Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Image: The Nations Online Project.

পূর্বসাল

৩০০০ বর্তমান নরওয়ের দক্ষিণাঞ্চলের অসলোজর্ডে কৃষিকাজ শুরু হল।

১৮০০-৫০০ নরওয়ের ব্রোঞ্জ যুগ।

৫০০ নরওয়েতে লৌহ যুগের সূচনা। দেশটির বিচ্ছিন্নতার পর্বের শুরু। পরবর্তী ১০০০ বছর নরওয়ে সারা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন থাকবে।

সাল

৭৯৩ লিন্ডিসফার্নে একটি ইংরেজ মঠে আক্রমণের মধ্য দিয়ে ভাইকিং যুগ শুরু হল। এই স্ক্যান্ডিনেভীয়রা দেশে দেশে লুঠতরাজ আর অভিযান চালায়। কিছু নরওয়েজীয় গ্রিনল্যান্ড আর স্কটল্যান্ডে বসতি স্থাপন করেন।

৮৭৪-৯০০ হারাল্ড দ্য ফেয়ার-হেয়ার্ডের নেতৃত্বে একটি একক রাজ্য হিশাবে ঐক্যবদ্ধ হয় নরওয়ে।

৯৯৫ নরওয়ের রাজা হলেন হারাল্ডের বংশধর প্রথম ওলাভ।

১০০০ প্রথম ওলাভের মৃত্যু।

১০১৬ নরওয়ের রাজা হলেন দ্বিতীয় ওলাভ।

১০২৮ ডেনমার্কের রাজা ক্যানুট নরওয়ে আক্রমণ করলেন, দিনেমার দখলদারিত্বের কালে মৃত্যুবরণ করেন দ্বিতীয় ওলাভ।*

* নরওয়েজীয়রা দ্বিতীয় ওলাভকে একজন শহিদ হিশাবে দেখে। রোমক ক্যাথলিক চার্চ তাঁকে সেইন্টহুডে ভূষিত করেছে। দ্বিতীয় ওলাভ নরওয়ের প্যাট্রন সেইন্ট বিবেচিত হন।

১০৩০ এসময়ের মধ্যে খ্রিস্টধর্ম বরণ করে নিল নরওয়েজীয়রা।

১০৩৮ নরওয়ের রাজা হলেন হারাল্ড হারডাডে। তিনি অসলো শহর প্রতিষ্ঠা করেন। হারাল্ড ইংল্যান্ড দখলের একটা ব্যর্থ চেষ্টা চালান।

১০৬৬ ইংল্যান্ডে স্ট্যামফোর্ড সেতুর যুদ্ধে হারাল্ড হারডাডের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ভাইকিং যুগের অবসান ঘটল।

১২১৭ নরওয়ের রাজা হলেন চতুর্থ হাকোন।

১৩৪৯ ব্ল্যাথ প্লেগে নরওয়ের তিন লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু।

১৩৮০ নরওয়ে ও ডেনমার্কের রাজা হলেন ষষ্ঠ ওলাভ।

১৩৯৭ ডেনমার্কের রানী মার্গারেটের নেতৃত্বে কালমার ইউনিয়ন নরওয়ে, সুইডেন, আর ডেনমার্ককে একীভূত করল।

১৫৩৪ নরওয়ে আর ডেনমার্কের রাজা হলেন তৃতীয় ক্রিশ্চান।

১৫৩৬ নরওয়ে ডেনমার্কের একটা ডিপেন্ডেন্সিতে পরিণত হল।

১৫৩৭ রাজা তৃতীয় ক্রিশ্চান নরওয়েজীয়দের ওপর প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্ম চাপিয়ে দিলেন, ইভাঞ্জেলিকাল লুথারান চার্চ নরওয়ের রাষ্ট্রীয় চার্চে পরিণত হল।

১৭৫১ ল্যাপ্পেকোডিসিলেন নামের একটি দলিলে বল্গাহরিণ পালনের ব্যাপারে আদিবাসী সামিদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া হল।

১৮০০-১৯৫০ নরওয়ে আদিবাসী সামিদেরকে আত্মীকরণ করার চেষ্টা করে। সামি এলাকাগুলোতে ইশকুল খোলা হলেও সেইসব ইশকুলে সামি ভাষায় কথা বলা নিষিদ্ধ করা হয়। আদিবাসী সামিদের ভূমি অধিকার অস্বীকার করা হয় এবং বল্গাহরিণ পালা বাদ দিয়ে চাষাবাদ করার জন্য তাদের ওপর চাপ দেয়া হয়।

১৮১৪-১৯০৫ এসময় সুইডেনের সাথে একটা ইউনিয়নে আছে নরওয়ে।

১৮১৪ মে ১৭: নরওয়েজীয়রা নিজেদের জন্যে একটি সংবিধান প্রণয়ন করল এবং ক্রিশ্চান ফ্রেডরিককে রাজা ঘোষণা করল।

১৮২৫-২০০৪ এই সময়কালের মধ্যে ৯ লক্ষ নরওয়েজীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।

১৯০৫ নরওয়ে সুইডেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করল, ডেনমার্কের রাজকুমার কার্ল নরওয়ের রাজা হলেন। তিনি সপ্তম হাকোন নামে নরওয়ের মসনদে বসলেন। ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত শাসন করেন সপ্তম হাকোন।

১৯১৩ নরওয়েতে নারীদেরকে ভোটাধিকার দেয়া হল।

১৯১৪ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নিরপেক্ষতা নীতি অবলম্বন করে নরওয়ে।

১৯২০ লীগ অফ নেশনসে যোগ দিল নরওয়ে। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন নরওয়েজীয় সাহিত্যিক ন্যুট হামসুন।

১৯২৯ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় নিদারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল নরওয়ের। ক্রোনের দরপতন। বিপুলহারে বৃদ্ধি পেল বেকারত্ব।

১৯৩৯ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিরপেক্ষতা নীতি ঘোষণা করে নরওয়ে, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে এই অবস্থান ধরে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

১৯৪০ জার্মান নাৎসিরা নরওয়েতে আগ্রাসন চালাল। রাজপরিবার আর নরওয়ে সরকার ব্রিটেনে পালিয়ে গেল, লন্ডনে একটি প্রবাসী সরকার গঠন করা হল। ভিডকুন কুইন্সলিং নিজেকে অধিকৃত নরওয়ের রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষণা করলেন।

১৯৪১ সামরিক আইন জারি করলেন ভিডকুন কুইন্সলিং।

১৯৪৫ নরওয়ে অবস্থানকারী জার্মান বাহিনীগুলো আত্মসমর্পণ করে। নরওয়ের রাজা দেশে ফিরে আসেন। নাৎসি দালালের ভূমিকা পালন করে নিজ দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার অপরাধে ভিডকুন কুইন্সলি’য়ের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। জাতিসংঘের চার্টার সদস্যগুলোর একটি হয় নরওয়ে। রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠন শুরু।

১৯৪৯ ন্যাটোতে যোগ দিল নরওয়ে।

১৯৫২ ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ও আইসল্যান্ডের সাথে নর্ডিক কাউন্সিলে যোগ দিল নরওয়ে।

১৯৬০য়ের দশক উত্তর সাগরের নরওয়েজীয় অংশে তেল-গ্যাসের বিপুল মজুত আবিষ্কৃত হল। আদিবাসী সামিরা নিজেদের অধিকারের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামেন। এতে সামিদের ব্যাপারে নরওয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসতে শুরু করে।

১৯৭৩ ইওরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) নরওয়েকে সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানাল, কিন্তু নরওয়েজীয়রা গণভোটে ইইউ’এ যোগদানের বিরুদ্ধে ভোট দিলেন।

১৯৮৯ নরওয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মত সামি সংসদ বসে।

১৯৯২ নরওয়েজীয়ের পাশাপাশি সামি ভাষাকে নরওয়ের রাষ্ট্রভাষা হিশাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

১৯৯৩ নরওয়ের মধ্যস্ততায় ইসরায়েল আর প্যালেস্টাইনিয়ান লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) মধ্যে শান্তি চুক্তি সাক্ষরিত হল।

১৯৯৪ ইইউ দ্বিতীয়বারের মত নরওয়েকে সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানাল। দ্বিতীয়বারের মত গণভোটে নরওয়েজীয়রা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলেন। নরওয়ের লিলহ্যামারে শীতকালীন অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হল।

২০০০ শ্রীলঙ্কা সরকার আর তামিল বিদ্রোহীদের মধ্যে মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন করতে শুরু করল নরওয়ে। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী হলেন শ্রমিক দলের জেন্স স্টোল্টেনবার্গ।

২০০৫ দ্বিতীয় মেয়াদে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী হলেন জেন্স স্টোল্টেনবার্গ।

২০১০ চীন নরওয়েকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলল, কারাবন্দী চীনা ভিন্নমতাবলম্বী লিউ জিয়াওবোকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়ার যে-সিদ্ধান্ত নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি নিয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে।

২০১১ নরওয়ের ইতিহাসের ভয়াবহতম হামলায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হলেন, হামলাকারী উগ্র ডানপন্থী অ্যান্ডার্স বেহরিং ব্রেইভিক।

২০১২ নরওয়ের একটি আদালত ব্রেইভিককে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিল।

২০১৩ নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী হলেন রক্ষণশীল দলের এরনা সলবার্গ।

২০১৪ প্রথম নারী হিশাবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রধান হলেন নরওয়ের মেজর জেনারেল ক্রিস্টিন লুন্ড।

২০২১ নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী হলেন শ্রমিক দলের জোনাস গাহর স্টোর।

তথ্যসূত্র

BBC. 2022. “Norway profile – Timeline.” BBC, December 7, 2022.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17746861

Fouberg, E. H. & Hogan, E. P.. 2004. Norway. Philadelphia: Chelsea House.

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

By irrafinofficial

ইরফানুর রহমান রাফিনের জন্ম ঢাকায়, ১৯৯২ সালে। বর্তমানে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে লিখে অন্নসংস্থান করেন। নিজেকে স্মৃতি সংরক্ষণকারীদের পরম্পরার একজন হিসাবে দেখেন। যোগাযোগ: irrafin2022@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Creative Commons License
Except where otherwise noted, the content on this site is licensed under a Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 International License.