Featured Image: Wikimedia Commons.
সাল
চতুর্দশ শতাব্দী এসময়ের আগে কখনো হুতুরা বুরুন্ডিতে বসতিস্থাপন করে।
পঞ্চদশ শতাব্দী বুরুন্ডিতে তুতসি বসতিস্থাপনকারীদের আগমন।
ষোড়শ শতাব্দী বুরুন্ডীয় রাজ্যের উত্থান, পরবর্তীতে উরুন্ডি নামে পরিচিত।
১৮৯০ উরুন্ডি আর রুয়ান্ডাকে জার্মান পূর্ব আফ্রিকার অন্তর্ভুক্ত করা হল।
১৯১৬ বেলজীয় সেনাবাহিনী উরুন্ডি ও রুয়ান্ডা দখল করল।
১৯২৩ লীগ অফ নেশনস বেলজিয়ামকে রুয়ান্ডা-উরুন্ডি শাসনের ম্যান্ডেট দিল, বেলজীয়রা পরোক্ষভাবে তুতসি রাজাদের মাধ্যমে ভূখণ্ডটি শাসন করতে লাগল।
১৯৪৬ রুয়ান্ডা-উরুন্ডি বেলজিয়াম কর্তৃক শাসিত ইউএন ট্রাস্ট টেরিটোরিতে পরিণত হল।
১৯৫৯ জাতিগত সহিংসতার হাত থেকে বাঁচতে বিপুল সংখ্যক রুয়ান্ডীয় তুতসি শরণার্থী বুরুন্ডিতে আশ্রয় নিল।
১৯৬২ রুয়ান্ডা-উরুন্ডি থেকে বেরিয়ে আসল উরুন্ডি। বুরুন্ডি নামের একটি স্বাধীন রাজ্যে পরিণত হল। বুরুন্ডির শাসনকর্তা হলেন রাজা চতুর্থ মোয়ামবুতসা।
১৯৬৩ জাতিগত সহিংসতার হাত থেকে বাঁচতে বিপুল সংখ্যক রুয়ান্ডীয় হুতু শরণার্থী বুরুন্ডিতে আশ্রয় নিলেন। বুরুন্ডিভিত্তিক তুতসি বিদ্রোহীদের একটা ইনকার্শনের প্রতিক্রিয়ায় প্রায় ২০ হাজার রুয়ান্ডান তুতসিকে খুন করা হল।
১৯৬৬ বুরুন্ডির রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করলেন মিশেল মিকোমবেরো, নিজেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেন।
১৯৭২ বুরুন্ডির দক্ষিণাঞ্চলে এক হুতু বিদ্রোহের প্রেক্ষিতে সরকারি বাহিনী ও তাঁর সমর্থকরা ১ লক্ষ ২০ হাজার হুতুকে হত্যা করল।
১৯৭৬ এক সামরিক ক্যুদেতায় প্রেসিডেন্ট মিকোমবেরোকে উৎখাত করলেন জাঁ-ব্যাপ্তিস্ত বাগাজা।
১৯৮১ একটি নতুন সংবিধানের আলোকে বুরুন্ডিতে একদলীয় একনায়কতন্ত্র কায়েম করল ক্ষমতাসীন দল উপরোনা।
১৯৮৭ এক ক্যুদেতায় প্রেসিডেন্ট বাগাজাকে উৎখাত করলেন পিয়েরে বুয়োয়া।
১৯৮৮ বুরুন্ডির তুতসিরা হাজার হাজার হুতুকে হত্যা করল, প্রায় ৫০ হাজার বুরুন্ডীয় হুতু শরণার্থী পালিয়ে রুয়ান্ডায় চলে এল।
১৯৯২ নয়া সংবিধানে বহুদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করা হল।
১৯৯৩ জুন: বহুদলীয় নির্বাচনে জিতল মেলশিয়র দাদায়ের ফ্রন্ট ফর ডেমোক্রেসি ইন বুরুন্ডি (ফ্রোদেবু)। সামরিক শাসনের অবসান। হুতুপ্রধান সরকার গঠিত। অক্টোবর: তুতসি সেনাদের আততায়ী হামলায় প্রেসিডেন্ট দাদায়ে নিহত। মেলশিয়র দাদায়ে হুতু হওয়ায় প্রতিশোধ নিতে ফ্রোদেনবুর সদস্যরা তুতসিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাল। সেনা অভিযান শুরু। জাতিগত সহিংসতায় প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু।
১৯৯৪ জানুয়ারি: সংসদ হুতু সাইপ্রিয়েন তারইয়ামিরাকে প্রেসিডেন্ট মনোনীত করল। এপ্রিল: কিগালিতে গুলি করে রুয়ান্ডা আর বুরুন্ডির প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান বিধবংস করা হলে এতে দুজনেরই মৃত্যু হল। রুয়ান্ডা গণহত্যা সংঘটিত।*
* মাত্র ১০০ দিনে দেশটির ৮ লক্ষ তুতসি ও সহনশীল হুতুকে হত্যা করা হয়। চাপাতিসহ নানান আদিম গোছের অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছিল। সারা দুনিয়া নির্বিকারভাবে টিভি পর্দায় তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছে এই নরমেধযজ্ঞ, বিশ্ব নেতাদের কেউ গণহত্যা ঠেকাতে আসেন নাই।
২০০৬ এপ্রিল: ১৯৭২ সালে জাতিগত সহিংসতা চলাকালীন একটি কারফিউ তুলে নেয়া হল।
২০১৭ অক্টোবর: প্রথম দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ছেড়ে গেল বুরুন্ডি।
২০১৮ ডিসেম্বর: বুরুন্ডির সাবেক প্রেসিডেন্ট পিয়েরে বুয়োয়ার বিরুদ্ধে দেশটি আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল। ১৯৯৩ সালে আরেক সাবেক প্রেসিডেন্ট মেলশিয়র দাদায়ে হত্যায় জড়িত থাকার দায়ে। বুয়োয়ার সমর্থকরা দাবি করলেন, পদক্ষেপটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
২০১৯ এপ্রিল: বুরুন্ডির রাজধানী সরিয়ে গিতেগায় নিয়ে আসা হল।
২০২০ জুন: মহামারীর মধ্যে প্রেসিডেন্ট পিয়েরে কুরুনজিজার মৃত্যু হলে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন সাবেক হুতু বিদ্রোহী নেতা এভারিস্তে দায়িশিমিয়ে।
তথ্যসূত্র
BBC. 2022. “Burundi profile – Timeline.” BBC, November 4, 2022.
https://www.bbc.com/news/world-africa-13087604
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি