
ওমান
Featured Image: Wikimedia Commons.

Oman. Political Map. 1979.
Courtesy: The Perry-Castañeda Library Map Collection (PCLMC), The University of Texas at Austin.
সাল
৭০১-৮০০ ওমানে ইসলামের আগমন ও আরব আধিপত্যের সূচনা।
৮০১-৯০০ ইবাদি ইমামরা দেশটি শাসন করতে শুরু করলেন।
১৫০৭ পর্তুগিজ উপনিবেশিক শক্তি মাস্কাটে একটি ধবংসযজ্ঞ চালাল এবং ওমান উপকূল দখল করে নিল।
১৬৫০ ওমান থেকে পতুর্গিজ উপনিবেশিক শক্তি বিতাড়িত হল।
১৬৯৬-১৮৫৬ ওমানি সাম্রাজ্য।
১৭৩৭ ওমানে পারসিকদের হামলা।
১৭৪৯ ওমান থেকে পারসিকদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হল। ক্ষমতায় এল আল বু সাঈদ রাজবংশ। আজতক দেশটি তারাই শাসন করছে।
১৯১৩ ওমান শাসনতান্ত্রিক বিবেচনায় কার্যত দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। এসময় দেশটির মধ্যাঞ্চল শাসন করছেন ইবাদি ইমামরা আর উপকূলীয় অঞ্চল শাসন করছেন সুলতান। দুই অংশের শাসকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিল।
১৯২০ ব্রিটিশদের দূতিয়ালিতে মধ্যাঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন মেনে নিলেন সুলতান।
১৯৫৪-৫৯ জেবেল আখদার যুদ্ধ। ইমাম গালিব আল হিনাইয়ের নেতৃত্বে মধ্যাঞ্চলের স্থানীয় ওমানিরা ব্রিটিশ মদতপুষ্ট সুলতানের বাহিনীগুলোর সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ল। বৈশ্বিক তেল কোম্পানিগুলো সুলতানের পক্ষকে মদত দেয়, কারণ ওমানের তেল রিজার্ভ মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত।
১৯৫৯ ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ও রাজকীয় বিমান বাহিনীর (আরএএফ) বোমাবর্ষণ অভিযানের সহায়তায় ওমানের মধ্যাঞ্চল পুনরুদ্ধার করলেন সুলতান সাঈদ বিন তৈমুর।
১৯৬৪ ওমানে তেলের বিপুল ভাণ্ডার আবিষ্কৃত হল।
১৯৬৫-৭৫ ওমানের দক্ষিণাঞ্চলের এলাকা দোফারে বামপন্থীরা অভ্যুত্থান ঘটায়। জর্দানি আর ইরানি সেনাদের সহায়তায় এই অভ্যুত্থান রক্তাক্ত উপায়ে দমন করা হয়। তাতে যুক্তরাজ্য, ইরান, জর্দান ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি উল্লেখযোগ্য সামরিক সহায়তা প্রদান করে।
১৯৬৭ ওমানে তেল নিষ্কাশন শুরু হল।
১৯৭০ এক রক্তপাতহীন ক্যুদেতায় ক্ষমতাচ্যুত হলেন ওমানের সুলতান। স্বীয় পুত্রের হাতেই। দেশটির নতুন সুলতান কাবুস বিন সাঈদ উদারীকরণ ও আধুনিকীকরণের একটি কর্মসূচি হাতে নিলেন।
১৯৮১ মে ২৫ পারস্য উপসাগরীয় ৬টি রাষ্ট্র (বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ও সৌদি আরব) নিয়ে গঠিত হল গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি)।
১৯৯৭ সুলতান কাবুস এই মর্মে ডিক্রি জারি করলেন যে, ওমানের পরামর্শ সভার নির্বাচনে দেশটির নারীরা ভোট দিতে পারবেন। অংশও নিতে পারবেন। পরামর্শ সভা নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন দুজন নারী।
১৯৯৯ প্রতিবেশী রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সাথে একটি সীমান্ত চুক্তি সই করল ওমান।
২০০২ নভেম্বর ২১ বছরের বেশি বয়সী সকল ওমানি নাগরিকের জন্য ভোটাধিকারের সীমা সম্প্রসারিত করা হল।*
* এর আগ পর্যন্ত শুধু শেখ, ব্যবসায়ী, আর বুদ্ধিজীবীরাই দেশটিতে ভোট দিতে পারতেন।
২০০৪ মার্চ ওমানের প্রথম মহিলা মন্ত্রীকে নিয়োগ দিলেন সুলতান।
২০০৫ জানুয়ারি ১০০ জন সন্দেহভাজন ইসলামপন্থীকে গ্রেপ্তার করা হল। ৩১ জন ওমানিকে সরকার উৎখাত প্রচেষ্টার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হল। তবে জুনে তাদের উদ্দেশ্যে ক্ষমা ঘোষণা করা হল।
২০০৭ জুন ঘূর্ণিঝড় গোনুর আঘাতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে ওমানের আরব কৃষ্ণসার মৃগ অভয়ারণ্যকে সরিয়ে নেয়া হল।
২০১১ ফেব্রুয়ারি চাকরি আর রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে রাস্তায় নামলেন ওমানিরা। পুলিশের গুলিতে শহিদ হলেন এক প্রতিবাদী। সুলতান কাবুস চাকরি ও বিভিন্ন সুবিধাদি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন।
অক্টোবর পরামর্শ সভা নির্বাচন। আরব বসন্তের ঢেউয়ে ওমানে অসন্তোষ দেখা দিল। সুলতান কাবুস পরামর্শ সভার ক্ষমতা বৃদ্ধি করলেন।
২০১২ সেপ্টেম্বর অনলাইনে সরকারের ব্যাপারে “অবমাননাকর ও উসকানিমূলক” সমালোচনা পোস্ট করার দায়ে সক্রিয়তাবাদীদের বিচার শুরু হল। এর মধ্যেই প্রতিবেদন আসতে লাগল, সমগ্র দেশ জুড়ে বেকারত্ব ও গণতন্ত্রহীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের ওপর ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। ৬ জনকে ১২ থেকে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হল এবং প্রত্যেককে ২৫০০ ডলার ফাইন করা হল।
২০১৩ মার্চ প্রায় ৩০ জন অনলাইন সক্রিয়তাবাদী ও প্রতিবাদীর উদ্দেশ্যে ক্ষমা ঘোষণা করলেন সুলতান কাবুস।
২০১৬ সেপ্টেম্বর বিচারকদের ওপর সরকারি কর্মকর্তাদের চাপ প্রয়োগের অভিযোগের ব্যাপারে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করার দায়ে দেশটির জাতীয় পত্রিকা আজামান জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়া হল এবং সম্পাদককে জেলে ঢুকানো হল।
২০২০ জানুয়ারি সুলতান কাবুসের মৃত্যু। নতুন সুলতান হলেন তাঁর কাজিন হাইথাম বিন তারিক আল সাঈদ।
তথ্যসূত্র
BBC. 2020. “Oman profile – Timeline.” BBC, January 13, 2020.
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-14654492
— 2023. “Oman country profile.” BBC, September 7, 2023.
https://www.bbc.com/news/world-middle-east-14654150
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি