সার্বিয়া

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Image: The Nations Online Project.

সাল

৫০১-৮০০ বর্তমান বলকান অঞ্চলে স্লাভিক গোষ্ঠীগুলোর আগমন ঘটল।

৬২৬ বাইজেন্টাইন সম্রাট হেরাক্লিয়াসের সাথে সার্বদের মৈত্রী স্থাপিত।

১০০০ বর্তমান সার্বিয়ার রাসকা, জেতা, ও হুম প্রিন্সিপালিটির বিকাশ।

১১৬৯-৯৬ সার্বিয়ায় স্তেফান নেমানজার শাসনকাল।

১২১৭ পোপ তৃতীয় অনারিয়াস স্তেফান প্রোভোভেনকান্তকে সার্বদের রাজা ঘোষণা করলেন।

১২১৯ আর্কবিশপ সাভার নেতৃত্বে সার্বীয় অর্থোডক্স চার্চের উত্থান।

১২৭৬-১৩১৪ সার্বিয়ায় হেলেনা আনজুসকা ও তাঁর পুত্রের শাসন।

১৩৩০ বুলগারদের বিরুদ্ধে সার্বদের বিজয়ে নেতৃত্ব দিলে রাজা স্তেফান তৃতীয় উরোস।

১৩৫৫ সার্বিয়ার ইতিহাসের কিংবদন্তি শাসক জার দুসানের মৃত্যু।

১৩৭১ মারিচা নদীর সমর, ওসমানি তুর্কিদের হাতে সার্বদের পরাজয়।

১৩৭৭ বসনিয়া ও সার্বিয়ার রাজা হলেন প্রথম বান স্তেফান ভ্রতকো।

১৩৮৯ কসোভো মাঠের যুদ্ধ, ওসমানি তুর্কিদের হাতে সার্ব অভিজাত শ্রেণির পরাজয়। সার্বিয়া ওসমানি সুলতানশাহির অধীনস্ত হতে শুরু করল।

১৩৯৫ ক্রালিজেভিচ মার্কোর মৃত্যু।

১৪৪৪-১৪৫৯ বিপর্যয়কর ভার্না ক্রুসেড। স্মেদেরোভোর পতন সার্বীয় রাজতন্ত্রের দুর্যোগ ডেকে আনল। সার্বীয় চার্চকে গ্রিক কর্তৃত্বের অধীনস্ত করা হল।

১৫৫৭-১৭৬৬ সার্বীয় অর্থোডক্স চার্চ সীমিত স্বায়ত্তশাসন ফিরে পেল। এর পেছনে সোকুলু মেতমেত পাশার ভূমিকা ছিল। তিনি ছিলেন এক ওসমানি ভিজিয়ের, যিনি মুসলমান হলেও নিজের পরিবারের সার্বীয় শেকড় ভোলেননি।

১৭১৮ পাসারোভিৎজের চুক্তি বর্তমান সার্বিয়ার একাংশ অস্ট্রো-হাঙ্গেরি সাম্রাজ্যের হাতে তুলে দিল।

১৮০৪-৫ দুর্নীতিগ্রস্ত ওসমানি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কারাজর্জের নেতৃত্বে প্রথম সার্ব বিদ্রোহ।

১৮১৫ কৃষক নেতা মিলোস ওব্রেভেনিচের নেতৃত্বে দ্বিতীয় সার্ব বিদ্রোহ।

১৮১৪ সার্বীয় লোক কবিতার একটি সংকলন এবং সার্ব ভাষার একটি ব্যাকরণ প্রকাশ করলেন ভুক কারাদজিচ।

১৮২৬-৩০ ওসমানি সুলতানশাহির ভেতরে কিছুটা স্বায়ত্তশাসন পেল সার্বিয়া।

১৮৩২ ওসমানি সুলতান সার্বীয় অর্থোডক্স চার্চকে স্বাধীন ঘোষণা করলেন।

১৮৪৭ পিটার পেত্রোভিচ জেগোচ, দ্য মাউন্টেন র‍্যাথ

১৮৬০-৬৯ সার্বিয়ায় জাতীয়তাবাদ ও সংসদীয় শাসনব্যবস্থার বিকাশ।

১৮৭৮ বার্লিন চুক্তিতে সার্বিয়াকে সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন ঘোষণা করা হল।

১৮৮২ আধুনিক সার্বিয়া রাজ্য প্রতিষ্ঠা করলেন মিলান ওব্রেনোভিচ।

১৮৮৭ সার্বিয়ায় ক্ষমতায় এল নিকোলা পাসিচের র‍্যাডিকাল পার্টি।

১৯০৩ বেলগ্রেডের রাজপ্রাসাদে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার হলেন সার্বিয়ার রাজা আলেকসান্দার ওব্রেনোভিচ ও রানী দ্রাগা মাসিন।

১৯০৩-২১ সার্বিয়া জনপ্রিয় জাতীয়তাবাদী রাজা পিতার কারাদজরজেভিচের শাসনকাল।

১৯১২-১৩ প্রথম ও দ্বিতীয় বলকান যুদ্ধ। কসোভো ও ম্যাকিদোনিয়ার বিপুল অঞ্চল সার্বদের হাতে এল, মন্টেনেগ্রোর ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটল। ইওরোপে ওসমানি সালতানাতের সময় ফুরিয়ে আসছিল।

১৯১৪ সারায়েভোতে এক বসনীয় সার্ব ছাত্র গাভরিলো প্রিন্সিপের গুলিতে সস্ত্রীক নিহত হলেন অস্ট্রিয়ার আর্কডিউক, শুরু হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।

১৯১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে বলকানে সার্ব, ক্রোয়াট, ও স্লোভেনদের রাজ্য ঘোষিত হল।

১৯২১ সার্ব, ক্রোয়াট, ও স্লোভেনদের রাজ্যের প্রথম সংবিধান প্রণীত হল।

১৯২৯ সার্ব, ক্রোয়াট, ও স্লোভেনদের রাজ্যের নাম বদলেযুগোস্লাভিয়া রাখা হল।* রাজকীয় একনায়কত্ব কায়েম। এর ফলে দেশটির সরকারব্যবস্থা আরো কেন্দ্রীভূত হল।
* যুগোস্লাভিয়া শব্দের মানে হল দক্ষিণ স্লাভদের ভূমি।

১৯৩৪ মার্সেইয়ে ক্রোয়েশীয় আর ম্যাকিদোনীয় ফ্যাসিস্ট আততায়ীদের হাতে খুন হয়ে গেলেন সার্বিয়ার রাজা আলেকসান্দার।

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৪১-৪৫ নাৎসি জার্মানি, ফ্যাসিস্ট ইতালি, বুলগারিয়া ও হাঙ্গেরি সম্মিলিতভাবে আক্রমণ করল যুগোস্লাভিয়া। টিটোর পার্টিজানদের সাথে মিহাইলোভিচের চেতনিকদের তীব্র সংঘাত। ক্রোয়েশীয় ফ্যাসিস্ট সংগঠন উসতাসি ক্যাথলিক ক্রোয়াট রাজত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে সার্ব ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করল।

১৯৪৫ যুদ্ধ শেষে যুগোস্লাভিয়ায় ক্ষমতায় আসল টিটোর পার্টিজানরা। একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত। জোসিপ ব্রজ টিটোর নেতৃত্বে যুগোস্লাভিয়া সমাজতান্ত্রিক ফেডারেল প্রজাতন্ত্র কায়েম করা হল যেখানে, কাগজেকলমে, সব জাতির সমঅধিকার ছিল।*
*ছয়টি প্রজাতন্ত্রের সমষ্টি ছিল এই ফেডারেল প্রজাতন্ত্র। সার্বিয়া (রাজধানী বেলগ্রেড), মন্টেনেগ্রো (রাজধানী টিটোগ্রাদ), স্লোভেনিয়া (রাজধানী জুবজানা), ক্রোয়েশিয়া (রাজধানী জাগরেব), বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা (রাজধানী সারায়েভো), এবং ম্যাকিদোনিয়া (রাজধানী স্কোপজে)। এদের মধ্যে সার্বিয়ায় দুটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ ছিল: কসোভো (রাজধানী প্রিস্টিনা) ও ভোজভোদিনা (রাজধানী নোভি সাদ)।

১৯৪৮ টিটো স্তালিন বিরোধ। “বিশ্ববিপ্লবের কেন্দ্র” রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করল যুগোস্লাভিয়া। ঘোষণা করল তাদের “সমাজতন্ত্রে যাওয়ার জাতীয় পথ।”

১৯৫০-৫৯ যুগোস্লাভিয়ার মার্শাল টিটোর নেতৃত্বে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের সূচনা। কমিউনিস্ট পার্টির নাম বদলে দ্য লীগ অফ কমিউনিস্টস রাখা হল।

১৯৭২ উদার ও জাতীয়তাবাদী প্রতিপক্ষকে পার্জ করলেন টিটো।

১৯৭৩ যুগোস্লাভিয়া মুসলমানদেরকে “জাতিগত সংখ্যালঘু” হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। কমিউনিস্টদের এই অদ্ভূত বর্গীকরণের কারণে এমন একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল, যেন সার্বরা সার্ব আর ক্রোয়াটরা ক্রোয়াট, কিন্তু জাতিগত ফারাক নির্বিশেষে যুগোস্লাভিয়ায় বাস করা সব মুসলমান শুধুই মুসলমান! দুই দশক পরে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা (১৯৯২-৯৫) এবং কসোভোয় (১৯৯৮-৯৯) যে যুদ্ধ দেখা দেয়, তার একটা শেকড় এই বিভ্রান্তিকর রাষ্ট্রীয় নীতিতে প্রোথিত ছিল।

১৯৮০ মার্শাল টিটোর মৃত্যু।

১৯৮৬ সার্বিয়ার অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস অ্যান্ড আর্টস একটি বিতর্কিত মেমোরাণ্ডাম প্রকাশ করল। তাতে উগ্র সার্ব জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে যুগোস্লাভিয়ার ফেডারেল ব্যবস্থার সমালোচনা করা হল। দ্য লীগ অফ কমিউনিস্টসের সার্বীয় শাখার প্রধান হলেন স্লোবোদান মিলোসেভিচ।

১৯৮৭ যুগোস্লাভিয়ার ফেডারেল ব্যবস্থার ভেতরে সার্বীয় প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট হলেন স্লোবোদান মিলোসেভিচ। মিলোসেভিচের কসোভো সফর। সংখ্যাগুরু আলবানীয়দের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সার্বদেরকে উত্তেজিত করলেন।

১৯৮৮ কসোভোয় সামরিক আইন জারি করলেন স্লোবোদান মিলোসেভিচ।

১৯৯১ জুন ২৫ স্লোভেনিয়া আর ক্রোয়েশিয়া নিজেদেরকে সার্বভৌম ঘোষণা করে যুগোস্লাভিয়া থেকে বেরিয়ে এল, রক্তপাতের সূচনা।

১৯৯২ বসনিয়া আর ম্যাকিদোনিয়া নিজেদেরকে স্বাধীন ঘোষণা করল। সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রো যুগোস্লাভ ফেডারেল প্রজাতন্ত্র গঠন করল। সিয়েজ অফ সারায়েভো। বসনীয়দের বিরুদ্ধে সার্বদের জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের শুরুয়াত। যুগোস্লাভ ফেডারেল প্রজাতন্ত্রের ওপর অবরোধ দিল জাতিসংঘ।

১৯৯৩ জাতিসংঘ এ বছর সাবেক যুগোস্লাভিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটিওয়াই) গঠন করে।

১৯৯৪ গোরাজদের নিকটবর্তী একটি জায়গায় বসনীয় সার্ব সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ন্যাটো তার ইতিহাসের প্রথম সামরিক আক্রমণাভিযান পরিচালনা করল।

১৯৯৫ ফেব্রুয়ারি ২৩ জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল ২১ জন বসনীয় সার্বকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করল।

নভেম্বর ২১ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে ডেটন চুক্তির মধ্য দিয়ে বসনিয়া যুদ্ধের অবসান।*

* বসনিয়া যুদ্ধে প্রায় ১০০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়। যুদ্ধের সবচে আলোচিত ঘটনা হল স্রেবেনিচা হত্যাযজ্ঞ। বসনীয় সার্ব সেনাবাহিনীর হাতে ৭,০০০এরও বেশি বসনিয়াক (বসনীয় মুসলমান) পুরুষ ও কিশোর নৃশংসভাবে খুন হন, যা ঘটেছিল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের চোখের সামনে।

ডিসেম্বর ১৪ প্যারিসে যুদ্ধরত সব পক্ষের মধ্যে শান্তিচুক্তি সই।

১৯৯৮ সার্ব শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল কসোভো লিবারেশন আর্মি (কেএলএ)। কসোভার আলবানীয়দের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান শুরু করলেন মিলোসেভিচ। বিপুল সংখ্যক কসোভার আলবানীয় কসোভো ছেড়ে পালিয়ে গেলেন।

১৯৯৯ বিলুপ্তপ্রায় যুগোস্লাভিয়ার শেষ দুই প্রজাতন্ত্র সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিরুদ্ধে ৭৮ দিন ব্যাপী বিমান হামলা পরিচালনা করল ন্যাটো। কসোভো থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হলেন মিলোসেভিচ। কসোভো সার্বিয়ার ভেতরে জাতিসংঘের প্রটেক্টোরেটে পরিণত হল।

২০০০ নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগে তীব্র গণআন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন স্লোবোদান মিলোসেভিচ। সার্বিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন ভোজিস্লাভ কস্তুনিচা। যুগোস্লাভ ফেডারেল প্রজাতন্ত্র জাতিসংঘে যোগ দিল।

২০০১ রাষ্ট্রীয় তহবিল তছরুপ করা আর ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে বেলগ্রেডে গ্রেপ্তার হলেন স্লোবোদান মিলোসেভিচ। তাঁকে আইসিটিওয়াইয়ের হাতে তুলে দেয়া হল। সার্বিয়ার ইতিহাসের প্রথম অকমিউনিস্ট প্রধানমন্ত্রী হলেন জোরান জিনজিচ।

২০০২ গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের দায়ে দ্য নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে স্লোবোদান মিলোসেভিচের বিচার শুরু হল।

২০০৩ যুগোস্লাভিয়ার আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি। গঠিত হল নতুন রাষ্ট্র সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রো। বেলগ্রেডে আততায়ীদের হাতে খুন হলেন প্রধানমন্ত্রী জোরান জিনজিচ।

২০০৪ সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির বরিস তাদিচ, ইওরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণা ব্যক্ত করলেন।

২০০৬ জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালে দ্য নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে স্লোবোদান মিলোসেভিচকে নিজ সেলে মৃতাবস্থায় পাওয়া গেল। সার্বিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল মন্টেনেগ্রো, যুগোস্লাভিয়ার শেষ চিহ্নটুকু পর্যন্ত মুছে গেল। সার্বিয়া গণভোটের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন করল যেখানে কসোভোকে দেশটির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে দেখানো হল, দেশটির সংখ্যালঘু আলবানীয়রা এই গণভোট বয়কট করে।

২০০৭ আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা আদালতের (আইসিজে) রায়ে বলা হল, ১৯৯৫ সালের স্রেবেনিচা হত্যাযজ্ঞ একটি গণহত্যা ছিল; তবে আদালত খোদ সার্বিয়া রাষ্ট্রকে এই গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা থেকে বিরত থাকলেন।

২০০৮ কসোভো সার্বিয়া থেকে নিজেকে স্বাধীন ঘোষণা করল, সার্বিয়া বলল এই স্বাধীনতার ঘোষণা অবৈধ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ইওরোপীয় দেশগুলো কসোভোকে স্বীকৃতি দিল। বেলগ্রেডে সার্বীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেন রাদোভান কারাদজিচ, যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সাবেক বসনীয় সার্ব নেতা।

২০০৯ জাতিসংঘে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানাল সার্বিয়া।

২০১০ সার্বিয়ার সংসদ ১৯৯৫ সালে স্রেবেনিচায় বসনীয় সার্ব সেনাবাহিনীর হাতে সহস্রাধিক বেসামরিক বসনীয় মুসলমান খুনের জন্য ক্ষমা চেয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করল। স্রেবেনিচা হত্যাযজ্ঞের দেড় দশক পূর্তিতে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা সফর করলেন সার্ব প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ। এরপর তাদিচ সফর করলেন ক্রোয়েশীয় শহর ভুকোভার, যেখানে তিনি ১৯৯১ সালে সার্ব বাহিনীর হাতে ২৬০ জন বেসামরিক ক্রোয়েশীয় নাগরিকের মৃত্যুর জন্য ক্ষমা চাইলেন।

২০১১ সার্ব কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেপ্তার হলেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সাবেক বসনীয় সার্ব সেনাপ্রধান রাতকো ম্লাদিচ ও ক্রোয়েশীয় সার্ব গোরান হাদজিচ।

২০১৪ সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রগতিশীল দলের আলেকজান্দার ভুচিচ।

২০১৫ মার্চ ১৯৯৫ সালের স্রেবেনিচা হত্যাযজ্ঞে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয়ার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রথমবারের মত গ্রেপ্তার করল সার্বিয়া, ৭ জনকে আটক করা হল।

২০১৬ মার্চ জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আদালত রায় দিল যে, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে অভিযুক্ত সার্বীয় উগ্র জাতীয়তাবাদী নেতা ভোজিস্লাভ সেসেল অপরাধী নন। জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বেকসুর খালাস পাওয়াদের মধ্যে সেসেলই সবচে উচ্চ খ্যাতিসম্পন্ন বিবেচিত হন।

এপ্রিল জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল সাবেক বসনীয় সার্ব নেতা রাদোভান কারাদজিচকে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিল।

২০১৭ জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল সাবেক বসনীয় সার্ব সামরিক কমাণ্ডার রাতকো ম্লাদিচকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল।

মে সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন আলেকজান্দার ভুচিচ।

জুন সার্বিয়ার প্রথম নারী ও সমকামী প্রধানমন্ত্রী হলেন আনা ব্রনবিচ।

২০১৮ সেপ্টেম্বর ব্রাসেলসে কসোভোর প্রেসিডেন্ট হাশিম থাচির সাথে সাক্ষাৎ করলেন সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্দার ভুচিচ।

২০২২ কসোভো সরকার জাতিগত সার্ব সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলায় সার্বিয়ার ইস্যু করার গাড়ির নম্বর প্লেট কসোভোর ইস্যু করা গাড়ির নম্বরপ্লেট দিয়ে প্রতিস্থাপিত করার চেষ্টা করলে জাতিগত উত্তেজনা বৃদ্ধি পেল।

তথ্যসূত্র

BBC. 2022. “Serbia profile – Timeline.” BBC, November 28.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17913357.amp

Cox, John K.. 2002. The History of Serbia. Westport, Connecticut: Greenwood Press.

Schuman, Michael A.. 2004. Serbia and Montenegro. New York: Facts of File.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *