জাতিসংঘ

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

বিশ্ব মানচিত্র ব্লগ

সাল

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৪১ জুন ১২ আন্তঃমিত্রপক্ষীয় ঘোষণা, লন্ডনে সই হল সেইন্ট জেমসের প্রাসাদের ঘোষণা।

আগস্ট ১৪ আটলান্টিক সনদ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিলেন। দলিলটি ‘সমুদ্রের কোথাও’, এইচ. এম. এস প্রিন্স জাহাজে, এক সভা চলাকালে সই হয়।

১৯৪২ জানুয়ারি ১ জাতিসংঘের ঘোষণাপত্র, অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইরত মিত্রপক্ষের ২৬টি জাতি-রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ওয়াশিংটন ডি.সি.তে মিলিত হয়ে জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রে সই করে আটলান্টিক সনদের প্রতি তাঁদের আনুগত্য ব্যক্ত করলেন।

১৯৪৩ অক্টোবর ৩০ মস্কো সম্মেলন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ও গণ চীনের সরকারগুলো শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দ্রুত একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন গঠনের আহবান জানালেন।

ডিসেম্বর ১ তেহরান সম্মেলন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ও সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতাদের সভায় উদ্দেশ্যটি পুনর্ব্যক্ত করা হল।

১৯৪৪ সেপ্টেম্বর ২১-অক্টোবর ৭ ডাম্বারটন ওকস সম্মেলন, জাতিসংঘের নকশা তৈরি করা হল।

১৯৪৫ ফেব্রুয়ারি ১১ ইয়াল্টা সম্মেলন, প্রধানমন্ত্রী চার্চিল, প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট, ও প্রিমিয়ার জোসেফ স্তালিন “শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় একটি সাধারণ আন্তর্জাতিক সংগঠন” গঠনে তাঁদের সংকল্প ব্যক্ত করলেন।

অক্টোবর ২৪ জাতিসংঘ সনদে সই করল ৫০টি দেশ।

১৯৪৭ অক্টোবর ২০ গৃহীত হল জাতিসংঘের পতাকা।

নভেম্বর ২৯ জাতিসংঘের পার্টিশন পরিকল্পনা [প্রস্তাব নং ১৮১(২)]। ফিলিস্তিনের বুকে একটি আরব রাষ্ট্র ও একটি ইহুদি রাষ্ট্র গঠনের এবং জেরুসালেম আর তার আশেপাশের এলাকার ওপর আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ কায়েমের প্রস্তাব দেয়া হল। যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের পার্টিশন পরিকল্পনা সমর্থন করলেও ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেন।

১৯৪৮ ডিসেম্বর ১০ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত হল মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র।

১৯৪৯ জুলাই ১৮ করাচি চুক্তি, জাতিসংঘের মদতে ভারত ও পাকিস্তানের সই করা এই চুক্তি একটি যুদ্ধবিরতি রেখা প্রতিষ্ঠা করল, ইউনাইটেড নেশনস মিলিটারি অবজারভার গ্রুপ ইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান (ইউএনএমওজিআইপি) যা তদারকি করবে।

১৯৫০ কোরীয় যুদ্ধ, জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায় অনুসারে জাতিসংঘের বাহিনীকে দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে বল প্রয়োগ করার অনুমতি দিল নিরাপত্তা পরিষদ।

১৯৫৬ নিরাপত্তা পরিষদের এক খসড়া প্রস্তাবে সোভিয়েতদের হাঙ্গেরি থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহবান জানানো হল। মস্কো এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো প্রদান করে।

১৯৬০ ১৭টি সদ্যস্বাধীন রাষ্ট্র জাতিসংঘে যোগ দিল।

১৯৬২ নভেম্বর ৩০ জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে বার্মার উ থান্টের দায়িত্বগ্রহণ।

১৯৭৪ জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্টের দেহাবশেষ শেষকৃত্যের জন্য বার্মায় আনা হল।

১৯৬৪ সাইপ্রাস নিয়ে গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার উপক্রম হলেও সোভিয়েত ও মার্কিন চাপে তা এড়ানো গেল। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হল। তুর্কি সিপ্রিয়টরা দ্বীপটির সুরক্ষিত ছিটমহলগুলোয় আশ্রয় নিল।

১৯৬৫ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেল জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)।

১৯৬৬ রোডেশিয়ার ওপর বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।

১৯৬৭ জুন ৫-১০ তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ, জুন যুদ্ধ বা ছয় দিনের যুদ্ধ নামেও পরিচিত।

নভেম্বর ২২ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক পাশ হল প্রস্তাব নং ২৪২।

১৯৬৮ জুলাই ১ পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ চুক্তি (এনপিটি) সই। কালক্রমে অধিকাংশ সদস্য রাষ্ট্রই এতে সই করবে। ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল ও দক্ষিণ সুদান ছাড়া।*
* উত্তর কোরিয়া ১৯৮৫ সালে এই চুক্তিতে সই করলেও ২০০৩ সালে চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে।

১৯৬৯ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেল জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

১৯৭১ জাতিসংঘ গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারকে চীন রাষ্ট্রের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি বলে স্বীকার করে নিল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আসন লাভ করল চীন।

১৯৭২ স্টকহোমে অনুষ্ঠিত হল জাতিসংঘের প্রথম পরিবেশ সম্মেলন।

১৯৭৩ অক্টোবর ৬-২৬ চতুর্থ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ।*
* ‘অক্টোবর যুদ্ধ’, ‘ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধ’, ‘রমজান যুদ্ধ’ ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
অক্টোবর ২২ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৩৩৮ নং প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির ও প্রত্যক্ষ আপোসরফার ডাক দেয়া হল।

১৯৭৪ গ্রিসের সামরিক জান্তা সাইপ্রাসের প্রেসিডেন্ট ম্যাকারিওসের বিরুদ্ধে একটি ক্যুদেতায় মদত যোগালে তিনি পালিয়ে গেলেন। কিছুদিনের মধ্যে দ্বীপটির উত্তরে তুর্কিদের আগমন ঘটল। তুর্কি বাহিনী দ্বীপটির এক-তৃতীয়াংশ দখল করে নিল। ১৯৬৩ সালে জাতিসংঘের বাহিনীগুলোর টানা “গ্রিন লাইন” মোটামুটিভাবে অনুসরণ করে সাইপ্রাসকে উত্তর দক্ষিণে পার্টিশনড করা হল। ১ লক্ষ ৬৫ হাজার গ্রিক সিপ্রিয়ট তুরস্কের দখলীকৃত উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে গেল, অন্যদিকে ৪৫ হাজার তুর্কি সিপ্রিয়ট দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে এল। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাশ করল, যেখানে তুরস্ককে সাইপ্রাস থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলা হল। তুরস্ক বরাবরই তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এসেছে।

১৯৭৫ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি প্রস্তাব গ্রহণ করল। তাতে বলা হল, জায়নবাদ এক ধরণের বর্ণবাদ। ১৯৯১ সালে এই প্রস্তাব বাতিল করা হয়।

জাতিসংঘ কর্তৃক প্রথমবারের মত বিশ্ব নারী সম্মেলন।

১৯৭৭ দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর বাধ্যতামূলক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা।

১৯৭৮ মার্চ ১৯ জাতিসংঘের ৪২৫ নং প্রস্তাবে লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের ডাক দেয়া হল।

১৯৭৯ নিরাপত্তা পরিষদের এক খসড়া প্রস্তাবে সোভিয়েতদের আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহবান জানানো হল। মস্কো এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো প্রদান করে।

১৯৮০ গুটিবসন্ত নির্মূল হওয়ার ঘোষণা দিল জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

১৯৮২ সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘের কনভেনশন (ইউএনসিএলওএস)।

১৯৮৩ তুর্কি সিপ্রিয়টরা তুর্কি প্রজাতন্ত্র উত্তর সাইপ্রাস (টিআরএনসি) ঘোষণা করলেন।*
জাতিসংঘের সদস্য-রাষ্ট্র নয়। তুরস্ক ছাড়া আর কেউ আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। সাইপ্রাস টিআরএনসির ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে থাকে।

১৯৮৭ ওজোন স্তর সুরক্ষা চুক্তি।

১৯৮৮ নভেম্বর ১৫ আলজিয়ার্সে ফিলিস্তিনের জাতীয় পরিষদ (পিএনসি) শর্তসাপেক্ষে গ্রহণ করে নিল জাতিসংঘের প্রস্তাব নং ১৮১, ২৪২, ও ৩৩৮। প্রবাসেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন ইয়াসির আরাফাত, যে ঘোষণাপত্রটি লিখেছিলেন কবি মাহমুদ দারবিশ। ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণা করল ফিলিস্তিন জাতীয় পরিষদ (পিএনসি)।*
* জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্য রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে দীর্ঘদিন ধরেই de facto রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে আসায় ফিলিস্তিনকে আংশিকভাবে স্বীকৃতপ্রাপ্ত রাষ্ট্র বলা যেতে পারে।

১৯৯০ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ।

আগস্ট ২ সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বাধীন ইরাক কুয়েতে হামলা চালাল। প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশন নং ৬৬০ কুয়েত থেকে অনতিবিলম্বে ইরাকি সেনা প্রত্যাহারের ডাক দিল।

১৯৯১ ইরাকের উত্তরে কুর্দি আর দক্ষিণে শিয়া বিদ্রোহ। উত্তর ইরাকে সেফ জোন প্রতিষ্ঠা করল জাতিসংঘ। ইরাক সেখানে সর্বপ্রকার সামরিক তৎপরতা বন্ধ করল।

১৯৯১-২০২৩ আর্তসাখ প্রজাতন্ত্র।*
* এই রাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল না। মাত্র ৩টা রাষ্ট্র আর্তসাখ প্রজাতন্ত্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, যাঁদের কেউই জাতিসংঘের সদস্য নয়: আবখাজিয়া, ট্রান্সনিস্ত্রিয়া, ও দক্ষিণ ওসেটিয়া। নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত।

১৯৯২ জাতিসংঘের আয়োজনে প্রথমবারের মত ধরিত্রী সম্মেলন।

বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা নিজেকে স্বাধীন ঘোষণা করল।*
* যুক্তরাষ্ট্র ও ইওরোপীয় কমিউনিটি এই স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়।

বসনীয়দের বিরুদ্ধে সার্বদের জাতিগত শুদ্ধি অভিযান শুরু।

১৯৯৩ জাতিসংঘের আয়োজনে প্রথমবারের মত বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন।

সাবেক যুগোস্লাভিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটিওয়াই) গঠন করল জাতিসংঘ।

১৯৯৪ রুয়ান্ডার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটিআর) গঠন করল জাতিসংঘ।

মার্চ জাতিসংঘের সহায়তায় গঠিত হয় বসনীয়-ক্রোয়াট ফেডারেশন।

১৯৯৫ জাতিসংঘের আয়োজনে প্রথমবারের মত বিশ্ব সামাজিক উন্নয়ন শীর্ষ সম্মেলন।

রুয়ান্ডার জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল (আইসিটিআর) গণহত্যার জন্য দায়ী একদল মানুষকে অভিযুক্ত করতে ও সাজা দিতে শুরু করল।

নভেম্বর ২১ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে ডেটন চুক্তির মধ্য দিয়ে বসনিয়া যুদ্ধের অবসান।*
* এই যুদ্ধে ১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়, ৫০ হাজার মুসলমান নারী ও কন্যাশিশু পদ্ধতিগত ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হন। বসনিয়া যুদ্ধের সবচে আলোচিত ঘটনা স্রেবেনিচা হত্যাযজ্ঞ। সেনাপতি রাতকো ম্লাদিচের নেতৃত্বাধীন বসনীয় সার্ব বাহিনীগুলো জাতিসংঘ-কর্তৃক ‘সেফ হ্যাভেন’ ঘোষিত স্রেব্রেনিচায় ঢুকে শান্তিরক্ষীদের চোখের সামনে ৭ হাজারেরও বেশি বসনিয়াক (বসনীয় মুসলমান) পুরুষ ও কিশোরকে হত্যা করে।

১৯৯৬ নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটিওয়াই) কাজ করতে শুরু করল। স্রেবেনিচা গণহত্যায় ভূমিকা রাখার দায়ে সার্ব দ্রাজেন এর্দেমোভিচকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল।

অপারেশন গ্রেপস অফ র‍্যাথ। দক্ষিণ লেবানন, দক্ষিণ বৈরুত, আর বেকা উপত্যকায় হিজবুল্লাহ ঘাঁটিগুলোয় বোমাবর্ষণ করল ইসরায়েল। কানার জাতিসংঘের ঘাঁটিতে বোমার আঘাত ১০০ বেসামরিক লেবানীয় নাগরিকের মৃত্যু, যারা জান বাঁচাতে জাতিসংঘের ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

১৯৯৭ ডিসেম্বর ১১ কিয়োটো চুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলন (ইউএনএফসিসিসি) বাস্তবায়ন করতে।

১৯৯৮ ইরাকের গণবিধবংসী অস্ত্র ধবংস করার ব্যাপারটি তত্ত্বাবধান করার জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষ কমিশনের সাথে সহযোগিতা করা বন্ধ করে দিল ইরাক।

১৯৯৯ জাতিসংঘ স্থাপন করল কসোভো পীস ইমপ্লিমেন্টেশন ফোর্স (কেফোর)।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বিজে হাবিবি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি গণভোটের আয়োজন করলে অধিকাংশ পূর্ব তিমুরি ইন্দোনেশীয় শাসনের বিপক্ষে ভোট দিলেন। জাকার্তাপন্থী মিলিশিয়াদের চালানো সহিংসতার মধ্যে দেশটির শাসনভার সাময়িকভাবে গ্রহণ করল জাতিসংঘ, কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করলেন জানানা গুসমাও। এ বছর আংশিক স্বাধীনতালাভ করল পূর্ব তিমুর।

২০০২ পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করল পূর্ব তিমুর।* জাতিসংঘ পূর্ব তিমুরের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করল। জানানা গুসমাও প্রেসিডেন্ট আর মারি আলকাতিরি প্রধানমন্ত্রী হলেন।
* একবিংশ শতাব্দীর প্রথম স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র পূর্ব তিমুর।

২০০১ রাষ্ট্রীয় তহবিল তছরুপ করা আর ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে বেলগ্রেডে গ্রেপ্তার হলেন স্লোবোদান মিলোসেভিচ। তাঁকে আইসিটিওয়াইয়ের হাতে তুলে দেয়া হল।

আগস্ট জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল সাবেক বসনীয় সার্ব নেতা রাদিস্লাভ ক্রিস্তিচকে স্রেবেনিচা হত্যাযজ্ঞে ভূমিকা রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ৪৬ বছরের কারাদণ্ড দিল।

২০০২ নভেম্বর ৮ যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের মুসাবিদা করা প্রস্তাব নং ১৪৪১ সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে নিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের দায়ে দ্য নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে স্লোবোদান মিলোসেভিচের বিচার শুরু হল।

২০০৩ মার্চ ২০ জর্জ বুশ জুনিয়রের নেতৃত্বে ইরাকে মার্কিন হামলা।
মার্চ ২২ ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়া প্রস্তাব নং ১৪৮৩ গ্রহণ করে নিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

আগস্ট ১৯ বাগদাদে মার্কিন সদরদপ্তরে ট্রাক বোমা হামলা, এতে ইরাকে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি সার্জিও ভিয়েরা দে মিলোর মৃত্যু হয়।

২০০৪ সিরিয়াকে লক্ষ্য করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে বলা হল, লেবানন থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। সিরিয়া জাতিসংঘের এই আহবান মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানাল।

২০০৫ দ্য নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরস্থ জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল দ্বারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হলেন রামুশ হারাদিনাজ, কসোভোর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন।

বৈরুতে এক গাড়ি বোমা হামলায় খুন হলেন লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরি। 

২০০৬ জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালে দ্য নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে স্লোবোদান মিলোসেভিচকে নিজ সেলে মৃতাবস্থায় পাওয়া গেল।

মার্চ ১৫ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ।

২০০৭ জানুয়ারি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের আনা একটি খসড়া প্রস্তাবে বার্মার সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ও বিরোধীদের ওপর নির্যাতন থামাতে দেশটির প্রতি আহবান জানানো হলে চীন ও রাশিয়া ভেটো প্রদান করল।

জুলাই ৩১ ইউএনএএমআইডি, দারফুরে আফ্রিকান ইউনিয়নের সাথে যৌথভাবে একটি শান্তিরক্ষা মিশন চালু করল জাতিসংঘ।

রফিক হারিরি হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠনের পক্ষে ভোট দিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) দেয়া তথ্যানুসারে, ইরাক যুদ্ধের কারণে এ সময় সিরিয়ায় ইরাকি শরণার্থীর সংখ্যা ১৫ লক্ষ।

২০০৮ ফেব্রুয়ারি ১৭ কসোভো সার্বিয়া থেকে নিজেকে স্বাধীন ঘোষণা করল, সার্বিয়া বলল এই স্বাধীনতার ঘোষণা অবৈধ। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইওরোপীয় দেশগুলো কসোভোকে স্বীকৃতি দিল। রাশিয়া কসোভোকে সার্বিয়ার অংশ বলে বিবেচনা করে।*
* জাতিসংঘের সদস্য-রাষ্ট্র নয়। তবে জাতিসংঘের শতাধিক সদস্য-রাষ্ট্রের স্বীকৃতিলাভ করেছে কসোভো। সার্বিয়া কসোভোর ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে থাকে।

রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে আবখাজিয়া আর দক্ষিণ ওশেটিয়ার স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি প্রদান করল।*
* রাশিয়া, ভেনেজুয়ালা, নিকারাগুয়া, সিরিয়া, আর নাউরু ছাড়া জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্য-রাষ্ট্র আবখাজিয়া আর দক্ষিণ ওশেটিয়াকে জর্জিয়ার অংশ বলে গণ্য করে।

২০০৯ দ্য নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরের আন্তর্জাতিক আদালত রফিক হারারি হত্যার বিচার শুরু করল। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হলেন মোহাম্মদ জুহাইর আল-সিদ্দিক। তিনি সিরিয়ার একজন সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

২০১০ হিজবুল্লা নেতা হাসান নাসরুল্লাহ লেবাননের প্রতি আহবান জানালেন জাতিসংঘের হারিরি ট্রাইব্যুনাল বর্জন করতে, দাবি করলেন এই ট্রাইব্যুনাল ‘ইসরায়েলের সাথে যোগসাজশে লিপ্ত’।

২০১১ লেবাননের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল রফিক হারিরি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল। অভিযুক্তরা হিজবুল্লার সদস্য। হিজবুল্লাহ জানাল সদস্যদের গ্রেপ্তার মেনে নেবে না।

সেপ্টেম্বর ২৩ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হতে আবেদন করল ফিলিস্তিন। আবেদন খারিজ হল। তবে এবছরই ইউনেস্কোর সদস্যপদ লাভ করে ফিলিস্তিন।

২০১২ নভেম্বর ২৯ জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে ‘অসদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের’ মর্যাদা প্রদান করল।*
* এটি ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে একটি মাইলফলক।

২০১৩ জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শকরা জানালেন, আগস্টে দামিশকের ঘৌতা এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে ৩০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। জাতিসংঘকে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ধবংস করে ফেলার অনুমতি দিল সিরিয়া সরকার। ২০১৪ সালের জুন নাগাদ এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়।

জাতিসংঘের হিসেবে এ বছর ইরাক জুড়ে চলা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ৭,১৫৭ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু ঘটে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) দেয়া তথ্য অনুসারে, এ সময় লেবাননে ৭ লক্ষ সিরীয় শরণার্থী অবস্থান করছেন।

মে জাতিসংঘের একটি ট্রাইব্যুনাল ছয়জন সাবেক বসনীয় ক্রোয়াট নেতাকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করল।

২০১৫ মে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীদের সাথে নৌকায় করে বিপজ্জনকভাবে সমুদ্র পাড়ি দিলেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্রগুলো উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘের সমালোচনার শিকার হল।

২০১৬ মার্চ জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আদালত রায় দিল যে, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে অভিযুক্ত সার্বীয় উগ্র জাতীয়তাবাদী নেতা ভোজিস্লাভ সেসেল অপরাধী নন। জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বেকসুর খালাস পাওয়াদের মধ্যে সেসেলই সবচে উচ্চ খ্যাতিসম্পন্ন বিবেচিত হন।

এপ্রিল জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল সাবেক বসনীয় সার্ব নেতা রাদোভান কারাদজিচকে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিল।

ডিসেম্বর অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইহুদি বসতিনির্মাণের বিরোধিতা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিল ১২টি দেশ। ইসরায়েল তাদের সাথে কার্যত সম্পর্ক ছিন্ন করল। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথমবারের মত এহেন প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার বদলে ভোটদান থেকে বিরত থাকল।

২০১৭ জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল সাবেক বসনীয় সার্ব সামরিক কমাণ্ডার রাতকো ম্লাদিচকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল।

ইউনেস্কো হেবরনের ওল্ড সিটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ বলে স্বীকৃতি দিল।

২০১৮ জুলাই-নভেম্বর জাতিসংঘ ও মিসরের মধ্যস্ততায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই।

আগস্ট জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বার্মার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত করার দায়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর নেতাদের অভিযুক্ত করা হল। ৬ জন সেনা কর্মকর্তার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) করার আহবান জানান হল। সহিংসতা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে প্রতিবেদনটিতে অং সান সু চিকেও অভিযুক্ত করা হয়। বার্মা এই প্রতিবেদনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করে

২০১৯ জুলাই নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগস্থ জাতিসংঘের একটি যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আদালত সন্দেহভাজন হিসেবে তলব করায় কসোভোর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রামুশ হারাদিনাজ।

২০২০ নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগস্থ জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল দ্বারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হওয়ায় হাশিম থাচি প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।

২০২২ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) দেয়া তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত নিবন্ধিত সিরীয় শরণার্থীর সংখ্যা ৫৬ লক্ষের বেশি, যাদের ৬৫ শতাংশেরও বেশি তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছেন।

২০২৩ সেপ্টেম্বর আজারবাইজানের অবরোধের মুখে আর্তসাখ প্রজাতন্ত্রের পতন হল।
সেপ্টেম্বর ২৯ আর্মেনিয়ায় জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি কবিতা বেলানি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বললেন, তাঁরা ১ লক্ষ ২০ হাজার শরণার্থীর চাপ সামলাতে প্রস্তুত।

২০২৪ আর্তসাখ প্রজাতন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত করে দেয়া হল।

তথ্যসূত্র

Al Jazeera. 2008. “Timeline: The United Nations.” Al Jazeera, December 9.
https://www.aljazeera.com/news/2008/12/9/timeline-the-united-nations

United Nations. n.d. “Milestones in UN History 1941-1950.” Accessed March 17.
https://www.un.org/en/about-us/history-of-the-un/1941-1950

সময়রেখার অন্যান্য পোস্ট

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *