যুক্তরাজ্য

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Image: The Nations Online Project.

পূর্বসাল

৩০০০ স্কটল্যান্ডে এসময় প্রথমবারের মত চাষাবাদ শুরু হল।

২৫০০-২০০০ স্টোনহেঞ্জ এসময়ই কখনো নির্মিত বলে ভাবা হয়।

২০০০ ব্রিটেনে বীকার মানুষরা এসময় ব্রোঞ্জ ব্যবহার করছেন।

২০০০-১৫০০ ওর্কনি দ্বীপপুঞ্জের স্কারা ব্রায়ের তটরেখায় এসময়ের একটি নব্য প্রস্তর যুগীয় গ্রামের ধবংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে।

১৩০০ দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আদিবাসী আমেরিকানদের একটি অংশ অ্যাঙ্গুইলায় অভিবাসিত হলেন।

৭০০-৩০০ ইংল্যান্ডে সেল্টিক (বিকল্প উচ্চারণে, কেল্টিক) সভ্যতার আগমন, এসময় অঞ্চলটিতে লোহার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে।

৫৫-৫৪ দক্ষিণ ইংল্যান্ডে অভিযান চালাচ্ছে জুলিয়াস সীজারের বাহিনী।

সাল

৪৩ রোমক সম্রাট ক্লডিয়াস ব্রিটানিয়াকে পুরোপুরিভাবে সাম্রাজ্যভুক্ত করে নেয়ার হুকুম জারি করলেন।

৫০ আজকের লন্ডন এই সময়ই কখনো গড়ে ওঠে।

৫১ রোমক সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ প্রতিরোধের নেতা ক্যারাকট্যাকাস ধরা পড়লেন।

৬১ রোমক সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে রানী বৌডিকার নেতৃত্বে বিদ্রোহ করল ব্রিটনরা। কোলচেস্টার, সেইন্ট আলবানস, আর লন্ডনে আগুন ধরিয়ে দিলেন বৌডিকা। যদিও বিদ্রোহটি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।

৭৮-৮৫ রোমক ব্রিটেনের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন এগ্রিকোলা।

১২২-২৮ ইংল্যান্ডের উত্তরে হাদ্রিয়ানের দেয়াল নির্মাণ করা হল।

১২৪ রোমকদের ক্যালিদোনিয়ায় – স্কটল্যান্ডের একটি প্রাচীন নাম – আগমন।

১৪৩ আন্তোনিনের দেয়ালের নির্মাণ কাজ শেষ হল।

২৮৬-৯৩ রোমক সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন এডমিরাল কারাউসিয়াস, নিজেকে স্বাধীন ব্রিটেনের সম্রাট ঘোষণা করলেন।

২৯৬ পিক্টদের প্রথম উল্লেখ পাওয়া গেল রোমক সাহিত্যে।

৩৬৭ বর্বরদের মহা অভিযান, লন্ডনে পিক্ট, স্কট, আর সাক্সন গোষ্ঠীগুলো এক হয়ে রোমকদের ওপর হামলা চালাল।

৩৮৮ হাদ্রিয়ানের দেয়াল ছেড়ে চলে গেল রোমক সেনাবাহিনী।

৪০১-৫০০ জার্মানিক অ্যাংলো-সাক্সন গোষ্ঠীগুলো ইংল্যান্ড দখল করে নিল। এ-সময় ব্রিটনদের অনেকে অঞ্চলটি ছেড়ে পালিয়ে যায়, আবার অনেকে নবাগতদের সাথে মিলেমিশে যায়। ইংল্যান্ডকে ওয়েসেক্স, মার্সিয়া, আর নর্দামব্রিয়া নামের কয়েকটি রাজ্যে ভাগ করা হল। গায়েল নামের একটি কেল্টিক গোষ্ঠী স্কটল্যান্ডে আসতে শুরু করল। শুরুতে স্থানীয় পিক্টদের সাথে এদের দ্বন্দ্ব ছিল। পিক্টীয় রাজারা খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করতে আরম্ভ করলে সেই দ্বন্দ্ব হ্রাস পায়।

৪০৭ শেষ রোমক সৈনিকরা ব্রিটেন ছেড়ে গেল।

৪১০ ইংল্যান্ডে অবস্থানরত রোমক উপনিবেশ স্থাপনকারীদেরকে জানিয়ে দেয়া হল, এখন থেকে বর্বরদের আক্রমণের হাত থেকে রোম আর তাদেরকে কোনোপ্রকার সুরক্ষা দেবে না।

৪৫০ ব্রিটেনে অ্যাংলিজ, সাক্সন, আর জুটদের অভিযান শুরু।

৪৭৭ অ্যাংলো-সাক্সন ক্রনিকলস অনুসারে এল্লার নেতৃত্বাধীন সাক্সনরা এই বছর সাসেক্সে পা রাখে।

৫২০ বাডনের যুদ্ধ, সমারসেটের কোথাও কেল্টদের সাথে সাক্সনরা পরাজিত হল।

৫৭৭ দেওরহামের যুদ্ধে সাক্সনরা রোমানো-কেল্টদেরকে পরাস্ত করল। বাথ, সিরেনচেস্টার, ও গ্লচেস্টার দখল করে নিল। ওয়েলসের কেল্টদেরকে দক্ষিণপশ্চিম ইংল্যান্ডের কেল্টদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলল।

৫৯৭ কেন্টে সন্ত অগাস্টিনের আগমন। সাক্সনদেরকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করতে শুরু করলেন তিনি।

৬০১ ক্যান্টারবেরির প্রথম আর্চবিশপ নিযুক্ত হলেন সন্ত অগাস্টিন।

৬০৪ লন্ডনের প্রথম বিশপকে নিয়োগ দেয়া হল।

৭৩৫ ঐতিহাসিক বেডের মৃত্যু।

৭৫৭-৯৬ মধ্য ইংল্যান্ডের মার্সিয়া রাজ্য শাসন করছেন ওফফা।

৭৯৩ ইংল্যান্ডে প্রথমবারের মত অভিযান চালাল উত্তর ইওরোপ থেকে আসা ভাইকিংরা, উত্তর পশ্চিম ইংল্যান্ডের লিন্ডিসফার্ন মঠে ব্যাপক ধবংসলীলা।

৮০০ উত্তর সাগর পারি দিয়ে স্কটল্যান্ডে এল ভাইকিংরা। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে বসতি স্থাপন করতে শুরু করল। এসময় পিক্টরা তৈরি করছে তাদের আলবা রাজ্য।

৮৪৩ আলবা রাজ্যের প্রথম রাজা কেনেথ ম্যাকআলপাইন পিক্ট আর স্কটদেরকে ঐক্যবদ্ধ করলেন, ভবিষ্যৎ স্কটল্যান্ডের রাজ্যের ভিত্তি তৈরি হল।

৮৬৫ ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে দিনেমারদের অভিযান।

৮৭১ অ্যাশডনে সাক্সনদের হাতে দিনেমারদের পরাজয় বরণ। ওয়েসেক্সের রাজা হলেন আলফ্রেন্ড দ্য গ্রেট।

৮৭৮ এডিংটনের যুদ্ধে দিনেমারদেরকে পরাজিত করলেন আলফ্রেড দ্য গ্রেট।

৮৭৯ ওয়েডমোরের চুক্তিতে ইংল্যান্ডকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল সাক্সন আর দিনেমাররা। সীমান্তের একাংশ নির্ধারিত হল ওয়াটলিং স্ট্রিট। লন্ডন দিনেমারদের হাতে রয়ে গেল।

৮৮৬ দিনেমারদের হাত থেকে লন্ডন উদ্ধার করলেন আলফ্রেড দ্য গ্রেট।

৮৯৯ আলফ্রেড দ্য গ্রেটের মৃত্যু।

৮৯৯-৯২৪ “অ্যাংলিজ আর সাক্সনদের রাজা” এডওয়ার্ড দ্য এল্ডারের রাজত্বকাল।

৯১৩ দিনেমারদের হাত থেকে এসেক্স পুনরুদ্ধার করলেন এডওয়ার্ড।

৯২৪-২৭ এডওয়ার্ড দ্য এল্ডারের পুত্র আথেলস্তানের রাজত্বকাল।

৯২৭ ওয়েসেক্সের আথেলস্তান ইংল্যান্ডকে একটি একক রাজ্য হিসেবে একীভূত করেন।

১০১৬-৩৫ ইংল্যান্ডে রাজা কান্যুটের শাসনকাল।

১০৩৫-৪০ ইংল্যান্ডে রাজা প্রথম হ্যারল্ডের শাসনকাল।

১০৪০ আলবা শাসন করতে শুরু করলেন রাজা ম্যাকবেথ।*
* ব্রিটিশ নাট্যকার উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ম্যাকবেথ নাটকের অনুপ্রেরণা, যদিও শেকসপিয়ারের নাটকটির অনেক অংশই কাল্পনিক।

১০৪০-৪২ ইংল্যান্ডে রাজা হাদ্রিকান্যুটের শাসনকাল।

১০৪২-৬৬ ইংল্যান্ডে রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসরের শাসনকাল।

১০৫৭ আলবার রাজা ম্যাকবেথের মৃত্যু।

১০৬৬ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসরের মৃত্যুতে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হলেন হ্যারল্ড। কিন্তু ইংল্যান্ডের মসনদ দাবি করে বসলেন নর্ম্যান্ডির উইলিয়াম। দেখা দিল মসনদের আরেক অপ্রত্যাশিত দাবিদার: নরওয়েজীয় হারাল্ড হার্দরাদা। ইংল্যান্ড আক্রমণ করলেন নরওয়েজীয় হারাল্ড হার্দরাদা। সেপ্টেম্বরে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের যুদ্ধে তাঁর বাহিনী পরাস্ত হল। অক্টোবরে হেস্টিংসের যুদ্ধে নর্ম্যানদের জয়লাভ, এই যুদ্ধে নিহত হন রাজা হ্যারল্ড। ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের মুকুট পরলেন উইলিয়াম দ্য কংকোয়েরার।

১০৬৯-৭০ ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক তাণ্ডবলীলা চালাল নর্ম্যান সেনারা। ঘরবাড়ি ও শস্য পুড়িয়ে দিল, গবাদিপশু হত্যা করল হাম্বার নদীর উত্তরদিক ধবংসস্তূপে পরিণত হল।

১০৮৬ নর্ম্যানদের দ্বারা সংকলিত হল ডুমসডে বুক, যাতে ইংল্যান্ডের ভূমি, রাজস্ব, ও জনসংখ্যার বিস্তারিত বিবরণ নথিবদ্ধ করা হল।

১০৭০ উইলিয়াম দ্য কংকোয়েরারের মৃত্যু, ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হলেন উইলিয়াম রুফুস।

১১০০ আলবা রাজ্য একটি সামন্তীয় সমাজে পরিণত হল। উইলিয়াম রুফুসের মৃত্যু। ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হলেন প্রথম হেনরি।

১১২০ ইংলিশ চ্যানেলে ডুবে গেল দ্য হোয়াইট শিপ। পানিতে তলিয়ে গেলেন ইংল্যান্ডের মসনদের উত্তরাধিকারী উইলিয়াম। তিনি ছিলেন প্রথম হেনরির একমাত্র বৈধ সন্তান।

১১৩৫ প্রথম হেনরির মৃত্যু।

১১৩৮ স্ট্যান্ডার্ডের যুদ্ধে ইংরেজদের হাতে স্কটরা পরাজিত হল।

১১৫৪ ইংল্যান্ডের রাজা হিসাবে মসনদে বসলেন দ্বিতীয় হেনরি।

১১৬৭ স্থাপিত হল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

১১৭০ ক্যান্টারবেরি ক্যাথেড্রালে খুন হয়ে গেলেন টমাস বেকেট, তাঁকে পরবর্তীকালে সন্ত হিসাবে কানুনীকৃত করা হয়।

১১৮৯ দ্বিতীয় হেনরির মৃত্যু। ইংল্যান্ডের রাজা হলেন প্রথম রিচার্ড। তিনি রিচার্ড দ্য লায়নহার্ট নামে বিখ্যাত।

১২০৭ লিভারপুল শহরের পত্তন ঘটালেন ইংল্যান্ডের রাজা জন।

১২০৯ স্থাপিত হল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।

১২১৫ ব্যারনদের চাপে ইংল্যান্ডের রাজা জন ম্যাগনা কার্টায় সই করলেন, এই প্রথমবারের মত ইংরেজ রাজাদের ক্ষমতার ওপর কিছু সীমা আরোপ করা হল।

১২১৬ জনের মৃত্যু, ইংল্যান্ডের নতুন রাজা তৃতীয় হেনরি।

১২২১ ইংল্যান্ডে দমিনিকান ফ্রায়ারদের আগমন ঘটল।

১২৬৪ লুইসের যুদ্ধ, সিমন দ্য মন্তফোর্ট আর বিদ্রোহী ব্যারনরা মিলে ইংল্যান্ডের রাজাকে পরাস্ত করল।

১২৬৫ এভেশামের যুদ্ধ, পরাজিত ও নিহত হলেন মন্তফোর্ট।

১২৭২ তৃতীয় হেনরির মৃত্যু, রাজা হলেন প্রথম এডওয়ার্ড।

১২৮৩ ইংল্যান্ডের সাথে ঐক্যবদ্ধ হল ওয়েলস।

১২৯০ ইংল্যান্ড থেকে ইহুদিদের বিতাড়িত করলেন রাজা এডওয়ার্ড।

১২৯৫ অল্ড মৈত্রীজোট, ফ্রান্স আর স্কটল্যান্ডের মধ্যে একটি পারস্পরিক নিরাপত্তা চুক্তি সাক্ষরিত হল।

১২৯৬ ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম এডওয়ার্ড স্কটল্যান্ডে হামলা চালালেন, স্কটদের রাজ্যাভিষেক পাথর ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে নিয়ে গেলেন।

১২৯৭ স্টারলিং সেতুর যুদ্ধ। পিছু হটতে বাধ্য হল ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম এডওয়ার্ডের হানাদার বাহিনী। এই যুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শন করার কারণে স্কটল্যান্ডের জাতীয় বীরে পরিণত হলেন উইলিয়াম ওয়ালেস।*
* মেল গিবসনের ব্রেভহার্ট ছবিটি ওয়ালেসকে নিয়ে বানানো।

১৩০৬ স্কটল্যান্ডের রাজা হলেন রবার্ট দ্য ব্রুস।

১৩০৭ প্রথম এডওয়ার্ডের মৃত্যু, ইংল্যান্ডের রাজা হলেন দ্বিতীয় এডওয়ার্ড।

১৩১৪ ব্যানোকবার্নের যুদ্ধে স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট দ্য ব্রুসের কাছে পরাজিত হলেন ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ড।

১৩১৫-১৬ ইংল্যান্ডে দুর্ভিক্ষের কাল।

১৩২০ আরব্রোথ ঘোষণা, স্কটল্যান্ড নিজেকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করল।  প্রতীকী হলেও স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে ঘোষণাটির গুরুত্ব অপরিসীম। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা পিতারা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র লেখার সময় এই ঘোষণা কর্তৃক অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

১৩২৪-৮৪ ধর্মীয় সংস্কারক জন ওয়াইক্লিফের জীবনকাল।

১৩২৭ সিংহাসন ছাড়লেন দ্বিতীয় এডওয়ার্ড, ইংল্যান্ডের রাজা হলেন তৃতীয় এডওয়ার্ড।

১৩৩৭ ইংল্যান্ড আর ফ্রান্সের মধ্যে শতবর্ষের যুদ্ধের সূচনা।

১৩৪৮ ইংল্যান্ডে ব্ল্যাক ডেথের আগমন, পরবর্তী এক বছরে দেশটির জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের মৃত্যু।

১৩৭৭ ইংল্যান্ডের রাজা হলেন দ্বিতীয় রিচার্ড।

১৩৮১ ইংল্যান্ডে কৃষক বিদ্রোহ।

১৩৮৮ ওটারবার্নের যুদ্ধে স্কটরা ইংরেজদেরকে পরাস্ত করল।

১৩৯৯ ইংল্যান্ডের রাজা হলেন চতুর্থ হেনরি।

১৪০১-১৫০০ ইওরোপীয় রেনেসাঁ স্কটল্যান্ডকেও নানানভাবে স্পর্শ করল।

১৪১১ স্থাপিত হল সেইন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়।*
* সন্ত এন্ড্রুজ স্কটদের প্যাট্রন সেইন্ট বিবেচিত হন।

১৪১৩ ইংল্যান্ডের রাজা হলেন পঞ্চম হেনরি।

১৪৫১ স্থাপিত হল গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়।

১৪৫৩ ইংল্যান্ড আর ফ্রান্সের মধ্যকার শতবর্ষের যুদ্ধের সমাপ্তি, ক্যালে ছাড়া ফ্রান্সে নিজের সব ভূখণ্ড হারাল ইংল্যান্ড।

১৪৫৫-৮৫ গোলাপের যুদ্ধ, ইয়র্ক আর ল্যানকাস্টারের পরিবারের মধ্যে। বসওয়ার্ড ফিল্ডের সমরে তৃতীয় রিচার্ডের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। ইংল্যান্ডের মসনদে বসেন টিউডোর পরিবারের সপ্তম হেনরি।

১৪৭২ এ বছর পর্যন্ত শেতল্যান্ড আর ওর্কনি দ্বীপপুঞ্জ ভাইকিংদের ডিপেন্ডেন্সি ছিল।

১৪৭৬ ইংল্যান্ডে মুদ্রণ যন্ত্র প্রবর্তন করেন উইলিয়াম ক্যাক্সটন।

১৪৯৭ ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরির পৃষ্ঠপোষকতায় উত্তর আমেরিকায় অভিযান চালালেন ইতালীয় অভিযাত্রিক জিওভান্নি কাবোতো, যিনি ইংরেজিভাষীদের কাছে জন ক্যাবট নামেই বেশি পরিচিত।

১৫০৯ সপ্তম হেনরির মৃত্যু। ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে মসনদে বসলেন অষ্টম হেনরি। আরাগনের রানী ক্যাথরিনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন।

১৫১১ ইংরেজদের যুদ্ধজাহাজ হিসাবে মেরি রোজের যাত্রা শুরু।

১৫১৩ ফ্লোডেনের যুদ্ধ, স্কটদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করল ইংল্যান্ড।

১৫৩৩ আরাগনের রানী ক্যাথরিনের সাথে লগ্নবিচ্ছেদ ঘটালেন অষ্টম হেনরি। বিয়ে করলেন অ্যান বোলিন। এই বছরই রোমের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন অষ্টম হেনরি, এবং প্রতিষ্ঠা করেন চার্চ অফ ইংল্যান্ড।

১৫৩৪ নিজেকে চার্চ অফ ইংল্যান্ডের প্রধান ঘোষণা করলেন অষ্টম হেনরি।

১৫৩৬ উত্তর ইংল্যান্ডে গণঅভ্যুত্থান, গ্রেসের পিলগ্রিমেজ নামে পরিচিত। অ্যান বোলিনের শিরশ্ছেদ। এরপর জেন সেমুরকে বিয়ে করলেন অষ্টম হেনরি।

১৫৩৬-৪০ ইংল্যান্ডের মঠগুলো বন্ধ করে দিলেন অষ্টম হেনরি।

১৫৩৭ জেন সেমুরের মৃত্যু।

১৫৪০ ক্লিভসের অ্যানকে বিয়ে করলেন অষ্টম হেনরি। কিন্তু দ্রুতই তার সাথে লগ্নবিচ্ছেদ ঘটালেন। এরপর ক্যাথরিন হাওয়ার্ডকে বিয়ে করেন অষ্টম হেনরি।

১৫৪২ সলওয়ে মসের যুদ্ধে স্কটদেরকে পরাস্ত করল ইংরেজরা। ক্যাথরিন হাওয়ার্ডের শিরশ্ছেদ। ‘কুইন অফ স্কটস’ মেরির জন্ম।

১৫৪৩ ক্যাথরিন পারকে বিয়ে করলেন অষ্টম হেনরি। রানী মেরির রাজ্যাভিষেক।

১৫৪৫ সমুদ্রে ডুবে গেল ইংরেজদের যুদ্ধজাহাজ মেরি রোজ।

১৫৪৭ অষ্টম হেনরির মৃত্যু। ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হলেন ষষ্ঠ এডওয়ার্ড। সমারসেটের ডিউককে লর্ড প্রটেক্টর হিসাবে নিয়োগ দেয়া হল।

১৫৪৯ প্রবর্তিত হল প্রথম বুক অফ কমন প্রেয়ার। লর্ড প্রটেক্টর হিসেবে নিয়োগ পেলেন নর্দামবারল্যান্ডের ডিউক।

১৫৫৩ ষষ্ঠ এডওয়ার্ডের মৃত্যু, ইংল্যান্ডের মসনদে বসলেন মেরি।

১৫৫৪ লেডি জেন গ্রের শিরশ্ছেদ।

১৫৫৫-৫৮ প্রোটেস্ট্যান্টদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালালেন রানী মেরি। ধর্মদ্রোহের দায়ে ৩০০ জনকে পুড়িয়ে মারা হল। এ কারণে তিনি “ব্লাডি মেরি” নামে পরিচিত।

১৫৫৮ ব্লাডি মেরির মৃত্যু, নতুন রানী প্রথম এলিজাবেথ।

১৫৫৮-১৬০৩ প্রথম এলিজাবেথের রাজত্ব। ইংল্যান্ডের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। এই সময়ই ইংরেজদের নৌ শক্তির উত্থান ঘটে।

১৫৫৯ জন নক্সের নেতৃত্বে স্কটীয় সংস্কারের সূচনা।

১৫৬৪-১৬১৬ ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত নাট্যকার উইলিয়াম শেকসপীয়ারের জীবনকাল।

১৫৭০ ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথকে এক্সকমিউনিকেট করলেন পোপ।

১৫৭৬ লন্ডনে প্রথম থিয়েটার খোলা হল।

১৫৮২ স্থাপিত হল এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

১৫৮৭ ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথের নির্দেশে শিরশ্ছেদের মাধ্যমে ‘কুইন অফ স্কটস’ মেরির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল।

১৫৮৮ ইংরেজ নৌবহরের কাছে পরাজিত হল স্প্যানিশ আর্মাডা।

১৫৯২ ফকল্যান্ড দ্বীপ আবিষ্কার করলেন ইংরেজ জন ডেভিস।

১৫৯৯ স্থাপিত হল গ্লোব থিয়েটার।

১৬০০ ব্রিটেনের রানী প্রথম এলিজাবেথের কাছ থেকে পাওয়া রাজকীয় সনদের ভিত্তিতে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

১৬০১ প্রথম এলিজাবেথের উদ্যোগে পাশ হল পুওর ল, যাতে ইংল্যান্ডের স্বচ্ছল ব্যক্তিরা তাদের গরিব সহনাগরিকদেরকে নিজেদের আয়ের একাংশ দিতে আইনত বাধ্য হল।

১৬০৩ প্রথম এলিজাবেথের মৃত্যু। স্কটল্যান্ডের রাজা ষষ্ঠ জেমস ইংল্যান্ডের প্রথম জেমস হিসেবে গদিতে বসলেন। তিনি গ্রেট ব্রিটেনের প্রথম রাজা।*
* এই অসামান্য ঘটনাটি মুকুটসমূহের সম্মিলন নামে পরিচিত।

১৬০৫ গানপাউডার প্লট, ইংরেজ সংসদ উড়িয়ে দেয়ার ক্যাথলিক ষড়যন্ত্র ফাঁস।

১৬০৭ ভার্জিনিয়ার জেমসটাউনে ইংরেজ বসতি-উপনিবেশ স্থাপনকারীরা বসতিস্থাপন করল, এটিই উত্তর আমেরিকার প্রথম ইংরেজ বসতি-উপনিবেশ।

১৬০৮ ইংল্যান্ডের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন জন মিল্টনের জন্ম।

১৬১১ কিং জেমস বাইবেল (কেজিভি)

১৬১২ ভারতে ব্রিটিশদের আগমন।

১৬১৩-১৪ উইলিয়াম হকিনসের নেতৃত্বে মসুলিপত্নম ও সুরাটে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। রাজা প্রথম জেমসের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে বাদশা জাহাঙ্গীরের সামনে উপস্থাপন করলেন স্যার টমাস রো।

১৬১৫-১৮ মুঘলরা ভারতে ব্রিটিশদের ব্যবসা করার ও কারখানা খোলার অনুমতি দিল।

১৬২৫ প্রথম জেমসের মৃত্যু, ইংল্যান্ডের রাজা হলেন প্রথম চার্লস।

১৬২৮ রক্তসঞ্চালন বিষয়ে গবেষণা প্রকাশ করলেন উইলিয়াম হার্ভে।

১৬২৯-৪০ ইংল্যান্ডে রাজা প্রথম চার্লসের ১১ বছরের স্বৈরাচার, সংসদের সাথে পরামর্শ ছাড়াই নিজের মর্জিমাফিক দেশ চালাচ্ছেন দেশটির রাজা।

১৬৩১ ওলন্দাজরা অ্যাঙ্গুইলায় একটা দুর্গ নির্মাণ করল।

১৬৩২-১৭২৩ মহান ইংরেজ স্থপতি ক্রিস্টোফার রেনের জীবনকাল।

১৬৩৩ স্পেনীয়রা অ্যাঙ্গুইলায় ওলন্দাজদের নির্মিত দুর্গ ধবংস করল।

১৬৪১-৪৫ ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধের বছর। যুদ্ধটি সংঘটিত হয় ক্যাভালিয়ের আর রাউন্ডহেডদের মধ্যে। ক্যাভালিয়েররা লড়ছিল রাজার পক্ষে, আর রাউন্ডহেডরা সংসদের।

১৬৪৩-১৭২৭ মহান ইংরেজ বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটনের জীবনকাল।

১৬৪৯ ইংল্যান্ডের যুদ্ধে হেরে গেলেন রাজা চার্লস। তিনিই দেশটির একমাত্র রাজা দেশদ্রোহের দায়ে অভিযুক্ত করে যাঁর শিরশ্ছেদ করা হয়। ইংল্যান্ডে সাময়িকভাবে রাজতন্ত্রের অবসান হল।

১৬৪৯-৬০ অলিভারের ক্রমওয়েলের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড এসময় একটি প্রজাতন্ত্র।

১৬৫০ অ্যাঙ্গুইলায় ইংরেজ উপনিবেশায়নের সূচনা।

১৬৫১ টমাস হবস, লেভিয়াথান

১৬৫২-৫৪ প্রথম ইঙ্গ-ওলন্দাজ যুদ্ধ

১৬৫৩ ইংল্যান্ডের লর্ড প্রটেক্টর হলেন অলিভার ক্রমওয়েল।

১৬৫৮ অলিভার ক্রমওয়েলের মৃত্যু, প্রজাতন্ত্রের নতুন প্রধান তাঁর পুত্র রিচার্ড ক্রমওয়েল।

১৬৫৯ রিচার্ড ক্রমওয়েলের পদত্যাগ।

১৬৬০ রেস্টোরেশন, দ্বিতীয় চার্লস ইংল্যান্ডে রাজতন্ত্র পুনর্বহাল করেন। এবছরই প্রতিষ্ঠা করা হয় রয়েল সোসাইটি।

১৬৬১ রবার্ট বয়েল, স্কেপটিকাল কেমিস্ট

১৬৬৫ ইংল্যান্ডে শেষবারের মত দেখা দিল বুবোনিক প্লেগ।

১৬৬৫-৬৭ দ্বিতীয় ইঙ্গ-ওলন্দাজ যুদ্ধ

১৬৬৬ লন্ডনের মহা অগ্নিকাণ্ড।

১৬৬৭ জন মিল্টন, প্যারাডাইস লস্ট

১৬৭০ হাডসন বে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হল।

১৬৭২-৭৪ তৃতীয় ইঙ্গ-ওলন্দাজ যুদ্ধ

১৬৭৩ ইংল্যান্ডে “টেস্ট অ্যাক্ট” পাশ, ক্যাথলিক এবং চার্চ অফ ইংল্যান্ডের আনুগত্য স্বীকার না করা ভিন্নমতাবলম্বীদের জন্য বন্ধ হয়ে গেল সরকারি চাকরির দরজা।

১৬৭৯ ইংল্যান্ডে “হেবিয়াস কর্পাস অ্যাক্ট” পাশ, বিনা বিচারে কাউকে আটক করা বেআইনি ঘোষণা করা হল।

১৬৮০-৮৯ অ্যাঙ্গুইলার চিনি প্ল্যান্টেশনে কাজ করছেন আফ্রিকান দাসেরা।

১৬৮২ স্থাপিত হল স্কটল্যান্ডের জাতীয় পাঠাগার।

১৬৯৫ স্থাপিত হল ব্যাংক অফ স্কটল্যান্ড।

১৬৮৭ আইজাক নিউটন, ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা

১৬৮৮ ইংল্যান্ডে “গ্লোরিয়াস রেভল্যুশন”। উৎখাত হয়ে যান ক্যাথলিক রাজা দ্বিতীয় চার্লস। এর ফলে ইংল্যান্ডের মসনদের ওপর ওলন্দাজ প্রোটেস্ট্যান্ট উইলিয়াম অফ অরেঞ্জের নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয়।

১৬৮৯ ইংল্যান্ডে পাশ হল “বিল অফ রাইটস”।

১৬৯৪ ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করা হল।

১৬৯৮ টমাস স্যাভারি প্রথম বাষ্পচালিত ইঞ্জিন আবিষ্কার করলেন।

১৭০১ অ্যাক্ট অফ সেটেলমেন্ট, ক্যাথলিক বা ক্যাথলিকদের সাথে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ কারো জন্য মসনদে আসীন হওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেল।

১৭০২ মাদ্রাজের প্রশাসক টমাস পিট চুরি করলেন পিট হীরক, এরপর তা ১ লক্ষ ৩৫ হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে ফ্রান্সের রাজপ্রতিনিধির কাছে বেচে দিলেন।

১৭০৭ অ্যাক্ট অফ ইউনিয়ন, স্কটল্যান্ড আর ইংল্যান্ড মিলে গঠিত হল যুক্তরাজ্য। ঠিক হল যুক্তরাজ্যের সংসদ বসবে ওয়েস্টমিনিস্টারে।

মার্চ ২৫ স্কটল্যান্ডের সংসদ নিজের বিলুপ্তির পক্ষে ভোট দিল।

১৭১১ সেইন্ট পলস ক্যাথেড্রালের নির্মাণ কাজ শেষ হল। স্কটীয় দার্শনিক ডেভিড হিউমের জন্ম।

১৭১৪ ইংল্যান্ডের রাজা হলেন প্রথম জর্জ।

১৭১৫ স্কটল্যান্ডে প্রথম জ্যাকোবাইট বিদ্রোহ।

১৭১৯ ড্যানিয়েল ডিফো, রবিনসন ক্রুসো

১৭২০ সাউথ সী বাবল

১৭২১ ব্রিটেনের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হলেন রবার্ট ওয়ালপোল।

১৭২৩-৯০ স্কটীয় অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথের জীবনকাল।

১৭২৩ ভারতে সফর করতে গিয়ে এক বণিক আবেস্তার একটি পাণ্ডুলিপি সাথে নিয়ে ব্রিটেনে ফিরলেন। ইওরোপীয়রা এই বইটির অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতে পারল। পাণ্ডুলিপিটি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বডলেইয়ান পাঠাগারে রাখা হল।

১৭২৭ প্রথম জর্জের মৃত্যু, ইংল্যান্ডের রাজা হলেন দ্বিতীয় জর্জ।

১৭২৯-৯৭ আইরিশ রাষ্ট্রনায়ক এডমুন্ড বার্কের জীবনকাল।

১৭৩৫ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেন ডাউনিং স্ট্রিটে চলে আসলেন।

১৭৩৮-৪০ ডেভিড হিউম, আ ট্রিটিজ অফ হিউম্যান ন্যাচার

১৭৪১-৪২ ডেভিড হিউম, এসেজ, মোরাল অ্যান্ড পলিটিকাল

১৭৪২ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রবার্ট ওয়ালপোল।

১৭৪৪ স্কটল্যান্ডে খোলা হল বিশ্বের প্রথম গলফ ক্লাব – দ্য অনারেবল কোম্পানি অফ এডিনবার্গ গলফার্স।

১৭৪৫ স্কটল্যান্ডে দ্বিতীয় জ্যাকোবাইট বিদ্রোহ।

১৭৪৬ কুলোডেনের সমরে জ্যাকোবাইট বিদ্রোহ দমন করা হল।

১৭৫০-৫৯ স্কটিশ আলোকায়নের শুরু।

১৭৫০-১৮৫০ ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব।

১৭৫২ ডেভিড হিউম, পলিটিকাল ডিসকোর্সেস

১৭৫৫ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বডলেইয়ান পাঠাগারে রাখা আবেস্তার পাণ্ডুলিপিটি আব্রাহাম হায়াসিন্থ আনকোতিল-দুপ্রে নামের এক ফরাসি পণ্ডিতের নজরে আসলো।

১৭৫৬-৬১ ডেভিড হিউম, হিস্ট্রি অফ ইংল্যান্ড

১৭৫৬-৬৩ ফ্রান্সের আর ব্রিটেনের মধ্যে সপ্তবর্ষীয় যুদ্ধ।

১৭৫৭-১৮২৭ ইংরেজ কবি ও চিত্রকর উইলিয়াম ব্লেকের জীবনকাল।

১৭৫৭ জুন ২৩ পলাশীর যুদ্ধে ব্রিটিশদের হাতে নবাব সিরাজুদ্দৌলার পরাজয়। মুর্শিদাবাদের নবাবির পতন। বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সূচনা।

১৭৫৯-৯৬ স্কটল্যান্ডের জাতীয় কবি রবার্ট বার্নসের জীবনকাল।

১৭৫৯ কুইবেকের দখল নিতে সমর্থ হলেন জেনারেল উলফ। নিজের প্রাণের বিনিময়ে। তাঁর এই জয় এটা নিশ্চিত করল যে, ক্যানাডা হবে ব্রিটেনের উপনিবেশ, ফ্রান্সের না।

১৭৫৯-৯৭ ব্রিটিশ লেখক ও নারীবাদী মেরি ওলস্টনক্র্যাফটের জীবনকাল।

১৭৬১ ব্রিটিশদের হাতে ভারতে ফরাসিদের রাজধানী পণ্ডিচেরির পতন। ব্রিজওয়াটার খালের উদ্বোধন।

১৭৬৫ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সাথে একটি বাণিজ্য চুক্তি করলেন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রশাসক রবার্ট ক্লাইভ। বাংলা, বিহার, ওড়িশার দেওয়ানি লাভ করল কোম্পানি। ভারতে কাগজে-কলমে মুঘল সাম্রাজ্য টিকে থাকলেও এসময় থেকেই কার্যত ব্রিটিশ শাসন শুরু হয়।

১৭৬৭ প্রথম ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ।*
* এই যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, মারাঠা, আর হায়দ্রাবাদের নিজামের সম্মিলিত বাহিনী মহীশূরের হায়দার আলীর কাছে পরাজিত।

১৭৬৮ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হল, এডিনবার্গে।

১৭৬৯ উন্নত বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের পেটেন্ট নিলেন জেমস ওয়াট।

১৭৭০ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর, কোম্পানির উপনিবেশিক নিষ্কাশনমূলক রাজস্বনীতির কারণে বাংলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে প্রায় এক কোটি মানুষ মারা যায়।

১৭৭১ জলশক্তি চালিত তাঁতযন্ত্রের প্রবর্তন ঘটালেন রিচার্ড আর্করাইট।

১৭৭৩ বাংলার আফিমের উৎপাদন ও বিক্রয়ের ওপর একচেটিয়া অধিকার লাভ করল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ব্রিটিশ সংসদে অনুমোদন পেল ভারত নিয়ন্ত্রণ আইন। ব্রিটিশ স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হল।

১৭৭৪ ব্রিটিশ ভারতের প্রথম গভর্নর-জেনারেল হলেন ওয়ারেন হেস্টিংস।

১৭৭৫-৮৪ প্রথম ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ

১৭৭৫-১৮১৭ ইংরেজ কথাসাহিত্যিক জেন অস্টিনের জন্ম।

১৭৭৬-১৮৩৭ ইংরেজ চিত্রকর জন কনস্টেবলের জীবনকাল।

১৭৭৬ অ্যাডাম স্মিথ, দ্য ওয়েলথ অফ নেশনস

১৭৭৯ ইংল্যান্ডের শ্রোপশায়ারে দুনিয়ার প্রথম লৌহনির্মিত সেতু নির্মিত হল।

১৭৮০ লন্ডনে ক্যাথলিকবিরোধী দাঙ্গার নেতৃত্ব দিলেন লর্ড জর্জ গর্ডন।

১৭৮০-৮৪ দ্বিতীয় ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ

১৭৮১ হায়দার আলীর ছেলে টিপু সুলতানের হাতে ব্রিটিশদের পরাজয়।

১৭৮৩ ব্রিটিশ আমেরিকার তেরোটি উপনিবেশকে স্বীকৃতি দিয়ে সদ্যস্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শান্তিচুক্তি সই করল ব্রিটেন।

১৭৮৪ উইলিয়াম পিটের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অ্যাক্ট, উদ্দেশ্য কোম্পানির রাশ টেনে ধরে সংসদীয় কর্তৃত্বের অধীনে আনা। আইনজীবী ও ভাষাবিজ্ঞানী স্যার উইলিয়াম জোনস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল কলকাতার রয়েল এশিয়াটিক সোসাইটি। যশোর ও খুলনার প্রথম প্রজাবিদ্রোহ।

১৭৮৫ বাষ্পচালিত ইঞ্জিন চালিত তাঁতযন্ত্র আবিষ্কার করলেন এডমুন্ড কার্টরাইট, তুলা উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেল।

১৭৮৬ ব্রিটিশ ভারতের দ্বিতীয় গভর্নর-জেনারেল হলেন লর্ড কর্নওয়ালিস। উইলিয়াম জোনস কর্তৃক ঘোষিত হল ইন্দো-ইওরোপীয় ভাষাপরিবার।

১৭৮৭-৯৫ ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর-জেনারেল থাকাকালীন সময়কার অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির দায়ে ব্রিটেনের সংসদে অভিশংসন বিচারের সম্মুখীন হলেন ওয়ারেন হেস্টিংস। এই বিচারে প্রজিকিউশনের নেতৃত্বে দেন এডমুন্ড বার্কে। বিচারের মূলে ছিল উপনিবেশবাদ বিষয়ে দুই দৃষ্টিভঙ্গি। হেস্টিংস ব্রিটিশদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পক্ষপাতী ছিলেন, আর বিশ্বাসী ছিলেন নিরঙ্কুশ ক্ষমতার চর্চায়। বার্কে মনে করতেন, উপনিবেশের জনগণের অধিকারের একটা স্বীকৃতি থাকা দরকার, সাম্রাজ্যিক ক্ষমতার চর্চারও একটা সীমা থাকা উচিত। বিচার শেষে অধিকাংশ অভিযোগ থেকে খালাস পান হেস্টিংস, সংখ্যাগুরুর ভোট তার পক্ষে যাওয়ায় অভিশংসন প্রচেষ্টা ব্যর্থ যায়। এটা ব্রিটেনের ইতিহাসের সবচে বিখ্যাত মামলাগুলার একটা।

১৭৮৭ ব্রিটেনের পোর্টসমাউথ থেকে দাগী আসামীদের প্রথম দলটি তৎকালীন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উপনিবেশ অস্ট্রেলিয়ায় এল।

১৭৮৮-১৮২৪ ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের জীবনকাল।

১৭৯০ এডমুন্ড বার্ক, রিফ্লেকশন অন দ্য রেভল্যুশন ইন ফ্রান্স
মেরি ওলস্টনক্র্যাফট, ভিন্ডিকেশন অফ দ্য রাইটস অফ মেন, ইন আ লেটার টু দ্য রাইট অনারেবল এডমুন্ড বার্ক; অকেশনড বাই হিজ রিফ্লেকশনস অন দ্য রেভল্যুশন ইন ফ্রান্স

১৭৯১-১৮৬৭ ইংরেজ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডের জীবনকাল।

১৭৯২ গ্যাসলাইট আবিষ্কৃত হল।

মেরি ওলস্টনক্র্যাফট, ভিন্ডিকেশন অফ দ্য রাইটস অফ উইমেন: উইথ স্ট্রিকচারস অন পলিটিকাল অ্যান্ড মোরাল সাবজেক্টস

১৭৯২-১৮২২ মহান ইংরেজ কবি পার্সি বিশি শেলির জীবনকাল।

১৭৯৩ লর্ড কর্নওয়ালিস কর্তৃক প্রবর্তিত হল চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। 

১৭৯৬ স্মলপক্সের টীকা আবিষ্কার করলেন ইংরেজ ডাক্তার এডওয়ার্ড জেনার।

মেরি ওলস্টনক্র্যাফট, লেটার্স রিটেন ডিউরিং আ শর্ট রেসিডেন্স ইন সুইডেন, নরওয়ে, অ্যান্ড ডেনমার্ক

১৭৯৮ ব্রিটিশ ভারতের তৃতীয় গভর্নর-জেনারেল হলেন লর্ড ওয়ালেসলি।

১৭৯৯ জানুয়ারি ৯ ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধের খরচ বহন করার উদ্দেশ্যে আয়কর প্রবর্তন করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম পিট দ্য ইয়ংগার।

চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধ। ৫ হাজার ব্রিটিশ সৈনিক মহীশূরের রাজা টিপু সুলতানের রাজধানী শ্রীরঙ্গপত্নম দখল করে নিল। শহিদ হলেন টিপু।

১৮০১-১৯০০ স্কটল্যান্ডে ব্যাপক মাত্রায় ঘটল শিল্পায়ন ও নগরায়ন।

১৮০১ দ্বাদশ শতাব্দী থেকে ইংল্যান্ডের দখলদারিত্বে থাকা আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যে যোগ দিল।

১৮০৩-৫ দ্বিতীয় ইঙ্গ-মারাঠা যুদ্ধ।*
* ব্রিটিশরা দিল্লি দখল করে নিল এবং ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করল।

১৮০৫ ট্রাফালগার সমর, ফরাসি আর স্পেনীয়দের একটি যৌথ নৌবহরকে পরাজিত করল ব্রিটেনের রাজকীয় নৌবাহিনী।

১৮০৬-৫৯ ব্রিটিশ পুরকৌশলী ইজামবার্ড কিংডম ব্রুনেলের জীবনকাল।

১৮০৬-৭৩ ইংরেজ দার্শনিক ও অর্থনীতিবিদ জন স্টুয়ার্ট মিলের জীবনকাল।

১৮০৭ মে ১ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে দাস বাণিজ্য বেআইনি ঘোষিত হল।

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জনৈক কর্মচারী জেমস প্রিন্সেপ প্রথমবারের মত সম্রাট অশোকের শিলালিপিগুলোর পাঠোদ্ধার করতে সমর্থ হলেন।

১৮০৯-৮২ ইংরেজ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের জীবনকাল।

১৮১২-৭০ ইংরেজ কথাসাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্সের জীবনকাল।

১৮১৩ ওয়েলিংটনের ডিউক ফরাসি সেনাবাহিনীকে স্পেনের ভিক্টোরিয়ার যুদ্ধে পরাস্ত করলেন।

এপ্রিল ২০ সতীদাহ নিষিদ্ধ করল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।*
* “একই সাথে সহমরণকে আইনীভাবে রিকগনাইজ করে। নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়, ১৬ বছরের নিচে বিধবা হলে, গর্ভবতী অবস্থায় হলে বা দুগ্ধপোষ্য শিশুর মা বিধবা–এনারা সহমরণে যেতে পারবে না; এবং নেশাদ্রব্য সেবন বা জোরারোপের মাধ্যমে স্বামীর চিতায় বিধবাকে পোড়ানো যাবে না; সহমরণের একমাত্র বৈধ উপায় বিধবার উইল; বিধবার ইচ্ছা ভিন্ন কোন উপায় নাই আর। বিধবার ‘উইল’ জিনিসটা এইখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ; ইংরেজ তথা ইউরোপীয় অনুমান ছিলো সহমরণ হয় না আসলে, ওইটা সতীদাহ।” (মনু ২০১৩)

১৮১৫ উইলিয়াম স্মিথ, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকাল সার্ভে

১৮১৮ মেরি শেলি, ফ্রাঙ্কেনস্টাইন; অর, দ্য মডার্ন প্রমিথিউস

১৮১৯ পিটারলু হত্যাযজ্ঞে ১১ জন শ্রমজীবী মানুষের মৃত্যু।

১৮২০ তৃতীয় জর্জের মৃত্যু, যুক্তরাজ্যের রাজা হলেন চতুর্থ জর্জ।

১৮২৫ স্টকহন আর ডার্লিংটনের মধ্যে দুনিয়ার প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের রেলরাস্তা চালু হল। অ্যাঙ্গুইলাকে নিকটস্থ সেইন্ট কিটসের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে আনা হল। ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ থেকে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় শ্রমিক রিইউনিয়ন ও মরিশাসে অভিবাসিত হলেন।

১৮২৬ এডিনবার্গ আর ডালকেইথের মধ্যে স্কটল্যান্ডের প্রথম রেলরাস্তা চালু করা হল।

১৮২৮ ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর-জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক।

১৮২৯ ব্রিটেনে “রোমান ক্যাথলিক রিলিফ অ্যাক্ট” পাশ হল, যা ক্যাথলিকদেরকে নাগরিক অধিকার প্রদান করল। প্রথম আধুনিক পুলিশ বাহিনী গঠন করলেন ব্রিটিশ রক্ষণশীল রাজনীতিক স্যার রবার্ট পিল।

১৮৩০-৩৯ গ্লাসগোর নিকটবর্তী ক্লাইডসাইড যুক্তরাজ্যের জাহাজনির্মাণ শিল্পের কেন্দ্রে পরিণত হল।

১৮৩০ চতুর্থ জর্জের মৃত্যু, যুক্তরাজ্যের রাজা হলেন চতুর্থ উইলিয়াম।

১৮৩১ ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন বারাসাতের মীর নিসার আলি। ইতিহাসে যিনি তিতুমীর নামেই অমর হয়ে আছেন। ব্রিটিশরা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা কামান দেগে উড়িয়ে দেয়। শহিদ হন তিতুমীর। তাঁর অনুসারীদের ১৪০ জনকে প্রহসনের বিচারের পর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। তিতুমীরের ভাগ্নে ও সেনাপতি গোলাম মাসুমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। মাসুমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ধবংসপ্রাপ্ত বাঁশের কেল্লার সামনে তাঁকে ফাঁসি দেয়ার মাধ্যমে।

১৮৩২ ব্রিটেনে “দ্য গ্রেট রিফর্ম অ্যাক্ট পাশ” হল। এই আইনের ফলে ব্রিটিশ পুরুষদের ভোটাধিকারের সীমা সম্প্রসারিত হল। সংসদীয় আসনগুলো অপেক্ষাকৃত ন্যায্যভাবে বিতরণ করা হল।

১৮৩২-৯৮ ইংরেজ লেখক চার্লস লুটউইগ ডজসনের জীবনকাল।*
* ইতিহাসে তিনি লুইস ক্যারল নামেই বেশি পরিচিত।

১৮৩৩ আগস্ট ২৮ দাসপ্রথার বিলোপসাধন আইন। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য জুড়ে দাসপ্রথার সম্পূর্ণ বিলোপসাধন। ১৮৩৪ সালের ১ আগস্ট থেকে বলবৎ হয়।

সনদ আইন, ব্রিটিশ সংসদে এই আইন পাশ হওয়ার মধ্য দিয়ে উপমহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসায়িক তৎপরতার আইনী অবসান ঘটল।

১৮৩৪-৯৬ ব্রিটিশ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উইলিয়াম মরিসের জীবনকাল।

১৮৩৫ ব্রিটিশ ভারতে পশ্চিমা শিক্ষা বিস্তারের পক্ষে ম্যাকলের মিনিট। ইংলিশ এডুকেশন অ্যাক্ট। ফারসির বদলে ইংরেজিকে দাপ্তরিক ও দরবারি ভাষার মর্যাদা দেয়া হল।

ব্রিটেনে বুল বেইটিং নামের ‘খেলা’ নিষিদ্ধ হল।*
* খুঁটির সাথে একটি ষাঁড়কে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হত, এরপর তার ওপর প্রশিক্ষিত কুকুর লেলিয়ে দেয়া হত।

মরিশাসে ১৯ হাজার শর্তাবদ্ধ ভারতীয় শ্রমিকের আগমন।

১৮৩৭ চতুর্থ উইলিয়ামের মৃত্যু, যুক্তরাজ্যের রানী হলেন ভিক্টোরিয়া।

১৮৩৭-১৯০১ রানী ভিক্টোরিয়ার রাজত্ব। এসময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য দুনিয়াজোড়া বিস্তৃতি লাভ করে। ভিক্টোরিয়ান মেন্টালিটি রক্ষণশীল মূল্যবোধের সমার্থক হয়ে আছে।

১৮৩৮ ব্রিটিশ ভারতে উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে হাজী শরিয়তুল্লার নেতৃত্বে শুরু হল ফরায়েজি আন্দোলন।

১৮৩৯ ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সমালোচনা করলেন ধর্মপ্রচারক উইলিয়াম হাউইট।

১৮৪০-১৯২৮ ইংরেজ কথাসাহিত্যিক টমাস হার্ডির জীবনকাল।

১৮৪২ ব্রিটেনে ভূগর্ভস্থ খনির কাজে নারী আর শিশুদেরকে নিয়োগ দেয়া নিষিদ্ধ করে আইন পাশ হল।

১৮৪৩ ব্রিটিশরা সিন্ধু প্রদেশ দখল করে নিল। ডক্ট্রিন অফ ল্যাপস। কোন দেশীয় রাজা ওয়ারিশ না রেখে মারা গেলে তার রাজ্য গ্রাস করে নেয়ার আইন বানানো হল।

চার্লস ডিকেন্স, আ ক্রিসমাস ক্যারল

১৮৪৫-৪৬ প্রথম ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ

১৮৪৭-১৯২২ স্কটিশ আবিষ্কারক আলেকজান্দার গ্রাহাম বেলের জীবনকাল।

১৮৪৭ ব্রিটেনে টেক্সটাইল কারখানাগুলোয় নারী ও শিশুদেরকে দৈনিক ১০ ঘন্টার বেশি কর্মরত রাখা নিষিদ্ধ করে আইন পাশ হল।

ব্রিটিশ ভারতে ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা হাজী শরিয়তুল্লার ছেলে দুদু মিয়া ও তাঁর অনুসারীদের বিচার শুরু হল। এই প্রহসনের বিচারে তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হন এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা লাভ করেন। কিন্তু রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আপিল করলে পূর্ববর্তী রায় বাতিল হয়ে যায় এবং দুদু মিয়া ও তাঁর অনুসারীরা মুক্তি লাভ করেন।

১৮৪৮-৪৯ দ্বিতীয় ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধ

শার্লোট ব্রন্ট, জেন আইয়ার

১৮৪৮ ব্রিটিশ নগরগুলোতে কলেরা মহামারী আকারে দেখা দিল। প্রতিক্রিয়ায় পাশ করা হল পাবলিক হেলথ অ্যাক্ট।

১৮৪৯-১৮৫৬ বাংলা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, আর আওধের প্রিন্সলি স্টেটগুলো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন গভর্নর-জেনারেল লর্ড ডালহৌসি।

১৮৫১ দ্য গ্রেট এক্সিবিশন

১৮৫৩-৫৬ ক্রিমিয়া যুদ্ধ।

১৮৫৬ কাঁচা লোহাকে ইস্পাতে রূপান্তরিত করার একটা পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন হেনরি বেসেমার।

১৮৫৭ মহাবিদ্রোহ, দিল্লির সেপাইরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করল। দ্রুত ব্রিটিশ ভারতের সর্বত্র বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ল।*
* এই বিদ্রোহ শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরের নামে হলেও কার্যত এর কোনো একক কেন্দ্র বা নেতৃত্ব ছিল না, সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে যে যার মত লড়েছেন। মহাবিদ্রোহের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব – প্রিন্স আজিমুল্লাহ, নানাসাহেব, ঝাঁসির রানী লক্ষী বাঈ। এই বিদ্রোহ ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশদের তাড়াতে সক্ষম না হলেও সাম্রাজ্যকে ধাক্কা দিয়েছিল, পরের বছর কোম্পানি বিলুপ্তি করে দিয়ে ভারতবর্ষকে ব্রিটিশ রাজমুকুটের অধীনস্ত করার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যতে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পুনরাবৃত্তি রোখা।

১১ মে বিহীরা দিল্লি দখল করে নিল।

১৪ সেপ্টেম্বর বিদ্রোহীদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা ছিনিয়ে নিল দিল্লি।

২১ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফরের সিংহাসন। ৩৩১ বছর বয়সী মুঘল সাম্রাজ্যের অবসান।**
** ব্রিটিশ ঐতিহাসিক রিচার্ড এম. ইটন দিল্লি সালতানাত আর মুঘল সাম্রাজ্যের ছয়শো বছরকে বলেছেন পার্সিয়ানাত: ফারসি ভাষার সাম্রাজ্য। ১৮৫৭ সালের আগ পর্যন্ত ভারত – গ্রিকে ইন্ডিয়া আর ফারসিতে হিন্দুস্তান – স্রেফ একটা geographical territory ছিল, রাষ্ট্র নয়। ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলেই ভারত কেন্দ্রীভূত কর্তৃত্ববাদী প্রতিষ্ঠান অর্থে রাষ্ট্র হয়ে ওঠে, ১৯৪৭ সালের আজাদ পাকিস্তান ও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের আজাদ বাংলাদেশ একই উপনিবেশিক আইনি-প্রশাসনিক উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে।

কলকাতা, বোম্বে, ও মাদ্রাজে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হল।

১৮৫৮ সিপাহি যুদ্ধের কারণে ব্রিটিশ রাজপরিবার বুঝতে পারে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ব্রিটেনের জন্য একটা বোঝায় পরিণত হচ্ছে। খোদ ব্রিটেনে কোম্পানির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠছিল।

নভেম্বর ১ রানী ভিক্টোরিয়া ভারত শাসনের দায়ভার ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে নিজের হাতে তুলে নিলেন; ব্রিটিশ সংসদে লর্ড স্ট্যানলির আনা ভারত বিল পাশের মধ্য দিয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। ভারতবর্ষকে ব্রিটিশ রাজমুকুটের অধীনে আনা হয়। এই শতকের শেষাবধি, ভারতবর্ষের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভূখণ্ডে রাজ করে ব্রিটিশরা।* স্যার সৈয়দ আহমদ খান মুসলমান সমাজের ব্রিটিশ কৃষ্টিকালচার গ্রহণ করে নেয়ার ও ইসলামের সংস্কারের পক্ষে কলম ধরলেন।
* বাকি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ থাকে প্রিন্সলি স্টেটগুলোর দখলে। ১৯৪৭ সাল নাগাদ এরকম ৫০০-৬০০ প্রিন্সলি স্টেট ছিল, যাদের শাসকরা ব্রিটিশদের সাথে বোঝাপড়ার মাধ্যমে, আধা-স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতেন। ১৯৪৭-৪৯ সালে অধিকাংশ প্রিন্সলি স্টেট ভারতে ও অল্প কয়েকটি পাকিস্তানে যোগদান করে; অবশ্য জম্মু ও কাশ্মির, জুনাগড় এবং হায়দারাবাদের মত কয়েকটি প্রিন্সলি স্টেট নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়।

ভারতীয়দের সিভিল সার্ভিসে যোগদানের অধিকার দেয়া হল।

১৮৫৯ চার্লস ডারউইন, অরিজিন অফ স্পেসিস
জন স্টুয়ার্ট মিল, অন লিবার্টি

১৮৬৩ লন্ডনের প্রথম পাতাল রেল চালু হল।

১৮৬৫ এন্টিসেপটিক শল্যচিকিৎসা চালু করলেন ব্রিটিশ শল্যচিকিৎসক জোসেফ লিস্টার। গঠিত হল দ্য স্যালভেশন আর্মি।

লুইস ক্যারল, এলিস’ এডভেঞ্চার ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড

১৮৬৭ ব্রিটেনে পাশ হল “সেকেন্ড রিফর্ম অ্যাক্ট”, ফলে ব্রিটিশ পুরুষদের ভোটাধিকারের সীমা আরেকটু বাড়ল।

১৮৬৮ অনুষ্ঠিত হল ব্রিটেনের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস।

১৮৬৯ জন স্টুয়ার্ট মিল, দ্য সাবজেকশন অফ উইমেন

১৮৭০ ব্রিটেনে পাশ হল “দ্য এডুকেশন অ্যাক্ট”, এর মধ্য দিয়ে শিক্ষায় সকলের অধিকার স্বীকার করে নেয়া হল।

১৮৭১ ব্রিটেনে “ব্যাংক হলিডে অ্যাক্ট” পাশ করা হল। ব্রিটিশ ডিপেন্ডেন্সি হিসেবে সেইন্ট কিটস, নেভিস, ও অ্যাঙ্গুইলাকে ঐক্যবদ্ধ করা হল।

১৮৭২ ব্রিটেনের নির্বাচনে গোপন ব্যালট প্রথা প্রবর্তিত হল। দেশটিতে “সেকেন্ড পাবলিক হেলথ অ্যাক্ট” পাশ হল।

ব্রিটিশ ভারতের প্রথম জরিপ।

১৮৭৪-১৯৩৬ ইংরেজ লেখক গিলবার্ট কেইথ চেস্টারটনের জীবনকাল।

১৮৭৫ ব্রিটেনে “থার্ড পাবলিক হেলথ অ্যাক্ট” পাশ হল।

১৮৭৬-৭৭ ভাইসরয় লর্ড লিটনের দায়ে বড় আকারের দুর্ভিক্ষ।

১৮৭৭ জানুয়ারি ১ মহারানী ভিক্টোরিয়াকে ভারতবর্ষের সম্রাজ্ঞী ঘোষণা করা হল।

১৮৭৮ ব্রিটিশ ভারতে পাশ হল দুটি নিবর্তনমূলক আইন: ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট আর আর্মস অ্যাক্ট

১৮৮১-১৯৫৫ স্কটিশ চিকিৎসক স্যার উইলিয়াম ফ্লেমিংয়ের জীবনকাল।

১৮৮২-১৯৪১ ইংরেজ কথাসাহিত্যিক ভার্জিনিয়া উলফের জীবনকাল।

১৮৮২-১৯৬০ ইংরেজ নারীবাদী ও সমাজতন্ত্রী এস্তেল সিলভিয়া পাংকহার্স্টের জীবনকাল।

১৮৮৪ ব্রিটেনে পাশ হল “থার্ড রিফর্ম অ্যাক্ট”, ফলে ব্রিটিশ পুরুষদের ভোটাধিকারের সীমা আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পেল।

১৮৮৫ ইম্পেরিয়াল সিভিল সার্ভিস, পরবর্তীতে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তা, অ্যালান অক্টাভিয়াম হিউম কর্তৃক ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) প্রতিষ্ঠিত।

১৮৮৮-৮৯ ব্রিটেনের দেশলাই কারখানাগুলোর নারী শ্রমিকদের সফল ধর্মঘট। গ্যাস শ্রমিকদের সফল ধর্মঘট। লন্ডনের ডক শ্রমিকদের সফল ধর্মঘট।

১৮৮৯-১৯৭৫ ইংরেজ ঐতিহাসিক আর্নল্ড জোসেফ টয়েনবির জীবনকাল।

১৮৯০-১৯৩৯ তীব্র খরা, অর্থনৈতিক স্থবিরতা, আর ১৯৩০য়ের দশকের মহামন্দার কারণে বহু অ্যাঙ্গুইলীয় বিদেশে অভিবাসিত হলেন।

১৮৯০ লন্ডনে প্রথম বিদ্যুৎচালিত পাতাল রেল চালু হল। স্কটল্যান্ডের কুইন্সফেরিতে ফোর্থ নদীর মোহনায় একটি সেতু নির্মিত হল।

উইলিয়াম মরিস, নিউজ ফ্রম নোহোয়ার

১৮৯১ এইজ অফ কনসেন্ট বিল। বাংলা আর মহারাষ্ট্রের হিন্দুদের বিরোধিতার মুখে স্ট্যাচুয়েটরি রেপের বয়সসীমা ১০ থেকে ১২ করল ব্রিটিশ ভারতের উপনিবেশিক সরকার। 

১৮৯২-১৯৮২ ব্রিটিশ ঐতিহাসিক ও কূটনীতিক এডওয়ার্ড হ্যালেট কারের জীবনকাল।

১৮৯২ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট। ব্রিটিশ ভারতের বাংলা, বোম্বে, আর মাদ্রাজের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলোর প্রতিনিধিদের অপ্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত করার আইন পাশ হল। ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আইসিএস) পরীক্ষায় বসার বয়স বাড়িয়ে ২৩ করা হল।

১৮৯৭ ভারতে একটি বড় মাপের দুর্ভিক্ষ চলাকালীন সময়ে রানী ভিক্টোরিয়ার হীরক জয়ন্তী উদযাপিত হল।

১৮৯৯-১৯০২ দক্ষিণ আফ্রিকার বুয়র যুদ্ধ।*
* বুয়র বলতে সেখানকার শ্বেতাঙ্গ বসতি স্থাপনকারীদেরকে বোঝায়।

১৯০০ ব্রিটেনে এ সময় ভারত থেকে ১৩৭ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থমূল্যের চা রফতানি হচ্ছে।

১৯০১ ভারতের প্রথম এথনোগ্রাফিক জরিপ পরিচালনা করলেন হার্বার্ট রিজলি। রানী ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু। যুক্তরাজ্যের রাজা হলেন সপ্তম এডওয়ার্ড।

১৯০৩ লর্ড কার্জনের দিল্লি দরবার

১৯০৪ ফ্রান্সের সাথে আঁতাত চুক্তি সই করল ব্রিটেন।*
* আঁতাত মানে বন্ধুত্বপূর্ণ বোঝাপড়া।

১৯০৫ অক্টোবর ১৬ ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসকরা বঙ্গভঙ্গ ঘোষণা করলেন, উদ্দেশ্য ছিল পূর্ববঙ্গ ও আসাম নিয়ে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ গঠন করা। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে শুরু হল স্বদেশী আন্দোলন। লর্ড কার্জনের পদত্যাগ।

১৯০৬-৯০ ব্রিটিশ ঐতিহাসিক অ্যালান জন পার্সিভাল টেইলরের জীবনকাল।

১৯০৬ ডিসেম্বর ৩০ ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হল নিখিল ভারত মুসলিম লীগ (এআইএমএল)।

১৯০৮ কেনেথ গ্রাহাম, দ্য উইন্ড ইন দ্য উইলস

১৯১০ সপ্তম এডওয়ার্ডের মৃত্যু, যুক্তরাজ্যের রাজা হলেন পঞ্চম জর্জ।

১৯১১ ব্রিটেন “ন্যাশনাল ইনশিওরেন্স অ্যাক্ট” পাশ করা হল। এর ফলে শ্রমজীবী মানুষদের একাংশ বেকারত্ব সুবিধা ও বেতন ভাতা লাভের অধিকারী হলেন। “পার্লামেন্ট অ্যাক্ট” হাউজ অফ লর্ডসের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে কমাল।

ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম জর্জের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষ্যে দিল্লিতে শেষবারের মত বসান হল দিল্লি দরবার। রাজধানী কলকাতা থেকে সরিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হল। বঙ্গভঙ্গ রদ করা হল।

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

১৯১৪ মুসলিম লীগ ক্রমেই ব্রিটিশবিরোধী অবস্থান নিতে শুরু করায় সংগঠনটির প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আগা খান।

১৯১৭-২০১২ ব্রিটিশ ঐতিহাসিক এরিক হবসবমের জীবনকাল।

১৯১৯ মন্টেগু-চেমসফোর্ড শাসন সংস্কার। অমৃতসরের কসাই রেজিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড।

১৯২২ প্রতিষ্ঠিত হল ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি)।

১৯২৪-৯৩ ইংরেজ ঐতিহাসিক এডওয়ার্ড থমসন পামারের জীবনকাল।

১৯২৬ এ. এ. মিলনি, উইনি দ্য পুহ

১৯২৮ ব্রিটেনে সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রবর্তন করা হল। ২১ বছর বয়সের বেশি সকল নারী ও পুরুষদেরকে ভোটাধিকার দেয়া হল। ভোটাধিকারের জন্য ব্রিটিশ নারীদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক লড়াই সাফল্যের মুখ দেখল।

১৯২৯ ভার্জিনিয়া উলফ, আ রুম অফ ওয়ান’স অউন

১৯৩০ ফ্রাঙ্ক হুইটল কর্তৃক আবিষ্কৃত হল জেট হুইটল।

১৯৩২ কবছর আগের ওয়াল স্ট্রিট ক্রাশের প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেনে বেকারত্ব বাড়তে শুরু করে, এবছর তা ২২.৮ শতাংশে এসে ঠেকে।

১৯৩৪ আর্নল্ড জোসেফ টয়েনবি, আ স্টাডি অফ হিস্ট্রি

১৯৩৫ ভারত শাসন আইন।*
* ভারতে একটি ফেডারেটেড সরকার প্রতিষ্ঠা করা হল। কেন্দ্রের শাসনভার থাকল ব্রিটিশ ভারতের উপনিবেশিক শাসকদের হাতে, আর প্রদেশগুলোর শাসনভার অর্পিত হল নির্বাচিত ভারতীয় কর্মকর্তাদের হাতে। ১৯৪৭ সালে ভারত আর পাকিস্তান ‘আজাদ’ হলেও, এই উত্তরউপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলো উপনিবেশের ছায়া থেকে বেরোতে পারে নি, তাদের আইনী কাঠামোর ভিত্তি রয়ে গেছে উপনিবেশিক আমলের ভারত শাসন আইন।

১৯৩৬ ব্রিটেনে টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হল।

১৯৩৭ ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারতের প্রথম ‘গণতান্ত্রিক’ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। এই নির্বাচনে ব্রিটিশ ভারতের এগারোটি প্রদেশের আটটিতে জেতে ও প্রাদেশিক সরকার গঠন করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি)। মুসলিম লীগ প্রাদেশিক নির্বাচনগুলোতে জিতে সরকার গঠনে ব্যর্থ হলেও কংগ্রেসি রাজনীতিকরা মুসলিম লীগের রাজনীতিকদেরকে কিছু ছাড় দেন।

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৩৯ এডওয়ার্ড হ্যালেট কার, দ্য টোয়েন্টি ইয়ার্স’ ক্রাইসিস, ১৯১৯-৩৯: অ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু দ্য স্টাডি অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস

১৯৪০ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন রক্ষণশীল দলের উইনস্টন চার্চিল।

১৯৪০ মার্চ ২৩ লাহোর প্রস্তাব, ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশনে মুসলমান-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে কয়েকটি মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা দাবি গৃহীত হল।*
* শুরুতে অখণ্ড পাকিস্তানের প্রস্তাব তোলা হয়নি, অখণ্ড পাকিস্তানের দাবি আরো পরে উঠেছে। তবে এসময়ই জিন্নাহ দ্বিজাতি তত্ত্ব প্রদান করেন। এই তত্ত্ব অনুসারে, হিন্দু আর মুসলমানরা স্রেফ সম্প্রদায়গতভাবেই পৃথক নন, তারা স্বকীয় বৈশিষ্ট্য ধারণা করা দুটি জাতি।

১৯৪২-২০১৮ ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের জীবনকাল।

১৯৪২ ব্রিটেনে “বেভেরিজ প্রতিবেদন” প্রকাশিত হল, এতে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের রূপরেখা পেশ করা হল।

ভারতে আপোস প্রস্তাব নিয়ে ক্রিপস মিশনের আগমন। এই মিশন থেকে প্রস্তাব রাখা হল, বিশ্বযুদ্ধের পরে ভারতকে ডমিনিয়ন স্ট্যাটাস দেয়া হবে। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল আইএনসি, কংগ্রেস নেতাদের কারাবরণ।

এপ্রিল গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হল ভারত ছাড়ো আন্দোলন।

জুলাই ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে বৈধতা প্রদান করা হল।

আগস্ট: গান্ধী গ্রেপ্তার, আইএনসির কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হল।

সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অক্ষশক্তির সাথে হাত মেলালেন। তাঁর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ) বার্মায় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হল। আইএনএ ও সাম্রাজ্যিক জাপানের হাতে সিঙ্গাপুরের পতন।

১৯৪৩ তেতাল্লিশের মন্বন্তর, চার্চিলের উপনিবেশিক বর্ণবাদী নীতির ফলে বাংলায় দুর্ভিক্ষ। চলল ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত। এর মধ্যে না খেতে পেয়ে মারা যান ৩৫ লক্ষ মানুষ।*
* দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসিদের পরাস্ত করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় যুদ্ধনায়ক বিবেচিত হন উইনস্টন চার্চিল, আর সেটা ন্যায্যও বটে। কিন্তু ফসলে উদ্বৃত্ত বাংলায় ভাতের কষ্ট পেয়ে মারা যাওয়া ৩৫ লক্ষ বাঙালির চোখে তিনি নায়ক ছিলেন না। ইতিহাসে নায়ক আর খলনায়কদের বিচারটা খুবই আপেক্ষিক।

১৯৪৪ ব্রিটেনে স্কুল ব্যবস্থার সংস্কারকল্পে “বাটলার এডুকেশন অ্যাক্ট” পাশ হল।

১৯৪৫-৫১ ইংল্যান্ডে কল্যাণমূলক অর্থনীতির কাল, এ সময় থেকেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্য আস্তে আস্তে ভেঙে পড়তে থাকে।

১৯৪৫ ব্রিটিশ ভারতের কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনগুলোতে মুসলমান-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে মুসলমানদের একটি স্বতন্ত্র আবাসভূমির দাবিতে প্রচারণা চালাল মুসলিম লীগ।* প্রায় সবকটি মুসলিম আসনে মুসলিম লীগ জিতল। অমুসলিম আসনগুলোর ৯১ শতাংশ জিতল আইএনসি।
* এ সময় থেকেই অখণ্ড পাকিস্তানের ধারণা সংহত হয়।

কংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হল। লর্ড ওয়াভেলের সিমলা সম্মেলন।

জর্জ অরওয়েল, এনিমেল ফার্ম

১৯৪৬ ব্রিটিশ ভারতে কেবিনেট মিশনের আগমন। কিন্তু ভবিষ্যৎ ভারত সরকারের শাসনতান্ত্রিক কাঠামোর ব্যাপারে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (আইএনসি) ও মুসলিম লীগের নেতারা একমত হতে না পারায় মিশন ব্যর্থ হল।

ফেব্রুয়ারি ১৮-২৩ বোম্বেতে বিদ্রোহ করলেন রাজকীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা।

১৯৪৭ ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় হলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন।

জুলাই ৩ তিনি ব্রিটিশ ভারতকে দুটি আলাদা ডমিনিয়নে পার্টিশনড করার একটা চূড়ান্ত পরিকল্পনা হাজির করলেন। ব্রিটিশ ভারতেরপার্টিশন

আগস্ট ১৪, মধ্যরাত ব্রিটিশ ভারতের অবসান।
আগস্ট ১৭ পার্টিশন বাউন্ডারি ঘোষণা করা হল। বাউন্ডারি কমিশন প্রধান সীরিল র‍্যাডক্লিফ কর্তৃক ব্রিটিশ ভারত ভাগ হল। জন্ম নিল ভারত ও পাকিস্তান নামের দুটি রাষ্ট্র। হিন্দু, মুসলমান, ও শিখদের আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতা। ২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু। গৃহহীন হলেন ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ।

১৯৪৮ প্রতিষ্ঠিত হল ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচসি)।

১৯৪৯ জর্জ অরওয়েল, ১৯৮৪

১৯৪৯-২০১১ ইংরেজ সাংবাদিক ক্রিস্টোফার এরিক হিচেন্সের জীবনকাল।

১৯৫০ জর্জ অরওয়েলের মৃত্যু।

প্রকাশিত হতে শুরু করল এডওয়ার্ড হ্যালেট কারের বহু বালামের বই আ হিস্ট্রি অফ সোভিয়েত রাশিয়া

১৯৫১ ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করল রক্ষণশীল দল।

১৯৫২ ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যু। রানী হলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। অ্যাঙ্গুইলীয়দের পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার দেয়া হল।

১৯৫৩ দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজ্যাভিষেক।

১৯৫৫ ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করল রক্ষণশীল দল।

১৯৫৬ মিসরে সুয়েজ সংকটে ব্রিটেন প্রথমে সেনা পাঠালেও পরে সে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। এই ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয়, যুদ্ধোত্তর দুনিয়ায় ব্রিটেনের ক্ষমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। ক্যাল্ডার হলে দেশটির প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হল।

১৯৫৮-৬২ সাময়িকভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফেডারেশনে যোগ দিল অ্যাঙ্গুইলা।

১৯৫৯ ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করল রক্ষণশীল দল। এক জরিপে দেখা গেল, ব্রিটেনের ৩২ শতাংশ খানা একটি ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে।

১৯৬০ ব্রিটেন একটি সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত হয়েছে, এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশটির ৪৪ শতাংশ খানা ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করে।

১৯৬১ এডওয়ার্ড হ্যালেট কার, হোয়াট ইজ হিষ্ট্রি?
অ্যালান জন পার্সিভাল টেইলর, দ্য অরিজিনস অফ দ্য সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার

১৯৬২ এরিক হবসবম, দ্য এইজ অফ রেভল্যুশন: ১৭৮৯-১৮৪৮

১৯৬৩ ব্রিটেনে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী টিভি সিরিজ ডক্টর হু‘র সম্প্রচার শুরু হল।

এডওয়ার্ড থমসন পামার, দ্য মেকিং অফ দ্য ইংলিশ ওয়ার্কিং ক্লাস

১৯৬৪ ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করল শ্রমিক দল। প্রধানমন্ত্রী হলেন হ্যারল্ড উইলসন। এক জরিপে দেখা গেল, দেশটির ৯০ শতাংশ খানায় একটি টেলিভিশন আছে। টেলিভিশনই দেশটির প্রধান বিনোদনমাধ্যমে পরিণত হয়েছে। বিবিসি টু সম্প্রচার শুরু করল। ব্রিটেনে এবছরই শেষবার কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

১৯৬৫ অ্যালান জন পার্সিভাল টেইলর, ইংলিশ হিস্ট্রি ১৯১৪-৪৫

১৯৬৬ ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করল শ্রমিক দল।

১৯৬৭ ব্রিটেনে রঙিন টেলিভিশনের কাল শুরু হল। অ্যাঙ্গুইলা সেইন্ট কিটস-নেভিস-অ্যাঙ্গুইলা নামের সংযুক্ত রাষ্ট্রের অংশ হয়ে গেল।

রবার্ট হোয়াইট, আ শর্ট হিস্ট্রি অফ ইংল্যান্ড

১৯৬৭-৭১ সেইন্ট কিটস ও নেভিসের সাথে অ্যাঙ্গুইলার বিবাদের বছরসমূহ।

১৯৬৯ অ্যাঙ্গুইলা একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে বসল। যুক্তরাজ্য “শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে” ৩০০ জন সেনাপুলিশ পাঠায়, যারা কোন প্রতিরোধের সম্মুখীন হননি। এটা যুক্তরাজ্যের জন্য একটা পিআর বিপর্যয় ছিল।

এ বছর ব্রিটেনে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তভাবে বিলুপ্ত করা হয়।

এরিক হবসবম, ব্যান্ডিটস

১৯৭০ ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করল রক্ষণশীল দল। প্রধানমন্ত্রী হলেন এডওয়ার্থ হিথ। দেশটিতে ভোটদানের উপযুক্ততার বয়স ২১ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হল।

১৯৭১ অ্যাঙ্গুইলাকে ব্রিটেনের প্রত্যক্ষ শাসনের অধীনস্ত করা হল।

১৯৭৩ ইওরোপীয় ইকোনমিক কমিউনিটিতে (ইইসি) যোগদান করল ব্রিটেন। সংবিধান বিষয়ক একটি রাজকীয় কমিশন স্কটল্যান্ডের ক্ষমতা স্কটীয়দের কাছে হস্তান্তরিত করার সুপারিশ করল।

১৯৭৪ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন হ্যারল্ড উইলসন।

১৯৭৫ উত্তর সাগর থেকে পাওয়া তেল প্রথমবারের মত পাইপে করে পিটারহেডে আনা হল।

এরিক হবসবম, দ্য এইজ অফ ক্যাপিটাল: ১৮৪৮-৭৫

১৯৭৬ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন হ্যারল্ড উইলসন।

১৯৭৯ ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করল রক্ষণশীল দল। দেশটির প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন মার্গারেট থ্যাচার। থ্যাচারের নেতৃত্বে ব্রিটিশ অর্থনীতির নয়াউদারীকরণ শুরু হল।

১৯৮০ ব্রিটেনে মন্দাবস্থায় প্রবেশ করল। হুহু করে বেড়ে গেল বেকারের সংখ্যা। ২০ লক্ষে পৌঁছাল।

অ্যাঙ্গুইলা আনুষ্ঠানিকভাবে সেইন্ট কিটস ও নেভিস থেকে বেরিয়ে এল। ব্রিটেনের একটি মুকুট উপনিবেশে পরিণত হল। বর্তমান এটি ব্রিটেনের একটি ওভারসিজ টেরিটোরি।

১৯৮২ ব্রিটেন ও আর্জেন্টিনার মধ্যে ৭৪ দিনের ফকল্যান্ড যুদ্ধ। যুদ্ধে আর্জেন্টিনা হেরে যায়। ব্রিটেনে চ্যানেল ফোরের সম্প্রচার শুরু হল।

অ্যান্টনি জেমস বিভার, দ্য স্প্যানিশ সিভিল ওয়ার

১৯৮৬ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য সাইট হিসেবে স্বীকৃতি পেল স্টোনহেঞ্জ। ব্রিটেনে বেকারত্বের হার চরমে পৌঁছাল। আনুষ্ঠানিক হিসাবেই ১৪.১%।

১৯৮৭ ব্রিটেনের রাষ্ট্রায়ত্ত স্কুলগুলোতে দৈহিক শাস্তিপ্রদানের অবসান ঘটল।

এরিক হবসবম, দ্য এইজ অফ এম্পায়ার: ১৮৭৫-১৯১৪

১৯৯০ মার্গারেট থ্যাচার ক্ষমতাচ্যুত, নতুন প্রধানমন্ত্রী জন মেজর। ব্রিটেনে মন্দার সূচনা। বেকারত্বের হার তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করল।

অ্যালেক্স থিওডোর ক্যালিনিকস, ট্রটস্কিজম

১৯৯১ অ্যালেক্স থিওডোর ক্যালিনিকস, অ্যাগেইনস্ট পোস্টমডার্নিজম: আ মার্ক্সিস্ট ক্রিটিক

১৯৯৩ মন্দা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করল ব্রিটেন, বেকারত্বের হার কমা শুরু করল।

১৯৯৪ ইংল্যান্ড আর ফ্রান্সের মধ্যে চালু হল ইউরোটানেল। চ্যানেল টানেল নামেও পরিচিত। এবছরই ব্রিটেনে ন্যাশনাল লটারি চালু হয়।

এরিক হবসবম, দ্য এইজ অফ এক্সট্রিমস: দ্য শর্ট টোয়েন্টিনথ সেঞ্চুরি, ১৯১৪-৯১

১৯৯৬ রাজ্যাভিষেক পাথর এডিনবার্গ দুর্গকে ফেরত দিল লন্ডন।

১৯৯৭ ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করল শ্রমিক দল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন টনি ব্লেয়ার। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রোজলিন ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা ভেড়া ডলির ক্লোন তৈরি করলেন।

এরিক হবসবম, অন হিস্টোরি

১৯৯৮ অ্যান্টনি জেমস বিভার, স্তালিনগ্রাদ

১৯৯৯ জুলাই ১ ২৯২ বছর পর বছর পর বসল স্কটল্যান্ডের সংসদ।

২০০১ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে ৯/১১-র জঙ্গি হামলায় যুক্তরাজ্যের ৬৭ জন নাগরিকের মৃত্যু।

২০০২ এরিক হবসবম, ইন্টারেস্টিং টাইমস: আ টোয়েন্টিনথ সেঞ্চুরি লাইফ
অ্যান্টনি জেমস বিভার, বার্লিন: দ্য ডাউনফল, ১৯৪৫

২০০৩ ইরাক যুদ্ধ

নিয়াল ফার্গুসন, এম্পায়ার: হাউ ব্রিটেন মেড দ্য মডার্ন ওয়ার্ল্ড
রিচার্ড জন ইভান্স, দ্য কামিং অফ দ্য থার্ড রাইশ: হাউ দ্য নাৎসিজ ডেস্ট্রয়েড ডেমোক্রেসি অ্যান্ড সেইজড পাওয়ার ইন জার্মানি

২০০৪ শেয়াল শিকারে কুকুরের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে যুক্তরাজ্যে পাশ হল হান্টিং অ্যাক্ট। ক্যামিলা পার্কার বাউলসকে বিয়ে করলেন রাজকুমার চার্লস। সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিল সিভিল পার্টনারশিপ অ্যাক্ট।

২০০৫ যুক্তরাজ্যে পাশ হল প্রিভেনশন অফ টেরোরিজম অ্যাক্ট। পাশ হল গ্যালিক ল্যাংগুয়েজ (স্কটল্যান্ড) অ্যাক্ট। ৭/৭, লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ডে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৫২ জনের মৃত্যু।

রিচার্ড জন ইভান্স, দ্য থার্ড রাইশ ইন পাওয়ার, ১৯৩৩-৩৯: হাউ দ্য নাৎসিজ ওন ওভার দ্য হার্টস অ্যান্ড মাইন্ডস অফ আ নেশন

২০০৬ স্কটল্যান্ডের সব পাবলিক পরিসরে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হল।

২০০৭ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন টনি ব্লেয়ার, দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন গর্ডন ব্রাউন। ব্রিটেনের প্রথম মহিলা হোম সেক্রেটারি হলেন জ্যাকি স্মিথ। ইংল্যান্ড আর ওয়েলসের সব পাবলিক পরিসরে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হল।

২০০৮ যুক্তরাজ্যে পাশ হল ‘ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যাক্ট’।

নিয়াল ফার্গুসন, দ্য এসেন্ট অফ মানি:আ ফিনান্সিয়াল হিস্ট্রি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড
রিচার্ড জন ইভান্স, দ্য থার্ড রাইশ অ্যাট ওয়ার: হাউ দ্য নাৎসিজ লেড জার্মানি ফ্রম কনকোয়েস্ট টু ডিজাস্টার

২০০৯ ব্রিটেনে মন্দা দেখা দিল।

অক্টোবর ১ প্রতিষ্ঠিত হল যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট।

ইরাক যুদ্ধ নিয়ে চিলকট অনুসন্ধানের সূচনা হল।

আর্চি হ্যাওর্থ ব্রাউন, দ্য রাইজ অ্যান্ড ফল অফ কমিউনিজম

২০১০ ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর উদার গণতন্ত্রী আর রক্ষণশীলরা জোট সরকার গঠন করল।

২০১১ ক্যাথরিন মিডলটনকে বিয়ে করলেন রাজকুমার উইলিয়াম।

এরিক হবসবম, হাউ টু চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড: টেলস অফ মার্ক্স অ্যান্ড মার্ক্সিজম
নিয়াল ফার্গুসন, সিভিলাইজেশন: দ্য ওয়েস্ট অ্যান্ড দ্য রেস্ট

২০১২ এ বছর লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয় অলিম্পিক গেমস। লন্ডনস্থ ইকুয়াডোরীয় দূতাবাসে আশ্রয় পেলেন জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জ।

২০১৩ ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে সমকামী বিবাহ আইনী বৈধতা পেল।

২০১৪ স্কটল্যান্ডে সমকামী বিবাহকে আইনী বৈধতা দেয়া হল। অ্যাংলিকান চার্চ মহিলা বিশপদেরকে পৌরহিত্যের অধিকার দিল। যুক্তরাজ্যে এবোলার প্রথম কেস শনাক্ত হল।

সেপ্টেম্বর ১৮ স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে গণভোট আয়োজিত হল। ৫৫ শতাংশ ভোট স্বাধীনতার বিপক্ষে পড়ল। স্কটল্যান্ডের প্রথম মহিলা প্রথমমন্ত্রী হলেন নিকোলা স্টার্জন।

আর্চি হ্যাওর্থ ব্রাউন, দ্য মিথ অফ স্ট্রং লিডার: পলিটিকাল লিডারশিপ ইন দ্য মডার্ন এইজ
জ্যাকলিন রোজ, উইমেন ইন ডার্ক টাইমস

২০১৫ ব্রিটেনে মুদ্রাস্ফীতি ০ শতাংশে নেমে এল। দেশটির সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করল রক্ষণশীল দল। ইওরোপীয় অভিবাসী সংকটের সূচনা। সিরিয়ায় কথিত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের বিমান হামলা শুরু। যুক্তরাজ্যের শেষ গভীর কয়লাখনি বন্ধ হয়ে গেল। স্কটল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনে নিকোলা স্টার্জনের নেতৃত্বে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) ভূমিধবস বিজয়।

২০১৬ ব্রেক্সিট, ব্রিটেন ইওরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকবে না আঞ্চলিক জোটটি থেকে বেরিয়ে আসবে এই নিয়ে ২৩ জুন দেশটিতে গণভোট আয়োজন করা হল, ৫১.৮৯ শতাংশ ভোট বেরিয়ে আসার পক্ষে পড়ল। গণভোট প্রক্রিয়া চলাকালে ১৬ জুন শ্রমিক দলের এমপি জো কক্সকে খুন করেন টমাস আলেকজান্দার মেয়ার নামের এক ব্রেক্সিট সমর্থক ব্রিটিশ ফ্যাসিস্ট। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেন রক্ষণশীল দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন একই পার্টির তেরেসা মে।

লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন সাদিক খান।

ইরাক যুদ্ধ বিষয়ক চিলকট প্রতিবেদন প্রকাশিত হল।

২০১৭ লিসবন চুক্তির অনুচ্ছেদ ৫০ ইনভোক করার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার সূচনা হল। ম্যানচেষ্টার এলাকায় জঙ্গি হামলায় ২২ জনের মৃত্যু। আহতের সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি। এই হামলার শিকারদের অধিকাংশই শিশুকিশোর যারা মার্কিন শিল্পী আরিয়ানা গ্র্যান্ডের কনসার্ট দেখতে এসেছিলেন। লন্ডন ব্রিজে জঙ্গি হামলায় ৭ জনের মৃত্যু। লন্ডনে গ্রিনফেল টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে ৭২ জনের মৃত্যু।

সারা আহমেদ, লিভিং আ ফেমিনিস্ট লাইফ

২০১৮ যুক্তরাজ্য আর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার দায়ে দেউলিয়া হয়ে গেল ব্রিটিশ পলিটিকাল কনসালটেন্সি ফার্ম কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের সাথে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হলেন রাজপুত্র হ্যারি।

জ্যাকলিন রোজ, মাদার্স: অ্যান এসে অন লাভ অ্যান্ড ক্রুয়েলিটি

২০১৯ ব্রেক্সিট ইস্যুতে কোন সমাধানে পৌঁছাতে না পারায় পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন রক্ষণশীল দলের বরিস জনসন। স্কটল্যান্ডের প্রথমমন্ত্রী নিকোলা স্টার্জন জানালেন, ২০২১ সালের মধ্যে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা ইস্যুতে একটি দ্বিতীয় গণভোট আয়োজন করতে চান।

টবি হেইনেস, ব্রেক্সিট: দ্য আনসিভিল ওয়ার

২০২০ ইওরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসল ব্রিটেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন স্কটল্যান্ডের প্রথমমন্ত্রী নিকোলা স্টার্জনের স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা ইস্যুতে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের দাবি প্রত্যাখ্যান করলেন। ব্রিটিশ সাংবাদিক রবার্ট ফিস্কের মৃত্যু।

২০২১ নভেম্বর ২৯ নিকোলা স্টার্জন এসএনপির সম্মেলনে ঘোষণা করলেন, ২০২২ সালের বসন্তে স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান শুরু হবে, আর ২০২৩ সালে গণভোট আয়োজন করা হবে।

জ্যাকলিন রোজ, অন ভায়োলেন্স অ্যান্ড অন ভায়োলেন্স এগেইন্সট উইমেন

২০২২ সেপ্টেম্বর ৬ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হলেন মেরি এলিজাবেথ ট্রুস।

অক্টোবর ২৫ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হলেন ঋষি সুনাক।

রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু।

তথ্যসূত্র

বাংলাপিডিয়া। ২০১৫। “দুর্ভিক্ষ।” বাংলাপিডিয়া। শেষ সম্পাদিত হয়েছে জানুয়ারি ১৪, ২০১৫-য়।
https://bn.banglapedia.org/index.php/%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7
 ২০১৫খ। “দুর্ভিক্ষ, ১৯৪৩।” বাংলাপিডিয়া। শেষ সম্পাদিত হয়েছে জানুয়ারি ১৪, ২০১৫-য়।
https://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7,_%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%AA%E0%A7%A9

মনু, রক। ২০১৩। “সহমরণ হতে সতীদাহ।” বাছবিচার, জুলাই ২৮, ২০১৩।
https://bacbichar.net/2013/07/art.1154.bb/

রাফিন, ইরফানুর রহমান। ২০২২। সময়রেখা: মহাবিশ্বের উৎপত্তি থেকে করোনাসংকট পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ঘটনাপঞ্জি। ঢাকা: দিব্যপ্রকাশ।

Allport, Allan. 2007. England. 2nd ed. New York: Chelsea House.

BBC. 2019. “Sturgeon wants Scottish independence referendum by 2021.” BBC, April 24.
https://www.bbc.com/news/uk-scotland-scotland-politics-48026430
2020. “Scottish independence: Johnson rejects Sturgeon’s indyref2 demand.” BBC, January 12.
https://www.bbc.com/news/uk-scotland-scotland-politics-51106796
2023. “Anguilla profile.” BBC, August 26.
https://www.bbc.com/news/world-latin-america-20142904

Cryan, Dan, and Shatil, Sharron. 2013. Introducing Capitalism: A Graphic Guide. Illustrated by Piero. London: Icon Books.

Dendinger, Roger. 2002. Scotland. Philadelphia: Chelsea House.

Grant, Alistair. 2021. “Nicola Sturgeon pledges Scottish independence campaign will resume ‘in earnest’ next year.” The Scotsman, November 29.
https://www.scotsman.com/news/politics/nicola-sturgeon-pledges-scottish-independence-campaign-will-resume-in-earnest-next-year-3475380

Johnston, Derek. 2017. A Brief History of Philosophy: From Socrates to Derrida. New Delhi: Bloomsbury.

Lambert, Tim. “A Timeline of England.” Accessed December 26, 2022.
https://localhistories.org/a-timeline-of-england/

Rodrick, Anne B.. 2019. The History of Great Britain. 2nd ed. Santa Barbara, California: Greenwood Press.

Scotland.org. 2022. “History.” Accessed May 26, 2022.
https://www.scotland.org/about-scotland/history-timeline

Tharoor, Shashi. 2016. An Era of Darkness: The British Empire in India. New Delhi: Aleph Book Company.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *