Featured Image: Wikimedia Commons.
সাল
১৩০১-১৪ সামোয়া, টোঙ্গা, ও অন্যান্য পলিনেশীয় দ্বীপের বাসিন্দারা টুভালুতে অভিবাসিত হলেন।
১৫৬৮, ১৫৯৫ স্পেনীয় আলভারো মেন্দানা দে নেইরা দুটি স্বতন্ত্র অভিযানে নুই ও নিউলাকিতা দ্বীপ দেখতে পেলেন।
১৮১৯ ব্রিটিশ এমপি এডওয়ার্ড এলিসের মালিকানাধীন একটি জাহাজ ফুনাফুটিতে এল। কাপ্তান ফুনাফুটির নাম রাখলে এলিস দ্বীপ। পরে পুরো টুভালুই এলিস দ্বীপপুঞ্জ নামে পরিচিত হয়।
১৮৫০-৭৫ ‘ব্ল্যাকবার্ডিং’: প্ল্যান্টেশনগুলোয় জবরদস্তিমূলক শ্রমে কাজে লাগানোর জন্য টুভালু দ্বীপবাসীকে অপহরণ করে ফিজি ও কুইন্সল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হল। ইওরোপীয়দের বয়ে আনা অসুখে জনসংখ্যা ২০ হাজার থেকে ৩ হাজারে নেমে এল।
১৮৬৩ পেরুভীয় দাস বণিকরা ৪০০ জন দ্বীপবাসীকে অপহরণ করল, যারা টুভালুর ফুনাফুটি ও নুকুলেলে দ্বীপের জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ।
১৮৭৭ ব্রিটিশরা পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় হাইকমিশন প্রতিষ্ঠা করল। ফিজিতে যার সদরদপ্তর। এলিস দ্বীপপুঞ্জসহ অন্যান্য দ্বীপ এর এখতিয়ারে আসে।
১৮৯২ ব্রিটেন এলিস দ্বীপপুঞ্জ আর গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জের ওপর যৌথ প্রটেক্টরেট ঘোষণা করল।
১৯১৬ গিলবার্ট ও এলিস দ্বীপপুঞ্জ উপনিবেশ গঠন করা হল। পরের দুই দশকে লাইন দ্বীপপুঞ্জ ও ফিনিক্স দ্বীপপুঞ্জ উক্ত উপনিবেশে যোগ দিবে।
১৯৭৪ জাতিগত উত্তেজনার দরুণ মূলত পলিনেশীয় এলিস দ্বীপপুঞ্জবাসীর ৯০ শতাংশেরও বেশি মাইক্রোনেশীয় গিলবার্ট দ্বীপপুঞ্জ থেকে পৃথক হয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিলেন।
১৯৭৫ এলিস দ্বীপপুঞ্জ একটি স্বতন্ত্র ব্রিটিশ ডিপেন্ডেন্সিতে পরিণত হল। অঞ্চলটি তাঁর প্রাক-উপনিবেশিক নাম টুভালুতে ফিরে গেল। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন তোয়ারিপি লাউতি।
১৯৭৬ টুভালু আনুষ্ঠানিকভাবে গিলবার্ট ও এলিস দ্বীপপুঞ্জ উপনিবেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল।
১৯৭৭ আয়োজিত হল প্রথম স্বতন্ত্র সাধারণ নির্বাচন।
১৯৭৮ অক্টোবর ৮: স্বাধীনতা অর্জন করল টুভালু। প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেলেন তোয়ারিপি লাউতি।
১৯৮৬ ব্রিটিশ রাজমুকুটের অধীনে একটি স্বাধীন সাংবিধানিক রাজতন্ত্র রয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিল টুভালু।
১৯৮৭ উন্নয়ন সহায়তা দেয়ার জন্য ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ও নিউজিল্যান্ড মিলে গঠন করল টুভালু ট্রাস্ট তহবিল। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানও এই তহবিল গঠনে অবদান রাখে।
১৯৮৯ বৈশ্বিক উষ্ণতাবৃদ্ধির ফলে একবিংশ শতাব্দীতে সমুদ্রে তলিয়ে যেতে পারে এমন দ্বীপগুলোর একটি হিসেবে টুভালুকে তালিকাবদ্ধ করল জাতিসংঘ।
১৯৯১ টুভালু সরকার জানাল, স্বাধীনতার সময় দেশটির অর্থনীতির গরিবি হালতের জন্য দায়ী করে যুক্তরাজ্যের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হবে।
১৯৯৮ উপরি আয়ের জন্য দেশটির “৯০০” টেলিফোন লাইন একটি বেসরকারি কোম্পানির কাছে লিজ দিল টুভালু।
২০০০ ফেব্রুয়ারি: দেশটির জাতীয় ইন্টারনেট সাফিক্স .tv-কে যুক্তরাষ্ট্রের এক কোম্পানির কাছে লিজ দেয়ার চুক্তি সই করল টুভালু। উদ্দেশ্য জাতিসংঘে যোগদানের জন্য আবেদন করার খরচ এই চুক্তি থেকে পাওয়া অর্থের মাধ্যমে মেটানো। মার্চ: ভাইতুপু দ্বীপের এক স্কুল ডরমিটরিতে আগুন লেগে ১৮ জন ইশকুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হল।
জাতিসংঘে যোগ দিল টুভালু।
২০০১ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমবৃদ্ধির কারণে বিপদাপন্ন হয়ে পড়া টুভালুবাসীকে পুনর্বাসিত করার প্রস্তাব দিল নিউজিল্যান্ড।
মার্চ টুভালু জানালো, যুক্তরাষ্ট্র কিয়োটো প্রোটোকলে সই করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায়, দেশটির বিরুদ্ধে কিরিবাতি আর মালদ্বীপের সাথে মিলে আইনী ব্যবস্থা নেবে।
২০০৬ আগস্ট: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন আপিসাই লেলেমাই।
২০০৮ আবারও ব্রিটিশ রাজমুকুটের অধীনে একটি স্বাধীন সাংবিধানিক রাজতন্ত্র রয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিল টুভালু।
২০০৯ জানুয়ারি: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সদস্য হতে আবেদন করল টুভালু, আইএমএফ বলল বিবেচনা করে দেখা হবে।
জুলাই: টুভালু প্রত্যাশা ব্যক্ত করল যে, ২০২০ সাল নাগাদ তার সব শক্তি নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আসবে।
ডিসেম্বর: কোপেনহাগেন জলবায়ু চুক্তিকে অপর্যাপ্ত আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করল টুভালু।
২০১০ সেপ্টেম্বর: প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন মাতিয়া তোয়াফা।
ডিসেম্বর: অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেন তোয়াফা। নতুন প্রধানমন্ত্রী উইলি তেলাভি।
২০১১ সেপ্টেম্বর: দুনিয়ার যে ৬টি মাত্র দেশ জর্জিয়া ভেঙে বেরিয়ে আসা দুটি অঞ্চল আবখাজিয়া ও দক্ষিণ ওসেটিয়াকে স্বীকৃতি দিয়েছিল, টুভালু তার একটি।
২০১৪ মার্চ: জর্জিয়া ভেঙে বেরিয়ে আসা দুটি অঞ্চল আবখাজিয়া ও দক্ষিণ ওসেটিয়াকে দেয়া পূর্বতন স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নিল টুভালু।
২০১৫ মার্চ: সাইক্লোন পামের কারণে দেশটির ১১ হাজার মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হল।
২০২২ টুভালুর প্রধানমন্ত্রী কাউসি নাতানো তাইপেই সফর করলেন। তাইওয়ানের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ব্যাপারে সমর্থন পুনঃনিশ্চিত করলেন। উল্লেখ্য যে, চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে তীব্র কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চালু আছে।
তথ্যসূত্র
BBC. “Tuvalu profile – Timeline.” BBC, October 3, 2022.
https://www.bbc.com/news/world-asia-pacific-16340166
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি