থাইল্যান্ড

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Thailand. Administrative Divisions. 2013.

Courtesy: The Perry-Castañeda Library Map Collection (PCLMC), The University of Texas at Austin.

সাল

২০১-৭০০ ফুনান সমাজ, যার অন্তর্ভুক্ত ছিল আজকের থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চল, এবং বার্মার দক্ষিণাঞ্চল।

৬০১-১৩০০ চীনের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল থেকে দক্ষিণদিকে অভিবাসিত হতে শুরু করলেন থাইরা।

৬০১-১০০০ হিন্দু বৌদ্ধ দ্বারবতী সংস্কৃতি এ সময় থাইল্যান্ডের প্রাধান্যশীল সংস্কৃতি ছিল, যা মন জাতির সংস্কৃতি বলে বিবেচিত হয়।

৯০১-১৪০০ থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল শাসন করছে মূলত মন লাভো রাজ্য। তবে পার্শ্ববর্তী খেমার রাজ্যের (বর্তমান কম্বোডিয়া) রাজ্যের প্রভাব ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছিল।

১২৩৮-১৪৪৮ সুখোথাই রাজ্য। ক্রমে দক্ষিণাভিমুখে শাসন সম্প্রসারিত করতে থাকে, ফলে বর্তমান থাইল্যান্ডের প্রায় পুরোটাই এই থাইভাষী রাজ্যের হাতে চলে আসে। কালক্রমে, দক্ষিণে আরেকটি থাইভাষী রাজ্য এদের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠবে, এবং শেষ পর্যন্ত প্রতিস্থাপিত করবে: আয়ুধ্যা রাজ্য।

১৩৫০-১৭৬৭ অয়ুধ্যা রাজ্য। বর্তমান থাইল্যান্ডের পুরোটার ওপরই নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেন। ১৬০০ সালের দিকে, রাজ্যটি তার উৎকর্ষের চূড়ায় অবস্থান করার সময়, বর্তমান কম্বোডিয়া, লাওস, ও বার্মার অংশবিশেষ শাসন করছিল।

১৪৪৮ অয়ুধ্যা ও সুখোথাই রাজ্যকে এক করেন রাজা রামেসুয়ান।

১৫৫৩ থাইরা কম্বোডিয়ায় আগ্রাসন চালালে কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের অয়ুধ্যা রাজ্যের অংশে পরিণত হয়।

১৫৯০-১৬০৫ নারেসুয়ানের রাজত্ব। থাইল্যান্ডের মহত্তম শাসক বিবেচিত হন। নারেসুয়ান থাইল্যান্ডের ওপর বার্মার আধিপত্যের অবসান ঘটান, এবং সাময়িকভাবে কম্বোডিয়া ও বার্মার দক্ষিণাঞ্চল জয় করেন।

১৬০১-১৮০০ থাই আর ভিয়েতনামীরা এসময় বারবার হামলা চালাচ্ছেন কম্বোডিয়ায়।

১৭০১-১৮০০ এসময় লাওসের বিভিন্ন অংশ নিয়ন্ত্রণ করছেন থাই, বার্মিজ, ও ভিয়েতনামিরা।

১৭৬১ আয়ুধ্যা রাজ্যের রাজধানী থনবুড়িতে সরিয়ে আনা হল।

১৭৬৭ বার্মিজ আগ্রাসনে অয়ুধ্যা রাজ্যের পতন ঘটে।

১৭৬৮-৮২ থনবুড়ি রাজ্য। জনৈক থাই চীনা জাতির মানুষ মহান তাকসিনের নেতৃত্বে থাইল্যান্ডের ওপর থাইদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃস্থাপিত হল। কিন্তু জেনারেল ছাও ফ্রায়া চক্রির নেতৃত্বাধীন এক ক্যুদেতায় তাকসিনের পতন ঘটায় এই রাজ্য বেশিদিন টেকে নাই।

১৭৮২ চক্রি রাজ্য। প্রথম রামা কর্তৃক স্থাপিত এই রাজবংশটি আজ তক থাইল্যান্ড শাসন করছে। এ সময় দেশটির নতুন নাম হয় সিয়াম, রাজধানী হয় ব্যাংকক।

১৮৪৫ কম্বোডিয়ার ব্যাপারে থাই আর ভিয়েতনামীরা আপোস করতে সম্মত হলে কম্বোডিয়া দুই দেশকেই খাজনা দিতে শুরু করল।

১৮৫১-৬৮ চতুর্থ রামার রাজত্ব। মংগুত নামেও পরিচিত। এই রাজা পশ্চিমা ধ্যানধারণা গ্রহণ করে নেন এবং সিয়ামের আধুনিকীকরণের সূচনা ঘটান।

১৮৫৭ বউরিং চুক্তিতে সই করলেন সিয়ামের রাজা মংগুত।

১৮৬৮-১৯১০ ছুয়ালংকর্নের রাজত্ব। সিয়ামের প্রশাসন ও বাণিজ্যের আধুনিকীকরণের জন্য পশ্চিমা উপদেষ্টাদের নিয়োগ দেয়া শুরু হল। রেলওয়ে নেটওয়ার্কের বিকাশ।

১৯১০-৩২ সিয়ামে রাজতন্ত্রের ক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করল।

১৯১৪-১৪ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

১৯১৭ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে গ্রেট ব্রিটেনের মিত্র হল সিয়াম।

১৯৩২ সিয়ামের রাজা প্রজাদীপকের বিরুদ্ধে রক্তপাতহীন ক্যুদেতা। নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্রের অবসান। সংসদীয় ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রবর্তন।

১৯৩২-৪৮ থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রক্ষমতায় ভাগ বসাতে শুরু করল সেনাবাহিনী।

১৯৩৯ সিয়ামের নাম বদলে থাইল্যান্ড রাখা হল, যার অর্থ ‘মুক্ত মানুষের দেশ।’

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৪৬ এক গোলাগুলির ঘটনায় রাজা আনন্দের রহস্যময় মৃত্যু।

১৯৪৭ যুদ্ধকালীন সময়ে জাপানি ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করা মার্শাল ফিবুন সংখ্রামের নেতৃত্বে সামরিক ক্যুদেতা।

১৯৪৮-৭৩ সামরিক শাসন

১৯৫০ ভূমিবল আদুলইয়াজেদের রাজ্যাভিষেক।

১৯৬৫ এ সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে ভিয়েতনাম যুদ্ধের জন্য থাই ভূখণ্ডে সামরিক ঘাঁটি বসানোর অনুমতি দেয় থাইল্যান্ড। থাই সেনারা দক্ষিণ ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে লড়ে।

১৯৬৭ আগস্ট ৮ প্রতিষ্ঠিত হল অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান), থাইল্যান্ড যার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একটি।

১৯৭৩ ব্যাংককে ছাত্র আন্দোলন সামরিক সরকারের পতন ঘটাল। মুক্ত নির্বাচন আয়োজিত। তবে দেশটির পরবর্তী সরকারগুলো স্থিতিশীল ছিল না।

১৯৭৫-৭৯ কম্বোডীয় গণহত্যা

১৯৭৬ সামরিক বাহিনী আবার ক্ষমতা দখল করল।

১৯৭৮ একটি নতুন সংবিধান ঘোষণা করা হল।

১৯৭৯ ভিয়েতনামীদের হাতে কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনের পতন ঘটল। পল পটসহ অপরাপর খেমার রুজ নেতারা কম্বোডিয়া ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। আশ্রয় নিলেন দেশটির থাইল্যান্ড সীমান্তে।

লাওসে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিলে হাজার হাজার লাও সীমান্ত পার হয়ে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র থাইল্যান্ডে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নিলেন।

১৯৯১ আবারও সামরিক ক্যুদেতা। আনন্দ পান্যরাচুন নামের এক বেসামরিক নাগরিককে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসানো হল।

১৯৯২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী হলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা চুয়ান লিকপাই।

১৯৯৫ থাই সরকারের পতন। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন থাই নেশন পার্টির বানহার্ন শিল্পা-আর্চ।

১৯৯৬ দুর্নীতির দায়ে পদত্যাগ করল বানহার্ন সরকার। নির্বাচনে জিতল শাভালিত ইয়ংছাইইয়ুধয়ের নিউ অ্যাসপিরেশন পার্টি।

১৯৯৭ এশীয় অর্থনৈতিক সংকট। ডলারের বিপরীতে বাথের মান ব্যাপকভাবে কমে গেল, ফলে দেখা দিল দেউলিয়াত্ব ও বেকারত্ব। উদ্ধারকল্পে এগিয়ে এল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

দ্বিতীয়বারের মত থাই প্রধানমন্ত্রী হলেন চুয়ান লিকপাই।

১৯৯৮ থাইল্যান্ড থেকে হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিককে তাদের নিজেদের দেশে ফেরত পাঠানো হল।

২০০১ জানুয়ারি নির্বাচনে জিতল নিউ থাই লাভ থাই পার্টি। প্রধানমন্ত্রী হলেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। গঠন করলেন জোট সরকার।

ফেব্রুয়ারি থাই সীমান্তে শান বিদ্রোহীদের সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ল বার্মার সেনাবাহিনী।

জুন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা বার্মা সফর করলেন। 

২০০৩ আঙ্কর ওয়াট কমপ্লেক্স থাইল্যান্ড থেকে চুরি করা হয়েছে, এক থাই টিভি তারকার নামে প্রচারিত এমন একটি মন্তব্যের সূত্র ধরে, থাইল্যান্ডের সাথে গুরুতর কূটনৈতিক বিবাদে জড়িয়ে পড়ল কম্বোডিয়া।

২০০৪ সুনামিতে ৫৪০০ থাই নাগরিক ও পর্যটকের মৃত্যু।

২০০৫ দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হলেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা।

২০০৬ এক সামরিক ক্যুদেতায় ক্ষমতাচ্যুত হলেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা।

২০০৮ জুলাই প্রেয়াহ ভিহিয়ার মন্দিরকে জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্য সাইটের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার মধ্যকার বিতর্কিত ভূখণ্ডে উত্তেজনা দেখা দিল।

আগস্ট সপরিবারে ব্রিটেনে পালিয়ে গেলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন।

অক্টোবর থাইল্যান্ড আর কম্বোডিয়ার মধ্যকার বিতর্কিত ভূখণ্ডে গুলি বিনিময়ের কারণে ২ কম্বোডীয় ও ১ থাই সেনার মৃত্যু।

২০১০ মার্চ-মে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে হাজার হাজার থাকসিন সমর্থক লাল শার্ট পরে থাইল্যান্ডের রাস্তায় নেমে আসলেন এবং আন্দোলন করে মধ্য ব্যাংককের একাংশ অচল করে দিলেন। সেনাবাহিনী রক্তাক্ত উপায়ে এই আন্দোলন দমন করে। ৯১ জনের মৃত্যু।

২০১১ জুলাই নির্বাচনে ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন করল থাকসিনপন্থী ফেউ থাই দল, প্রধানমন্ত্রী হলেন থাকসিনের বোন ইংলাক সিনাওয়াত্রা।

২০১৪ মে এক সামরিক ক্যুদেতায় ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী।

২০১৬ অক্টোবর ভূমিবল আদুলইয়াজেদের মৃত্যু। তিনি ছয় দশকেরও বেশি দেশটির রাজা ছিলেন।

ডিসেম্বর যুবরাজ বাজিরালংকর্ণকে রাজা বলে ঘোষণা করা হল।

ফেসবুকে কম্বোডিয়া আর থাইল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি নিয়ে অযথাযথ পোস্ট করার দায়ে কম্বোডিয়ার স্বেচ্ছানির্বাসিত বিরোধী নেতা স্যাম রাইনসিকে অনুপস্থিতিতেই ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল।

২০১৭ এপ্রিল রাজা বাজিরালংকর্ণ একটি নয়া সংবিধানে সই করলেন। দেশটির সেনাবাহিনী এই সংবিধানের খসড়া করেছিল। গণতন্ত্রের পথে ফিরল থাইল্যান্ড।

২০১৯ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন সাবেক সেনাপতি প্রায়ুত ছান-ও-ছা।

নভেম্বর দক্ষিণাঞ্চলে সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু।

তথ্যসূত্র

ASEAN. n.d. “ASEAN member states.” Accessed March 6, 2025.
https://asean.org/member-states/.

BBC. 2019. “Thailand Profile – Timeline.” BBC, March 7.
https://www.bbc.com/news/world-asia-15641745.

Church, Peter, ed. 2009. A Short History of South-East Asia. Singapore: Wiley.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *