
ইথিওপিয়া
Featured Image: Wikipedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ
সাল
১০১-২০০ আরব উপদ্বীপ থেকে লোহিত সাগর পেরিয়ে আসা সেমেটীয়রা আকজুম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করল।
৩০১-৪০০ মিসরের সুবাদে অঞ্চলটিতে কপ্টিক খ্রিস্টধর্ম প্রবর্তিত হল।
৩৫০ ইথিওপিয়ার প্রথম খ্রিস্টান বিশপ হলেন ফ্রুমেন্টিয়াস, দেশটিতে যাঁকে দাস হিসাবে ধরে আনা হয়েছিল।
৫০১-৬০০ এসময়ই কখনো হিমইয়ারিদের রাজা ইহুদিধর্ম গ্রহণ করেন।
৫১৮ হিমইয়ারিরা নাজরানের খ্রিস্টানদের ওপর একটা হত্যালীলা চালাল।
৫২৫ ইথিওপিয়ার খ্রিস্টান রাজ্য হিমইয়ারি-সাবাঈ রাজ্য জয় করে।
১৫৩০-৩১ আহমেদ গ্রান নামক জনৈক মুসলমানের ইথিওপিয়া বিজয়।
১৮১৮-৬৮ আমহারা, গোজ্জাম, টাইগ্রে, আর শোয়া জয় করলেন লিজ কাসা।
১৮৫৫ লিজ কাসার নতুন নাম হল সম্রাট দ্বিতীয় তেয়োদ্রোস।
১৮৬৮ একটি ব্রিটিশ অভিযাত্রিক দলের হাতে পরাজিত হলেন লিজ কাসা, ধরা দেয়ার বদলে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
১৮৭২ টাইগ্রের সর্দারের নতুন নাম হল চতুর্থ জোহানেস।
১৮৮৯ সুদানের মাহদীবাদী বাহিনীর সাথে যুদ্ধ চলাকালে খুন হয়ে গেলেন চতুর্থ জোহানেস। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন শোয়ার রাজা। শেষোক্তজনের নতুন নাম হল সম্রাট দ্বিতীয় মেনেলিক।
উইচালেতে ইতালির সাথে একটি দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী চুক্তি সই করলেন ইথিওপিয়ার সম্রাট দ্বিতীয় মেনলিক। ইথিওপিয়া কার্যত ইতালির একটি প্রটেক্টরেটে পরিণত হল। আদ্দিস আবাবাকে ইথিওপিয়ার রাজধানী ঘোষণা করা হল।
১৮৯৫ ইথিওপিয়ায় হামলা চালাল ইতালি।
১৮৯৬ আদওয়াতে ইথিওপীয়দের কাছে পরাজিত হল ইতালি। উইচালে চুক্তি রদ। ইতালি ইথিওপিয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতিপ্রদান করল, তবে ইরিত্রিয়ার ওপর স্বীয় নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখল।
১৯১৩ সম্রাট দ্বিতীয় মেনেলিকের মৃত্যু, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন নাতি লিজ ইয়াসু।
১৯১৪-১৪ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯১৬ লিজ ইয়াসুকে উৎখাত করা হল। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন মেনেলিকের কন্যা জাউদিতু। জাউদিতু কার্যত রাস তাফারি মাকোনেন নামের এক রাজপ্রতিনিধির মাধ্যমে দেশটি শাসন করেন।
১৯৩০ জাউদিতুর মৃত্যু। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন রাস তাফারি মাকোনেন। নতুন নাম হল সম্রাট প্রথম হাইলে সেলাসি।
১৯৩৫ ইথিওপিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল ফ্যাসিস্ট ইতালি।
১৯৩৬ ইতালীয়দের হাতে রাজধানী আদ্দিস আবাবার পতন ঘটলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন হাইলে সেলাসি। ইতালির রাজাকে ইথিওপিয়ার সম্রাট ঘোষণা করা হল। ইরিত্রিয়া, ইতালীয় সোমালিল্যান্ড, ও ইথিওপিয়াকে জোড়া লাগিয়ে ইতালীয় পূর্ব আফ্রিকা গঠন করা হল।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪১ ইথিওপীয় প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং ব্রিটিশ ও সাধারণতন্ত্রী সৈনিকদের যৌথ বাহিনী ইতালীয়দের পরাস্ত করলেন। মসনদ পুনরুদ্ধার করলেন হাইলে সেলাসি।
১৯৫২ জাতিসংঘ ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া ফেডারেশন গঠন করল।
১৯৬২ ইরিত্রিয়াকে ইথিওপিয়ার সীমানাভুক্ত করে নিলেন হাইলে সেলাসি, এবং ইথিওপিয়ার ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করলেন।
১৯৬৩ আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকীয় ঐক্য সংগঠনের (ওএইউ) প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল।
১৯৭৩/৭৪ দুর্ভিক্ষে ওয়ালো প্রদেশে দুই লক্ষ মানুষের মৃত্যু।
১৯৭৪ তেফেরি বেনতির নেতৃত্বাধীন এক ক্যুদেতায় উৎখাত হলেন সম্রাট হাইলে সেলাসি।
১৯৭৫ বন্দীদশায় হাইলে সেলাসির রহস্যময় মৃত্যু।
১৯৭৭ আততায়ীদের হাতে খুন হলেন তেফেরি বেনতি। ক্ষমতায় এলেন মেনজিসতু হাইলে মারিয়াম।
১৯৭৭-৯১ মেনজিসতু হাইলে মারিয়ামের একনায়কতন্ত্র।
১৯৮৮ সোমালিয়ার সাথে শান্তি চুক্তি সই করল ইথিওপিয়া।
১৯৯১ ইথিওপিয়ার জনগণের বিপ্লবী গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের হাতে রাজধানী আদ্দিস আবাবার পতন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন মেনজিসতু হাইলে মারিয়াম। ইরিত্রিয়ায় একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হল।
১৯৯৩ ইথিওপিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল ইরিত্রিয়া।
১৯৯৪ ইথিওপিয়ার নয়া সংবিধানে দেশটিকে জাতিগত গোষ্ঠীভিত্তিক অঞ্চলে পুনর্বিন্যস্ত করা হল।
১৯৯৫ প্রধানমন্ত্রী হলেন মেলেস জেনাউই।
১৯৯৯-২০০০ ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া সীমান্ত যুদ্ধ।*
* ২০১৮ সালের এই যুদ্ধ সমাপ্ত ঘোষিত হয়।
২০০৬ নভেম্বর ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-শাবাবকে উৎখাত করতে সোমালিয়ায় ঢুকল ইথিওপীয় সেনাবাহিনী।
ডিসেম্বর নির্বাসিত সাবেক একনায়ক মেনজিসতু হাইলে মারইয়ামকে জেনোসাইড সংঘটন করার দায়ে in absentia দোষী সাব্যস্ত করা হল ও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল।
২০১২ আগস্ট মেলেন জেনাউইয়ের মৃত্যু।
সেপ্টেম্বর ইথিওপিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইলেমারিয়া দেসালন।
২০১৬ অক্টোবর মাসব্যাপী সরকারবিরোধী আন্দোলন সহিংস রূপ ধারণ করলে জরুরি অবস্থা জারি করা হল।
২০১৮ ফেব্রুয়ারি সরকারবিরোধী আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী দেসালেন।
২০১৮-বর্তমান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবি আহমেদের শাসনকাল।
২০১৮ মে-জুন ইথিওপিয়া সরকার জরুরি অবস্থা তুলে নিল ও বিপুল সংখ্যক রাজবন্দীকে মুক্তিপ্রদান করল। অক্টোবর বিচ্ছিন্নতাবাদী ওগাডেন জাতীয় মুক্তিফ্রন্টের সাথে শান্তি চুক্তি সই করল ইথিওপিয়া সরকার। ইথিওপিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হলেন সাহলে-ওয়ার্ক জেউদে।
২০১৯ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন আবি আহমেদ।
২০২০-২০২২ ইথিওপিয়া সরকারের সাথে টাইগ্রে অঞ্চলের বিদ্রোহীদের যুদ্ধ।
তথ্যসূত্র
রাফিন, ইরফানুর রহমান। ২০২২। সময়রেখা: মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে করোনাসংকট পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ঘটনাপঞ্জি। ঢাকা: দিব্যপ্রকাশ।
Adejumobi, Saheed A. 2007. The History of Ethiopia. Westport, Connecticut: Greenwood Press.
African Union. n.d. “Member States | African Union.” Accessed March 3, 2025.
https://au.int/en/member_states/countryprofiles2.
BBC. 2020. “Ethiopia profile – Timeline”. BBC, October 12.
https://www.bbc.com/news/world-africa-13351397
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি