
পর্তুগাল
Featured Image: Wikipedia Commons.

পূর্বসাল
৩০০০ বর্তমান পর্তুগালে কৃষি সমাজের উত্থান।
১২০০ আজকের দিনের লিসবনে বসতিস্থাপন করলেন ফিনিশীয়রা।
৮০০ মধ্য ইওরোপ থেকে বর্তমান পর্তুগালে কেল্টভাষীদের আগমন।
৬০ জুলিয়াস সীজার এক বিশাল বাহিনী নিয়ে বর্তমান পর্তুগালে প্রবেশ করলেন, দেশটিতে পাঁচ শতাব্দীর রোমক শাসনের সূচনা হল।
৬ পূর্বসাল – ৩০ সাল বর্তমান ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে জন্ম নেয়া খ্রিস্টধর্মের প্রাণকেন্দ্র জেসাস ক্রাইস্টের জীবনকাল।
সাল
৪০৬ ইবেরীয় উপদ্বীপে জার্মানিক গোষ্ঠীগুলোর আগমন ঘটল।
৫৭০ হযরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম।
৭১১ ১২ হাজার সৈন্যের এক বাহিনী নিয়ে জিব্রাল্টার* আক্রমণ করলেন উমাইয়া খেলাফতের বার্বার মুসলমান সেনাপতি তারিক বিন জিয়াদ।
* স্পেনীয় ভাষায় জিব্রাল্টার কথাটি এসেছে জাবাল আল তারিক থেকে, যার অর্থ: তারেকের পাথর।
৭১৮ ইবেরীয় উপদ্বীপের অধিকাংশই মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেল।
১১২৮ পর্তুগালের প্রথম রাজপরিবার প্রতিষ্ঠা করলেন আলফসোঁ হেনরিক।*
* হাউজ অফ বার্গ্যাণ্ডি নামে পরিচিত ছিল।
১১৩৯ অউরিকের যুদ্ধ, স্পেনের মুসলমানদের যুদ্ধে পরাজিত করলেন আলফসোঁ হেনরিক।
১১৪৩ জামোরা চুক্তি, আজকের দিনের স্পেনে অবস্থিত লিওন আর কাস্তিলের কাছ থেকে পর্তুগালের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিল এই চুক্তি।
১১৪৭ ক্যাথলিক ক্রুসেডারদের সহায়তায় মুসলমানদের পরাস্ত করলেন পর্তুগালের রাজা প্রথম আলফসোঁ ও তাঁদের লিসবন থেকে তাড়িয়ে দিলেন।
১১৮৫ প্রথম আলফসোঁর মৃত্যু।
১২৪৯ পর্তুগালের শেষ মুসলমানরা ফারো থেকে বিতাড়িত হল।
১৩১৮ রাজা ডেনিস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হল অর্ডার অফ আওয়ার লর্ড জেসাস ক্রাইস্ট।
১৩৪৮-৪৯ ব্ল্যাক ডেথে পর্তুগালের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের মৃত্যু।
১৪৮৮ পর্তুগিজ অভিযাত্রিক বার্তোলোমিউ দিয়াজ আফ্রিকার দক্ষিণ উপকূল নৌ প্রদক্ষিণ করে প্রমাণ করলেন, অতলান্তিক আর ভারত মহাসাগর সংযুক্ত।
১৪৯৭ সমুদ্রপথে পর্তুগাল থেকে ভারতে পৌঁছালেন ভাস্কো দা গামা।
১৫০০ ব্রাজিলকে পর্তুগালের জন্য দাবি করলেন পেদ্রো আলভারেজ কাবরাল।
১৫৮০-১৬৪০ ইবেরীয় ইউনিয়ন, কাস্তিল ও আরাগনের রাজপরিবারগুলোর সাথে পর্তুগাল রাজ্যের মধ্যে।
১৬৪০-৬৮ পর্তুগিজ পুনর্বহাল যুদ্ধ, স্বাধীনতা ফিরে পেল পর্তুগাল।
১৭৫৫ লিসবনে ৮.৫-৯.০ মাত্রার এক প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে ১২-৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হল।
১৮০৭ নেপোলীয়নের ফ্রান্স ও স্পেন পর্তুগালে যৌথ হামলা চালাল ও লিসবন দখল করে নিল।
১৮২২ পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল ব্রাজিল।
১৮৩৪ পর্তুগালে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হল।
১৮৯২ পর্তুগালকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হল।
১৯০৮ রাজতন্ত্রবিরোধীদের পাঠানো গুপ্তঘাতকদের হাতে খুন হলেন রাজা কার্লোস ও তাঁর বড় ছেলে। নতুন রাজা হলেন ছোট ছেলে ম্যানুয়েল।
১৯১০ সশস্ত্র বিপ্লবের মুখে ক্ষমতা ছাড়লেন দ্বিতীয় ম্যানুয়েল; পর্তুগালকে একটা প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হল।
১৯১১ নতুন সংবিধান গির্জাকে রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন করল। প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন ম্যানুয়েল হোসে দে আরিগা।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।*
* প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির পক্ষে লড়াই করে পর্তুগাল।
১৯২৬ পর্তুগালে এক সামরিক ক্যুদেতায় গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাত, প্রেসিডেন্ট হলেন জেনারেল আন্তনিও দে ফ্রাগোসো কারমোনা।
১৯২৮ আন্তোনিও দে অলিভিয়েরা সালাজারকে অর্থমন্ত্রী বানালেন কারমোনা।
১৯৩২ প্রধানমন্ত্রী হলেন সালাজার।
১৯৩২-৬৮ এস্তাদো নোভো, সালাজারের সাড়ে তিন দশকের একনায়কতন্ত্র।
১৯৩৬ স্পেনের গৃহযুদ্ধে ফ্রাঙ্কোর জাতীয়তাবাদীদের সমর্থন দিলেন সালাজার।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪৯ ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একটি হল পর্তুগাল।
১৯৫৫ জাতিসংঘে যোগ দিল পর্তুগাল।
১৯৭০ আন্তনিও সালাজারের মৃত্যু।
১৯৭৪ ২৫ এপ্রিল কারনেশন বিপ্লব। এস্তাদো নোভো বিরোধী সেনা কর্মকর্তাদের রক্তপাতহীন ক্যুদেতা। এরপর যে ব্যাপক নাগরিক অবাধ্যতা আন্দোলন দেখা দেয়, তা গণতন্ত্রের পথ করে দিয়েছিল।
১৯৭৬ দীর্ঘ একনায়কতন্ত্রের অবসানে পর্তুগাল একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান গ্রহণ করে নিল, যার মধ্য দিয়ে দেশটির দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্রের শুরুয়াত।
১৯৮২ বিপ্লবের সামরিক পরিষদ বিলুপ্ত করে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বেসামরিক সরকার বহাল করা হল।
১৯৮৬ জানুয়ারি ১ ইওরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ে (ইইসি) যোগ দিল পর্তুগাল।
১৯৯৫ মার্চ ২৬ শেনগেন জোনে যোগ দিল পর্তুগাল।
২০০২ মুদ্রা হিসেবে ইওরো গ্রহণ করে নিল পর্তুগাল।
২০১৬ অক্টোবর জাতিসংঘের মহাসচিব নিযুক্ত হলেন পর্তুগালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও গুয়েতেরেস।
২০২০ মার্চ মহামারী মোকাবেলা করতে স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করল পর্তুগাল।
তথ্যসূত্র
BBC. 2022. “Portugal profile – Timeline.” BBC, December 9.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17761153
— BBC. 2024. “Portugal country profile.” BBC, March 22.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17758217
European Union. n.d. “Portugal – EU Country Profile | European Union.” Accessed February 27, 2025.
https://european-union.europa.eu/principles-countries-history/eu-countries/portugal_en
Gritzner, Charles F., and Philips, Douglas A.. 2007. Portugal. New York: Chelsea House.
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি