
বাহরাইন
Featured Image: Wikimedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ
পূর্বসাল
৩২০০-২০০ দিলমুন সভ্যতা।
পূর্বসাল ৪০০-৭০০ সাল এ সময় বাহরাইন তার গ্রিক নাম টাইলোস হিসেবে পরিচিত ছিল।
পূর্বসাল ৬-৩০ সাল বর্তমান ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে জন্ম নেয়া খ্রিস্টধর্মের প্রাণকেন্দ্র জেসাস ক্রাইস্টের জীবনকাল।
সাল
২০১-৪০০ বাহরাইনের বহু মানুষ খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করলেন।
৪০১-৫০০ নেস্টোরীয় খ্রিস্টানরা এ সময়ের মধ্যে থিতু হলেন বাহরাইনে থিতু হলেন।
৬৪০ হযরত মুহাম্মদ (সা.) বাহরাইনের শাসকের কাছে চিঠি লেখেন এবং তাঁকে ইসলাম কবুল করার দাওয়াত দেন। বাহরাইনের শাসক এই দাওয়াত কবুল করেন। দেশটির বাহরাইন নামটা আরব মুসলমান ভূগোলবিদদের দেয়া, এর অর্থ হচ্ছে ‘দুই সাগর’।
৬০১-৭০০ বাহরাইনে ইসলামের আগমন।
৮০১-১১০০ এ সময় বাহরাইন বিভিন্ন পারসিক সাম্রাজ্যের অংশ ছিল।
১৫০১-১৬০০ মশলা বাণিজ্যের ওপর নিজেদের একচেটিয়া কায়েম রাখতে একটি বাণিজ্য কুঠি হিসেবে বাহরাইনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করল পর্তুগিজরা।
১৬০২-১৭৮৩ পারসিক শাসন।
১৭৮৩ পারস্যের কাছ থেকে বাহরাইনকে মুক্ত করে তাঁর ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করল আল-খলিফা পরিবার।
১৮৬১ বাহরাইনের প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক সম্পর্কের দায়িত্বভার গ্রহণ করল ব্রিটেন।
১৮৮০ একটি ব্রিটিশ আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হল বাহরাইন।
১৯১৩ বাহরাইনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়ে ব্রিটেন আর ওসমানি সুলতানশাহির মধ্যে একটি চুক্তি সই হল।*
* তবে বাহরাইন ব্রিটিশ প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থেকে গেল।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৯ পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে সর্বজনীন ইশকুল ব্যবস্থা চালু করল বাহরাইন।
১৯৩১ জাবাল আল-দুখানে তেল আবিষ্কার করল ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানির (সোকাল) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাহরাইন পেট্রোলিয়াম কোম্পানি (বাপকো)।
১৯৩২ তেল উৎপাদন করতে শুরু করল বাপকো।
১৯৩৯ ব্রিটেন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হল যে, বাহরাইন ও কাতারের মধ্যবর্তী হাওয়ার দ্বীপপুঞ্জ বাহরাইনের বলে বিবেচিত হবে।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৬১ বাহরাইনের শাসক হলেন শেখ ইসা বিন সালমান আল খলিফা।
১৯৬৭ ব্রিটেন উপসাগরীয় অঞ্চলে তাঁর প্রধান নৌ ঘাঁটি এডেন থেকে সরিয়ে বাহরাইনে নিয়ে এল।
১৯৬৮ সুয়েজের পুবদিকের সব ঘাঁটি বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল ব্রিটিশরা।
১৯৭০ মে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হল, বাহরাইন ব্রিটেন বা ইরান কারো অধীনেই থাকতে চায় না, দেশটি স্বাধীনতা চায়। ইরানের শাহ বাহরাইনের ওপর দাবি ত্যাগ করলেন। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর ইরানে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে দেশটির নতুন শাসকরা শাহের এই দাবিত্যাগকে স্বীকৃতি দিতে নারাজি জানান।
১৯৭১ ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল বাহরাইন। ব্রিটিশদের সাথে একটি নতুন মৈত্রী চুক্তি করল। বাহরাইনের প্রথম আমির হলেন শেখ ইসা। দ্য কাউন্সিল অফ স্টেট মন্ত্রিপরিষদে পরিণত হল। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি গোপন চুক্তি করল বাহরাইন। চুক্তিটি মার্কিনীদের বাহরাইনে প্রাক্তন ব্রিটিশ ঘাঁটি ব্যবহার করার ও অঞ্চলটিতে স্থায়ী নৌ উপস্থিতি নিশ্চিত করার সুবিধা দিল। এভাবেই বাহরাইনের স্বাধীনতা যুক্তরাষ্ট্রের অধীনস্ত হয়ে গেল।
১৯৭৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ উপদেষ্টা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল।
১৯৭৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ খলিফা বিন-সালমান আল খলিফা অভিযোগ করলেন, জাতীয় সংসদ উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি কাজকর্মে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আমির পরিষদ তুলে দিলেন। ডিক্রি জারি করে দেশ চালানো শুরু করলেন।
১৯৮১ মে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের ৬টি রাষ্ট্র (বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ও সৌদি আরব) নিয়ে গঠিত হল গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)।
ডিসেম্বর হোজ্জাতুল ইসলাম হাদি আল-মুদাররিসির নেতৃত্বাধীন ইরানি মদতপুষ্ট ইসলামিক ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ বাহরাইনের ৭৩ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হল। গ্রেপ্তারকৃতদের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করা হল।
১৯৮৬ এপ্রিল কাতারি সেনারা ফাশত আল-দিবাল দ্বীপ দখল করে নিল।
জুন সৌদি আরবের মধ্যস্ততায় উক্ত দ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করল কাতার।
নভেম্বর বাহরাইনের সাথে সৌদি আরবের মূল ভূখণ্ড যুক্ত করা কিং ফাহাদ কজওয়ে চালু করা হল।
১৯৮৯ রোজমেরি সাঈদ জাহলান, দ্য মেকিং অফ দ্য মডার্ন গালফ স্টেটস: কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, দ্য ইউনাইটেড আরব এমিরাতস অ্যান্ড ওমান।
১৯৯০-৯৯ কাতারের সাথে সীমান্ত বিরোধে জড়িয়ে পড়ল বাহরাইন।
১৯৯১ জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) পেনিনসুলা শিল্ড ফোর্সের অংশ হিসেবে অপারেশন ডেজার্ট স্টর্মে অংশ নিল বাহরাইন।
অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তিতে সই করল বাহরাইন। বন্দর সুবিধাদি ব্যবহার ও যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণের পথ তৈরি হল।
১৯৯২ ডিসেম্বর ৩০ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হল। যারা নির্বাচিত না, আমির কর্তৃক মনোনীত হবেন। চার বছর মেয়াদে।
১৯৯৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হলেন শিয়া ধর্মযাজক শেখ আলি সালমান। তিনি বাহরাইনের শাসক পরিবারের সমালোচনা করেছিলেন এবং জাতীয় সংসদ পুনর্বহালের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁকে ব্রিটেনে নির্বাসিত করা হলে তিনি দেশটিতে আশ্রয় চাইলেন।
১৯৯৬ জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি মানামার ব্যবসায়িক কোয়ার্টারে বোমা বিস্ফোরণের ধারাবাহিকতায় শিয়া ধর্মযাজক শেখ আবদুল আমির আল-জামরিকে গ্রেপ্তার করা হল।
জুন বাহরাইন সরকার জানাল, ইরানি মদতপুষ্ট হিজবুল্লা-বাহরাইনের একটা ক্যুদেতা পরিকল্পনার ব্যাপারে তাঁরা জানতে পেরেছে। ইরান থেকে বাহরাইনি রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আনা হল।
১৯৯৭ এপ্রিল বাহরাইন পেট্রোলিয়াম কোম্পানির (বাপকো) একক মালিকানা লাভ করল বাহরাইন।
কন্সট্যান্টিন মাতভিভ, বাহরাইন: দ্য ড্রাইভ ফর ডেমোক্রেসি।
১৯৯৮ ইরাকের বিরুদ্ধে ইঙ্গ-মার্কিন বোমাবর্ষণ অভিযান অপারেশন ডেজার্ট ফক্সের জন্য সামরিক সহায়তা প্রদান করল বাইরাইন।
২০০০ বাহরাইনের আমির ৯০০ রাজবন্দীর প্রতি ক্ষমা ঘোষণা করলেন।
২০০১ রাজনৈতিক সংস্কার প্রশ্নে গণভোট আয়োজিত হল। বাহরাইনিরা প্রস্তাবের পক্ষে ব্যাপকভাবে ভোট দিলেন। যার অধীনে দেশটি সংসদের নির্বাচিত নিম্নকক্ষ ও স্বাধীন বিচার বিভাগসহ একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত হবে।
২০০৪ বাহরাইনের প্রথম নারী মন্ত্রী হলেন নাদা হাফফাদ।
২০০৮ মে যুক্তরাষ্ট্রে বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ পেলেন হুদা নোনো। তিনি একজন ইহুদি। ধারণা করা হয়, হুদা আরব বিশ্বের প্রথম ইহুদি রাষ্ট্রদূত।
২০১০ অ্যান্ড্রু এম. গার্ডনার, সিটি অফ স্ট্রেঞ্জার্স: গালফ মাইগ্রেশন অ্যান্ড দ্য ইন্ডিয়ান কমিউনিটি ইন বাহরাইন।
২০১১ মধ্যপ্রাচ্যে আরব বসন্ত।
ফেব্রুয়ারি রাজধানী মানামায় হাজার হাজার প্রতিবাদী জমায়েত হলেন। তিউনিশিয়া ও মিসরের বিদ্রোহ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে। ব্যাপক ক্র্যাকডাউনে একাধিক প্রতিবাদীর মৃত্যু হয়।
মার্চ বিদ্রোহ দমনে সৌদি আরবের সহায়তা চাওয়া হল। সামরিক আইন জারি। গণতন্ত্রপন্থী অ্যাকটিভিস্টদের ওপর ভয়াবহ দমনপীড়ন চালানো হল।
আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল পার্ল মনুমেন্ট গুঁড়িয়ে দেয়া হল।
এপ্রিল দুইটি শিয়া-সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা হল।
নভেম্বর বাহরাইন সরকার স্বীকার করল, গণতন্ত্রপন্থীদের বিরুদ্ধে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীগুলো “মাত্রাতিরিক্ত বল” প্রয়োগ করেছে।
২০১২ মিরিয়াম জয়েস, বাহরাইন ফ্রম দ্য টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি টু দ্য আরব স্প্রিং।
২০১৩ টবি ম্যাথিয়েসেন, সেক্টারিয়ান গালফ: বাহরাইন, সৌদি অ্যারাবিয়া, অ্যান্ড দ্য আরব স্প্রিং দ্যাট ওয়াজন’ন্ট।
২০১৫ আলাআ শিহাবি ও মার্ক ওয়েন জোনস (সম্পাদিত), বাহরাইনস আপরাইজিং: রেজিস্ট্যান্স অ্যান্ড রিপ্রেশন ইন দ্য গালফ।
লিসা উরকেভিচ, মিউজিক অ্যান্ড ট্র্যাডিশনস অফ দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা: সৌদি অ্যারাবিয়া, কুয়েত, বাহরাইন, অ্যান্ড কাতার।
২০১৮ এপ্রিল ৮০ বছরের মধ্যে দেশের বৃহত্তম তেলক্ষেত্রটি আবিষ্কার করল বাহরাইন।
নভেম্বর বাহরাইনের প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র কাতারের হয়ে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগে বিরোধী দলীয় নেতা ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আল ওয়েফাক পার্টির নেতা শেখ আলি সালমানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করল বিচারটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
২০১৯ ওমর এইচ. আলশিহাবি, কনটেস্টেড মডার্নিটি: সেক্টারিয়ানিজম, ন্যাশনালিজম, অ্যান্ড কলোনিয়ালিজম ইন বাহরাইন।
২০২০ মার্ক ওয়েন জোনস, পলিটিকাল রিপ্রেশন ইন বাহরাইন।
২০২৪ জুন ১২ মানামা সৌকে আগুন লেগে ২৫টা দোকান পুড়ে গেল, জখম হলেন একাধিক ব্যক্তি।
সেপ্টেম্বর ৪ বাদশা হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা তাঁর রাজ্যাভিষেকের রজত জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ৪৫৭ জন বন্দীর উদ্দেশ্যে ক্ষমা ঘোষণা করেন।
তথ্যসূত্র
BBC. 2023. “Bahrain country profile” BBC, August 21.
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-14540571
— 2018. “Bahrain profile – Timeline.” BBC, November 12.
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-14541322
Gillespie, Carol Ann. 2002. Bahrain. Chelsea House.
Times, Torn W. Finney Special to The New York. 1972. “U.S. Agreement with Bahrain to Set up Navy Base Disclosed.” The New York Times, January 6, sec. Archives. https://www.nytimes.com/1972/01/06/archives/us-agreement-with-bahrain-to-set-up-navy-base-disclosed-us-will-set.html.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি



