Spread the love

Featured Image: Wikimedia Commons.

Image: Perry-Castañeda Library Map Collection, The University of Texas at Austin.

সাল

১৭৯৮ ব্রিটিশ নাবিক কাপ্তান জন ফার্ন নিউ জিল্যান্ড থেকে চীন সাগরসমূহে যাওয়ার সময় নাউরুকে দেখতে পেলেন, তিনি এর নাম দিলেন প্লিজেন্ট আইল্যান্ড।

১৮৮৮ মার্শাল দ্বীপ প্রটেক্টরেটের অংশ হিসেবে নাউরুকে নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করে নিল জার্মানি।

১৯০০ ব্রিটিশ কোম্পানি নাউরুতে ফসফেট আবিষ্কার করল।

১৯০৬ নাউরুর খনি থেকে ফসফেট তোলা শুরু হল, মুনাফা জার্মানদের সাথে ভাগ করে নিল ব্রিটিশরা।

১৯১৪-১৮ ‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধ’।*

* এসময় অস্ট্রেলীয় সেনাদল নাউরু দখল করে নেয়।

১৯১৯ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আর গ্রেট ব্রিটেনকে নাউরুর যৌথ ম্যান্ডেট প্রদান করল লীগ অফ নেশনস।

১৯৩৯-৪৫ ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ’।*

* যুদ্ধের সময় জাপান নাউরু দখল করে নেয়। জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশকে জবরদস্তিমূলক শ্রমে কাজে লাগাতে মাইক্রোনেশিয়ায় নির্বাসিত করা হয়। ক্ষুধা বা বোমাবর্ষণে ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু।

১৯৪৭ অস্ট্রেলীয় প্রশাসনের অধীনে নাউরুকে জাতিসংঘের ট্রাস্ট টেরিটোরি করা হল।

১৯৬৬ নাউরুর আইনসভা পরিষদ নির্বাচিত হল।

১৯৬৭ খনি থেকে ফসফেট উত্তোলনের ওপর নিয়ন্ত্রণ বুঝে পেল নাউরুবাসী।

১৯৬৮ স্বাধীনতা অর্জন করল নাউরু, প্রথম প্রেসিডেন্ট হলেন হ্যামার দেরোবার্ট।

১৯৬৯ ব্রিটিশ সাধারণতন্ত্রের সহযোগী সদস্য হল নাউরু।

১৯৮৯ গ্রিনহাউজ ইফেক্ট বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সতর্ক করে দিয়ে বলা হল, নাউরু একবিংশ শতাব্দীতে পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। ট্রাস্টিশিপ পর্বের বাড়তি ফসফেট রয়েলটির দাবিতে আর খনি কার্যক্রমজনিত ক্ষয়ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা আদালতে (আইসিজে) অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিল নাউরু।

১৯৯৩ অস্ট্রেলিয়া আদালত-বহির্ভূত আপোসরফার অংশ হিসেবে ২০ বছর মেয়াদে ৭৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হল। নিউজিল্যান্ড আর যুক্তরাজ্য প্রত্যেকে এককালীন ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৮.২ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ ডলার দিতে রাজি হল।

১৯৯৯ জাতিসংঘে যোগ দিল নাউরু।

২০০১ আগস্ট: অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে ঢোকার চেষ্টা করা শরণার্থীদের নাউরুতে আটকে রাখার জন্য দেশটিকে পয়সা দিতে শুরু করল অস্ট্রেলিয়া।

২০০২ জুন: অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ১,০০০ শরণার্থীকে আটকে রাখল নাউরু।

২০০৩ জানুয়ারি: প্রেসিডেন্ট হলেন বার্নার্ড দোওয়িয়োগো, জানালেন নাউরুর অবস্থা “সংকটজনক”।

মার্চ: অর্থ পাচারের অভিযোগের মধ্যে নাউরুর অফশোর ব্যাংকিং খাত গুটিয়ে নেয়ার মার্কিন দাবিতে সম্মত হলেন দোওয়িয়োগো। কিছুদিনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে হার্টের সার্জারি সম্পন্ন হওয়ার পর মারা যান তিনি।

মে: প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন লুডউইগ স্কটি, কিন্তু অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় তাঁকে উৎখাত হয়ে যেতে হল।

আগস্ট: প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেন রেনে হ্যারিস।

ডিসেম্বর: অস্ট্রেলিয়ার অফশোরে নাউরুর ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী হয়ে থাকা শরণার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করলেন।

২০০৪ এপ্রিল: নাউরু ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে এর সম্পদগুলোকে অস্ট্রেলিয়ার জিম্মায় রাখা হল।

জুন: অনাস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করলেন প্রেসিডেন্ট হ্যারিস। নাউরুর নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন লুডউইগ স্কটি।

জুলাই: নাউরুর স্টেট ফিন্যান্সেসের দায়িত্ব নিতে দেশটিতে কর্মকর্তা প্রেরণ করল অস্ট্রেলিয়া।

সেপ্টেম্বর: নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সংস্কারমূলক বাজেট প্রণয়নে ব্যর্থ হওয়ায় সংসদ ভেঙে দিলেন প্রেসিডেন্ট স্কটি।

অক্টোবর: সাধারণ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হলেন স্কটি।

২০০৫ মে: প্রায় তিন বছর স্থগিত রাখার পর তাইওয়ানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বহালে রাজি হল নাউরু। পদক্ষেপটি চীনকে ক্ষিপ্ত করল।

অক্টোবর: অর্থ পাচার প্রতিরোধে গঠিত ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স নিজেদের অসহযোগিতামূলক দেশগুলোর তালিকা থেকে নাউরুর নামটা সরিয়ে দিল।

ডিসেম্বর: নাউরু ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এয়ার নাউরুর একমাত্র এয়ারক্রাফটটি পুনরায় নিজ অধিকারে নিল একটি মার্কিন ব্যাংক।

২০০৬ সেপ্টেম্বর: বার্মিজ শরণার্থীদের নাউরুতে প্রেরণ করল অস্ট্রেলিয়া।

২০০৭ মার্চ: শ্রীলঙ্কান শরণার্থীদের নাউরুতে প্রেরণ করল অস্ট্রেলিয়া।

ডিসেম্বর: এক অনাস্থা ভোটে উৎখাত হলেন প্রেসিডেন্ট স্কটি। তাঁর স্থলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মার্কাস স্টিফেন।

২০০৮ নভেম্বর: বেসরকারি ব্যাংক স্থাপন করার পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন নাউরুর অর্থমন্ত্রী কিয়েরান কেকে। অস্ট্রেলীয় ব্যাংকগুলো নাউরুকে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করার একটা দাওয়াত ফিরিয়ে দিল।

২০১০ মার্চ-অক্টোবর: আট মাস ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থা বজায় থাকল। নভেম্বর: দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মার্কাস স্টিফেন।

২০১১ নভেম্বর: দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে পদত্যাগ করলেন প্রেসিডেন্ট স্টিফেন। এমপিরা তাঁর স্থলে ফ্রেডি পিচারকে নির্বাচিত করলেন। এক সপ্তাহ পরে, এক অনাস্থা ভোটে উৎখাত হলেন ফ্রেডি পিচার, তাঁর জায়গায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন স্প্রেন্ত দাবউইদো।

২০১২ জুন: আইনগত অচলাবস্থার দোহাই দিয়ে নিজের পুরো মন্ত্রীসভাকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট দাবউইদো।

সেপ্টেম্বর: নিজের নয়া অফশোর অভিবাসন নীতির আওতায় নাউরুতে অভিবাসীদের জন্য একটা নতুন ডিটেনশন ক্যাম্প খুলল অস্ট্রেলিয়া।

নভেম্বর: মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শরণার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ক্যাম্পটিকে ভয়ঙ্কর বলে আখ্যায়িত করল। জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি মোকাবিলা করতে নাউরুকে তহবিল যোগানোর ওয়াদা করল ব্রিটিশ সাধারণতন্ত্রের সচিবালয়।

২০১৩ জুলাই: নাউরুতে অস্ট্রেলিয়া-চালিত ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে একটি পূর্ণ মাত্রার দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষীরা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনল।

২০১৫ জানুয়ারি: একটি বিতর্কিত শরণার্থী পুনর্বাসন চুক্তি সই করার পর অস্ট্রেলীয় ও কম্বোডীয় কর্মকর্তারা নাউরু সফর করলেন।

২০১৬ আগস্ট: লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকা বলল, ফাঁস হয়ে যাওয়া নথিপত্র থেকে জানা গেছে, নাউরুতে তরুণ শরণার্থীরা রুটিনমাফিক নিষ্ঠুরতার শিকার হন। নাউরু পরিদর্শন করে এসে জাতিসংঘের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানালেন, অফশোর ডিটেনশন কেন্দ্রগুলোতে শরণার্থীদের সাথে অস্ট্রেলিয়ার যে আচরণ, তা অমানবিক ও অপমানজনক।

অক্টোবর: নাউরুর আঞ্চলিক প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থা নিয়ে এক চরম সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের জের ধরে অস্ট্রেলিয়া ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে “সাংবাদিকতার লজ্জা” বলে দেগে দিল নাউরু সরকার।

তথ্যসূত্র

BBC. “Nauru profile – Timeline.” BBC, February 20, 2018.
https://www.bbc.com/news/world-asia-pacific-15433901

নোট: ইরফানুর রহমান রাফিনের নন-ফিকশনসময়রেখা ঢাকার দিব্যপ্রকাশ কর্তৃক ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। এই ব্লগটি সেই বই সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রকল্প। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবেসময়রেখা, এবং অনলাইনে অর্ডার দিয়েও সংগ্রহ করা যাবে।

অনলাইন অর্ডার লিংকসমূহ

দিব্যপ্রকাশ । বাতিঘর । বইবাজার । বইয়ের দুনিয়া । বইফেরী । বুক হাউজ । ওয়াফিলাইফ । রকমারি

By irrafinofficial

ইরফানুর রহমান রাফিনের জন্ম ঢাকায়, ১৯৯২ সালে। বর্তমানে একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে লিখে অন্নসংস্থান করেন। নিজেকে স্মৃতি সংরক্ষণকারীদের পরম্পরার একজন হিসাবে দেখেন। যোগাযোগ: irrafin2022@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Creative Commons License
Except where otherwise noted, the content on this site is licensed under a Creative Commons Attribution-ShareAlike 4.0 International License.