সিঙ্গাপুর
Featured Image: Wikimedia Commons.
Courtesy: The Perry-Castañeda Library Map Collection (PCLMC), The University of Texas at Austin.
সাল
১২৯৯ সাং নীলা উতামা প্রতিষ্ঠা করলেন সিঙ্গাপুর রাজ্য।*
* সিঙ্গাপুর শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে সিংহের শহর।
১৩০১-১৪০০ জাভাভিত্তিক মাজাপাহিত সাম্রাজ্য ও বর্তমান থাইল্যান্ডের অয়ুধ্যা রাজ্যের যুগ্ন প্রভাবে সিঙ্গাপুর এ সময় একটি বাণিজ্য বন্দর হিসাবে সমৃদ্ধি লাভ করেছে।*
* এ সময় দেশটি তেমাসেক নামে পরিচিত ছিল।
১৩৯৮ মাজাপাহিত সাম্রাজ্যের একটি নৌ আগ্রাসনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন সিঙ্গাপুরের শেষ রাজা পরমেশ্বর। প্রতিষ্ঠা করলেন মালাক্কা সুলতানশাহি।
১৬০১-১৭০০ সিঙ্গাপুর এ সময় কাগজেকলমে জোহর সুলতানশাহির অংশ ছিল।
১৮১৯ স্যার স্ট্যামফোর্ড র্যাফলস সিঙ্গাপুরে আসলেন এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাখা প্রতিষ্ঠা করলেন।
১৮২৪ ব্রিটিশরা পুরো দ্বীপটিই দখল করে নিল।
১৮২৬ ব্রিটিশ ভারতের জুরিসডিকশনের অধীনে পেনাং ও মালাক্কাসহ স্ট্রেইটস সেটেলমেন্টসের অংশ হয়ে গেল সিঙ্গাপুর।
১৮৩২ স্ট্রেইটস সেটেলমেন্টসের রাজধানীতে পরিণত হল সিঙ্গাপুর। বাণিজ্য বন্দরটিতে চীন, ভারত, ও এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল থেকে হাজার হাজার অভিবাসীর আগমন ঘটল।
১৮৪২ ব্রিটিশরা হংকং দখল করে নিলে সিঙ্গাপুরে চীনাদের অভিবাসন বৃদ্ধি পেল।
১৮৬৭ স্ট্রেইটস সেটেলমেন্টস একটি ব্রিটিশ-রাজ উপনিবেশে পরিণত হল।
১৮৬৯ সুয়েজ খাল চালু হওয়ার ফলে বাণিজ্যের বিস্তার।
১৮৯০-৯৯ মালয়া ও সিঙ্গাপুরে রাবার শিল্প স্থাপিত হল, যার ফলে দ্বীপটি রাবার রফতানির একটি বিশ্ব কেন্দ্রে পরিণত হয়।
১৯১৪-১৯১৪ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৩৮ যুক্তরাজ্য সিঙ্গাপুরে নৌ ঘাঁটি বানানো সম্পূর্ণ করল, উদ্দেশ্য ছিল সাম্রাজ্যিক জাপানের সম্প্রসারণ ঠেকানো।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪১ সাম্রাজ্যিক জাপানের বিমান বাহিনীর আক্রমণের মুখে তলিয়ে গেল মালয়া ও সিঙ্গাপুরের ‘প্রতিরক্ষায়’ নিয়োজিত দুটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস প্রিন্স অফ ওয়েলস এবং এইচএমএস রিপালস। মালয়া আক্রমণ করল সাম্রাজ্যিক জাপানের সেনাবাহিনী। পরাস্ত করল সংখ্যায় বহুগুণ ব্রিটিশ, ভারতীয়, অস্ট্রেলীয়, ও মালয়া সেনাদের।
১৯৪২-৪৫ সিঙ্গাপুরে জাপানি উপনিবেশিক শাসনের কাল।
১৯৪২ সিঙ্গাপুর দখল করল সাম্রাজ্যিক জাপান। ৮৫ হাজার ব্রিটিশ ও মিত্রপক্ষীয় সেনা জাপানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করল। এটা ব্রিটেনের ইতিহাসের সবচে বড় আত্মসমর্পণ।
সিঙ্গাপুরের নাম বদলে সিয়োনান রাখল সাম্রাজ্যিক জাপান, যার অর্থ হচ্ছে “দক্ষিণের আলো।”
১৯৪৫ জাপানের আত্মসমর্পণ, ব্রিটিশ ফৌজ ফিরে এল সিঙ্গাপুরে।
১৯৪৬ সিঙ্গাপুর একটি স্বতন্ত্র ব্রিটিশ-রাজ উপনিবেশে পরিণত হল।
১৯৪৮-৬০ জাতিগত চীনাদের নেতৃত্বাধীন মালয়া কমিউনিস্ট পার্টি সিঙ্গাপুর ও বর্তমান মালয়ায় অভ্যুত্থান শুরু করল। ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের মালয়া থেকে তাড়ানো। প্রতিক্রিয়ায় সিঙ্গাপুরে জরুরি অবস্থা জারি করা হল।
১৯৫৫ সিঙ্গাপুরকে সীমিত আকারে স্বশাসন প্রদান করা হল।
১৯৫৭ ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল মালয়া।
১৯৫৯ সিঙ্গাপুরের প্রথম সাধারণ নির্বাচন আয়োজিত হল। এতে জয়লাভ করল পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। দেশটিতে পিএপির আধিপত্যের শুরুয়াত।
১৯৬১ মালয়ার প্রধানমন্ত্রী টুংকু আবদুল রহমান মালয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, উত্তর বোর্নিও, ও সারাওয়াককে একত্রিত করে মালয়েশিয়া নামের একটি নতুন ফেডারেশন গঠনের ডাক দিলেন। এই প্রকল্পটি যুক্তরাজ্যের সমর্থন লাভ করে। কারণ, তারা বিশ্বাস করত, এটা বাস্তবায়িত হলে সিঙ্গাপুরের কমিউনিস্ট অভয়ারণ্য হওয়াটা ঠেকানো যাবে।
১৯৬৩ ফেডারেশন অফ মালয়েশিয়ায় যোগ দিল সিঙ্গাপুর।
১৯৬৪ সিঙ্গাপুরে মালয়া ও চীনাদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গায় ৩৬ জনের মৃত্যু, ৫৬০ জন আহত।
১৯৬৫ মালয়েশিয়া ছেড়ে বেরিয়ে এল সিঙ্গাপুর। স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করল। জাতিসংঘে যোগ দিল। দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হলেন লি কুয়ান ইউ। জোরারোপ করলেন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ওপর। ব্যবসাবাণিজ্যের পেছনে রাষ্ট্রীয় মদত বৃদ্ধি পেল। অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের ওপর সীমা আরোপ করা হল।
১৯৬৭ আগস্ট ৮ প্রতিষ্ঠিত হল অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান), সিঙ্গাপুর যার প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একটি।
১৯৭১ সিঙ্গাপুর থেকে ব্রিটিশ সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ হল।
১৯৮৪ সিঙ্গাপুরের জাতীয় সংসদে প্রথমবারের মত দুজন বিরোধীদলীয় এমপি নির্বাচিত হলেন।
১৯৯০ দীর্ঘ ৩১ বছর পর ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ালেন সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা পিতা বলে বিবেচিত লি কুয়ান ইউ, দেশটির দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হলেন গোহ চোক তং।
১৯৯৩ আয়োজিত হল সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রত্যক্ষ ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এর আগ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিত দেশটির জাতীয় সংসদ। সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হলেন অং তেং চেওং।
১৯৯৪ মার্কিন টিনএজার মাইকেল ফেকে এক অহিংস অপরাধের দায়ে বেত্রাঘাতের সাজা প্রদান করল সিঙ্গাপুর। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সাময়িকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটল। এই ঘটনা বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
২০০৪ সিঙ্গাপুরের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হলেন প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ’য়ের পুত্র লি সিয়েন লং।
২০১৫ মৃত্যুবরণ করলেন লি কুয়ান ইউ।
তথ্যসূত্র
ASEAN. n.d. “ASEAN member states.” Accessed March 6, 2025.
https://asean.org/member-states/.
BBC. 2018. “Singapore Profile – Timeline.” BBC, May 10.
https://www.bbc.com/news/world-asia-15971013.
— 2018. “Singapore Country Profile.” BBC, July 20.
https://www.bbc.com/news/world-asia-15961759.
Church, Peter, ed. 2009. A Short History of South-East Asia. Singapore: Wiley.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি
