
ইরিত্রিয়া
Featured Image: Wikimedia Commons.

সাল
৩০০-৬০০ বর্তমান ইরিত্রিয়া এসময় আকজুম রাজ্যের অংশ ছিল।
৬০০-৭০০ ইরিত্রিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে ইসলামের প্রসার ঘটালেন আরবরা।
১২৯৯-১৯২২ ওসমানি সুলতানশাহি।
১৫০০-১৫৯৯ তুরস্কের ওসমানি সুলতানশাহি লোহিত সাগরের উপকূলে মাসাওয়ায় একটা সেনা গ্যারিসন স্থাপন করলেন।
১৮৯০ ইতালিরা ইরিত্রিয়া উপনিবেশের ওপর অধিকার দাবি করল।
১৯১৪-১৬ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৩৬ ইতালীয়দের হাতে রাজধানী আদ্দিস আবাবার পতন ঘটলে ইথিওপিয়া ছেড়ে পালিয়ে গেলেন হাইলে সেলাসি। ইতালির রাজাকে ইথিওপিয়ার সম্রাট ঘোষণা করা হল। ইরিত্রিয়া, ইতালীয় সোমালিল্যান্ড, ও ইথিওপিয়াকে জোড়া লাগিয়ে ইতালীয় পূর্ব আফ্রিকা গঠন করা হল।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪১ ইরিত্রিয়া দখল করে নিল ব্রিটিশ সেনাদল।
১৯৪৯ জাতিসংঘের ট্রাস্ট ভূখণ্ড হিসেবে ইরিত্রিয়ার তদারকি শুরু করল ব্রিটেন।
১৯৫২ জাতিসংঘ ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া ফেডারেশন গঠন করল।
১৯৫৮ গঠিত হল ইরিত্রিয়া মুক্তি ফ্রন্ট (ইএলএফ)।
১৯৬২ ইরিত্রিয়াকে ইথিওপিয়ার সীমানাভুক্ত করে নিলেন হাইলে সেলাসি, এবং ইথিওপিয়ার ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করলেন।
১৯৬৭ ইথিওপিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করার লক্ষ্যে পূর্ণ মাত্রায় গেরিলা যুদ্ধ শুরু করল ইরিত্রিয়া।
১৯৭০ ইএলএফে ভাঙন, গঠিত হল ইরিত্রিয়া গণমুক্তি ফ্রন্ট (ইপিএলএফ)।
১৯৭৪ এক সামরিক ক্যুদেতায় উৎখাত হলেন ইথিওপিয়ার সম্রাট হাইলে সেলাসি, ক্ষমতা গ্রহণ করলেন মেনজিসতু হাইলে মারইয়াম।
১৯৭৭-৭৮ সোভিয়েত মদতে ইথিওপীয় সেনাবাহিনী ইরিত্রীয় গেরিলাদের পিছু হঠাতে সাময়িকভাবে সফল হল।
১৯৮২ লাল তারা প্রচারাভিযান, ইরিত্রিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান পরিচালনা করল ইথিওপিয়া। উদ্দেশ্য বিদ্রোহ দমন। এই অভিযানে ইথিওপিয়া ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়।
১৯৯১ ইরিত্রিয়ার রাজধানী আসমারা দখল করে একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করল ইপিএলএফ। মেনজিসতু হাইলে মারইয়ামের পতন ঘটাতে ইথিওপিয়ার বিদ্রোহী আন্দোলনে নিজ মিত্রদের সহায়তা দিল।
১৯৯৩ ইথিওপিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল ইরিত্রিয়া।
১৯৯৯-২০০০ ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া সীমান্ত যুদ্ধ।*
* ২০১৮ সালে সমাপ্ত ঘোষিত হওয়া এই যুদ্ধে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
২০০৯ ডিসেম্বর সোমালিয়া-ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী আল-শাবাবকে মদত দেয়ার অভিযোগে ইরিত্রিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
২০১০ জুন ইরিত্রিয়া ও জিবুতি তাদের সীমান্ত সংঘাত শান্তিপূর্ণভাবে সুরাহা করতে রাজি হল।
২০১৭ জুলাই আসমারাকে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান ঘোষণা করল ইউনেস্কো।
২০১৮ জুলাই ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা দিল।
নভেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ইরিত্রিয়ার ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল। ৯ বছর আগে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
তথ্যসূত্র
African Union. n.d. “Member States | African Union.” Accessed March 3, 2025.
https://au.int/en/member_states/countryprofiles2.
BBC. 2018. “Eritrea profile – Timeline.” BBC, November 15.
https://www.bbc.com/news/world-africa-13349395
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি