মিসর

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Images: The Nations Online Project.

পূর্বসাল

৩২০০ মিসরে হায়ারোগ্লিফিক লিপির বিকাশ ঘটছে।

৩১৫০ বিজয়াভিযানের মাধ্যমে মিসরকে ঐক্যবদ্ধ করলেন রাজা মেনেস। মিসরের আদি রাজতান্ত্রিক পর্বের সূচনা। ২৬১৩ পূর্বসাল পর্যন্ত আদি রাজারা শাসন করবেন।

৩১৫০-০০ রাজা মেনেসের শাসনকাল।*
* নার্মার নামেও পরিচিত।

৩০০০ সিরিয়া আর মিসরের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপিত।

২৬৭০ এ সময় মিসর শাসন করছেন রাজা জোসের, আমাদের জানাশোনার মধ্যে প্রথম পিরামিডটির নির্মাতা।

২৬৭০-৫০ রাজা জোসেরের শাসনামলে ইমহোতেপ কর্তৃক নির্মিত হল স্টেপ পিরামিড।

২৬১৩-২১৮১ মিসরের পুরনো রাজত্ব পর্ব

২৫৬০ ফারাও খুফু কর্তৃক নির্মিত হল গিজার মহা পিরামিড।

২৫০০ নির্মিত হল গিজার স্ফিংস।

২১৮১-২০৪০ মিসরের প্রথম মধ্যবর্তী পর্ব

১৮০০ মিসরের ব্রোঞ্জের ব্যবহার শুরু হল। কাহুনের গাইনাকোলজিকাল প্যাপিরাসে নারী স্বাস্থ্য ও গর্ভনিরোধের প্রসঙ্গ উল্লিখিত হল।

১৭৮৩ হিকসোরা আভারিস নির্মাণ করে শহরটিকে তাদের রাজধানী বানাল।

১৭৮২-১৫৭০ মিসরের দ্বিতীয় মধ্যবর্তী পর্ব

১৭০০ মিসরের দক্ষিণাঞ্চলে গঠিত হল কুশ রাজ্য।

১৬০০ এডউইন স্মিথ প্যাপিরাস, একটি মিসরীয় মেডিকেল টেক্সট।

১৫৭০ হিকসোদেরকে মিসর থেকে তাড়িয়ে দিলেন প্রথম আহমোস, ধবংস করে দিলেন তাদের রাজধানী আভারিস।

১৫৭০-১০৬৯ মিসরের নতুন রাজত্ব পর্ব

১৫৫০- ১০৭০ এ সময়ই কখনো লিখিত হয় ইজিপশিয়ান বুক অফ দ্য ডেড

১৫০৪-১৪৯২ মিসরীয় সাম্রাজ্যকে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করলেন ফারাও তুতমোস।

১৫০০ ফোরাত নদী পর্যন্ত সম্প্রসারিত হল মিসরীয় সাম্রাজ্য।

১৪৭৯-৫৮ রানী হাতশেপসুতের শাসনামল।

১৪৫৮-২৫ ফারাও তৃতীয় তুতমোসের রাজত্ব।

১৪৫৮ কানান – ফিলিস্তিনের একটি প্রাচীন নাম – আক্রমণ করলেন ফারাও তৃতীয় তুতমোস। কাদেশ ও মেজিদ্দোর নেতৃত্বে গঠিত হল কানান, কাদেশ, মিত্তানি, ও মেজিদ্দোদের কানানীয় ঐক্যজোট। মেজিদ্দোর যুদ্ধ, কাদেশের রাজা দুরুশার নেতৃত্বাধীন ঐক্যজোটকে পরাস্ত করলেন ফারাও তৃতীয় তুতমোস।

১৩৮৬-৫৩ ফারাও তৃতীয় আমেনহোতেপের রাজত্ব।

১৩৫৩-৩৬ ফারাও আখেনাতেনের রাজত্ব। তিনি ও তাঁর স্ত্রী নেফারতিতি মিসরের বহুদেবত্ববাদ ত্যাগ করে একপ্রকার একেশ্বরবাদ প্রচার করেন।* তাই ঐতিহ্যিক বহুদেবত্ববাদীদের নজরে তাঁরা ছিলেন ধর্মদ্রোহী।
*এই একেশ্বরবাদ ইহুদি-খ্রিস্টান-মুসলমানদের নিরাকার ঈশ্বরের ধর্ম না। আখেনাতেন সূর্যদেবতা আতেনকে একমাত্র ঈশ্বর মনে করতেন। তথাপি একেশ্বরবাদের প্রথম প্রবক্তা হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ আখেনাতন।

১৩৩৬-২৭ ফারাও তুতেনখামুনের রাজত্ব।

১৩২৭-২৩ ফারাও আঈয়ের রাজত্ব। এসময় আখেনাতেনের একেশ্বরবাদের প্রভাব প্রায় ফুরিয়ে এসেছে। মিসর ফিরে গেছে তার ঐতিহ্যিক বহুদেবত্ববাদী ধর্মে।

১৩২০ আঈকে উৎখাত করে ফারাও হলেন সেনাপ্রধান হোরেমহেব।

১৩২০-১২৯২ ফারাও হোরেমহেবের রাজত্ব।

১২৯৫ ফারাও রামেসিস প্রতিষ্ঠান করলেন মিসরের ১৯তম রাজত্ব।

১২৯৪-৭৯ ফারাও প্রথম সেতির রাজত্ব।

১২৭৯-১২ ফারাও দ্বিতীয় রামেসিসের রাজত্বকাল।*
* সেমিটীয় একেশ্বরবাদী বিশ্বাসের ফেরাউন এই দ্বিতীয় রামেসিস। যিনি ইহুদিদের বন্দী করে রেখেছিলেন এবং মুসা নবি যার অত্যাচারের হাত থেকে ইহুদিদেরকে রক্ষা করে কানানে – বর্তমান ফিলিস্তিন – নিয়ে যান। বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টে বর্ণিত এই কথিত এক্সোডাসের পক্ষে আজ পর্যন্ত কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

১২৭৪ হিত্তীয় আর মিসরের ফারাও দ্বিতীয় রামেসিসের মধ্যে কাদেশের যুদ্ধ। অমীমাংসিতভাবে শেষ হল। দুই পক্ষই নিজেকে বিজয়ী দাবি করল।

১২৬৪-৪৪/১২৪৪-২৪ আবু সিম্বেল মন্দির নির্মাণের সম্ভাব্য সময়কাল।

১২৫৮ কাদেশের সন্ধি, মিসরীয় ও হিত্তীয়দের মধ্যে শান্তি চুক্তি সাক্ষরিত হল, যা ইতিহাসের প্রথম শান্তি চুক্তি।

১১৮৪-৫৩ ফারাও তৃতীয় রামেসিসের রাজত্ব।

১১৮০ ‘সমুদ্রবাসী’ গোষ্ঠীদের আক্রমণের শিকার হল মিসর।

১১৭৮ ‘সমুদ্রবাসী’ গোষ্ঠীদেরকে পরাস্ত করলেন রাজা দ্বিতীয় রামেসিস।

১০৬৯-৫২৫ মিসরের তৃতীয় মধ্যবর্তী পর্ব

৭৫০ মিসরে লোহার ব্যবহার শুরু হল।

৭১২-৬৭১ এ সময় মিসর শাসন করছেন কুশীয়রা।

৬৭১ অ্যাসিরীয়রা মেম্ফিস দখল ও মিসর জয় করলেন।

৬৬৭-৬৫ মিসরীয় বিদ্রোহ দমন করলেন অ্যাসিরীয় সম্রাট আশুরবনিপাল।

৬৫৩ অ্যাসিরীয়দের মিসর থেকে বিতাড়িত করা হল।

৬০১ মিসর দখলের একটা ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালালেন বাবেলের সম্রাট দ্বিতীয় নেবুশেডনেজার।

৫২৫ মিসরীয় পলিম্যাথ ইমহোতেপের ওপর দেবত্ব আরোপিত হল। পারস্যের রাজা দ্বিতীয় ক্যামবিসাস পেলুসিয়াম জয় করলেন। ৩৪১ পূর্বসালে পারস্যের মিসর জয় সম্পূর্ণ হবে।

৫২০ পারস্যের রাজা দারিউস একটি খালের মাধ্যমে নীল নদকে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত করলেন।

৩৩১ বিনা প্রতিরোধে মিসর জয় করলেন সেকান্দার শা। মিসরের বন্দরনগরী হ্রাকোটিসে প্রতিষ্ঠা করলেন একটি নগরী। এটিই বিখ্যাত আলেকজান্দ্রিয়া।

৩২৩ সেকান্দার শার মৃত্যু। মিসর জয় করলেন তাঁর সেনাপতি টলেমি প্রথম সটার। প্রতিষ্ঠা করলেন টলেমীয় রাজবংশ।

৩২৩-৩১ মিসরে হেলেনীয় যুগ।

৩০০ আলেকজান্দ্রিয়ার যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করলেন রাজা প্রথম টলেমি।

২৮৫-৪৬ এ সময়ই কখনো নির্মিত হয় আলেকজান্দ্রিয়ার বিখ্যাত পাঠাগার।

২৪৭ আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘরের – ফারোস – নির্মাণকাজ শেষ হল।

৬৯ রানী ক্লিওপেট্রার জন্ম।

৪৭ মিসরের নিরঙ্কুশ শাসক হয়ে উঠলেন ক্লিওপেট্রা, নিজেকে তিনি দেবী আইসিস হিসেবে উপস্থাপন করেন।

৩০ রানী ক্লিওপেট্রার মৃত্যুতে মিসরে টলেমীয় রাজবংশের অবসান। রোমক সাম্রাজ্যের একটি প্রদেশে পরিণত হল মিসর। ৪৭৬ সাল পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বহাল থাকবে।

৬ পূর্বসাল – ৩০ সাল বর্তমান ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে জন্ম নেয়া খ্রিস্টধর্মের প্রাণকেন্দ্র জেসাস ক্রাইস্টের জীবনকাল।

সাল

মিসর আর ভারতবর্ষের মধ্যে নৌ যোগাযোগের সূচনা।

১১৫ কিটোস যুদ্ধে আলেকজান্দ্রিয়া ধ্বংস হয়ে গেল।

১১৭ রোমক সম্রাট হাড্রিয়ান পুনর্নিমাণ করলেন আলেকজান্দ্রিয়া নগরী।

১৩২ আলেকজান্দ্রিয়ায় লিপিবদ্ধ হল বাইবেলের গ্রিক তর্জমা সেপ্টুয়াজিন্ট

৩১৪ আলেকজান্দ্রিয়ায় পৌত্তলিকদের সাথে খ্রিস্টানদের সংঘাত দেখা দিল।

৩৯১ আলেকজান্দ্রিয়ার খ্রিস্টান প্যাট্রিয়ার্ক থিওফিলাস নগরীর পৌত্তলিক মন্দিরগুলো ধ্বংস করলেন।

৪১৫ ধর্মান্ধ খ্রিস্টানদের হাতে খুন হলেন আলেকজান্দ্রিয়ার হাইপেশিয়া।*
* হাইপেশিয়াকে বলা হয় ‘আফ্রোদাইতের শরীরে প্লেটোর আত্মা।’ দার্শনিক ও গণিতবিদ। তাঁকে ‘বিজ্ঞানের শহিদ’ বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

৫২৭-৬৪৬ এসময় মিসর শাসন করছে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য।*
* রোমক সাম্রাজ্যের ভাঙনের পর পূর্ব রোমক সাম্রাজ্য বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য (Βασιλεία Ρωμαίων) নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। এখানে বাইজেন্টাইন বলতে সাম্রাজ্যটির শাসকদেরকে বোঝাবে। কুরআন শরিফে রুম বলতে এই সাম্রাজ্যকেই বোঝানো হয়েছে, যার কেন্দ্র ছিল কনস্টান্টিনোপল, বর্তমান তুরস্কের ইস্তানবুল।

৫৭০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম।

৬১৯ পারস্যের সাসানীয়রা আলেকজান্দ্রিয়া দখল করে নিল।

৬৪৬ আরবদের মিসর জয়।

৯০৯-১১৭১ এ সময় মিসর শাসন করছে শিয়াদের ফাতিমি খেলাফত।

৯৭০-৭২ কায়রোতে ফাতিমিরা প্রতিষ্ঠা করল জামিয়াতুল আল-আজহার।

১২৫০-১৫১৭ এ সময় মিসর শাসন করছে মামলুক সুলতানশাহি।

১২৬০-১৫১৭ মক্কা মিসর-সিরিয়ার মামলুক সুলতানশাহির অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।

১২৯৯-১৯২২ ওসমানি সুলতানশাহি

১৫১৭ মিসরকে ওসমানি সুলতানশাহির অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হল।

১৭৯৮ ফ্রান্সের নেপোলিয়ান বোনাপার্তে মিসর আক্রমণ করলেন।

১৮০১ ব্রিটিশ ও ওসমানি তুর্কিদের একটা যৌথ বাহিনী মিসর থেকে নেপোলিয়ানকে বিতাড়িত করল।

১৮০৫ মিসর কাগজেকলমে ওসমানি সুলতানশাহির অংশ রয়ে গেলেও মিসরে ওসমানি আলবানীয় কমান্ডার মোহাম্মদ আলি এ বছর একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন যা ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত টিকে ছিল।

১৮১৫ মিসরের মোহাম্মদ আলির বাহিনী ওহাবিদেরকে পরাজিত করল।

১৮১৮ মিসরীয়রা দিরিয়ার সৌদি রাষ্ট্র ধবংস করে দিল।

১৮৩৮ মোহাম্মদ আলি রিয়াদ দখল করলেন।

১৮৪৩ রিয়াদে সৌদি রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেন ফয়সাল বিন তুর্কি।

১৮৫৯-৬৯ সুয়েজ খাল নির্মিত।

১৮৮২ মিসরীয় সেনাবাহিনীকে হারিয়ে ব্রিটিশ সেনারা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিল।

১৯১৪ মিসর আনুষ্ঠানিকভাবে একটি আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হল।

১৯২২ মিসরের রাজা হলেন প্রথম ফুয়াদ। ব্রিটিশদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা লাভ করল মিসর। তবে ১৯৫০-এর দশক পর্যন্ত দেশটির ওপর ব্রিটিশদের প্রভাব রয়ে যায়।

১৯২৮ হাসান আল-বান্না কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল মুসলিম ব্রাদারহুড। বান্না স্কুলশিক্ষক ছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল মিসরকে পশ্চিমা প্রভাবমুক্ত করা।

১৯৩৬ মিসর ছেড়ে যেতে শুরু করল ব্রিটিশরা।

১৯৩৭ আগাথা ক্রিস্টি, ডেথ অন দ্য নাইল

১৯৪৮ ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের বুকে প্রতিষ্ঠিত হল ইসরায়েল রাষ্ট্র। প্রথম আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ। যুদ্ধে গাজা উপত্যকা দখল করে নেয় মিসর।

১৯৪৯ আগের বছরের যুদ্ধে হেরে গিয়েছিল আরব রাষ্ট্রগুলো। তরুণ সেনাকর্মকর্তারা রাষ্ট্রগুলোর অযোগ্য ও পশ্চাৎপদ রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে এই পরাজয়ের জন্য দায়ী করেন। এবছর মিসরে রাজতন্ত্র উৎখাত করতে গঠিত হল কমিটি অফ দ্য ফ্রি অফিসার্স মুভমেন্ট।

১৯৫২ কায়রোতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে ২০ জন খুন হলেন। ফ্রি অফিসার্স ক্যুদেতা। মিসরে কয়েক হাজার বছরের রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান।

১৯৫৩ মিসর প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট হলেন মোহাম্মদ নাজিব।

১৯৫৪ মিসরের প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন জামাল আবদেল নাসের। ব্রিটেনের সাথে ইভ্যাকুয়েশন চুক্তি সই করল মিসর। মিসর থেকে ব্রিটিশরা চূড়ান্তভাবে বিদায় নিল।

১৯৫৬ মিসর প্রজাতন্ত্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হলেন জামাল আবদেল নাসের। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত আমৃত্যু এই পদে থাকবেন তিনি। নাসের ছিলেন আধুনিক মিসরের রূপকার। আসওয়ান বাঁধ প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে ব্রিটিশ ও মার্কিনীরা সরে আসার প্রতিক্রিয়ায় সুয়েজ খাল জাতীয়করণ করলেন প্রেসিডেন্ট নাসের। ব্রিটেন, ফ্রান্স, ও ইসরায়েলের সম্মিলিত মিসর আক্রমণ।* যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন নাসেরের পক্ষে দাঁড়ানোয় ইঙ্গ-ফরাসি-ইসরায়েলিরা পিছু হঠে, এতে দেশ বিদেশে নাসেরের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।
* দ্বিতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, যা সুয়েজ যুদ্ধ নামেও পরিচিত।

সেসিল বি. দেমিল, দ্য টেন কমান্ডমেন্টস

১৯৫৮-৬১/৭১ আরব জাতীয়তাবাদী আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে মিসর ও সিরিয়া গঠন করল সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্র (ইউএআর)।

১৯৬১ কায়রোর জামিয়াতুল আল-আজহারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেয়া হল।

১৯৬১-৬৬ জামাল আবদেল নাসের শিল্পকারখানা জাতীয়করণ করলেন। একইসাথে মুসলিম ব্রাদারহুড ও কমিউনিস্টদের ওপর নির্যাতন শুরু করলেন। এ সময় তিনি ক্রমেই একনায়কতন্ত্রী হয়ে ওঠেন।

১৯৬৩ জোসেফ এল. ম্যানকিয়েভিৎজ, ক্লিওপেট্রা

১৯৬৭ তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ , যা জুন যুদ্ধ নামেও পরিচিত। ইসরায়েল সিনাই উপত্যকা দখল করে নিল। জরুরি অবস্থা জারি।

১৯৭০ জামাল আবদেল নাসেরের মৃত্যুতে মিসরের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন আনোয়ার সাদাত।

১৯৭১ সোভিয়েত অর্থায়নে আসওয়ান বাঁধের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হল।

১৯৭৩ চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।* ১৯৬৭ সালে হারানো ভূমি পুনরুদ্ধার করতে মিসর ও সিরিয়া এই যুদ্ধে অংশ নেয়। যুদ্ধের পরে সিনাই উপত্যকা ফিরে পাওয়ার জন্য ইসরায়েলের সাথে দরকষাকষি শুরু করে মিসর।
* ‘অক্টোবর যুদ্ধ’, ‘ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধ’, ‘রমজান যুদ্ধ’ ইত্যাদি নামেও পরিচিত।

১৯৭৭ জানুয়ারি বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে জরুরী খাদ্যদ্রব্যের ওপর থেকে ভর্তুকি ছাঁটাই করার সরকারি নীতির বিরুদ্ধে মিসরের বড় শহরগুলোতে আন্দোলন দেখা দিল।

অক্টোবর ইসরায়েল সফর করলেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণ শুরু হল।

১৯৭৯ ইসরায়েলের সাথে মিসরের শান্তি চুক্তি। সিনাই উপত্যকা ফিরিয়ে দিল ইসরায়েল। আরব লীগ থেকে মিসরকে বহিষ্কার করা হল।

১৯৮১ ইসলামপন্থীদের আততায়ী হামলায় খুন হলেন আনোয়ার সাদাত। মিসরের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন হোসনি মোবারক। জরুরী অবস্থা জারি।

১৯৮১-২০১১ মার্কিন মদতে হোসনি মোবারকের তিন দশকের একনায়কতন্ত্র।

১৯৮৮ এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান নাগিব মাহফুজ।

১৯৯১ ইরাকের সাদ্দাম হোসেন কুয়েত আক্রমণ করলে সাদ্দামের বিরুদ্ধে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিল মিসর।

১৯৯২-৯৭ ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী জামায়া ইসলামিয়ার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বছরগুলো, ১৯৯৭ সালে লুক্সোরের ঐতিহাসিক প্রত্নস্থানে ৬২ জনকে খুন করে তারা।

২০০৯ আলেহান্দ্রো আমেনাবার, অ্যাগোরা

২০১০ তারেক ওসমান, ইজিপ্ট অন দা ব্রিংক: ফ্রম নাসের টু দ্য মুসলিম ব্রাদারহুড

মোহাম্মদ দিয়াব, কায়রো ৬, ৭, ৮

২০১০-১১ তিউনিসিয়ায় শুরু হওয়া আরব বসন্তের ঢেউ মিসরে লাগল, তৈরি হল তাহরির স্কয়ার।

২০১১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা ছাড়লেন মোবারক, একটি সেনা কাউন্সিলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেন।

নভেম্বর তাহরির স্কোয়ারে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে প্রতিবাদীদের সংঘর্ষ।

মিয়া গ্রোন্ডাল, তাহরির স্কয়ার: দ্য হার্ট অফ ইজিপশিয়ান রেভল্যুশন
লিয়োড সি. গার্ডনার, দ্য রোড টু তাহরির স্কয়ার: ইজিপ্ট অ্যান্ড দ্য ইউনাইটেড স্টেটস ফ্রম দ্য রাইজ অফ নাসের টু দ্য ফল অফ মোবারক

২০১২ মিসরে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এল মুসলিম ব্রাদারহুড। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ মুরসি। ১৯৮১ সাল থেকে কার্যকর থাকা জরুরী অবস্থা তুলে নেয়া হল।

জন অ্যালপার্ট ও ম্যাথিউ ও’নিল, ইন তাহরির স্কয়ার: এইটিন ডেইজ অফ ইজিপ্ট’স আনফিনিশড রেভল্যুশন

২০১৩ জুলাই মিসরের তৎকালীন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ সিসি কর্তৃক এক সামরিক ক্যুদেতায় উৎখাত হলেন দেশটির ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুসলিম ব্রাদারহুডের মোহাম্মদ মুরসি।

আগস্ট রাবা আল-আদাওয়িয়া চত্বরে মিসরের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খুন হলেন শতাধিক মুরসি সমর্থক। মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হল।

ডিসেম্বর মানসুরায় এক বোমা বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু। মুসলিম ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ঘোষণা করল সরকার।

জেহান নৌজাইম, দ্য স্কয়ার

২০১৪ মিসরের নতুন সংবিধান ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করল।

মে সামরিক বাহিনী থেকে অবসরে যাওয়ার পর মিসরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আবদেল ফাত্তা সিসি।

সিরিয়া ও ইরাকের একাংশ নিয়ে ইসলামি রাষ্ট্র (আইএস) খেলাফত ঘোষণা করলে সিনাইভিত্তিক সংগঠন আনসার বেইত আল-মাকদিস খেলাফতের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করল।

রিডলি স্কট, এক্সোডাস: গডস অ্যান্ড কিংস

২০১৫ সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল। একাধিক মেগা প্রকল্প হাতে নিলেন সিসি। উদ্দেশ্য ডলার রাজস্ব বাড়ানো।

২০১৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিসরীয় পাউন্ডকে এক-তৃতীয়াংশ devalue করল। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মিসরকে তিন বছর মেয়াদে ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিল।

মোহাম্মদ দিয়াব, ক্ল্যাশ

২০১৬-১৭ লোহিত সাগরের দুটি জনবসতিহীন দ্বীপ তিরান ও সানাফিরকে সৌদি আরবের হাতে তুলে দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ও আইনী ঝামেলায় পড়লেন সিসি।

২০১৭ মিসরে নতুন করে জরুরি অবস্থা জারি করা হল। কাতারকে কোনঠাসা করার সৌদি প্রয়াসে শামিল হল মিসর। উত্তর সিনাইয়ের বির আল-আবেদ গ্রামের এক মসজিদে সশস্ত্র ইসলামপন্থীদের হামলায় ৩০০রও বেশি মানুষের মৃত্যু। সিনাইয়ে একটি সামরিক অভিযান শুরু করলেন সিসি।

২০১৮ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সিসি। আগেরবারের মতই তিনি ৯৭ শতাংশ ভোট পেলেন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীকে গ্রেপ্তার করা হল, অন্যরা অবশ্য নির্বাচনের আগেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন।

২০১৯ এপ্রিল এক গণভোটে সিসির ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানো এবং টানা তৃতীয়বারের মত প্রেসিডেন্ট হতে পারার পক্ষে প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারকে বৈধতা দেয়া হল।

২০২০ মার্চ করোনা মহামারী মিসরের লাভজনক পর্যটন শিল্পে আঘাত হানলেও আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় সিসি মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ চালিয়ে গেলেন।

ইথিওপিয়ার গ্রান্ড রেনেসাঁ বাঁধকে কেন্দ্র করে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটল। মিসর বাঁধটিকে একটি হুমকি হিসেবে দেখে। যা নীল নদ থেকে পাওয়া পানির ভাগ কমিয়ে দেবে।

আয়তেন আমিন, সুয়াদ

২০২২ ফেব্রুয়ারি-মার্চ ডলার ঘাটতির দরুণ মিসরে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিল।

২০২৩ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা। প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিসর কূটনীতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল। অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রদান ও বন্দী বিনিময় বিষয়ক আপোসরফা প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে পড়ল।

তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হলেন সিসি।

তথ্যসূত্র

রিজন, শাহরিয়ার। ২০১৮। “ফারাও আখেনাতেন এবং মিসরীয় একেশ্বরবাদ।” ইতিবৃত্ত, আগস্ট ১৪।
https://itibritto.com/pharaoh-akhenaten-and-egyptian-monotheism/

African Union. n.d. “Member States | African Union.” Accessed March 3, 2025.
https://au.int/en/member_states/countryprofiles2.

BBC. 2019. “Egypt profile – Timeline.” BBC, January 7.
https://www.bbc.com/news/world-africa-13315719
2024. “Egypt country profile.” BBC, January 2.
https://www.bbc.com/news/world-africa-13313370

Mark, Joshua J. 2009. “Ancient Egypt.” World History Encyclopedia. Last modified September 02. https://www.worldhistory.org/egypt/.
2018c. “Alexandria, Egypt.” World History Encyclopedia. Last modified May 02. https://www.worldhistory.org/alexandria/.
2018b. “Fertile Crescent.” World History Encyclopedia. Last modified March 28. https://www.worldhistory.org/Fertile_Crescent/.

Reuters. 2023. “Egypt’s Sisi: A decade at the top.” Reuters, December 8. https://www.reuters.com/world/africa/egypts-sisi-decade-top-2023-12-08/

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *