সোমালিয়া

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Image: The Nations Online Project.

সাল

৬০১-৭০০ সোমালিল্যান্ডে ইসলামের প্রসার।

১২০১-১৭০০ আফ্রিকার শৃঙ্গের অধিকাংশে আধিপত্য করছে আজুরান সুলতানশাহি।

১৩০১-১৪০০ অঞ্চলটির মুসলিম সুলতানশাহিগুলোর ওপর ইথিওপিয়ার খ্রিস্টীয় সাম্রাজ্যের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হল।

১৫২৭ ইথিওপীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করল আদাল সুলতানশাহি। ইথিওপিয়ার অধিকাংশ অঞ্চলই জয় করে নিল।

১৫৪৩ পর্তুগিজদের সহায়তায় আদাল সুলতানশাহিকে পরাজিত করল ইথিওপিয়া।

১৮৬০-৬৯ সোমালি উপকূলের একাংশ ফ্রান্সের হাতে চলে এল। যা পরবর্তীতে জিবুতি নামে পরিচিতি পাবে।

১৮৭৫ সোমালিয়ার উপকূলবর্তী শহরগুলো ও অভ্যন্তরভাগের অংশবিশেষ দখল করে নিল মিসর।

১৮৮৮ ব্রিটিশরা স্থানীয় সুলতানশাহিগুলোর সাথে নানান চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশ সোমালিল্যান্ড আশ্রিত রাজ্য গঠন করল। ইঙ্গ-ফরাসি চুক্তি সম্পাদিত। ইওরোপীয়রা সোমালিয়াকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিল।

১৮৮৯ মধ্য সোমালিয়ায় একটি আশ্রিত রাজ্য স্থাপন করল ইতালি। যা পরবর্তী দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের সেই ভূখণ্ডের সাথে মিলেমিশে গেল যার ওপর দাবি ছেড়ে দিয়েছিলেন জাঞ্জিবারের সুলতান।

১৮৯৯ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলেন সূফী কবি ও যোদ্ধা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। প্রতিষ্ঠা করলেন দরবেশ রাষ্ট্র। দুইদশক পরে ব্রিটিশরা রাজ্যটি ধবংস করে দেবে।

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

১৯২৫ জুব্বা নদীর পুবদিকের ভূখণ্ড কেনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে সোমালিয়ায় ইতালীয় প্রটেক্টরেটের অংশ হয়ে গেল।

১৯৩৬ ইথিওপিয়ার সোমালিভাষী অংশগুলোর সাথে ইতালীয় সোমালিল্যান্ড যুক্ত হয়ে ইতালীয় পূর্ব আফ্রিকা গঠন করল।

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৪০ ইতালীয়রা ব্রিটিশ সোমালিল্যান্ড দখল করল।

১৯৪১ ব্রিটিশরা ইতালীয় সোমালিল্যান্ড দখল করল।

১৯৫০ ইতালীয় সোমালিল্যান্ড ইতালির নিয়ন্ত্রণে থাকা জাতিসংঘের একটি ট্রাস্ট টেরিটোরিতে পরিণত হল।

১৯৫৬ ইতালীয় সোমালিল্যান্ডের নাম বদলে সোমালিয়া ও অভ্যন্তরীণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হল।

১৯৬০ সোমালিয়ার ব্রিটিশ ও ইতালীয় অংশগুলো স্বাধীন হল, একীভূত হল, এবং সংযুক্ত সোমালি প্রজাতন্ত্র গঠন করল। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আদেন আবদুল্লাহ ওসমান দার।

১৯৬৩ কেনিয়ার সাথে সোমালিয়ার সীমান্ত সংঘাত দেখা দিল। ব্রিটেন সোমালিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল। ১৯৬৮ সালে গিয়ে সম্পর্ক পুনর্বহাল করা হয়।

১৯৬৪ ইথিওপিয়ার সাথে সীমান্ত বিবাদে জড়িয়ে পড়ল সোমালিয়া।

১৯৬৯-৯১ সামরিক একনায়ক মোহামেদ সিয়াদ বারের শাসনকাল।

১৯৭৪ আরব লীগে যোগ দিল সোমালিয়া।

১৯৭৭ ইথিওপিয়ার সোমালি-অধ্যুষিত ওগাদেন প্রদেশে হামলা চালাল সোমালিয়া।

১৯৮৮ ইথিওপিয়ার সাথে শান্তি চুক্তি।

১৯৯১ সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহামেদ সিয়াদ বারে উৎখাত হওয়ার ফলে দেশটিতে চরম অরাজকতা দেখা দিলে সোমালিয়ার কাছ থেকে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করল সাবেক ব্রিটিশ সোমালিল্যান্ড।*
* জাতিসংঘের সদস্য-রাষ্ট্র নয়। জাতিসংঘের কোন সদস্য-রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিলাভ করেনি, তবে তাইওয়ানের সাথে de facto সম্পর্ক আছে। সোমালিয়া সোমালিল্যান্ডের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে থাকে।

১৯৯৮ সোমালিয়ার পুন্তল্যান্ড অঞ্চল নিজেকে স্বায়ত্তশাসিত ঘোষণা করল।

২০০১ এক গণভোটে সোমালিল্যান্ডের আত্মস্বীকৃতি স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিল ৯৭ শতাংশ মানুষ।

২০০৪ জুন সোমালিয়ার এগারোটি শরিয়া আদালতের একটি জোট মিলে গঠন করল ইসলামি আদালত ইউনিয়ন (আইসিইউ)। আইসিইউর নেতা হিসেবে শরিফ শেখ আহমেদের নাম প্রস্তাবিত হল।

অক্টোবর আন্তর্জাতিক মদতে কেনিয়ার নাইরোবিতে সোমালিয়ার বৃহত্তম গোত্রগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রবাসী রূপান্তরকালীন ফেডারেল সরকার (টিএফজি) গঠন করা হল। অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আবদুল্লাহি ইউসূফ।

২০০৬ জুন সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী আল-শাবাবের মদতপুষ্ট আইসিইউর হাতে মোগাদিসুর পতন ঘটল।

ডিসেম্বর খ্রিস্টান-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইথিওপিয়া হামলা চালিয়ে আইসিইউর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিল মোগাদিসু।

২০০৭ ইথিওপীয় হামলা সোমালিয়ায় আল-শাবাবের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করল।

জানুয়ারি ৭ রূপান্তরকালীন ফেডারেল সরকার (টিএফজি) মোগাদিসুতে প্রবেশ করল।

ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী আমিসোম আল-শাবাবের বিরুদ্ধে টিএফজির লড়াইয়ে মদত দিতে সোমালিয়ায় এল।

২০০৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আল-শাবাবকে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে চিহ্নিত করল, এবং যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত যে কারো জন্য গোষ্ঠীটিকে আর্থিক সহায়তা করার রাস্তা আটকে দিল।

২০০৯ জানুয়ারি ১৩ সোমালিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করল ইথিওপিয়া।

২০১০ জুলাই উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় একাধিক আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে ৭৪ জনকে খুন করল আল-শাবাব।

২০১০-১২ জাতিসংঘ জানাল, দুর্ভিক্ষে সোমালিয়ার ২ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ মারা গেছেন।

২০১২ ফেব্রুয়ারি সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী আল-কায়েদা নেতা আইমান আল-জাওয়াহিরি ঘোষণা করলেন, আল-শাবাব তার সংগঠনের সাথে যুক্ত।

২০১৩ সেপ্টেম্বর ২১-২৪ নাইরোবির এক শপিং মলে হামলা চালিয়ে ৬৪ জন মানুষকে খুন করল আল-শাবাব।

২০১৪ সেপ্টেম্বর ১ এক মার্কিন বিমান হামলায় খুন হলেন আল-শাবাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা আহমেদ আবদি গোদানে।

২০১৫ এপ্রিল ২ মধ্য কেনিয়ার গারিসা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে হামলা চালিয়ে ১৪৮ জন মানুষকে খুন করল আল-শাবাব।

২০১৬ আত্মস্বীকৃত স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপন করল সোমালিল্যান্ড, যদিও এই স্বাধীনতার কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই।

২০১৭ অক্টোবর জোড়া ট্রাক বিস্ফোরণে রাজধানী মোগাদিসুতে ৫০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু, আহত আরো ৩০০ জন। হামলার জন্য আল-শাবাবকে দায়ী করা হয়। তবে আল-শাবাব এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

২০১৯ ২৮ বছর পর মোগাদিসুতে দূতাবাস খুলল যুক্তরাষ্ট্র।

২০২২ অক্টোবর ২৯ মোগাদিসুতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে জোড়া গাড়ি বিস্ফোরণে অন্তত ১২০ জন মানুষের মৃত্যু, আল-শাবাব হামলার দায় স্বীকার করে।

তথ্যসূত্র

African Union. n.d. “Member States | African Union.” Accessed March 3, 2025.
https://au.int/en/member_states/countryprofiles2.

BBC. 2018. “Somalia profile – Timeline.” BBC, January 4.
https://www.bbc.com/news/world-africa-14094632

cfr. 2023. “Timeline: Al Shabab (2004–2022).” Council on Foreign Relations, Accessed on October 4, 2023. https://www.cfr.org/timeline/al-shabaab-east-africa.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *