Featured Image: Wikimedia Commons.
সাল
১৪৯৩ সাঁউ তুমিতে বসতিস্থাপনের প্রথম সফল প্রচেষ্টা। আলভারো কামিনহার নেতৃত্বে ১০ জন পর্তুগিজ বসতিস্থাপন করেন। এর আগে দ্বীপটিতে মানুষের বসবাস ছিল না।
১৫০০ প্রিন্সিপিতে বসতিস্থাপন সম্পন্ন। দ্বীপটিতে বসতিস্থাপনকারীদের আকর্ষণ করা কঠিন প্রমাণিত হল। তাই এই দ্বীপের আদি বাসিন্দাদের অধিকাংশই ‘অবাঞ্চিত’ ছিলেন, যাদের পাঠানো হয়েছিল পর্তুগাল থেকে। এরা ছিলেন মূলত সেফারদিক ইহুদি। যাদের মধ্যে ২ হাজার শিশু। এই ‘অবাঞ্চিত’দের চিনি প্ল্যান্টেশনে কাজে লাগানো হল।
১৫০১-১৬০০ সাঁউ তুমি আর প্রিন্সিপে দ্বীপ দুটি দাস বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল।
১৫৯৫ সহিংস দাস বিদ্রোহ। ৫ হাজার দাস অভিযান চালিয়ে প্ল্যান্টেশন, চিনিকল, আর বসতিস্থাপনকারীদের ঘরবাড়ি ধবংস করে দিল। তিন সপ্তাহের লড়াইয়ে ২০০ দাসের মৃত্যু হল, বিদ্রোহী নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।
১৬০০-১৮০০ ছোট আকারের কিছু দাস বিদ্রোহ সংঘটিত হল।
১৮০০-৯৯ কোকোয়া ও কফি প্রবর্তন করা হল। কালক্রমে দুনিয়ার পয়লা নম্বর কোকোয়া উৎপাদক হয়ে উঠল সাঁউ তুমি দ্বীপ।
১৯৫১ পর্তুগালের ওভারসিজ প্রদেশ হয়ে উঠল সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি।
১৯৬০ জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী গড়ে উঠল, যার ধারাবাহিকতায় গঠিত হল সমাজতন্ত্রী সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি মুক্তি আন্দোলন (এমএলএসটিপি)।
১৯৭৪ পর্তুগালে সামরিক ক্যুদেতা। দ্বীপপুঞ্জটির স্বাধীনতার দাবির ন্যায্যতা মেনে নিল পর্তুগাল, আপোসরফার ক্ষেত্রে এমএলএসটিপিকে একমাত্র বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে মেনে নিল। এসময় দলে দলে পর্তুগিজরা স্বদেশে ফিরে যান, যার পরপরই দ্বীপপুঞ্জে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
১৯৭৫ পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতালাভ করল সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি। প্রেসিডেন্ট হলেন ম্যানুয়েল পিন্টো দা কস্তা, প্রধানমন্ত্রী হলেন মিগুয়েল ত্রভোদা। দেশটির প্ল্যান্টেশনসমূহ জাতীয়করণ করা হল, সোভিয়েত বলয়ভুক্ত দেশগুলোর সাথে মজবুত সম্পর্ক গড়ে তোলা হল।
১৯৭৮, ১৯৮৮, ২০০৯ বারংবার ক্যুদেতা প্রচেষ্টা।
১৯৭৯ মিগুয়েল ত্রভোদা ১৯৭৮ সালের ক্যুদেতা প্রচেষ্টায় তাঁর ভূমিকার জন্য গ্রেপ্তার হলেন।
১৯৮০-৮৯ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের প্রতিক্রিয়ায় সোভিয়েত বলয়ভুক্ত দেশগুলোর সাথে সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপির সম্পর্ক শিথিল হয়ে এল। দ্বীপপুঞ্জটি নিজেকে জোটনিরপেক্ষ ঘোষণা করল। পুনরুদ্ধারের জন্য পশ্চিমা বলয়ভুক্ত দেশগুলোর সাহায্য চাইলো।
১৯৮১ কারামুক্তি লাভ করে দেশান্তরী হলেন মিগুয়েল ত্রভোদা।
১৯৯০ নয়া সংবিধানে বিরোধীদলগুলোকে রাজনীতির অনুমতি দেয়া হল ও বহুদলীয় নির্বাচন প্রবর্তন করা হল। ঠিক করা হল যে, প্রেসিডেন্ট টানা দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফিরলেন ত্রভোদা।
১৯৯১ প্রথম বহুদলীয় নির্বাচন। পুনঃনামকৃত এমএলএসটিপি-পিএসডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল। রূপান্তরকালীন সরকার বহাল করা হল। পিছিয়ে গেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই ধারাবাহিকতায় স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মিগুয়েল ত্রভোদা।
১৯৯২ কৃচ্ছসাধন কর্মসূচির বিরুদ্ধে জনপ্রিয় অসন্তোষ দেখা দিল।
১৯৯৫ এক রক্তপাতহীন ক্যুদেতায় উৎখাত হলেন মিগুয়েল ত্রভোদা। সৈনিকরা তাঁকে আটক করল। কিন্তু দাতা দেশগুলোর চাপে কিছুদিনের মধ্যেই ত্রভোদাকে ক্ষমতায় পুনর্বহাল করতে বাধ্য হল।
১৯৯৬ ত্রভোদা পুনর্নির্বাচিত হলেন। অর্থনৈতিক ক্লেশের কারণে জনপ্রিয় আন্দোলন দেখা দিল।
২০১০ ২০০৯ সালের ক্যুদেতা প্রচেষ্টার জন্য কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা আর্লেসিও কস্তাকে ক্ষমা প্রদর্শন করা হল।
২০১৬ তাইওয়ানের সাথে যোগাযোগ ছিন্ন করে চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করল সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি।
তথ্যসূত্র
BBC. “Sao Tome and Principe country profile.” BBC, July 19, 2023.
https://www.bbc.com/news/world-africa-14093493
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি