
গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
Featured Image: Wikimedia Commons.

পূর্বসাল
২০০০ বান্টু জাতির মানুষের পিগমি জাতির মানুষদের প্রতিস্থাপিত করল।
সাল
৭০০ বান্টু আর পিগমি জাতির মানুষেরা একসাথে বাস করতে শুরু করলেন ও বাণিজ্য এলাকা প্রতিষ্ঠা করলেন।
১৪০০-৫০ প্রতিষ্ঠিত হল কঙ্গো রাজ্য।
১৫০০-৯৯ শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করল কঙ্গো রাজ্য।
১৮৭১ কঙ্গো নদী ও আটলান্টিক সাগরে অভিযাত্রা পরিচালনা করলেন হেনরি এম. স্ট্যানলি।
১৮৭৫ নিজের ব্যক্তিগত এস্টেট হিসেবে কঙ্গো ফ্রি স্টেট প্রতিষ্ঠা করলেন বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড।
১৮৮৪-৮৫ বার্লিন সম্মেলন। ইওরোপীয় শক্তিগুলো আফ্রিকাকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল। কঙ্গো নদী অববাহিকা রাজা লিওপোল্ডকে দেয়া হল।
১৮৮৫-১৯০৮ ‘কঙ্গো ফ্রি স্টেট’।*
* (Hochschild 1998) এর হিসেবে, রাজা লিওপিল্ডের এই ব্যক্তিগত এস্টেটে ১ কোটি কঙ্গোবাসীর মৃত্যু হয়।
১৮৯৫-৯৯ এডমুন্ড মোরেল নামের ব্রিটিশ খালাসি কঙ্গোয় বেলজীয়দের অন্যায় নিয়ে তদন্ত করা শুরু করলেন।
১৯০৪ মোরেল প্রতিবেদন।
১৯০৮ রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ড কঙ্গো ফ্রি স্টেটের মালিকানা বেলজীয় সরকারের হাতে তুলে দিলেন।
১৯০৯ রাজা দ্বিতীয় লিওপোল্ডের মৃত্যু।
১৯৫০-৫৯ সমান্তরালে দুটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের উত্থান ঘটল। প্যাট্রিক লুমুম্বার নেতৃত্বে কঙ্গো জাতীয় আন্দোলন (এমএনসি)। আর জোসেফ কাসাভুবুর নেতৃত্বে বাকঙ্গো অ্যাসোসিয়েশন (আবাকো)।
১৯৫৯ আবাকোর সভার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল বেলজীয় কর্তৃপক্ষ। কাসাভুবুকে গ্রেপ্তার করল। এর প্রতিক্রিয়ায় লিওপোল্ডভিলজুড়ে* ব্যাপক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ল।
* বর্তমানে কিনশাসা।
১৯৬০ জুন ৩০ স্বাধীনতা ঘোষণা করল কঙ্গো ফ্রি স্টেট। গঠিত হল কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। প্রেসিডেন্ট হলেন জোসেফ কাসাভুবু, প্রধানমন্ত্রী হলেন প্যাট্রিক লুমুম্বা।
১৯৬৩ গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন প্যাট্রিক লুমুম্বা।
১৯৬৩ মে ২৫ আফ্রিকা ইউনিয়নে (এইউ) যোগ দিল গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র।
১৯৬৫ নভেম্বর ২৫ কাসাভুবুকে উৎখাত করলেন জোসেফ মোবুতু।
১৯৭১ কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের নাম বদলে জায়ারে প্রজাতন্ত্র রাখা হল।
১৯৭০-৭৫ জায়ারে থেকে ইওরোপীয় বিনিয়োগকারীদের তাড়িয়ে দিলেন মোবুতু।
১৯৮৯ দেউলিয়া হয়ে গেল জায়ারে।
১৯৯০ গড় বাৎসরিক আয় ১৯৬০ সালে যা ছিল, তিন দশকে কমে তার এক-তৃতীয়াংশ নেমে এল। বৈদেশিক সাহায্য দেয়া বন্ধ করে দিল বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ।
১৯৯৬ তুতসিদের জায়ারে ছেড়ে যেতে নির্দেশ দিলেন মোবুতু। তুতসিরা বিদ্রোহ করলেন। প্রথম কঙ্গো যুদ্ধ শুরু।
১৯৯৭ মে ১৬ মোবুতু উৎখাত হলেন। নয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে লরেন্ত-ডিজায়ার কাবিলার নাম প্রস্তাব করা হল। জায়ারে প্রজাতন্ত্রের নাম বদলে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র রাখা হল।
১৯৯৮ অ্যাডাম হশচাইল্ড, কিং লিওপোল্ড’স ঘোস্ট: আ স্টোরি অফ গ্রিড, টেরর, অ্যান্ড হিরোইজম ইন কলোনিয়াল আফ্রিকা।
২০০১ জানুয়ারি ১৬ আততায়ীদের হাতে খুন হলেন লরেন্ত-ডিজায়ার কাবিলা।
জানুয়ারি ২০ নয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে জোসেফ কাবিলার নাম পেশ করা হল।
২০০৩ একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করলেন জোসেফ কাবিলা।
২০০৫ আগস্ট ১৩ বুরুন্ডিতে জাতিসংঘের এক শরণার্থী শিবিরে খুন হলেন ১০ জন কঙ্গোলিজ তুতসি।
২০০৬ জুলাই পাঁচ দশকের মধ্যে প্রথমবারের মত বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল।
তথ্যসূত্র
African Union. n.d. “Member States | African Union.” Accessed March 2, 2025.
https://au.int/en/member_states/countryprofiles2.
Hochschild, Adam. 1998. King Leopold’s Ghost: A Story of Greed, Terror, and Heroism in Colonial Africa. London: Pan Macmillan.
Oppong, Joseph R., and Woodruff, Tania. 2007. Democratic Republic of the Congo. New York: Chelsea House.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশনসময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবেসময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি