সুদান

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Image: The Nations Online Project.

পূর্বসাল

২ লক্ষ ৫০ হাজার বছর আগে নিম্ন প্রাচীন প্রস্তর যুগ, খোর আবু আঙ্গা

৩০ হাজার বছর আগে সুদানে উচ্চ প্রাচীন প্রস্তর যুগ।

৭০০০-৪৫০০ খার্তুমে মধ্যপ্রস্তর যুগ।

৬০০০-৩২০০ নুবিয়ায় কের্মা সংস্কৃতির প্রাগৈতিহাসিক শেকড়।

৪০০০-৩৫০০ সুদানে নব্যপ্রস্তর যুগ।

৩৫০০-৩১০০ নুবিয়ার নিম্নভূমিতে এ-গ্রুপ।

৩১০০-২৬০০ নুবিয়ায় প্রাক-কের্মা বসতি।

৩০০০ নুবিয়ায় দাস, গবাদি পশু, হাতির দাঁত ও সোনার সন্ধানে অভিযান চালাল মেম্ফীয় মিসর।

২৬০০ কুশ নামের একটি মিসরীয়-নুবীয় সভ্যতার উন্মেষ ঘটল। প্রায় ৩০০০ বছর টিকে ছিল এই সভ্যতা।

২৫০০-২০০০ মিসরের প্রথম অন্তর্বর্তী পর্বে কের্মা সংস্কৃতির উত্থান।

১৯০০-১৫৭০ মিসরের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কের্মাদের ভূখণ্ড সম্প্রসারণ।

১৬৩০-১৫২২ মিসরের সম্প্রসারণ ঠেকাতে নুবিয়া কের্মাদের সাথে জোট বাঁধল হিকসোরা। ব্যর্থ হল।

১৫৭০ কুশকে উপনিবেশ বানাল মিসরের নতুন রাজত্ব।

১০৬৯ কুশে নুবীয়দের বিদ্রোহ মিসরীয় শাসনের অবসান ঘটায়।

৯৫০ কুশীয়রা এ সময় মিসরে হামলা চালাচ্ছে।

৮৫০ কুরু পিরামিডে রাজকীয় নুবীয় সমাধির শুরুয়াত।

৮০০ নুবীয়রা উত্তরে থিবসের দিকে অগ্রসর হল।

৭৯০ আঞ্চলিক নুবীয় অঞ্চল পুনরুদ্ধার করলেন কুশের রাজা আলারা।

৭৬৫ নুবীয়দের মিশর বিজয় অব্যাহত।

৭৬০ এ সময়ের মধ্যে সমগ্র নুবিয়া ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওঠে। নাপাতা ছিল এ কালের একটি প্রধান শহর। মিসরে ২৫তম রাজবংশ আকারে প্রতিষ্ঠিত হল নুবীয় “ইথিওপীয়” শাসন।

৭৬০-৭৪৭ কাশতার রাজত্বকাল।

৭৪৭-৭১৬ পিয়ানখির রাজত্বকাল।*
* তাঁর রাজত্বকালে নুবীয়দের মিসর বিজয় সম্পন্ন হয়।

৭১৬-৭০১ শাবাকার রাজত্বকাল।

৭০১-৬৯০ শাবাতাকার রাজত্বকাল।

৬৯০-৬৬৪ তাহারকার রাজত্বকাল।*
* নুরিতে সমাধিস্থ হন।

৬৬৪-৬৫৩ তানুতামুনের রাজত্বকাল।*
* তানুতামুন নিজেকে মিসর থেকে প্রত্যাহার করে নিলে শেষ হয়ে যায় মিসরের ২৫তম রাজবংশ।

৬৫৩-৬৪৩ নাপাতার আতলানেরসার রাজত্বকাল।

৬৪৩-৬২৩ সেনকামানিসকেনের রাজত্বকাল।

৬২৩-৫৯৩ আনলামানির রাজত্বকাল।

৫৯৩-৫৬৮ আসপেল্টার রাজত্বকাল।

৫৯১-৯০ নুবিয়ায় হামলা চালালেন মিসরের ২১তম রাজবংশের দ্বিতীয় সাম্মেটিকোস। কালক্রমে নাপাতার বদলে মেরো হয়ে উঠল নুবীয়দের ক্ষমতা ও বাণিজ্যকেন্দ্র।

৪০৪-৩৭৯ কুশীয় রাজা হারসিইয়োতেফের রাজত্বকাল।*
* নুরিতে সমাধিস্থ হন।

৩৩৫-৩১৫ নাপাতা থেকে শাসন করা শেষ রাজা নাস্তাসেনের রাজত্বকাল।

২৭০ নুবিয়ার রাজধানী মেরো। টলেমীয় মিসরের সাথে নুবীয়দের এ সময় ব্যাপক বাণিজ্যিক, বৈজ্ঞানিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।

২৬০ প্রথম রাজা হিসেবে মেরোতে সমাহিত হলেন এরগামেনেস।

২৪০ মেরো নুবিয়ার নিম্নভূমি পুনরুদ্ধার করে এবং টলেমীয় মিসরের উচ্চভূমিকে হুমকি দেয়।

পূর্বসাল ১৭০-৩১৪ সাল কান্দাকে, রাণীরা, মেরো থেকে শাসন করছেন কুশ

১৭০ যুদ্ধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেরোর কান্দাকে শানাকদাখেতে।

৪০-১০ কান্দাকে আমানিরেনাসের রাজত্বকাল।*
* রোমের সাথে নুবিয়ার জন্য সুবিধাজনক শান্তিচুক্তি করেন।

২৪ মেরোইটরা রোমাক আসওয়ানে হামলা চালাল।

২৩ মেরোইটদের ওপর নাপাতা পর্যন্ত পাল্টা হামলা করলেন রুমি পেট্রোনিয়াস।

২২ মেরোইটরা কাসর ইব্রিম পর্যন্ত পাল্টা হামলা চালাল।

২১ সামোসে মেরোইট ও রোমানদের মধ্যে শান্তি চুক্তি।

পূর্বসাল ১০-১ সাল কান্দাকে আমানিশাখেতোর রাজত্বকাল।

সাল

১-২৫ কান্দাকে আমানিতোরের রাজত্বকাল।

২৫-৪১ কান্দাকে আমান্তিতেরের রাজত্বকাল।*
* বাইবেলের বুক অফ অ্যাক্টসে যে ‘ইথিওপীয়দের রানী, কান্দাকে’র কথা বলা আছে, উনিই সম্ভবত।

৩৭ খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হওয়া প্রথম নুবীয় মেরোতে ফিরলেন।

৬২-৮৫ কান্দাকে আমানিখাতাশানের রাজত্বকাল।

২৬০-৩০০ মিসর থেকে নুবিয়ায় এলেন একদল কপ্টিক খ্রিস্টান।

২৬৬-৮৩ কান্দাকে মালেকোরোবারের রাজত্বকাল।

৩০৬-১৪ কান্দাকে লাহিদেয়ামানির রাজত্বকাল।

৩৪০ আনুমানিক এ সময়ই কখনো খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন আকজুমের রাজা এজানা এবং মেরোতে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রাজ্য ধবংস করেন।

৩৫০-৫৫০ বাল্লানা ও টাঙ্গাসির এক্স-গ্রুপ সমাজগুলো ফেরাউনি, কুশীয় ও খ্রিস্টীয় বিশ্বাস ও অনুশীলনের একটি সিনক্রেটিক রূপ হিসেবে গড়ে উঠল।

৪০০ নুবিয়ায় মাকুরিয়া, নোবাতিয়া, আলোদিয়া ইত্যাদি নতুন রাজ্য গড়ে উঠল।

৪৫১ ফারাসে প্রথম কাদামাটি দিয়ে চার্চ নির্মিত হচ্ছে।

৪৫২ নুবিয়ায় আদি যুগের খ্রিস্টান মিশনারিদের আগমন।

৫২৫ মিসরের ফিলিতে দেবী আইসিসের মন্দির আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দিলেন রোমক সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ান। একটা চার্চ হিসেবে ভবনটি রিপারপাজ করা হল। অঞ্চলটিতে মধ্যযুগীয় খ্রিস্টান পর্বের সূচনা ধরা হয়।

৫৩৭ কালাবশায় প্রাপ্ত রাজা সিলকো শিলালিপিতে সিলকোর কাছে ব্লেমেইসের পরাজিত হওয়ার কথা বলা আছে। নুবিয়ায় রাষ্ট্রীয় খ্রিস্টধর্মের আনুষ্ঠানিক সূচনা বিবেচিত হয়।

৫৪৩-৬৯ নুবিয়ায় জুলিয়ান কর্তৃক মনোফিজাইট মিশনারিদের প্রধান অভিযান। এই অভিযানের অনুমোদন দেন রোমক সম্রাজ্ঞী থিওডোরা। যা নুবিয়ার প্রথম মনোফিজাইট চার্চগুলোর আনুষ্ঠানিক গঠনের ইঙ্গিত দেয়।

৫৪৩ ফারাসকে খ্রিস্টান রাজ্য নোবাতিয়ার রাজধানী করা হল।

৫৬০ আলওয়ার খ্রিস্টান রাজ্য সোবায় এ সময় সক্রিয় ছিলেন মিশনারি লংগিনাস।

৫৬৯ ডঙ্গোলাকে খ্রিস্টান রাজ্য মুকুররার রাজধানী করা হল।

৫৭৯-৮০ মনোফিজাইট খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হল আলওয়া রাজ্য।

৬৩৯ মিসরে সামরিক অভিযান পরিচালনা করল রাশিদুন খেলাফত।

৬৪১ রাশিদুন খেলাফতের সেনাবাহিনী ডঙ্গোলা সমভূমি পর্যন্ত পৌঁছাল, কিন্তু তাদের পিছু হঠিয়ে দেয়া হয়।

৬৫২ মুসলিম মিসরের সাথে খ্রিস্টান নুবিয়ার বাক্ত শান্তিচুক্তি।

৬৯৭-৭০৭ খ্রিস্টান নুবিয়ার কৌশলগত প্রতিরক্ষার স্বার্থে নোবাতিয়া আর মুকুররাকে এক করা হল।

৭৫৮ আব্বাসীয় মিসরকে বাক্ত খাজনা দিতে অস্বীকার করল নুবীয়রা।

৮১৯-২২ আব্বাসীয় মিসরকে আবারও বাক্ত খাজনা দিতে অস্বীকার করল নুবীয়রা।

৮৩৫ প্রথম জর্জকে ডঙ্গোলার রাজমুকুট পরানো হল।

৮৩৬ কায়রো থেকে বাগদাদ সফর করলেন প্রথম জর্জ।

৯২০ ডঙ্গোলায় শুরু হল রাজা জাকারিয়াসের রাজত্ব।

৯৫০ সোবায় এই সময় কিছু মুসলিম বাস করছেন।

৯৫১, ৯৫৬, ৯৬২ মিসরের উচ্চভূমিতে হামলা চালাল নুবীয়রা।

৯৬৯ ইখশিদি মিসরে হামলা চালালেন নুবিয়ার দ্বিতীয় জর্জ।

১০৫০ এ সময় মিসরের ফাতিমিদের সেনাবাহিনীতে দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় ৫০ হাজার নুবীয়।

১১৪০-৪৯ নুবিয়ার নিম্নভূমিতে উল্লেখকৃত হল খ্রিস্টান রাজ্য দোতাও।

১১৬৩ আইয়ুবীদের ওপর হামলা চালানোর জন্য এ সময় নুবীয় খ্রিস্টানদের মধ্যে মিত্র খুঁজছে ক্রুসেডাররা।

১১৭২ কায়রো ও বদ্বীপে আইয়ুবীদের ওপর হামলা চালাল নুবীয়-ক্রুসেডার ঐক্যজোট। খ্রিস্টান নুবিয়ায় পাল্টা হামলা চালালেন তুরান শাহ। চতুর্থ জর্জের অধীনস্ত নুবীয়দের মিসরের উচ্চভূমিতে ফেরত পাঠাল সালাউদ্দিন আইয়ুবীর সেনারা।

১১৭৩ কাসর ইব্রিম দখল করলেন সালাউদ্দিন আইয়ুবীর ভাই শামসুদ্দৌলা। ইব্রাহিম আল-কুর্দি অঞ্চলটি লুট করে। ১১৭৫ সাল পর্যন্ত এই লুঠতরাজ চলতে থাকে।

১২০৪ কন্সটান্টিপোলে নুবীয় খ্রিস্টানদের সাথে ক্রুসেডারদের সাক্ষাৎ।

১২৩৫ আলেকজান্দ্রিয়ার শেষ যাজককে নুবিয়ায় পাঠানো হল।

১২৬০-৭৭ নুবিয়ায় হামলা করলেন মামলুক সুলতান আল-জহির বাইবার্স।

১২৬৪ মামলুকদের বাক্ত খাজনা দিচ্ছে নুবীয়রা।

১২৬৮ বাক্ত খাজনা দিচ্ছেন ডঙ্গোলার রাজা দাউদ।

১২৭২ খ্রিস্টান নুবিয়ার মসনদে বসলেন রাজা দাউদ।

১২৭৫-১৩৬৫ মিসরীয় মামলুকদের সাথে নুবীয় খ্রিস্টানদের নিরন্তর যুদ্ধ।

১২৭৬ রাজা দাউদের বিরুদ্ধে শেকান্দা অভিযান। মামলুকরা ডঙ্গোলায় ধবংসযজ্ঞ চালায়। রাজা দাউদকে পাকড়াও করা হল।

১২৮৯ ডঙ্গোলার বিরুদ্ধে মামলুকদের শেষ অভিযান।

১৩১৭ নুবিয়ার শেষ খ্রিস্টান রাজার পরাজয়। ডঙ্গোলার মসনদে বসলেন মুসলিম রাজা আবদুল্লা বারশাম্বু। নির্মিত হল নুবিয়ার প্রথম মসজিদ।

১৩৬৬ ডঙ্গোলার পতন। দাউ দখল করে নিলেন একজন শরণার্থী রাজা। কাসর ইব্রিমে ফিরে এলেন রাজার খ্রিস্টান নাতি।

১৫০১-১৬০০ বর্তমান সুদানের অধিকাংশ অঞ্চল জয় করল ফুঞ্জরা। দিনকা, শিল্লুক, নুয়ের, এবং আজান্দের মত কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান গোষ্ঠীগুলো দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে বসতিস্থাপন করল।

১৫০৪ খ্রিস্টান আলওয়ার পতন।

১৫০৪-১৮২১ ফুঞ্জ সুলতানশাহি

১৬৩০ ফুর সুলতানশাহি

১৭৮৭ দার ফুরের কর্দোফান জয়।

১৮২১ মিসরীয় ও ওসমানি তুর্কিদের একটি যৌথ বাহিনী বর্তমানে সুদান বলে পরিচিত দেশটি জয় করে সুদানকে ঐক্যবদ্ধ করল। দেশটিতে তুর্কি ও মিসরীয়দের যৌথ রাজত্বের সূচনা। সুদানে তুর্কি-মুসরীয়রা যে-সরকার বসাল তা তুর্কিয়ে নামে পরিচিত ছিল।

এ বছরই বর্তমান সুদানের রাজধানী খার্তুম প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৭৪ ফুর সুলতানশাহিকে উচ্ছেদ করা হল।

১৮৮১ দক্ষিণ সুদানের মুহাম্মদ আহমাদ বিন আবদুল্লা বিন ফাহাল নিজেকে মাহদী ঘোষণা করলেন। মাহদীর নেতৃত্বে তুর্কিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান শুরু হল। অভ্যুত্থান ঠেকাতে সরকার ব্রিটিশদের মদত চাইল।

১৮৮৪ দার ফুরের নিয়ন্ত্রণ নিলেন মাহদীবাদীরা।

১৮৮৫ খার্তুমে প্রবেশ করলেন মাহদী অনুসারী বিদ্রোহীরা। ব্রিটিশ সেনাপতি চার্লস গর্ডনকে হত্যা করলেন। সুদান নিজেকে একটি স্বাধীন দেশ বলে ঘোষণা করল।

১৮৯৮ ওমদুরমানের সমর, কামান ও মেশিন গানের মত আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ব্রিটিশ ও মিসরীয়দের অপেক্ষাকৃত ছোট যৌথ বাহিনীর কাছে হেরে গেল সনাতনী অস্ত্রে বলীয়ান সুদানিদের বিশাল বাহিনী। এই সমরে ১০ হাজার সুদানির মৃত্যু হয়। অপরদিকে, ব্রিটিশ-মিসরীয় মৃতের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৮।

ফুর সুলতানশাহি পুনর্বহাল করা হল।

১৮৯৯ ব্রিটিশ ও মিসরীয়রা সুদানের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেল। সুদানে একটি নতুন সরকারের পত্তন। পরিচিত হবে ইঙ্গ-মিসরীয় সুদান হিসেবে।

১৯০২ ব্রিটিশরা খার্তুমে গর্ডন মেমোরিয়াল কলেজ চালু করল। এর ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল দেশটিতে ‘শিক্ষা’ বিস্তার। কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ছিলেন উত্তরাঞ্চলের আরবিভাষী মুসলমান।

১৯১২ স্থাপিত হল ওমদুরমান সায়েন্টিফিক ইন্সটিটিউট।

১৯১৩ খরা ও জুলু দুর্ভিক্ষ।

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

১৯১৬ সুলতান আলী দিনারকে উৎখাত করা হল এবং দারফুরকে সুদানের অংশ করে নেয়া হল।

১৯২০-২৯ ‘স্থানীয় সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তিত।

১৯২২ দার মাসালিতকে সুদানের অংশ করে নেয়া হল।

১৯৫৪ সুদানের ভোটাররা একটি নতুন সংসদ নির্বাচিত করলেন। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন ন্যাশনাল ইউনিয়নিস্ট পার্টির ইসমাইল আল-আহিরি।

১৯৫৫ সুদানের সংসদ পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিল।

১৯৫৫-৭২ সুদানের প্রথম গৃহযুদ্ধ

১৯৫৬ জানুয়ারি ১ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল সুদান।

১৯৫৮ সুদানে এক সামরিক ক্যুদেতায় বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করলেন সেনাপতি ইব্রাহিম আব্বুদ।

১৯৬০ নিয়ালা পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করা হল।

১৯৬২ আন্যানিয়া মুভমেন্টের নেতৃত্বে সুদানের দক্ষিণাঞ্চলে গৃহযুদ্ধ শুরু হল।

১৯৬৪ “অক্টোবর বিপ্লবে” উৎখাত হলেন সেনাপতি আব্বুদ, দেশটিতে প্রতিষ্ঠা করা হল একটি জাতীয় সরকার।

১৯৬৫ ওমদুরমান সায়েন্টিফিক ইন্সটিটিউট ওমদুরমান ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে রূপান্তরিত হল।

১৯৬৬ নিয়ালায় গঠিত হল ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ চাদ (FROLINAT: Front de libération nationale du Tchad)।

১৯৬৯ কথিত মে বিপ্লব। কর্নেল জাফর মুহাম্মদ নিমেরির নেতৃত্বে একদল সেনা কর্মকর্তা সুদানে ক্ষমতা দখল করলেন।

১৯৭০ সুদান থেকে পালাল আনসার ও মুসলিম ব্রাদারহুড।

১৯৭১ কর্নেল নিমেরির বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ ক্যুদেতা পরিচালনা করা সুদানি কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃবৃন্দের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল। ‘স্থানীয় সরকার’ ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে দেয়া হল।

১৯৭২ আদ্দিস আবাবা চুক্তি। সুদান সরকার ও আন্যা নিয়া মুভমেন্টের মধ্যে সম্পাদিত এই চুক্তি সুদানের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাল। দক্ষিণ সুদান একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে পরিণত হল।

১৯৭৩ লিবিয়া দারফুরকে ব্যবহার করে চাদের বিরোধীদলীয় পক্ষগুলোর কাছে অস্ত্র পাচার করতে শুরু করল। চাদে ইসলামিক লিজিয়নের কার্যকলাপ শুরু হল।

১৯৭৬ লিবিয়া থেকে সুদানে আনসার-মুসলিম ভাইদের অভিবাসন।

১৯৭৮ দক্ষিণ সুদানের বেনতিউয়ে তেল আবিষ্কৃত হল।

১৯৮০ দারফুরে একটি আঞ্চলিক সরকার ও একজন নির্বাচিত প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হল।

১৯৮৩-২০০৫ সুদানের দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধ

১৯৮৩ চাদে ক্ষমতা নিলেন হিসেনে হাবরে। সুদানে শরিয়া আইন চালু করলেন কর্নেল নিমেরি। গঠিত হল সুদান পিপলস লিবারেশন আর্মি (এসপিএলএ)।*
* বর্তমানে স্বাধীন রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদানের সামরিক বাহিনী।

১৯৮৪ দারফুরে খরা থেকে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হল।

১৯৮৫ নিমেরি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিল।

এপ্রিল একদল সেনা কর্মকর্তা কর্নেল নিমেরিকে ক্ষমতাচ্যুত করলেন। দেশ চালাতে একটি অন্তর্বর্তী সামরিক কাউন্সিল গঠন করা হল। দারফুর-লিবিয়া সীমান্ত চালু করা হল।

১৯৮৬ নির্বাচনের পরে সুদানে জোট সরকার গঠিত হল, দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন সাদিক আল-মাহদী।

১৯৮৭ দারফুরে চাদীয় সশস্ত্র শিবির বসালেন আচেইখ ইবনে ওমর।

১৯৮৭-৮৯ প্রথম আরব-ফুর যুদ্ধ।*
* প্রথমবারের মত সংগঠিত হল জাতিগত আরব মিলিশিয়া। জানজাওয়িদ নামে পরিচিত। এই শব্দের উৎস নিয়ে বিভ্রান্তি আছে; ইংরেজিতে অশুভ ঘোড়সওয়ার হিসেবে অনূদিত হয়ে থাকে।

১৯৮৯ জুন খার্তুমে ক্ষমতা নিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর আল-বশির।

১৯৯০ ডিসেম্বর চাদে ক্ষমতা নিলেন ইদ্রিস ডেবি।

১৯৯১ ডিসেম্বর দারফুরে এসপিএলএ অনুপ্রবেশ।

১৯৯৩ সুদানের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হলেন ওমর আল-বশির।

১৯৯৪ দারফুরকে তিনটা রাজ্যে ভাগ করা হল, এবং ‘স্থানীয় সরকার’ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হল।

১৯৯৫ মার্চ পশ্চিম দারফুরে আরবদের জন্য পাঁচজন “আমির” নিয়োগ দেয়া হল।

১৯৯৫-৯৯ আরব-মাসালিত দ্বন্দ্ব।

১৯৯৮ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্র খার্তুমের আল-শিফা কেমিকেল ফ্যাক্টরিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল। প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন বিশ্বাস করতেন সুদান সরকার এই কারখানায় সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী আল-কায়েদার জন্য রাসায়নিক অস্ত্র বানাচ্ছে। এই হামলা সুদানের চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

১৯৯৯ শাসক কংগ্রেস দলে ভাঙন। সুদানে সংসদীয় স্পিকার হাসান আল-তুরাবির সাথে এক ক্ষমতা সংঘাতের জের ধরে সংসদ বিলুপ্ত করে দিলেন প্রেসিডেন্ট আল-বশির। জারি করলেন জরুরি অবস্থা।

তেল রফতানি করতে আরম্ভ করল সুদান।

২০০০ সুদানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেন ওমর আল-বশির।

মে দারফুরের কোনঠাসাকরণের বর্ণনা দিয়ে প্রকাশিত হল দ্য ব্ল্যাক বুক

২০০১ সুদানে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিল। দারফুরে সংগঠিত হল সশস্ত্র বিরোধী রাজনৈতিক তৎপরতা।

২০০২ মাচাকোস প্রোটোকল। এসপিএলএর সাথে শান্তিচুক্তি সই করল সুদান সরকার।

ডিসেম্বর ভাইস-প্রেসিডেন্ট আলী ওসমান দারফুরকে সতর্ক করে দিলেন দক্ষিণের বিচ্ছিন্নতাবাদী পথ অনুসরণ না করতে।

২০০৩-বর্তমান দারফুর গণহত্যা

২০০৩ ফেব্রুয়ারি নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিল সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি (এসএলএ)।

মার্চ নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিল জাস্টিস অ্যান্ড ইকুয়ালিটি মুভমেন্ট (জেইএম)।

এপ্রিল বিদ্রোহীরা আল ফাশের বিমানঘাঁটিতে হামলা চালালেন।

মে কুটুম, মেল্লিত ও টিনায় বিদ্রোহীদের হামলা।

জুন গৃহবন্দিত্ব থেকে ছাড়া পেলেন মূসা হিলাল, মিলিশিয়া মোবিলাইজ করতে শুরু করল।

জুলাই উত্তর দারফুরে সরকারি প্রতি-আক্রমণ, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।

আগস্ট প্রথম ত্রাণ কর্মসূচিগুলো কাজ করতে শুরু করল।

সেপ্টেম্বর চাদের আবেছেতে সরকার-সিএলএ যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু হল।

ডিসেম্বর দ্বিতীয় প্রধান সরকারি আক্রমণ শুরু, ২০০৪ সালের মার্চ পর্যন্ত কয়েকটি হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।

গ্যাব্রিয়েল ওয়ারবুর্গ, ইসলাম, সেক্টারিয়ানিজম অ্যান্ড পলিটিকস ইন সুদান সিন্স মাহদিয়া
ডি. এইচ. জনসন, দ্য রুট কজেস অফ সুদান’স সিভিল ওয়ারস

২০০৪ জানুয়ারি ২ জন উচ্চপদস্থ বিদ্রোহী কমান্ডার খুন হলেন।

মার্চ জাতিসংঘের সমন্বয়ক মুকেশ কপিল দারফুর সংকটকে “জেনোসাইড” বলে আখ্যায়িত করলেন।

এপ্রিল ন’জামেনায় সরকার-বিদ্রোহী আলোচনায় একটি যুদ্ধবিরতি এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ) মনিটরিং মিশনের ব্যাপারে ঐক্যমত্য।

মে সুদানে আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশন ইন সুদানের (আমিস) প্রথম মনিটরদের আগমন।

জুন মার্কিন কংগ্রেস দারফুরকে “জেনোসাইড” বলে বর্ণনা করল।

জুলাই মানবিক সহায়তা প্রদান এবং জানজাওয়িদকে নিরস্ত্র করার জন্য খার্তুমকে ৩০ দিন সময় বেঁধে দিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

আগস্ট প্রথম দফা শান্তি আলোচনার জন্য নাইজেরিয়ার আবুজায় সরকার ও বিদ্রোহীদের সাক্ষাৎ।

সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল দারফুর হত্যাযজ্ঞকে “জেনোসাইড” বলে আখ্যায়িত করলেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দারফুর বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করল।

অক্টোবর সীমিত আকারে বেসামরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমিসের ম্যান্ডেট বাড়ানো হল।

২০০৫ জানুয়ারি ৯ সুদান সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশটির গৃহযুদ্ধের অবসান। কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ইসলামপন্থী হাসান আল-তুরাবি।

জি প্রুনিয়ের, দারফুর: আ টোয়েন্টি-ফার্স্ট সেঞ্চুরি জেনোসাইড

২০০৭ জে. এস. জক, সুদান: রেস, রিলিজিয়ন, অ্যান্ড ভায়োলেন্স

২০০৮ দারফুর ইস্যুতে বিবাদের কারণে প্রতিবেশী রাষ্ট্র চাদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল সুদান।

২০০৯ দারফুরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত করার দায়ে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগস্থ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

২০১০ সুদানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেন ওমর আল-বশির।

২০১১ সুদানের কাছ থেকে স্বাধীনতালাভ করল দক্ষিণ সুদান।

২০১৫ সুদানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেন ওমর আল-বশির।

২০১৯ সুদানে ওমর আল-বশিরের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন শুরু হল। জরুরি অবস্থা জারি, প্রায় ৪০ জনের মৃত্যু। সেনাবাহিনী এক ক্যুদেতায় প্রেসিডেন্ট আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করল এবং দেশটির গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য বিরোধীদের সাথে আলাপ শুরু করল।

২০২০ দারফুরে লড়াইসংঘাত বন্ধ করার জন্য সুদান রেভ্যলুশনারি ফ্রন্টের (এসআরএফ) সাথে শান্তিচুক্তি সই করল সুদান সরকার।

২০২৩ সামরিক সরকারের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব দেখা দিল। নিয়মিত সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সদস্যদের মধ্যে কয়েক মাস ধরে ব্যাপক লড়াই চলল। এ সময় শত শত মানুষ নিহত হন এবং প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন।

২০২৩-চলমান সুদানের তৃতীয় গৃহযুদ্ধ

তথ্যসূত্র

African Union. n.d. “Member States | African Union.” Accessed March 3, 2025.
https://au.int/en/member_states/countryprofiles2.

BBC. 2019. “Sudan profile – Timeline.” BBC, September 10.
https://www.bbc.com/news/world-africa-14095300

Connolly, Sean. 2008. Sudan. Rourke Publishing LLC.

Flint, Julie, and Alex de Waal. 2008. Darfur: A Short History of a Long War. revised and updated edition. Zed Books.

Kramer, Robert S., Richard A. Lobban Jr., and Carolyn Fluehr-Lobban. 2013. Historical Dictionary of the Sudan. 4th ed. Scarecrow Press.

Lobban, Richard A., Jr. 2004. Historical Dictionary of Ancient and Medieval Nubia. Scarecrow Press.
— 2021. Historical Dictionary of Medieval Christian Nubia. Rowman & Littlefield.

Oppong, Joseph, R. 2010. Sudan. Chelsea House.

World History Encyclopedia.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *