
নেদারল্যান্ডস
Featured Image: Wikimedia Commons.

পূর্বসাল
৩০০ জার্মানিক ও কেল্টিক গোষ্ঠীগুলো রাইন নদীর দক্ষিণে সরে এল।
১০০-১ জুলিয়াস সিজারের নেতৃত্বাধীন রোমক সেনারা দেশটির জার্মানিক ও কেল্টিক গোষ্ঠীগুলোর ওপর কর্তৃত্বলাভ করল।
৬ পূর্বসাল – ৩০ সাল বর্তমান ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শহর বেথলেহেমে জন্ম নেয়া খ্রিস্টধর্মের প্রাণকেন্দ্র জেসাস ক্রাইস্টের জীবনকাল।
সাল
৩০১-৪০০ ফ্রাঙ্কদের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীগুলো নেদারল্যান্ডস জয় করল। ফ্রাঙ্কিশ মিশনারিরা বিজিত জনগোষ্ঠীকে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করলেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত।
১৪৯৯ স্পেনীয় অভিযাত্রিক আলফসো দে ওজেদা আরুবার সন্ধান পেলেন, স্পেনের জন্য দ্বীপটির মালিকানা দাবি করলেন।
১৫০১-১৬০০ ওলন্দাজরা স্পেনের ক্যাথলিক রাজতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে চলে আসল।
১৫০৯ দেসিদেরিয়াস ইরেজমুস, ইন প্রেইজ অফ ফলি।
১৫১৬ ওলন্দাজ শিল্পী হিয়েরোনিমুস বশের মৃত্যু।
১৫৩৩ স্পেনের হাত থেকে নেদারল্যান্ডসকে মুক্ত করার বিদ্রোহে নেতৃত্বদানকারী উইলিয়াম দ্য সাইলেন্টের জন্ম।
১৫৩৬ ওলন্দাজ মানববাদী দেসিদেরিয়াস ইরেজমুসের মৃত্যু।
১৫৮১ ইউনাইটেড প্রভিন্সেস ঘোষিত হল, যা কালক্রমে নেদারল্যান্ডসকে একটি স্বাধীন দেশে পরিণত করবে।
১৫৮৩ ওলন্দাজ আইনজীবী, “আন্তর্জাতিক আইনের জনক”, হুগো গ্রটিয়াসের জন্ম।
১৫৮৪ স্পেনের হাত থেকে নেদারল্যান্ডসকে মুক্ত করার বিদ্রোহে নেতৃত্বদানকারী উইলিয়াম দ্য সাইলেন্টের মৃত্যু।
১৫৯৫ ওলন্দাজদের একটি অভিযাত্রিক দল প্রথমবারের মত বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে পৌঁছাল ও স্থানীয়দের সাথে বাণিজ্য চুক্তি করল।
১৬০২ গঠিত হল ওলন্দাজ সংযুক্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (ভিওসি)।
১৬০৬ ওলন্দাজ শিল্পী রেমব্র্যান্ট ভ্যান রিনের জন্ম, ১৬৬৯ সাল পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন এই শিল্পী।
* সর্বকালের সেরা শিল্পীদের একজন বিবেচিত হয়ে থাকেন।
১৬০৯ স্পেনীয় দখলদারিত্বের হাত থেকে ওলন্দাজদের মুক্তি লাভ।
১৬১৯ জাকার্তা শহরটিকে ধবংস করলেন ইয়ান পিয়েতেরজুন কোয়েন। এটিকে একটি ওলন্দাজ বাণিজ্যকেন্দ্র হিশাবে পুনর্নির্মাণ করলেন। নাম দিলেন বাতাভিয়া।
১৬২১ গঠিত হল ওলন্দাজ ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।
১৬২৫ মশলা দ্বীপপুঞ্জ বলে খ্যাত বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার মালুকু দ্বীপগুলোর লোভনীয় লবঙ্গ ব্যবসা পর্তুগিজদের হাত থেকে ওলন্দাজদের হাতে এল। প্যারিস থেকে প্রকাশিত হল আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে পদ্ধতিগতভাবে লেখা প্রথম বই দে ইউরে বেল্লে এস পাসিস। রচয়িতা ওলন্দাজ আইনজীবী হুগো গ্রটিয়াস।
১৬২৬ পিটার মিনিউট স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে ম্যানহাটন দ্বীপটি কিনে নিলেন এবং এর নাম দিলেন নিউ আমস্টারডাম।
১৬৩২ ওলন্দাজ শিল্পী ইয়ান ভিরমিরের জন্ম।
১৬৩৬ আরুবা একটি ওলন্দাজ উপনিবেশে পরিণত হল, যা ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠনে আংশিক ভূমিকা রাখল।
১৬৪১ বর্তমান মালয়েশিয়ার মালাক্কায় পর্তুগিজরা যেসব বাণিজ্যকুঠি বানিয়েছিল, সেখান থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দিল ওলন্দাজরা।
১৬৪৫ ওলন্দাজ আইনজীবী হুগো গ্রটিয়াসের মৃত্যু।
১৬৫২ ব্রিটিশদের সাথে ওলন্দাজদের নৌ যুদ্ধ শুরু হল। উত্তমাশা অন্তরীপে একটি ওলন্দাজ বসতি স্থাপন করলেন ইয়ান ভ্যান রিয়েবেক।
১৬৫৬ পর্তুগালের কাছ থেকে কলম্বো ছিনিয়ে নিল ওলন্দাজরা।
১৬৫৭ দক্ষিণ আফ্রিকায় দাস কিনতে শুরু করল ওলন্দাজরা।
১৬৬৬ ব্রিটিশরা নিউ আমস্টারডামের নাম বদলে নিউ ইয়র্ক রাখল। ওলন্দাজ শিল্পী ফ্রান্স হালসের মৃত্যু।
১৬৬৭ ব্রেডা চুক্তি, ইংরেজরা পেল নিউ আমস্টারডাম আর নিউ নেদারল্যান্ড, ওলন্দাজরা পেল সুরিনাম।
১৬৬৮ ফরাসিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতা সংহত করতে ব্রিটিশ আর সুইডিশদের সাথে জোট বাঁধল ওলন্দাজরা।
১৬৭২ ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই দ্য নেদারল্যান্ডস দখল করতে সেনা পাঠালেন, কিন্তু ব্যর্থ হলেন।
১৬৭৫ ওলন্দাজ শিল্পী ইয়ান ভিরমিরের মৃত্যু।
১৭২২ ইস্টার দ্বীপে পৌঁছাল ওলন্দাজরা।
১৭৮৬ অ্যাংলো-ডাচ যুদ্ধে ওলন্দাজ নৌবহর ধবংস হয়ে গেল।
১৭৯৫ নেপোলিয়ান বোনাপার্তের হাতে বেলজিয়াম আর নেদারল্যান্ডসের পতন।* দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতিস্থাপন করা ওলন্দাজরা নিজেদেরকে আফ্রিকানার ডাকা শুরু করল। ব্রিটিশরা দক্ষিণ আফ্রিকায় ওলন্দাজদের কেপ উপনিবেশ দখল করে নিল।
* আরুবার নিয়ন্ত্রণ এসময় ফ্রান্সের হাতে চলে যায়।
১৭৯৬ ওলন্দাজ সংযুক্ত ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (ভিওসি) দেউলিয়া হয়ে গেল।
১৮০২ আমিয়েন্স চুক্তি, উত্তমাশা অন্তরীপ ফিরে পেল ওলন্দাজরা।
১৮০৬ ব্রিটিশরা ওলন্দাজদের কাছ থেকে উত্তমাশা অন্তরীপ ছিনিয়ে নিল।
১৮১৩ নেদারল্যান্ডস থেকে সেনা প্রত্যাহার করল ফরাসিরা।
১৮১৪ অরেঞ্জ রাজপরিবারের প্রথম উইলিয়ামকে নেদারল্যান্ডসের রাজমুকুট পরানো হল। দেশটিকে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হল। রাজপরিবারটি আজ অবধি দেশটি শাসন করছে, যদিও পরবর্তীকালে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বহাল হওয়ার কারণে বর্তমানে তাদের ক্ষমতা সীমিত।
১৮১৫ ভিয়েনা কংগ্রেস উত্তমাশা অন্তরীপের ওপর ব্রিটিশদের দাবিকে স্বীকৃতি দিল।
১৮১৬ ফ্রান্স আরুবাকে আবার নেদারল্যান্ডসের হাতে তুলে দিল।
১৮৩০ নেদারল্যান্ডসের কাছ থেকে বেলজিয়ামের স্বাধীনতা লাভ।
১৮৩৮ ওলন্দাজ আইনের অধ্যাপক টোবিয়াস এম. সি. অ্যাসারের জন্ম।*
* আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে (আইসিসি) অ্যাসারের ব্রেইনচাইল্ড ভাবা হয়।
১৯১১ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন টোবিয়াস এম. সি. অ্যাসার।
১৯১৩ টোবিয়াস এম. সি. অ্যাসারের মৃত্যু।
১৯১৪-১৮ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ।*
* প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নেদারল্যান্ডস নিরপেক্ষতা ঘোষণা করে।
১৯২৯ আরুবার সান নিকোলাসে একটি তেল শোধনাগার খোলা হল।
১৯৩৯-৪৫ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।*
* দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নেদারল্যান্ডস নিরপেক্ষতা ঘোষণা করে। রানী উইলহেলমিনা তাঁর সরকারসমেত লন্ডনে নির্বাসিত হন। জার্মান বোমারুরা রটেরডামের অধিকাংশ ধবংস করে দেয়।
১৯৪৫ জাতিসংঘের চার্টার সদস্যদের একটি হল নেদারল্যান্ডস। সুকর্ণ ওলন্দাজদের কাছ থেকে ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিজের স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন।
১৯৪৮ বেলজিয়াম আর নেদারল্যান্ডসের সাথে একটি অর্থনৈতিক ইউনিয়ন গঠন করল লুক্সেমবার্গ। দেশ তিনটি একসাথে বেনেলাক্স দেশসমূহ নামে পরিচিত। নেদারল্যান্ডসে রানী জুলিয়ানার শাসনকালের সূচনা।
১৯৪৯ ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিজ ইন্দোনেশিয়া নামে স্বাধীন হল। দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট হলেন সুকর্ণ, বাতাভিয়ার নাম বদলে জাকার্তা করা হল, এবং জাকার্তাকে দেশটির রাজধানী বানানো হল। জোটনিরপেক্ষতার নীতি বিসর্জন দিয়ে নেদারল্যান্ডস ন্যাটোতে যোগদান করল।
১৯৫২ ইওরোপিয়ান কোল অ্যান্ড স্টিল কমিউনিটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হল দ্য নেদারল্যান্ডস।
১৯৫৩ একটি বন্যায় নেদারল্যান্ডসের ২,০০০ মানুষের মৃত্যু।
১৯৫৪ নেদারল্যান্ডস অ্যান্টাইলসের স্বায়ত্তশাসিত ফেডারেশনের অংশ হয়ে গেল আরুবা।
১৯৫৭-৮৬ ওলন্দাজরা ১৯৫৩ সালের বন্যার প্রতিক্রিয়ায় উত্তর সাগর ও রাইন অববাহিকার ক্ষমতা খর্ব করতে অববাহিকা পরিকল্পনা হাতে নিল।
১৯৫৯ নেদারল্যান্ডসের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের গ্রনিনজেনে প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল সম্ভার আবিষ্কৃত হল।
১৯৬২ ওলন্দাজরা নিউ গিনিকে জাতিসংঘের হাতে তুলে দিল।
১৯৬৩ ওলন্দাজরা তাদের সাবেক উপনিবেশ নিউ গিনিকে ইন্দোনেশিয়ার কাছে হস্তান্তরিত করল।
১৯৭১ আরুবায় প্রতিষ্ঠা করা হল জনগণের নির্বাচনী আন্দোলন (এমইপি)। নেদারল্যান্ডস অ্যান্টাইলস ফেডারেশন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ও স্বাধীনতা অর্জন করার উদ্দেশ্যে আন্দোলন শুরু করল এমইপি।
১৯৭৫ ওলন্দাজদের সাবেক উপনিবেশ সুরিনাম স্বাধীনতা লাভ করল, দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট হলেন জোহান ফেরিয়ার।
১৯৭৭ মার্চ আরুবায় আয়োজিত এক গণভোটে অ্যান্টাইলস ফেডারেশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পক্ষে ৮২ শতাংশ ভোট পড়ল।
১৯৮০ নেদারল্যান্ডসে রানী জুলিয়ানার শাসনকালের সমাপ্তি, দেশটির নতুন রানী হলেন যুবরাজ্ঞী বিয়াত্রিশ।
১৯৮৩ ওলন্দাজ সরকার ও নেদারল্যান্ডস অ্যান্টাইলস সরকার এই মর্মে একমত হল যে, ১৯৮৬ সালে আরুবা স্বতন্ত্র স্ট্যাটাস পাবে, আর ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা।
১৯৮৬ জানুয়ারি ১ আরুবাকে নেদারল্যান্ডস রাজ্যের কাঠামোর ভেতরেই স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা হল।
১৯৯১ আরুবায় তেল শোধন কার্যক্রম পুনরায় চালু হল।
১৯৯৪ অনির্দিষ্টকালের জন্য আরুবার স্বাধীনতা প্রক্রিয়া স্থগিত হল।
১৯৯৫ নেদারল্যান্ডসে এক ভয়াবহ বন্যায় প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ গৃহহীন হলেন।
মার্চ ২৬ শেনগেন জোনে যোগ দিল নেদারল্যান্ডস।
১৯৯৬ নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে সাবেক যুগোস্লাভিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটিওয়াই) কাজ করতে শুরু করল।
১৯৯৯ নেদারল্যান্ডসের ম্যাসট্রিচ শহরে ম্যাসট্রিচ চুক্তি সই, যা ইওরোপীয় ইউনিয়ন গঠনে ভুমিকা রাখে।
২০০০ নেদারল্যান্ডসের সংসদ শর্তসাপেক্ষে ইউদেনশিয়ার অনুমতি দিল।
২০০১ সদ্য প্রণীত একগুচ্ছ নতুন আইনের আলোকে আমস্টারডামে চার সমকামী যুগল বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন, আইনগুলোতে সমকামীদেরকে শিশু দত্তক নেয়ার অধিকারও দেয়া হল।
জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল সাবেক বসনীয় সার্ব নেতা রাদিস্লাভ ক্রিস্তিককে স্রেবেনিচা হত্যাযজ্ঞে ভূমিকা রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ৪৬ বছরের কারাদণ্ড দিল। রাষ্ট্রীয় তহবিল তছরুপ করা আর ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে বেলগ্রেডে গ্রেপ্তার হলেন স্লোবোদান মিলোসেভিচ। তাঁকে আইসিটিওয়াইয়ের হাতে তুলে দেয়া হল।
২০০২ গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধ সংঘটনের দায়ে দ্য নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে স্লোবোদান মিলোসেভিচের বিচার শুরু হল।
২০০২ গিল্ডারের পরিবর্তে ইওরো ব্যবহার করতে শুরু করল ওলন্দাজরা। নেদ্যারল্যান্ডসের দ্য হেগয়ে প্রতিষ্ঠিত হল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। খুন হলেন অভিবাসন-বিরোধী ডানপন্থী রাজনীতিক পিম ফরতুইন।
২০০৩ আগের বছর ওলন্দাজ ডানপন্থী রাজনীতিক পিম ফরতুইনকে হত্যার দায়ে ওলন্দাজ পশু অধিকারকর্মী ভোকার্ট ভ্যান গ্রাফকে এবছর ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল।
২০০৪ নেদারল্যান্ডসের রানী জুলিয়ানার মৃত্যু। খুন হলেন চিত্রনির্মাতা ভ্যান থিও গঘ। মুসলমান সমাজে নারীদের অবস্থান নিয়ে একটি বিতর্কিত ছবি বানানোর পর থেকে তিনি খুনের হুমকি পেয়ে আসছিলেন।
২০০৫ নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরস্থ জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল দ্বারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হলেন রামুশ হারাদিনাজ, কসোভোর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন।
২০০৬ জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালে দ্য নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে স্লোবোদান মিলোসেভিচকে নিজ সেলে মৃতাবস্থায় পাওয়া গেল। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নেদারল্যান্ডসের সংসদ আফগানিস্তানে ন্যাটো-নেতৃত্বাধীন বাহিনীতে যোগ দিতে ১৪০০ ওলন্দাজ সেনা পাঠাতে সম্মত হল।
২০০৯ অক্টোবর প্রথম মেয়াদে আরুবার রাষ্ট্রপ্রধান হলেন মাইক ঈমান।
২০১০ আফগানিস্তান থেকে ১৯০০ সেনা প্রত্যাহার করল ওলন্দাজরা। নেদারল্যান্ডস অ্যান্টাইলসকে বিলুপ্ত করা হল। আরুবা, কুরাকাও, আর সিন্ট মার্টিনকে নেদারল্যান্ডস রাজ্যের মধ্যে দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হল।
২০১১ নেদারল্যান্ডসের এক আদালতের রায়ে বলা হল, ১৯৯৫ সালে বর্তমান বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় স্রেবেনিচা গণহত্যা চলাকালে ৩ জন বসনিয়াকের – বসনীয় মুসলমান – মৃত্যুর জন্য ওলন্দাজ রাষ্ট্রটি দায়ী।*
* স্রেবেনিচার সুরক্ষার দায়িত্ব শহরটিতে মোতায়েনকৃত জাতিসংঘের ওলন্দাজ শান্তিরক্ষীদের হাতে থাকলেও তাঁরা সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন।
২০১৩ নেদারল্যান্ডসের নতুন রাজা হলেন উইলিয়াম অ্যালেক্সান্ডার।
অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে আরুবার রাষ্ট্রপ্রধান হলেন মাইক ঈমান।
২০১৬ মার্চ জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আদালত রায় দিল যে, মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে অভিযুক্ত সার্বীয় উগ্র জাতীয়তাবাদী নেতা ভোজিস্লাভ সেসেল অপরাধী নন। জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বেকসুর খালাস পাওয়াদের মধ্যে সেসেলই সবচে উচ্চ খ্যাতিসম্পন্ন বিবেচিত হন। জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল সাবেক বসনীয় সার্ব নেতা রাদোভান কারাদজিচকে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যা সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দিল।
২০১৭ জাতিসংঘের ট্রাইব্যুনাল সাবেক বসনীয় সার্ব সামরিক কমাণ্ডার রাতকো ম্লাদিচকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল। তুরস্ক ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে কূটনৈতিক সংকট।
২০১৮ আরমানি গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিল নেদারল্যান্ডসের সংসদ।
২০১৯ নেদারল্যান্ডসের সুপ্রিম কোর্ট পূর্ববর্তী একটি রুলিং বহাল রাখল যেখানে বলা হয়েছিল, ১৯৯৫ সালে স্রেবেনিচা গণহত্যা চলাকালে ৩৫০ জন বসনিয়াকের – বসনীয় মুসলমান – মৃত্যুর জন্য ওলন্দাজ রাষ্ট্রটি অংশত দায়ী।
জুলাই নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগস্থ জাতিসংঘের একটি যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক আদালত সন্দেহভাজন হিসেবে তলব করায় হারাদিনাজ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।
২০২০ নেদারল্যান্ডসের নাম এতদিন হল্যান্ড বলা হলেও এই বছর দেশটির সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নাম বদলে নেদারল্যান্ডস রাখল।
নভেম্বর নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগস্থ জাতিসংঘের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল দ্বারা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হওয়ায় পদত্যাগ করলেন কসোভোর প্রেসিডেন্ট হাশিম থাচি।
২০২২ টানা চতুর্থবারের মত জোট সরকার গঠন করলেন মধ্য-ডানপন্থী ভিভিডি পার্টির নেতা মার্ক রুটে।
তথ্যসূত্র
BBC. 2015. “Aruba profile – Timeline.” BBC, January 28.
https://www.bbc.com/news/world-latin-america-20211986
— 2022. “Netherlands profile – Timeline.” BBC, December 12.
https://www.bbc.com/news/world-europe-17741525
European Union. n.d. “Netherlands – EU Country Profile | European Union.” Accessed March 1, 2025.
https://european-union.europa.eu/principles-countries-history/eu-countries/netherlands_en
Karasz, Palko. 2019. “Netherlands Was 10 Percent Liable in Srebrenica Deaths, Top Dutch Court Finds.” The New York Times, July 19.
https://www.nytimes.com/2019/07/19/world/europe/srebrenica-massacre-netherlands.html
Marran, James F.. 2004. The Netherlands. Philadelphia: Chelsea House.
Oxford Reference. 2022. “Timeline: Dutch Empire.” Accessed May 23.
https://www.oxfordreference.com/view/10.1093/acref/9780191737565.timeline.0001
Stanton, Maya. 2020. “The Netherlands sheds its “Holland” nickname in the new year.” Lonely Planet, January 4.
https://www.lonelyplanet.com/articles/holland-netherlands-rebrand-202
নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশন সময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে সময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।
অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ
দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি