
সোভিয়েত ইউনিয়ন

Image: Perry-Castañeda Library Map Collection, The University of Texas at Austin.
"The danger is not that we shall draw a veil over the enormous blots on the record of the Revolution, over its cost in human suffering, over the crimes committed in its name. The danger is that we shall be tempted to forget altogether, and to pass over in silence, its immense achievements. [...] Of course, I know that anyone who speaks of the achievements of the Revolution will at once be branded as a Stalinist. But I am not prepared to submit to this kind of moral blackmail."
E. H. Carr (1892-1982), British Historian
সাল
১৯১৭ ফেব্রুয়ারি ২৩ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। পেত্রোগাদে বিক্ষোভ শুরু হল।
২৪ ধর্মঘটে গেলেন পেত্রোগাদের ২ লক্ষ শ্রমিক।
২৫ পেত্রোগাদে সাধারণ ধর্মঘট। বিপ্লবীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও গ্রেপ্তার করা হল।
২৬ ডুমা ভেঙে দেয়া হল। ডেপুটিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেন; কিন্তু সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁরা শহর ছেড়ে যাবেন না। লক্ষ লক্ষ শ্রমিক রাজপথে।
২৭ গার্ড রেজিমেন্টসের বিদ্রোহ। ইস্তফা দিল রাজকুমার গলিৎসিনের নেতৃত্বাধীন শেষ জারবাদী সরকার। গঠন করা হল শ্রমিক ডেপুটিদের সোভিয়েত। গঠন করা হল ডুমার প্রাদেশিক কমিটি।
২৮ গঠিত হল পেত্রোগাদ সোভিয়েত। জারের মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হল। বেরোল ইজভেস্তিয়ার প্রথম সংখ্যা।
মার্চ ১ সৈনিকদের প্রতি “হুকুম নং ১” জারি করা হল। সোভিয়েতের সৈনিক অংশটি গঠন করা হল। মস্কো সোভিয়েতের প্রথম অধিবেশন।
২ গ্র্যান্ড ডিউক মিখাইলের জন্য সিংহাসন ছাড়লেন জার। সোভিয়েতের সমর্থনে প্রাদেশিক সরকার গঠন করল ডুমার প্রাদেশিক কমিটি। ন্যায়মন্ত্রী হলেন আলেকজান্দার কেরেনস্কি।
৩ সিংহাসন ছাড়লেন গ্র্যান্ড ডিউক মিখাইল। বেতার মারফত সারা দুনিয়ার প্রতি বিপ্লবের কথা ঘোষণা করল প্রাদেশিক সরকার।
৫ বেরোল প্রাভদার প্রথম সংখ্যা।
৬ রাজবন্দীদের উদ্দেশ্যে ক্ষমা ঘোষণা করল প্রাদেশিক সরকার।
৮ জারকে মঘিলিয়েভে গ্রেপ্তার করা হল।
১৪ অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপূরণ ছাড়াই “সারা দুনিয়ার জনগণের উদ্দেশ্যে” শান্তি ঘোষণা করে সোভিয়েত।
২৩ বিপ্লবের শহিদদের শেষকৃত্য।
২৯ নিখিল রাশিয়া সোভিয়েত সম্মেলন।
এপ্রিল ৩ লেনিন, জিনোভায়েভ ও অন্য বলশেভিকরা সুইজারল্যান্ড থেকে ফিরলেন।
৪ লেনিন, এপ্রিল থিসিস।
১৮ মিত্রশক্তির কাছে একটি নোট পাঠালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিউকভ, পুরনো শর্তে যুদ্ধে জয়লাভের ওয়াদা করলেন।
২০ মিলিউকভের পাঠানো নোটের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ।
২৪ বলশেভিক পার্টির এক নিখিল রুশ সম্মেলনের সূচনা।
মে জোট সরকার গঠনের পক্ষে ভোট দিল পেত্রোগাদ সোভিয়েত।
২ ইস্তফা দিলেন মিলিউকভ।
৪ ট্রটস্কি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরলেন। পেত্রোগাদে উদ্বোধিত হল এক নিখিল রুশ কৃষক ডেপুটিদের কংগ্রেস।
৫ কেরেনস্কিকে যুদ্ধমন্ত্রী করে গঠিত হল জোট সরকার।
১৭ ক্রন্সতাদ সোভিয়েত নিজেকে ক্রন্সতাদের একক হুকুমত ঘোষণা করল।
২৫ সোশ্যাল রেভল্যুশনারি (এসআর) পার্টির নিখিল রুশ কংগ্রেস।
৩০ পেত্রোগাদে কারখানা ও দোকান কমিটিগুলোর প্রথম সম্মেলনের উদ্বোধন।
জুন ৩ প্রথম নিখিল রুশ সোভিয়েত কংগ্রেস।
১৬ অভিযান চালাতে রুশ সেনাবাহিনীকে হুকুম দিলেন কেরেনস্কি।
১৮ মেনশেভিক ও সোশ্যাল রেভল্যুশনারিদের (এসআর) ডাকা এক বিক্ষোভ বলশেভিকদের বিক্ষোভে পরিণত হল।
১৯ নেভস্কি প্রসপেক্তে কেরেনস্কির ছবি হাতে দেশপ্রেমিক বিক্ষোভ।
জুলাই ৩-৫ জুলাইয়ের দিনগুলি। রুশ শ্রমিক, সৈনিক, ও নাবিকদের সশস্ত্র অভ্যুত্থান। যার প্রতিক্রিয়ায় বলশেভিকদের ওপর নিপীড়ন শুরু হয়।
৬ দক্ষিণ রণাঙ্গনে টার্নাপোলে জার্মানরা রুশ লাইনগুলো ভেঙে দিলে কেরেনস্কির অভিযান ব্যর্থ হয়ে যায়।
৭ কেরেনস্কিকে প্রেসিডেন্ট করে গঠন করা হল বিপ্লবের মুক্তির সমাজতান্ত্রিক সরকার।
১২ সেনাবাহিনীতে মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহাল করা হল।
১৬ সেনাপ্রধান হিসেবে ব্রুসসিলভের স্থলাভিষিক্ত হলেন কর্নিলভ।
২৩ ট্রটস্কি ও লুনাচারস্কিকে কারাবন্দী করা হল। আত্মগোপনে গেলেন লেনিন।
২৪ বিপ্লবের মুক্তির সমাজতান্ত্রিক সরকারকে প্রতিস্থাপিত করল কাদেতদের নিয়ে গঠিত নয়া জোট সরকার।
২৬ বলশেভিক পার্টির ষষ্ঠ কংগ্রেস। মেঝরায়োনৎজির সাথে মিলন। যে কেন্দ্রীয় কমিটি পার্টিকে অক্টোবর বিপ্লব তক নেতৃত্ব দেবে সেটি গঠন করা হল।
আগস্ট ১২ মস্কোয় রাষ্ট্রীয় সম্মেলন। যা মস্কোর শ্রমিকদের সাধারণ ধর্মঘট উসকে দেয়। সম্মেলনে কর্নিলভকে স্বাগত জানান হল, যিনি গোপনে একটি প্রতিবিপ্লবী অভ্যুত্থান ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
১৮-২১ জার্মানরা উত্তর রণাঙ্গন ভেঙে রিগা দখল করল ও পেত্রোগাদকে হুমকি দিল।
২৬ সরকার শস্যের দাম দ্বিগুণ করে দিল। কেরেনস্কিকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দিতে পদত্যাগ করলেন মন্ত্রীরা।
২৭ কেরেনস্কির হুকুম উপেক্ষা করে পেত্রোগাদের দিকে যাত্রা শুরু করলেন কর্নিলভ। কেরেনস্কি কর্নিলভকে বরখাস্ত করার চেষ্টা করেন। প্রতিবিপ্লবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গঠন করা হল সোভিয়েত কমিটি।
২৮-৩০ শ্রমিকরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে আর সেনারা পালিয়ে গেলে কর্নিলভের বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
সেপ্টেম্বর ১ মঘিলিয়েভের সামরিক সদরদপ্তরে কর্নিলভকে গ্রেপ্তার করা হল। বলশেভিক প্রস্তাবে প্রথমবারের মত পেত্রোগাদ সোভিয়েতকে অন্তর্ভুক্ত করা হল।
৪ প্রাদেশিক সরকার ট্রটস্কিকে জামিনে মুক্তি দিল।
৫ বলশেভিক প্রস্তাবে মস্কো সোভিয়েতকে অন্তর্ভুক্ত করা হল।
৯ পেত্রোগাদ সোভিয়েতে বলশেভিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসমর্থিত হল। আপোসকামী প্রেসিডিয়ামের পদত্যাগ।
১৪ পেত্রোগাদে গণতান্ত্রিক সম্মেলন উদ্বোধন।
২১ প্রাক-সংসদ বা প্রজাতন্ত্রের কাউন্সিল নির্বাচিত করার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক সম্মেলন শেষ হল। ২০ অক্টোবর নিখিল রুশ সোভিয়েত কংগ্রেসের ডাক পাঠাল পেত্রোগাদ সোভিয়েত।
২৪ কেরেনস্কিকে প্রেসিডেন্ট করে গঠিত হল শেষ জোট সরকার।
অক্টোবর ৭ প্রজাতন্ত্রের কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে এল বলশেভিকরা।
৯ বিপ্লবী প্রতিরক্ষা কমিটি গঠনের পক্ষে ভোট দিল পেত্রোগাদ সোভিয়েত।
১০ সশস্ত্র বিদ্রোহের পক্ষে লেনিনের প্রস্তাবকে আশু কাজ হিসেবে গ্রহণ করে নিল বলশেভিকদের কেন্দ্রীয় কমিটি।
১৩ সদরদপ্তরের হাত থেকে সামরিক বিপ্লবী কমিটির কাছে সামরিক কর্তৃত্ব হস্তান্তরের পক্ষে ভোট দিল পেত্রোগাদ সৈনিকদের সোভিয়েত। সোভিয়েতদের উত্তরাঞ্চলীয় কংগ্রেস আসন্ন নিখিল রুশ কংগ্রেসকে সমর্থন করল। সোভিয়েত ক্ষমতার পক্ষে রায় দিল।
১৫ সোভিয়েত ক্ষমতার পক্ষে রায় দিল কিয়েভ সোভিয়েত।
১৬ মিনস্কে সোভিয়েতদের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের আঞ্চলিক কংগ্রেস সোভিয়েত ক্ষমতার পক্ষে রায় দিল। জিনোভায়েভ ও কামেনেভের বিরোধিতার মুখে বিদ্রোহের ব্যাপারে লেনিনের প্রস্তাবের পক্ষে রায় দিল বলশেভিকদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা।
১৭ বলশেভিকদের যে অভ্যুত্থান ঘটবে বলে কানাঘুষা চলছিল, তা কোথাও দেখা গেল না। বলশেভিকদের কেন্দ্রীয় কমিটির বিদ্রোহ নীতিকে জনসাধারণের গণমাধ্যমে আক্রমণ করলেন কামেনেভ ও জিনোভায়েভ। অক্টোবর ২০ থেকে ২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে চলা সোভিয়েতদের নিখিল রুশ কংগ্রেস স্থগিত করল নিখিল রুশ সোভিয়েত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।
১৯ সোভিয়েতদের উরাল আঞ্চলিক কংগ্রেস সোভিয়েত ক্ষমতার পক্ষে রায় দিল।
২০ বিদ্রোহের জন্য সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করল সামরিক বিপ্লবী কমিটি।
২২ পেত্রোগাদ জুড়ে বিশাল সভা।
২৩ পেত্রোগাদের শেষ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বাধা পিটার ও পল দুর্গ সোভিয়েতদের হাতে চলে এল।
২৪ সামরিক বিপ্লবী কমিটির বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার, বলশেভিকদের পত্রপত্রিকা বাজেয়াপ্ত করার, আর রাজধানীতে বিশ্বস্ত সেনাদের নিয়ে আসার হুকুম দিল প্রাদেশিক সরকার। যেসব হুকুম কেউ তামিল করেনি। প্রজাতন্ত্রের কাউন্সিলে শেষবারের মত ভাষণ দিলেন কেরেনস্কি। সোশাল রেভল্যুশনারি (এসআর) পার্টির বাম ধারা সামরিক বিপ্লবী কমিটিতে অংশ নেয়ার আগ্রহ দেখাল।
২৫ বিদ্রোহ শুরু হল আগের দিন রাত ২টায়। সৈনিকরা দুপুর ২টা নাগাদ প্রজাতন্ত্রের কাউন্সিল বন্ধ করে দিল। পেত্রোগাদ সোভিয়েতের এক অধিবেশনে দুপুর ৩টার দিকে প্রথমবারের মত জনসমক্ষে হাজির হলেন লেনিন। শীত প্রাসাদে প্রাদেশিক সরকারের আসনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হল রাত ৯টায়। স্মোলনিতে সোভিয়েতদের দ্বিতীয় নিখিল রুশ কংগ্রেস শুরু হয় রাত ১১টায়।
২৬ শীত প্রাসাদের পতন। প্রাদেশিক সরকারের কর্তাব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হল রাত ২টায়।
২৬-২৭ শান্তি ও জমি বিষয়ক ডিক্রি জারি করল সোভিয়েতদের দ্বিতীয় নিখিল রুশ কংগ্রেস। গঠন করল জনকমিশারদের কাউন্সিলের নতুন সরকার।
২৭ সোভিয়েতদের দ্বিতীয় নিখিল রুশ কংগ্রেস বিকাল ৫টায় মুলতবি করা হল।
নভেম্বর গনপরিষদ বা সংবিধান সভা নির্বাচন।
ডিসেম্বর গঠন করা হল অল-রাশিয়ান এক্সট্রাঅর্ডিনারি কমিশন (Всероссийская чрезвычайная комиссия: চেকা)।
যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রাশিয়া ছেড়ে গেলেন সের্গেই প্রোকোফিয়েভ।
১৯১৭, নভেম্বর ৭-অক্টোবর ২৫, ১৯২২ রুশ গৃহযুদ্ধ।
১৯১৭-২০ তুর্কেস্তান, বোখারা, ও খিভা বলশেভিকদের নিয়ন্ত্রণে এল।
১৯১৮ জানুয়ারি গির্জার সম্পত্তি রাষ্ট্রীয়করণ ও ধর্মীয় বিবাহ নিষিদ্ধকরণ। বলশেভিকদের বিরুদ্ধে গঠিত হল একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী।
৪ সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক পার্টিকে (কাদেত) নিষিদ্ধ করা হল।
৫ গণপরিষদ বা সংবিধান সভা নির্বাচনে মাত্র ২৪% ভোট পাওয়ায় সেনা পাঠিয়ে সভা ভেঙে দেয় বলশেভিকরা।
ফেব্রুয়ারি ১৪ পশ্চিমা ইওরোপের সাথে তাল মেলাতে সোভিয়েত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জুলিয়ান পঞ্জিকার বদলে গ্রেগরীয় পঞ্জিকা ব্যবহার করতে শুরু করল। জানুয়ারির শেষদিকে লেনিনের স্বাক্ষরিত একটি ডিক্রি দ্বারা বাধ্যতামূলক এই পরিবর্তনের ফলে পঞ্জিকা থেকে ১৩ দিন বাদ পড়ে। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখের পরেই আসে ১৪ তারিখ।*
* এই রচনায় ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮ সালের আগের সব তারিখ পুরাতন পঞ্জিকা অনুসারে দেয়া।
মার্চ সোভিয়েত ক্ষমতার বিরুদ্ধে মিত্রপক্ষের সামরিক হস্তক্ষেপ শুরু।
৩ ব্রেস্ত-লিতভস্কে কেন্দ্রীয় শক্তিবর্গের সাথে একটি শান্তিচুক্তি সই করল সোভিয়েত সরকার।
মে ট্রান্সসাইবেরীয় রেলপথে সফররত চেকোস্লোভাক সেনাদল সোভিয়েত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। যা শ্বেতদের সাইবেরিয়ায় নিজেদের আন্দোলন সংগঠিত করার সুযোগ এনে দেয়।
গ্রীষ্মকাল এ সময়ই যুদ্ধ কমিউনিজমের নীতিগুলো ঘোষিত হয়।
জুলাই প্রায় ৫০ লক্ষ ব্যবসায়ী, ধর্মযাজক ও অভিজাতের সর্বপ্রকার নাগরিক অধিকার কেড়ে নেয়া হল। ইয়ারোস্লাভ অঞ্চলে কৃষক বিদ্রোহ দমন করা হল, ৪০৭ জন বিদ্রোহীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল।
৬ সোশ্যালিস্ট রেভল্যুশনারিদের (এসআর) বাম ধারার বিদ্রোহ।
জুলাই ১৬/১৭ একাতেরিনবুর্গে আটক জারকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।
আগস্ট ৩০ লেনিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালালেন ফ্যানি কাপলান। মারাত্মকভাবে জখম হলেও প্রাণে বেঁচে যান লেনিন। মহিলার প্রকৃত নাম অবশ্য ফেইগা হাইমোভনা রয়েতব্লাত। জন্মসূত্রে ইহুদি, ছিলেন সোশ্যালিস্ট রেভল্যুশনারি পার্টির সদস্য। গণপরিষদ বা সংবিধান সভা নির্বাচনের রায় উপেক্ষা করায় লেনিনের ওপর ক্ষোভ ছিল মহিলার। তিনি মনে করতেন, বলশেভিকরা কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠছে। চেকা তাঁকে জেরা করে দোষী সাব্যস্ত করে, স্বীয় জবানবন্দিতে তিনি “লেনিনকে” গাদ্দার বলেন।
সেপ্টেম্বর ৩ আলেকজান্দার উদ্যানে কাপলানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল। তাঁর মাথার পেছনে গুলি করা হয় এবং লাশ একটা পিপার ভেতরে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। হুকুমটা এসেছিল ইয়াকভ শ্বের্দলভের থেকে।
৫ আনুষ্ঠানিকভাবে লাল সন্ত্রাস ঘোষণা করল চেকা।
নভেম্বর বিচারব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হল, বিচারপতিদের বদলে ট্রাইব্যুনালের হাতে সব ক্ষমতা তুলে দেয়া হল। সাইবেরিয়ায় বলশেভিকবিরোধী বাহিনীগুলোর দায়িত্ব নিলেন অ্যাডমিরাল কলচাক। ইওরোপে যুদ্ধের অবসান মিত্রপক্ষের হস্তক্ষেপের রূপান্তর ঘটাল।
১৯১৮-২০ সোভিয়েত রাশিয়ার সাথে শান্তিচুক্তি লাতভিয়ার গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাল।
১৯১৮-৩৩ উজবেক সমাজের সেক্যুলারাইজেশন। বলশেভিকরা দেশটির বহু মসজিদে তালা লাগিয়ে দিল। মুসলমান ধর্মীয় নেতাদের ওপর দমনপীড়ণ শুরু হল।
১৯১৯ মার্চ তৃতীয় আন্তর্জাতিকের প্রথম কংগ্রেস।
২-৪ প্রতিষ্ঠা করা হল কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল বা কমিনটার্ন।
বসন্তকাল মস্কোর জন্য হুমকি হয়ে উঠল কলচাকের বাহিনী।
অক্টোবর মস্কো থেকে ২০০ মাইল দূরের ওরেল দখল করে নিল দেনিকিনের বাহিনী।
নভেম্বর পেত্রোগাদের জন্য হুমকি হয়ে উঠল ইয়ুদেনিচের বাহিনী।
শীতকাল সব ফ্রন্টে বিজয়ী হল লাল ফৌজ।
সোভিয়েত লাল ফৌজ বেলারুশ দখল করে নিল। বিদ্রোহী কসাকদের নির্মূল করার ঘোষণা দেয়া হল। নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযানের ডাক দেয়া হল।
১৯১৯-২৩ ফিলিস্তিনে ইহুদিদের তৃতীয় আলিয়া, বা গণ অভিবাসন। ৩৫,০০০ ইহুদি এসময় ফিলিস্তিনে আসেন। মূলত রাশিয়া থেকে।
১৯২০-২৫ কিরগিজ স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অংশ হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গীভূত হল বর্তমান কাজাখস্তান।
১৯২০-২৯ সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হল লাছিন: লাল কুর্দিস্তান।
১৯২০ জানুয়ারি সাইবেরিয়ায় কলচাকদের বিরুদ্ধে অভিযান।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সাথে বাণিজ্য আলোচনা।
জানুয়ারি-মার্চ পোল সেনাবাহিনী লাতভীয় সেনাবাহিনীর সহায়তায় দভিনস্ক, লাতগালিয়া, ও মোজির দখল করে নিল।
ফেব্রুয়ারি দক্ষিণপশ্চিম ফ্রন্টে দেনিকিনের বাহিনীর অবশিষ্টাংশের বিরুদ্ধে অভিযান।
২ এস্তোনিয়ার সাথে শান্তিচুক্তি সই।
৩ স্তালিনকে ককেশীয় ফ্রন্টের যুদ্ধ পরিষদের সদস্য হতে বললেন লেনিন ও ট্রটস্কি। যিনি ইতোমধ্যেই দক্ষিণপশ্চিম ফ্রন্টের যুদ্ধ পরিষদের সদস্য ছিলেন। প্রস্তাবে রাজি হননি স্তালিন।
৭ ফরাসিরা কলচাকদের লাল ফৌজের হাতে তুলে দিল। সংক্ষিপ্ত বিচার শেষে কলচাকদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
২০ দক্ষিণপশ্চিম ফ্রন্ট থেকে ককেশীয় ফ্রন্টে সেনা পাঠাতে আপত্তি জানালেন স্তালিন, লেনিনের তিরস্কার।
ফেব্রুয়ারি-মার্চ উত্তর ককেশাসে শ্বেত ফৌজ পুনর্গঠন করলেন দেনিকিন।
মার্চ-এপ্রিল ককেশাসে দেনিকিনের বাহিনী চূড়ান্তভাবে পরাজিত হল। রস্তোভ দখল করে নিল লাল ফৌজ।
মার্চ ২৭ দেনিকিনের শেষ শক্ত ঘাঁটি নভোরসিস্ক দখল করে নিল লাল ফৌজ।
মার্চ ২৯-এপ্রিল ৪ কমিউনিস্ট পার্টির ৯ম কংগ্রেস।
এপ্রিল ২৬ অকার্যকর পেতলুরা সরকারের সেনা সহায়তায় রাশিয়া দখল করে নিল পোল সেনাবাহিনী।
২৮ আজারবাইজানকে একটি সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হল।
এপ্রিল-মে একটা নয়া শ্বেত ফৌজের প্রধান হিসেবে ক্রিমিয়া থেকে অগ্রসর হলেন ব্যারন র্যাঙ্গেল।
মে ৫ জর্জিয়ার সাথে শান্তি আলোচনা স্থগিত থাকার প্রেক্ষিতে ওর্দঝোনিকিদজে ও পুরো ককেশীয় ফ্রন্টের যুদ্ধ পরিষদকে “জর্জিয়ায় আগ্রাসন চালানো থেকে বিরত থাকার” হুকুম দিল কেন্দ্রীয় কমিটি।
৭ সোভিয়েত জর্জিয়ার সাথে শান্তিচুক্তি সই করল সোভিয়েত রাশিয়া।
৮ কিয়েভ দখল করল পোল সেনাবাহিনী।
জুন ১৩ কিয়েভ থেকে পিছু হঠল পোল সেনাবাহিনী।
জুলাই-আগস্ট তৃতীয় আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেস।
সেপ্টেম্বর লাল ফৌজের কাছে পরাজিত হল আরমানি বাহিনী। প্রাচ্যের শ্রমজীবী মানুষদের বাকু কংগ্রেস।
নভেম্বর শেষ শ্বেত বাহিনীর নেতা র্যাঙ্গেল নির্বাসনে যাওয়ার জন্য ক্রিমিয়া ছেড়ে চলে গেলেন।
শীতকাল তিনটি ককেশীয় প্রজাতন্ত্রে সোভিয়েত শাসন কায়েম হল। মিত্রপক্ষের হস্তক্ষেপের অবসান।
ডিসেম্বর ১৪ নিখোলাই বুখারিন ঘোষণা করলেন, “মৃত্যুর ওপর হেঁটে এসে আমরা ক্ষমতায় এসেছি।”
মস্কো চুক্তির অধীনে লিথুয়ানিয়ার স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
১৯২১ ফেব্রুয়ারি ১১ স্তালিনের হুকুমে জর্জিয়ায় হামলা চালাল লাল ফৌজ।
১৪ ট্রটস্কি উরালে ছিলেন। স্তালিন ও ওর্দঝোনিকিদজের ওকালতিতে জর্জিয়া আক্রমণের অনুমোদন দিল পলিটব্যুরো। এই সিদ্ধান্তটি কেবল দ্বিতীয় সেনাবাহিনীর যুদ্ধ পরিষদেরই জানা ছিল, এমনকি সেনাপ্রধানও কিছু জানতেন না।
১৭ বিপ্লবী যুদ্ধ পরিষদের সহ-সভাপতি স্ক্লিয়ানিস্কি জর্জিয়া আক্রমণ সম্পর্কে অবহিত করলেন লাল ফৌজের সর্বাধিনায়ক।
২১ ইয়েকাতরিনবুর্গ থেকে ট্রটস্কি স্ক্লিয়ানিস্কির কাছে জর্জিয়া আক্রমণের মেমো চেয়ে চাইলেন।
মার্চ ১-১৮ ক্রন্সতাদ বিদ্রোহ।
মার্চ ৮-১৬ ১০ম পার্টি কংগ্রেস। ১৯২০ সালের শরৎকালে শুরু হওয়া ট্রেড ইউনিয়ন আলোচনার সমাপ্তি। পার্টির ভেতরে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের জন্য জোরদার লড়াই চালাচ্ছেন ওয়ার্কার্স অপোজিশন ও ডেমোক্রেটিক সেন্ট্রালিস্টরা। ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের ব্যাপারে নিজের নিয়মিত প্রতিবেদন দাখিল করলেন স্তালিন। নয়া অর্থনৈতিক নীতি (নেপ) গ্রহণ করা হল। পার্টির ভেতরে উপদল গঠন করা নিষিদ্ধ হল। সচিবালয়ে প্রেওব্রাঝেনস্কি, সেরেব্রিয়াকভ, ও ক্রেসতিনস্কির স্থলাভিষিক্ত হলেন স্তালিনের বন্ধু মলোটোভ, মিখাইলোভ, ও যারোস্লাভস্কি।
১৮ প্যারি কমিউনের পঞ্চাশতম বার্ষিকীর দিন ক্রন্সতাদ বিদ্রোহ দমন করা হল।
রিগা চুক্তি, বেলারুশকে দুই ভাগ করে পোল্যান্ড আর সোভিয়েত ইউনিয়নের হাতে ধরিয়ে দেয়া হল।
মে ২৬-১ জুন নিখিল রুশ পার্টি সম্মেলন।
জুন ২২-১২ জুলাই কমিনটার্নের তৃতীয় কংগ্রেস।
জুলাই ৬ জর্জিয়ায় কমিউনিস্টদের কাজকর্ম নিয়ে তিফলিসে স্তালিনের বক্তৃতা।
২৫ তিফলিসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন স্তালিন।
আগস্ট ১১ নয়া অর্থনৈতিক নীতি প্রবর্তন (নেপ) বিষয়ক ডিক্রি জারি।
অক্টোবর ১৯ প্রতিষ্ঠা করা হল ক্রিমীয় প্রজাতন্ত্র।
ডিসেম্বর স্তালিনের অসুখের চিকিৎসা করছেন ডা. অবুখ।
তুর্কিস্তান স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র গঠিত হল। বর্তমান তুর্কমানিস্তান এর একটি অংশ ছিল। তুর্কিস্তান স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অংশ হল উত্তর তাজিকিস্তান।
ইউক্রেনীয় সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হল।
সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে মৈত্রী চুক্তি সাক্ষর করে আফগানিস্তান।
১৯২১-২২ দুর্ভিক্ষ।
১৯২১-২৮ নয়া অর্থনৈতিক পরিকল্পনা (নেপ)।
১৯২১-৮৯ সোভিয়েত পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানী আন্দ্রেই শাখারভের জীবনকাল।
১৯২২ ফেব্রুয়ারি ৬ চেকাকে ওগপু হিসেবে পুনর্গঠন করা হল।
মার্চ লেনিনের স্বাস্থ্যহানি।
১২ ট্রান্সককেশীয় সোভিয়েত ফেডারেটিভ সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক ঘোষণা করা হল।
মার্চ ২৭-২ এপ্রিল ১১তম পার্টি কংগ্রেস। লেনিনবাদী কেন্দ্রীয় কমিটি স্তালিনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করল। তাঁর সহকারী হলেন মলোটোভ ও কুইবাইশেভ।
এপ্রিল ১০ জেনোয়া সম্মেলনের উদ্বোধন।
মে ২৬ লেনিন প্রথমবারের মত আর্টেরিওক্লেরোসিস এটাকের শিকার হন। এতে তাঁর কথা বলার সামর্থ্য বিঘ্নিত হয়। ডান হাত ও বাহু পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
জুন ৪ লেনিনের অসুস্থতার খবর প্রথমবারের মত প্রকাশিত হল।
৮ সোশ্যালিস্ট রেভল্যুশনারি (এসআর) পার্টির নেতাদের “বিচার” শুরু।
আগস্ট ৪-৭ ১২তম পার্টি সম্মেলনে পার্টির নতুন গঠনতন্ত্র গৃহীত হল।
অক্টোবর লেনিনের স্বাস্থ্যের উন্নতি।
২৫ শেষ জাপানি ও শ্বেত সেনারা ভ্লাদিভস্তক ছেড়ে গেল।
নভেম্বর ৪-৫ ডিসেম্বর কমিনটার্নের চতুর্থ কংগ্রেস, ভাষণ দিলেন লেনিন।
নভেম্বর ১৪ দূর প্রাচ্যীয় প্রজাতন্ত্র সোভিয়েত রাশিয়ার অংশ হয়ে গেল।
ডিসেম্বর ১৬ দ্বিতীয়বারের মত স্ট্রোক করলেন লেনিন। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অবসান। লেনিনের জায়গা নিলেন ত্রয়ী: জিনোভায়েভ, কামেনেভ, ও স্তালিন।
২৫ লেনিন তাঁর অসিয়ত ডিকটেট করলেন।
৩০ গঠিত হল ইউনিয়ন অফ সোভিয়েত সোশালিস্ট রিপাবলিকস (ইউ.এস.এস.আর.)।*
* সোভিয়েত ইউনিয়ন নামেই বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে।
ইউক্রেনীয় সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিককে ইউ.এস.এস.আরের অন্তর্ভুক্ত করা হল।
১৯২২-৯১ সোভিয়েত ইউনিয়ন।
১৯২৩ জানুয়ারি ৪ নিজের অসিয়তে একটা পোস্টস্ক্রিপ্ট যুক্ত করলেন লেনিন।
মার্চ ৫ লেনিনের স্ত্রী ক্রুপস্কায়ার সাথে স্তালিন দুর্ব্যবহার করলে ও অপমানকর ভাষা ব্যবহার করলে স্তালিনকে লেখা এক চিঠিতে লেনিন মাফ না চাইলে স্তালিনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দেন।
৯ তৃতীয়বারের মত স্ট্রোক করলেন লেনিন, চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়লেন।
বসন্তকাল-গ্রীষ্মকাল জার্মানিতে বৈপ্লবিক পরিস্থিতি পরিপক্ক হল।
এপ্রিল ১২-২৫ ১২তম পার্টি কংগ্রেস। স্তালিন ত্রয়ীদের প্রধান ও লেনিনের অঘোষিত উত্তরাধিকারী। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে পার্টির বিরোধীপক্ষীয় সদস্যদের দমন করার জন্য একটি গোপন পুলিশে রূপান্তরিত করা হল।
গ্রীষ্মকাল সিজর’স ক্রাইসিস।
আগস্ট-ডিসেম্বর পার্টি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিরোধীপক্ষীয় সদস্যদের ক্ষোভ প্রকাশ ও পার্টি গণতন্ত্র পুনর্বহালের জন্য লড়াই।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর স্তালিনের সাথে একটা নয়া বুঝাপড়ায় আসার চেষ্টা চালালেন জিনোভিয়েভ। কিসলোভোদস্ক গুহার সম্মেলন।
অক্টোবর ১৫ পার্টি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ৪৬ জন কমিউনিস্ট নেতার ঘোষণা, এর নিন্দা জানাল কেন্দ্রীয় কমিটি।
২১-২৩ জার্মানিতে কমিউনিস্ট অভ্যুত্থানের অবসান।
২৩ পার্টি গণতন্ত্র প্রশ্নে কেন্দ্রীয় কমিটিকে চিঠি দিলেন ট্রটস্কি।
শরৎকাল প্রথম কোন কমিউনিস্টকে গুলি করার হুকুম দিলেন স্তালিন: সুলতান গালিয়েভ।
নভেম্বর ৭ প্রাভদার এক নিবন্ধে জিনোভায়েভ ঘোষণা করলেন, পার্টি গণতন্ত্র জিন্দা আছে।
ডিসেম্বর ৫ পলিটব্যুরোর মুসাবিদা করা একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে নিল কেন্দ্রীয় কমিটি। যেখানে আমলাতন্ত্র ও বিশেষাধিকারকে তিরস্কার করা হল। পার্টি সদস্যদের সমালোচনা করার অধিকার পুনর্ব্যক্ত করা হল।
৮ ট্রটস্কির নিউ কোর্স চিঠি। ট্রটস্কির বিরুদ্ধে গাদ্দারির অভিযোগ আনলেন জিনোভিয়েভ। গ্রেপ্তার দাবি করলেন।
১৯২৩ অক্টোবর-ডিসেম্বর ১৯২৭ লেফট অপোজিশন।
১৯২৪ জানুয়ারি ১৬-১৮ ১৩তম পার্টি কংগ্রেস। সাধারণভাবে গণতন্ত্রপন্থী আলোচনার নিন্দা জানান হল। আর বিশেষভাবে ট্রটস্কি।
১৮ সুখুমের জন্য মস্কো ছেড়ে গেলেন ট্রটস্কি।
২১ লেনিনের মৃত্যু। তিফলিস থেকে ট্রটস্কিকে লেনিনের মৃত্যুসংবাদ জানিয়ে টেলিগ্রাম করলেন স্তালিন।
২৬ লেনিনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসেবে পেত্রোগ্রাদ শহরটির নাম পাল্টে লেনিনগ্রাদ রাখা হল।
২৭ লেনিনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হল।
২৮ ক্রেমলিনের সামরিক কাদেতদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন স্তালিন।
৩১ অনুসমর্থন লাভ করল সোভিয়েত ইউনিয়নের সংবিধান।
অক্টোবর ট্রটস্কির বই লেসনস অফ অক্টোবরয়ে ১৯১৭ সালের অক্টোবর মাসে জিনোভায়েভ ও কামেনেভের আচরণের সমালোচনা করা হল।
উজবেক সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র গঠন করা হল। তাজিক স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র গঠন করল সোভিয়েতরা, যা উজবেক স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের অংশ হয়ে গেল। কারা-কিরগিজ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গঠন করা হল।
মঙ্গোলিয়ায় একটি সোভিয়েত ধাঁচের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হল।
১৯২৫ জানুয়ারি ১৭ কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কমিশন ট্রটস্কিকে তিরস্কার করল।
এপ্রিল লাল ফৌজের কমিশারের পদ থেকে লিয়ন ট্রটস্কিকে সরিয়ে দিয়ে মিখাইল ফ্রুঞ্জকে সেই পদে নিয়োগ দেয়া হল।
২৭-২৯ ১৪তম পার্টি সম্মেলন। জিনোভিয়েভ-কামেনেভ উপদলের সাথে স্তালিনের সম্পর্ক ভেঙে গেল। তিনি বুখারিন-রাইকভ-টমস্কি উপদলের সাথে হাত মেলালেন।
নভেম্বর অপারেশন থিয়েটারে মিখাইল ফ্রুঞ্জের রহস্যময় মৃত্যু হল। লাল ফৌজের নতুন কমিশার হলেন ভরোশিলভ। আত্মহত্যা করলেন সোভিয়েত রুশ কবি সের্গেই এজেনিন।
ডিসেম্বর ১৮-৩১ ১৪তম পার্টি কংগ্রেস। গৃহীত হল ‘এক দেশে সমাজতন্ত্র’ নীতি। জিনোভিয়েভের লেনিনগ্রাদ উপদল সম্পূর্ণ নাস্তানাবুদ হয়ে গেল, গড়ে উঠল ট্রটস্কি-জিনোভিয়েভ-কামেনেভের নতুন বিরোধীপক্ষীয় উপদল।
সোভিয়েত ইউনিয়নের একটি প্রজাতন্ত্রের মর্যাদা পেল তুর্কমানিস্তান। কারা-কিরগিজ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নাম বদলে কিরগিজ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল রাখা হল।
১৯২৬ জানুয়ারি জিনোভিয়েভের ক্ষমতাকেন্দ্র লেনিনগ্রাদে স্তালিনবাদী বাহিনীগুলোর দায়িত্ব নিলেন সের্গেই মিরনোভিচ কিরোভ।
ফেব্রুয়ারি ১২ লেনিনগ্রাদের এক্সট্রাঅর্ডিনারি পার্টি সম্মেলন। জিনোভিয়েভকে লেনিনগ্রাদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হল। তাঁর উপদলকে চূর্ণ করা হল।
জুলাই ১৪-২৩ কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্লেনারি অধিবেশন। জিনোভিয়েভকে পলিটব্যুরো থেকে বহিষ্কার করা হল। কমিনটার্নের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হল।
২০ জেরঝিনস্কির অকস্মাৎ মৃত্যু।
অক্টোবর ২৩ কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্লেনারি অধিবেশন। ট্রটস্কি ও কামেনেভকে পলিটব্যুরো থেকে বহিষ্কার করা হল। কমিনটার্নের নির্বাহী কমিটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর সভাপতি জিনোভিয়েভকে অপসারণের হুকুম দেয়া হল।
২৬ ১৫তম পার্টি সম্মেলন।
সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আফগানিস্তানের মধ্যে সাক্ষরিত হল অনাগ্রাসন চুক্তি। কিরগিজ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের স্তরে উন্নীত করা হল।
১৯২৭ মে ২৬ ৮৩ জন বিরোধীপক্ষীয় নেতার যৌথ ঘোষণা।
জুলাই ২৯-৯ আগস্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কমিশনের যৌথ প্লেনাম। ট্রটস্কি-জিনোভিয়েভ-কামেনেভ উপদলকে তিরস্কার করা হল। সতর্ক করে দেয়া হল।
অক্টোবর ২১-২৩ কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কমিশনের যৌথ প্লেনাম। জিনোভিয়েভ ও ট্রটস্কিকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হল।
নভেম্বর ৭ অক্টোবর বিপ্লবের দশক বার্ষিকীতে মস্কো ও লেনিনগ্রাদে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করলেন বিরোধীপক্ষীয়রা। ট্রটস্কি-জিনোভায়েভ উপদলের ওপর দমনপীড়ন তীব্রতর হল।
১২ কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কমিশনের এক্সট্রাঅর্ডিনারি প্লেনাম। ট্রটস্কি ও জিনোভিয়েভকে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিএসইউ) থেকে বহিষ্কার করা হল। কামেনেভ, রাকোভস্কি, স্মিলগা, ও এভদোকিমভকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এবং মুরালভ ও বাকায়েভকে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কমিশন থেকে বহিষ্কার করা হল।
১৬ সুইসাইড করলেন এডলফ জফে। ট্রটস্কির জন্য একটা চিঠি রেখে গেলেন।
ডিসেম্বর ২-৯ ১৫তম পার্টি কংগ্রেস। পার্টির বিরোধীপক্ষীয় অংশ সম্পূর্ণ নাস্তানাবুদ হয়ে গেল। নতি স্বীকার করলেন জিনোভিয়েভ ও কামেনেভ, সাধারণ সদস্য হিসেবে পুনরায় পার্টিতে যোগ দেয়ার আহবান জানালেন।
প্রকিউরেনমেন্ট সংকটের সূচনা। সোভিয়েত সরকার চাষীদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে শস্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হল।
১৯২৮ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সাইবেরিয়ায় জোরপূর্বক শস্য সংগ্রহ প্রবর্তন করলেন স্তালিন। উরাল-সাইবেরীয় মেথড।
১৬ ট্রটস্কিকে আলমা আতায় নির্বাসিত করা হল।
মে-জুলাই শাখতি বিচার।
জুলাই ১১ কামেনেভের সাথে গোপনে সাক্ষাৎ করলেন বুখারিন। স্তালিনের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভের জায়গাগুলো তুলে ধরেন। বুখারিন এই মত পোষণ করতেন যে, স্তালিন বিপ্লবী আন্দোলন ও কমিউনিস্ট উদ্দেশ্য উভয়ের জন্য একজন বিপজ্জনক ব্যক্তি।
সেপ্টেম্বর ৩০ প্রাভদায় নোটস অফ অ্যান ইকোনমিস্ট নামের এক নিবন্ধে স্তালিনের নীতিগুলোর সমালোচনা করলেন বুখারিন।
অক্টোবর ১৯ বুখারিন-রাইকভ-টমস্কির “দক্ষিণপন্থী বিচ্যুতির” বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটির বিবৃতি।
নভেম্বর ২৬ কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম।
২৭ মস্কো পার্টি কমিটির প্লেনাম ও দক্ষিণপন্থীদের বহিষ্কার।
কয়েক হাজার বন্দীকে কোলিমা স্বর্ণখনিতে নির্বাসিত করা হল। উদ্দেশ্য ছিল স্বর্ণভাণ্ডার গঠন, শিল্পায়ন, এবং পশ্চিম ইওরোপের দেশগুলোতে বৈপ্লবিক কার্যকলাপে মদত যোগানোর রসদ সংগ্রহ করা।
১৯২৮-৩২ স্তালিনের “সাংস্কৃতিক বিপ্লব”।
১৯২৯-৩৯ কৃষি সমবায়ীকরণ।
১৯২৯ জানুয়ারি ১৮ ট্রটস্কিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হল।
২১ স্তালিনের কৃষি নীতির সমালোচনা করলেন বুখারিন।
ফেব্রুয়ারি ১২ সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে নির্বাসিত হিসেবে তুরস্কে এলেন ট্রটস্কি।
জুন ২ ট্রেড ইউনিয়নস’ ফেডারেশনের প্রধানের পদ থেকে টমস্কিকে সরিয়ে দেয়া হল।
জুলাই ৩ কমিনটার্ন প্রধানের পদ থেকে বুখারিনকে সরিয়ে দেয়া হল।
শরৎকাল সোভিয়েত ইউনিয়নে কৃষি ক্ষেত্রে গণ সমবায়ীকরণের সূচনা।
অক্টোবর ১৭ শিক্ষা কমিশার হিসেবে লুনাচারস্কির স্থলাভিষিক্ত হলেন বুবনভ।
নভেম্বর ১০-১৭ কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম। পলিটব্যুরো থেকে বুখারিনকে বহিষ্কার করা হল, রাইকভ ও টমস্কিকে সতর্ক করে দেয়া হল। ওর্গব্যুরোতে নির্বাচিত হলেন জার্মানিক।
২৫ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে দেয়া এক চিঠিতে নতিস্বীকার করলেন বুখারিন, রাইকভ, ও টমস্কি।
ডিসেম্বর ২১ স্তালিনের ৫০তম জন্মদিন জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হল।*
* স্তালিনের কাল্ট অফ পার্সোনালিটির সূচনা ভাবা যায়।
২৭ মার্কসবাদী কৃষিবিদদের প্রথম সম্মেলনে ভাষণ দিলেন স্তালিন, কুলাকদের শ্রেণি হিসেবে খতমের ডাক দিলেন।
এ সময়ই কখনো স্তালিনের পরিকল্পনায় সংশোধনমূলক শ্রমশিবিরের মূল ডিরেক্টরেটের (Главное управление исправительно-трудовых колоний – ГУИТК : গ্লাভনোই উপ্রাভলেনি ইস্প্রাভিতেলনো ত্রুদোভিক লাগেরেই – গুলাগ) উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়।*
* গুলাগ ছিল জবরদস্তিমূলক শ্রমের এক বিশাল কারাব্যবস্থা। স্তালিন আমলে রাশিয়া যে শিল্পোন্নত রাষ্ট্র হয়ে ওঠে তার ভিত্তি ছিল জবরদস্তিমূলক শ্রমের ভিতে গড়া এই ব্যবস্থা। গুলাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন, (Applebaum 2003 ও সেন ২০২৩)।
প্রতিষ্ঠা করা হল তাজিকিস্তান সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।
১৯৩০ মার্চ ২ প্রকাশিত হল স্তালিনের নিবন্ধ ডিজি উইথ সাকসেস।
এপ্রিল ১৪ আত্মহত্যা করলেন সোভিয়েত রুশ কবি ভ্লাদিমির মায়াকোভস্কি।
জুন ২৬-জুলাই ১৩ ১৬তম পার্টি কংগ্রেস। দক্ষিণপন্থী বিরোধী নেতারা উপহাসের শিকার হলেন। যাঁদের অনুতাপকে অসন্তোষজনক বলে মনে করা হচ্ছিল।
ডিসেম্বর ২ কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সির্তসোভ ও লোমিনাদজেকে বহিষ্কার করা হল।
১৭-২১ কেন্দ্রীয় কমিটি ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কমিটির প্লেনাম। রাইকভ বহিষ্কৃত। পলিটব্যুরোতে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে নির্বাচিত হলেন ওর্দঝোনিকিদজে।
২০ জনকমিশারদের কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে রাইকভকে প্রতিস্থাপিত করলেন মলোটোভ।
১৯৩০-৩১ “বুর্জোয়া বিশেষজ্ঞদের” বিরুদ্ধে একগুচ্ছ প্রহসনের বিচার।
১৯৩০-৩৩ সোভিয়েত দুর্ভিক্ষে প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষের মৃত্যু।
১৯৩০-৩৯ স্তালিন আমলে ১ লক্ষাধিক বেলারুশী খুন হন। হাজার হাজার মানুষকে শ্রমশিবিরে পাঠানো হয়।
১৯৩১ ফেব্রুয়ারি ৪ শিল্পায়নের বাধাবিপত্তি নিয়ে এক বক্তৃতায় স্তালিন বললেন, “এমন কোন দুর্গ নেই, যা বলশেভিকরা জয় করতে পারে না।”
১৯৩২-৩৩ হলোডোমোর। স্তালিনের কৃষিনীতির কারণে ইউক্রেনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটে। একই সময়ে কাজাখস্তান ও উত্তর ককেশাসেও দুর্ভিক্ষ হয়।
১৯৩২ ডিসেম্বর আভ্যন্তরীণ পাসপোর্ট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা হল।
১৯৩৩-৩৭ দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা।
১৯৩৩ জুলাই ৬১ বছর বয়সে সুইসাইড করলেন পুরান বলশেভিক নিকোলাই আলেক্সেইয়েভিচ স্ক্রিপনিক। ১৯১৭ সালে তিনি সামরিক বিপ্লবী কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ছিলেন ইউক্রেনীয় সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতাদের ও হলোডোমোরের সময় এঁর নেতাদের একজন।
১৯৩৪ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ১৭তম পার্টি কংগ্রেস। “বিজয়ীদের কংগ্রেস” নামে পরিচিত। এই কংগ্রেসের বৈশিষ্ট্য ছিল সব বিষয়ে একমত হওয়া, স্তালিনের প্রতি ভক্তি, ও তাঁর প্রতিভার ব্যাপারে অত্যুৎসাহ।
আগস্ট “সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদের” নীতি গ্রহণ করল লেখকদের কংগ্রেস।
ডিসেম্বর ১ গুপ্তঘাতকদের হাতে খুন হলেন স্তালিনের বন্ধু ও লেনিনগ্রাদের পার্টি সচিব সের্গেই কিরোভ।
৫-১৮ কিরোভ হত্যার জন্য “শ্বেত রক্ষী সন্ত্রাসবাদীদের” মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।
২৮-২৯ নিকোলায়েভ-রুমিয়ানৎসেভ মামলা। ১৪ জনের “বিচার”। অভিযুক্ত সকলকেই মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল।
গুলাগে মৃত্যুবরণ করলেন কবি ওসিপ মান্দেলশ্তাম।
১৯৩৫ জানুয়ারি ১৫-১৬ জিনোভায়েভ ও কামেনেভসহ ১৯ জনের “বিচার” শুরু। অভিযোগ: কিরভ গুপ্তহত্যার “রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়”, “প্রতিবিপ্লবী কার্যকলাপ”, ও “পুঁজিবাদ পুনর্বহালের” প্রচেষ্টা। অভিযুক্তরা কারারুদ্ধ হলেন।
২৩ কিরোভ গুপ্তহত্যা রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় লেনিনগ্রাদের ১২ জন ওগপু কর্মকর্তার বিচার। এঁদের খুবই সামান্য সাজা দেয়া হয়।
ফেব্রুয়ারি আদর্শ যৌথ খামার সংবিধি।
বসন্তকাল প্রায় ৩০ জন আসামীর সাথে দ্বিতীয়বারের মত কামেনেভের গোপন বিচার। তাঁর সাজা আরো ৫ বছর বাড়ানো হল।
মে সোভিয়েত-ফরাসি যৌথ সহায়তা চুক্তি।
জুলাই-আগস্ট পপুলার ফ্রন্টের নীতি গ্রহণ করে নিল কমিনটার্নের সপ্তদশ কংগ্রেস।
নভেম্বর ১৭ স্তাখানোভিস্টদের প্রথম নিখিল ইউনিয়ন সম্মেলন।
১৯৩৬ মার্চ ১৯ জর্জীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ১৫তম বার্ষিকী সোভিয়েত ইউনিয়ন জুড়ে ব্যাপকভাবে পালন করা হল।
জুন ১৮ মস্কোয় ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু। কালক্রমে ইয়াগোদাকে এঁর জন্য দায়ী করা হয়। তিনি “স্বীকারোক্তি” দেন।
২৭ গর্ভপাতবিরোধী আইন ও নয়া পারিবারিক বিধি।
আগস্ট ১৯-২৪ প্রথম বৃহৎ শো ট্রায়াল। জিনোভায়েভ ও কামেনেভসহ ১৬ জন পুরান বলশেভিক নেতার “বিচার”। এঁদের সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
সেপ্টেম্বর ২৫/২৭ এনকেভিডির প্রধান হিসেবে হেনরি ইয়াগোদাকে প্রতিস্থাপিত করলেন নিকোলাই ইয়েজোভ।
ডিসেম্বর গৃহীত হল নয়া স্তালিন সংবিধান।
আফগানিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে একটা বাণিজ্য চুক্তি করল আর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে করল একটা মৈত্রী চুক্তি। কাজাখস্তান সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ও কিরগিজ সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হল।
১৯৩৬-৩৮ পুরনো বলশেভিক নেতাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল। ৮ লক্ষ ৫০ হাজার পার্টি কর্মীকে নির্বাসন বা মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল।
১৯৩৬/১৯৩৭ লিয়ন ট্রটস্কি, দ্য রেভল্যুশন বিট্রেইড: হোয়াট ইজ সোভিয়েত ইউনিয়ন অ্যান্ড হোয়ার ইজ ইট গোয়িং?
১৯৩৭ জানুয়ারি ২০/২৩-৩০ দ্বিতীয় বৃহৎ শো ট্রায়াল। পিয়াতাকভসহ ১৭ জনের “বিচার”। এঁদের মধ্যে ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
ফেব্রুয়ারি ১৮ সের্গো ওর্দঝোনিকিদজের আকস্মিক ও রহস্যময় মৃত্যু।
মে-জুন লাল ফৌজে একটি পার্জ চালানো হল।
জুন ১২ গোপন বিচার শেষে তুখাচেভস্কি সহ লাল ফৌজের ৭ জন বিখ্যাত সেনাপতিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হল।
ডিসেম্বর ইয়েনুকিদজে-কারাখান হত্যা।
সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি যথেষ্ট পরিমাণে অনুগত না হওয়ার অভিযোগ তুলে সোভিয়েত উজবেকিস্তানের স্থানীয় কমিউনিস্টদের ওপর দমনপীড়ণ চালাতে শুরু করল।
১৯৩৮ মার্চ ২-১৩ তৃতীয় বৃহৎ শো ট্রায়াল। বুখারিন, রাইকভ ও ক্রেসতিনস্কিসহ ১৯ জন পুরান বলশেভিক নেতার “বিচার”। এঁদের মধ্যে ১৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
জুলাই মাঞ্চুরিয়ায় সোভিয়েত-জাপানি সীমান্ত সংঘাত।
ডিসেম্বর এনকেভিডি প্রধান হিসেবে ইয়েজোভকে প্রতিস্থাপিত করলেন বেরিয়া।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৩৯ মার্চ ১০-২১ ১৮তম পার্টি কংগ্রেস।
মে ৩/৪ পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিশার হিসেবে লিতভিনভকে প্রতিস্থাপিত করলেন জনকমিশারদের কাউন্সিলের সভাপতি মলোটোভ।
আগস্ট ২৩ মলোটোভ-রিবেনট্রোপ চুক্তি।*
* নাৎসি জার্মানির সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের অনাগ্রাসন চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে পোল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয় নাৎসি জার্মানি আর সোভিয়েত ইউনিয়ন।
২৯ মলোটোভ-রিবেনট্রোপ চুক্তি অনুসমর্থন করল সুপ্রীম সোভিয়েত।
সেপ্টেম্বর ১ পোল্যান্ডের একাংশ দখল করল নাৎসি জার্মানি।*
* এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
১৭ পোল্যান্ডের অপরাংশ দখল করল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
নভেম্বর ইউক্রেন ও বেলারুশিয়া, উভয়ের পশ্চিমাঞ্চল নিজ সীমানাভুক্ত করে নিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
২৯/৩০ সোভিয়েত-ফিনিশ যুদ্ধের সূচনা।
ডিসেম্বর ২১ স্তালিনের ৬০তম জন্মদিন।
লিথুয়ানিয়া ও এস্তোনিয়াকে সোভিয়েত সামরিক ঘাঁটি বসানো মেনে নিতে বাধ্য করল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
১৯৪০ মার্চ ১২ সোভিয়েত-ফিনিশ যুদ্ধের সমাপ্তি।
এপ্রিল কাতিন হত্যাযজ্ঞ।*
* সোভিয়েত গোপন পুলিশ ২০ হাজারেরও বেশি পোল জাতীয়তাবাদী সেনা কর্মকর্তা, সরকারি কর্মচারী, ও পেশাজীবীকে ঠাণ্ডা মাথায় ও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। সমকালে অপরাধের দায় নাৎসিদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেও ১৯৮০র দশকের শেষদিকে এসে সোভিয়েতরা হত্যাযজ্ঞের দায় স্বীকার করে নেয়।
মে ২৪ ট্রটস্কিকে গুপ্তহত্যার একটা ব্যর্থ চেষ্টা চালাল ওগপু।
জুন সোভিয়েত সেনারা মার্চ করে এস্তোনিয়ায় প্রবেশ করল।
২৮ রুমানিয়ার কাছ থেকে উত্তর বুকোভিনা ও বেসারাবিয়া নিজ সীমানাভুক্ত করে নিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
আগস্ট ২০ মেক্সিকোতে সোভিয়েত গুপ্তঘাতক র্যামন মারকাডারের বরফ কুঠারের আঘাতে লিয়ন ট্রটস্কির মৃত্যু।
৩-৬ এস্তোনিয়া, লাতভিয়া, ও লিথুয়ানিয়া নিজ সীমানাভুক্ত করে নিল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
লিথুয়ানিয়ায় সোভিয়েত হামলা। প্রেসিডেন্ট আন্তানাস স্মেতনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন। লিথুয়ানিয়াকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হল।
সাইবেরিয়া ও মধ্য এশিয়ায় গণ নির্বাসন শুরু।
১৯৪১ মে ৬ জনকমিশারদের কাউন্সিলের সভাপতি হিসেবে মলোটোভের স্থলাভিষিক্ত হলেন স্তালিন।
জুন ২২ নাৎসি জার্মানি কর্তৃক আক্রান্ত হল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
জুলাই ২৩ স্তালিনের বেতার সম্প্রচার।
সেপ্টেম্বর লেনিনগ্রাদ ঘেরাওয়ের সূচনা।
২০ কিয়েভের পতন।
ডিসেম্বর মস্কোর উপকন্ঠে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ সোভিয়েত বিজয়।
ইউক্রেনের রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত অংশে আক্রমণ চালাল নাৎসি জার্মানি। হাজার হাজার লিথুয়ানীয়কে সাইবেরিয়ায় নির্বাসিত করা হল।
১৯৪১-৪৫ মহা দেশপ্রেমিক যুদ্ধ।
১৯৪২ আগস্ট জার্মানরা স্তালিনগ্রাদে পৌঁছাল।
নভেম্বর ১৯ স্তালিনগ্রাদে সোভিয়েতদের পাল্টা অভিযানের সূচনা।
২৩ জার্মানদের ষষ্ঠ সেনাবাহিনী স্তালিনগ্রাদ ঘেরাও করে ফেলল।
১৯৪৩ ফেব্রুয়ারি ২ আত্মসমর্পণ করলেন ভন পউলাস।
জুলাই-আগস্ট কুর্স্কের সমর।
নভেম্বর ২৮-১ ডিসেম্বর তেহরান সম্মেলন।
১৯৪৪ জানুয়ারি ২৭ লেনিনগ্রাদের ঘেরাও তুলে নেয়া হল।
আগস্ট-সেপ্টেম্বর ওয়ারশ অভ্যুত্থান।
লাতভিয়ায় ও লিথুয়ানিয়ায় সোভিয়েত সেনাদের প্রত্যাবর্তন। নির্বাসিত করা ফের চালু হল। সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে লাতভীয় ও লিথুয়ানীয়দের প্রতিরোধ দমন করা শুরু হল। এস্তোনিয়াকে পুনরায় সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত করা হল। লক্ষ লক্ষ এস্তোনীয়কে সাইবেরিয়া ও মধ্য এশিয়ায় নির্বাসিত করা হল। লাল ফৌজ নাৎসিদের বেলারুশ থেকে তাড়িয়ে দিল। ইউক্রেনীয় ফ্যাশিস্তরা সোভিয়েত লাল ফৌজের সাথে লড়ছে। নাৎসি বাহিনীকে ইউক্রেন থেকে তাড়িয়ে দেয়া হল। ক্রিমীয় তাতারদের বিরুদ্ধে নাৎসিদের দোসর হওয়ার অভিযোগ এনে প্রায় ২ লক্ষ ক্রিমীয় তাতারকে সাইবেরিয়ায় নির্বাসিত করলেন স্তালিন।
১৯৪৫ ফেব্রুয়ারি ৪-২১ ইয়াল্টা সম্মেলন।
মে ২ লাল ফৌজের হাতে বার্লিনের পতন ঘটল।
৯ ইওরোপে যুদ্ধের অবসা্ন।
জুলাই ১৭-২ আগস্ট পটসড্যাম সম্মেলন।
আগস্ট ৮ জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
সেপ্টেম্বর ২ যুদ্ধের অবসান।
১৯৪৫-৫৩ পূর্ব ইওরোপের ওপর প্রতিষ্ঠিত হল রুশ নিয়ন্ত্রণ।
১৯৪৬ যৌথ খামারগুলোয় কঠোর শৃঙ্খলা আরোপ করা হল। নতুন সীমানাভুক্ত করে নেয়া অঞ্চলগুলোয় যৌথ খামার ব্যবস্থা সম্প্রসারিত করা হল। ইউক্রেনে দুর্ভিক্ষ দেখা দিল।
আগস্ট ১৪-১৫ জোশছেনকো ও আখমাতোভাকে আক্রমণ করে লেনিনগ্রাদে বক্তৃতা দিলেন ঝদানভ। মতাদর্শিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রবর্তন করার আহবান জানানো হল।
১৯৪৭ দুর্ভিক্ষ।
ডিসেম্বর ১৪ মুদ্রা সংস্কার।
১৯৪৮ ফেব্রুয়ারি ২০ প্রাগে ক্যুদেতা।
জুন ২৮ কমিনফর্ম থেকে যুগোশ্লাভিয়াকে বহিষ্কার করা হল।
জুলাই ৩১-৭ আগস্ট বংশগতিবিদ্যার চর্চায় লাইনেসকোর তত্ত্বগুলো আরোপ করা হল।
যুগোশ্লাভিয়ার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল আলবেনিয়া। সোভিয়েত ইউনিয়ন দেশটিকে অর্থ সাহায্য দিতে শুরু করল।
১৯৪৮-৪৯ বার্লিন ব্লকেড।
১৯৪৯ জানুয়ারি ২৫ গঠিত হল কাউন্সিল ফর মিউচুয়াল ইকোনমিক অ্যাসিস্টেন্স (কমিকন)।
সেপ্টেম্বর ২৫ সোভিয়েতরা তাদের প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটাল।
অক্টোবর ১ চীনে মাও সেতুংয়ের নেতৃত্বে কমিউনিস্টরা ক্ষমতায় এল, প্রতিষ্ঠা করা হল গণপ্রজাতন্ত্রী চীন।
“শেকড়হীন বিশ্বজনীনতাবাদ”য়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম।
১৯৫০ মস্কো সফর করলেন মাও সেতুং। সোভিয়েত-চীন চুক্তি সই।
জুন ২৬ কোরিয়া যুদ্ধ শুরু।
সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে আফগানিস্তান একটা চুক্তি করে। চুক্তির শর্ত মোতাবেক রাশিয়া দেবে তেল, আর আফগানিস্তান দেবে ভেড়ার পশম আর তুলা। সোভিয়েতরা কাবুলে একটা বাণিজ্য সংক্রান্ত অফিস খোলে।
১৯৫২ অক্টোবর ৫-১৮ উনবিংশতম পার্টি কংগ্রেস।
মঙ্গোলিয়ায় স্তালিনের ভৃত্য খোরলুগিন ছোইবালসানের মৃত্যু, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন ইয়ুমজাগিন সেদেনবাল।
১৯৫৩ জানুয়ারি ১৩ ডাক্তারদের চক্রান্ত।
মার্চ ৫ স্তালিনের মৃত্যু। পার্টির ফার্স্ট সেক্রেটারি ও প্রিমিয়ার হিসেবে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন জি. মালেনকভ।
১৪ ফার্স্ট সেক্রেটারির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মালেনকভ।
জুন সোভিয়েত শাসনের বিরুদ্ধে পূর্ব বার্লিনের ব্যাপক গণঅভ্যুত্থান, যা ট্যাংক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
২৬ বেরিয়াকে গ্রেপ্তার করা হল।
২৭ কোরীয় যুদ্ধবিরতি।
আগস্ট ১২ একটা হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটাল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
১৯৫৪ ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের হাতে তুলে দিলেন নিকিতা ক্রুশ্চেভ।
১৯৫৪-৬২ সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভের তৎপরতায় ২০ লক্ষ রুশ কাজাখস্তানে বসতিস্থাপন করলেন, এতে দেশটির জনসংখ্যায় জাতিগত কাজাখদের ভাগ ৩০ শতাংশে নেমে এল।
১৯৫৫ ফেব্রুয়ারি ৮ প্রিমিয়ারের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মালেনকভ, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন এন. বুলগানিন।
মে ১৪ গঠন করা হল সামরিক জোট ওয়ারশ প্যাক্ট।
জুলাই ১৮-২৩ জেনেভা সম্মেলন।
নিকিতা ক্রুশ্চেভ কাবুল সফর করলেন। পশতুনিস্তানের ওপর আফগানদের দাবির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন ক্রুশ্চেভ।
১৯৫৬ ফেব্রুয়ারি ১৪-২৫ বিশতম পার্টি কংগ্রেস: ক্রুশ্চেভের “গোপন বক্তৃতা”।
অক্টোবর “পোলিশ অক্টোবর”।
২৩ হাঙ্গেরি বিপ্লব।
নভেম্বর ৪ হাঙ্গেরি বিপ্লব ট্যাংক দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হল।
১৯৫৭ জুন কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরে ক্রুশ্চেভবিরোধী উপদল তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করল, কিন্তু ব্যর্থ হল।
অক্টোবর ৪ স্পুতনিক, সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম মহাকাশযান প্রেরণ করল।
সভরানখোজ, আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সোভিয়েত গঠন করা হল।
দ্য রোভেরেটা অ্যাফেয়ার, সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৬ সালের হাঙ্গেরি বিপ্লব ট্যাংক দিয়ে গুঁড়িয়ে দিলে তা নিয়ে সান মারিনোর কমিউনিস্ট আর সমাজতন্ত্রীদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেয়। ক্ষমতাসীন জোট থেকে সমাজতন্ত্রীরা নিজেদের প্রত্যাহার করে। এতে দেশটিতে একটি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হয়। পরস্পরবিরোধী সরকার গঠিত হতে থাকে, সশস্ত্র মিলিশিয়ারা রাস্তায় নেমে পড়ে; দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালি দেশটিতে সামরিক হস্তক্ষেপ চালায়। ইতালি অবরোধ দেয়। কমিউনিস্ট সরকার শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রীরা ক্ষমতায় আসে।
১৯৫৮ ফেব্রুয়ারি ২৬ এমটিএসগুলো বিলুপ্ত করা হল।
মার্চ ২৭ ফার্স্ট সেক্রেটারির পাশাপাশি প্রিমিয়ার উপাধি নিলেন ক্রুশ্চেভ।
ড. জিভাগো উপন্যাসের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন বরিস পাস্তেরনাক।
১৯৫৯ সেপ্টেম্বর ১৫-২৭ ক্রুশ্চেভের যুক্তরাষ্ট্র সফর।
১৯৬০ চীন-সোভিয়েত বাহাছ শুরু।
মে ১ একটি ইউটু গোয়েন্দা বিমান ভূপাতিত করল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
১৯৬০-৬৯ রুশীকরণ নীতির কারণে বেলারুশী ভাষার মর্যাদাহানি ঘটল। তাজিকিস্তান এসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের তৃতীয় প্রধান তুলা উৎপাদনকারী প্রজাতন্ত্র।
১৯৬১ এপ্রিল ১২ মহাকাশযান ভস্তক ১য়ে চেপে প্রথম মানুষ হিসেবে মহাশূন্যে গেলেন সোভিয়েত কসমোনাট ইউরি গ্যাগারিন।
আগস্ট ১৩ বার্লিন দেয়াল দুই জার্মানির সীমান্ত সিলগালা করল।
অক্টোবর ১৭-৩১ ২২তম পার্টি কংগ্রেস। স্তালিনের মৃতদেহ মুসোলিয়ম থেকে সরিয়ে ফেলা হল।
আলবেনিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল সোভিয়েত ইউনিয়ন। আলবেনিয়া চীনের সাথে মৈত্রীবন্ধনে আবদ্ধ হল।
১৯৬২ অক্টোবর ২২-২ নভেম্বর কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকট।
নভেম্বর পার্টিযন্ত্রের কৃষি ও শিল্প শাখাগুলো আলাদা করা হল।
নোভি মিরয়ে প্রকাশিত হল আলেকজান্দার সলজেনিৎসিনের উপন্যাস ইভান দেনিসোভিচের জীবনের একটি দিন।
১৯৬৩ জুলাই ২৫ টেস্ট ব্যান ট্রিটি।
সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে ৩২.৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি সাক্ষর করল আফগানিস্তান।
১৯৬৪ অক্টোবর ১৪-১৫ নিকিতা ক্রুশ্চেভ ক্ষমতাচ্যুত হলেন। কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হলেন লিওনিদ ব্রেঝনেভ। সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রিমিয়ার হলেন অ্যালেক্সেই কোসিগিন।
নভেম্বর ১৬ পার্টিযন্ত্রের কৃষি ও শিল্প শাখাগুলো জোড়া লাগানো হল।
উত্তর আর দক্ষিণ আফগানিস্তানকে যুক্ত করা সোভিয়েত-আফগান যৌথ প্রকল্প সালাং টানেলের নির্মাণ কাজ শেষ হল।
১৯৬৫ নূর মোহাম্মদ তারাকি প্রতিষ্ঠা করলেন আফগান কমিউনিস্ট পার্টি: পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ আফগানিস্তান (পিডিপিএ)।*
* এই পার্টি এর জন্মলগ্ন থেকেই বিভক্ত ছিল: একদিকে ছিল পারছাম,আর অন্যদিকে খালক। পারছাম ছিল শহুরে আফগানদের পার্টি, যা দেশটির বিভিন্ন জাতির কাছ থেকেও সমর্থন পেত। অপরদিকে খালক ছিল গ্রাম অভিমুখী, এবং এরা মূলত দেশটির সবচে শক্তিশালী জাতি পশতুনদের সমর্থনের ওপরই নির্ভর করত।
১৯৬৫-৬৮ কোসিগিনের অর্থনৈতিক সংস্কার।
১৯৬৬ ফেব্রুয়ারি ১০-১৪ সিনিয়ানভস্কি-দানিয়েলের বিচার।
১৯৬৭ জুন ৫-১০ তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, জুন যুদ্ধ বা ছয় দিনের যুদ্ধ নামেও পরিচিত।*
* সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রুমানিয়া ছাড়া সোভিয়েত ব্লকে থাকা অন্য ইওরোপীয় রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
১৯৬৮ প্রাগ বসন্ত।
আগস্ট ২০-২১ ওয়ারশ প্যাক্টভুক্ত দেশগুলোর বাহিনী চেকোস্লোভাকিয়ায় হামলা চালাল।
চেকোস্লোভাকিয়ায় সোভিয়েত হামলার সূত্র ধরে ওয়ারশ প্যাক্ট থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিল আলবেনিয়া।
১৯৬৯ মার্চ ২ চীন-সোভিয়েত সীমান্ত সংঘাত।
১৯৭০ অক্টোবর ৮ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন আলেকজান্দার সলজেনিৎসিন।
১৯৭২ মে ২২-২৮ মস্কো সফর করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন।
জুন ৩ বার্লিনের স্ট্যাটাস নিয়ে চার শক্তির সমঝোতা।
১৯৭৩ জুলাই ১৭ এক প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেন দাউদ।* নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করলেন। আফগানিস্তানে রাজতন্ত্রের অবসান। মুহাম্মদ জহির শাহ এ সময় ইতালিতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন। তাঁকে নির্বাসিত করা হল। এ বছর নাগাদ আফগানিস্তানে সোভিয়েত সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্যের পরিমাণ ছিল ১.৫ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সাহায্যের পরিমাণ ছিল সেই তুলনায় সামান্য, মাত্র ৪২৫ মিলিয়ন ডলার।
* মস্কো এই ক্যুদেতার ব্যাপারে আগে থেকেই জানত, তারা দাউদের ক্ষমতা দখলকে স্বাগত জানায়।
অক্টোবর মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন-সোভিয়েত দ্বন্দ্ব দেখা দিল।
আলেকজান্দার সলজেনিৎসিন, গুলাগ দ্বীপপুঞ্জ, প্রথম খণ্ড।
১৯৭৪ ফেব্রুয়ারি ১৩ আলেকজান্দার সলজেনিৎসিনকে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বহিষ্কার করা হল।
মোহাম্মদ দাউদ খান এ বছর মস্কো সফর করেন।
১৯৭৫ আগস্ট ১ হেলসিংকি চুক্তি সাক্ষরিত হল।
অক্টোবর ৯ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন বিজ্ঞানী আন্দ্রেই শাখারভ।
১৯৭৭ জুন ৪ ব্রেঝনেভ সংবিধান।
মীনা কেশওয়ার কামাল প্রতিষ্ঠা করলেন রেভল্যুশনারি অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য উইমেন অফ আফগানিস্তান (রাওয়া)।
১৯৭৮ তাজিকিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী বিক্ষোভে ১৩,০০০ মানুষ অংশ নিলেন।
এপ্রিল ২৭ আফগান সেনাবাহিনীতে পিডিপিএ’র সমর্থকরা কাবুলে এক ক্যুদেতার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ দাউদ খানের সরকারকে উৎখাত করল।* কমিউনিস্টদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হল গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র আফগানিস্তান। নবগঠিত প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান হলেন নূর মোহাম্মদ তারাকি।**
* এই ক্যুদেতার সাথে মস্কোর সরাসরি সম্পর্ক ছিল কিনা ঐতিহাসিকদের মধ্যে তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কেউ কেউ মনে করেন ছিল, অনেকে মনে করেন ছিল না। তবে এটুকু বলা চলে, ক্যুদেতা মস্কোর পক্ষে গেছিল।
** এটি সাউর, অর্থাৎ এপ্রিল, বিপ্লব নামে পরিচিত। এই বিপ্লবের নেতৃত্বে ছিল পার্টির খালক ফ্যাকশন। মস্কো এদেরকে একটা ব্যাপকভিত্তিক সরকার গঠনের পরামর্শ দেয়, যাতে অকমিউনিস্টদেরকেও জায়গা দেয়া হবে। কিন্তু এরা মস্কোর এই পরামর্শ অগ্রাহ্য করে। পার্টির পারছাম ফ্যাকশনের ওপর দমনপীড়ন চালান হয়। খালক ফ্যাকশনের নেতারা ছিলেন ভয়ানক রকমের মতান্ধ। যেদিকে তাকাতেন সেদিকেই শুধু শত্রু দেখতে পেতেন।
১৯৭৯ আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসন।
ডিসেম্বর ১২ লিওনিদ ব্রেজনেভ ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্যরা আফগানিস্তানে একটি বিশেষ অপারেশন চালানোর সিদ্ধান্তকে বৈধতা প্রদান করা দলিলে সই করলেন।
ডিসেম্বর ২৪ বাগরাম বিমান ঘাঁটির মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক সেনাকে কাবুলে নামাল সোভিয়েত ইউনিয়ন।
ডিসেম্বর ২৭ সোভিয়েতদের এলিট বাহিনী স্পেতসনাজ কমাণ্ডো বাহিনী রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ ঘিরে ফেলে এবং হাফিজুল্লা আমিনকে হত্যা করে।
সোভিয়েতরা বারবাক কামালকে নতুন প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করল। আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মীনা কেশওয়ার কামালের নেতৃত্বে প্রচারাভিযান চালাতে শুরু করল রাওয়া।
১৯৮০ বারবাক কারমাল ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার শুরু করেন। তিনি দাবি করেন, আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের এই সশস্ত্র আক্রমণ আসলে “আল্লাহর ইচ্ছায়” হয়েছে। সংবিধানে ইসলামকে শ্রেষ্ঠ ধর্মের স্বীকৃতি দেয়া হল, প্রতিষ্ঠা করা হল ডিপার্টমেন্ট অফ ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স।
জানুয়ারি আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের নিন্দা জানাল জাতিসংঘ।
২২ শাখারভকে গোর্কিতে নির্বাসিত করা হল।
২৯ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার সোভিয়েত আগ্রাসন বিরোধী মুজাহিদিনকে পাকিস্তান সরকারের মাধ্যমে অস্ত্র সরবরাহ করার একটা সিআইএ কভার্ট অপারেশন অনুমোদন করেন।* কংগ্রেসকে এই কভার্ট অপারেশনের ব্যাপারে জানান হয়। এই কর্মসূচির জন্য কংগ্রেস বছরে ৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ দেয়া অনুমোদন করে।
* প্রেসিডেন্ট কার্টারের চোখে এই মুজাহিদিনরা “মুক্তিযোদ্ধা” ছিলেন। পরে এদের একাংশ বন্দুকের নল রাশিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঘুরিয়ে দিলে এরা “সন্ত্রাসবাদীতে” পরিণত হয়। এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্য দেখুন, (Eqbal 2001)।
ফেব্রুয়ারি সোভিয়েত আগ্রাসনের কাবুলে ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা দিল। সোভিয়েতরা তাদের বৃহৎ অপারেশনগুলোর সূচনা ঘটাল।
আগস্ট ১৪ দানস্কের লেনিন শিপইয়ার্ড থেকে সলিডারিটি আন্দোলনের শুরুয়াত।*
* পূর্ব ইওরোপের দেশে দেশে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান ঘটানোয় এই আন্দোলনের উল্লেখযোগ্য প্রভাব আছে।
সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবছরের মস্কো অলিম্পিক বয়কট করে যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৮১ ডিসেম্বর ১৩ পোল্যান্ডে সামরিক আইন জারি করা হল।
১৯৮২ নভেম্বর ১০ লিওনিদ ব্রেঝনেভের মৃত্যু।
১২ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হলেন ইউরি আন্দ্রোপভ।
১৯৮৩ সেপ্টেম্বর ১ একটি কোরীয় এয়ারলাইনকে ভূপাতিত করা হল।
১৯৮৪ ফেব্রুয়ারি ৯ ইউরি আন্দ্রোপভের মৃত্যু।
১৩ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হলেন কন্সটান্টিন চেরনেনকো।
ডিসেম্বর ১৫-২১ ব্রিটেনে অবস্থান করছেন গর্বাচেভ।
বৈকাল-আমুর মেইনলাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হল।
এ বছরের মধ্যে ফিবছর প্রায় ৪,০০০ তরুণ শিক্ষার্থী আর ৭-১০ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থী অধ্যয়নের জন্য আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নে যাচ্ছে।
১৯৮৫ মার্চ ১০-১১ কন্সটান্টিন চেরনেনকোর মৃত্যু। কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হলেন মিখাইল গর্বাচেভ।
মে ১৬ অ্যালকোহল-বিরোধী কর্মসূচি চালু করা হল। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ প্রস্তাব পেশ করলেন মিখাইল গর্বাচেভ। জানালেন অর্থনৈতিক সংস্কারের আহবান।
সোভিয়েতদের বিরুদ্ধে লড়তে গঠিত হল ইসলামিক ইউনিয়ন অফ আফগান মুজাহিদিন (আইইউএএম)।
অক্টোবর সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্যরা এই ব্যাপারে সম্মত হলেন যে আঠারো মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
নভেম্বর ১৯-২১ জেনেভায় রিগ্যান ও গর্বাচেভের মধ্যে প্রথম সাক্ষাৎ।
১৯৮৬ ফেব্রুয়ারি ২৫-৬ মার্চ ২৭তম পার্টি কংগ্রেস: ব্রেঝনেভ যুগের সমালোচনা করলেন গর্বাচেভ।*
* একই পার্টি কংগ্রেসে গর্বাচেভ জানান, অচিরেই আফগানিস্তান ছেড়ে যাবে সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনী। আফগানিস্তান থেকে ৮,০০০ সৈন্য প্রত্যাহার করলেন গর্বাচেভ। পদত্যাগ করলেন প্রেসিডেন্ট বারবেক কারমাল।
এপ্রিল ২৬ ইউক্রেনের চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি বিস্ফোরণ।
অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান আর সোভিয়েত প্রিমিয়ার মিখাইল গর্বাচেভের মধ্যে একটি আলোচনা সভার স্থান হিসেবে আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিককে বাছাই করা হল।
ডিসেম্বর শাখারভকে মস্কোয় ফিরে আসার অনুমতি দেয়া হল।
সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ জাতিগত কাজাখ দীনমুখামেদ কুনায়েভকে সরিয়ে জাতিগত রুশ গেন্নাদি কলবিনকে কাজাখ কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিলে এর প্রতিবাদে আলমাতিতে ৩,০০০ মানুষের বিক্ষোভ প্রদর্শন।
জোসেফ কলিন্স, দ্য সোভিয়েত ইনভ্যাশন অফ আফগানিস্তান।
১৯৮৭ মিখাইল গর্বাচেভের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের সূচনা।
ফেব্রুয়ারি ৪ পাকিস্তানের কোয়েটায় আততায়ীদের হাতে খুন হলেন মীনা কেশওয়ার কামাল।*
* এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে বিবাদ আছে। অনেকে মনে করেন, আফগানিস্তানের সোভিয়েত পুতুল সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা খেদমতে আয়েলাতে দৌলতির (খাড) এজেন্টরা মীনাকে খুন করেছিল। আবার অনেকের মতে, এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে পশতুন মুজাহিদিন নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ারের লোকেরা।
ডিসেম্বর মিখাইল গর্বাচেভ আর রোনাল্ড রিগ্যানের মধ্যে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনা শুরু হল।
১৯৮৮ লিথুয়ানিয়ার একদল কবি ও বুদ্ধিজীবী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল লিথুয়ানিয়ান মুভমেন্ট ফর রিকন্সট্রাকশন (সাজুদিস)। সোভিয়েত ইউনিয়নের লিথুয়ানিয়া দখল করে রাখাকে অবৈধ ঘোষণা করে সাজুদিসের নেতারা রাজধানী ভিলনিয়াসে একটা জনসভা ডাকলেন।
জানুয়ারি নাগোর্নো-কারাবাখের স্তেপানকার্টে অস্থিরতা।
মার্চ ১৩ নিনা আন্দ্রেভনার চিঠি।*
*এই চিঠিতে গর্বাচেভের আনা পরিবর্তনগুলোর ব্যাপারে কমিউনিস্ট হার্ডলাইনারদের হতাশা লক্ষ্য করা যায়।
এপ্রিল ১৪ জেনেভায় আফগানিস্তান, পাকিস্তান, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হল। এই চুক্তি মোতাবেক, সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান থেকে তাঁর সব সেনা সরিয়ে নিতে শুরু করল।
জুন ২৮ ১৯তম পার্টি সম্মেলনে রাজনৈতিক পরিবর্তন আনা হল।
১৯৮৯ লিথুয়ানীয় কমিউনিস্ট পার্টি সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে এসে দেশটির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করল।
ফেব্রুয়ারি ১৫ শেষ সোভিয়েত সেনাটি আফগানিস্তান ছেড়ে গেলেন।* এই সেনাটি ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল বরিস গ্রোমভ। আমু দরিয়ার ওপর অবস্থিত আফগানিস্তান আর উজবেকিস্তানকে সংযুক্ত করা সেতুর ওপর দিয়ে ছেলেকে নিয়ে আফগানিস্তান ছেড়ে যান তিনি। সোভিয়েত আগ্রাসনে ১০ লক্ষাধিক আফগান খুন হন। এই যুদ্ধে প্রাণ হারান ১৫,০০০ সোভিয়েত সৈন্য। ৬০ লক্ষ আফগান শরনার্থী হয়ে পাকিস্তান ও ইরানে আশ্রয় নেন। দেশটির ২২,০০০ গ্রামের মধ্যে ১২,০০০ ধবংসপ্রাপ্ত হয়।
* ইসলামাবাদে সিআইএর প্রধান সংস্থাটির সদরদপ্তরে একটি দুই শব্দের সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠান: ‘আমরা জিতেছি’। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচে সফল এই কভার্ট অপারেশনে ৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছিল।
মার্চ জাতীয় সংসদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন।
এপ্রিল ৯ তিবলিসিতে বিক্ষোভ দমন করা হল।
মে ২৫ বসল পিপল’স ডেপুটিদের কংগ্রেস।
আগস্ট ২৪ পোল্যান্ডে একটি অকমিউনিস্ট সরকার ক্ষমতায় এল।
নভেম্বর ৯ বার্লিন দেয়াল ভেঙে ফেলা হল।
১৯৯০ ডিসেম্বর ২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শেভার্দনাদজে।
লিথুয়ানিয়ার সংসদীয় নির্বাচনে অধিকাংশ আসন জিতে সাজুদিসের নেতা ভাইতাউতাস ল্যান্ডসবার্গিসের সংসদনেতা নির্বাচিত হলেন ও স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন। সোভিয়েত ইউনিয়ন লিথুয়ানিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ করল, জ্বালানি সরবরাহ স্থগিত করে দেশটিতে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করল। লিথুয়ানিয়া স্বাধীনতা মুলতুবি রাখতে সম্মত হল।
সোভিয়েত উজবেকিস্তানের শেষ প্রেসিডেন্ট হলেন ইসলাম কারিমভ।
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন মিখাইল গর্বাচেভ।
১৯৯১ মার্চ ১৭ জাতীয় ঐক্যের ওপর গণভোট।
জুলাই ১০ রুশ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন বরিস ইয়েলৎসিন।
আগস্ট ১৮-২১ ব্যর্থ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা।
২৪ সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল ইউক্রেনের সংসদ।
সেপ্টেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়ন কর্তৃক লিথুয়ানিয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি প্রদান। এই মাসেই জাতিসংঘে যোগ দিল লিথুয়ানিয়া। সোভিয়েত সরকার বাল্টিক প্রজাতন্ত্রগুলোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিল। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল বেলারুশ। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমানিস্তান, ও কিরগিজিয়া। কিরগিজিয়ার নতুন নাম কিরগিজস্তান।
ডিসেম্বর ১২ কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস (সিআইএস) গঠন করায় অনুসমর্থন দিল রুশ সংসদ।
২৫ সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি।
তথ্যসূত্র
সেন, অর্ক। ২০২৩। স্তালিনের গুলাগ। গান্ধার।
Applebaum, Anne. 2003. Gulag: A History. Doubleday.
Faulkner, Niel. 2017. A People’s History of the Russian Revolution. Pluto Press in partnership with The Left Book Club.
Kenez, Peter. 2006. A History of the Soviet Union from the Beginning to the End. 2nd ed. Cambridge University Press.
Marxists Internet Archive.
Trotsky, Leon. 2017. History of the Russian Revolution. Translated by Max Eastman. Penguin Books.
— 1941. Stalin: an Appraisal of the Man and His Influence. Translated by Charles Malamuth. Grosset & Dunlap.
World History Encyclopedia.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি