
মরিশাস
Featured Image: Wikimedia Commons.

সাল
১০০০ সালের আগে ফিনিশীয়, মালয়, সোয়াহিলি, ও আরব নাবিকরা মরিশাস দ্বীপের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতেন, কিন্তু তাঁরা কেউ বসতিস্থাপন করেন নাই।
১৫০৭ পর্তুগিজ নাবিকরা প্রথম দেখতে পেলেন ডোডো পাখি, যা কেবল মরিশাস দ্বীপেই বাস করত।
১৫১০ মরিশাস পরিদর্শন করলেন পর্তুগিজ নাবিক পেদ্রো মাসকারেনহাস।
১৫৯৮ ওলন্দাজরা মানব বসতিহীন দ্বীপটিকে নিজেদের জন্য দাবি করলেন, এবং এর নাম রাখলেন মরিশাস।*
* তাঁদের তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান মরিসের নামে, যিনি ছিলেন অরেঞ্জের রাজকুমার ও নাসাউয়ের কাউন্ট।
১৬৮১ নির্বিচারে বন নিধন এবং ওলন্দাজ উপনিবেশিক বসতিস্থাপনকারী ও তাঁদের সাথে করে নিয়ে আসা পশুদের শিকারে পরিণত হওয়ায় মরিশাস দ্বীপ থেকে ডোডো পাখি চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে গেল।
১৭১৫ ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মরিশাস দ্বীপটিকে ফ্রান্সের জন্য দাবি করল।
১৭৯৬ ফরাসি সরকার দাসপ্রথা বিলোপসাধনের চেষ্টা চালালে মরিশাস দ্বীপের ফরাসি উপনিবেশিক বসতিস্থাপনকারীরা ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণ ভেঙে বেরিয়ে এল।
১৮১০ মরিশাস দ্বীপে ব্রিটিশ সেনাদলের আগমন।
১৮১৪ প্যারিস চুক্তি, মরিশাস, সেশেলস, ও রদ্রিগেজ ব্রিটেনের অধিকারে এল।
১৮৩৪ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে দাসপ্রথার বিলোপসাধন।
১৮৩৫ মরিশাস দ্বীপে শর্তাবদ্ধ শ্রম ব্যবস্থা প্রবর্তিত হল। পরের দশকগুলোতে ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক মরিশাসে অভিবাসিত হন।
১৯৫৭ ওয়েস্টমিনিস্টার মডেলের নির্বাচনী ব্যবস্থা সমেত অভ্যন্তরীণ স্বশাসন প্রবর্তন করা হল।
১৯৫৯ সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত, জিতলেন দ্বীপটির শ্রমিক দলের সিউসাগর রামগোলাম।
১৯৬০ ঘূর্ণিঝড় ক্যারোলের তাণ্ডবে হাজার মানুষ ভূমিহীন হলেন।
১৯৬৬ চাগোস দ্বীপপুঞ্জের ২ হাজার বাসিন্দাকে উৎখাত করে দ্বীপপুঞ্জটিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৫০ বছরের জন্য লিজ দিল ব্রিটেন। দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তম দ্বীপ দিয়েগো গার্সিয়ায় মার্কিনীরা একটি সেনাঘাঁটি নির্মাণ করেন। বিস্থাপনের শিকারদের অনেকেই মরিশাস দ্বীপে আশ্রয় নেন।
১৯৬৮ মার্চ ১২ ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করল মরিশাস।
১৯৬৯ পল বেরেঞ্জার কর্তৃক গঠিত হল সমাজতন্ত্রের পক্ষপাতী মরিশীয় মিলিট্যান্ট আন্দোলন (এমএমএম)।
১৯৭১ মরিশাস দ্বীপের প্রথম রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) গঠন করা হল। টেক্সটাইল খাতের বিকাশ ঘটানো হল। ট্রেড ইউনিয়নগুলোর মদতে একগুচ্ছ ধর্মঘট করল এমএমএম। এই প্রেক্ষিতে জারি করা হল জরুরি অবস্থা। এমএমএমের দলীয় নেতৃত্বকে কারাবন্দী করা হল।
১৯৭১-৭৬ জরুরি অবস্থা।
১৯৭১-৭৭ ৬৪ হাজার নতুন চাকরি তৈরি করা হল।
১৯৮২ প্রধানমন্ত্রী হলেন স্যার অনিরুদ্ধ জগন্নাথ।
১৯৯২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জগন্নাথ মরিশাসকে একটি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করলেন।
১৯৯৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী হলেন শ্রমিক দলের নেতা নবীন রামগোলাম।
১৯৯৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশ হেফাজতে মারা গেলেন ক্রেওল গায়ক কায়া।
২০০০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন করলেন অনিরুদ্ধ জগন্নাথ।
২০০৫ জুলাই নবীন রামগোলামের নেতৃত্বে ক্ষমতায় ফিরল শ্রমিক দল।
২০১২ ডিসেম্বর ব্রিটেনের বিরুদ্ধে চাগোস দ্বীপবাসীর দাবি খারিজ করে দিল ইওরোপীয় মানবাধিকার আদালত।
২০১৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হলেন অনিরুদ্ধ জগন্নাথের ছেলে প্রবীন কুমার জগন্নাথ।
২০১৮ মার্চ এক ব্যয়-বিষয়ক কেলেঙ্কারির জের ধরে পদত্যাগ করলেন প্রেসিডেন্ট আমিনা গুরিব-ফাকিম।
২০১৯ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা আদালত (আইসিজে) বলল, ব্রিটেনের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চাগোস দ্বীপপুঞ্জের ওপর নিয়ন্ত্রণের অবসান ঘটানো। এই সময় এক অ-বাধ্যতামূলক আইনী মতামতে জানানো হল, ১৯৬৫ সালে মরিশাস দ্বীপ থেকে চাগোস দ্বীপপুঞ্জকে পৃথক করার কাজটি আইনসম্মত ছিল না।
তথ্যসূত্র
African Union. n.d. “Member States | African Union.” Accessed March 3, 2025.
https://au.int/en/member_states/countryprofiles2.
BBC. 2019. “Mauritius profile – Timeline.” BBC, February 25.
https://www.bbc.com/news/world-africa-13882731
Britannica, T. Editors of Encyclopaedia. 2023. “dodo.” Encyclopedia Britannica, August 7. https://www.britannica.com/animal/dodo-extinct-bird
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশনসময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবেসময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি