
দক্ষিণ সুদান
Featured Image: Wikimedia Commons.

সাল
১৮২১ মিসরীয় ও ওসমানি তুর্কিদের একটি যৌথ বাহিনী বর্তমানে সুদান বলে পরিচিত দেশটি জয় করে সুদানকে ঐক্যবদ্ধ করল। দেশটিতে তুর্কি ও মিসরীয়দের যৌথ রাজত্বের সূচনা। সুদানে তুর্কি-মুসরীয়রা যে সরকার বসাল তা তুর্কিয়ে নামে পরিচিত ছিল।
এ বছরই বর্তমান সুদানের রাজধানী খার্তুম প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৮১ দক্ষিণ সুদানের জনৈক মুসলমান নিজেকে মাহদী ঘোষণা করলেন। মাহদীর নেতৃত্বে তুর্কিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান শুরু হল। অভ্যুত্থান ঠেকাতে সরকার ব্রিটিশদের মদত চাইল।
১৮৮৫ খার্তুমে প্রবেশ করলেন মাহদী অনুসারী বিদ্রোহীরা। ব্রিটিশ সেনাপতি চার্লস গর্ডনকে হত্যা করলেন। সুদান নিজেকে একটি স্বাধীন দেশ বলে ঘোষণা করল।
১৮৯৮ ওমদুরমানের সমর। কামান ও মেশিন গানের মত আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ব্রিটিশ ও মিসরীয়দের অপেক্ষাকৃত ছোট যৌথ বাহিনীর কাছে হেরে গেল সনাতনী অস্ত্রে বলীয়ান সুদানিদের বিশাল বাহিনী। এই সমরে ১০,০০০ সুদানি সৈনিকের মৃত্যু হয়; ব্রিটিশ-মিসরীয় মৃতের সংখ্যা ছিল মাত্র ৪৮।
১৮৯৯ ব্রিটিশ ও মিসরীয়রা সুদানের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেল। সুদানে একটি নতুন সরকারের পত্তন। পরিচিত হবে ইঙ্গ-মিসরীয় সুদান হিসেবে।
বর্তমান দক্ষিণ সুদান এই ইঙ্গ-মিসরীয় সুদানের অংশ ছিল।
১৯৫৬ জানুয়ারি ১ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল সুদান।
১৯৫৮ সুদানে এক সামরিক ক্যুদেতায় বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করলেন সেনাপতি ইব্রাহিম আব্বুদ।
১৯৬২ আন্যা নিয়া মুভমেন্টের নেতৃত্বে সুদানের দক্ষিণাঞ্চলে গৃহযুদ্ধ শুরু হল।
১৯৬৯ মে বিপ্লব, কর্নেল জাফর মুহাম্মদ নিমেরির নেতৃত্বে একদল সেনা কর্মকর্তা ক্ষমতা দখল করলেন। এই সেনা কর্মকর্তারা সোশালিস্ট ও কমিউনিস্ট ছিলেন। নিমেরি দক্ষিণাঞ্চলকে স্বায়ত্তশাসন প্রদানের রূপরেখা তৈরি করলেন।
১৯৭২ আদ্দিস আবাবা চুক্তি। সুদান সরকার ও আন্যা নিয়া মুভমেন্টের মধ্যে সম্পাদিত এই চুক্তি সুদানের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাল। দক্ষিণ সুদান একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে পরিণত হল।
১৯৭৮ দক্ষিণ সুদানের বেনতিউয়ে তেল আবিষ্কৃত হল।
১৯৮৩ দক্ষিণ সুদানে নতুন করে গৃহযুদ্ধ শুরু হল। নিমেরি সরকারের বিরুদ্ধে সুদান পিপল’স লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি (এসপিএলএম/এ) পরিচালিত এই লড়াইয়ে এসপিএলএম/এ-র নেতৃত্ব দেন জন গারাং। সুদানে শরিয়া আইন চালু করেন কর্নেল নিমেরি।
১৯৮৯ সুদানে ক্ষমতাদখল করলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর আল-বশির।
১৯৯৩ সুদানের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হলেন ওমর আল-বশির।
২০০১ সুদানে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিল। সুদানি ইসলামপন্থী হাসান আল-তুরাবির পপুলার ন্যাশনাল কংগ্রেস দক্ষিণ সুদানের এসপিএলএমের সশস্ত্র শাখা দ্য সুদান পিপল’স লিবারেশন আর্মির (এসপিএলএ) সাথে মেমোরাণ্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং সই করল। পরদিনই আল-তুরাবিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০২ মাচাকোস প্রোটোকল, এসপিএলএম/এ-র সাথে শান্তিচুক্তি সই করল সুদান সরকার।
২০০৩ ডি. এইচ. জনসন, দ্য রুট কজেস অফ সুদান’স সিভিল ওয়ারস।
২০০৫ জানুয়ারি ৯ সুদান সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তিচুক্তি সই হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশটির গৃহযুদ্ধের অবসান। কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ইসলামপন্থী হাসান আল-তুরাবি। এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হলেন দক্ষিণ সুদানের নেতা জন গারাং, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন সালভা কির মায়ারদিত।
২০১১ জুলাই ৯ সুদানের কাছ থেকে স্বাধীনতালাভ করল দক্ষিণ সুদান।
২০১৩-২০ দক্ষিণ সুদানে গৃহযুদ্ধ।
তথ্যসূত্র
African Union. n.d. “Member States | African Union.” Accessed March 3, 2025.
https://au.int/en/member_states/countryprofiles2.
BBC. 2019. “Sudan profile – Timeline.” BBC, September 10.
https://www.bbc.com/news/world-africa-14095300
— 2018. “South Sudan profile – Timeline.” BBC, August 6.
https://www.bbc.com/news/world-africa-14019202
Connolly, Sean. 2008. Sudan. Florida: Rourke Publishing LLC.
Oppong, Joseph, R. 2010. Sudan. New York: Chelsea House.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি