দক্ষিণ আফ্রিকা

Spread the love

Featured Image: Wikipedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ

সাল

৩০০-৪০০ মধ্য আফ্রিকা থেকে বান্টুভাষী মানুষেরা দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসিত হল, মিশে গেল আদিবাসী সান ও খোইখোই জাতির মানুষদের সাথে।

৬০০-১০০০ দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর ও পুবদিকে বৃহৎ আকারের নগররাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হল।

১৪৮৮ উত্তমাশা অন্তরীপ প্রদক্ষিণ করলেন পর্তুগিজ অভিযাত্রিক বার্থলোমিও দিয়াজ।

১৪৯৭ নাটাল উপকূলে পৌঁছালেন পর্তুগিজ অভিযাত্রিক ভাস্কো দা গামা।

১৬৫২ টেবিল বেতে কেপ উপনিবেশ স্থাপন করলেন ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি ইয়ান ভ্যান রিয়েবেক।

১৭৯৫ নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে কেপ উপনিবেশ দখল করল ব্রিটিশ বাহিনী।

১৮০৩ ব্রিটিশদের কাছে কেপ উপনিবেশ ফিরিয়ে দেয়া হল।

১৮০৬ কেপ উপনিবেশের ওপর দাবি ছেড়ে দিল ওলন্দাজরা। উপনিবেশটি ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেল।

১৮১৬-২৬ জুলু সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করলেন শাকা জুলু।

১৮৩৫-৪০ বুয়োররা কেপ উপনিবেশ ছেড়ে ‘গ্রেট ট্রেক’য়ে চলে গেলেন এবং অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট ও ট্রান্সভাল প্রতিষ্ঠা করলেন।

১৮৫২ ব্রিটিশরা ট্রান্সভালকে সীমিত আকারে স্বশাসন প্রদান করল।

১৮৫৫-৬০ বুয়োররা ট্রান্সভালকে একটা প্রজাতন্ত্র বলে দাবি করল।

১৮৫৬ কেপ উপনিবেশকে নাটাল থেকে বিচ্ছিন্ন করা হল।

১৮৬০-১৯১১ এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারত থেকে হাজার হাজার শ্রমিক ও বণিকের আগমন ঘটে।

১৮৬৭ কিম্বারলিতে হীরা আবিষ্কৃত হল।

১৮৭৭ ট্রান্সভালকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সীমানাভুক্ত করে নেয়া হল।

১৮৭৯ নাটালে জুলুদের পরাস্ত করল ব্রিটিশরা।

১৮৮০-৮১ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসলেন বুয়োররা। প্রথম ইঙ্গ-বুয়োর যুদ্ধ। আপোসরফার মাধ্যমে নিষ্পত্তি হল।

ট্রান্সভালকে একটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে পুনর্বহাল করা হল।

১৮৮০-৮৯ ট্রান্সভালে সোনা আবিষ্কৃত হল।

১৮৯৯ ট্রান্সভাল সীমান্তে ব্রিটিশরা সেনা সমাবেশ ঘটাল। দ্বিতীয় ইঙ্গ-বুয়োর যুদ্ধের সূচনা।

১৯০২ ভেরেনিগিংয়ের চুক্তি, দ্বিতীয় ইঙ্গ-বুয়োর যুদ্ধের অবসান। ট্রান্সভাল ও অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্বশাসিত উপনিবেশের মর্যাদা দেয়া হল।

১৯১০ দক্ষিণ আফ্রিকা ইউনিয়ন গঠন করা হল।

১৯১২ জাতীয় কংগ্রেস গঠন করা হল। ভবিষ্যতে যার নাম হবে আফ্রিকার জাতীয় কংগ্রেস (এএনসি)।

১৯১৪ প্রতিষ্ঠিত হল জাতীয় দল।

১৯১৮ আফ্রিকানারদের স্বার্থে প্রতিষ্ঠা করা হল গোপন ভ্রাতৃসংঘ।

১৯১৯ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রনে এল দক্ষিণ পশ্চিম আফ্রিকা।*
* বর্তমানে নামিবিয়া।

১৯৪৮-৯৪ অ্যাপার্টহেইড জমানা।

১৯৫০ জাতীয় দল অ্যাপার্টহেইডের পক্ষে একগুচ্ছ আইন বানানো, যা ‘রেস’গুলোকে পৃথক ও অসম রাখবে।*
* ‘রেসয়ের ধারণা সামাজিকভাবে ক্ষতিকর ও বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন। নানান জাতি ও অঞ্চলের মানুষের গায়ের রঙ কিংবা দৈহিক গঠনে সামান্য ফারাক থাকলেও প্রজাতিগত সাদৃশ্য অনেক বেশি। আজকে প্রকৃতি বিজ্ঞানী ও সমাজ বিজ্ঞানীদের মধ্যে এই ব্যাপারে প্রায় সর্বজনীন ঐকমত্য রয়েছে যে, বর্ণবাদী রাজনীতি বিজ্ঞানবিরোধী।

১৯৫৫ অ্যাপার্টহেইডকে প্রত্যাখ্যান করে “স্বাধীনতার সনদ” ঘোষণা করল এএনসি।

১৯৬০ জোহানেসবার্গের বাইরে শার্পভিলে অ্যাপার্টহেইড-বিরোধী প্রতিবাদীদের ওপর পুলিশ প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ করলে ৬৯ জনের মৃত্যু হল।

১৯৬১ একটি শাদা সংখ্যালঘু সরকার দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রজাতন্ত্র বলে ঘোষণা দিল। ব্রিটিশ সাধারণতন্ত্র থেকে বেরিয়ে গেল। রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিদাওয়া উপেক্ষা করল।

১৯৬২ এএনসির অন্যতম নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্রের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হল।

১৯৭৭ কারাহেফাজতে পুলিশের হাতে খুন হলেন স্টিভ বিকো।*
* বিকো ছিলেন একজন নেতৃস্থানীয় অ্যাপার্টহেইড-বিরোধী সক্রিয়তাবাদী।

১৯৯০ ফেব্রুয়ারি ১০ রাজবন্দী হিসেবে কয়েদ খাটার ২৭ বছর পর নেলসন ম্যান্ডেলাকে কারাগার থেকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়া হল।

১৯৯১-৯৩ অ্যাপার্টহেইড জমানার অধিকাংশ আইন রদ করা হল।

১৯৯৪ দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত। প্রেসিডেন্ট হলেন নেলসন ম্যান্ডেলা। নির্বাচনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পায় এএনসি।

নেলসন ম্যান্ডেলা, লং ওয়াক টু ফ্রিডম

১৯৯৬ আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর নেতৃত্বে অ্যাপার্টহেইড জমানায় বর্ণবাদী সরকার আর বর্ণবাদবিরোধী মুক্তিকামী আন্দোলন উভয়ের দ্বারা সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘণের শুনানি শুরু করল ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন। সংসদে একটি নয়া সংবিধান গ্রহণ করা হল। জাতীয় দল নিজেকে জোট থেকে প্রত্যাহার করে নিল।

১৯৯৮ ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের প্রতিবেদনে অ্যাপার্টহেইডকে একটি মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হল এবং এএনসিকেও মানবাধিকার লঙ্ঘণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হল।

১৯৯৯ সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করল এএনসি। প্রেসিডেন্ট হলেন থাবো বেকি। অবসরে গেলেন নেলসন ম্যান্ডেল।

২০০১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের বর্ণবাদবিরোধী সম্মেলন আয়োজন করল ডারবান।

২০০২ আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হল দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০০৬ ডিসেম্বর সমকামী বিবাহকে বৈধতা দেয়া প্রথম আফ্রিকান দেশ হল দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০০৯ মে সংসদ কর্তৃক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন জ্যাকব জুমা।

২০১০ জুন বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক রাষ্ট্র হল দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০১৩ ডিসেম্বর নেলসন ম্যান্ডেলার মৃত্যু।

২০২১ দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে কারাগারে পাঠানোর প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও সহিংসতা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী ধর্মযাজক ডেসমন্ড টুটুর মৃত্যু।

তথ্যসূত্র

রাফিন, ইরফানুর রহমান। ২০২২। সময়রেখা: মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে করোনাসংকট পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ঘটনাপঞ্জি। ঢাকা: দিব্যপ্রকাশ।

African Union. n.d. “Member States | African Union.” Accessed March 3, 2025.
https://au.int/en/member_states/countryprofiles2.

BBC. 2022. “South Africa profile – Timeline.” BBC, December 19.
https://www.bbc.com/news/world-africa-14094918

Domingo, Vernon. 2003. South Africa. Philadelphia: Chelsea House.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *