
সাইপ্রাস
Featured Image: Wikipedia Commons.

পূর্বসাল
২৫০০-১১০০ সাইপ্রাসে ব্রোঞ্জ যুগ।
১৬০০-১২০০ মিসর ও সাইপ্রাসের সাথে উগারিতের ঘনিষ্ঠতার কাল।
৭০৯-৬৯৯ অ্যাসিরীয় সাম্রাজ্যকে খাজনা প্রদান করছে সাইপ্রাস।
৫৬০-৪৬ মিসরীয় সাম্রাজ্যকে খাজনা প্রদান করছে সাইপ্রাস।
৫৪৬ পারসিকরা সিপ্রিয়ট নেতাদের আহবানে সাইপ্রাস দখল করল।
৪৭৮ স্পার্টার সেনাপতি পজানিয়াস সাইপ্রাস ও বাইজান্টিয়াম দখল করে নিল।
৩২৩ ম্যাকিদোনিয়ার সিকান্দার শার মৃত্যুতে সাইপ্রাস টলেমীয় সাম্রাজ্যের অংশ হয়ে গেল।
৫৮ পূর্বসাল-৬৪৮ সাল এ সময় সাইপ্রাস রোমক সাম্রাজ্যের প্রদেশ ছিল।
৬ পূর্বসাল-৩০ সাল বর্তমান ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে জন্ম নেয়া খ্রিস্টধর্মের* প্রাণকেন্দ্র জেসাস ক্রাইস্টের জীবনকাল।
সাল
১১৫-১৭ দ্বিতীয় ইহুদি-রোমক যুদ্ধে সাইপ্রাস ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল।
৫৭০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম।
৬৪৮-৯৬৫ আরব শাসনে সাইপ্রাস।
১১৯১ ইংল্যান্ডের ফরাসি রাজা রিচার্ড কয়ের দ্য লায়ন সাইপ্রাস দখল করলেন, তারপর নাইট টেম্পলারদের কাছে বিক্রি করে দিলেন।
১১৯২ গাই দ্য লুসিনানের কবজায় এল সাইপ্রাস।
১২৯৯-১৯২২ ওসমানি সুলতানশাহি।
১৪৭৩ সাইপ্রাস ভেনিসের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হল।
১৪৮৯ ভেনিস সাইপ্রাসে প্রত্যক্ষ শাসন প্রবর্তন করল।
১৫৭১ ওসমানি সুলতানশাহি সাইপ্রাস দখল করে নিল।
১৮৭৮ ওসমানি সুলতানশাহি ব্রিটিশদের কাছে সাইপ্রাসকে লিজ দিল, তবে কাগজেকলমে তা তুর্কিদের সাম্রাজ্যভুক্তই ছিল।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৪ ব্রিটিশরা সাইপ্রাসকে নিজেদের সাম্রাজ্যভুক্ত করে নিল।
১৯২৫ সাইপ্রাস একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হল।
১৯৩১ সিপ্রিয়টরা দ্বীপটির গভর্নমেন্ট হাউজে আগুণ ধরিয়ে দিলেন।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৫০ আর্চবিশপ হিসেবে নির্বাচিত হলেন তৃতীয় ম্যাকারিওস।
১৯৫৫ সাইপ্রাসকে মুক্ত করে গ্রিসের সাথে যুক্ত করার লক্ষ্যে গ্রিক সিপ্রিয়টরা ব্রিটিশ উপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধে নামলেন। ব্রিটিশ, গ্রিক, ও তুর্কিদের সম্মেলনে বোমা হামলা। তুরস্কে গ্রিকবিরোধী দাঙ্গা।
১৯৫৬ আর্চবিশপ ম্যাকারিওসকে সেশেলেসে নির্বাসিত করা হল।
১৯৫৯ আর্চবিশপ ম্যাকারিওস সাইপ্রাসে ফিরে এলেন ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন।
১৯৬০ সাইপ্রাস নিজের অধিকাংশ ভূখণ্ডের ওপর সার্বভৌমত্ব পেল, তবে দ্বীপটির দুটি সামরিক ঘাঁটির ওপর ব্রিটিশদের সার্বভৌমত্ব রয়ে গেল। গ্রিক ও তুর্কি সিপ্রিয়টরা একটি সংবিধান প্রণয়ন করতে রাজি হলেন। ট্রিটি অফ গ্যারান্টি, ব্রিটেন, গ্রিস, ও তুরস্ককে প্রয়োজনবোধে সাইপ্রাসে হস্তক্ষেপ করার অধিকার দিল।
১৯৬৩ ব্রিটিশদের মদতে আর্চবিশপ ম্যাকারিওস তাঁর ১৩ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন। সংবিধান সংশোধন এই পরিকল্পনার অংশ ছিল, যা তুর্কি সিপ্রিয়টদের মধ্যে বৈষম্যের শিকার হওয়ার আতঙ্ক তৈরি করল। দেশটিতে সাম্প্রদায়িক গোলযোগের সূচনা হল।
১৯৬৪ সাইপ্রাস নিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হলেও সোভিয়েত ও মার্কিন চাপে তা এড়ানো গেল। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হল। তুর্কি সিপ্রিয়টরা দ্বীপটির সুরক্ষিত ছিটমহলগুলোয় আশ্রয় নিল।
১৯৬৭ গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে আবার যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে গ্রিস সাইপ্রাস থেকে সেনাপতি গ্রিভাস ও তাঁর ১২০০০ সৈনিককে প্রত্যাহার করল।
১৯৭৩ নভেম্বর ১৭ এথেন্সে বিক্ষোভ। পর্দার অন্তরালে ক্ষমতা দখল করলেন সেনাপতি আয়োনিডাস। সামরিক জান্তার শাসনের শুরুয়াত।
১৯৭৪ গ্রিসের সামরিক জান্তা প্রেসিডেন্ট ম্যাকারিওসের বিরুদ্ধে একটি ক্যুদেতায় মদত যোগালে তিনি পালিয়ে গেলেন। কিছুদিনের মধ্যে দ্বীপটির উত্তরে তুর্কিদের আগমন ঘটল। তুর্কি বাহিনী দ্বীপটির এক-তৃতীয়াংশ দখল করে নিল। ১৯৬৩ সালে জাতিসংঘের বাহিনীগুলোর টানা “গ্রিন লাইন” মোটামুটিভাবে অনুসরণ করে সাইপ্রাসকে উত্তর দক্ষিণে পার্টিশনড করা হল। ১ লক্ষ ৬৫ হাজার গ্রিক সিপ্রিয়ট তুরস্কের দখলীকৃত উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে গেল, অন্যদিকে ৪৫ হাজার তুর্কি সিপ্রিয়ট দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে এল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাশ করল, যেখানে তুরস্ককে সাইপ্রাস থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলা হল। তুরস্ক বরাবরই তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছে।
১৯৭৫ তুর্কি সিপ্রিয়টরা একটি স্বাধীন প্রশাসন গঠন করল। রউফ দেঙ্কতাশ এই প্রশাসনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। ঠিক হল দ্বীপের দুই অংশে জনবিনিময় চলবে।
১৯৭৭ আর্চবিশপ ম্যাকারিওসের মৃত্যু। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন স্পাইরোস কিপ্রিয়ানু।
১৯৮৩ তুর্কি সিপ্রিয়টরা তুর্কি প্রজাতন্ত্র উত্তর সাইপ্রাস (টিআরএনসি) ঘোষণা করলেন।*
* জাতিসংঘের সদস্য-রাষ্ট্র নয়। তুরস্ক ছাড়া আর কেউ আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। সাইপ্রাস টিআরএনসির ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে থাকে।
১৯৯০ সাইপ্রাস ইওরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের জন্য আবেদন জানাল।
১৯৯৬ ইমিয়া ঘটনা, গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হল।
২০০২ সাইপ্রাস নিয়ে ‘আনান পরিকল্পনা’ ও ‘কোপেনহেগেন সম্মেলন’।
২০০৩ এপ্রিল তুর্কি ও গ্রিক সিপ্রিয়টরা তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মত “গ্রিন লাইন” পারাপার করল।
২০০৪ মে ১ ইওরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দিল সাইপ্রাস।
২০০৮ এপ্রিল নিকোশিয়ার গ্রিক ও তুর্কি অংশের মধ্যে প্রতীকী লেড্রা পথ পারাপার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল।
মুদ্রা হিসেবে ইওরো গ্রহণ করে নিল সাইপ্রাস।
২০১০ এপ্রিল টিআরএনসির নেতৃত্ব প্রতিযোগিতায় জিতলেন স্বতন্ত্রতাপন্থী দারবিশ এরোগলু।
২০১২ এপ্রিল সাইপ্রাস সরকারের প্রতিবাদ উপেক্ষা করে টিআরএনসির উপকূলে তেল গ্যাস উত্তোলনের জন্য খননকার্য শুরু করল তুরস্কের টার্কিশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন।
২০১৬ জানুয়ারি নববর্ষ উপলক্ষ্যে সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট নিকোস আনাস্তাসিয়াডিস ও টিআরএনসি নেতা মুস্তফা আকিনসি এক নজিরবিহীন যৌথ টেলিভিশন বক্তৃতা প্রদান করলেন।
২০২০ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন পুনরেকত্রীকরণ-বিরোধী জাতীয়তাবাদী এরসিন তাতার।
তথ্যসূত্র
BBC. 2022. “Cyprus profile – Timeline.” BBC, October 17.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17219505
European Union. n.d. “Cypres – EU Country Profile | European Union.” Accessed March 1, 2025.
https://european-union.europa.eu/principles-countries-history/eu-countries/cyprus_en
Loizides, Antonios. 2012. “Ancient Cyprus.” World History Encyclopedia. Last modified March 22. https://www.worldhistory.org/cyprus/.
Mallinson, William. 2005. Cyprus, a Modern History. London & New York: I. B. Tauris.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি