নিউজিল্যান্ড

Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Image: The Nations Online Project.

সাল

৯৫০ পলিনেশীয়দের আগমন।

১২০০-১৩০০ মাওরিদের পূর্বপুরুষেরা ক্যানোয় চড়ে তাহিতি ও পলিনেশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল থেকে আওটেয়ারোয়ায় আসলেন, যা পরে নিউজিল্যান্ড হয়ে উঠবে।*
* মাওরি ভাষায় আওটেয়ারোয়া মানে দীর্ঘ শুভ্র তুষারের দেশ।

১০০০ মোয়া শিকারীরা এ সময় নিয়মিত নিউজিল্যান্ড সফর করছেন।

১৬৪২ আওটেয়ারোয়ার দক্ষিণ দ্বীপ দেখতে পেলেন আবেল তাসমান। তাসমান ছিলেন একজন ওলন্দাজ অভিযাত্রিক। একটি ওলন্দাজ প্রদেশ জিল্যান্ডের নামানুসারে ওলন্দাজ মানচিত্রগুলোতে দেশটিকে নিউজিল্যান্ড বলে উল্লেখ করা হল।

১৭৬৯, ১৭৭৩, ১৭৭৭ নিউজিল্যান্ডের তটরেখায় অনুসন্ধান চালাচ্ছেন ব্রিটিশ কাপ্তান জেমস কুক।

১৮১৫ নিউজিল্যান্ডে প্রথমবারের মত ব্রিটিশ মিশনারিদের আগমন ঘটল।

১৮৪০ ওয়াইতানগি চুক্তি, ব্রিটিশদের সাথে মাওরি গোষ্ঠীগুলোর সম্পাদিত এই চুক্তিতে মাওরি ভূমি রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়া হল এবং নিজিল্যান্ডে বলবৎ হল ব্রিটিশ আইন।

১৮৪৫-৭২ নিউজিল্যান্ড যুদ্ধ। এই যুদ্ধ ভূমি যুদ্ধ নামেও পরিচিত। ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে মাওরিদের বিদ্রোহ।

১৮৬৫ স্বর্ণলালসা বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে নিউজিল্যান্ডে টেনে আনল।

১৮৯৩ পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে নারীদেরকে ভোটাধিকার দিল নিউজিল্যান্ড।

১৮৯৮ নিউজিল্যান্ড সরকার বয়স্ক ভাতা চালু করল।

১৯০৭ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভেতরে ডমিনিয়ন স্ট্যাটাস পেল নিউজিল্যান্ড।

১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ

১৯১৫-১৬ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ব্রিটিশ যুদ্ধ প্রয়াসে ভূমিকা রাখতে হাজার হাজার সেনা পাঠায় নিউ জিল্যান্ড। ১৯১৫ সালে তুর্কিদের সাথে গাল্লিপোল্লির যুদ্ধে অস্ট্রেলীয়দের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডীয়রাও বিপুল ক্ষয়ক্ষতির শিকার হন। এই যুদ্ধে নানানভাবে অবদান রাখা অস্ট্রেলীয় ও নিউজিল্যান্ডীয় সৈনিকদের স্মৃতির স্মরণে প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল আনজাক দিবস নামে পালিত হয়ে আসছে।

১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ

১৯৪১ চিকিৎসা ব্যবস্থার সামাজিকীকরণ।

১৯৪৭ ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করল নিউজিল্যান্ড।

১৯৫০ কোরীয় যুদ্ধে জাতিসংঘের বাহিনীর পক্ষ হয়ে লড়লেন নিউজিল্যান্ডীয় সেনারা।

১৯৫১ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আনজুস প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তা চুক্তি সই।

১৯৬০-৬৯ ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হয়ে লড়তে একটা ছোট সংঘাত বাহিনী প্রেরণ করল নিউজিল্যান্ড।

১৯৮০-৮৯ আনজুস থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করল নিউজিল্যান্ড।

১৯৮৪ নিউজিল্যান্ডে শ্রমিক দল থেকে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ল্যাংয়ের নেতৃত্বে নয়াউদার অর্থনৈতিক সংস্কারের সূচনা হল।

১৯৮৫ ফরাসি সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা অকল্যান্ড পোতাশ্রয়ে গ্রিনপীসের জাহাজ রেইনবো ওয়ারিয়র উড়িয়ে দিল, এতে ১ জনের মৃত্যু হয়।

১৯৮৬ নিউজিল্যান্ডের ব্যাপারে আনজুস সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা স্থগিত করল মার্কিনীরা।

১৯৯০ প্রধানমন্ত্রী হলেন জাতীয় দলের জেমস বলগার।

১৯৯৭ নিউজিল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন জাতীয় দলের জেনি শিপলি।

১৯৯৯ নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন শ্রমিক দলের হেলেন ক্লার্ক।

২০০৮ প্রধানমন্ত্রী হলেন জাতীয় দলের জন কে।

২০০৯ নিউজিল্যান্ড দেশটির ইতিহাসের দীর্ঘতম মন্দাবস্থায় পতিত হল।

২০১৩ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে সমকামী বিবাহকে আইনী বৈধতা দিল নিউজিল্যান্ড।

২০১৬ নিউজিল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন জাতীয় দলের বিল ইংলিশ।

২০১৭ মার্চ নিউজিল্যান্ডের সংসদে একটি আইন পাশ হল যা মাওরিদের চোখে পবিত্র হোয়াংগানুই নদীকে একটি জীবন্ত সত্ত্বা হিসেবে দেখে দেশটির মানুষদের সমান আইনী অধিকার দিল।

মে রকেট ল্যাব নামের একটি নিউজিল্যান্ডীয়-মার্কিন কোম্পানি মহাশূন্যে এর প্রথম রকেটটি উৎক্ষেপণ করল।

অক্টোবর জোট সরকার গঠন করলেন শ্রমিক দলের নেত্রী জাসিন্ডা আর্ডের্ন।

২০১৯ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে এক শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীর জঙ্গি হামলায় ৫০ জন মুসল্লির মৃত্যু হল।

২০২০ অক্টোবর সংসদীয় নির্বাচনে শ্রমিক দলের জাসিন্ডা আর্ডের্নের ভূমিধ্বস বিজয়।

২০২২ পল মুন, কলোনাইজিং নিউজিল্যান্ড: আ রিপ্রেইজাল

তথ্যসূত্র

BBC. 2019. “New Zealand profile – Timeline.” BBC, March 18.
https://www.bbc.com/news/world-asia-pacific-15370160

Gillespie, Carol Ann. 2005. New Zealand. updated ed. New York: Chelsea House.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *