিল ২১: হিজরি ১২৭৪ সনের ৭ রমজান ওসমানি সুলতানশাহির সর্বত্র জারি করা হয় ওসমানি ভূমি বিধি। বিপুল সংখ্যক ভূমি ব্যক্তিগত মালিকানায় রাখার অনুমতি দেয়া এই আইন ফিলিস্তিনে দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব ফেলে।
জেরুসালেমে কনস্যুলেট খুলল রাশিয়া।
১৮৬২ জেরুসালেমে কনস্যুলেট খুলল গ্রিস।
প্রকাশিত বই
মোজেস হেস, রোম অ্যান্ড জেরুসালেম।
১৮৬৪ নভেম্বর ৭: ওসমানিরা সিরিয়া ও ফিলিস্তিন প্রশাসনিকভাবে পুনর্গঠন করলেন; ফলে জেরুসালেম, নাবলুস, আর আক্রে সিরিয়া প্রদেশের অংশ হয়ে গেল।
১৮৬৭ জুন ১০: হিজরি ১২৮৪ সনের ৭ সফর ওসমানি সুলতানশাহিতে বিদেশিদের বৈধভাবে জমি কেনার অধিকার দেয়া আইন পাশ হল। এর আগ পর্যন্ত এই অধিকার স্রেফ মুসলমান ও ওসমানি প্রজাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর ফলে ওসমানি ফিলিস্তিনের ভূমি বাজার ইহুদি-অইহুদি নির্বিশেষে ইওরোপীয়দের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেল।
১৮৬৯ সেপ্টেম্বর ২০: ওসমানি শিক্ষা আইন পাশ করা হল। সাম্রাজ্য জুড়ে ঘটল আধুনিক শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার। বিশেষত, লেভান্তের প্রধান শহরগুলোতে।
১৮৭২ জেরুসালেম ও পার্শ্ববর্তী এলাকাকে একটি স্বাধীন সানজাকয়ের (জেলা) মর্যাদা দেয়া হল, যারা সরাসরি ইস্তানবুলের সাথে ডিল করবে।
১৮৭৬ আগস্ট ৩১: ওসমানি সুলতান হলেন দ্বিতীয় আবদুল হামিদ। ডিসেম্বর ১৯: মৌলিক আইন (সংবিধান) প্রবর্তন করলেন আবদুল হামিদ।*
* এই সংবিধান প্রথমবারের মত সাম্রাজ্যের সকল প্রজার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য হবে এমন একটি ওসমানি রাজনৈতিক পরিচয় গঠন করার চেষ্টা চালায়। সেইসাথে একটি দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব দেয়। এর একটি হবে সিনেট, যার সদস্যরা সুলতান কর্তৃক মনোনীত হবেন; অন্যটি হবে চেম্বার অফ ডেপুটিজ, যার সদস্যরা বিভিন্ন প্রদেশে নির্বাচিত হবেন।
১৮৭৭ মার্চ ১৯: জেরুসালেমের প্রতিনিধি হিসেবে ওসমানি চেম্বার অফ ডেপুটিজে নির্বাচিত হলেন ইউসূফ দিয়া-উদ্দিন পাশা আল-খালিদি।*
* ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ঐতিহাসিক ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক আরব অধ্যয়নের এডওয়ার্ড সাঈদ অধ্যাপক রশিদ খালিদির পূর্বপুরুষ।
১৮৭৮ ওসমানি ফিলিস্তিনের দলিলপত্র থেকে দেখা যাচ্ছে, এসময় জেরুসালেম, নাবলুস আর আক্রে শহরে বসবাসরত চার লক্ষাধিক মানুষের মধ্যে মাত্র ১৫,০০০ ইহুদি। বিদেশি নাগরিক হিসেবে আরো ১০,০০০ ইহুদি আছেন। এসময় স্পষ্টত আরবরাই ফিলিস্তিনের জনমিতিক সংখ্যাগুরু।
১৮৭৮-৮২ জেরুসালেমের ইহুদিরা জাফার নিকটবর্তী ফিলিস্তিনি গ্রাম মুলাব্বাসে প্রতিষ্ঠা করলেন পেতাহ তিকভা (আশার দরজা)। এঁরা স্থানীয় ইহুদি। ক্ষুধা আর ম্যালেরিয়ার ধকল সইতে না পারায় দ্রুত বসতিটি ছেড়ে যান তাঁরা।
১৮৮১-৮৪ সাম্রাজ্যিক রাশিয়ায় ইহুদিদের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পোগরোম দেখা দিল।
১৮৮১ নভেম্বর ২৪: ওসমানি সুলতানশাহিতে ইহুদি অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকারের তরফে কিছু শর্ত দেয়া হল। এগুলো ছিল:
১) ইওরোপীয় ইহুদিরা ওসমানি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বসতিস্থাপন করতে পারবেন, কিন্তু ফিলিস্তিনে না,
২) তাদের ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বসতিস্থাপন করতে হবে,
৩) তাদের নিজেদের বিদেশি নাগরিকত্ব বিসর্জন দিতে হবে এবং ওসমানি প্রজা হয়ে যেতে হবে, এবং
৪) তারা কোন বিশেষাধিকার দাবি করতে পারবেন না, এবং সাম্রাজ্যের আইন মেনে চলবেন।
১৯১৭-১৮ সালে ফিলিস্তিন ব্রিটিশ দখলদারিত্বে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কাগজেকলমে এসব নীতি বহাল ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নানান খামতি রয়ে গেছিল। যার কারণ ছিল আইনী ফাঁকফোকর, বাস্তব বাধাবিপত্তি, এবং ওসমানি রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের দুর্নীতি।
১৮৮২-১৯০৩ প্রথম আলিয়া: মূলত রাশিয়া থেকে ২৫ হাজার ইহুদির আগমন। ধনী ইওরোপীয় ইহুদিদের ব্যাপক অর্থনৈতিক সহায়তার ফলে বসতিস্থাপনকারীরা কৃষিকেন্দ্রিক বানিজ্যোদ্যোগ নিতে সমর্থ হন। ব্যারন এডমন্ড দে রথসচাইল্ড আর ব্যারন মরিস দে হির্শ এরকম দুজন উল্লেখযোগ্য মদতদাতা।
১৮৮২ প্রথম আলিয়ায় ফিলিস্তিনে আসা ইহুদিদের হাত ধরে স্থানীয় ইহুদিদের ছেড়ে যাওয়া পেতাহ তিকভায় (আশার দরজা) প্রতিষ্ঠিত হল দেশটির প্রথম জায়নবাদী বসতি। জেরুসালেম জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল আরো দুটি বসতি: রিশন লেজায়ন এবং নেস ৎসিয়না। আর দুটি বসতি প্রতিষ্ঠিত হল নাবলুস জেলায়: জিখরন ইয়া’কভ ও রশ পিনা।
প্রকাশিত বই
লিওন পিন্সকার, অটো-ইমানসিপেশন।*
* বইটি লেখকের নাম ছাড়া প্রকাশিত হয়। পিন্সকার ইহুদিদের জাতীয় চেতনা বিকাশের ডাক দিয়েছিলেন। রাশিয়া ও পূর্ব ইওরোপের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠল অসংখ্য হোবেবেই জায়ন (জায়নের প্রেমিকেরা)।
ব্রিটিশরা হামলা চালিয়ে মিসর দখল করে নিল।
১৮৮৩ নাবলুস জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল ইয়েসুদ মা’আলা বসতি।
১৮৮৪ কাত্তোভিৎজে হোবেবেই জায়নয়ের প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হল। এতে সিরিয়া ও ফিলিস্তিনের ইহুদি চাষীদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি চ্যারিটি গঠন করা হয়। এর সভাপতি নির্বাচিত হন লিওন পিন্সকার।
জেরুসালেম জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল একরন আর গাদেরা বসতি।
১৮৮৬ মার্চ ২৯: ভূমি মালিকানা নিয়ে আল-ইয়াহুদিয়া গ্রামের ফিলিস্তিনি আরবদের সাথে পেতাহ তিকভা বসতির ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিল। আরবদের আক্রমণে এক ইহুদি বসতিস্থাপনকারী খুন হলেন। ওসমানি সেনারা ৩০ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করে। তাঁদের জাফায় নিয়ে আসা হয়। সেখানকার ইওরোপীয় কনস্যুলেটগুলো, যারা মূলত ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের প্রতিনিধিত্ব করতেন, গ্রেফতারকৃত আরবদের সাজা দিতে হবে এই দাবি তোলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কারো বিচার করা হয়নি। আদালতের বাইরে দুপক্ষের মধ্যে একটা আপোসরফা হয়েছিল।
১৮৮৮ মার্চ: ওসমানিরা সিরিয়া প্রদেশকে সিরিয়া আর বৈরুত প্রদেশে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ফিলিস্তিনে, নাবলুস আর আক্রে জেলাকে বৈরুতের সাথে জুড়ে দেয়া হল। জেরুসালেম জেলা ইস্তানবুলের সাথে সম্পর্কিত থেকে গেল।
মার্চ ২ – অক্টোবর ৪: ওসমানিরা ইওরোপীয় শক্তিগুলোকে অবহিত করল, ফিলিস্তিনে পা রাখার পর বন্দর কর্তৃপক্ষের ইস্যু করা তিন মাসের আবাসন অনুমতিপত্র পেতে হলে ইহুদিদের পাসপোর্টে “পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করতে হবে, তাঁরা শুধু তীর্থস্থান পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে জেরুসালেমে যাচ্ছেন, ব্যবসাবাণিজ্য করতে বা বসবাস করার উদ্দেশ্যে নয়।” ব্রিটেন, ফ্রান্স, ও যুক্তরাষ্ট্র শর্তাবলি প্রত্যাখ্যান করে। অক্টোবরে, ওসমানিরা যুক্তরাষ্ট্রকে জানায়, এইসব বিধিনিষেধ শুধু ফিলিস্তিনে বড় আকারে অভিবাসিত হওয়া ইহুদিদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ব্যক্তিগত পর্যায়ে ইহুদিদের কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না।
১৮৯০ জেরুসালেম জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল রেহোবত বসতি। আক্রে জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল মিশমার হাইয়ারদিন বসতি।
প্রকাশিত বই
গাই লা স্ট্রেঞ্জ, প্যালেস্টাইন আন্ডার দ্য মোসলেমস: আ ডেসক্রিপশন অফ সিরিয়া অ্যান্ড দ্য হোলি ল্যান্ড ফ্রম এডি ৬৫০ টু ১৫০০।
১৮৯১ আক্রে জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল হাদেরা, শেফেইয়া, ও এইন জেইতিম বসতি। জুন: জেরুসালেমের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ফিলিস্তিনে রুশ ইহুদিদের বসতিস্থাপন ও জমি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইস্তানবুলে একটা পিটিশন করলেন। সেপ্টেম্বর: জার্মান ব্যারন মরিস দে হির্শ কর্তৃক লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হল ইহুদি উপনিবেশায়ন সমিতি (জেসিএ)।
১৮৯২ নির্মিত হল জাফা-জেরুসালেম রেলরাস্তা।
১৮৯২-৯৩ নভেম্বর ২৬ – এপ্রিল ৩: ওসমানি প্রজা হোক আর বিদেশি হোক, সকল ইহুদির কাছে মিরি (private usufruct State land) বেচার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল ওসমানি সরকার। ইওরোপীয় শক্তিবর্গ এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল। ওসমানিরা ঘোষণা করলেন, যেসব বিদেশি ইহুদি ফিলিস্তিনে বৈধভাবে বাস করেন, তাঁরা চাইলে ওসমানি ফিলিস্তিনে জমি কিনতে পারবেন।
১৮৯৪ জেরুসালেম জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল মোতসা বসতি। ফ্রান্সে দ্রেইফুস ঘটনা।
১৮৯৫ জেরুসালেম জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল হার্তুব বসতি।
১৮৯৬ জেরুসালেম জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল বীর তুব্যা বসতি। আক্রে জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল মেতুলা বসতি। ফিলিস্তিনে ইহুদি কৃষি বসতিস্থাপনে মদত দিতে শুরু করল জেসিএ।
প্রকাশিত বই
থিওডর হার্জেল, দ্য জিউইশ স্টেট।*
* ইওরোপীয় ইহুদিবিদ্বেষের প্রেক্ষিতে ও ফ্রান্সের দ্রেইফুস ঘটনা দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অস্ট্রীয় সাংবাদিক হার্জেল Der Judenstaat নামের এই বই প্রকাশ করেন। তাতে তিনি “ইহুদি প্রশ্নের” সমাধানকল্পে ফিলিস্তিন বা অন্য কোথাও একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার পক্ষে ওকালতি করেন। তাঁকে আধুনিক রাজনৈতিক জায়নবাদের পিতা ভাবা হয়।
১৮৯৭ আগস্ট ২৯-৩১: সুইজারল্যান্ডের বাসেলে অনুষ্ঠিত হল প্রথম বিশ্ব জায়নবাদী কংগ্রেস। প্রতিষ্ঠা করা হল বিশ্ব জায়নবাদী সংগঠন।
১৮৯৭-১৯০১ জেরুসালেমের মুফতি মোহাম্মদ তাহের আল-হোসেনির নেতৃত্বে একটি কমিশন জেরুসালেম জেলায় জায়নবাদীদের জমি কেনা রুখে দিতে সক্ষম হল।
১৮৯৮ আগস্ট ২৯-৩১: সুইজারল্যান্ডের বাসেলে অনুষ্ঠিত হল দ্বিতীয় বিশ্ব জায়নবাদী কংগ্রেস।
১৮৯৯ আক্রে জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল সেজেরা ও মাহানায়িম বসতি।
মার্চ ১৯: জেরুসালেমের মেয়র ইউসূফ দিয়া-উদ্দিন পাশা আল-খালিদির সাথে থিওডর হার্জেলের পত্রবিনিময়।
আগস্ট ১৫-১৮: সুইজারল্যান্ডের বাসেলে অনুষ্ঠিত হল তৃতীয় বিশ্ব জায়নবাদী কংগ্রেস। এই কংগ্রেসে ফিলিস্তিনে ইহুদি উপনিবেশায়নে আর্থিক মদত যোগানোর উদ্দেশ্যে ইহুদি উপনিবেশিক ট্রাস্ট গঠন অণুসমর্থন করা হয়। সেইসাথে ঠিক করা হল যে, এই ট্রাস্টের তহবিল শুধুমাত্র সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে ব্যয় করা হবে।
১৯০০ আগস্ট ১৩-১৬: লন্ডনে অনুষ্ঠিত হল চতুর্থ বিশ্ব জায়নবাদী কংগ্রেস। এই কংগ্রেসে একটি ইহুদি জাতীয় তহবিল (জেএনএফ) গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফিলিস্তিনে জমি ক্রয় ও উন্নয়নের একটি সংগঠন হিসেবে।
১৯০১ প্রতিষ্ঠা করা হল ইহুদি জাতীয় তহবিল (জেএনএফ)।
১৯০২ আক্রে জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল মাস-হা ও ইয়েভনিয়েল বসতি।
১৯০৩ মাস-হা বসতি যে আরব গ্রামে স্থাপন করা হয়েছিল তার স্মৃতি মুছে দিতে এর নাম বদলে কফার তাভর বসতি রাখা হল।
১৯০৪ আক্রে জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল বেইত গান বসতি।
থিওডর হার্জেলের মৃত্যু।
১৯০৪-১৪ দ্বিতীয় আলিয়া: মূলত রাশিয়া থেকে ৪০ হাজার ইহুদির আগমন।
১৯০৬ জেরুসালেম জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল বীর ইয়াকভ বসতি।
১৯০৭ জেরুসালেম জেলায় প্রতিষ্ঠিত হল বেন শেমেন বসতি।
১৯০৮ প্রতিষ্ঠা করা হল ফিলিস্তিন অফিস।*
* ১৯২৯ সালে এটি ইহুদি এজেন্সিতে পরিণত হবে।
১৯০৯ প্রতিষ্ঠিত হল কিব্বুজ দেগানিয়া। তেল আবিব শহরের পত্তন। প্রতিষ্ঠা করা হল হাশোমের।
১৯১৩ প্রতিষ্ঠিত হল এন্টাই-ডিফেমেশন লীগ (এডিএল)।
১৯১৪ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে দেখা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনে আরবদের সংখ্যা ৬৮৩,০০০ আর ইহুদিদের সংখ্যা ৬০,০০০।
১৯১৫-১৬ হোসেন-ম্যাকমোহন পত্রালাপ।*
* প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের ওসমানি সুলতানশাহি ব্রিটিশ ও ফরাসিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত জার্মানির মিত্র ছিল। এসময় মিসরে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার স্যার হেনরি ম্যাকমোহন মক্কার শরিফ হোসেনের কাছে একটা গোপন চিঠি পাঠান। সেখানে ম্যাকমোহন বলেন, আরবরা যদি ওসমানিদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের সহায়তা করে, তাহলে ব্রিটিশরা ওসমানি সুলতানশাহির আরব প্রদেশগুলোতে একটি স্বাধীন আরব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে, যার অংশ হবে ফিলিস্তিন। হোসেন এই টোপ গিললেন এবং তাঁর পুত্র ফয়সাল ওসমানি সুলতানশাহির বিরুদ্ধে একটি সফল আরব বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিলেন। ‘লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া’ নামে খ্যাত টি. ই. লরেন্স এই আরব বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন। জাতীয়তাবাদী আরবদের বোকা বানিয়ে এভাবেই ব্রিটিশরা ওসমানি সুলতানশাহির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল ফিলিস্তিন।
১৯১৬ সাইকস-পিকো চুক্তি।
১৯১৭ নভেম্বর ২: ইস্যু করা হল ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার বেলফোরের বেলফোর ঘোষণা; যাতে বলা হল, ফিলিস্তিনে ‘ইহুদিদের একটি জাতীয় নিবাসভূমি’ স্থাপনে সহায়তা দেবে গ্রেট ব্রিটেন।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনী জেরুসালেম দখল করে নিল।
১৯১৭-২০ ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ দখলদারিত্ব ও সামরিক প্রশাসন।
১৯১৯-২৩ তৃতীয় আলিয়া: মূলত রাশিয়া থেকে ৪০ হাজার ইহুদির আগমন।
১৯২০ বেলফোর ঘোষণার বিরুদ্ধে জেরুসালেমে প্রতিবাদ দেখা দিল। সান রেমো সম্মেলনে ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ ম্যান্ডেট গৃহীত হল। ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেলেন হার্বার্ট স্যামুয়েল। প্রতিষ্ঠিত হল ইসরায়েলে শ্রমিকদের সাধারণ সংগঠন (হিস্তাদরুত) ও জায়নবাদী প্যারামিলিটারি সংগঠন হাগান্না।
১৯২১ ব্রিটিশরা ফিলিস্তিনের একটি সম্ভ্রান্ত আরব পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ আমিন আল-হুসেইনিকে জেরুসালেমের গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ দিল। জর্দান নদীর পশ্চিমদিকে প্রতিষ্ঠিত হল ম্যান্ডেট ফিলিস্তিন। প্রতিষ্ঠিত হল মোশাব* নাহালাল।*
* ইসরায়েলের এক ধরণের কৃষি সমবায়কেন্দ্রিক বসতি, সমাজতান্ত্রিক/শ্রম জায়নবাদীদের হাতে যার শুরু হয়।
১৯২২ শ্বেতপত্র হিসেবে ইস্যু করা হল চার্চিল মেমোরান্ডাম। ব্রিটিশরা জর্দান নদীর পুবদিকের এলাকাকে ম্যান্ডেট ফিলিস্তিন থেকে আলাদা করে গঠন করল ট্রান্সজর্দান। এর প্রথম শাসক হলেন আমির আবদুল্লাহ।
জুন: ম্যান্ডেট ফিলিস্তিনকে অণুসমর্থন করল লীগ অফ নেশনস।
বেলফোর ঘোষণা বরণ করে নিল মার্কিন কংগ্রেস।
১৯২৪-২৮ চতুর্থআলিয়া: মূলত পোল্যান্ড থেকে ৮০ হাজার ইহুদির আগমন।
১৯২৫ জেরুসালেমের স্কোপাস পর্বতে প্রতিষ্ঠা করা হল হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯২৯-৩৯ পঞ্চম আলিয়া: নাৎসিদের উত্থানের প্রেক্ষিতে মূলত জার্মানভাষী দেশগুলো থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার ইহুদির আগমন।*
* তবে এসময় অনেকে পোল্যান্ড থেকেও এসেছিলেন ফিলিস্তিনে।
১৯২৯ আগস্ট: বেতার ইহুদি যুব আন্দোলন জেরুসালেমের পশ্চিম দেয়ালের ওপর একটি জায়নবাদী পতাকা ঝোলান। আল আকসা মসজিদ আক্রান্ত হতে পারে এই আশঙ্কায় আরবরা জেরুসালেম, হেবরন, আর সাফেদে ইহুদিদের ওপর হামলা চালান। ফলে আরব-ইহুদি দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে, যাতে এক সপ্তাহে ১৩৩ জন ইহুদি ও ১১৫ জন আরবের মৃত্যু হয়।
১৯৩০-৩৫ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে শেখ ইজ্জাদদিন আল-কাশেমের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনিদের লড়াই শুরু হল।
১৯৩১ হাগান্নার কমান্ডারদের একাংশ সংগঠনটির ওপর বিরক্ত হয়ে গড়ে তুললেন নতুন প্যারামিলিটারি সংগঠন ইরগুন।
১৯৩৩-৩৯ নাৎসি জার্মানিতে চলছে ইহুদিদের ওপর বর্ণবাদী নিপীড়ন।
১৯৩৫ ‘সংশোধনবাদী জায়নবাদ’: ভ্লাদিমির জি’ভ জাবোতিনস্কির নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হল নয়া জায়নবাদীদের সংগঠন।
১৯৩৬-৩৯ জাফায় ফিলিস্তিনি বিদ্রোহ, যা ব্রিটিশরা জায়নবাদী মিলিশিয়া ও আরব বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তায় দমন করে। এই বিদ্রোহে ৫,০০০এরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়, আর আহত হন ১৫,০০০এরও বেশি ফিলিস্তিনি। গ্রেপ্তার এড়াতে ফরাসি-নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ায় পালিয়ে যান আল-হুসেইনি।
১৯৩৭ পিল কমিশনের দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রথমবারের মত ফিলিস্তিনকে আরব আর ইহুদি অংশে পার্টিশনড করার সুপারিশ করা হল।
১৯৩৯ ব্রিটিশ সরকার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করল, যাতে ফিলিস্তিনে ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের আগমন সীমিত করা হল। জায়নবাদীরা এই শ্বেতপত্র প্রকাশকে বেঈমানি হিসেবে দেখলেন। জায়নবাদী-ব্রিটিশ মৈত্রীর অবসানের বছর বিবেচিত হয় এটি।
প্রকাশিত বই
সিগমুন্ড ফ্রয়েডের মোজেস অ্যান্ড মনোথিজম।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪০-৪৯ ‘হলোকাস্ট’: ইওরোপীয় ইহুদিদের ওপর পদ্ধতিগত নাৎসি নিধনযজ্ঞ। এসময় ইহুদিরা গণহারে ফিলিস্তিনে আসতে শুরু করেন। ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সশস্ত্র ইহুদি গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে।
১৯৪০
প্রকাশিত বই
অ্যালেক্স বেইন, থিওডর হার্জল:আ বায়োগ্রাফি।
১৯৪২ মে: জায়নবাদীদের দ্বারা প্রণীত হল বিল্টমোর কর্মসূচি।
১৯৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে বিশ্ববাসী জানতে পারল, জার্মানির নাৎসিরা ৬০ লক্ষ ইহুদিকে খুন করেছে। প্রতিষ্ঠিত হল ইঙ্গ-আমেরিকান অনুসন্ধান কমিটি।
১৯৪৬ জুলাই ২২: জেরুসালেমের রাজা ডেভিড হোটেল-স্থিত ব্রিটিশ সদরদপ্তরে বোমা হামলা চালাল ইরগুন। এবছরের শেষ নাগাদ ম্যান্ডেট ফিলিস্তিনে বসবাসরত আরবদের সংখ্যা ১২ লক্ষেরও বেশি, আর ইহুদিদের সংখ্যা ৬ লক্ষের মত। ৭ শতাংশ জমি কিনে নিয়েছে ইহুদি বসতিস্থাপনকারীরা, যা মোট আবাদি জমির ২০ শতাংশ।
১৯৪৭ ফেব্রুয়ারি ১৫: গ্রেট ব্রিটেন ফিলিস্তিন ইস্যু জাতিসংঘের হাতে তুলে দিল।
নভেম্বর ২৯: জাতিসংঘের পার্টিশন পরিকল্পনা [প্রস্তাব নং ১৮১(২)]। ফিলিস্তিনের বুকে একটি আরব রাষ্ট্র ও একটি ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের এবং জেরুসালেম আর তার আশেপাশের এলাকার ওপর আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ কায়েমের প্রস্তাব দেয়া হল। যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের পার্টিশন পরিকল্পনা সমর্থন করলেও ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন।
কামরান মরুভূমিতে ছাগল চড়াতে গিয়ে এক আরব বালক মৃত সাগর পুঁথিগুলোর সন্ধান পেল।
১৯৪৮ ম্যান্ডেট ফিলিস্তিনের অবসান।
মে ১৪: ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের ওপর প্রতিষ্ঠিত হল ইসরায়েল রাষ্ট্র। ইসরায়েলের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন শাইম ওয়াইজম্যান। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন ডেভিড বেন-গুয়িরন। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিল। মে ২৬: প্রতিষ্ঠিত হল ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)।
ডিসেম্বর ১১: ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের ব্যাপারে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং প্রস্তাব পাশ হল।
১৯৪৮-৪৯ প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।*
* ১৯৪৮ সালের ১৫ মে থেকে ১৯৪৯ সালের ৭ জুন পর্যন্ত চলে এই যুদ্ধ। জর্দান পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম এবং মিসর গাজা উপত্যকা দখল করে নিল। ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের বাকি অংশটুকু ইসরায়েলের দখলে থাকল।
‘নাকবা’: ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের শিকার হয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হন। ফিলিস্তিনিরা এই ঘটনাকে নাকবা হিসাবে দেখে থাকেন। আরবিতে নাকবা শব্দের অর্থ হল বিপর্যয়।
১৯৪৯-১৯৬৯ ১০ লক্ষেরও বেশি ইহুদি, যাদের মধ্যে আড়াই লক্ষ হলোকাস্ট সার্ভাইভার, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনে বসতিস্থাপন করেন।
১৯৪৯ ফেব্রুয়ারি-জুলাই: আরব-ইসরায়েলি অস্ত্রবিরতি চুক্তিগুলো এই সময়কালে সাক্ষরিত হয়।*
* মার্চ-এপ্রিলে লেবানন ও জর্দানের সাথে আর জুলাইয়ে সিরিয়ার সাথে অস্ত্রবিরতি চুক্তি সই করে ইসরায়েল।
এপ্রিল-জুন: ফিলিস্তিন সমঝোতা কমিশনের পৃষ্ঠপোষকতায় লসানে’তে প্রথম দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হল।
মে ৪: জেরুসালেমকে নবগঠিত ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করা হল। মে ১১: জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করল ইসরায়েল।
সেপ্টেম্বর: ইসরায়েলে বাধ্যতামূলক শিক্ষা আইন পাশ করা হল।
নভেম্বর: ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স উদ্বোধন করা হল।
ডিসেম্বর ৯: জেরুসালেমের আন্তর্জাতিকীকরণের পক্ষে ভোট দিল জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। ডিসেম্বর ১৩: ইসরায়েলের জাতীয় সংসদ নেসেট সিদ্ধান্ত নিল এখন থেকে জেরুসালেমে অধিবেশন বসবে। একইদিনে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইন্সটিটিউট ফর ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস (মোসাদ)।
১৯৫০ এপ্রিল ৫: পূর্ব জেরুসালেমকে অন্তর্ভুক্ত করে পশ্চিম তীর দখল করে নিল জর্দান।
মে ২৫: মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে ব্রিটেন, ফ্রান্স, ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় ঘোষণা।
‘অপারেশন ম্যাজিক কার্পেট‘: ইয়েমেনি ইহুদিদেরকে বিমানে করে ইসরায়েলে আনা হল।
১৯৫১ ফেব্রুয়ারি ১২: সিরিয়ার সাথে ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড) হুলেহ জলনির্গমন প্রকল্পের কাজ শুরু করল ইসরায়েল।
এপ্রিল ৪: আল-হাম্মায় ইসরায়েলি চৌকিতে হামলা চালাল সিরিয়া।
মে ২-৬: তাল আল-মুতিল্লায় ইসরায়েল-সিরিয়া সংঘাত।
১৯৫২ জুলাই ২৩: মিসরে মুক্তিকামী সেনা কর্মকর্তাদের বিপ্লব।
আগস্ট: মিসরীয় বিপ্লবকে নেসেটে স্বাগত জানালেন ডেভিড বেন-গুরিয়ন।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হলেন ইতজাক-বেন জিভি।
১৯৫২-৫৩ অক্টোবর ৯ – মে ২৭: ডিএমজেডের দুই দিকেই এসময় সিরিয়া-ইসরায়েল সংলাপ চলছে।
১৯৫৩ সেপ্টেম্বর ২: জর্দান নদী প্রকল্পের কাজ শুরু করল ইসরায়েল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে নালিশ জানাল সিরিয়া।
অক্টোবর ১: জলবিবাদ নিরসনে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন করার জন্য এরিক জনস্টনকে নিয়োগ দিলেন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার। অক্টোবর ১৫ কিবইয়া অভিযান।
ডিসেম্বর ৭: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন মোশে শারেত।
১৯৫৪ এপ্রিল ১৭: মিসরের প্রধানমন্ত্রী হলেন কর্নেল গামাল আবদেল নাসের।
জুলাই: ‘লাবোন ঘটনা’: মিসরে জায়নবাদী অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা শুরু।
সেপ্টেম্বর ২৮: সাঈদ বন্দরে ইসরায়েলি জাহাজ বাত গালিম জব্দ করল মিসর।
অক্টোবর ১৯: মিসরের সাথে সুয়েজ ঘাঁটি উদ্বাসন চুক্তিতে সই করল ব্রিটেন।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) সর্বাধিনায়ক হলেন মোশে দায়ান।
১৯৫৫ ফেব্রুয়ারি ২১: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হলেন ডেভিড বেন-গুরিয়ন। ফেব্রুয়ারি ২৪: ইরাক ও তুরস্কের মধ্যে বাগদাদ চুক্তি সই। ফেব্রুয়ারি ২৮: গাজায় হামলা চালাল ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)।
এপ্রিল ৫: বাগদাদ চুক্তিতে যোগ দিল ব্রিটেন।
আগস্ট ৯: ফিলিস্তিন নিয়ে এলমোর জ্যাকসনের সমঝোতা মিশনের শুরুয়াত।
সেপ্টেম্বর ২৭: চেক অস্ত্র চুক্তি সই করলেন কর্নেল নাসের।
অক্টোবর ২০: পারস্পরিক প্রতিরক্ষাচুক্তি সই করল মিসর ও সিরিয়া।
নভেম্বর ২: দ্বিতীয় মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন ডেভিড বেন-গুরিয়ন।
ডিসেম্বর ১১: ‘অপারেশন কিনেরেত।’*
* কিনেরেত ইবরানি শব্দ, এর অর্থ: জলপাইয়ের পাতা।
১৯৫৫-৫৬ ডিসেম্বর-মার্চ: অ্যান্ডারসন মিশন।
১৯৫৬ এপ্রিল ৬: ইসরায়েলি-মিসরীয় অস্ত্রবিরতি পুনরায় চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করলেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
জুন ১৩: সুয়েজ থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ করল ব্রিটিশরা। জুন ১৮: ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শারেত। জুন ২৪-২৬: ভার্মার্স সম্মেলন।
জুলাই ২৬: সুয়েজ খাল কোম্পানিকে জাতীয়করণ করল মিসর।
সেপ্টেম্বর ৩০-অক্টোবর ১: সাঁ-জার্মাইন সম্মেলন।
অক্টোবর ২২: মিসর, সিরিয়া, ও জর্দানের মধ্যে সাক্ষরিত হল প্রতিরক্ষা চুক্তি। অক্টোবর ২২-২৪ সেভ্রেস সম্মেলন।
অক্টোবর ২৯-নভেম্বর ৭: দ্বিতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, ‘সুয়েজ সংকট’ নামেও পরিচিত।*
* ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সাথে মিসর আক্রমণ করে ইসরায়েল।* মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন মিসরের পক্ষে দাঁড়ায়। পিছু হঠতে বাধ্য হয় ইসরায়েল।
নভেম্বর ৭: ব্রিটিশ, ফরাসি, ও ইসরায়েলিরা মিসরের ওপর হামলা বন্ধ না করলে বলপ্রয়োগ করার হুমকি দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন।
১৯৫৭ জানুয়ারি ৫: ঘোষিত হল কমিউনিস্টবিরোধী আইজেনহাওয়ার ডক্ট্রিন।
মার্চ ১০: মিসরের সাথে অস্ত্রবিরতি রেখায় ফিরে গেল আইডিএফ।
১৯৫৮ ফেব্রুয়ারি ১: মিসর ও সিরিয়া একীভূত হয়ে গঠন করল সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্র (ইউএআর)।
জুলাই ১৪: ইরাকে বিপ্লব। জুলাই ১৫: মার্কিনীরা লেবাননে আর ব্রিটিশরা জর্দানে সেনা মোতায়েন করল।
১৯৫৯ মিসরে ইয়াসির আরাফাত কর্তৃক গঠিত হল ফাতাহ।
১৯৬১ জেরুসালেমে নাৎসি যুদ্ধাপরাধী অ্যাডলফ আইখম্যানের বিচার হল, যাকে মোসাদের এজেন্টরা আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে আর্জেন্টিনা থেকে ধরে আনেন।
সেপ্টেম্বর ২৮: সিরিয়ায় ক্যুদেতা সংঘটিত হওয়ায় বিলুপ্ত হয়ে গেল ইউএআর।
প্রকাশিত বই
রাউল হিলবার্গ, দ্য ডেস্ট্রাকশন অফ দ্য ইওরোপিয়ান জিউজ।
১৯৬২ মে ৩১: অ্যাডলফ আইখম্যানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।
প্রকাশিত বই
ঘাসসান কানাফানি, মেন ইন দ্য সান।
১৯৬৩ মার্চ ৮: সিরিয়ায় বাথিবাদী ক্যুদেতা।
প্রকাশিত বই
হান্না আরেন্ট, আইখম্যান ইন জেরুসালেম: আ রিপোর্ট অন দ্য ব্যানালিটি অফ এভিল।
১৯৬৩ ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হলেন শ্নেউর জালমান শাজার। জুন ১৬: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বেন-গুরিয়ন, নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন লেভি এশকল। এশকল ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর থাকা বিধিনিষেধ হালকা করা উদ্যোগ নিলেন।
১৯৬৪ জানুয়ারি ১৩-১৭: জর্দান নদীর বাঁকবদল নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কায়রোতে অনুষ্ঠিত হল প্রথম আরব সম্মেলন।
মে ২৯: গঠিত হল ফিলিস্তিন মুক্তিসংঘ (পিএলও)। পিএলওর প্রথম সভাপতি হলেন আহমেদ শুকাইরি। জেরুসালেমে ফিলিস্তিনি জাতীয় পরিষদের (পিএনসি) প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হল, প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল কোভেনেন্ট ইসরায়েলকে ধবংস করার ডাক দিল।
সেপ্টেম্বর ৫-১১: আলেকজান্দ্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হল দ্বিতীয় আরব সম্মেলন।
১৯৬৫ ফাতাহ গঠিত হল।
১৯৬৬ ফেব্রুয়ারি ২৩: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পিএলওর তৎপরতা বৃদ্ধি পাবার প্রেক্ষিতে সিরিয়ায় একটি বামপন্থী ক্যুদেতা সংঘটিত হল।
নভেম্বর ৯: পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করল সিরিয়া ও মিসর। নভেম্বর ১৩: পশ্চিম তীরের গ্রাম সামুতে অভিযান চালাল ইসরায়েল।
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন শ্মুয়েল ইয়োসেফ আগনন।
প্রকাশিত বই
মাহমুদ দারবিশ, আ লাভার ফ্রম প্যালেস্টাইন।
মোশে দায়ান, ডায়েরি অফ দ্য সিনাই ক্যাম্পেইন।
১৯৬৭ এপ্রিল ৭: ইসরায়েলি বৈমানিকরা সাতটি সিরীয় মিগকে ভূপাতিত করলেন।
মে ১৫: সিনাই উপত্যকায় সেনা মোতায়েন করলেন নাসের। মে ১৯: সিনাই থেকে জাতিসংঘের জরুরি অবস্থাকালীন বাহিনীকে সরিয়ে নেয়ার অনুরোধ জানালেন নাসের। মে ২২: ইসরায়েলি জাহাজ চলাচল ঠেকানোর উদ্দেশ্যে তিরান প্রণালী বন্ধ করে দিলেন নাসের। মে ২৬: ফ্রান্সের শার্ল দ্য গল ও যুক্তরাজ্যের হ্যারল্ড উইলসনের সাথে সংলাপ শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসনের সাথে সাক্ষাৎ করলেন ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বা এবান। মে ৩০: কায়রোতে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করল মিসর ও জর্দান।
জুন ১: জেরুসালেমে জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করা হল। জুন ৫-১০: তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, জুন যুদ্ধ বা ছয় দিনের যুদ্ধ নামেও পরিচিত।* জুন ২৭: ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেমকে নিজ সীমানাভুক্ত করে নিল।**
* এই যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেম, পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, গোলান মালভূমি ও সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নেয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রুমানিয়া ছাড়া সোভিয়েত ব্লকে থাকা অন্য ইওরোপীয় রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
** আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক অধিকৃত ভূখণ্ড বিবেচিত হয়।
জুলাই ২৬: ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় পেশ করা হল আলোন পরিকল্পনা।
আগস্ট ২৯-সেপ্টেম্বর ১: খার্তুমে অনুষ্ঠিত হল আরব লীগের সম্মেলন।
নভেম্বর ২২: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক পাশ হল প্রস্তাব নং ২৪২।
জর্জ হাবাশ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি)।
১৯৬৮ নায়েফ হাওয়াতমেহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (ডিএফএলপি)।
১৯৬৯ ফেব্রুয়ারি ২৬: লেভি এশকলের মৃত্যু। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন গোল্ডা মেয়ার।* পিএলওর প্রেসিডেন্ট হলেন ইয়াসির আরাফাত।
* ইসরায়েলের প্রথম ও একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী; মার্কিন ঐতিহাসিক দেবোরা লিপস্টেডের ভাষায়, ইসরায়েলের গোত্রমাতা।
মার্চ ১৯৬৯ – আগস্ট ১৯৭০ ইসরায়েল ও মিসরের ‘ওয়ার অফ অ্যাট্রিশন’।
১৯৬৯ ডিসেম্বর ৯: ঘোষিত হল রজার্স পরিকল্পনা। ডিসেম্বর ২২: রজার্স পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করল ইসরায়েল।
১৯৭০ জুন ১৯: দ্বিতীয় রজার্স উদ্যোগ।
আগস্ট ৭: রজার্স উদ্যোগের অধীনে মিসর ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি।
সেপ্টেম্বর: ‘ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর’: জর্দান সেনাবাহিনীর সাথে ফিলিস্তিনি ফেদাইন বাহিনীর সংঘাত, যা জর্দানের গৃহযুদ্ধ নামেও পরিচিত। সেপ্টেম্বর ২০: মিসরের প্রেসিডেন্ট জামাল আবদেল নাসেরের মৃত্যু, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন আনোয়ার সাদাত।
প্রকাশিত বই
ঘাসসান কানাফানি, রিটার্ন টু হাইফা।
১৯৭১ ফেব্রুয়ারি ৪: একটি অন্তর্বর্তীকালীন বন্দোবস্তের প্রস্তাব রাখলেন আনোয়ার সাদাত। ফেব্রুয়ারি ৮: মিসর আর ইসরায়েল দুই দেশের কাছেই প্রশ্নমালা পাঠালেন গুনার জারিং।
অক্টোবর ৪: তৃতীয় রজার্স পরিকল্পনা।
প্রকাশিত বই
আমোস এলোন, দ্য ইসরায়েলিজ: ফাউন্ডার্স অ্যান্ড সন্স।
১৯৭২ মার্চ ১৫: একটি সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্রের জন্য ফেডারেল পরিকল্পনা প্রকাশ করলেন জর্দানের রাজা হোসেন।
মে ২২-২৬: ‘মস্কো সম্মেলন’: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও সোভিয়েত প্রিমিয়ার লিওনিদ ব্রেঝনেভের সভা। মে ৩০: ইসরায়েলের লোদ বিমানবন্দরে পিএফএলপি কর্তৃক নিযুক্ত জাপানিজ রেড আর্মির হামলায় নিহত হলেন ইসরায়েলের ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক।
জুলাই ১৮: মিসর থেকে সোভিয়েত সামরিক উপদেষ্টাদের বহিষ্কার করলেন সাদাত।
সেপ্টেম্বর ৫-৬: মিউনিখ অলিম্পিকের সময় ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীরা ইসরায়েলি অ্যাথলেটদের জিম্মি করে। তাদের হাতে ১১ জন অ্যাথলেট খুন হন।
প্রকাশিত বই
ওয়াটার ল্যাকিউর, আ হিস্ট্রি অফ জায়নিজম।
১৯৭৩ অক্টোবর ৬-২৬: চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।* অক্টোবর ২২ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৩৩৮ নং প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির ও প্রত্যক্ষ আপোসরফার ডাক দেয়া হল।
* ‘অক্টোবর যুদ্ধ’, ‘ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধ’, ‘রমজান যুদ্ধ’ ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
ডিসেম্বর ২১: জেনেভা শান্তি সম্মেলন।
১৯৭৪ জানুয়ারি ১৮: ইসরায়েলি-মিসরীয় বিচ্ছিন্নতা চুক্তি সই হল।
এপ্রিল ১০: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন গোল্ডা মেয়ার, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন ইতজাক রাবিন।
মে ৩১: ইসরায়েলি-সিরীয় বিচ্ছিন্নতা চুক্তি সই হল।
অক্টোবর ২৬-২৯: রাবাতে আরব লীগের সম্মেলনে পিএলওকে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি’ বলে স্বীকৃতি দেয়া হল।
বামপন্থী ফিলিস্তিনি দল পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি-জেনারেল কমান্ড) আর ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (ডিএফএলপি) উত্তর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ৪৩ জন বেসামরিক নাগরিককে খুন করে। পিএলও দশ দফা কর্মসূচি হাতে নেয়, যেখানে ইসরায়েলের সাথে আপোসের আভাস দেয়া হয়। এই আপোস প্রশ্নে পিএলওতে ভাঙন দেখা দেয়। ইয়াসির আরাফাত প্রথম ব্যক্তি, যিনি রাষ্ট্রপ্রধান না হওয়া সত্ত্বেও এবছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেয়ার সুযোগ পেলেন। পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতিস্থাপনকে একটা ‘ধর্মীয় দায়িত্ব’ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে গঠিত হল গুশ এমুনিম (বিশ্বাসীদের ব্লক) আন্দোলন।
১৯৭৫ এপ্রিল ১৩: লেবাননের গৃহযুদ্ধের সূচনা।
সেপ্টেম্বর ১: ‘সিনাই ২’: ইসরায়েল ও মিসরের অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি প্রস্তাব গ্রহণ করল। তাতে বলা হল, জায়নবাদ এক ধরণের বর্ণবাদ। ১৯৯১ সালে এই প্রস্তাব বাতিল করা হয়।
প্রকাশিত হল
ডেভিড ভাইটাল, দ্য অরিজিনস অফ জায়নিজম।
১৯৭৬ মার্চ ৩০: উত্তর ইসরায়েলের গালিলি অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে ভূমি গ্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি নাগরিকরা। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৬ ফিলিস্তিনির মৃত্যু। ফিলিস্তিনিরা প্রতি বছর দিনটি ভূমি দিবস হিসাবে পালন করে থাকেন।
জুন ১: লেবাননে সিরিয়ার সামরিক আগ্রাসন।
জুলাই ৪: উগান্ডার এনতেবে বিমানবন্দরে আটক হয়ে থাকা অপহৃত ইসরায়েলি যাত্রীদের উদ্ধার করল আইডিএফ।
১৯৭৭ মে ১৭: ইসরায়েলে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এল ডানপন্থী লিকুদ দল। তারা অর্থনৈতিক উদারীকরণ, ইহুদি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর মূলধারাকরণ এবং পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায় অধিক হারে ইহুদি বসতিস্থাপন উৎসাহিত করল।
জুন ২১: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন মেনাশিম বেগিন।
অক্টোবর ১: জেনেভা শান্তি সম্মেলন পুনরায়োজনের পক্ষে যৌথ বিবৃতি দিল যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন।
নভেম্বর ১৯-২১: জেরুসালেম সফর করলেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত।
ডিসেম্বর ২-৫: ত্রিপোলিতে সাক্ষাৎ করল আরব ফ্রন্ট অফ স্টেডফাস্টনেস অ্যান্ড অপোজিশন। ডিসেম্বর ১৪: কায়রো সম্মেলনের সূচনা। ডিসেম্বর ১৬: ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিন স্বায়ত্তশাসন পরিকল্পনা উন্মোচন করলেন বেগিন। ডিসেম্বর ২৫-২৬: ইসমাইলিয়াতে অনুষ্ঠিত হল বেগিন-সাদাত সম্মেলন।
প্রকাশিত বই
লেসলি হ্যাজেলটন, ইসরায়েলি উইমেন: দ্য রিয়ালিটি বিহাইন্ড দ্য মিথস।
১৯৭৮ জানুয়ারি ১১: কায়রোতে ইসরায়েলি-মিসরীয় সামরিক কমিটির অধিবেশন বসল।
মার্চ ১৪: দক্ষিণ লেবাননে আইডিএফ লঞ্চ করল ‘অপারেশন লিতানি’। মার্চ ১৯: জাতিসংঘের ৪২৫ নং প্রস্তাবে লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ডাক দেয়া হল।
জুন ১৩: ইউনিফিল মোতায়েনের পর লেবানন থেকে সরে এল আইডিএফ।
জুলাই ১৮-১৯: যুক্তরাজ্যে আয়োজিত হল লীডস ক্যাসল সম্মেলন।
সেপ্টেম্বর ৫-১৭: ক্যাম্প ডেভিড সম্মেলন। সেপ্টেম্বর ১৭: ‘ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি’: মিসর কর্তৃক ইসরায়েলকে স্বীকৃতিপ্রদান ও কূটনৈতিক সম্পর্কস্থাপন। ইসরায়েল এই চুক্তিতে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের স্বশাসন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
অক্টোবর ১২: ওয়াশিংটনে শুরু হল ব্লেয়ার হাউজ সম্মেলন।
নভেম্বর ২-৫: বাগদাদে আরব লীগের সম্মেলন ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি প্রত্যাখ্যান করা হল।
১৯৭৯ ফেব্রুয়ারি ১: ইরানে ইসলামি বিপ্লব।
মার্চ ২৬: হোয়াইট হাউজে সাক্ষরিত হল ইসরায়েল-মিসর শান্তি চুক্তি।
অক্টোবর ২১: ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মোশে দায়ান।
প্রকাশিত বই
এদোয়ার্দ সাঈদ, দ্য কোশ্চেন অফ প্যালেস্টাইন।
রোজমেরি সায়িগ, দ্য প্যালেস্টাইনিয়ানস: ফ্রম পিজেন্টস টু রেভল্যুশনারিজ।
১৯৮০ মে ৫: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন এজার ওয়াইজম্যান।
জুলাই ৩০: ‘মৌলিক আইন’: জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করা হল।
সেপ্টেম্বর ১৭: ইরান ও ইরাকের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে গেল।
১৯৮১ জুন ৪: শার্ম আল-শেখে সাক্ষাৎ করলেন সাদাত ও বেগিন। জুন ৭: বাগদাদের নিকটে ইরাকি পারমাণবিক চুল্লিতে বোমা ফেলল ইসরায়েল। জুন ৩০: ইসরায়েলে পুনর্নির্বাচিত হল লিকুদ দল।
অক্টোবর ৬: আততায়ীদের হাতে খুন হলেন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত।
নভেম্বর ৩০: ইসরায়েলের সাথে কৌশলগত সহযোগিতার মেমোরাণ্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) সই করল যুক্তরাষ্ট্র।
ডিসেম্বর ১৪: নেসেটে অনুমোদন লাভ করল গোলান মালভূমি আইন। ডিসেম্বর ১৮: ইসরায়েলের সাথে কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র।
জুন ১৯৮২-জুন ১৯৮৫ লেবাননের গৃহযুদ্ধ।
১৯৮২ এপ্রিল ২৬: সিনাই উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের নিজেকে সরিয়ে নেয়া সম্পূর্ণ হল।
জুন ৩: লন্ডনে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে আততায়ী হামলায় হত্যা প্রচেষ্টা। জুন ৬: লেবাননে হামলা চালাল ইসরায়েল। জুন ১৩: পশ্চিম বৈরুত ঘেরাও করতে শুরু করল আইডিএফ।
আগস্ট ২১: পিএলও নেতৃত্ব লেবানন থেকে তিউনিসিয়ায় চলে এল। ১৯৯৪ সালে গাজা উপত্যকায় ফেরার আগ পর্যন্ত তারা যেখানে থাকবে।
সেপ্টেম্বর ১: মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক নয়া শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট রিগ্যান। সেপ্টেম্বর ৮: ‘ফেজ পরিকল্পনা’: এক আরব সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্যে একটি ব্যাপকভিত্তিক শান্তির জন্য প্রস্তাব দেয়া হল। সেপ্টেম্বর ১৪: আততায়ীদের হাতে খুন হলেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট বশির জেমায়েল। সেপ্টেম্বর ১৬: বৈরুতের সাবরা ও শাতিলা উদ্বাস্তু শিবিরের ফিলিস্তিনিদের হত্যা করল ইসরায়েলের মদতপুষ্ট ফ্যালাঞ্জিস্ট বাহিনী।*
* হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ইসরায়েলে একটি কমিশন গঠিত হয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারনকে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী সাব্যস্ত করে। তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার সুপারিশ দেয়।
১৯৮৩ মে ১৭: ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হল।
আগস্ট ২৮: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মেনাশিম বেগিন, নয়া প্রধানমন্ত্রী হলেন ইতজাক শামির।
প্রকাশিত বই
নোয়াম চমস্কি, ফেইটফুল ট্রায়াঙ্গেল: দ্য ইউনাইটেড স্টেটস, ইসরায়েল, অ্যান্ড দ্য প্যালেস্টাইনিয়ানস।
১৯৮৪ মার্চ ৫: ইসরায়েল-লেবানন চুক্তি রদ করলেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট আমিন গেমায়েল।
সেপ্টেম্বর ১৪: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন শিমন পেরেজ, দায়িত্বভার গ্রহণ করেই গঠন করলেন জাতীয় ঐক্য সরকার।
প্রকাশিত বই
জি’ইভ শিফ আর এহুদ ইয়ারি, ইসরায়েল’স লেবানন ওয়ার।
১৯৮৫ জুন ১০: লেবানন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিল ইসরায়েল, কিন্তু দক্ষিণে গঠন করল “নিরাপত্তা জোন।”
সেপ্টেম্বর ১১-১২: কায়রো সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হল পেরেজ-মোবারক বৈঠক।
অক্টোবর ১: তিউনিসে পিএলওর সদরদপ্তরে বোমা হামলা চালাল ইসরায়েল।
ডিসেম্বর ৯: জেনেভায় শুরু হল তাবা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সালিশি।
১৯৮৬ এপ্রিল ১৫: লিবিয়ায় মার্কিন বোমা হামলা।
অক্টোবর ২০: দ্বিতীয় মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন ইতজাক শামির।
প্রকাশিত বই
লেসলি হ্যাজেলটন, জেরুসালেম, জেরুসালেম: আ মেমোয়ার অফ ওয়ার অ্যান্ড পীস, প্যাশন অ্যান্ড পলিটিকস।
১৯৮৭ ফেব্রুয়ারি ২৫-২৭: কায়রো সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হল দ্বিতীয় পেরেজ-মোবারক বৈঠক।
এপ্রিল ১১: পেরেজ-হোসেন লন্ডন চুক্তি।
ডিসেম্বর ৮: প্রথম ইন্তিফাদা শুরু।*
* এবছরই গাজা উপত্যকায় গঠিত হয় ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন, যা হামাস নামেই অধিক পরিচিত। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব ১৯৪৮ সাল থেকে প্রায় চারদশক দুনিয়াবি জাতীয়তাবাদী ও বামপন্থী বিভিন্ন দলের হাতে ছিল। এবছর থেকে ক্রমশ ইসলামপন্থীদের হাতে চলে যায়।
১৯৮৮ মার্চ ৪: জর্জ শুলজ তাঁর শান্তি উদ্যোগ চালু করলেন।
জুলাই ১৮: ইরান-ইরাক যুদ্ধের অবসান। জুলাই ৩১: পশ্চিম তীরের ওপর দাবি ছেড়ে দিলেন জর্দানের রাজা হোসেন।
নভেম্বর ১: ইসরায়েলের নির্বাচনে জিতল লিকুদ দল। নভেম্বর ১৫: আলজিয়ার্সে ফিলিস্তিনের জাতীয় পরিষদ (পিএনসি) শর্তসাপেক্ষে গ্রহণ করে নিল জাতিসংঘের প্রস্তাব নং ১৮১, ২৪২, ও ৩৩৮। প্রবাসেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন ইয়াসির আরাফাত, যে ঘোষণাপত্রটি লিখেছিলেন কবি মাহমুদ দারবিশ। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করল ফিলিস্তিন জাতীয় পরিষদ (পিএনসি)।*
* জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্য রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে দীর্ঘদিন ধরেই de facto রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে আসায় ফিলিস্তিনকে আংশিকভাবে স্বীকৃতপ্রাপ্ত রাষ্ট্র বলা যেতে পারে।
ডিসেম্বর ১৪: সংলাপ প্রশ্নে মার্কিনীদের শর্ত মেনে নিলেন আরাফাত।
১৯৮৯ অক্টোবর ১২: লেবাননের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে সাক্ষরিত হল তায়েফ চুক্তি।
নভেম্বর ১: জেমস বেকার তাঁর পাঁচ দফা পরিকল্পনা পেশ করলেন।
১৯৯০ মার্চ ১৫: ইসরায়েলের জাতীয় ঐক্য সরকার থেকে পদত্যাগ করল শ্রমিক দল।
জুন ২০: পিএলওর সাথে সংলাপ স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র।
আগস্ট ২: কুয়েতে হামলা চালাল ইরাক। পিএলও ইরাককে সমর্থন দিলে প্রতিক্রিয়ায় কুয়েত পিএলওর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ৪ লক্ষ ফিলিস্তিনিকে কুয়েত থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৯১ জানুয়ারি ১৬ -ফেব্রুয়ারি ২৮: উপসাগরীয় যুদ্ধ।
মার্চ: প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি নতুন শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন।
অক্টোবর ৩০-৩১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে স্পেনের মাদ্রিদে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে ১৯৪৯ সালের পর প্রথমবারের মত ইসরায়েলি আর ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা পরস্পরের সম্মুখীন হন। শুরু হয় দুই পক্ষের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়া। ইসরায়েলের ইতজাক শামিরের সরকার অনিচ্ছা সত্ত্বেও মার্কিন চাপের মুখে সম্মেলনে অংশ নেয়। পরিণতে শামিরকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।
ডিসেম্বর ১০: ওয়াশিংটনে দ্বিপাক্ষিক আরব-ইসরায়েলি শান্তি আলোচনা শুরু। ডিসেম্বর ২৫: সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি।
১৯৯২ জুন ২৩: ইসরায়েলি নির্বাচনে শ্রমিক দলের কাছে লিকুদ দলের পরাজয়। দ্বিতীয় মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন ইতজাক রাবিন।
ডিসেম্বর ১৬: হামাসের ৪১৬ জন সক্রিয়তাবাদীকে নির্বাসিত করল ইসরায়েল।
প্রকাশিত বই
টমাস টমসন, দ্য আর্লি হিস্টোরি অফ দ্য ইসরায়েলাইট পিপল ফ্রম দ্য রিটেন অ্যান্ড আর্কিওলজিকাল সোর্সেস।
১৯৯৩ জানুয়ারি ১৯: পিএলওর সাথে যোগাযোগের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল নেসেট।
জুলাই ২৫: দক্ষিণ লেবাননে ‘অপারেশন অ্যাকাউন্টেবিলিটি’ লঞ্চ করল ইসরায়েল।
সেপ্টেম্বর ১০: পরস্পরকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে চিঠি চালাচালি করল ইসরায়েল ও পিএলও। সেপ্টেম্বর ১৩: হোয়াইট হাউজে ফিলিস্তিনি স্বশাসনের ইসরায়েল-পিএলও নীতিগত ঘোষণা সাক্ষরিত হল।
ইসরায়েলের পক্ষে ইতজাক রাবিন আর পিএলও’র পক্ষে ইয়াসির আরাফাত অসলো ঘোষণায় সই করলেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হল প্রথম ইন্তিফাদা। কিছু ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী এই শান্তিচুক্তি প্রত্যাখ্যান করে।
প্রকাশিত বই
পল জনসন, আ হিস্ট্রি অফ দ্য জিউজ।
১৯৯৪ ফেব্রুয়ারি ২৫: অধিকৃত পশ্চিম তীরের হেবরনে গোত্রপিতাদের সমাধিস্থলে প্রার্থনারত ২৯ জন ফিলিস্তিনিকে খুন করলেন উগ্রপন্থী ইহুদি কাচ আন্দোলনের নেতা ইসরায়েলি-আমেরিকান বারুচ কোপেল গোল্ডস্টেইন।
মে ৪: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনিদের সীমিত স্বায়ত্তশাসন দেয়ার ব্যাপারে কায়রোতে একটি সমঝোতায় পৌঁছাল ইসরায়েল।
জুলাই ১: তিউনিস থেকে গাজায় প্রত্যাবর্তন করলেন ইয়াসির আরাফাত। জুলাই ২৫ ইসরায়েল ও জর্দানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার অবসান ঘটালো ওয়াশিংটন ঘোষণা।
অক্টোবর ২৬: আরাভা মরুভূমিতে ইসরায়েল আর জর্দানের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হল। অক্টোবর ৩০: মধ্যপ্রাচ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতাকল্পে আয়োজিত হল কাসাব্লাঙ্কা সম্মেলন।
ডিসেম্বর ২৩: ওয়াশিংটনে সংলাপে বসলেন ইসরায়েলি ও সিরীয় সেনাপ্রধানরা।
এবছর ইয়াসির আরাফাত, ইতজাক রাবিন, আর শিমন পেরেজ সম্মিলিতভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। প্রথম তুর্কি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসরায়েল সফর করেন তানসু সিলার।
প্রকাশিত বই
রোজমেরি সায়িগ, টু মেনি এনিমিজ: দ্য প্যালেস্টাইনিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ইন লেবানন।
১৯৯৫ ফেব্রুয়ারি ২: মিসর, জর্দান, ইসরায়েল আর পিএলওর নেতাদের মধ্যে প্রথম সম্মেলন আয়োজিত হল।
সেপ্টেম্বর ২৮: পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা নিয়ে ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি (অসলো দুই) সাক্ষরিত হল।
অক্টোবর ৩১: ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি শান্তির জন্য বেইলিন-আবু মাজেন বোঝাপড়া।
নভেম্বর ৪: তেল আবিবে ইহুদি উগ্রপন্থীরা ইতজাক রাবিনকে গুলি চালিয়ে হত্যা করল, দ্বিতীয় মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন শিমন পেরেজ।
ডিসেম্বর ২৭: ওয়াশিংটনের নিকটে ওয়াই প্ল্যান্টেশনে ইসরায়েলি-সিরীয় আলোচনা।
১৯৯৬ জানুয়ারি ৫: ইসরায়েলের আততায়ী হামলায় খুন হলেন হামাসের ওস্তাদ বোমানির্মাতা ইয়াহিয়া আয়াশ। জানুয়ারি ২১: ফিলিস্তিনে আইনসভা নির্বাচন ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত অনুষ্ঠিত হল। ফাতাহ এই নির্বাচনে হেসেখেলে জয়লাভ করে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হন ইয়াসির আরাফাত।
ফেব্রুয়ারি ২৫: হামাসের এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হামলা চালিয়ে জেরুসালেমে একটি বাস উড়িয়ে দিলেন।
মার্চ ২-৪: হামাসের চার চারটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৫৯ জন ইসরায়েলি নিহত হলেন। মার্চ ১৩: শার্ম আল-শেখে ২৭টি রাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল।
এপ্রিল ১১: দক্ষিণ লেবাননে অপারেশন গ্রেপস অফ র্যাথ লঞ্চ করল ইসরায়েল। এপ্রিল ২৪: ফিলিস্তিনি জাতীয় সনদে সংশোধনী আনল পিএনসি।
মে ২৯: ইসরায়েলি নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে পেরেজকে পরাজিত করে প্রথমবারের মত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু, যিনি বিবি নেতানিয়াহু নামে অধিক পরিচিত।
সেপ্টেম্বর ২৫: আল আকসা মসজিদের ভিত্তির কাছে ইসরায়েলের একটি টানেল খোলা নিয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ল।
নভেম্বর ১৩: কায়রোতে তৃতীয় মধ্যপ্রাচ্য অর্থনৈতিক সম্মেলন উদ্বোধন করা হল।
গঠিত হল বর্ণবাদবিরোধী ইহুদি সক্রিয়তাবাদীদের সংগঠন শান্তির জন্য ইহুদি মুখপত্র (জেভিপি)।
প্রকাশিত বই
কারেন আর্মস্ট্রং, জেরুসালেম: ওয়ান সিটি থ্রি ফেইথস।
কেইথ হোয়াইটলাম, দ্য ইনভেনশন অফ অ্যানসেইন ইসরায়েল: দ্য সাইলেন্সিং অফ প্যালেস্টাইনিয়ান হিস্ট্রি।
১৯৯৭ জানুয়ারি ১৫: সাক্ষরিত হল হেবরন প্রোটোকল।
মার্চ ১৮: পূর্ব জেরুসালেমের হার হোমায় ইহুদিদের ঘরবাড়ি নির্মাণ শুরু হল।
প্রকাশিত বই
নূর মাসালহা, আ ল্যান্ড উইদাউট আ পিপল।
১৯৯৮ মে ১৪: ইসরায়েল তার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করল।
অক্টোবর ২৩: ওয়াই রিভার মেমোরান্ডাম সই করলেন নেতানিয়াহু আর আরাফাত।
ডিসেম্বর ১৪: ইসরায়েলকে ধবংস করার লক্ষ্য পরিত্যাগ করল পিএনসি। ডিসেম্বর: ২০ ওয়াই রিভার মেমোরান্ডাম বাস্তবায়নের কাজ স্থগিত করল ইসরায়েল সরকার। ডিসেম্বর ২২: নতুন নির্বাচন আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিল নেসেট।
প্রকাশিত বই
জোনাথন তুব, কানানাইটস।
জিভ স্টার্নহেল, দ্য ফাউন্ডিং মিথস অফ ইসরায়েল: ন্যাশনালিজম, সোশালিজম, অ্যান্ড দ্য মেকিং অফ দ্য জিউইশ স্টেট।
রশিদ খালিদি, প্যালেস্টাইনিয়ান আইডেনটিটি: দ্য কন্সট্রাকশন অফ মডার্ন ন্যাশনাল কনশাসনেস।
১৯৯৯ ফেব্রুয়ারি ৭: জর্দানের রাজা হোসেনের মৃত্যু, স্থলাভিষিক্ত হলেন দ্বিতীয় আবদুল্লাহ।
মে ৪: চূড়ান্ত মর্যাদা-বিষয়ক আপোসরফার উপসংহারে পৌঁছানোর জন্য অসলো দুইয়ের ডেডলাইন নির্দিষ্ট করা হল। মে ১৭: ইসরায়েলি নির্বাচনে নেতানিয়াহুকে পরাজিত করলেন এহুদ বারাক, তাঁর নেতৃত্বে ক্ষমতায় এল শ্রমিক দল।
জুলাই ১১: গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে আরাফাতের সাথে সাক্ষাৎ করলেন বারাক। জুলাই ১৫: হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের সাথে সাক্ষাৎ করলেন বারাক।
সেপ্টেম্বর ৪: শার্ম আল-শেখ মেমোরান্ডামে সই করলেন বারাক আর আরাফাত।
প্রকাশিত বই
আভি শ্লাইম, দ্য আয়রন ওয়াল: ইসরায়েল অ্যান্ড দ্য আরব ওয়ার্ল্ড।
টমাস টমসন, দ্য বাইবেল ইন হিস্ট্রি: হাউ রাইটারস ক্রিয়েট আ পাস্ট।
২০০০ জানুয়ারি ৩-১০: পশ্চিম ভার্জিনিয়ার শেফার্ডসটাউনে ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনার সভাপতিত্ব করলেন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন।
মার্চ ২৬: জেনেভায় হাফেজ আল-আসাদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন। সম্মেলন ব্যর্থ হল। যাতে কার্যত ইসরায়েলি-সিরীয় ট্র্যাক বন্ধ হয়ে গেল।
মে ২৪: দক্ষিণ লেবানন থেকে নিজেকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করল ইসরায়েল, দুই দশকের সামরিক দখলদারিত্বের অবসান।
জুন ১০: সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট হাফেজ আল-আসাদের মৃত্যু, স্থলাভিষিক্ত হলেন বাশার আল-আসাদ।
জুলাই ১১-২৫: ক্যাম্প ডেভিড সম্মেলন।
সেপ্টেম্বর ২৮: অ্যারিয়েল শ্যারনের জেরুসালেমে আল-আকসা মসজিদ পরিদর্শন করাকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সূচনা।
ডিসেম্বর ২৩: প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন তাঁর শান্তি পরিকল্পনা পেশ করলেন।
প্রকাশিত বই
নূর মাসালহা, ইম্পেরিয়াল ইসরায়েল অ্যান্ড দ্য প্যালেস্টাইনিয়ানস: দ্য পলিটিকস অফ এক্সপানশন।
নরম্যান ফিঙ্কেলস্টেইন, দ্য হলোকাস্ট ইন্ডাস্ট্রি: রিফ্লেকশনস অন দ্য এক্সপ্লয়টেশন অফ জিউইশ সাফারিংস।
২০০১ জানুয়ারি ২০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন জর্জ বুশ জুনিয়র। জানুয়ারি ২১-২৭: ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মধ্যে তাবা সংলাপ।
ফেব্রুয়ারি ৬: নির্বাচনে এহুদ বারাককে পরাজিত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন অ্যারিয়েল শ্যারন, শ্রমিক দলের সাথে জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করলেন।
সেপ্টেম্বর ১১: ‘৯/১১’।
ইউনেস্কো মাসাদাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে স্বীকৃতি দিল।
প্রকাশিত বই
বেনি মরিস, রাইটিয়াস ভিকটিমস: আ হিস্টোরি অফ দ্য জায়োনিস্ট-আরব কনফ্লিক্ট।
২০০২ ইসরায়েল আর পশ্চিম তীরকে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা করে ফেলবে এমন একটা বেষ্টনী তৈরির নির্দেশ দিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন।
মার্চ ২৭: নেতানিয়ার পার্ক হোটেলে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৯ জনের মৃত্যু। মার্চ ২৮: বৈরুতে আরব লীগের সম্মেলনে অনুমোদন পেল সৌদি শান্তি উদ্যোগ।* মার্চ ২৯: ‘অপারেশন ডিফেন্সিভ শিল্ড’: ১৯৬৭ সালের পরে পশ্চিম তীরে সবচে বড় আকারের সামরিক অভিযান।
* এই উদ্যোগের সারকথা হচ্ছে: ইসরায়েল যদি ১৯৬৭ সালে অধিকৃত ভূখণ্ডগুলো থেকে পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করে, পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে রাজি থাকে, এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংকটের ন্যায্য সমাধান করে; তাহলে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে রাজি আছে আরব রাষ্ট্রগুলো।
জুন ২৪: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ জুনিয়র এক ভাষণে ইসরায়েলের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করবে এমন একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের কথা বললেন।
অক্টোবর ৩০: ইসরায়েলের জাতীয় ঐক্য সরকার থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিল শ্রমিক দল। নতুন দলনেতা নির্বাচিত হলেন আমরাম মিজনা।
প্রকাশিত বই
ইলান পাপ্পে, দ্য ইসরায়েল/প্যালেস্টাইন কোশ্চেন।
২০০৩ জানুয়ারি ২৮: ইসরায়েলে সাধারণ নির্বাচনে জিতে একটি ডানপন্থী সরকার গঠন করলেন অ্যারিয়েল শ্যারন।
মার্চ ১৬: রাফা-মিসর সীমান্তের কাছে এক ইসরায়েলি বুলডোজারের আঘাতে খুন হলেন মার্কিন সক্রিয়তাবাদী রাচেল কোরি। ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ধবংসকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছিলেন রাচেল। মার্চ ২০: ইরাকে হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।
এপ্রিল ৩০: শান্তি প্রতিষ্ঠার ‘রোড ম্যাপ’ ঘোষণা করল চতুষ্টয়ী। ফিলিস্তিনিরা কোন রিজার্ভেশন ছাড়াই গ্রহণ করে নিল।
মে ২৫: ‘রোড ম্যাপ’য়ের ব্যাপারে ১৪টা রিজার্ভেশন পেশ করল ইসরায়েল।
জুন ৩: শার্ম আল-শেখে প্রেসিডেন্ট বুশের সাথে আরব নেতাদের সম্মেলন। জুন ৪ ‘রোড ম্যাপ’ লঞ্চ করতে আকাবা সম্মেলন।
জুলাই ১৬: পশ্চিম তীরে বিচ্ছেদের বেষ্টনীর নির্মাণকাজ শুরু করল ইসরায়েল।
সেপ্টেম্বর ৬: ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আব্বাস। সেপ্টেম্বর ১১: ইসরায়েলি মন্ত্রীসভা আরাফাতকে “সরিয়ে দেয়ার” নীতিগত সিদ্ধান্ত নিল।
ডিসেম্বর ১: জেনেভায় অনানুষ্ঠানিক “শান্তি চুক্তি” সাক্ষরিত হল।
প্রকাশিত বই
নরম্যান ফিঙ্কেলস্টেইন, ইমেজ অ্যান্ড রিয়েলিটি অফ দ্য ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন কনফ্লিক্ট।
অ্যালান দারশোভিৎজ, দ্য কেইস ফর ইসরায়েল।
২০০৪ মার্চ ২২: ইসরায়েলি আততায়ীদের হাতে খুন হলেন হামাস নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন ও তাঁর উত্তরসূরী আবদুল আজিজ আল-রানতিসি।
এপ্রিল ১৪: শ্যারনের কাছে চিঠি লিখে ইসরায়েলের প্রতি বাড়তি কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করলেন প্রেসিডেন্ট বুশ।
নভেম্বর ১১: ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যু, স্থলাভিষিক্ত হলেন মাহমুদ আব্বাস।
ডিসেম্বর ১৮: গাজা থেকে একতরফাভাবে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেন শ্যারন।
আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা আদালত (আইসিজে) তার উপদেশমূলক মতামতে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের তৈয়ারকৃত বিচ্ছেদের বেষ্টনীকে অবৈধ ঘোষণা করল।
প্রকাশিত বই
জন রোজ, দ্য মিথস অফ জায়নিজম।
ইলান পাপ্প, আ হিস্ট্রি অফ মডার্ন প্যালেস্টাইন: ওয়ান ল্যান্ড, টু পিপলস।
২০০৫ জানুয়ারি ৯: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাহমুদ আব্বাস।
আগস্ট ১৫: মিসরের কাছ থেকে গাজা উপত্যকা দখল করার ৩৮ বছর পর সেখান থেকে একতরফাভাবে সেনা প্রত্যাহার করল ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনে শুরু হল বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাংশন মুভমেন্ট (বিডিএস)।
প্রকাশিত বই
গ্রেগরি হার্মস এবং টড এম. ফেরি, দ্য প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল: কনফ্লিক্ট আর বেসিক ইন্ট্রোডাকশান।
জ্যাকলিন রোজ, দ্য কোশ্চেন অফ জায়ন।
২০০৬ জানুয়ারি ৪: স্ট্রোক করে কোমায় চলে গেলেন অ্যারিয়েল শ্যারন। ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন এহুদ ওলমার্ট। জানুয়ারি ২৫: ফিলিস্তিনে সংসদীয় নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এল হামাস। ইসরায়েল গাজা উপত্যকার ওপর অবরোধ আরোপ করল। ফলে, ওপেন এয়ার প্রিজনয়ে পরিণত হল গাজা।* গাজা উপত্যকায় হামাস আর ফাতাহ সমর্থকদের সংঘাত।
মার্চ ২৮: ইসরায়েলি নির্বাচনে জয়লাভ করল কাদিমা দল।
এপ্রিল ১৪: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন এহুদ ওলমার্ট।
জুলাই-আগস্ট: দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধ।
প্রকাশিত বই
ইয়াকভ রাবকিন, আ থ্রেট ফ্রম উইদিন: আ সেঞ্চুরি অফ জিউইশ অপোজিশন টু জায়নিজম।
ইলান পাপ্পে, দ্য এথনিক ক্লিনজিং অফ প্যালেস্টাইন।
এলিশা এফরাত, দ্য ওয়েস্ট ব্যাংক অ্যান্ড গাজা স্ট্রিপ: আ জিওগ্রাফি অফ অকুপেশন অ্যান্ড ডিজএনগেইজমেন্ট।
ডিসেম্বর ২০০৬ – সেপ্টেম্বর ২০০৮ এহুদ ওলমার্ট ও মাহমুদ আব্বাসের গোপন আপোসরফা।
২০০৭ ফাতাহ আর হামাস নিজেদের মধ্যকার সংঘাতের অবসান ঘটিয়ে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করল। কিন্তু এই ঐক্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অচিরেই ফাতাহকে গাজা উপত্যকা থেকে তাড়িয়ে দেয় হামাস।
সেপ্টেম্বর: ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর (আইএএফ) হামলায় সিরিয়ার দেইর আজ-জোরের পারমাণবিক চুল্লি ধবংস হয়ে গেল।* সেপ্টেম্বর ১৯: ইসরায়েল ঘোষণা করল, দেশটির জন্য গাজা একটি “শত্রুভাবাপন্ন ভূখণ্ডে” পরিণত হয়েছে।
* ২০১৮ সালে এসে ইসরায়েল দায় স্বীকার করে।
ইসরায়েল গাজা উপত্যকার ওপর থাকা অবরোধ আরো জোরদার করল। মিসর তার গাজা সীমান্ত বন্ধ করে দিল। ফিলিস্তিনে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার গঠিত হল: পশ্চিম তীরে ফাতাহ আর গাজা উপত্যকায় হামাস।
নভেম্বর: ‘আনাপোলিস সম্মেলন’: মার্কিনীদের উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে প্রথমবারের মত ‘দুই রাষ্ট্র সমাধান’কে ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে হতে যাওয়া সব আলোচনার ভিত্তি নির্ধারণ করা হল।
প্রকাশিত বই
স্টুয়ার্ট রস, দ্য ইসরায়েলি-প্যালেস্টাইনিয়ান কনফ্লিক্ট।
জোয়েল কোভেল, ওভারকামিং জায়োনিজম: ক্রিয়েটিং আ সিঙ্গেল ডেমোক্রেটিক স্টেট ইন ইসরায়েল/প্যালেস্টাইন।
২০০৮ ডিসেম্বর: ‘অপারেশন কাস্ট লিড’: গাজায় মাসব্যাপী পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন চালাল ইসরায়েল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মত ইসরায়েল সফর করলেন জর্জ বুশ জুনিয়র। এহুদ ওলমার্ট ও মাহমুদ আব্বাসের সাথে সাক্ষাৎ করলেন। দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধ নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করল উইনোগ্রাদ কমিশন।
প্রকাশিত বই
ডেভিড লেশচ, দ্য আরব-ইসরায়েল কনফ্লিক্ট: আ হিস্ট্রি।
২০০৯ জানুয়ারি: ইসরায়েলের অফশোরে প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুতের সন্ধান মিলল।
ফেব্রুয়ারি: ইসরায়েলের নির্বাচনে ডানপন্থী দলগুলোর জয়লাভ। সরকার গঠন করল লিকুদ দল। দ্বিতীয় মেয়াদে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হলেন বিবি নেতানিয়াহু।
‘গোল্ডস্টোন প্রতিবেদন’: ইসরায়েলের গাজা আগ্রাসন নিয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিশন প্রতিবেদন দাখিল করল। প্রতিবেদনে দুই পক্ষকেই দায়ী করা হল।
প্রকাশিত বই
শ্লোমো স্যান্ড, [ইংরেজি অনুবাদ] দ্য ইনভেনশন অফ দ্য জিউইশ পিপল।
২০১০ তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল হামাসের প্রতি সহানুভূতি জানাল।
মে: ঘেরাও হয়ে থাকা গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া একটি নৌবহরে যোগদানের জন্য আইএইচএইচ হিউম্যানিটারিয়ান রিলিফ ফাউন্ডেশনের মদতপুষ্ট মাভি মার্মারাকে অনুমতি দিল তুরস্ক। ইসরায়েল মাভি মার্মারায় হামলা চালালে তাতে ৯ জন নিরস্ত্র তুর্কি নাগরিক খুন হন। এই ঘটনার ফলে তুরস্ক ও ইসরায়েলের মধ্যে পূর্বেকার উষ্ণ সম্পর্ক শীতল হয়ে ওঠে।
সেপ্টেম্বর: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সংলাপ শুরু হলেও অধিকৃত ভূখণ্ডের অবৈধ ইহুদি বসতি প্রশ্নে তা ভেস্তে যায়।
প্রকাশিত বই
নোয়াম চমস্কি ও ইলান পাপ্পে, গাজা ইন ক্রাইসিস: রিফ্লেকশন অফ ইসরায়েল’স ওয়ার অ্যাগেইনস্ট দ্য প্যালেস্টাইনিয়ানস।
২০১১ জানুয়ারি: ‘দ্য প্যালেস্টাইন পেপারস’: আল জাজিরা এহুদ ওলমার্ট আর মাহমুদ আব্বাসের গোপন আপোসরফার বিষয়বস্তু উন্মোচন করে দিল।*
* দুই নেতা বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়েছিলেন। এগুলো ছিল: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের বেসামরিকীকরণ; ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী সীমান্তে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন; জেরুসালেমকে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে ভাগ করে নেয়া এবং এর পবিত্র ধর্মীয় স্থানগুলোর দেখভাল করার জন্য একটা আন্তর্জাতিক সমিতি গঠন করা; এবং ১০ হাজার ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুর ইসরায়েলে ফিরে আসা এবং বাকিদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। মূল মতবিরোধের জায়গাটা ছিল পশ্চিম তীরের ইসরায়েলি সীমানাভুক্তিকরণের মাত্রা নিয়ে। ভূখণ্ড ভাগাভাগির এই খেলায় উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পাওয়ার আশা করছিলেন। কিন্তু বেশ কিছু কারণে তাঁরা ব্যর্থ হন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হল: ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, দুর্নীতির দায়ে ওলমার্টের দোষী সাব্যস্ত হওয়া, এবং ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নেসেট নির্বাচনে বিবি নেতানিয়াহু ও লিকুদ দলের বিজয়। সংলাপ যেখানে শেষ হয়েছিল, বিবি সেখান থেকে পুনরায় আরম্ভ করতে অস্বীকৃতি জানান।
সেপ্টেম্বর ২৩: জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হতে আবেদন করল ফিলিস্তিন। আবেদন খারিজ হল। তবে এবছরই ইউনেস্কোর সদস্যপদ লাভ করে ফিলিস্তিন।
জার্মানি ও মিসরের মধ্যস্ততায় ১০২৭ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে মুক্তিপ্রদানের বিনিময়ে ইসরায়েলি সৈনিক গিলাদ শালিতকে ছেড়ে দিল হামাস।
প্রকাশিত বই
সাইমন সেবাগ মন্টেফিওরি, জেরুসালেম:আ বায়োগ্রাফি।
২০১২ ‘কায়রো চুক্তি’: কাতার, ফাতাহ, ও হামাসের মধ্যে সই হল।
নভেম্বর ১৪: ‘অপারেশন পিলার অফ ডিফেন্স’: ইসরায়েলি শহরগুলোতে গাজাভিত্তিক সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর রকেট হামলা বৃদ্ধি পাওয়ার অজুহাতে অধিকৃত গাজায় সামরিক আগ্রাসন চালাল ইসরায়েল। নভেম্বর ২৯: জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে ‘অসদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ মর্যাদা প্রদান করল।*
* এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে একটি মাইলফলক।
প্রকাশিত বই
অ্যান্টনি লার্মেন, দ্য মেকিং অ্যান্ড আনমেকিং অফ আ জায়োনিস্ট: আ পার্সোনাল অ্যান্ড পলিটিকাল জার্নি।
জুডিথ বাটলার, পার্টিং ওয়েজ: জিউইশনেস অ্যান্ড দ্য ক্রিটিক অফ জায়োনিজম।
নুরিত পেলেদ-এলহানান, প্যালেস্টাইন ইন ইসরায়েলি স্কুল বুকস: ইডিওলজি অ্যান্ড প্রোপাগাণ্ডা ইন এডুকেশন।
নূর মাসালহা, দ্য প্যালেস্টাইন নাকবা: ডিকলোনাইজিং হিস্টোরি, ন্যারেটিং দ্য সাবঅল্টার্ন, রিক্লেইমিং মেমোরি।
রবার্ট ও. ফ্রিডম্যান (সম্পা.), ইসরায়েল অ্যান্ড দ্য ইউনাইটেড স্টেটস: সিক্স ডিকেডস অফ ইউএস-ইসরায়েল রিলেশনস।
সারাহ আয়ারভিং, লেয়লা খালেদ: আইকন অফ প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন।
২০১৩ জানুয়ারি-মার্চ: জানুয়ারিতে ইসরায়েলের নির্বাচনে দেশটির দুনিয়াবি ও মধ্যপন্থী দলগুলো ভালো করায় মার্চে সরকারে থাকা ধর্মীয় দলগুলোকে প্রথমোক্তদের দ্বারা প্রতিস্থাপিত করলেন বিবি নেতানিয়াহু।
জুলাই: যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইসরায়েলের সাথে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংলাপ শুরু হল, কিন্তু কোন পক্ষই কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারল না।
ডিসেম্বর: লোহিত সাগর থেকে পানি পাম্প করে মৃত সাগরকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জন্য ইসরায়েল, জর্দান, ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি সই করল।
প্রকাশিত বই
মার্টিন বান্টন, দ্য ইসরায়েলি-প্যালেস্টাইনিয়ান কনফ্লিক্ট: আ ভেরি শর্ট ইন্ট্রোডাকশন।
নূর মাসালহা, দ্য জায়োনিস্ট বাইবেল: বিবলিকাল প্রিসিডেন্ট, কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড দ্য ইরেজার অফ মেমোরি।
শ্লোমো স্যান্ড [ইংরেজি অনুবাদ], দ্য ইনভেনশন অফ দ্য ল্যান্ড অফ ইসরায়েল।
২০১৪ জানুয়ারি: ইসরায়েলের জ্বালানি ও পানি মন্ত্রী সিলভান শালোম আবু ধাবিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক একটি সম্মেলনে অংশ নিলেন।
মার্চ মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে হামাসের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল মিসর।
এপ্রিল: পিএলওর সবচেয়ে বড় দল ফাতাহ ও হামাস জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করতে রাজি হল। শিগগিরই ফাতাহ অভিযোগ করল, হামাসের একটি পৃথক মন্ত্রীসভা গাজা শাসন করা অব্যাহত রেখেছে।
জুলাই-আগস্ট: ‘অপারেশন প্রটেকটিভ এজ’: ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার জবাব দেয়ার অজুহাতে গাজায় বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল। ৫০ দিনে ৫০০রও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু। আগস্ট: মিসরের মধ্যস্ততায় গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের অবসান হল।
ডিসেম্বর: অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের সাথে সংঘাতের সময় শহিদ হলেন জিয়াদ আবু এইন।
অ্যারিয়েল শ্যারনের মৃত্যু।
প্রকাশিত বই
জাঁ-পিয়েরে ফিলিউ, গাজা: আ হিস্ট্রি।
২০১৫ মার্চ-মে: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিবি নেতানিয়াহু নির্বাচনে জিতে ডানপন্থী দল বায়িত ইয়েহুদির সাথে জোট গঠন করলেন।
জুন ২৬: ভ্যাটিকান ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করল, এতে ইসরায়েল ব্যাপক ক্ষোভ প্রদর্শন করে।
অক্টোবর: অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি আরব বন্দুকধারীর গুলিতে খুন হলেন এক ইসরায়েলি দম্পতি।
নভেম্বর: অধিকৃত পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতি থেকে আসা যে কোন পণ্যকে ‘ইসরায়েল থেকে আসা’ পণ্যের বদলে ‘ইহুদি বসতি থেকে আসা’ পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিল ইওরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইসরায়েল ইইউ’র কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ স্থগিত করল। উল্লেখ্য, ইইউ’ইয়ের মধ্যস্ততায় ফিলিস্তিনিদের সাথে সংলাপ চলছিল।
প্রকাশিত বই
অ্যাশলে ডাউসন ও বিল ভি. মুলেন (সম্পা.), অ্যাগেইন্সট অ্যাপার্টহেইড: দ্য কেইস ফর বয়কটিং ইসরায়েলি ইউনিভার্সিটিজ।
ফিলিস বেনিস, আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্য প্যালেস্টাইনিয়ান-ইসরায়েলি কনফ্লিক্ট: আ প্রিমিয়ার।
মোহাম্মেদ ওমের, শেল-শকড: অন দ্য গ্রাউন্ড আন্ডার ইসরায়েলস গাজা অ্যাসল্ট।
রেমি কানাজি, বিফোর দ্য নেক্সট বম্ব ড্রপস: রাইজিং আপ ফ্রম ব্রুকলিন টু প্যালেস্টাইন।
সিয়ান জ্যাকবস ও জন সোসকে (সম্পা.), অ্যাপার্টহেইড ইসরায়েল: দ্য পলিটিকস অফ অ্যান অ্যানালজি।
স্টিভেন সালাইতা, আনসিভিল রাইটস: প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য লিমিটস অফ অ্যাকাডেমিক ফ্রিডম।
২০১৬ জুন: তুরস্ক ও ইসরায়েল ২০১০ সালের ঘটনার ব্যাপারে একটা সমঝোতায় এসে সম্পর্ক স্বাভাবিক করল।
সেপ্টেম্বর: যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার ইসরায়েলকে পরবর্তী দশ বছরে ৩৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের সামরিক সহায়তা প্রদানের চুক্তি করল।
ডিসেম্বর: অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইহুদি বসতিনির্মাণের বিরোধিতা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিল ১২টি দেশ। ইসরায়েল তাদের সাথে কার্যত সম্পর্ক ছিন্ন করল। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথমবারের মত এহেন প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার বদলে ভোটদান থেকে বিরত থাকল।
ছয় দফা শান্তি পরিকল্পনা ইস্যু করলেন জন কেরি। নেতানিয়াহুর জোটে যোগ দিল ডানপন্থী ইসরায়েল বেইতেনু দল। ইন্টারন্যাশনাল হলোকাস্ট রিমেম্ব্রেন্স অ্যালায়েন্স (আইএইচআরএ) ইহুদিবিদ্বেষের একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করল, যা দি আইএইচআরএ ডেফিনিশন হিসেবে পরিচিতি পায়।
প্রকাশিত বই
অ্যাঞ্জেলা ডেভিস, ফ্রিডম ইজ আ কন্সট্যান্ট স্ট্রাগল: ফার্গুসন, প্যালেস্টাইন, অ্যান্ড দ্য ফাউন্ডেশনস অফ আ মুভমেন্ট।
হেলগা তাওয়িল-সুরি ও দিনা মাতার (সম্পা.), গাজা অ্যাজ মেটাফোর।
২০১৭ ফেব্রুয়ারি: ইসরায়েলি সংসদে একটি আইন পাশ হল, যা পশ্চিম তীরে ব্যক্তিমালিকানাধীন ফিলিস্তিনি জমি দখল করে বানানো কয়েক ডজন অবৈধ ইহুদি বসতিকে retroactively বৈধতাপ্রদান করল।
জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের নবি সালেহ গ্রামের আহেদ তামিমী দখলদার ইসরায়েলি সৈনিকের গালে চড় মেরে গ্রেপ্তার হলেন।
জুন: পশ্চিম তীরে আড়াই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মত নতুন ইহুদি বসতিস্থাপনের কাজ শুরু হল।
অক্টোবর: গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরিত করার উদ্দেশ্যে একটি সমন্বয়সাধন চুক্তিতে সই করল হামাস, কিন্তু বিবাদের কারণে এই চুক্তির বাস্তবায়ন থমকে গেল।
ডিসেম্বর: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনি ও ফিলিস্তিনপন্থীদের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে জেরুসালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী বলে স্বীকৃতি দিলেন।
ইউনেস্কো হেবরনের ওল্ড সিটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে স্বীকৃতি দিল।
প্রকাশিত বই
ইলান পাপ্পে, দ্য বিগেস্ট প্রিজন অন আর্থ: আ হিস্ট্রি অফ দ্য অকুপাইড টেরিটোরিজ।
জিউইশ ভয়েস ফর পীস, অন এন্টাইসেমিটিজম: সলিডারিটি অ্যান্ড দ্য স্ট্রাগল ফর জাস্টিস।
মিয়া গুয়ারনিয়েরি জারাদাত, দ্য আনচুজেন: দ্য লাইভস অফ ইসরায়েলস নিউ আদার্স।
রিচার্ড ফাল্ক, প্যালেস্টাইন’স হরাইজন: টুওয়ার্ড আ জাস্ট পীস।
শির হেভের, দ্য প্রাইভেটাইজেশন অফ ইসরায়েলি সিকিউরিটি।
২০১৮ গোলান উপত্যকায় ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের দাবিকে স্বীকৃতিপ্রদান করলেন ট্রাম্প। ১৯৬৭ সালের জুন যুদ্ধের সময় সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান উপত্যকা দখল করে নিয়েছিল ইসরায়েল, পরে নিজ সীমানাভুক্ত করেছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গোলান উপত্যকার ওপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের দাবি স্বীকার করে না।
মার্চ: ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লা গাজা সফর করলেন। সেখানে তাঁর কাফেলার মানুষেরা ভাগ্যক্রমে এক সড়কপার্শ্বের বোমা হামলা থেকে বেচে যান। গাজা সীমান্তে সহিংসতা বৃদ্ধি পেল, আর এই অজুহাতে অধিকৃত গাজায় আগ্রাসন চালাল ইসরায়েল।
জুলাই-নভেম্বর: জাতিসংঘ ও মিসরের মধ্যস্ততায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই।
ইসরায়েল আনুষ্ঠানিক ভাষাতালিকা থেকে আরবিকে অপসারণ করল।
প্রকাশিত বই
এমি কাপলান, আওয়ার আমেরিকান ইসরায়েল: দ্য স্টোরি অফ অ্যান এনট্যাঙ্গেলড অ্যালায়েন্স।
হিদার মরিস, দ্য ট্যাটুইস্ট অফ আউশভিৎজ।
বেন হোয়াইট, ক্র্যাকস ইন দ্য ওয়াল: বিয়োন্ড অ্যাপার্টহেইড ইন প্যালেস্টাইন/ইসরায়েল।
২০১৯ নভেম্বর: যুক্তরাষ্ট্র সরকার জানাল, তারা পশ্চিম তীরের ইহুদি বসতিগুলোকে আর অবৈধ গণ্য করে না।
তিনটি আলাদা আলাদা মামলায় ঘুষ নেয়া, জোচ্চুরি, আর আস্থা ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হলেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
প্রকাশিত বই
এডওয়ার্ড সাঈদ ও ডেভিড বারসামিয়ান, কালচার অ্যান্ড রেজিস্ট্যান্স।
মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি
হাগাই লেভি, জোসেফ সেডার, ও তৌফিক আবু-ওয়াইলি, আওয়ার বয়েজ।
২০২০ এপ্রিল: কোভিড মহামারীর বিস্তার রুখতে একটি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করলেন বিবি নেতানিয়াহু ও বেনি গানজ।
আগস্ট: প্রথম উপসাগরীয় রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
বাহরাইন আর ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের ঘোষণা দিল।
প্রকাশিত বই
রশিদ খালিদি, দ্য হান্ড্রেড ইয়ার্স’ ওয়ার অন প্যালেস্টাইন: আ হিস্ট্রি অফ সেটেলার কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড রেজিস্ট্যান্স, ১৯১৭-২০১৭।
সিয়ান ডারবিন, রাইটিয়াস জেন্টাইলস: রিলিজিয়ন, আইডেন্টিটি, অ্যান্ড মিথ ইন জন হাগিজ ক্রিশ্চিয়ানস ফর ইউনাইটেড ইসরায়েল।
সুমাইয়া আওয়াদ ও ব্রায়ান বিয়ান (সম্পা.), প্যালেস্টাইন: আ সোশ্যালিস্ট ইন্ট্রোডাকশন।
হামিদ দাবাশি, অন এডওয়ার্ড সাঈদ: রিমেম্ব্রেন্স অফ থিংস পাস্ট।
মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি
মাইকেল পেট্রনি, মেসিয়াহ।
২০২১ শেখ জাররা আন্দোলনের সূত্র ধরে গাজায় ইসরায়েলি বিমানহামলায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু। এদের মধ্যে ৬৭ জন ফিলিস্তিনি শিশু। মিসরের মধ্যস্ততায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সাক্ষরিত।
ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করল কসোভো, জেরুসালেমে নিজস্ব দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিল।
ইহুদিবিদ্বেষ প্রসঙ্গে জেরুসালেম ঘোষণা (জেডিএ) প্রকাশিত হল, যেখানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোন অবস্থান ইহুদিবিদ্বেষী আর কোন অবস্থান ইহুদিবিদ্বেষী নয় তা নির্ধারিত হল।
মে: পূর্ব জেরুসালেম থেকে ফিলিস্তিনিদের জবরদস্তিমূলকভাবে উৎখাত করার কারণে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ল। ইসরায়েল রাষ্ট্রের সাথে হামাসের সংঘাত দেখা দিল। ইওরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রথম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি ভূমির de facto annexationয়ের নিন্দা জানিয়ে সংসদে আনা প্রস্তাবের পক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিলেন আইরিশ সংসদ সদস্যরা।
জুন: বিবি নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য একটি বিশাল ঐক্যজোট গঠন করলেন ইহুদি জাতীয়তাবাদী ইয়ামিনা দলের নেতা নাফতালি বেনেত।
প্রকাশিত বই
জেফ হ্যাল্পার, ডিকলোনাইজিং ইসরায়েল, লিবারেটিং প্যালেস্টাইন: জায়োনিজম, সেটেলার কলোনিয়ালিজম, অ্যান্ড দ্য কেইস ফর ওয়ান ডেমোক্রেটিক স্টেট।
ডায়ানা অ্যালেন (সম্পা.), ভয়েসেস অফ দ্য নাকবা: আ লিভিং হিস্ট্রি অফ প্যালেস্টাইন।
মোহাম্মদ এল-কুর্দ, রিফকা।
সারা রয়, আনসাইলেন্সিং গাজা: রিফ্লেকশনস অন রেজিস্ট্যান্স।
প্রকাশিত প্রতিবেদন
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ), আ থ্রেশহোল্ড ক্রসড: ইসরায়েলি অথোরিটিজ অ্যান্ড দ্য ক্রাইমস অফ অ্যাপার্টহেইড অ্যান্ড পারজিকিউশন।
মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি
বারলেট শের, অসলো।
২০২২ মে ১১: এক ইসরায়েলি সৈনিকের গুলিতে খুন হলেন ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ও আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ।
প্রকাশিত প্রতিবেদন
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইসরায়েল’স অ্যাপার্টহেইড অ্যাগেইনস্ট প্যালেস্টাইনিয়ানস: আ ক্রুয়েল সিস্টেম অফ ডমিনেশন অ্যান্ড আ ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট হিউম্যানিটি।
প্রকাশিত বই
অ্যান্টনি লার্মেন, হোয়াটএভার হ্যাপেন্ড টু এন্টাইসেমিটিজম?: রিডেফিনিশন অ্যান্ড দ্য মিথ অফ দ্য ‘কালেকটিভ জিউ’।
জেহাদ আবুসালিম, জেনিফার বিং, ও মাইক মেরিম্যান-লোতজে (সম্পা.), লাইট ইন গাজা: রাইটিংস বর্ন অফ ফায়ার।
নূর হিন্দি, ডিয়ার গড। ডিয়ার বোনস। ডিয়ার ইয়েলো।
সাই এঙ্গলেহার্ট, সেটেলার কলোনিয়ালিজম: অ্যান ইন্ট্রোডাকশন।
২০২৩ জানুয়ারি: ইসরায়েলি বাহিনী এক শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়ে ৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দুকধারী ও ২ জন বেসামরিক নাগরিককে খুন করল। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসলামিক জিহাদ ইসরায়েলের দিকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিঃক্ষেপ করল, যাতে কোন বেসামরিক নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হননি। ইসরায়েল এর প্রতিক্রিয়ায় গাজায় বিমান হামলা চালাল।
অক্টোবর ৭: ইসরায়েলে হামলা চালাল ইরান-সমর্থিত ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস।
গাজা গণহত্যা শুরু।
প্রকাশিত প্রতিবেদন
ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস ইসরায়েল, সেক্সুয়াল অ্যান্ড জেন্ডার-বেজড ভায়োলেন্স অ্যাজ আ উইপন অফ ওয়ার: ডিউরিং দ্য অক্টোবর ৭, ২০২৩ হামাস অ্যাটাকস।
প্রকাশিত বই
আজাদ এসসা, হোস্টাইল হোমল্যান্ডস: দ্য নিউ অ্যালায়েন্স বিটউইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড ইসরায়েল।
ঘাদা কারমি, ওয়ান স্টেট: দি অনলি ডেমোক্রেটিক ফিউচার ফর প্যালেস্টাইন-ইসরায়েল।
নাদা এলিয়া, গ্রেটার দ্যান দ্য সাম অফ আওয়ার পার্টস: ফেমিনিজম, ইন্টার/ন্যাশনালিজম অ্যান্ড প্যালেস্টাইন।
দেবোরা লিপস্টেড, গোল্ডা মেয়ার: ইসরায়েলস ম্যাট্রিয়ার্ক।
সাই এঙ্গেলহার্ট, মিশাল শাতজ, ও রোজি ওয়ারেন (সম্পা.), ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি: এসেজ ফর আ ফ্রি প্যালেস্টাইন।
২০২৩-২৪ অক্টোবর ৭-জুন ৪: ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা ১,১৩৯ জন। গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩৬,৫৫০ জন। অধিকৃত পশ্চিম তীরে মৃতের সংখ্যা ৫২৭ জন।
মহাফেজখানা
+972 Magazine
Interactive Encyclopedia of the Palestinian Question
Jewish Voice for Peace
Jewish Women’s Archive
Mondoweiss
Physicians for Human Rights Israel (PHRI)
তথ্যসূত্র
বইপত্র
বেইনিন, জোয়েল, ও হাজ্জার, লিসা। ২০২৪। ফিলিস্তিন, ইসরায়েল, ও মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। ঈশিকা জাহান মুন ও ইরফানুর রহমান রাফিন কর্তৃক অনূদিত। ঢাকা: স্বরে অ।
রাফিন, ইরফানুর রহমান। ২০২২। সময়রেখা: মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে করোনাসংকট পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ঘটনাপঞ্জি। ঢাকা: দিব্যপ্রকাশ।
Asbridge, Thomas. 2010. The Crusades: The Authoritative History of the War for the Holy Land. New York: Ecco.
Blumberg, Arnold. 1998. The History of Israel. Westport, Connecticut: Greenwood Press.
Brown, Stephen F.. 2009. Protestantism. 3rd ed. New York: Chelsea House.
Brown, Stephen F., and Anatolias, Khaled. 2009. Catholicism & Orthodox Christianity. 3rd ed. New York: Chelsea House.
Gordon, Matthew S.. 2009. Islam. 4th ed. New York: Chelsea House.
Harms, Gregory with Ferry Todd M. 2017. The Palestine-Israel Conflict: A Brief Introduction. 4th ed. London: Pluto Press.
Masalha, Nur. 2018. Palestine: A Four Thousand Year History. London: Zed.
Montefiore, Simon Sebag. 2011. Jerusalem: The Biography. London: Weidenfeld & Nicolson.
Morrisson, Martha A. and Brown, Stephen F.. 2009. Judaism. 4th ed. New York: Chelsea House.
Reich, Bernard. 2008. A Brief History of Israel. 2nd ed. New York: Facts on File.
Shlaim, Avi. 2014. The Iron Wall: Israel and the Arab World. 2nd ed. New York: W. W. Norton & Company.
Zeigler, Donald J. 2007. Israel. 2nd ed. New York: Chelsea House.
সংবাদপত্র ও সাময়িকপত্র
AJLabs
BBC
Haaretz
Intercept
Reuters
অন্যান্য
Haymarket Books
World History Encyclopedia
ONCHR
Oxford Reference
Pluto Press
Verso
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি